অর্ধাঙ্গিনী পর্ব ৩৩

অর্ধাঙ্গিনী পর্ব ৩৩
Mousumi Akter

সকাল থেকে দুপুর গড়াল পুষ্প একনাগাড়ে কেঁদেই যাচ্ছে।আর বিরতিহীনভাবে রাজনকে কল করে যাচ্ছে।অথচ রাজন ফোন তুলছে না।রাজন যতক্ষণ ফোন তুলছে না পুষ্পতার দুঃচিন্তা যেন আরোও ভারী হয়ে আসছে।পূর্ণতা পুষ্পকে বুঝাচ্ছে কিন্তু পুষ্প কিছুই বুঝতে চাইছে না।
পূজা খাটে বসে পা দুলাচ্ছে আর রিল্যাক্স মুডে বলছে,

“পুষ্পদি তুমি এত কাঁদছো কেন বলোতো?”
পুষ্পকান্নামিশ্রিত কণ্ঠে বলল, “তুই হলে কি করতি?”
“বাড়িতে বলতাম আমার রিলেশন আছে। মেনে না নিলে সোজা তার হাত ধরে পালিয়ে যেতাম।এত চোখের পানি খোয়ানোর মাঝে আমি বাপু নেই।”
পূর্ণতা বলল, “দেখলে আপু, পূজার মাথায় যে বুদ্ধি আছে তোমার মাথায় সে বুদ্ধি ও নেই। তুমি পালিয়ে যেও রাজন ভাইয়ার সাথে।ঝামেলা শেষ।আমি আর পূজা তোমাকে বাড়ির গেট পার করে দিবো। ”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“বললেই কি সব সহযে হয়ে যাবে।”
“আরে হবে আপু।আমি আছিনা।”
এরই মাঝে পুষ্পের ফোন বেজে উঠল।ফোনের স্ক্রিনে ভাষছে রাজনের নাম্বার।পুষ্প তড়িঘড়ি করে ফোন রিসিভ করে বলল,

“কোথায় তুমি? সারাদিন কোথায় ছিলে?কতবার ফোন দিয়েছি।কেন ফোন তুলছিলে না।”
রাজন স্মিথ হেসে বলল, “আমার পা- গ- লি এভাবে কাঁদলে হৃদয়পুরে যন্ত্রণাদায়ক অনুভূতির ঝ-ড় ওঠে।পা- গ- লি টা কি সে কথা জানেনা।”
পুষ্পর কান্না তীব্রতর হল।সে কাঁদতে কাঁদতে বলল,

“ফোন তুলছিলে না কেন তুমি রাজন?”
“একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত ছিলাম জা’ ন।”
“আমি এক্ষুনি তোমার সাথে দেখা করতে চাই।এক্ষুণি।”
রাজন অনুমান করল,পুষ্পের অস্থিরতার কারণ।জেনেও বলল, “এত অস্থির কেন লাগছে তোমাকে পুষ্পতা।”
“তুমি এখনি দেখা করো, আমি সব বলছি তোমাকে।”
রাজন একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বলল,

“তোমাদের বাড়ির পাশের পার্কে এসো। আমি বসে আছি তোমার জন্য।”
পুষ্প কোনোও রকম গায়ে ওড়না টা জড়িয়ে ছুটল।কোনো হিতাহিত জ্ঞাণ নেই পুষ্পের মাঝে।পড়ে কি ম’ রে কিছুর হুঁশ নেই।পুষ্পকে ওভাবে ছুটতে দেখে পূর্ণতা বলল,
“পূজা যা’তো।আপুর সাথে যা।”

পূজাও পুষ্পর সাথে ছুটল।বাড়ি থেকে মাত্র দশ মিনিটের রাস্তা।পুষ্প কাঁদতে কাঁদতে পার্কের দিকে ছুটল।পুষ্পর যেন পথ ই ফুরাচ্ছে না।যেন দীর্ঘকালের পথ অতিক্রম করছে।আসলে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চায়না।পথের দূরত্ব যেন বেড়ে যায়।পূজা পুষ্পর সাথে হেঁটে পারছে না।অবশেষে পুষ্প পার্কে পৌছালো।পার্কে ভর -দুপুরে তেমন কেউ নেই।গেটেই কৃষ্ণ দাঁড়িয়ে আছে।রাজন ছাউনি দেওয়া একটা জায়গায় বসে আছে।পুষ্পকে প্রবেশ করতে দেখে রাজন উঠে দাঁড়াল।পুষ্প ঝ-ড়ের গতিতে ছুটে গিয়ে রাজনকে জড়িয়ে ধরল।থর থর করে কাঁপছে পুষ্প।তার হুঁশ-জ্ঞাণ নেই।এর আগে পরে পুষ্প কখনো রাজনকে জড়িয়ে ধরেনি।রাজন কে শক্তভাবে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদছে।পুষ্পের কান্না রাজনকে দহনের আ-গু-নে-র পোড়াচ্ছে।রাজন পুষ্পকে শক্তভাবে জড়িয়ে ধরে বলল,

” কি হয়েছে পা- গ- লি? এভাবে কাঁদেনা প্লিজ! কষ্ট হচ্ছে আমার।”
“রাজন আমাকে নিয়ে দূরে কোথায় পালিয়ে চলো প্লিজ! বাড়ি থেকে আমার বিয়ে ঠিক করেছে।আমি এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসছি।আমি আর বাড়ি ফিরব না।আমাকে তোমার সাথে নিয়ে চলো।তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিওনা রাজন।তুমি ফিরিয়ে দিলে আমি ম’রে যাব।”

রাজন বুঝতে পেরেছে ঘটনা কি ঘটেছে।নিশ্চয়ই প্রভাত কাউকে কিছু জানায়নি।রাজনের অনুমান সত্য হল।রাজন পুষ্পকে ছাউনির নিচে বসালো।নিজেও পুষ্পের পাশে বসল।পুষ্পের চোখ দু’টো যেন লাল টকটকে হয়ে গিয়েছে।কি পরিমান অশ্রু বিসর্জন দিয়েছে মেয়েটা তার কোনো হিসাব নেই।রাজন পুষ্পের হাত দুটো নিজের হাতের মুঠোয় শক্তভাবে ধরে বলল,

“আমার সাথে পালিয়ে গেলে আমার বাড়িতে গেলে তুমি কি মানিয়ে নিতে পারবে।”
পুষ্প অস্থির কণ্ঠে বলল,
“তুমি থাকলে আমি সব পারব।”
“ভেবে দেখো পুষ্প, আমি কিন্তু গরিব।চৌধুরীদের মত এত সম্পত্তি আমার নেই।অত বিলাসবহুল জীবন দেওয়ার মত সামর্থ্য আমার নেই।”
“আমার কোনো সম্পত্তি লাগবে না।কোনো বিলাসিতা লাগবে না।তুমি গাছতলায় থাকলেও আমি থাকতে পারব। ”
“তোমাকে গহনা দিতে পারব না এখন।কারণ আমি গরিব।”

“আমার গহনা লাগবে না। কিচ্ছু লাগবে না।”
রাজন পুষ্পের ভেতরে তার প্রতি এত বেশী ভালবাসা দেখে বাকরুদ্ধ হল।সে যে পুষ্পকে কি বলবে বুঝে উঠতে পারছে না।চোখ দু’টোতে পানি টলমলে করে উঠল।ইচ্ছে হচ্ছে পুষ্পকে বুকের ভেতরে পুরে রাখতে।এত ভালবাসা পুষ্পের মাঝে ছিলো রাজন আগে টের পায়নি।রাজন ছলছলে চোখে পুষ্পের দিকে তাকিয়ে বলল,
“জা’ ন তোমার এত ভালবাসার প্রতিদান আমি কীভাবে দিবো বলোতো।বিনিময়ে কি দেওয়া যায় বলোতো।”
“ভালবাসার বিনিময়ে ভালবাসা ছাড়া আর কী দিবে তুমি?আমার শুধু ভালবাসার অভাব রাজন।”
“আমায় ক্ষমা করো পুষ্প।আমি তোমায় সত্য বলিনি।”

পুষ্প কৌতুহলী হয়ে প্রশ্ন করল,
“কোন সত্য?”
রাজন দুঃ খী দুঃখী কণ্ঠে বলল,
“আমি আসলে একজন জেলের ছেলে পুষ্প।জন্ম জেলে পাড়ায়। তুমি কি মেনে নিতে পারবে আমায়।পারবে একজন জেলের ছেলেকে মেনে নিতে?”

এসব কথা পুষ্পকে বিন্দুমাত্র চমকালো না।সে কি সুন্দর বলে দিল,
“তুমি নিজে জেলে হলেও আমার আপত্তি নেই।”
রাজন গোল চোখে পুষ্পের দিকে তাকিয়ে বলল,
“আমি ফায়েক হোসেনের ছেলে।”
পুষ্প এবার চমকালো।চোখ দু’টো ছানাবড়া হল।অবাক হলে বলল, “কি বললে?”
“ঠিক বলেছি।উনিই আমার পিতা।”
পুষ্প সত্যিই ভীষণ অবাক হল।ফায়েক চাচাকে দীর্ঘদিন ধরে সে চিনে।রাজন কীনা তারই ছেলে।পুষ্প বিস্ময় ভরা চাহনি নিয়ে বলল,

“এতদিন বলোনি কেন?”
“ভ-য়ে।যদি ছেড়ে যাও।”
“আমি তোমার অর্ধাঙ্গী হতে চাই রাজন।সাত জন্মেও তোমাকে ছাড়তে পারব না।মৃত্যু ছাড়া আমাকে কেউ তোমার থেকে আলাদা করতে পারবে না।তুমি কে এসব নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা নেই।আমাকে নিয়ে পালিয়ে চলো প্লিজ!”
রাজন আবারও মুগ্ধ হল।পুষ্পের ভালবাসার গভীরতা দেখছে আর মুগ্ধতার মাত্রা বাড়ছে।আবার ও প্রশ্ন করল,
“তুমি কি আমার কুড়েঘড়ে গিয়ে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবে পুষ্পতা? ভীষণ দুঃচিন্তা হচ্ছে আমার।তোমাকে তো আমি রানি বানিয়ে রাখতে চেয়েছিলাম কিন্ত। ”

“কি হয়েছে রাজন?”
“মা চাইছে তুমি যেন মা-বাবার সাথে জেলে পাড়াতে থাকো।আমি জানি তুমি পারবে না।আমিও চাইনা তুমি ওখানে থাকো।আবার মা-বাবাকেও কষ্ট দিতে চাইনা।”
“কে বলেছে পারব না?আমি পারব ।”
রাজন চোখের এক ফোঁটা নোনাজল ছেড়ে দিয়ে বলল,

“আমাকে তুমি এত ভালবাসো? আমার জন্য রাজপ্রসাদ ছেড়ে কুড়ে ঘরে নেমে আসবে।”
“তুমিই আমার রাজা রাজন,আমার রাজপ্রসাদ ও তুমি।”
“মায়ের রাগ টা একটু কমুক।তোমাকে দু-চার মাসের মাঝে আমি শহরে নিয়ে যাব।কথা দিচ্ছি।শহরে সুন্দর একটা বাড়ি করে দিবো তোমায়।তুমি রানির মত এক গোছা চাবি আঁচলে বেঁধে ঘুরবে।”
পুষ্প কাঁদতে কাঁদতে বলল,

“এত সব তো লাগবে না আমার রাজন।শুধু তুমি হলেই হবে আমার।”
রাজন পুষ্পর কান্না দেখে বলল,
“একটা গুড নিউজ শুনবে?”
“কি?”
“প্রভাত ভাই আমার সাথে তোমার বিয়ে ঠিক করেছে।সো চিন্তা করোনা।আগামিকাল ই আমাদের গায়ে হলুদ।”
পৃথিবীর সমস্ত দুঃখ এক নিমিষেই হাওয়া হয়ে গেল মুহুর্তের মাঝে কান্নারত চোখ মুখটা চকচক করে উঠল।খুব আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞেস করল,

“কি বললে?”
“ইয়েস ম্যাডাম।এখন ছাড়ো।পরশু বিয়ে আমাদের।তখন না হয় শক্ত করে ধরো।”
“ভাইয়া আমাকে বলল না কেন?”
“বললে কি আর সারপ্রাইজ টা পেতে।”
“সবাই আমার সাথে মজা নিলো।”
“চলো তোমাকে পৌঁছে দিই।”
“পূজা এসছে সাথে।ওর সাথেই যেতে পারব।”

রাজন আঙুল দিয়ে দূরে দেখিয়ে বলল,
“ওই দেখো।”
পুষ্প বলল,
“কি?”
“পূজা আর কৃষ্ণ। ”
পুষ্প হেসে দিল।
দূরেই কৃষ্ণ আর পূজা দাঁড়িয়ে আছে।দুজনে আইসক্রিম খাচ্ছে।কি প্রাণবন্ত লাগছে দুজনকে।

ওয়াসেল এমনিই ব্যবসায়িক ঝামেলায় আছে।কি যেন একটা সমস্যা হয়েছে। সেসব নিয়ে বিরক্ত।এরই মাঝে ল্রভাত আবার কি শুরু করল।ডায়নিং বসে অপেক্ষা করছে প্রভাতের ফিরে আসার জন্য।দুপুরে প্রভাত বাড়িতে ফিরল।হাতে একটা ব্যাগ নিয়ে উপরে উঠছিলো।তখন ওয়াসেল ডেকে বলল,
“প্রভাত দাঁড়াও।”
প্রভাতের পা দুটো থেমে গেলে।বলল,

“হ্যাঁ বাবা বলো।”
“কোথায় গিয়েছিলে? কি করতে চাইছো তুমি? ”
“ওহ হ্যাঁ আমি বলতাম এ ব্যাপারে তোমাকে।ফায়েক চাচার ছেলে এস আই রাজন।ওর সাথেই পুষ্পর বিয়ে ঠিক করেছি
।”
ওয়াসেলের মাথায় বজ্রপাত হল ফায়েকের নাম শুনে।
সে চমকে উঠে বলল,

“কি বললে জেলে ফায়েক?”
“উনি তোমার বিয়াই হব।জেলে বলোনা।”
“আমি কিছুতেই আমার মেয়ের সাথে ওই জেলের ছেলের বিয়ে দিবোনা।”
“বিয়ের দিন তারিখ সব অলরেডি ফাইনাল।”
“ক্যান্সেল করে দেও।”

“তোমার যদি এ বিয়েতে আপত্তি থাকে এ কদিন দেশের বাহির হতে ঘুরে এসো বাবা।বিয়ে হবে।আমার সাথে টক্কর দিতে আসলে কি পারবা তুমি? ভেবে এগিও।”
“প্রভাত এবার বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু।”
“একদম ই ঠিক হচ্ছে।”

“আমার মেয়ে কিছুতেই এই বিয়ে মেনে নিবেনা।”
“তোমার মেয়েই রাজন কে পছন্দ করে।”
“মেয়ে পছন্দ করলেও আমি মানব না।”
“ভয় পাচ্ছো?”
“কেন?”

“জামাই পুলিশ অফিসার হবে।এ বাড়িতে ঘন ঘন যাতায়াত হবে।কুকর্ম কম করতে পারবা সেই ভয়।”
“বাজে কথা বলোনা।”
“ফায়েক চাচার সাথে আর জেলের মত আচরণ করোনা।উনার ছেলের সাথে তোমার মেয়ের বিয়ে হবে।অনেক কষ্টে বিয়েতে রাজি বানিয়েছি।”
“ফায়েক কে আবার কষ্টে রাজি বানানো লাগে।”
“হ্যাঁ। ”

“ঠিকাছে রাজন আর পুষ্পকে বড় কোনো শহরে বাড়ি করে দাও।”
“পুষ্প জেলে পাড়াতেই থাকবে।”
“বিয়ে হবে ভাল কথা।তাই বলে জেলে পাড়ায় থাকবে কেন? ছেলে তো চাকরি করে তার কাছে গিয়ে থাকবে।”
“রাজনের মায়ের শর্ত এটা।”
“ওদের আবার শর্ত,ওরা আবার মানুষ। ”
“এখানেই সমস্যা তোমাদের।”

প্রভাত নিজের কক্ষে প্রবেশ করল।রুমে ঢুকেই গায়ের পাঞ্জাবী খুলল। পূর্ণতা এক গ্লাস পানি ঢেলে প্রভাতকে এগিয়ে দিয়ে বলল,
“আমাকে বললেন না কেন?”
“বললে কি হত?”
“আপনাকে ভুল বুঝতাম না।”
“এখন কি ভুল গুলো ফুল হয়ে গেল।”
“তা বলতে পারেন। পানিটা খেয়ে নিন।”
প্রভাত হাত দিয়ে গ্লাস না নিয়ে ওষ্ট এগিয়ে দিলো।অনায়সে পূর্ণতার হাত থেকে পানিটা খেয়ে নিয়ে বলল,
“কপালের ঘামটা মুছে দেও।”

পূর্ণতা প্রভাতের কপালের বিন্দুবিন্দু ঘাম নিজের ওড়না দিয়ে মুছে দিল।প্রভাত তাকিয়ে দেখছে বউ বউ রুপে পূর্ণতা যেন আরো বেশীই পূর্ণ। প্রভাতের পরণে জিন্স।খালি গায়ে বিছানায় চিৎ হয়ে সুয়ে পড়ল।হাতের ব্যাগ টা পূর্ণতাকে খুলতে বলল।পূর্ণতা ব্যাগ না খুলেই জিজ্ঞেস করল,
“ব্যাগে কি?!
“খুলে দেখো।”
“বললে কি হয়।”
“সারপ্রাইজ নষ্ট হয়।”
পূর্ণতা ব্যাগটা খুলে দেখল,

হলুদ জরজেট লেহেঙ্গা সাথে ম্যাচিং গহনা।পূর্ণতা কিছু বলার আগেই প্রভাত পূর্ণতার হাত ধরে টেনে বিছানায় তার পাশে সুইয়ে দিয়ে বলল,
“পুষ্পের গায়ে হলুদে তুমি পরবে। ”
পুষ্প লজ্জামিশ্রিত কণ্ঠে বলল,
“ড্রেসটা সুন্দর হয়েছে।”
“আরোও একটা জিনিস দেখায়।”
“কি?”

প্রভাত ফোন থেকে একটা বাড়ির ছবি বের করে বলল,
“দেখোতো বাড়ির ডিজাইন কেমন?”
“কি করবেন?”
“তাজমহল গড়তে চাই।”
“আচ্ছা তাইনা?”

অর্ধাঙ্গিনী পর্ব ৩২

“হ্যাঁ তাজমহলের রানি পূর্ণতা,পায়ে আলতা নুপুর পরে ঘুরবে আর বলবে এই তাজমহল আমার ” তখনই প্রভাতের মনে পড়ল, সেতো এক জোড়া নুপুর ও এনেছে।

অর্ধাঙ্গিনী পর্ব ৩৪