Happily Married part 8 || Writer: Shaanj Nahar Sanjida

Happily Married part 8
Writer: Shaanj Nahar Sanjida

ইস!এতো জোরে কেউ চিৎকার দেয়।(আলিফ কানে ধরে)
আমি বেড থেকে গায়ে দেয়ার চাদর নিয়ে শরীরে পেঁচিয়ে বললাম
লজ্জা করে না।একটা মেয়ের রুমে বিনা অনুমতিতে ঢুকতে!
কোনো একটা মেয়ে না নিজের বউয়ের রুমে ঢুকেছি।আর এখন আরো কিছু করতে পারি।
বলেই আলিফ বিছানা থেকে নেমে কাছে আসতে লাগলো।
এই দূরে দূরে।একদম কাছে আসবেন না।(আমি পেছনে যেতে যেতে)
এখন কেনো ভয় পাচ্ছো চড়ুই পাখি।খুব না পালানোর শখ।(আলিফ এগুতে লাগলো)
আপনারও তো ধরার শখ।(আমি পেছুতে লাগলাম)

তোমার জন্য এখন আমি আলিফ রায়হান চৌধুরী থেকে বউ শিকারি চৌধুরী হয়ে গেছি।(আলিফ)
আমি উনার কথা শুনে ফিক করে হেসে দিলাম।
অবশ্য এই নামে আপনাকে ভালোই মানাবে।আলিফ লায়লা।(আমি মজা নিয়ে)
আলিফ আমার কাছে এসে দেয়ালে চেপে ধরলো,,,
এখন বলো কি বলতেছিলে?(আলিফ আমার কানে ফিসফিস করে)
দেখুন আপনি যদিও ভাবছেন এইটা আমার জন্য রোমান্টিক কিছু হবে বা আমি লজ্জায় কাপা কাপি করবো।আপনার দিক থেকে অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নেবো তাহলে ভুল ভাবছেন।কারণ ওতো রোমান্টিক আবার আমি না।(আমি উনার হাতের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে)
এখন বলি কি বলতে ছিলাম?তবে তার আগে একটা কথা।আমাদের মধ্যে যা কথা হবে দূরে থেকে হবে।কাছাকাছি, ঘেঁষা ঘেঁসি স্বভাব আমার পছন্দ না।(আমি বেডে বসে)
আলিফ একটা দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে মনে মনে বলতে লাগলো,,
বউ পালায় নামলাম!কিন্তু বউ এতো আনরোমান্টিক!আলিফ তোর কি হবে?একে নিয়ে কি করবো আমি!তবে যাই হোক না কেনো?ওর এই স্বভাব আমার কাছে অনেক কিউট লাগে।মনে হয় গিয়ে গাল টেনে দেই।কি গুলোমুলো গাল গুলো!

যেই ভাবা সেই কাজ আলিফের খেয়ালও নেই ও গিয়ে কখন হিয়ার গাল ধরে টানতে শুরু করলো।
আহ্!কি করছেন?গাল ধরে টানছেন কেনো?(আমি উনার হাত ধরে)
তোমার গাল গুলো অনেক কিউট!(আলিফ আবারও টানতে শুরু করলো)
হইছে তো থামুন।ব্যাথা লাগে।(আমি)
ও সরি।কি যেনো বলেছিলে?(আলিফ আমাকে ছেড়ে)
আপনি কিছুই শুনেন নি কি বলেছি?(আমি ভ্রু কুঁচকে)
না।(আলিফ)
হায়রে।তাহলে শুনুন আমরা একে অপরের থেকে দূরে দূরে থাকবো।(আমি)
পসিবল না।আমি আমার কিউট বউ থাকে দূরে থাকতে পারবো না।(আলিফ বাচ্চাদের মত মুখ করে)
হ্যা?আমারে আজ পর্যন্ত, দর্জ্জাল,জংলী,পেত্নী,ভূত্নি, ডায়নী এইসব ছাড়া কেউ কিছু বলে নি আর আপনি বলছেন আমি কিউট!(আমি অবাক হয়ে)
হ্যা। ওওও আমার বউ কতো কিউট!
বলেই আলিফ আবার আমাকে ধরতে আসলো।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

না।হইছে থাক।বুঝছি বুঝছি।আমি সরি আপনার বউ অনেক কিউট।(আমি হাত দিয়ে মানা করে)
আলিফ মিটমিট করে হাসছে আর ভাবছে,,
চড়ুই পাখি তুমি আমার থেকে যতো দূরে যাবে।আমি ততোই তোমাকে আমার কাছে টেনে আনবো।আমি বুঝে গেছি তোমাকে কি করে জব্দ করতে হয়।তোমার উপর জোর জবরদস্তি কখনই খাটবে না।তাই তোমাকে এই ভেবেই আমার কাছে রাখবো।
এখন হয়েছে এইসব ফাজলামি।এখন বলুন আপনি আমার এখানে আসার খবর পেলেন কোথা থেকে?(আমি সিরিয়াস হয়ে)
আকাশ দিয়েছে!(আলিফ সোফায় বসতে বসতে)
মজা নিচ্ছেন!আকাশ মরে যাবে তবুও কোনো দিন আমাকে ধোঁকা দিবে না।(আমি)
আলিফ মুচকি হেসে
তোমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ।ঠিকই বলেছো। ও বলেনি।
তাতো আমি জানি।এখন বলুন আপনি কি করে জানেন!(আমি)
পরেই আলিফ আমাকে সব খুলে বললো।কিভাবে উনি খুবই বুদ্ধিমানের মতো আমার সব প্ল্যানে কেরোসিন তেল দিয়ে আগুল জ্বালিয়ে দিয়েছে।
আমি উনার কথা শুনে মাথায় হাত দিয়ে বিছানায় বসে আছি।
কি হলো শকড?(আলিফ আড় চোখে তাকিয়ে)
হুম(আমি অসহায়ের মতো মাথা নেড়ে)

আলিফ আমার অবস্থা দেখে নিজের হাসি আর আটকাতে পারলো না। মন খুলে হাসতে শুরু করলো,,
আমি উনার হাসির দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম।খুব সুন্দর করে হাসেন উনি।তবে আমি কোনোদিন কোনো ছেলেকে হাসতে দেখিনি।আসলে আমার কাছে কেউ ঘেঁষে নি।আমি ঘেঁষতে দেইনি।আমার জীবনে ছেলে মানুষ মানেই তিনজন আব্বু,আকাশ,পাবেল আঙ্কেল।তাদের ছাড়া আমি কারো প্রতি কোনোদিন নজর দেইনি।তারাও আমার প্রতি নজর দিতে চায়নি তানা আমিই তাদের দিতে দেইনি।কারণ আমি কারো সাথে সহজে মিশি না।
কিন্তু কেনো জানি?উনার সাথে আমার প্রথম দিন থেকেই মিশতে ভালো লাগে।উনার সাথে কথা বলতে ভালো লাগছে।ঝগড়া করতে ভালো লাগে।ইচ্ছে করে মন খুলে কথা বলি উনার সাথে।তাকিয়ে থাকি উনার এই হাসি মুখের দিকে।যদিও পরিচয় শুধু কয়েক মুহূর্তের।তবুও এইটা কেমন আকর্ষণ।তবে কি এইটাই স্বামী স্ত্রীর বন্ধন।কেউ এই সম্পর্কে বাধা পড়লে আপনাআপনিই কি এমন অনুভূতি চলে আসে?কি হচ্ছে এইসব?
আমি গভীর চিন্তায় মগ্ন তখনই আলিফ আমার চোখের দিকে তাকিয়ে তুরি বাজিয়ে জিজ্ঞেস করলো,,
কি হলো?কি ভাবছো?(আলিফ)

আপনি কেনো আমার পিছে পরে আছেন?আমার থেকে ভালো মানুষ পাবেন।যে আপনাকে ভালোবাসবে,আপনাকে খুশি রাখবে,আপনার থেকে পালাবে না।তবে আপনি কেনো আমাকেই চান?আমি তো প্রায় আপনার মান সম্মান ধূলায় মিশিয়ে দিয়েছি।বারবার পালিয়েছি।ফালতু শর্ত দিয়েছি।কতো চেষ্টা করেছি বিয়ে ভাঙতে,,কতো মিথ্যা কথা বলেছি।কিন্তু আপনি কেনো এখনও আমাকে সহ্য করে যাচ্ছেন!(আমি)
তুমি ঠিকই বলেছো আমি তোমার থেকে ভালো পাবো।কিন্তু আমার যে তোমাকেই চাই।(আলিফ আমার মাথায় হাত বুলিয়ে)
হুহ! এতো ফিল্মি কথা বলে আমার মন ভুলানো সম্ভব না।(আমি আমার মাথা থেকে উনার হাত সরিয়ে)
আলিফ আবার দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে
আনরোমান্টিক বউ নিয়ে আর কি করার?(বিড়বিড় করে)
কিছু বললেন?(আমি বাকা চোখে তাকিয়ে)
না।(আলিফ)

আচ্ছা।আপনি অন্যদিকে তাকান আমি কাপড় পড়বো।(আমি)
কাপড় পরার কি দরকার?আমরা তো হানিমুনে আসছি।(আলিফ)
আমি কিছুক্ষন অবুঝের মতো তাকিয়ে রইলাম উনার দিকে তারপর উনি কি বললো তা আমার মাথায় ঢুকলো,,
এই আলিফ লায়লা।উল্টা পাল্টা কিছু করলে ভালো হবে না কিন্তু।(আমি রেগে)
তাইনাকি।
বলেই আলিফ আমাকে বিছানার সাথে চেপে ধরলো।
এখন ভয় তো চোখে স্পষ্ট।(আলিফ বাকা হাসি দিয়ে)
ও বাবা।আপনি উল্টা পাল্টা কিছু করবেন এইটার ভয় কি আমি পাবো না?আমি ওতো তাও অনুভূতিহীন মানুষ না।(আমি ভ্রু কুঁচকে)
আলিফ হাসতে হাসতে আমার উপর দিকে উঠলো,,
আমি অন্যদিকে তাকিয়ে আছি।তুমি তৈরি হও।(আলিফ)
ওকে।
বলেই আমি ব্যাগ থেকে কাপড় বের করে পরে নিলাম।
হয়ে গেছে।(আমি)

দুই ঘণ্টা পর
আমি বিছানায় আর আলিফ সোফায় গালে হাত দিয়ে বসে আছি দুইজনই গভীর চিন্তায় আছি।আমি চিন্তায় আছি উনি এখন আমাকে নিয়ে কি করবে?কিন্তু উনি কি চিন্তায় আছে! তা আবার আমি জানি না।
আলিফ?(আমি)
হুহ!(আলিফ)
আপনি কি চিন্তা করছেন?(আমি)
তুমি কি চিন্তা করছো! তা চিন্তা করছি।(আলিফ)
আমি চিন্তা করছি এখন আপনি কি করবেন?(আমি)
কি করবো?হানিমুন করতে আসছি।হানিমুন করবো আমার চড়ুই পাখির সাথে।(আলিফ দুষ্টু হাসি দিয়ে)
অনেক হয়েছে।প্রথমত আমাকে এই চড়ুই পাখি,চড়ুই পাখি ডাকা বন্ধ করেন।কারণ আমি চড়ুই পাখি না।(আমি)
দ্বিতীয়ত?(আলিফ)
আগে প্রথমটার জবাব দেন।(আমি)
সব গুলোর একসাথে উত্তর দিবো।এখন বলো দ্বিতীয়টা কি?(আলিফ)
আচ্ছা। দ্বিতীয়ত আমরা হানিমুনে আসছি মানে?কি বলতে চাইছেন?(আমি রেগে)
ঠিক আছে।তোমার প্রথমটার উত্তর দেই।যেহেতু তুমি খালি ফুরুৎ ফুরুৎ পালাও সেহেতু তোমার চড়ুই পাখি নামটা খুব ভালো মানায়।আর দ্বিতীয় তো আমি তো জানি তোমাকে এতো সহজে ধরা যাবে না।আর তুমি যেই মানুষ নির্ঘাত বিয়ে ভাঙতে বিয়ের পরেও কিছু করবে।আর যেহেতু তুমি বিয়ের দিনই পালিয়ে আসছো।তাই আমিই সবাইকে বলেছি তুমি আর আমি হানিমুনে আসছি।বাড়ি না গিয়ে সোজা হানিমুনে চলে আসলাম।একবার হানিমুন সেরে বাড়ি ফিরবো।আর এতে কারো কোনো আপত্তি নেই।(আলিফ একদমে)
মানে?(আমি অবাক হয়ে)

মানে!তোমার পরিবার আর আমার পরিবার জানে আমরা হানিমুনে আসছি।শুধু পিয়াস,আলিশা,সেলিম আর আকাশই জানে তুমি পালিয়েছ আর আমি তোমাকে ধরতে আসছি।আর কেউ না।(আলিফ)
তাহলে আজ যে আমাদের বৌভাত হওয়ার কথা ছিল।(আমি)
বৌভাত পনেরো দিন পরে।আমার মনে হচ্ছিলো এমন কিছু একটা হতে পারে তাইই আমি পনেরো দিন পর বৌভাত রাখছি।যাতে এমন কিছু হয়ে গেলেও আমি সামাল দিতে পারি। অবশ্য তোমার বাবাকে আমিই বলেছি তোমাকে বৌভাতের কথা না জানাতে।(আলিফ)
কিন্তু কেনো এমন করেছেন?(আমি নিচের দিকে তাকিয়ে)
কারণ তোমার জন্য।(আলিফ)
আমার জন্য।(আমি অবাক হয়ে)
হুম।আমি চাইনা আমার বউয়ের দিকে কেউ আঙ্গুল তুলে কথা বলুক।তুমি আবার পালালে লোকে তোমাকে খারাপ বলবে।আমাকে কিছু বলবে না।আর আমি চাইনা এমন কিছু হোক।আর তোমার বাবাও কষ্ট পাবে।আমার বাবারও সম্মানহানি হবে।বিয়ের দিন তার ছেলের বউ পালালে।(আলিফ)
আমার কথা এতো ভাবেন কেনো আপনি?আমি তো খারাপই।ভালো আমি কোনোদিন ছিলাম না কোনো দিন হবও না।(আমি)

তুমি ভালো ছিলে কিনা জানি না কিন্তু ভালো হবে না এইটা বলো না।কারণ ভবিষ্যতের কথা তুমি জানো না।কারণ তুমি আমার রানী(আলিফ আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে)
আমি উনার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছি।আমি যেইসব সমস্যা সৃষ্টি করে রেখে এসেছি।উনি সেই সব সমস্যার সমাধান তৈরি করে এসেছে।কেউ জানেও না আমি পালিয়েছি।উনি আমার সম্মান,আমার বাবার,উনার বাবার,সবার সম্মান উনি রক্ষা করেছে।আর আমি শুধু সব সময় সমস্যা তৈরি করি,, না হয় কোনো সমস্যা থেকে পালাই।উনি একদম আমার উল্টো।(আমি মনে মনে)
কি হলো আবার কি ভাবছো?(আলিফ)
ভাবছি আপনার মাথায় এতো বুদ্ধি আসে কোথা থেকে।(আমি ভ্রু কুঁচকে)
জ্ঞানী লোকেরা বলে গেছে
একজন পুরুষের সফলতার পেছনে সব সময় এখন নারীর অবদান রয়েছে।(আলিফ ভাব নিয়ে)
পাম মারছেন।(আমি ভ্রু কুঁচকে)
না না।বিজনেস ম্যানের মাথায় এমন বুদ্ধি থাকেই।(আলিফ)
এইবার বের হলো আসলো কথা।(আমি)
আলিফ আবার আমার কথা শুনে হাসতে শুরু করলো।
আচ্ছা।বলো তো তুমি বিয়ে থেকে পালাও কেনো?(আলিফ)

কে বলছে আমি বিয়ে থেকে পালাই?আমি সম্পর্ক থেকে পালাই।সম্পর্কের বোজা বইতে আমার ভালো লাগে না।(আমি)
তাইনাকি?তাহলে একটা পরীক্ষা করা যাক।আগামী ছয় মাস তুমি আমার আর আমার পরিবারের সাথে থাকবে।যদি ছয় মাস পর তোমার মনে হয় আমাদের সম্পর্ক তোমার কাছে বোজা তাহলে তুমি চলে যেও।কিন্তু শর্ত একটাই তুমি পালাবে না,সমস্যা গুলো থেকেও না।(আলিফ)
ওকে।তবে আমারও একটা শর্ত আছে।আমাদের মধ্যে কোনো শারীরিক সম্পর্ক হবে না।(আমি)
আমি রাজি।(আলিফ)
পরেই আমি আর আলিফ আমাদের নতুন পরীক্ষার জন্য হাত মেলালাম।
চড়ুই পাখি।আমার ক্ষুধা লেগেছে।কাল রাত থেকে কিছু খাইনি।(আলিফ কিউট ফেস করে)
আমার উনার উপর মায়া হচ্ছে।উনি আমাকে খোজার জন্য এতো বেস্ত ছিলেন যে খাবার খাওয়ার সময়ও পায়নি।কিন্তু এদিকে আমি সারাদিন মুখে কিছু না কিছু দিয়েই রেখেছি।(আমি মনে মনে)
আচ্ছা।চলুন কিছু খেয়ে নেয়া যাক।(আমি)
আচ্ছা চলো।
পরেই আমি আর আলিফ বেরিয়ে গেলাম

যেতে যেতে
আপনাকে তো জিজ্ঞেস করা হলো না।আপনি আমার রুমে ঢুকলেন কি করে?আমি জানি আমার রুমের দরজা আমি বন্ধ করে রেখেছিলাম।(আমি হাঁটতে হাঁটতে)
হোটেল স্টাফ খুলে দিয়েছে।(আলিফ হাঁটতে হাঁটতে)
কেনো?আমি এখনই গিয়ে কমপ্লেইন করবো।(আমি রেগে চলে যেতে লাগলাম)
করে লাভ নেই।হোটেলটা পিয়াসদের।(আলিফ আমাকে ধরে)
তাই নাকি?তাহলে বুকিং এর সময় যেই টাকাগুলো নিছে ওইগুলো ফেরত দিতে বলি?(আমি)
কি কিপ্টা?আমার বউ হয়ে এতো কিপ্টামি করলে চলে।(আলিফ)
কই কিপ্টামি করলাম।পিয়াস ভাইয়ার হোটেলই তো।আমরা ফ্রীতেই থাকতে পারি।আচ্ছা খাবারও কি ফ্রীতে দিবে।(আমি)
দেখো।আর কোনো কিপ্টামি কথাবার্তা প্লিজ বলো না।তোমার কথা শুনে আমার ক্ষুধা চলে যাচ্ছে।(আলিফ অসহায়ের মতো))
আচ্ছা।এখন না পরে বলব।পিয়াস ভাইকে ফোন করে কিন্তু বলবেন আমাদের যেনো ডিসকাউন্ট দেয়।(আমি)
আচ্ছা আচ্ছা।আমি তোমাকে ফোন ধরিয়ে দেবো তুমি বলবে ঠিক আছে!(আলিফ)
গুড আইডিয়া।(আমি)

রুমে
রাতের খাবার শেষ করেই হিয়া রুমে এসে বিছানায় শুয়ে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে।
অন্যদিকে আলিফ বেলকনিতে দাড়িয়ে আকাশ দেখছে,,
তখনই পিয়াস ফোন দিলো।
হ্যালো।(আলিফ)
Hello বাদ দে।আগে বল কেমন হচ্ছে তোদের হানিমুন।(পিয়াস টিটকারি মেরে)
পরেই আলিফ সব কিছু পিয়াসকে বললো,,,
যাক।এখন ও পালাবে না এইটা ভেবেই আমি নিশ্চিন্ত। ছয় মাসে ওর মন জয় করা যাবেই।(পিয়াস)
হুম।আমি কোনো ভাবতে পারিনি।যে বিয়েটাকে আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি সেই বিয়েকে বাঁচাতেই এতো কিছু করতে হচ্ছে।কোনোদিন ভাবতে পারিনি হিয়ার মত কোনো একটা মেয়ের ভালোবাসার মায়ার পরে নিজের মন হারাবো।(আলিফ মুচকি হেসে)
হুম।বিয়ের চ্যালেঞ্জ এ তো জিতে গেলি।এখন বিয়ে বাঁচানোর চ্যালেঞ্জে জিতে গেলেই।তোরা happily married,,(পিয়াস)
হুম।কোনোদিন ভাবি নি বিয়েটা আমার জন্য এতো সুখের হবে।(আলিফ)
হুম। অবশ্য যা হয়েছে।তারপর বিয়েতে তুই মত দিবি কিনা এইটা নিয়েই আমার চিন্তা ছিলো।কিন্তু এখন বিয়ে তো হয়েও গেলো আর তুইও ওকে ভালোবেসে ফেলেছিস।দেখলি বিয়ের সম্পর্কের কতো শক্তি।তুই তো বিয়েতে বিশ্বাসই করতি না।(পিয়াস)

তোর মনে হয় যা হয়েছে তার পরেও বিয়েতে বিশ্বাস থাকার কথা আমার।(আলিফ)
যা হয়েছে হয়েছে।এখন ওইসব বাদ দে। হিয়ামনিকে এখন কিছু বলিস না।(পিয়াস)
পাগল নাকি।আগে ঠিক হয়ে নিক পরিস্থিতি।(আলিফ)
হুম।পড়ে জানলেও বুঝতে পারবে আমার বিশ্বাস। ও অনেক বুদ্ধিমতী।(পিয়াস)
বুদ্ধিমতী?কালকে ফোন দিয়ে তোকে বলবে ডিসকাউন্ট দিতে। ও যে হোটেলে থাকবে তার।আমাকে এইটাও বলছে বুক করার সময় যেই টাকা দিয়েছে তাও ফেরত চায়।(আলিফ)
হ্যা হ্যা(এক গাল হেসে)বলিস ওরই এই হোটেল।(পিয়াস হাসতে হাসতে)
এইটা বলিস না।পড়ে দেখবি ও হোটেল বিক্রি করে দিয়েছে।(আলিফ)
আচ্ছা আচ্ছা।যা এখন রেস্ট নে।
বলেই পিয়াস ফোনটা কেটে দিলো।

আলিফ রুমে গিয়ে দেখলো
হিয়া হাত পা ছড়িয়ে মুখ হা করে ঘুমাচ্ছে।
হায়রে মানুষকে নাকি নিষ্পাপ লাগে ঘুমে।একে নিষ্পাপ ঠিকই লাগছে কিন্তু ভয়কর নিষ্পাপ।
বলেই
আলিফ একটা দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে হিয়ার পাশে ঘুমিয়ে পড়লো।

Happily Married part 7

মাঝ রাতে
হিয়ার লাথি খেতে খেতে আলিফের ঘুম ভেংগে গেল।
এই মেয়ে দিনের বেলা তো হাত পা ছুটা ছুটি করেই রাতেও এর শান্তি নেই।
দাড়া দেখাচ্ছি তোকে মজা।
বলেই আলিফ উঠে কিছু একটা করে পড়লো,
আহা!এখন একটা শান্তির ঘুম দেবো।
বলেই আলিফ শুয়ে পড়ল।

সকালে
আমি ঘুম ঘুম চোখে পা নাড়ানোর চেষ্টা করছি কিন্তু পারছি না।
ধরফরিয়ে উঠে দেখি আমার দুপা বিছানার সাথে আমারই ওড়না দিয়ে বাঁধা।পাশেই নাক ডেকে শান্তি মতো ঘুমাচ্ছে আলিফ।
আমার বুঝতে বেগ পেতে হয়নি আমার পা কে বেধেছে।

Happily Married part 9