অর্ধাঙ্গিনী পর্ব ৩২

অর্ধাঙ্গিনী পর্ব ৩২
Mousumi Akter

“কি সারপ্রাইজের কথা বলছিলেন রাতে?”
“পুষ্পের জন্য ছেলে দেখেছি, সেখানে পাকা কথা দিতে যাচ্ছি।”
পূর্ণতার কর্ণকুহরে কথাটা প্রবেশ করতেই তার এলোমেলো মস্তিষ্ক নাড়া দিয়ে উঠল। লাফিয়ে বিছানা ছেড়ে নিচে নামল।প্রভাত আলমারির সামনে দাঁড়ানো।আলমারির দরজা খুলে কাপড় খুঁজছে কোনটা পরবে।পূর্ণতা প্রভাতের কাঁধে হাত রাখল।এই প্রথমবার সে নিজ থেকে প্রভাতের কাঁধে হাত রাখল।দারুণ ভাললাগায় প্রভাতের সর্বাঙ্গ কেমন দুলিয়ে উঠল।সে ঘাড় ফিরিয়ে পূর্ণতার দিকে তাকাল। দৃষ্টিতে কঠিন শীতলতা।পূর্ণতার দৃষ্টিতে ভয়াবহ দুঃচিন্তা।প্রভাত তাকাতেই পূর্ণতা অস্থির কণ্ঠে বলল

“পাকা কথা দিতে যাচ্ছেন মানে? আপনি কি জানেন না আপুর সাথে রাজন ভাই-এর সম্পর্ক আছে।”
প্রভাত ঘাড় ঘোরালো।আবার আলমারির দিকে দৃষ্টি রাখল।কাপড় খুজতে খুজতে স্বাভাবিক কণ্ঠে বলল,
“হুম জানি।”
প্রভাতের এরুপ উত্তর শুনে পূর্ণতা চরম আশ্চর্য হল।এটা যেন প্রভাতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যাপার নয়।তাই অনায়াসে উত্তরটা দিয়ে দিল।পূর্ণতা দুঃচিন্তাভরা কণ্ঠে আবারও বলল,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“তাহলে?”
“তাহলে কি?আমি ওর ভাই আমি তাই করব যা ওর জন্য উত্তম।”
প্রভাতের এরুপ উত্তরে পূর্ণতা আবারও অবাক হয়ে রাগান্বিত কণ্ঠে বলল,
“বিয়েটা আপনার নয় পুষ্প আপুর হবে।সংসার করবে পুষ্প আপু।তাই আপু কার সঙ্গে ভাল থাকবে সেটা একমাত্র আপুই ভাল জানে বা ভাল বুঝবে।বিয়ে দুটো মানুষের অনুভূতির মিশ্রনেই হয়।আপু কার সঙ্গে ভাল থাকবে এটা একমাত্র আপুই ভাল জানে।আপনার সিদ্ধান্ত জোর করে চাপিয়ে দিলেই তো আর হয়ে যাবেনা।”
প্রভাত ড্যামকেয়ার কণ্ঠে বলল,

“এই ব্যাপারে আর কোনো কথা নয়। আমি যা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তাই হবে।কোনো নড়চড় হবেনা।”
পূর্ণতা খিটমিট কণ্ঠে বলল,
“জোর করে বিয়ে দিতে চান আপুকে?”
“জোর করতে হলে করব।”
পূর্ণতা তাচ্ছিল্যের স্বরে হেসে চাপা কণ্ঠে জবাব দিল,

“অবশ্য আপনার তো সে অভ্যাস আছে।মানুষকে জোর করে বিয়ে করা, জোর করে বিয়ে দেওয়া।লজ্জা করেনা আপনার।”
প্রভাত পূর্ণতার দিকে ঘুরে দাঁড়ালো।হাতে সাদা রঙের পাঞ্জাবি, কালো জিন্স।পূর্ণতার রাগান্বিত মুখের দিকে তাকিয়ে বলল,

“তোমাকে জোর করে বিয়ে করিনি আমি।আল্লাহর হুকুম মেনেছি।আল্লাহর হুকুম ছিলো আমি যেন তোমাকেই বিয়ে করি।আল্লাহ আমাকে বুঝতে সক্ষম করিয়েছিলেন আমি ছাড়া পৃথিবীর কারো কাছে তুমি ভাল থাকতে পারবে না পূর্ণ।
প্রভাতের কথায় পূর্ণতা থমকে গেল।এত সুন্দর করে গুছিয়ে বলা কথার কোনো উত্তর সে দিতে পারল।চোখমুখ থমথম করে গম্ভীর কণ্ঠে এক আঙুল তুলে বলল,

“দেখুন আমার সাথে যা করেছেন মেনে নিয়েছি।আপুকে কাঁদালে আপনাকে আমি ছাড়ব না।”
পূর্ণতার আঙুলটা প্রভাত মুষ্টিবদ্ধ করে নিজের বুকের সাথে চেপে ধরে পূর্ণতার কপালে আচমকা চুমু দিয়ে বলল,
“আমাকে তুমি ছেড়ে দিলেও আমি তোমাকে ছাড়ব না পূর্ণ। সে বিষয়ে নিশ্চিত থাকো।”
পূর্ণতা ঝাড়ি দিয়ে নিজের হাত সরিয়ে এনে প্রভাতের মৃদু হাসিমাখা মুখের দিকে তাকিয়ে ভাবছে, এত সিরিয়াস মুহুর্তে একটা মানুষ এত রোমান্টিক কীভাবে হতে পারে।আচমকা কেমন এলোমেলো হয়ে গেল পূর্ণতার ভেতর।মিন মিন করে বলল,

“সত্যি করে বলুন পুষ্পদির বিয়ে কোথায় ঠিক করেছেন।”
প্রভাত কিঞ্চিৎ হেসে জবাব দিল,
“ওটাই সারপ্রাইজ।”
“এত ভনিতা না করে বলুন কি করতে চলেছেন আপনি।” পূর্ণতা ভীষণ সিরিয়াস হয়ে কথাটা বলল।পূর্ণতার দিকে এক ভ্রু কুঁচকে তাকাল প্রভাত।নিচে দিকে ঝুকল প্যান্ট পরার জন্য। নিচু দিকে ঝুঁকে বলল,

“দাঁড়াও আন্ডারওয়্যার টা পরে নিই।যদি বেশী তাড়া থাকে পরিয়ে দিতে পারো।”
পূর্ণতা নাক সিঁটকে বলল,
“ছিঃ। থার্ডক্লাস কথাবার্তা।”
“সমস্যা কি রাতে তো আমি তোমাকে সব পরিয়ে দিলাম।”
“আপনাকে আমি দেখে নিবো।অসৎ মানুষ। ”
প্রভাতের পোশাক পরা হয়ে গেল।যাওয়ার সময় আবার ও পূর্ণতার কপালে চুমু খেয়ে বলল,

“বউ এর কপালে চুমু খেয়ে দিন শুরু করলে পুরুষের সেদিন উত্তম হয়।” বলেই নিচে নেমে গেল।পূর্ণতা দ্রুত নাইট ড্রেস চেঞ্জ করে নিয়ে থ্রি -পিস পরল।ততক্ষণে প্রভাত নিচে নেমে গিয়েছে।পূর্ণতা থ্রি-পিস পরে রুমের বাইরে আসতেই দেখল নিচতলায় প্রভাত,ওয়াজেদ আর ওয়াসেল দাঁড়িয়ে আছে।প্রভাত ওয়াসেল কে বলছে,
“বাবা আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
ওয়াসেল কৌতুহলী কণ্ঠে বলল,
“কি?”

“পুষ্পর জন্য আমি একটা ছেলে দেখেছি। এবং সেখানেই ওর বিয়ে দিবো।”
“হুট করে কোথায় বিয়ে ঠিক করলে, বংশ পরিচয় কি? পারিবারিক অবস্থা কেমন? ”
“এতসব পরিচয় কেন লাগবে? পুষ্প ভাল থাকলেই হল।”
“তবুও ছেলেটা অন্তত কেমন।এটা তো জানতে হবে।”
“ছেলের সব ই ওকে।১০০ তে ১০০ দেওয়া যায়।”
“চলো আমরাও যাই।”
প্রভাত খুব স্ট্রিট ভাবে জবাব দিল,

“নো, পুষ্পর বিয়ের ব্যাপারে আমি একাই কথা বলব।তোমাকে শুধু জানিয়ে রাখলাম।এখন আসি।”
ওয়াসেল চমকালো প্রভাতের কথা শুনে।তার ছেলেকে সে হাড়ে হাড়ে চিনে।নিশ্চিত তার পায়ে কু- ড়া- ল দিতে যাচ্ছে।সে উত্তেজিত কণ্ঠে বলল,

“আরে তুমি কি পা-গ-ল হয়েছো।আন্দাজে একা একা কোথায় ওর বিয়ে ঠিক করছো তুমি।”
ওয়াসেলের কথায় আর কোনো পাত্তা দিলোনা প্রভাত।সে বেরিয়ে যেতে যেতে বলল,
“আমি আমার বোনের জন্য সুখ খুঁজে পেয়েছি।আমি জানি ও সুখী হবে।তাই সুখ কিনতে যাচ্ছি।”
পুষ্প কিচেনেই ছিলো।প্রভাত বেরিয়ে যেতেই পুষ্প ছলছল নয়নে এক দৌঁড়ে নিজের ঘরে চলে গেল।মেরি, জাহান,পূজা সবাই কিচেনেই আছে।জাহান বলল,
“আপা আপনি প্রভাত কে আটকান আন্দাজে কার সাথে বিয়ে ঠিক করবে।”
মেরি হেসে জবাব দিল

“আমার ছেলেকে আমি জানি।ওর সিদ্ধান্ত শতভাগ ভাল হবে।চিন্তা করিস না।”
পুষ্প রুমে গিয়ে বিছানায় সুয়ে উপুড় হয়ে কাঁদছে।কাঁদতে কাঁদতে রাজনকে কয়েকবার ফোন করল।রাজন ফোন তুলল না।পূর্ণতা পুষ্পের রুমে গেল।পূষ্পকে কাঁদতে দেখে পূর্ণতা কি বলবে বুঝতে পারছে না।পুষ্পের কাঁধে হাত রাখল।পুষ্প পূর্ণতার স্পর্শ পেতেই পূর্ণতাকে জড়িয়ে ধরল।হাউমাউ করে কেঁদে উঠে বলল,
“ভাইয়াকে বুঝা পূর্ণ। আমি পারব না অন্য কাউকে মেনে নিতে।প্লিজ পূর্ণ! ”

পূর্ণতা পুষ্পকে জড়িয়ে ধরে বলল,
“কেন যেন মনে হচ্ছে তোমার ভাই রাজন ভাইয়ার সাথেই তোমার বিয়ে ঠিক করতে গিয়েছে আপু।নাহলে সে এত রিল্যাক্স থাকত না।”
“আমি এসব কিছুই জানিনা পূর্ণ। আমি শুধু জানি আমার রাজনকে চাই।”
“আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি আপু।তোমার বিয়ে রাজন ভাইয়ার সাথেই হবে।”

প্রভাত আগে পরে কখনো ফায়েকের বাড়িতে আসেনি।জেলেপাড়ার দিকে তার যাতায়াত আগে -পরে কখনো হয়নি।আজই প্রথম।নদীর কুলে বাঁশ ঝাড়ের ভেতর ফায়েকের বাড়ি।খোজে খোজে বাড়ির রাস্তা চিনেছে।ফায়েকের বাড়িতে একটা টিনের ঘর দূর থেকে দেখা যাচ্ছে।মোটামুটি একটা উঠান।চারদিকে কেমন মাছের গন্ধ।বাড়ির পাশেই একটা মন্দির।আশে পাশে অনেকগুলা হিন্দু বাড়ি।প্রভাত অনেক প্রকার মিষ্টি আর ফল নিয়ে ফায়েকের বাড়িতে প্রবেশ করল।উঠানে দাঁড়িয়ে ফায়েকের নাম ধরে ডাকল,

“ফায়েক চাচা।”
ফায়েক ঘরে সুয়ে আছে।ঘর থেকে ডাক শুনল,
“কেডা?”
“আমি প্রভাত।”
প্রভাতের নাম শুনে এক লাফে লেপের ভেতর থেকে নেমে এলো ফায়েক।বারান্দায় এসে প্রভাতকে দেখে চোখ দুটো চকচক করে উঠল তার।আনন্দে আত্মাহারা ফায়েক।প্রভাত কে সে কি বলবে বুঝে উঠতে পারছে না।নিজের স্ত্রীকে ডাকল, ‘ কৈ গেলা দেহে যাও।”
ফায়েকের আনন্দ দেখে প্রভাত আবার ও শান্ত কন্ঠে ডাকল

“চাচা।”
“হ বাজান বলো। বসো বাজান।তুমি আইছো আমি ভাবতেই পারতেছি না।”
“আপনার শরীর কেমন?”
“ভালা আছি বাজান।” ফায়েকের স্ত্রী এগিয়ে আসতেই ফায়েক বলল,
“এই দেহো ক্যাডা আইছে।”
ফায়েকের স্ত্রী প্রভাত কে দেখে মোটেও খুশী নন।মুখ গোমড়া করে বলল, ” কেডা?”
“প্রভাত বাপজান।”

” ওহ আইচ্ছা!বড়লোকের ব্যাটা আইছে।”
“এভাবে কথা কও কেন?”
প্রভাত বলল,
“সমস্যা নেই চাচা।ফল, মিষ্টি গুলো নিন।”
ফায়েকের প্রভাতের হাত থেকে ফল মিষ্টি গুলো নিয়ে তার স্ত্রীকে বলল,
“এক্ষুনি নাস্তার ব্যবস্থা করো।”
প্রভাত বলল,

“চাচা বিচলিত হবেন না।আমিই তো।”
প্রভাতের এমন আগমনে ফায়েক খানিকটা চিন্তিত হয়ে বলল,
“বাবা কি মনে করে।”
প্রভাত ঘরের মাঝে উঠে গেল।বারান্দায় রাখা একটা খাটে বসল।ফায়েক কে বলল, ” আপনিও বসুন চাচা।”
ফায়েক বসে বলল, ”কি হইছে বাজান?”
“আপনার কাছে একটা অনুরোধ নিয়ে এসছি আমি।আশা করি ফিরিয়ে দিবেন না।”
“কি অনুরোধ বাজান।

“আপনার ছেলের সাথে আমার বোনের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসছি।পুষ্পর ব্যাপারে তো আপনি সব জানেন ই।ওর স্বভাব চরিত্র কেমন।”
ফায়েক আমতা আমতা করে বলল,
“আমার ছেলে।”

“পুলিশ অফিসার রাজন আপনার ছেলে এটা আমি জানি চাচা।”
ফায়েক কিছু বলার আগেই ফায়েকের স্ত্রী মুখ গোমড়া করে বলল,
“না এডা কখনোই সম্ভব না।ওনার বাপে তোমারে লা’ থি দিছে। তার মেয়ে এই বড়িতে আসলে আমাগো পিষে মা’ র’ব তার জু’ তা দিয়ে। এত বড়লোকের সাথে কুটুমতালী করতে চাইনা।’
প্রভাত ফায়েকের স্ত্রী’র দিকে তাকিয়ে বলল,
“আমার বোন আর আমার বাবা এক নয় চাচী।”
ফায়েলের স্ত্রী ছ্যাৎ করে উঠে বলল,

“এ দুনিয়া উল্টে গেলেও যে আমার স্বামীরে আঘাত করছে তার সাথে আত্মীয়তা করব না।পৃথিবীর সবাই বললেও আমি রাজি হবোনা।”
“বাবার ব্যবহারে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। কিন্তু চাচী আপনার ছেলে আমার বোনকে পছন্দ করে।ওদের এক করতেই আমি আপনাদের কাছে এসছি।”
ফায়েক বলল, ” কও কী?”

” জি চাচা।রাজন এর সাথে আমার কথা হয়েছে।ও এখনি আসবে।ওর কাছেই পুরাটা শুনবেন।”
ফায়েকের স্ত্রী বলল,
“পোলা মানুষ করতে আমার অনেক কষ্ট হইছে।আমি আমার পোলারে ওর অত্যাচারী বাড়িতে বিয়ে করাব না।কিছুতেই না।”
প্রভাত বিনয়ী কণ্ঠে বলল,
“চাচী মাথা ঠান্ডা রাখুন।যা ঘটে গিয়েছে তাতে আমার বোনের কোনো হাত নেই।”
“না থাকুক।একই তো র’ ক্ত।

ফায়েক বলল, “আহা! থামো তুমি।আমি কথা বলতেছি।”
এরই মাঝে রাজন উপস্থিত হল।রাজন বাড়িতে পা রেখেই প্রভাত কে দেখে বলল,
“প্রভাত ভাই আপনি সত্যি এসেছেন?”
প্রভাত হেসে বলল,

“কি ভেবেছিলেন অফিসার, কোনদিন জানব না আপনি কে?”
“কেন জানবেন না? আমি নিজেই জানাতাম।কিন্তু সে সুযোগ দিলেন কই। আগেই সব জেনে গেলেন।”
“এত লুকোচুরি করছিলেন কেন অফিসার?”
“আসলে প্রথমে পরিচয় দিয়ে আত্মীয়তা বাড়াতে চাইনি।পরে এতকিছু হবে বুঝতে পারিনি। ”
প্রভাত আবার হেসে বলল, “এত ভাবছেন কেন? প্রেম কখনো বলে কয়ে আসেনা।”
রাজন লজ্জা পেল।প্রভাত আবার বলল,

“আমার বোনের মুখের হাসির কারণ হয়ে থাকার অনুরোধ রইলো।”
ফায়েক বলল,
“আব্বাজান তুমি যে মাইয়্যারে পছন্দ করো সেই মাইয়্যা ক্যাডা।”
রাজন মাথা নিচু করে বলল,
“প্রভাত ভাই এর ই বোন বাবা।”
ফায়েকের চোখ কপালে উঠল।সে বলল

“তা আমারে জানাবা না।”
“জানাতাম বাবা।”
ফায়েকের স্ত্রী চিৎকার দিয়ে বলল,
“আমি তোমারে ওই মাইয়া বিয়ে করতে দিবোনা।”
রাজন শান্ত কণ্ঠে বলল,

“আমি পুষ্পতালে অনেক ভালবাসি মা।পুষ্প ও আমাকে ভালবাসে।তুমি আমাকে ভালবাসলে এই বিয়ে মেনে নেও।না হলে তোমার ছেলে ভাল থাকতে পারবে না।”
“তুমি জানো ওরা কি করেছে? ”
“সব জানিনা মা।পুষ্পর কোনো দোষ নেই।”
“না থাকুক,তাও আমি এই বিয়ে মানব না।”
রাজন ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে বলল

“প্রভাত ভাই ফিরে গেলে আমি নদীতে লাফ দিবো মা।তখন কি হবে ভেবে দেখো।”
ফায়েক অনুরোধ করছে তার স্ত্রীকে।ছেলের সুখের জন্য যেন মেনে নেয়।চারদিকের অবস্থা দেখে ফায়েকের স্ত্রী বলল,
“আমি এক শর্তে এই বিয়ে মানতে পারি।”
প্রভাত বলল,

অর্ধাঙ্গিনী পর্ব ৩১

“কি শর্ত?”
“ওই মেয়ে যে আমাদের সাথে মানিয়ে থাকতে পারবে তার প্রমাণ দিতে হবে।এই জেলে পাড়ায় এসে সংসার করতে হবে।শহরে থাকতে পারবে না।”
প্রভাত বলল,
“আমার বোন নিশ্চয়ই তা পারবে।”

অর্ধাঙ্গিনী পর্ব ৩৩

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here