জল ফড়িঙের খোঁজে পর্ব ৪৫ || লেখিকা: অনিমা কোতয়াল

জল ফড়িঙের খোঁজে পর্ব ৪৫
লেখিকা: অনিমা কোতয়াল

রিখিয়া চোখ খোলার সাহস পাচ্ছেনা। যদি কেঁদে দেয়? যদি নিজেকে সামলাতে না পারে? ও ওপর দিয়ে নিজেকে যতই শক্ত দেখাক। ভেতর ভেতর তো ও আজও বিহানের প্রতি ততোটাই দুর্বল। মানুষ চেষ্টা করে বড়জোর নিজের বাইরেটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও নিজের মনের ভেতরের অনুভূতিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা। ও-ও পারবে না। তবুও অনেকটা সাহস নিয়ে চোখ খুলে তাকাল। কিন্তু না, ও কাঁদল না। ওর ভেতরের যন্ত্রণা, কষ্ট, অভিমান কোনটাই অশ্রু হয়ে ঝড়ে পরল না। রিখিয়া একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল। নিজেকে যথাসম্ভব স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে বলল,

” কিছু বলবেন?”
বিহান কয়েক মুহূর্ত মৌন রইল। এরপর ছোট্ট শ্বাস ফেলে বলল,
” কেমন আছো?”
রিখিয়া একটু হাসল। সেই হাসিতে যে তাচ্ছিল্য মিশে ছিল সেটা বিহান স্পষ্ট বুঝেছে। ওর বুকে তীরের মত বিদ্ধ হল রিখিয়ার সেই হাসি। রিখিয়া বলল,
” আমি ভালো আছি। খারাপ থাকার তো কারণ নেই। আপনি কেমন আছেন?”
বিহান নিজের একত্রিত করে রাখা হাতের দিকে তাকিয়ে থেকে বলল,
” আছি।”
আবারও অনেকটা সময় নিরবতায় কাটল। হঠাৎই রিখিয়া হন্তদন্ত হয়ে বলল,
” তুর এখনও আসছেনা। আমি গিয়ে দেখছি তুর কোথায় আছে।”
বলে উঠতে নিলেই বিহান বলে উঠল,

” রিখিয়া, তুমিও বুঝতে পেরেছ আর আমিও বুঝতে পেরেছি যে ওরা কেন আমাদের এখানে একা ছেড়ে গেছে।”
রিখিয়া কিছু না বলে বসে পরল। হ্যাঁ ওরা দুজনেই বুঝতে পেরেছে ব্যাপারটা। কিন্তু কি-বা করার? ওদের মধ্যে কী আদোও আর কিছু ঠিক হওয়া সম্ভব? বিহান অনেকক্ষণ ইতস্তত করে বলল,
” আমাকে কী সত্যিই ক্ষমা করতে পেরেছিলে রিখিয়া?”
রিখিয়া বিহানের এমন প্রশ্ন শুনে শান্ত দৃষ্টিতে তাকাল। ওর সেই চাহনীতে কিছু একটা ছিল, সেটা কী তা বিহান বুঝতে পারল না। রিখিয়া ওভাবে তাকিয়ে থেকেই বলল,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

” আমি অন্যদের মত মনে আর মুখে আলাদা কথা নিয়ে চলিনা। যেটা মনে থাকে সেটাই মুখে বলি। আমি যখন মুখে বলেছি সেই ঘটনার জন্যে আমি আপনাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। তারমানে সত্যিই আমি ক্ষমা করে দিয়েছি।”
অন্যদের বলতে যে রিখিয়া বিহানকেই বুঝিয়েছে সেটা বুঝতে বিহানের সময় লাগেনি। কিন্তু ও কিছুই মনে করল না। হয়তো এটাই ওর প্রাপ্য ছিল। অনেক বড় অন্যায় করেছিল মেয়েটার সাথে ও। তার তুলনায় এই সামান্য দুই একটা কথা কিছুই না। বিহান বলল,

” তাহলে কী আমরা আগের মত বন্ধু হতে পারিনা? আগের মত স্বাভাবিক হতে পারিনা?”
রিখিয়া আবারও শান্ত দৃষ্টি নিক্ষেপ করল বিহানের দিকে। সত্যিই কী আগের মত স্বাভাবিক হতে পারবে ওরা? চাইলেই কী সবটা স্বাভাবিক করা যায়? রিখিয়া অনেকটা খোঁচা মেরেই বিহানকে বলল,
” আগের মত বলতে একসাথে ঘোরা, খাওয়া, সময় কাটানো? কিন্তু এগুলো আপনার স্ত্রী মেনে নেবে? উনি নিশ্চয়ই চাইবেন না তার স্বামী অন্যকোন মেয়ের সাথে ঘোরাফেরা করুক। উনি আপত্তি করবেন না?”
বিহান একটু হাসল। রিখিয়া যে খোঁচা মেরে কথা বলতেও শিখে গেছে সেটা খারাপ লাগল না ওর। কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে মুচকি হেসে বলল,

” আপত্তি করার মত কেউ নেই আমার জীবনে। আর স্ত্রীর কথা বলছ? সেও নেই।”
রিখিয়া মনে মনে বেশ অবাক হল। বিহান তাহলে এখনও বিয়ে করেনি? কিন্তু ওর সেই মনোভাব প্রকাশ না করে বিদ্রুপ করে বলল,
” ও, বিয়ে করেন নি তাহলে? দুদিও পরপরই গার্লফ্রেন্ড বদলাতে পারলে আর বিয়ের কী প্রয়োজন পরে, তাইনা?”
বিহান কিছু বলল না একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মাথা নিচু করে বসে রইল। রিখিয়াও মাথা নিচু করে আছে। বিহানকে এতো কড়া কড়া কথা বলার ইচ্ছা ছিলোনা ওর। কিন্তু কেন জানি নিজেকে সামলে রাখতে পারছেনা। ভেতরের সমস্ত ক্ষোভ আর অভিমান সব কড়া কথা হয়ে বেড়িয়ে আসছে।

চেয়ারে হেলান দিয়ে ভ্রু কুচকে বিপরীত পাসে বসে থাকা মানুষদুটির দিকে তাকিয়ে আছে তুর্বী। ওর চোখমুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে ও কতটা বিরক্ত। কিন্তু সৌহার্দ্য আর দোলার সেদিকে খেয়াল নেই ওরা নিজের মত করে আলোচনা করছে আর কোল্ডকফি খাচ্ছে। এখানে আরেকটা জলজ্যান্ত মেয়ে বসে আছে সেদিকে ওদের খেয়াল নেই। পার্ক থেকে বেড়িয়ে ওরা শপিংমলে ঢুকেছিল। সৌহার্দ্য একপ্রকার জোর করেই দোলাকে পার্স কিনে দিয়েছে। দোলা বলেছিল ওর লাগবে না। কিন্তু সৌহার্দ্য বলল, ‘বলে যখন ফেলেছি তখন কিনে দিতে সমস্যা কোথায়?’

তুর্বী শুধু হাত ভাজ করে দেখছিল এদের তামাশা। দোলা মেয়েটা প্রচন্ড বাচাল প্রকৃতির, সৌহার্দ্যর সাথে সারাক্ষণ বকবক করেই চলেছে। আর তুর্বী শুধু হাটছিল ওদের সাথে। নিজেকে এলিয়েন এলিয়েন লাগছিল ওর। আর এখন রেস্টুরেন্টে এসেও দুজনেই বকবক করে যাচ্ছে। তুর্বীর ইচ্ছে করছে দু-জনের মাথাতেই কোল্ড কফি ঢেলে দিতে। কিন্তু সেটা করতে পারছেনা। হঠাৎ সৌহার্দ্যর মনে হল তুর্বী চুপচাপ বসে আছে। আর সেটা শুরু থেকেই। ও একটু অবাক হল। ওর মত মেয়ে এতক্ষণ এতোটা চুপচাপ কীকরে? তুর্বীর মধ্যে বদল ঘটেছে ও জানতো তাই বলে এতোটা?ও তুর্বীর দিকে তাকিয়ে দেখল ও কফিও খাচ্ছেনা। সৌহার্দ্য বলল,

” কী ব্যাপার? চুপচাপ বসে আছো? কফিটাও খাচ্ছোনা যে?”
তুর্বী সোজা হয়ে বসে একটা মেকি হাসি দিয়ে বলল,
” যাক, আপনার মনে আছে তাহলে যে এখানে আমিও আছি?”
সৌহার্দ্য ভ্রু কুচকে ফেলে বলল,
” মানে?”
তুর্বী টেবিলের ওপর শব্দ করে দুই হাত রেখে বলল,
” মানে, আমি এতোদূর একটা ইম্পর্টেন্ট কাজে এসছি। সেই কাজটা হচ্ছে কি-না সেটা নিয়ে আমি যথেষ্ট চিন্তিত আছি এইমুহূর্তে। আপনাদের এই খোশগল্পে পার্টিসিপেট করার মুড বা ইচ্ছা কোনটাই আমার নেই।”
দোলা ভ্রু কুচকে বলল,

” তুমি এতো রেগে যাচ্ছো কেন? আর ওদেরই বা ওখানে একা রেখে এলাম কেন? ওদের কী রিলেশন ছিল? এখন ঝগড়া হয়েছে?”
তুর্বী আবারও মুখে মেকি হাসি ফুটিয়ে বলল,
” অনেক লম্বা কাহিনী। রামায়ন ডেডক্রাইব করার সময় এখন নেই। পরে তোমার হবু বরের কাছে পুরোটা শুনে নিও।”
দোলা বোকার মত একবার তুর্বী একবার সৌহার্দ্যর দিকে তাকাল। সৌহার্দ্য অবাক হয়ে দেখছে তুর্বীকে। তুর্বীকে সবসময় প্রাণচ্ছল আর চঞ্চল রূপেই দেখেছে ও। কিন্তু এতো গম্ভীর আর রাগী রূপে দেখে ওর ভালো লাগছে না। তুর্বী বুঝতে পারশ যে একটু বেশিই অদ্ভুত ব্যবহার করে ফেলেছে। তাই কথা ঘোরাতে বলল,
” আচ্ছা তোমাদের বিয়েটা কবে?”

দোলা ওদের সম্পর্কে কিছুই জানেনা। আর আপাতত সবাইকে এটাই বলতে হবে যে ওদের বিয়ের কথা চলছে। তাই ও হেসে বলল,
” এখনও ডেট ফিক্সড হয়নি। সবে কথা চলছে বিয়ের। তবে শীঘ্রই হবে।”
তুর্বী মুখে একটু হাসি ফুটিয়ে বলল,
” ও আচ্ছা। কনগ্রাচুলেশনস টু বোথ অফ ইউ।”
সৌহার্দ্য সুক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তুর্বীর দিকে। ওর বিয়ের কথা শুনে তুর্বীর রিঅ্যাকশন টা বোঝার চেষ্টা করছে। কিন্তু বরাবরের মত এবারেও ব্যর্থ হল তুর্বীর মনের মধ্যে কী চলছে সেটা বুঝতে। হয়তো নিজের অনুভূতিতে অপ্রকাশিত রাখার অদ্ভুত ক্ষমতা আছে তুর্বীর মধ্যে। তুর্বীর ভেতরে অস্হির লাগছে। সৌহার্দ্যর বিয়ে হয়ে যাবে ব্যাপারটা কেন যেন মানতে পারছেনা ও। কেন পারছেনা সেটা ওও জানেনা। সবকিছুই বিরক্ত লাগছে। এরকম ওর অনুভূতি এর আগে ওর কোনদিন হয়নি।

রিখিয়া আর বিহান পার্কের সরু রাস্তা ধরে পাশাপাশি হাটছে। কিন্তু কেউ কিছুই বলছেনা। দুজনেই নিরব। কিছুক্ষণ পর বিহান আড়চোখে রিখিয়াকে দেখলেও রিখিয়া তাকায়নি বিহানের দিকে। নিরবতা ভেঙ্গে বিহান বলল,
” রিখিয়া?”
রিখিয়া একটু হকচকিয়ে গেল হঠাৎ ডাকে। দ্রুতই নিজেকে সামলে বলল,
” হুম?”
বিহান অপরাধী কন্ঠে বলল,
” তুমি কী আমাকে এখনও ক্ষমা করতে পারোনি?”
রিখিয়ার সত্যিই এবার একটু মায়া হল। ছেলেটা দু-বছর নিজের ভাইয়ের কাছ থেকে দূরে থেকেছে। যাকে ছাড়া ও একদিনও ঠিককরে থাকতে পারতোনা। এরপরও ওর মনে হয় বিহানের ভেতরে সুপ্ত আরও অনেক কষ্ট আছে। আর অনুতাপের চেয়ে বড় শাস্তি হতে পারেনা। আজ ও বিহানের মধ্যে তীব্র অনুতপ্ততা দেখেছে। তাছাড়াও যা হয়েছে সেটাকে তো আর বদলানো যাবেনা। তাই রিখিয়া বলল,

” আমি সত্যিই আপনাকে ক্ষমা করে দিয়েছি, অনেক আগেই। প্লিজ এসব নিয়ে ভাববেন না।”
বিহান মুখটা ছোট করে রেখেই বলল,
” তাহলে এভাবে চুপ করে আছো কেন?”
রিখিয়া একটু হেসে বলল,
” আমিতো বরাবরই চুপ থাকি। বকবক করে আমার কানার মাথাতো আপনি খেতেন। কিন্তু সেই আপনি এতো ভদ্র, শান্ত। আবার কথাও কম বলছেন কীকরে?
বিহান একটু হাসল। কিন্তু কিছুই বলল না। রিখিয়া তাকিয়ে রইল বিহানের দিকে। অনেকক্ষণ যাবতই ও সেই ছটফটে, দুষ্টু, হৈ চৈ করে মাতিয়ে রাখা বিহানকে খুঁজছে কিন্তু পাচ্ছেনা। কেমন শান্ত, স্হির হয়ে গেছে ছেলেটা। সত্যি বলতে রিখিয়া একসময় এরকম শান্ত, স্হির ছেলেদেরই পছন্দ করত। কিন্তু কীকরে যে সম্পূর্ণ বিপরীত চরিত্রের বিহান নামক এই পুরুষের প্রেমে পরে গেল নিজেই জানেনা। কিন্তু আজ বিহানকে ওর মনের মত চরিত্রে দেখেও ওর ভালো লাগছেনা। ওর তো সেই বাদর ছেলেটাকেই পছন্দ। রিখিয়া এবার নিজেই বলল,

” তো? পেন্টিং করা হয় এখনও?”
বিহান মাথা নিচু করে ঠোঁটে বাঁকিয়ে হেসে বলল,
” ঐ গুনটুকুই তো আছে। ওটা ছাড়া আর কী করব?”
রিখিয়া কিছুক্ষণ চুপ থেকে কৌতূহলী কন্ঠে বলল,
” এখন নেশা করেন?”
বিহান আবার হাসল। হাসতে হাসতে বলল,
” ঐ একটা জিনিসই আছে যেটা কখনও আমায় ছেড়ে যায়না। তাহলে আমি কীকরে ছেড়ে দেই বল?”
রিখিয়া একটা হতাশ নিশ্বাস ফেলল। সবই বদলেছে। কিন্তু যেটা সত্যি সত্যি বদলানোর দরকার ছিল সেটাই এখনো ধরে রেখেছে এই ছেলে। এবার বিহান বলল,
” এরপর আর কখনও কাউকে ভালোবেসেছিলে?”
কথাটা শুনে রিখিয়ার মুখের হাসি আবার মিলিয়ে গেল। গম্ভীর হয়ে বলল,

” আর কাউকে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করেনি। বিশ্বাস জিনিসটাই এমন। একবার ভেঙ্গে গেল আবার সেটা জোড়া লাগানোটা খুভ বেশিই কঠিন।”
বিহান লম্বা একটা শ্বাস ফেলে বলল,
” আমি হয়তো তোমার জীবনের সবচেয়ে বড় অপরাধী তাইনা রিখিয়া?”
রিখিয়া হাতের নখ ঘষতে ঘষতে মুখে কৃত্রিম হাসি ফুটিয়ে বলল,
” নাহ। হয়তো এটা আমার ভাগ্যে লেখা ছিল।”
বিহান রিখিয়ার দিকে তাকিয়ে বলে,
” তাতে আমার দ্বায়টা তো কমে যাচ্ছেনা।”
রিখিয়ার এবার বিহানের চোখে চোখ রেখে বলল,
” আচ্ছা তাহলে দ্বায়ভার নিতে কী করতে পারবেন আপনি?”

জল ফড়িঙের খোঁজে পর্ব ৪৪

রিখিয়ার প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারল না বিহান। কীকরে দেবে? যদি রিখিয়া বিবাহিত হয়? তাহলে ও নিজের মনের ভালোবাসাটা প্রকাশ করলে মেয়েটা আরও কষ্ট পাবে। তখন আর মনকে মানাতে পারবেনা রিখিয়া। এতে ওর মানসিক অবস্থা খারাপ হওয়ার সাথে সাথে বৈবাহিক জীবনেও খারাপ প্রভাব পরবে। দ্বিতীয়বার আর ওকে আঘাত করতে পারবে না বিহান। আর এখন তো একদমই না। খুব বেশি ভালোবাসে মেয়েটাকে ও। কিন্তু এমনও তো হতে পারে যে রিখিয়া বিয়ে করেনি। কথাটা ভাবতেই বিহান দ্রুত রিখিয়ার দিকে তাকিয়ে বলল,
” তুমি বিয়ে করেছো রিখিয়া?”

রিখিয়া বিহানের এমন প্রশ্নে অবাক হল। অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকেই না বোধক মাথা নাড়ল। বিহানের চোখমুখ উজ্জ্বল হল। ও কিছু বলতে নেবে তার আগেই রিখিয়া বলল,
” তবে বিয়ে ঠিক হয়েছে। তেরো তারিখে। কার্ডও চলে আসবে কাল পরশু। আপনাকে আর সৌহার্দ্যকে কার্ড পাঠিয়ে দেব। চলে আসবেন।”
কিছুক্ষণ আগে যে উজ্জ্বল আলোর রেখা দেখা দিয়েছিল ঘনকালো মেঘে তা নিমেষেই ঢেকে গেল। বিহানের হৃদয় আবারও গুড়িয়ে গেল। ও অনুভূতিহীন চোখে তাকিয়ে রইল রিখিয়ার দিকে। ওদের সাথেই এমনটা কেন হয়? যখনই একটু সুখের খোঁজে বেড় হয়। অনেক কষ্টে সেই সুখটা চোখে পরলেও, ছুঁতে গেলেই সেটা উড়ে যায়। অনেক দূরে চলে যায়। ঠিক জল-ফড়িঙের মত। যেটা ওরা খুঁজেই যায় কিন্তু হাতে ধরা দেয়না।

জল ফড়িঙের খোঁজে পর্ব ৪৬

4 COMMENTS

Comments are closed.