Happily Married part 2 || Writer: Shaanj Nahar Sanjida

Happily Married part 2
Writer: Shaanj Nahar Sanjida

পিয়া চোখ বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে
কি হয়েছে?জীবনেও কি আমাকে দেখিস নি?(আমি ভ্রু কুঁচকে)
তোকেই দেখিয়েই তো বড়ো হলাম।কিন্তু তোর মনে কি চলে তা আজ পর্যন্ত জানতে পড়লাম?(পিয়া ঠোঁট ফুলিয়ে)
আমি ভ্রু উচুঁ করে ওর দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে বললাম
চল।আজকে কি ভাবছি তোকে বলবো।
বলেই ওকে নিয়ে বসার রুমে হাটতে শুরু করলাম।
বলার জন্য বাহিরে কেনো যেতে হবে?(পিয়া অবাক হয়ে)
আরে চল না।
বলেই আমি আর পিয়া বাহিরে গেলাম।

বসার রুমে
বাবা আর পাবেল আংকেল খুব মনোযোগ নিয়ে কথা বলছে।আর পরি আন্টি তাদের জন্য চা করছে পিউ আপুও তাকে হেল্প করছে।
বাবা।(আমি সোফায় বসতে বসতে)
হুম বল?(হিমেল ভ্রু কুঁচকে)
তাদের আজ কখন আসার কথা ছিল?(আমি)
দুপুরে এসে খাওয়ার কথা ছিল।(হিমেল)
খাদক!(আমি বিড়বিড় করে)
কিছু বললি?(হিমেল)
না।(আমি)
তারপর বিকেলে কথাবার্তা ঠিক করে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করার কথা ছিল।কিন্তু আমার গুণধর মেয়ে তো বারোটা বাজিয়ে দিলো।(হিমেল দাত চেপে চেপে)
বাবাকে জিজ্ঞেস করলে কিছুতেই বলবে না পালানোর খবর তাকে কে দিয়েছে?আমাকেই বের করতে হবে(আমি মনে মনে)

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

আচ্ছা।তাহলে এখন তো মাত্র বিকেল হলো তাদের আসতে বলো রাতের খাবারের জন্য।(আমি)
কিহ!(হিমেল,পাবেল,পাশে দাড়িয়ে থাকা পিয়া আর রান্না ঘর থেকে পরি আন্টি,পিউ আপু)
আমি চোখ বড়ো করে তাদের দিকে তাকিয়ে দেখি তারা সবাই যেনো নিজের সামনে ভুত দেখেছে,,
কি হলো?তোমরা হিন্দি সিরিয়ালের মত কিহ, কিহ করছো কেনো?(আমি অবাক হয়ে)
কারণ ভুতের মুখে রাম রাম শুনছি তো তাই!(পাবেল)
আঙ্কেল।আমি সত্যিই বলছি সিরিয়াসলি!(আমি)
তুই পালাবি না তো?(পরি)
ভুলেও না।(আমি হ্যা বোধক মাথা নেড়ে)
হ্যা বলছিস নাকি না?(পাবেল)
না বলছি।(আবারও হা বোধক মাথা নেড়ে)
বলছিস না,মাথা নাড়াচ্ছিস হা?(হিমেল ভ্রু উচুঁ করে)
বিশ্বাস করো তোমরা।এমন করছো কেন?(আমি ঠোঁট ফুলিয়ে)
আচ্ছা আমি তাহলে তাদের ফোন করে আসতে বলি

আর হ্যা,,তোকে(হিয়া) আমি ভুলেও বিশ্বাস করি না।পরি ভাবী আপনি প্লিজ রান্না করে দিবেন,পিউ মা তুমি একটু তোমার মাকে সাহায্য করো।পাবেল ভাই আপনি আসুন আমরা বাজারে গিয়ে দরকারি জিনিস পত্র নিয়ে আসি।
বলেই আমার বাবা পাবেল আঙ্কেলকে নিয়ে বের হলো।
যে যার যার মতো কাছে চলে গেলো।আমি সোফা থেকে উঠে পিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি ও স্ট্যাচু অব লিবার্টি হলে গেছে।
কিরে?তুই স্ট্যাচু অব লিবার্টি হয়ে দাড়িয়ে আছিস কেনো?(আমি ওকে ধাক্কা দিয়ে)
হ্যা হ্যা।(হুশ ফিরল)তুই কি বললি?(পিয়া অবাক হয়ে)
রুমে চল সব বলছি।
বলেই পিয়াকে রুমে নিয়ে রুমের দরজা বন্ধ করে বিছানায় গা এলিয়ে দিলাম।

রুমে
কিছু বলবি?(পিয়া বিছানায় পাশে কোমরে হাত দিয়ে)
আমি ওকে টেনে আমার পাশে বসলাম।
শুন বাবা বলছে আমাকে বিয়ে করতে তাই তো?(আমি শুয়ে শুয়ে উপর দিকে তাকিয়ে)
হুম।(পিয়াও আমার শুয়ে পড়লো)
এখন তো আমি বিয়ের জন্য না করতে পারবো না।কিন্তু তারা যদি না করে তখন কি করে বিয়ে হবে?(আমি শয়তানি হাসি দিয়ে)
মানে?(পিয়া শুয়া থেকে উঠে বসলো)
দেখ।তাদের সামনে যদি আমি নিজেকে অসভ্য,বেয়াদব,খারাপ মেয়ে প্রমাণ করতে পারি তাহলে তো উনারা আর বিয়েতে রাজি হবে না।(আমি পিয়ার দিকে তাকিয়ে)
তারমানে তুই তাদের সামনে নিজেকে খারাপ মেয়ে প্রমাণ করতে চাস?কিন্তু কেনো?(পিয়া বসা থেকে উঠে)
কারণ আমি যে করেই হোক বিয়েটা আটকাতে চাই।আর কথায় কথায় দাড়িয়ে যাস কেনো?বস।
বলেই আবার পিয়াকে টেনে বসালাম।
পিয়া চুপ করে আছে।
আমার পিয়া রানীর কি হয়েছে?(আমি পিয়ার গাল টেনে)
তুই কোনো মতেই বিয়ে করতে চাস না?(পিয়া আমার দিকে তাকিয়ে)
আমি ওর দিকে তাকিয়ে শুকনো হাসি দিলাম।

চৌধুরী বাড়িতে
আলিফ তৈরি হও।(রামিম)
কেনো বাবা?(আলিফ সোফায় বসে চা খেতে খেতে)
কেনো ভাই?আমরা মেয়ে দেখতে যাবো।(আলিশা — আলিফের ছোটো বোন)
আমি তো বলেই দিয়েছি আমার মেয়ে পছন্দ।বিয়ে করলে আমি ওই মেয়েকেই করবো।তোমরা গিয়ে দেখে দিন তারিখ ঠিক করো।আর এতে আমার না যাওয়াই ভালো।(আলিফ চায়ের কাপ নিচে রেখে)
সেকি কথা আলিফ।তুমি মেয়েকে দেখেছো কিন্তু মেয়ে তো তোমাকে দেখেনি।(আলেয়া — আলিফের মা)
মা।আমার মনে হয় মেয়ে যদি আমাকে না দেখে তাহলেই ব্যাটার!
বলেই মুচকি হাসি দিয়ে চলে গেল নিজের রুমে।
ও কি মুচকি হাসি দিলো?(রামিম অবাক হয়ে)
ভাই তখনই এমন করে হাসে যখন ওর মনে কিছু চলছে।(আলিশা)
যাই হোক।যেহেতু এই প্রথম ও কোনো মেয়েকে বিয়ে করার জন্য রাজি হয়েছে তাহলে আমাদের যে করেই হোক এই মেয়েকেই বাড়ির বউ বানাতে হবে।(আলেয়া)
কিন্তু আমি যতটুকু জানি মেয়ে করতে চায় না।তাই তো আজকে পালিয়েছে।কিন্তু কথা হচ্ছে আমার ছেলে জানলো কি করে পালানোর খবর?(রামিম চিন্তিত হয়ে)
এতো কিছু চিন্তা করে লাভ নেই।মেয়ে যাই করুক না কেনো?বিয়ে করে ওকে এই বাড়িতেই আসতে হবে।(আলেয়া)
হুম।ভাই কোনোদিন ওই মেয়েকে ছাড়বে না!(আলিশা)
হুম।
বলেই সবাই চিন্তিত হয়ে বসে আছে।

হিয়াদের বাড়িতে বসার রুমে
রামিম চৌধুরী,আলেয়া বেগম আর আলিশা এসেছে।
তাদের সাথে দুজন বডিগার্ড এসেছে।আরো কয়জন সার্ভেন্ট এসেছে বিভিন্ন গিফট নিয়ে।
স্যার।কিছু নিন না? ম্যাম আপনি নিন।আলিশা মা তুমিও(হিমেল)
হিমেল তোমার সাথে আমাদের সম্পর্ক হতে চলেছে।তুমি হচ্ছো আমার বেয়াই।স্যার বলে দুরত্ব সৃষ্টি করো না।প্লিজ।(রামিম)
জ্বি স্যার।(হিমেল)
আবার স্যার?তুমি আমাকে রামিম বলো।(রামিম)
জ্বি রামিম স্যার।(হিমেল)
হায় আল্লাহ!(রামিম মাথায় হাত দিয়ে)
আচ্ছা আচ্ছা থাক।হিমেল ভাইয়ের প্র্যাক্টিস করতে হবে।প্রথম দিনই এতো চাপ দিও না।(আলেয়া হেসে)
ছোটো স্যার আসেনি?(হিমেল)
ভাইয়া আপনার মেয়ের জামাই হতে চলেছে আপনি তাকেও ছোটো স্যার বলবেন হিমেল আঙ্কেল!(আলিশা)
আসলে,,!(হিমেল)
থাক।আলিফ বলে দিয়েছে ও আপনার মেয়েকেই বিয়ে করবে।আর আমরা আজ বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করতে এসেছি।(আলেয়া)
আলহাদুলিল্লাহ।আমারও মনে হয় আলিফ স্যার না এসেই ভালো করেছে।আমার যেই মেয়ে আজকে কি যেনো করে!(হিমেল মনে মনে)

পাবেল ভাই।পিউ মা আর পিয়া মাকে বলেন হিয়ামনিকে নিয়ে আসতে।(হিমেল)
কাউকে নিয়ে আসা লাগবে না।আমি নিজেই এসে পড়েছি।
বলেই আমি রুম থেকে বের হলাম আর আমার পিছু পিছু পিয়া আর পিউ আপু বের হয়ে কাচুমাচু হয়ে দাড়িয়ে আছে।
বাবা,পাবেল আংকেল হা করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে,,,
আজকে আমার যদি হার্ট এ সমস্যা থাকতো তাহলে আমি নির্ঘাত হার্ট এ্যাটাক করতাম।(হিমেল মাথায় হাত দিয়ে)
পাবেল পিয়া আর পিউকে ইশারা করে বলছে,,,
এসব কিহ!(রেগে ইশারা করে)
মাফ করো বাবা অনেক চেষ্টা করেছি কিন্ত এই মেয়ে কারো কথাই শুনে না তোমরা তো জানোই।(পিয়া আর পিউ ইশারা করে)
আপনারা সবাই ভাবছেন,মেয়ে দেখতে এসেছেন মেয়ে কে সুন্দর শাড়ি,চুলে বেনি করে বেলী ফুল দেয়া থাকবে।চোখে হালকা কাজল,ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক।কিন্তু এখানে আমি টাইট জিন্স,টি শার্ট আর উপরে একটা জ্যাকেট,চুল গুলো উচুঁ করে জুটি করে,চোখে কাজলের বদলে কালি দিয়ে এসেছি,ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক এর বদলে কালো লিপস্টিক তাও আবার গাঢ় করে দিয়ে এসেছি।কেনো তাই তো?(আমি তাদের বলার আগেই সোফায় পায়ের উপর পা তুলে বসলাম)

রামিম,আলেয়া,আলিশা এক সাথে হা বোধক মাথা নেড়ে।
আসলে এইটাই আজকালের ট্রেন্ড।আমার স্টাইল এইটা।যেহেতু আপনাদের বাড়ির বউ করে নিয়ে যাচ্ছেন সেহেতু আপনাদের কাছ থেকে তো কিছু লুকাবো না।তাই নিজের মতো করেই আসলাম।আপনাদের ভালো লাগে নি?না লাগলে বলতে পারেন।বিয়েতেও অমত থাকলে করতে পারেন।(আমি তাদের উত্তর শুনার জন্য এক্সসাইটেড হয়ে)
এই মেয়ে ঠিক হবার না।(হিমেল মনে মনে)
ওয়াও ভাবী।you are so cool।(আলিশা চোখে খুশির জোয়ার)
হ্যা?(আমি অবাক হয়ে)
আসলে আমরা সব সময় একজন স্টাইলিশ বউ মা চেয়েছিলাম।যারা আমাদের হাই ক্লাস সোসাইটিতে ফিট হতে পারবে।তোমাকে নিয়ে একটু চিন্তা ছিলো যেহেতু তুমি মধ্যবিত্ত পরিবারের।কিন্তু এখন তুমি সেই চিন্তা দূর করে দিয়েছো।ধন্যবাদ মা।(বলেই আলেয়া বেগম হিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে দিল)
পিয়া আর পিউ মিলে মুচকি মুচকি হাসছে,,
তোর চাল তোর উপরেই পরে গেছে।(পিয়া মনে মনে)
এইজন্যই বলে অতি চালাকের গলায় দড়ি।(পিউ মনে মনে)
বলেছিলাম আমার বৌমার অনেক ট্যালেন্ট।(রামিম এক গাল হেসে)
তারমানে আপনাদের আমার এই অবস্থা নিয়ে কোনো আপত্তি নেই?(আমি অবাক হয়ে)
একদমই না।(রামিম,আলিশা আলেয়া এক সাথে)
I see!(আমি হতাশ হয়ে)
এদিকে তাদের উত্তর শুনে
পাবেল আংকেল আর বাবা হাতে তালি দিলো।
আমি তালির শব্দ শুনে তাদের দিকে তাকাতেই
তারা?
?(আমি)

কিছুক্ষণ পর তাদের জন্য আমার বানানো চা নিয়ে আসলো পরি আন্টি।
আমি চা বানিয়েছি।প্লিজ খেয়ে দেখুন।(আমি মুচকি হেসে)
পরি আন্টি গিয়ে পাবেল আংকেলএর পাশে দাঁড়ালো।
কি হয়েছে তোমরা এতো চিন্তায় আছো কেনো?আর হিয়া ভুতের মত সেজেছে কেনো?(পরি ফিসফিস করে)
পরে বলবো!আগে বলো চা কে বানিয়েছে?(পাবেল ফিসফিস করে)
কেনো?হিয়া বানিয়ে ফ্লাকছে রেখেছে আমি সেখান থেকে নিয়ে এসেছি।(পরি অবাক হয়ে)
নাউজুবিল্লাহ।(হিমেল আবার মাথায় হাত দিয়ে)
এইবার খেয়ে তারা বেচেঁ থাকলেই হয়।(পাবেল)
চায়ে চুমুক দিতেই তাদের চোখ মুখের হাব ভাব পরিবর্তন হয়ে গেলো।হবেই বা না কেনো?আমি যে চায়ে ইচ্ছা মত লবণ দিয়েছি।কিন্তু তারা বিয়ে ভাঙার বদলে আরো আমার চায়ের প্রশংসা করতে লাগলো।শেষ আমার দ্বিতীয় হাতিয়ারও ডাস্টবিনে।আমি হতাশ হয়ে বসে আছি তখনই তারা আমাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করলো,,
তুমি রান্না করতে পারো?(আলেয়া চা খেতে খেতে)
না।খেতে পারি।(আমি নির্লজ্জ ভাবে)
তাহলে তো খুবই ভালো।আমি রান্না করবো আর তুমি খাবে। আসলে দুজনে রান্না করলে কম্পিটিশন মনে হবে!(আলেয়া খুশি হয়ে)

হ্যা?(আমি হতাশ হয়ে)
এইবার কি করবি?(হিমেল মনে মনে)
ভাবী তোমার হবি কি?(আলিশা)
বাইক রেসিং।আর ধরে ধরে ছেলে পেটানো।(আমি দাঁত চেপে)
ওয়াও।আমাকে বাইক চালানো শেখাবে?আম্মু,আব্বু এইবার কোনো ছেলে আমাকে বিরক্ত করলে আমি ভাবীকে নিয়ে যাবো!(আলিশা খুশি হয়ে)
তাই হবে।(রামিম হাসতে হাসতে)
দূর।আমি কিছুই বলবো না যাই বলছি তারা উল্টা ভাবে।এইভাবে চলতে থাকলে বিয়ে তো নির্ঘাত হয়ে যাবে।(আমি মনে মনে চিন্তিত হয়ে)
আমি যতই উল্টা পাল্টা উত্তর দিতে লাগলাম।উনারা ততই তাকে অন্যভাবে নিয়ে আমার প্রশংসা করে যাচ্ছে।আমার বাবা বলে দুনিয়াতে আমিই নাকি সবচেয়ে অদ্ভুত।কিন্তু এখন আমি সিওর আমার থেকে অদ্ভুত মানুষও আছে।
আমি তাদের উল্টা পাল্টা উত্তর দিলাম কিন্তু তবুও তারা বিয়েতে রাজি হয়ে রাতে খাবার মজা করে খেয়ে আজ থেকে পনেরো দিন পর বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করে চলে গেলো।
আমি হতাশ হয়ে
সোফায় আসন পেতে বসে আছি তখনই সাউন্ড বক্সে পিয়া
Mujhe sajan ke ghar jana hai,,
মেহেন্দি বাটো,হলুদ বাটো,,
Sajan jih ghar aye..
Tenu Leke mein jawanga
মোট কথা বিয়ে যতো হিন্দি,বাংলা গান আছে ছেড়ে নাচতে শুরু করছে,,,
পিয়া আর পিউ আপু তো নাচছেই তাদের সাথে বাবা,পাবেল আংকেল আর পরি আন্টিও নাচতেছে।তাও আমার চার পাশে ঘুরে ঘুরে।এমনি বাবা নাচতে পারে না তবুও উনার কোমর দুলিয়ে নাচা দেখে খুব কষ্ট করে নিজের হাসি আটকে রাগী লুক দেয়ার চেষ্টা করছি।
এইবার কি করবি তোর সব প্ল্যান তো সাগরে চলে গেলো?(বাবা হাসতে হাসতে আর নাচতে নাচতে)
আমি সোফার উপর দাড়িয়ে সবাইকে কাটা চামুচ দেখিয়ে বললাম,,
এখন হাতে আছে পনেরো দিন।আর মাথায় আছে পনেরো হাজার প্ল্যান।আমিও হিয়া দেখবো বিয়ে হয় কি করে?

Happily Married part 1

চরিত্র গুলোর পরিচিতি দিয়ে দিচ্ছি যাতে আপনারা নিজেদের মতো চরিত্র গুলো judge না করেন,,,
হিয়া মনি::(গল্পের নায়িকা)খুবই বুদ্ধিমতী।কিন্তু খুব জেদী আর childish। বিয়ে শাদী একদম পছন্দ না।কিন্তু কেনো?এই রহস্য পরে বুঝতে পারবেন!বিয়ে আটকাতে সব করতে পারে।
আলিফ রায়হান_চৌধুরী::(গল্পের নায়ক)শান্ত স্বভাবের।তবে খুব রাগী।চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসে।বিয়েটা একটা চ্যালেঞ্জের মত ওর কাছে।
হিমেল আহমেদ::(নায়িকার বাবা) অনেক ফ্লিমি মানুষ।সাধারণ চলাফেরা।দুনিয়াতে মেয়ে ছাড়া আর কেউ নেই।মেয়ের বিয়ে নিয়ে এমন বিচার দেখে খুবই চিন্তিত থাকে।তাই বিয়ে দিতে উঠে পরে লেগেছে।
রামিম চৌধুরী::(নায়কের বাবা)খুবই মিশুক এবং মজার মানুষ।
আলেয়া বেগম::(নায়কের মা)উনিও মিশুক এবং মজার মানুষ। তবে অন্য সব দজ্জাল শাশুড়ি ক্যারেক্টার দেইনি।উনি ভালো শাশুড়ি।
আলিশা::(নায়কের ছোটো বোন)উনার চরিত্রও অনেক মিশুক।
পিয়া::(নায়িকার বেস্ট ফ্রেন্ড)অনেক ভালো বন্ধু।একটু ভীতু আর লাজুক তবে হিয়ার একজন loyal friend।
গল্পের থিম:বিয়ে নিয়ে এখন অনেকের অনেক মতবাদ।একজন বিয়ে পছন্দ করে না আরেকজন বিয়েকে একজন চ্যালেঞ্জ ভাবে।তাদের এইসব মতবাদ কাটিয়ে তারা কি করে বিয়েকে একটা পবিত্র সম্পর্কে রূপান্তর করে?আর গল্পটাকে যথেষ্ট ফানি করার চেষ্টা করবো।

Happily Married part 3