অর্ধাঙ্গিনী পর্ব ২

অর্ধাঙ্গিনী পর্ব ২
Mousumi Akter

ডায়নিং এ বসে ব্যবসায়িক আলাপ-আলোচনা করছে ওয়াসেল চৌধুরী এবং ওয়াজেদ চৌধুরী।কিচেনে দুপুরের রান্না করছে ওয়াসেল চৌধুরীর স্ত্রী মেরি চৌধুরী এবং ওয়াজেদ চৌধুরীর স্ত্রী জাহান চৌধুরী সাথে কাজের বুয়া জয়নাব। চৌধুরী পরিবারে যুগ যুগ ধরে ঘরের অর্ধাঙ্গিনীরা নির্যাতিত সাথে অবহেলিত।ওদের কাছে ঘরের বউ মানে রান্না-বান্না করা, বাচ্চা মানুষ করা,পুরুষদের সেবা যত্ন করা।

এসব কাজ ছাড়া ঘরের বউ এর আলাদা কোনো প্রয়োজন নেই। ওদের টাকা আছে, ক্ষমতা আছে শারিরীক চাহিদার জন্য রোজ ভিন্ন ভিন্ন নারীর স্বাদ নিয়ে থাকে।ভালবাসা, অনুভূতি, মায়া এসব কিছুই চৌধুরী পরিবারের র*ক্তে নেই।ওদের র*ক্তে আছে টাকা ক্ষমতার নেশা।ওয়াজেদ চৌধুরী এবং ওয়াসেল চৌধুরী আপন দুই ভাই।প্রভাত ওয়াসেল চৌধুরী এবং মেরি চৌধুরীর একমাত্র ছেলে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

তাদের আর একটি কণ্যা সন্তান ও আছে।নাম পুষ্প চোধুরী।পূর্ণতা ওয়াজেদ চৌধুরী এবং জাহান চৌধুরীর একমাত্র মেয়ে। দিনের পর দিন চৌধুরী বংশের সব বউদের প্র‍তি অত্যাচার দেখে পূর্ণতা ঘৃণা করে চৌধুরীদের। নিজের বাবা-চাচার প্রতি তীব্র ক্ষোভ আর ঘৃণা। দিনের পর দিন নিজের মায়ের প্রতি অমানবিক অত্যাচার দেখেছে পূর্ণতা।অশ্রাব্য ভাষায় গালি গালাজ দেখেছে।

মধ্যরাতে নিজের মা’কে ঘরের বাইরে বের করে দিয়ে বাইরের নারী এনে ঘরে রেখেছে আবার ভোর হবার আগেই তাদের বিদায় দিয়ে দিয়েছে।পৃথিবীতে নারীরা সব পারলেও নিজের স্বামীর ভাগ অন্য কাউকে দিতে পারেনা। নিজের স্বামীর সাথে অন্য কোনো নারীকে তারা সহ্য করতে পারেনা।অথচ এই কষ্টটা’ই সহ্য করছে দিনের পর দিন পূর্ণতার মা।

রাতে সমস্ত অবৈধ কাজ করে সকালে সমাজ সেবক হয়ে বের হয় চৌধুরীরা।অথচ মানুষ জানতেও পারেনা তারা কাদের আদর্শমান মানুষ হিসাবে পূজা করে।এসব কারণেই পূর্ণতার প্রভাত কে পছন্দ নয়।সেও চৌধুরী পরিবারের ই সন্তান।ভবিষ্যৎ এ বাবা-চাচাদের মতই করবে।তাছাড়া বাবা-চাচাদের থেকে তার মেধা,বুদ্ধি,ব্রেন সব দিকে এগিয়ে।
এইতো মাস দু’য়েক আগের কথা।বাড়িতে পূর্ণতার বিয়ের কথাবার্তা হচ্ছিলো।ছেলেটা পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। কথা-বার্তার মাঝে হঠাৎ প্রভাত তার বাবা ওয়াসেল চৌধুরীকে ডেকে আড়ালে নিয়ে গেল।আড়ালে নিয়ে কি বলল সেকথা কেউ জানেনা।ওয়াসেল চৌধুরী ফিরে এসে সোফায় বসলেন।সবার উদ্দেশ্য বললেন,

” পূর্ণতার বিয়ে কোথাও হবেনা। পূর্ণতার বিয়ে হবে প্রভাতের সাথে।ওয়াজেদের আর কোনো সন্তান নেই।একমাত্র মেয়েকে দূরে বিয়ে দিয়ে থাকবে কীভাবে? তার চেয়ে বরং প্রভাতের সাথে বিয়ে হলে সারাজীবন মেয়েকে কাছে পাবে।”

ওয়াসেল চৌধুরীর হঠাৎ এমন প্রস্তাবে বাড়ির সবাই অবাক হল।কেননা চৌধুরীরা নিজের আত্মীয় -স্বজনের মাঝে বিয়ে শাদী পছন্দ করে না।এমন কি আগে পরে নিজেদের ভেতর কোনো বিয়ে শাদি হয়নি।বিশেষ করে ওয়াসেল চৌধুরী এটা সবচেয়ে বেশী অপছন্দ করেন।এইতো কিছুদিন আগে ওয়াসেল এবং ওয়াজেদ চৌধুরীর একমাত্র বোন শায়লা তার নিজের ছেলের জন্য পূর্ণতাকে চেয়েছিলো।ওয়াসেল চৌধুরী সবার আগে বাঁধা দিয়েছেন।

এবং নিজের বোনকে বলে দিয়েছেন তার ছেলে যেন এ বাড়িতে আর পা না রাখে যতদিন পূর্ণতার বিয়ে হয়।তাছাড়াও নিজের বোনকে কটাক্ষ করে অনেক কথা শুনিয়েছেন।সে বেঁচে থাকতে নিজেদের আত্মীয় -স্বজনদের মাঝে কোনো বিয়ে -শাদী হবেনা।অথচ আজ সে নিজেই নিজেরের ঘরের ভেতরের ছেলে -মেয়ের বিয়ের কথা বলছেন।হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তের আগা-গোড়া কেউ খুজে পেলনা। চরম অবাক হয়ে সবাই যে যার মুখের দিকে তাকাল।ওয়াজেদ চৌধুরী অবাক চোখে বড় ভাই এর দিকে তাকিয়ে বলল, ” ভাই তুমি এসব কি বলছো?”

ওয়াসেল চৌধুরী গম্ভীর কন্ঠে বলল, “কেন তোর কোনো আপত্তি আছে প্রভাতের সাথে পূর্ণতার বিয়ে দিতে।”
ওয়াজেদ চৌধুরী মাথা নিচু করে বলল, ” না ভাই।তুমি যে সিদ্ধান্ত নিবা সেটাই আমি মাথা পেতে নিব।”
ওয়াজেদ এবং ওয়াসেলের কথা-বার্তার মাঝে প্রভাত এসে বলল, “তোমরা কার বিয়ে নিয়ে কথা বলছো?”
ওয়াসেল চৌধুরী গম্ভীর কন্ঠে বললেন, “তোমার আর পূর্ণতার।”

প্রভাত ডানে বামে তাকিয়ে খানিকটা অবাকের সুরে বলল, ” মাথা খারাপ কথা -বার্তা। আমি কেন পূর্ণতাকে বিয়ে করব।তাও আবার নিজের চাচাত বোন।আমি এ বিয়ে করতে পারব না।”
ওয়াসেল চৌধুরী কঠিন কন্ঠে বললেন, “আমি যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি তোমার আর পূর্ণতার বিয়ে হবে তার মানে বিয়ে হবে।এর কোনো নড়চড় হবেনা।”

প্রভাত তার মায়ের দিকে তাকাল।বিড় বিড় করে বলল,
“বাবা এখানেও রাজনীতি করছে।”
ওয়াসেল চৌধুরীর স্ত্রী মেরি চৌধুরী এইবার সাহস করে মুখ খুললেন।ওয়াসেল চৌধুরীকে বললেন, “আপনি না নিজেদের ভেতরে বিয়ে শাদী পছন্দ করেন না।তাহলে আপনার বোন শায়লার সাথে অমন বাজে ব্যবহার করেছিলেন কেন?নিজেদের ভেতর যদি পূর্ণতার বিয়ে দিতেই হয় তাহলে শায়লার ছেলে সজল এর সাথেই দিন।ছেলেটা পূর্ণতাকে অনেক পছন্দ করে।”

ওয়াসেল চৌধুরী রেগে মেগে উঠে দাঁড়ালেন।অগ্নি চোখের মেরির দিকে তাকালেন।ঝাঁঝালো কন্ঠে বললেন, “তোরে বলতে বলেছি কার সাথে পূর্ণতার বিয়ে দিলে ভাল হবে আর কার সাথে বিয়ে দিলে ভাল হবেনা।মহিলা মানুষ যার কাজ চুলার ছাঁই খোলা সে এসছে ভাল-মন্দের জ্ঞান দিতে।আর যদি একদিন ও দেখি তুই পারিবারিক কোনো ব্যাপারে নাক গলাচ্ছিস পরিণতি খারাপ হবে।”

আর কোনো কথা বাড়ালে ছেলের সামনেই মান-অপমান করে ছাড়বে।তাই চুপ করে গেলেন মেরি চৌধুরী। আর সেদিন থেকেই পূর্ণতা আর প্রভাতের বিয়ে নিয়ে পরিকল্পনা চলছে।ওয়াসেল চৌধুরীর হঠাৎ এর সিদ্ধান্তের কারণ আজ ও কেউ জানেনা।

দুপুরে পূর্ণতার হাত শক্তভাবে চেপে ধরে প্রভাত বাসায় ফিরল।ডায়নিং এই ওয়াসেল এবং ওয়াজেদ চৌধুরী বসে আছেন।প্রভাত কে এভাবে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে দেখে ওয়াজেদ এবং ওয়াসেল চৌধুরী দু’জনেই উঠে দাঁড়ালেন।তারা কেউ বুঝতে পারছেনা ঘটনা কী ঘটেছে।প্রভাত এত রেগে আছে কেন? ওয়াসেল চৌধুরী এবং ওয়াজেদ চৌধুরী দু’জনেই এগিয়ে গেলেন।ওয়াজেদ চৌধুরী ছেলের রক্তজবার মত চক্ষু দেখে বুঝতে পারলেন প্রভাত অনেক রেগে আছে।মুখের অবস্থা থমথমে।রান্নাঘর থেকে জয়নাব বাইরে উঁকি মেরে বলল, ” আপা কিছু একটা গন্ডগোল পেকেছে।প্রভাত বাবা বাইরে থেকে পূর্ণতার হাত ধরে নিয়ে এসছে।”

মেরি এবং জাহান দু’জনেই রান্নাঘর থেকে উঁকি দিয়ে দেখছে কি ঘটেছে বাইরে।ওয়াসেল চৌধুরী কৌতুহলী মুখে প্রশ্ন করলেন, ” কি হয়েছে প্রভাত? পূর্ণতাকে এভাবে ধরে রেখেছো কেন?”
প্রভাত পূর্ণতার হাত ঝাড়ি মেরে ছেড়ে দিয়ে বলল, ” আগামিকাল থেকে পূর্ণতা আর কলেজে যাবেনা।কলেজ যাওয়া ওর টোটাল অফ।”

পূর্ণতা রাগে থর থর করে কাঁপছে।রাগি চোখে তাকিয়ে আছে প্রভাতের দিকে।
ওয়াসেল চৌধুরী বললেন, ” কলেজে না গেলে লেখাপড়া কীভাবে করবে।”
প্রভাত পূর্ণতার দিকে তাকিয়ে বলল, “ওর প্রতিটা সাব্জেক্ট এর জন্য আলাদা আলাদা টিচার রেখে দিব।বাসায় এসে পড়িয়ে দিয়ে যাবে।বাইরে গিয়ে লেখাপড়া করা লাগবে না।”
ওয়াসেল চৌধুরী বললেন,” কিন্তু কেন? হয়েছে কি?”

প্রভাত পূর্ণতার আপাদমস্তক আরেকবার চোখ বুলিয়ে নিয়ে বলল, ” ও যতদিন না শালীন পোশাক-পরিচ্ছদ পরবে ততদিন বাইরে যেতে পারবে না।”
“কেন পোশাকে কি সমস্যা।”

প্রভাত ওর বাবা-চাচার দিকে তাকিয়ে বলল, ” কারণ তোমাদের মত ভদ্রলোকের অভাব নেই রাস্তাঘাটে।তারা সুন্দরী মেয়ে দেখলে, এ ধরণের পোশাক পরা দেখলে শ’কু’নে’র মত নজর দিয়ে তাকিয়ে থাকে।”
কথাটা যেন ওয়াজেদ চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করেই বলল প্রভাত।ওয়াজেদ চৌধুরীর মুখ কাচুমাচু হয়ে গেল।
ওয়াসেল চৌধুরী বললেন, ” সে কথা পূর্ণতাকে বুঝিয়ে বললেই তো হয়ে যায়।”
প্রভাত ওয়াজেদ চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে চোয়াল শক্ত করে বলল, “চাচা আপনার মেয়েকে বুঝান, খুব ভাল করে বুঝান।ও যেন এ ধরণের পোশাক আর না পরে।”

ওয়াজেদ চৌধুরী পূর্ণতার দিকে তাকিয়ে বলল, ” তুমি এ ধরণের পোশাক আর পরবে না।প্রভাত যা বলে তাই শোনো।”
পূর্ণতা রাগে থরথর করে কাঁপতে কাঁপতে বলল, “কেন আমি এ ধরনের পোশাক পরব না।আর কেন প্রভাতের কথা শুনব।”
“কারণ প্রভাতের সাথে দুই দিন পরে তোমার বিয়ে হবে।প্রভাত তোমার স্বামী হবে।তাই প্রভাতের পছন্দ মতই তোমাকে চলতে হবে।প্রভাতের কথাতে তোমাকে উঠতে হবে আর বসতে হবে। ”

পূর্ণতা তেজী কন্ঠে বলল, “আপনি ভাবলেন কী করে আমার মায়ের জীবন টা যেভাবে কেটেছে আমার জীবন টাও সেভাবে কাটবে।আমার মা’কে আপনি আপনার পায়ের নিচে রেখেছেন আর এখন চাইছেন আমাকে প্রভাতের পায়ের নিচে রাখতে।আমি কোনদিন প্রভাতের কথায় উঠব না বসব না।প্রভাতের একটা কথা ও আমি কোনদিন শুনব না।এ বংশের অর্ধাঙ্গি নামে কাজের মহিলা নিয়ে আসে।কাজের মহিলার ও একটা সম্মান থাকে কিন্তু এ বংশের বউদের এই সম্মান টুকুও নেই।”

জীবনে প্রথমবার পূর্ণতা ওয়াজেদের মূখের উপর কথা বলল।ভ’য়ে যে সামনে আসত না তার এমন সাহস দেখে ওয়াজেদ এর চারদিক কেমন ভূমিকম্পের মত কাঁপতে থাকল।বাড়ির মেয়ে-বউরা মাথা নিচু করে থাকবে।যা বলা হবে তাই মাথা পেতে নিবে এটাই নিয়ম ওয়াজেদের কাছে।কিন্তু আজ মুখের উপর তর্ক করায় রাগ মাথায় উঠল ওয়াজেদের।গায়ের সমস্ত বল প্রয়োগ করে পূর্ণতার ডান গালে থা’প্প’ ড় মা’ র’ল।

আরেক গালে থা’প্প’ড় মা’র’তে যেতেই প্রভাত ওয়াজেদের হাত ধরে ফেলল।শক্তভাবে ওয়াজেদের হাত চেপে ধরে ঝাড়ি মেরে হাত ছাড়ল।ওয়াজেদ প্রভাতের ঝাড়িতে দু’পা পিছিয়ে গেল।আরেকটু হলে হাত ই ভেঙে যেত।রান্নাঘর থেকে মেরি,জাহান,জয়নাব অবাকচোখে তাকিয়ে দেখছে।প্রভাত তো এমন ছেলে নয়।সে তার বাবা-চাচার সাথে কোনো দিন কোনো বেয়াদবি করেনি।তবে আজ কেন এমন করল।ওয়াসেল স্তব্ধ হয়ে ছেলের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে।এখনি যেন ভ’ষ্ম করে দিবে সব কিছু।ওয়াজেদ বুঝতে পারল না প্রভাতের এমন ব্যবহারের কারণ। সে ও স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলো।প্রভাত পূর্ণতার দিকে দৃষ্টি মেলে সেই দৃষ্টি ওয়াজেদের দিকে নিক্ষেপ করে বলল,

“আপনি কোন সাহসে ওর গায়ে হাত তুললেন চাচা।আমি আপনাকে বুঝাতে বলেছি শাষণ করতে বলিনি।ও দুদিন পরে আমার স্ত্রী হবে।আমার স্ত্রী সম্মান এত ঠুনকো নয় যে কেউ এসে গায়ে হাত তুলবে।ও আপনার মেয়ে হতে পারে কিন্তু ওর গায়ে হাত তোলার অধিকার আপনার নেই।আপনি আপনার স্ত্রীর সাথে যে ব্যবহার করেন সেই ব্যবহার ভুলেও আমার স্ত্রীর সাথে করার চেষ্টা করবেন না।তাহলে পরিণাম খুব খারাপ হবে।আপনার জায়গা যদি অন্য কেউ হত আমি তার হাত দুটো কে-টে চা-পা-টি দিয়ে কুচিকুচি করে শকুন দিয়ে খাইয়ে দিতাম। একটা কথা সবাই কান খুলে শুনে রাখো পূর্ণতা আমার স্ত্রী হবে তাই শাষন করতে হলে আমি করব অন্য কেউ নয়।

পূর্ণতা আর এক সেকেন্ড ও দাঁড়াল না।কাদতে কাদতে উপরে চলে গেল।দো’তলায় দাঁড়িয়ে আছে পুষ্প আর ওদের দাদি।পূর্ণতার সাথে পুষ্প আর দাদী পূর্ণতার রুমে প্রবেশ করল।প্রভাতের এহেম কথা শুনে বাড়ির সবার ই চোখ কপালে উঠল।এ যেন অন্য এক প্রভাত।এই প্রভাত কে কেউ চিনেনা।বাবা-চাচার সাথে এ ধরনের ব্যবহার তো প্রভাত আগে কখনো করেনি।

অর্ধাঙ্গিনী পর্ব ১

চৌধুরী বংশের কোনো ছেলেতো নিজের বউ নিয়ে এত সিরিয়াস না।নিজের বউকে এত সম্মান দিয়ে কথা বলেনা।সবার মনের আঙিনায় একটায় প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে প্রভাত কি তাহলে পূর্ণতাকে ভালবাসে।সে-তো এ বিয়ে তার বাবার কথা রাখতে বিয়ে করতে রাজি হয়েছে।জিনাতের মুখে মৃদু হাসি ফুটল।সে তো তার মেয়ের জন্য এমন ছেলেই চেয়েছিলো।তার মত যেন সারাজীবন অসম্মান নিয়ে বাঁচতে না হয় তার মেয়েকে।

অর্ধাঙ্গিনী পর্ব ৩