Happily Married part 9 || Writer: Shaanj Nahar Sanjida

Happily Married part 9
Writer: Shaanj Nahar Sanjida

আলিফ?(আমি রেগে দাত চেপে)
আলিফ চুপ করে ঘুমাচ্ছে।
আলিফ!(আমি কিছুটা চিৎকার করে)
এখনও ঘুম।
আমি এতো রেগে আছি এতো রেগে উনাকে ঘুম থেকে উঠানোর চেষ্টা করছি আর উনি ঘুমাচ্ছেন।এইবার আমি ধাক্কা দিয়ে,,
আলিফ।
উনি তখনও ঘুমে।
কি লোকরে বাবা!আমাকেও ঘুমের মধ্যে পেছনে ফেলে দিবে।(আমি বিড়বিড় করে)
ওই আলিফ।(আমি জোরে চিৎকার আর ধাক্কা দিয়ে)
উমমম।(আলিফ মোচড়া মুচরি করতে করতে)
উঠবে নাকি এখন খাট থেকে ফেলে দেবো?(আমি রেগে)
আলিফ কিছু না বলেই আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরলো।
আমি সব সময় চাইতাম।কোনো দিন একদিন বউকে জড়িয়ে ধরে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠবো।(আলিফ রোমান্টিক মুডে)

এমনি সারারাত আমার পা বেঁধে রাখার কারণে আমার পা ব্যাথা করছে আরো উনার এই রোমান্টিক কথাবার্তা শুনে আরো মাথা ব্যাথা করতে লাগলো। তবে আমিও কম যাই না,,
আমিও উনার বুকে মাথা রেখে রোমান্টিক ভাবে বলতে লাগলাম,,
তাই।আমারও অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল।বরের বুকে মাথা রেখে তার বুকে চিমটি কাটবো।
বলেই জোরেই চিমটি দিলাম।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

আমার চিমটি খেয়ে আলিফ আমাকে ছেড়ে দিয়ে ধড়ফড়িয়ে উঠে গেলো,,
এই মেয়ে তোমার মধ্যে কি একটুও রোমান্টিকতা নেই।যতসব।এতো জোরে কেউ চিমটি দেয়।কালকেই নখ কাটবে। রাক্ষুসে মতো বড়ো নখ রেখেছে।আমার এতো রোমান্টিক সকালের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে।(আলিফ)
হয়েছে আপনার?এখন বলুন আমার পা কেনো বাধা?(আমি ভ্রু কুঁচকে)
কালকে সারারাত ফুটবল খেলছো মনে নেই!খালি পার্থক্য এইটুকু ফুটবলের বদলে আমাকে লাথি মেরেছো।তাই উপায় না পেয়ে তোমার পা বেধে রেখেছি।(আলিফ)
ভুলেও না।আমি মোটেও এমন করিনি।আর আমি আপনাকে কেনো লাথি মারবো?আশ্চর্য আপনি মিথ্যা বলছেন।(আমি)

হোয়াট আমি মিথ্যা বলছি।নেক্সট টাইম যখন মারবে না তখন ভিডিও করে রাখবো।আরেকটা কথা এইবার তো শুধু পা বেধেছি পরেরবার তোমাকে বেধে রাখবো।(আলিফ)
কি আপনি আমাকে বেধে রাখবেন?একে তো রাতে আমার পা বেঁধে রেখেছেন তারপর আবার আমাকে রাক্ষুসী বলেছেন এখন আবার ঝগড়া করছেন।আপনি পেয়েছেন টা কি?হা?আপনার কি মনে হয় আমি ঝগড়া করতে পারি না?(আমি একদম নিয়ে)
কি বলছো? আমার মনে হয় না আমি জানি তুমি ঝগড়া করতে এক্সপার্ট!এখনও আমার সাথে ঝগড়া করছো।এতে আমার সন্দেহ নেই।(আলিফ)
আপনার জানার জন্য বলছি আপনি আমাকে ঝগড়া করতে বাধ্য করছেন।(আমি)
ও তাই।(আলিফ)

এইরকম ফালতু টপিক নিয়ে আমি আর আলিফ বিছানায় বসে বসে এক ঘণ্টার মতো ঝগড়া করে এখন আমরা দুইজনেই হাপিয়ে উঠলাম।পরেই আলিফ হাপাতে হাপাতে বললো
আজকে এতটুকু ঝগড়াই থাক বাকি ঝগড়া পরে।
ঠিক আছে।আমারও গলা শুকিয়ে গেছে।চিৎকার করতে করতে এখন পানি খেয়ে ফ্রেশ হতে যাবো।
বলেই আমি টেবিল থেকে পানি নিতে নিতে আলিফ দৌড়ে ওয়াশরুমে ঢুকে গেলো।
আলিফ এইটা ঠিক না।আমি আগে যাবো বলছিলাম।বিরক্তকর।(আমি রেগে)
তোমাদের মেয়েদের ফ্রেশ হতে দেরি হয়।তাই তুমি পরেই থাকো।(আলিফ ওয়াশরুম থেকে)
আলিফ লায়লা।(আমি রেগে দাত চেপে চেপে)

আমি আমার পায়ের বাঁধন খুলে বিছানায় বসে বসে ব্যাগ থেকে কাপড় বের করছি তখনই আলিফ ওয়াশরুম থেকে বললো,,
হিয়া।আমি কাপড় নিতে ভুলে গেছি। একটু ব্যাগ থেকে কাপড়টা দাও তো।
হিহি(?) ইটস বদলা টাইম।(আমি শয়তানি হাসি দিয়ে)
কি হলো দাও?(আলিফ)
আমি পারবো না নিজে এসে নিয়ে যান।(আমি ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে)
হোয়াট দা হেল।আমি এখন পুরো ভিজে আছি।(আলিফ দাত চেপে)
সো হোয়াট।আমি পারবো না।(আমি)
হিয়া ফাজলামি বন্ধ করে কাপড় গুলো দাও।(আলিফ)
দিতে পারে তবে এক শর্তে!(আমি)

আমি এখানে ভিজে দাড়িয়ে আছি আর তোমার এখনই শর্ত দেয়া লাগবে?(আলিফ)
রাগ দেখিয়ে লাভ নেই।আপনিই আমাকে এইসব করতে বাধ্য করেছেন।তাই এখন যা বলছি করুন না হলে বসে থাকুন।আমার কি?(আমি)
আচ্ছা বলো।কি শর্ত?(আলিফ)
প্রথমত সরি বলুন। দ্বিতীয়ত প্রমিজ করুন আমার পা বেঁধে রাখবেন না। তৃতীয়ত বলুন হিয়া তুমি রাক্ষুসী না তুমি খুবই কিউট।(আমি)
ওয়াক থু।তোমার কথা শুনে আমার বমি আসতেছে।(আলিফ)
হ্যা হ্যা very funny। যাই বলুন এইসব না বললে কিন্তু আমি দেবো না আপনার কাপড়।(আমি)
আচ্ছা আচ্ছা বলছি।আমি তোমাকে সরিও বলছি,পা বেঁধে রাখবো না প্রমিজ করছি,আর তুমি বিশ্ব সুন্দরী।হইছে?(আলিফ)

কি ভালো বরটা আমার!নজর যেনো না লাগে তার।
বলেই আমি কাপড় গুলো নিয়ে ওয়াশরুমে টোকা দিতেই আলিফ আমাকে টান মেরে ওয়াশরুমে নিয়ে গেলো।
আমি গিয়ে দেখি আলিফ সম্পূর্ন শুকনো কাপড় পরে দাড়িয়ে আছে।
আপনি না ভিজে কাপড়ে দাড়িয়ে ছিলেন?(আমি অবাক হয়ে)
তোমাকে কাছে আনার ছোটো একটু প্রয়াস আমার চড়ুই পাখি।
বলেই আলিফ আমার নাকে ঘষা দিল।
আপনি এতক্ষন মজা করছিলেন আমার সাথে!(আমি ছুটার চেষ্টা করে)
হুম।আর সব সময় ছুটার চেষ্টা করো কেনো?(আলিফ আমাকে আরো কাছে টেনে চেপে ধরলো)
আর আপনি সব সময় কাছে আসার চেষ্টা করেন কেনো?(আমি)
কারণ তোমাকে ভালোবাসি বলে।(আলিফ আমার কানের কাছে ফিসফিস করে)
আমি উনার কথা শুনে স্ট্যাচু হয়ে গেলাম।
কি হলো?কিছু বলো।(আলিফ আমার দিকে তাকিয়ে)
কি বলবো?জীবনের প্রথম দেখলাম কেউ ওয়াশরুমে এসে প্রপোজ করছে।এর থেকে ভালো জায়গা ছিল না আপনার?(?আমি)

হ্যা হ্যা(হেসে)তুমি সত্যি অনেক ইন্টারেস্টিং হিয়া।(আলিফ হাসতে হাসতে)
হইছে ছাড়ুন।
বলেই ছুটার চেষ্টা করলাম।
আমার ছুটাছুটিতে ওয়াশরুমের শাওয়ারটা অন হয়ে গেলো।আর সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা আমি আর আলিফ দুইজনই ভিজে গেলাম।
দেখলেন ভিজে গেলাম আপনার জন্য।(আমি)
আমার জন্য না।তোমার ছুটোছুটি করার জন্য।(আলিফ আমার হাত ধরে আমাকে ঘুরিয়ে)
কি করছেন?এখন কি এই শাওয়ারের নিচে আমরা নাচবো নাকি?(আমি ঘুরতে ঘুরতে)
এইসব হলে মন্দ না।
বলেই আলিফ আমাকে নিয়ে শাওয়ারের পানিতেই নাচতে শুরু করলো।
আমি কি বলবো বুঝতে পারছি না।আমার জীবনটা সত্যিই এখন অদ্ভুত হয়ে গেছে।ওয়াশরুমের প্রপোজ,শাওয়ারের পানিতে রেন ড্যান্স।এই লোকটার সাথে থাকতে থাকতে আমিও উনার মত হয়ে যাবো। তবে কেনো যেনো উনার সাথে থাকলে আমার মুখের হাসি কখনও গায়েব হয় না। ঝগড়াতেই আমার মুখে হাসি থাকে।

পরেই আলিফ আর আমি তৈরি হলাম বের হবো বলে। আমাদের দুজনের ঝগড়া,নাচ,আরো অনেক তামসা করতে করতে দুপুর হয়ে গেছে।রাতে তেমন কিছু খাওয়া হয়নি আমার তারপর সকাল গেলো ঝগড়া করতে করতে।
আমার পেটে ইদুর নাচানাচি করছে।(আমি পেটে হাত দিয়ে)
জীবনের প্রথম দেখলাম চুরুই পাখির পেটে ইদুর নাচানাচি করে।(আলিফ আড় চোখে তাকিয়ে)
হ্যা হ্যা!আমিও জীবনের প্রথম আলিফ লায়লাকে টিভিতে বের হয়ে আমার সাথে হাঁটতে দেখছি।(আমিও মজা নিয়ে)
এই তুমি আমাকে আলিফ লায়লা বলা বন্ধ করবে?(আলিফ)
আর আপনি আমাকে চড়ুই পাখি ডাকা বন্ধ করবেন?(আমি)
ডাকি কারণ তোমার স্বভাব।(আলিফ)
আমিও ডাকি কারণ আপনার স্বভাব।(আমি)
তুমি কি আবার ঝগড়া শুরু করতে চাও?(আলিফ)
না।খুব ক্ষুধা লাগছে।ঝগড়া করার শক্তি নেই।(আমি)
ভেরি গুড।এখন চলো।(আলিফ)
হুম।চলুন।
বলেই আলিফের হাত ধরে উনাকে নিয়ে চললাম।
আলিফও মুচকি হেসে হিয়ার পিছু পিছু চললো।

সেদিন সারাদিন আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরলাম। রেস্তরাঁয় গিয়ে খাবার খেলাম। সূর্য্য অস্ত দেখলাম।স্বপ্নের মত কাটলো আমার দিনটা।আলিফের সাথে নিজেকে খুবই নিরাপদ মনে হয়।উনার সাথে থাকতে ভালোই লাগে।লোকটা খুব ভালো।একদম আমার উল্টো।তবুও কেনো জানি উনার দিকে বেশি আকর্ষিত হচ্ছি। এই জন্য বিজ্ঞানীরা বলে বিপরীত মেরু পরস্পরকে আকর্ষিত করে।তবে এখনই আমি কোনো সিদ্ধান্তে যেতে চাই না।এতো তাড়াতাড়ি উপসংহারে গিয়ে নিজের জীবনে কোনো ভুল করতে চাই না।তাই শুধু দেখবো,,এই ছয় মাস আমি দেখবো তারপর কোনো সিদ্ধান্তে যাবো।এইটাই ভালো হবে আমার আর আলিফের জন্য। তবে এই ছয় মাসে আমি আলিফের মনে কোনো আশা জাগাতে চাই না।তাই নিজেকে সামলে রাখতে হবে আমার।

এই পনেরো দিন যে কোন দিক দিয়ে এসে কোন দিয়ে চলে গেলো খেয়ালই করিনি।আজ রাতে আমাদের যাওয়ার পালা ঘনিয়ে এলো।এখন কি আর করার?আমি মনমরা হয়ে গাড়ির সিটে বসে আছি।আর আলিফ ড্রাইভ করছে।হটাৎ নিরবতা ভেঙ্গে আলিফ বললো,
এতো মন খারাপ করে লাভ নেই!নেক্সট টাইম আবার আসবো!
আমি আর ওই হোটেলে যাবো না।ওই লোক আমার বুকইং এর সময়ের টাকা গুলো ফেরত দেয়নি কেনো?(আমি মনমরা হয়ে)
তুমি এতক্ষন এই জন্য মনমরা হয়ে বসে ছিলে?(আলিফ মাথায় হাত দিয়ে)
তাহলে আর কিসের জন্য বসে থাকবো?(আমি)
হায় আল্লাহ।শুনো টাকা ফেরত না দিক তোমার কথা মত ডিসকাউন্ট তো দিছে।ওইটা নিয়ে খুশি থাকো।এতো কিপ্টামি ভালো না।(আলিফ)
আপনি কি বুঝবেন আমার কষ্ট?(আমি রাগ করে অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে)
আচ্ছা রাগ করো না।পিয়াসকে বলো ও তোমাকে বুকিং এর টাকা দিয়ে দিবে।খুশি তো?(আলিফ)
আমি অতোটাও কিপটে নই।আমার লাগবে না টাকা।(আমি)
তাহলে মুখ ফুলিয়ে রেখো না।(আলিফ)
ওকে।(আমি হাসি দিয়ে)

কিছুক্ষনপর
আলিফ?(আমি)
হুম?(আলিফ)
থ্যাঙ্ক ইউ।(আমি)
ওয়েলকাম।(আলিফ আমার মাথায় হাত বুলিয়ে)

বাসায় যেতে যেতে আমাদের ভোর হয়ে গেলো।
সেখানে যেতেই আমার শাশুড়ি মা আমাকে বরণ করে ঘরে তুলল।আমিও হাসি মুখে আমার ছয় মাসের জন্য বাড়িতে পা রাখলাম।
জানো মা।আমি বলছিলাম যে তোরা কয়দিন পরে হানিমুনে যা।কিন্তু আমার ছেলে তো মানলই না।তোমার সাথে সময় কাটানোর সময় আমি পেলামই না।(আলেয়া বেগম হিয়াকে সোফায় বসাতে বসাতে)
মা বুঝো না আমার ভাইয়ের তর সইছিল না।(আলিশা)
চুপ।বেয়াদব আম্মু আব্বুর সামনে কি করে কথা বলতে হয় ভুলে গেছিস। সরম লজ্জা নেই।(আলিফ আলিশার মাথায় হালকা থাপ্পড় মেরে)
হুম।আলিশা ভাইয়া ভাবীর সম্পর্কে এইসব বলতে হয় না।(রামিম সাহেব)
সরি ভাইয়া ভাবী।(আলিশা)

আমি শুধু তাদের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে ভাবছি তারা কতো সুন্দর একে অপরের ভাবনা চিন্তা বুঝে।তাদের মনের কতো মিল।তারা সবাই একে অপরের সাথে কতো সুন্দর করে মিশতে পারে।এদিকে আমি?আমার যেনো ভয় হচ্ছে।এদের সাথে আমি কি ছয় মাস থাকতে পারবো?মিশতে পারবো তাদের সাথে?কোনো সমস্যা হবে না তো আমার?আমাকে আর কষ্ট পেতে হবে না তো?
আমার এইসব ভাবনার বেঘাৎ ঘটে আলেয়া বেগমের কথা শুনে।
কি ভাবছো মা?আচ্ছা বলো তুমি আজ সকালে কি খাবে?কি রান্না করবো তোমার জন্য?(আলেয়া বেগম)
কিছু লাগবে না আন্টি।(আমি)

তুমি আমাকে আন্টি বলছো কেনো?তুমি আমাকে মা বলে ডাকবে।(আলেয়া বেগম)
আমি উনার দিকে নির্বাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি কি বলবো আমার জানা নেই।এখন পর্যন্ত আমি কাউকে মা বলে ডাকি।এমন কি নিজের মাকেও না।এই প্রথম কেউ বললো তাকে মা বলে ডাকতে।কিন্তু এই মা শব্দটা এতো ভারী যে আমার মুখ দিয়ে বের হতেই চাচ্ছে না।আমি এই শব্দটি উচ্চারণ করতে পারছি না কিছুতেই।আমার এই নির্বাক দৃষ্টি আর কেউ না বুঝতে পারলেও আলিফ ঠিকই বুঝতে পেরেছে।তাই তো ও বলে উঠলো,,
আম্মু, আমরা তো তোমাকে আম্মু বলে ডাকিই হিয়া না হয় তোমাকে অন্য কিছু বলে ডাকুক।(আলিফ আলেয়া বেগম এর কাধে হাত রেখে)
অন্য কিছু?(আলেয়া বেগম অবাক হয়ে)
মামনি কেমন হবে ভাই?(আলিশা)
খুব সুন্দর হবে।আম্মু হিয়া যদি তোমাকে মামনি বলে ডাকে তাহলে কি তোমার কোনো আপত্তি রয়েছে?(আলিফ)
না।আমার কোনো আপত্তি নেই।বরং আমি খুশিই হবো(আলেয়া বেগম হিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো)
ধন্যবাদ মামনি।(আমি)

তাহলে আমাকে বাবাই বলে ডাকবে।(রামিম সাহেব)
তাহলে তো আর কথাই নাই।ডাকাডাকির সমস্যা মিটে গেলো।(আলিফ)
না মিটে নি।আমাকে কি বলে ডাকবে তাহলে?(আলিশা)
তোকে পেত্নী বলে ডাকবে।(আলিফ)
এইটা ঠিক না ভাই!(আলিশা)
আচ্ছা তাহলে আমি তোমাকে ছোটো আপু বলে ডাকবো।তুমি আমার ছোটো তো তাই!(আমি)
ঠিক আছে। হুহ!তুই বড্ড খারাপ ভাই। ভাবী অনেক ভালো।(আলিশা)
লাই দিয়ে মাথায় তুলো না।(আলিফ)
দেখ ভাই,,,
আলিশা আরো কিছু বলতে যাবে তার আগেই বাবাই ওকে থামিয়ে বললো,,
অনেক হয়েছে ভোর পাঁচটা বাজে এখন তোমাদের এই তর্ক না করলেও চলবে।ওদের এখন রেস্ট নিতে দাও।(রামিম সাহেব)
ওকে স্যার।(আলেয়া বেগম আর আলিশা)
আমি উনাদের দেখতে হাসতে শুরু করলাম।

Happily Married part 8

আমাদের রুমে,,
থ্যাঙ্ক ইউ আলিফ।(আমি)
আলিফ আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,,
ফ্রেশ হয়ে ঘুমাও।

সকাল দশটায়
আলিফ ঘুম থেকে উঠে দেখলো হিয়া নেই।
এই মেয়ে ঘুম থেকে এতো আগে উঠে গেলো।
বলেই আলিফ বিছানা থেকে উঠে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে দেখে হিয়া,আলেয়া বেগম আর আলিশা মিলে সকালের নাস্তা বানাচ্ছে।
কি অপরূপ দৃশ্য তাই না আলিফ?
পেছন থেকে রামিম সাহেব বললো।
হুম বাবা।শুধু,,,
আলিফ কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেলো।
থাক বাবা।আর ওইসব মনে করিস না।চল খাবি।
বলেই রামিম সাহেব আর আলিফ হাসি মুখে খাবার টেবিলের দিকে গেলো।

Happily Married part 10