অনেক সাধনার পরে পর্ব ৪৫

অনেক সাধনার পরে পর্ব ৪৫
অরনিশা সাথী

আড়মোড়া ভেঙে উঠে বসে রুজবা। ফোন হাতড়ে সময় দেখে সকাল সাড়ে এগারোটা। দ্রুত বিছানা ছেড়ে উঠে। সে তো সাতটায় এলার্ম দিয়ে রেখেছিলো তাহলে এলার্ম বন্ধ হলো কি করে? ইশ্! লোকটা না খেয়ে আছে নিশ্চয়ই? অফিসে কি চলে গেলো? এত বেলা অব্দি ঘুমালো কি করে? এলার্মের শব্দে তো ঘুম ভেঙে যাওয়ার কথা। তড়িঘড়ি করে রুম থেকে বের হয়। সারা বাড়ি খুঁজে, কোত্থাও নেই নুহাশ। হতাশ শ্বাস ফেলে আবার বেডরুমে চলে আসে। ফ্রেশ হয়ে টাওয়াল দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে বিছানায় গিয়ে বসে সে। পানি খাওয়ার জন্য গ্লাস হাতে নিতেই নজরে আসে বেডসাইড টেবিলে খাবারের প্লেট রাখা। সাথে একটা চিরকুট। রুজবা মুচকি হেসে চিরকুট হাতে নেয়। তাতে লিখা,

–“ব্রেকফাস্ট খেয়ে নিও, একটা কাজে বাইরে যাচ্ছি একেবারে দুপুরের খাবার নিয়ে আসবো।”
রুজবা খাবার প্লেটের ঢাকনা সরিয়ে বিছানায় বসেই নাস্তা সেরে নেয়। প্লেট নিয়ে ধুয়ে সিঙ্কে রাখতেই নুহাশের আগমন। টেবিলের উপর খাবার প্যাকেট রাখে। রুজবা কাছে এসে বলে,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

–“বাসায়’ই তো রান্না করে নিতে পারতাম।”
–“হ্যাঁ পারতে…কিন্তু আমার ইচ্ছে হয়নি আজ আমার বউ রান্না করবে। রুমে চলো।”
কথাটা বলে নুহাশ নিজেই রুজবার হাত ধরে টেনে রুমে নিয়ে যায়। বিছানার উপর একগাদা শপিং ব্যাগ রাখে। রুজবা ভ্রু কুঁচকে বলে,

–“এত শপিং ব্যাগ কিসের?”
–“সব তোমার, দেখো খুলে।”
রুজবা কৌতূহল বশত সবগুলো ব্যাগ খুলে দেখতেই ওর চোখ চড়কগাছ। সবগুলো ব্যাগ ভর্তিই মেয়েদের জামা-কাপড়। শার্ট, টি-শার্ট, জিন্স, থ্রি-কোয়াটার, টাওজার, শর্ট স্কার্ট, শর্ট জিন্স, শাড়ি আরো অনেক কিছুই নিয়ে এসেছে। রুজবার মনে হচ্ছে সম্পূর্ণ একটা শপিংমল’ই যেন তুলে নিয়ে এসেছে নুহাশ। রুজবা হতাশ শ্বাস ফেলে বলে,

–“এসব কি করেছেন আপনি? একসাথে এত জামা-কাপড় কেউ কিনে? আর তাছাড়া এসব জামা-কাপড় পড়ি আমি? এসব পড়ে অভ্যস্ত না আমি।”
–“এখন থেকে অভ্যাস করবে। আমি অনুমতি দিচ্ছি তোমায়, তবে সেটা শুধুমাত্র আমার সামনেই পড়ার জন্য এবং শুধুমাত্র এ বাসার মধ্যেই। আমি ব্যাতিত অন্যকারো সামনে না।”
রুজবা কিছু বলার মতো আর খুঁজে পেলো না। নুহাশ সেখান থেকে একটা কালো টি-শার্ট আর একটা শর্ট জিন্স প্যান্ট হাতে নিয়ে রুজবার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে,

–“এটা পড়বে গোসলের পর।”
রুজবা বড় বড় চোখে তাকিয়ে বলে,
–“অসম্ভব।”
নুহাশ ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করে,
–“কেন?”

–“টি-শার্ট আর টাওজার অব্দি ঠিক আছে তাই বলে শর্ট জিন্স? উঁহু পারবো না আমি।”
নুহাশ রুজবার দিকে ঝুঁকে গিয়ে কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস কন্ঠে বলে,
–“এখন তো তা’ও শর্ট জিন্স, টি-শার্ট দিচ্ছি। একেবারে বস্ত্রহীন তোমাকে’ও দেখেছি কিন্তু আমি।”
–“অসভ্য লোক একটা৷ আগে তো এমন ছিলেন না, এখন এত লাগামছাড়া কথাবার্তা কিভাবে বলেন আপনি?”
–“আগে কি তুমি আমার বউ ছিলে? বউ হওয়ার পর লাগামছাড়া কথা বলি তাই অসভ্য তকমা লাগিয়ে দাও। আর যদি বউ হওয়ার আগে বলতাম তাহলে তো গণপিটুনি খাওয়াতে আমায়।”

রুজবা জামা-কাপড় গোছাতে শুরু করে। বলে,
–“হ্যাঁ তাই করা উচিত।”
নুহাশ’ও হাত লাগায় কাপড় গোছাতে। এই মূহুর্তে রুজবার নিজেকে পৃথিবীর সবথেকে ভাগ্যবতী একজন মনে হচ্ছে। এই যে নুহাশ সর্বদা যেভাবে ওর পাশে আছে, ওর এত যত্ন নিচ্ছে, এত ভালোবাসা দিচ্ছে। আচ্ছা এত ভালোবাসা যায়? একটা মানুষ এতটা নিখুঁত ভাবে ভালো কি করে বাসতে পারে?
সবকিছু গুছিয়ে কাবার্ডে রেখে নুহাশ বলে,

–“চলো শাওয়ারে যাই।”
–“আপনি যান।”
–“তুমি যাবে না?”
–“যাবো, তবে আপনার সাথে না।”
–“কেন কেন?”
–“মনে নেই কাল কি করেছিলেন?”
নুহাশ ইনোসেন্ট হেসে বললো,

–“ইলিগ্যাল কিছু করিনি তো, আমার তো রাইট আছে রুজবা।”
–“হ্যাঁ সে আছে তাই বলে___”
নুহাশ চট করে রুজবাকে কোলে তুলে নিয়ে বলে,
–“হুঁশ, আর কোনো কথা না।”
বলে রুজবাকে কোলে করে নিয়েই ওয়াশরুমে চলে যায় নুহাশ। রুজবা চেয়ে’ও আর কিছু বলতে পারলো না।

কিয়ান আজ ফারিনকে নিয়ে ওদের বাড়ি এসেছে। আসাদ সাহেব বাড়িতে নেই। ফারিনের মা ব্যতিব্যস্ত হয়ে মেয়ে জামাই’কে ঘরে নিয়ে যান। ফারিনের ছোট বোন তারিন আর ওদের মা মিলে ইতিমধ্যেই হরেক রকমের নাস্তার তোরজোর করছে। বিয়ের পর মেয়ে জামাই এই প্রথম বাড়িতে এসেছে।

বিয়েটা যেভাবেই হোক, কিয়ান তো এই বাড়ির বড় জামাই। ফাহিমা বেগম কয়েক মিনিটের মধ্যেই হরেক রকমের নাস্তা সামনে এনে রাখলো। ফাহিমা বেগম আর তারিনের জোড়াজুড়িতে কিছু’টা নাস্তা মুখ দেয় কিয়ান। তবে ফারিন এসেছে পর থেকে একদম চুপচাপ। ভয়ার্ত চোখ। ভয়ে যেন সিঁটিয়ে আছে। বাবার মুখোমুখি হবে কি করে ও? বাবা কি ওকে ক্ষমা করে বুকে টেনে নিবেন? কিয়ান যেন চট করেই তার বউয়ের মন বুঝে ফেললো। ফারিনের হাত ধরে চোখ দিয়ে আস্বস্ত করলো,

–“ভয় পেও না, আমি আছি। সব ঠিকঠাক হবে।”
ভরসার হাত পেয়ে ফারিন কিছুটা শান্ত হলো। তখনই ঘরে ঢুকেন আসাদ সাহেব। সোফায় কিয়ান ফারিনকে দেখে একপলক তাকান সেদিকে। ফারিন দাঁড়িয়ে যায়, চোখে অশ্রু’রা এসে জমা হয়েছে। অস্ফুট স্বরে,
–“বাবা___”

বলতেই আসাদ সাহেব না দেখার ভাণ করে পাশের রুমে চলে যান। টুপ করে দু’চোখ বেয়ে নোনাজল গড়িয়ে পড়ে ফারিনের। ফাহিমা বেগম ফারিনের কাঁধে হাত রেখে বলে,
–“গিয়ে কথা বল, দেখবি একদম মুখ ঘুরিয়ে থাকতে পারবে না।”

ফারিন কাঁদোকাঁদো চোখে তাকায় কিয়ানের দিকে। কিয়ান ইশারায় যেতে বলে। ফারিন গুটিগুটি পায়ে পাশের ঘরে যায়। আসাদ সাহেব ততক্ষণে পড়ণে শার্ট খুলে ফতুয়া গায়ে জড়িয়েছে। ফারিন বাবার পায়ের কাছে বসে পড়ে গিয়ে। আসাদ সাহেব উঠে যেতে চাইলে ফারিন বাবার দুই পা চেপে ধরে কান্নারত কন্ঠে বলে,

–“বাবা? ও বাবা কথা বলবে না আমার সাথে? তোমার মেয়ে না হয় একটা অন্যায় করেই ফেলেছে তাই বলে তাকে কি কখনো আর ক্ষমা করবে না তুমি? বাবা প্লিজ কথা বলো না। আমি তোমাদের দুজনকেই আমার জীবনের থেকে বেশি ভালোবাসি বাবা। প্লিজ আমার থেকে মুখ ঘুরিয়ে রেখো না। আমার কষ্ট হয় তোমাদের ছাড়া থাকতে।”

আসাদ সাহেব বুকে পাথর চাপা দিয়ে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে বসে আছে। উনার’ও যে কষ্টে বুক ফেটে যাচ্ছে। এতদিন বাদে মেয়েকে দেখে যে বুকে আগলে নিতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু অদৃশ্য কোনো কিছু যেন উনাকে বেঁধে রেখেছে। ফারিনের দিকে ঘুরতে দিতে চাইছে না। ফারিন আসাদ সাহেবের পা জড়িয়ে ধরে তার হাটুতে মুখ গুজে শব্দ করে কাঁদছে আর এটা সেটা বলছে।

শেষে আসাদ সাহেব আর অভিমান ধরে রাখতে না পেরে মেয়েকে উঠিয়ে আগলে নেয় নিজের বুকে। বাবা-মেয়ে দুজন দুজনকে জাপ্টে ধরে হাউমাউ করে কাঁদছে। খুব যত্নে মেয়ের মাথায় বুলিয়ে দিচ্ছে। দরজার বাইরে থেকে কিয়ান, ফাহিমা বেগম আর তারিন বাবা-মেয়ের মিলন দৃশ্য দেখে খুশিতে তাদের চোখেও জল এসে ভীর জমায়। সকলের চোখে আজ পানি। এ কোনো কষ্টের কান্না নয়। এ যেন সুখের কান্না। বহু প্রতীক্ষার পর বাবা-মেয়ের মিলনের কান্না। মান-অভিমান ভাঙার কান্না।

–“আমি হেল্প করি?”
খাওয়া দাওয়া শেষে ডাইনিংয়ের সবকিছু গোছগাছ করছিলো রুজবা। সে সময়েই নুহাশ কথাটা বলে। রুজবা মুচকি হেসে বলে,

–“অলমোস্ট ডান, আপনি ঘরে গিয়ে রেস্ট নিন আমি এক্ষুনি আসছি।”
–“সিয়র? পারবে একা সবকিছু?”
–“আমাকে কি আপনার বাচ্চা মনে হয় নুহাশ?”
–“নাহ তো, বাচ্চা হলে কি আর তোমায় বিয়ে করতাম? এই ওয়েট ওয়েট___তুমি মাত্রই কি বললে আমায়?”
রুজবা ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করে,

–“কি আবার বললাম?”
–“লাস্ট কথাটা কি ছিলো?”
–“কেন নুহাশ?”
–“ফাইনালি নাম ধরে ডাকলে?”
–“হ্যাঁ ডাকলাম, আমারই তো বর।”

–“হ্যাঁ আপনারই বর, আপনার বরের ভীষণ ভালো লেগেছে তার বউয়ের মুখ থেকে নিজের নাম শুনতে পেরে। এখন থেকে তাহলে নাম ধরে ডাকবেন, সাথে আপনি আজ্ঞে সাইডে রেখে তুমি করে বললে আপনার বর আরো খুশি হয়ে যাবে।”
রুজবা আমতা আমতা করে বলে,

–“তুমি?”
–“হ্যাঁ তুমি, কেন কোনো সমস্যা?”
–“চে্ চেষ্টা করবো।”
–“হ্যাঁ চেষ্টা করতে করতেই তো মাস ছয়েক কাটিয়ে দিলেন আপনি। আরো কত মাস, কত বছর পার হয় আল্লাহ মালুম।”

–“আপনি’টাই ঠিক আছে না? আমার অস্বস্তি হয় তুমি করে বলবো এটা ভাবতেই।”
–“ঠিক আছে, আপনি আপনার অস্বস্তি নিয়েই থাকুন। আজ থেকে তবে আমিও আপনি করেই বলছি আপনাকে।”
কথাটা বলে ক্ষানিকটা রাগ দেখিয়ে বেডরুমে চলে যায় নুহাশ। রুজবা সেদিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। এই লোকটা হঠাৎ করে তুমি ডাকা নিয়ে পড়লো কেন? আপনিই তো ঠিক ছিলো৷ এবার নিজের উপরেই রাগ হলো, নাম ধরে কেন বলতে গেলো? নাম ধরে বলাতেই তো কথা এতদূর এগোলো। নয়তো এই টপিক উঠার প্রশ্নই আসে না।

–“হ্যাঁ আমারই তো বর, তুমি বললে সমস্যা কোথায়? লজ্জা পাওয়ার কি আছে রুজবা? সে তো একান্ত নিজের, তোর অনেক কাছের। তাকে তুমি বলবি এটা তো বেশ কথা। লোকটার কি ইচ্ছে করে না তোর থেকে তুমি ডাক শুনতে? এই অব্দি তো লোকটা মুখ ফুঁটে কিছুই চায়নি। শুধু তুমি ডাকার আবদার’টা করেছিলো৷ এইটুকু’ও তুই রাখতে পারবি না? লোকটা তো তোর জন্য কতকিছু করে আর তুই সামান্য লাজ-লজ্জা ভেঙে তুমি বলতে পারবি না? উঁহু, তা হবে না। একদমই হবে না। তোকে নুহাশকে তুমি করে বলতেই হবে, আর সেটা আজ এই মূহুর্ত থেকে।”

নিজে নিজেই এসব বিড়বিড় করে হাতের কাজ সেড়ে নেয় রুজবা। তারপর এগিয়ে যায় বেডরুমের দিকে। মনস্থির করে নিয়েছে সে। আজ থেকেই নুহাশকে তুমি করে বলবে। লজ্জা একদম পাবে না। নিজের বরের আছে আবার কিসের লজ্জা? রুজবা ঘরে গিয়ে দেখে নুহাশ বিছানার হেডবোর্ডের সাথে বালিশ দিয়ে হেলান দিয়ে বসে ফোন দেখছে। রুজবা কোনোকিছু না বলে সরাসরি নুহাশের উপরে গিয়ে শুয়ে পড়লো। জড়িয়ে ধরে, মাথা রাখলো নুহাশের বুকে। নুহাশ রুজবার মাথায় থুতনি ঠেকিয়ে তখনো ফোন দেখায় ব্যস্ত। রুজবা মাথা উঁচু করে নুহাশের দিকে তাকিয়ে বলে,

–“খুব বেশি রাগ করেছো?”
নুহাশ নিরুত্তর। রুজবা ফের বলে,
–“নুহাশ, শুনো না___”
নুহাশ এবারেও কথা বললো না। চুপচাপ ফোন দেখছে। যেন সে রুজবার কোনো কথা’ই শুনেনি। রুজবা নুহাশের ফোন কেড়ে নিয়ে বিছানার একপাশে ফেলে রাখে৷ নুহাশের থুতনি ধরে নিজের দিকে ঘুরিয়ে বলে,

–“তুমি করে বলছি তো, এখনো রাগ দেখিয়ে কথা বলছো না কেন? আমি কিন্তু এবার সত্যি সত্যিই কেঁদে দেবো এরকম করলে।”
বলতে বলতেই রুজবার চোখে জল জমে। নুহাশ মুচকি হেসে রুজবাকে জাপ্টে ধরে নিজের সাথে। বলে,

–“তোমার জন্য কি এখন একটু শান্তিতে রাগ’ও করতে পারবো না বউ? এত কিউট ভাবে তুমি করে বললে কি আর রেগে থাকা সম্ভব? তা’ও আবার তোমার উপর? তোমার উপর আমার কোনো রাগ নেই, আর রাগ দেখাতেও পারবো না। আমি তো শুধু তুমি শোনার জন্যই ওরকম করেছি, দেখতে চাইছিলাম তুমি করে বলো কিনা? কিন্তু এখন তো দেখি আমার বউ তুমি বলার সাথে সাথে আবার কেঁদে’ও দেয়।”

–“আপনি খুব খারাপ, বদ লোক একটা।”
–“আবার আপনি? এবার কিন্তু সত্যি সত্যিই রাগ করবো।”
–“নাহ, আর রাগতে দিলে তো আমি।”
কথাটা বলে রুজবা শক্ত করে জড়িয়ে ধরে নুহাশকে। নুহাশ মৃদু হেসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে,
–“সবসময় তুমি বলবে কিন্তু।”
–“হু।”

অনেক সাধনার পরে পর্ব ৪৪

নুহাশ রুজবাকে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়৷ টি-শার্টের ভেতর দিয়ে হাত ঢুকিয়ে স্লাইড করতে থাকে তার উম্মুক্ত পিঠে। রুজবা মৃদু কেঁপে উঠে। চোখ খিঁচে বন্ধ করে নুহাশের বুকে মুখ গুজে। নুহাশ হাত সরিয়ে টি-শার্টের গলা ডান কাঁধ দিয়ে ক্ষানিকটা বাহুতে টেনে নামিয়ে দিয়ে ছোট ছোট চুমু খায় রুজবার কাঁধে, ঘাড়ে, গলায়। রুজবা তখনো খিঁচে চোখ বন্ধ করে রেখেছে। খামচে ধরেছে নুহাশের বুক।

অনেক সাধনার পরে পর্ব ৪৬