আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পর্ব ৩৬

আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পর্ব ৩৬
Raiha Zubair Ripte

পুরো বাড়িতে আনন্দের আমেজ। খাঁন বাড়িতে নতুন সদস্যর আগমন। বার্তাটা পুরে বাড়ি জুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তামিম খাঁন মিষ্টি নিয়ে এসেছেন। আশেপাশে মিষ্টি বিলিয়েছেন। চয়নিকা বেগম আর সাহেল আহমেদ এসেছেন সুখবর টা পেয়ে। রাফি খবর টা পেয়েই তুষারকে আর চিত্রা কে কংগ্রাচুলেশনস জানিয়েছে। অধরা আর তৃষ্ণা বসে আছে চিত্রার পাশে। তৃষ্ণার খুশির সীমা নেই। সে ফুপি হতে যাচ্ছে! বিষয় টা স্বপ্নের মতো লাগছে। অধরা চিত্রা কে জড়িয়ে শুভেচ্ছা জানালো। তৃষ্ণা এটা ওটা বলছে,বাচ্চা হবার পর বাচ্চার সম্পূর্ণ দায়িত্ব সে নিবে। তার ভাইয়ে ছেলে হোক আর মেয়ে সে পেলেপুষে বড় করবে।

চিত্রা চুপচাপ তৃষ্ণার কার্যকলাপ দেখলো। তৃষ্ণা দের কথার মাঝখানেই তুষার গলা খাকড়ি দিয়ে দরজার সামনে দাঁড়ায়। তৃষ্ণা আর অধরা উঠে দাঁড়ায়। তুষার রুমে ঢুকে। তৃষ্ণা অধরা বেরিয়ে যায়। তুষার দরজাটা চাপিয়ে চিত্রার পাশে বসে। চিত্রার হাত দুটো মুঠোবন্দী করে চুমু খেয়ে বলে-
-” চিন্তা টা এখন বেড়ে গেলো।
চিত্রা স্মিত হাসলো। তুষার আলতো করে চিত্রার পেটে হাত রেখে বলে-

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

-“ এই খানে কিন্তু একটা অংশ আছে। দেখেশুনে চলাফেরা করবে। খাবার ঠিক মতো খেতে হবে। তোমার সুনিশ্চিত স্বাস্থ্য আমার বাচ্চার সুস্থতা নিশ্চিত করবে। আমার জন্য না খেয়ে বসে থাকবে না।
চিত্রা বাধ্য মেয়ের মতো মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ জানালো। তুষার স্মিত হেঁসে কপালে চুমু খেয়ে বলল-
-“ মিনিট কয়েক পড়েই সব ভুলে যাবে মিসেস খাঁন। উঠো এবার গোসল করে আসো। অবেলা করে গোসল করা যাবে না এখন থেকে আর।

চিত্রা নিজে নিজে উঠতে নিলে তুষার ধরে উঠায়। চিত্রা ওয়ারড্রব থেকে কাপড় নিয়ে বলে-
-“ আমার এখন পেট বড় হয় নি। সবে আড়াই মাস। এমন হবে টেক কেয়ার করছেন মনে হচ্ছে কয়েক দিনের মধ্যেই আমার ডেলিভারি।
-“ শুরুর দিকেই বেশি কেয়ার করতে হয় মিসেস খাঁন। তাড়াতাড়ি গোসল সেরে আসো। ফ্লোরে কিন্তু দেখেশুনে পা ফেলবে।

-“ ওক্কে।
তুষার খাটের উপর পা তুলে বসে রয়। এরমধ্যে চয়নিকা বেগম এসে দরজায় কড়া নাড়ে। তুষার গিয়ে দরজা খুলে। শাশুড়ী কে দেখে দরজা ছেড়ে সরে দাঁড়ায়। চয়নিকা বেগম ভেতরে উঁকি দিয়ে বলে-
-” চিত্রা কোথায়?
-“ গোসল খানায়। ভেতরে আসুন।

চয়নিকা বেগম ভেতরে ঢুকে। বিছানায় বসে। কয়েক মিনিট পর চিত্রা ভেজা কাপড় হাতে করে বের হয়। তুষার এগিয়ে যায়। চিত্রা কে বিছানায় বসিয়ে চিত্রার হাত থেকে ভেজা কাপড় গুলো নিয়ে বেলকনিতে মেলে দেয়। চয়নিকা বেগম চিত্রা কে জড়িয়ে ধরে। ছোট্ট মেয়েটা নিজেও মা হতে চলছে ভাবা যায়! চয়নিকা বেগম হেসে বলেন-
-“ এবার বুঝবে মায়েদের কেনো সন্তানদের নিয়ে এতো অযথা চিন্তা হয়।
চিত্রা হেসে বলে-

-“ আমি বেস্ট মা হবো বাবুর।
-“ অবশ্যই। দেখেশুনে চলাফেরা করবে। সন্ধ্যা হলেই ঘরের জানালা বন্ধ করপ দিবে। বেলকনিতে রাতের বেলায় যাবে না। আর সাথে সবসময় লোহা, রসুন আর ম্যাচকাঠি সাথে রাখবে।
চিত্রা আচ্ছা বলল। ততক্ষণে তুষার চলে আসলো বেলকনি থেকে। চয়নিকা বেগম চলে গেলো।
রোমিলা বেগম বাড়ির উঠোনে দাঁড়িয়ে কাপড় মেলে দিচ্ছেন। আকস্মিক গেটের দিকে চোখ যেতেই সুপরিচিত মুখ দেখে কাপড় মেলতে গিয়ে থমকালেন। আকবর এগিয়ে আসলো রোমিলার দিকে।

-“ কেমন আছো রোমিলা?
রোমিলা মুখ ঘুরিয়ে নিলো। কাটকাট গলায় বলল-
-“ এখানে কেনো আপনি?
-“ বাহ রে ছেলে আর প্রাক্তন স্ত্রী কে দেখতে এসেছি।
রোমিলার মুখ জুড়ে বিস্তৃত হলো তাচ্ছিল্যের হাসি।

-“ এতো গুলো বছর পর!
-“ না প্রায়ই খবর নেই লোক লাগিয়ে।
-“ কেনো মরছি না সেজন্য?
-“ না, তোমাদের মৃ’ত্যু কামনা করি না। আমি মৃ’ত্যু কামনা করি আমার শত্রুদের।
-“ সেই শত্রুদের হয়েই তো কাজ করে রাতুল। নিশ্চয়ই তার মৃ’ত্যু কামনা করেন।
-“ যতোই হোক ছেলেতো তাই মনুষ্যত্বে বাঝে ওর মৃ’ত্যু চাইতে।
-“ যার মনুষ্যত্ব নেই তার মনুষ্যত্বে বাঝে কি করে?

-“ সেটাই তো। আচ্ছা বাদ দাও,ছেলের বিয়ে দিচ্ছো বাবা হিসেবে তো আমাকে জানাতে পারতে।
-“ প্রয়োজন বোধ করি নি জানানোর।
-“ আচ্ছা বেশ। কেমন আছো?
-“ আগের তুলনায় বেশ ভালোই আছি।
-“ হুম বোঝাই যায়।
-“ হুমম।

-“ রাতুলের মুখ থেকে অনেকদিন বাবা ডাক শুনি নি। ছেলেটাকে আমার বিরুদ্ধে উস্কে দিয়েছো তুমিই তাই না?
-“ হাসালেন। আপনার করা কুকীর্তি দেখেই লজ্জায় ঘৃণায় আপনায় বাবা ডাকে না। ভুলে গেছেন সেদিন রাতের কথা? যেদিন রাতে অমানবিক নির্যাতন করে আমাকে আর আমার ছেলেকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছিলেন। বউ নিয়ে মেতে ছিলেন সেই রাত। আর আমি আমার ঐ ছোট্ট শিশুটিকে নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেছিলাম। আর সেই শিশুর থেকে আপনি বাবা ডাক আশা করেন হাস্যকর!

-“ রাতুল কে আমি কখনই বাড়ি থেকে বের করি নি রোমিলা। তুমিই নিয়ে গিয়েছিলে সেদিন।
-“ কোন বাচ্চা থাকতে চাইবে এমন নরপশুর কাছে?
-“ পুরোনো কাসন্দি ঘাঁটতে চাই না। ভালো থেকো আসি।
কথাটা বলে আকবর চলে যায়। রোমিলা কাপড় মেলে রুমে চলে আসে।
রাতুল বসে আছে পুকুরের ধারে। পাশেই আছে অধরা। দুজনের মুখে কোনো কথা নেই। দৃষ্টি দুজনেরই ঐ পুকুরের জলে। নিরবতা ভেঙে রাতুল বলে উঠে –

-“ ঠিক তারিখ টা মনে নেই। সেদিন ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছিল। মা সেদিন সেজেছিল খুব। কারন সেদিন বাবা আর মায়ের বিবাহ বার্ষিকী ছিলো। মা বাবার সব পছন্দের খাবার রেঁধেছিল। সোফায় বসে অপেক্ষা করছিল। মায়ের অপেক্ষার প্রহর ভেঙে বাবা এসেছিল তবে একা না। সাথে ছিল দ্বিতীয় স্ত্রী আর তার কোলে ছিলো বছর একের এক বাচ্চা ছেলে। বাবা তাকে নিয়ে ঢুকেই বলেছিল সে বাবার দ্বিতীয় বউ। বছর তিনেক আগে বিয়ে করেছে।

অথচ মা জানতোও না। সেদিন বাবাকে ধরে প্রচুর কেঁদেছিল মা। কিন্তু বাবা তার দ্বিতীয় বউয়ের এক কথায় মা কে বাসা থেকে বের করে দেয়। আমার মা বাড়ি থাকলে তিনি থাকবেন না। মা কিছুতেই যেতে রাজি হচ্ছিলো না। আর বাবা অল্পতেই ভীষণ রেগে যেত। মাকে সেদিন প্রচুর মেরেছিল৷ ধাক্কা মে’রে বের করে দিয়েছিল বাড়ি থেকে। আমিও ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম বাবার ওমন ভয়াবহ রূপ দেখে। মায়ের কাছে ছুটে যাওয়ার জন্য দৌড় দিতেই বাবা আটকে দেয়। সে কিছুতেই যেতে দিবে না মায়ের কাছে।

মা ও আকুতি মিনতি করছিল আমাকে নেওয়ার। আমার কান্নার আওয়াজ বাবার দ্বিতীয় বউ বিরক্ত বোধ করছিল। রেগেই বাবা কে বলেছিল সে সতীনের ছেলে কে দেখভাল করতে পারবে না। বাবা কিছু বলতে চেয়েছিল কিন্তু উনি বলতে দেন নি। বাবার হাত থেকে আমাকে ছাড়িয়ে বলেছিল যা তোর মায়ের কাছে। আর আসবি না এদিক পানে। আমার ছোট্ট মন ছাড়া পেতেই দৌড়ে ছুটে গিয়েছিলাম মায়ের কাছে। সে থেকে আজ অব্দি ও বাড়িতে পা রাখি নি। সেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি মাথায় নিয়ে মা পাগলের মতো আশ্রয় খুঁজেছিল থাকার।

একেই তো বাবার হাতে মাইর খেয়ে মায়ের বেহাল দশা তার উপর রাতে থাকার জন্য আশ্রয় খুঁজতে খুঁজতে রাস্তায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে গিয়েছিল। আমি হঠাৎ মা’কে পড়ে যেতে দেখে কেঁদে কেঁদে মা’কে ডাকছিলাম। আমার নানা বা মামা কেউ ছিল না দেশে। তারা সবাই বাহিরের দেশে থাকতো। ঐ রাতে ফেরেস্তা হিসেবে উদয় হন আপনার মামু। আমাকে কাঁদতে দেখে এগিয়ে আসেন জিজ্ঞেস করে কি হেয়েছে।

আমি বলেছি মা উঠছে না কথা বলছে না আমার সাথে। আঙ্কেল পরখ করে দেখলো মা কে। তারপর ড্রাইভার কে ডেকে মাকে আর আমাকে গাড়িতে উঠিয়ে খাঁন ভিলাতে নিয়ে গেলো। মায়ের চিকিৎসা করালো। মায়ের থেকে সব কথা শুনলো। আইনি ব্যাবস্থা নিতে চাইলে মা না করে দেন। তিনি আর দ্বিতীয় বার ঐ লোকের মুখোমুখি হতে চান নি। মা’কে স্কুলে চাকরি দিয়ে দিলেন। সেই থেকে মা একাই আমাকে লালনপালন করে গেছে। দিনের বেলা তুষারের সাথে থাকতাম আর বিকেল হলেই মা স্কুল থেকে ফেরার পথে আমায় বাসায় নিয়ে আসতো।

কথাটা বলে থামে রাতুল। অধরা নির্বাক হয়। দু’জনে একই পথের পথিক। রাতুল কে স্বান্তনা দেওয়ার ভাষা তার জানা নেই। রাতুল বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো। হাত বাড়িয়ে দিলো অধরার দিকে। অধরা নির্নিমেষ চোখ চেয়ে থেকে হাত ধরে উঠে দাঁড়ালো। পায়ে পা মিলিয়ে হাঁটতে লাগলো।

চিত্রা কে বাড়ির কোনো কাজ করতে দেয় না তানিয়া বেগম। সব কাজ নিজে একাই করে। এ নিয়ে চিত্রা কথা বলে না তানিয়া বেগমের সাথে। তার শরীরে তো এখনও তেমন পরিবর্তন ঘটে নি আর এখনই তাকে সব কিছু থেকে দূরে দূরে রাখছে। তানিয়া বেগম চিত্রার রাগ কে পাত্তা দেয় নি। বাড়ির প্রথম বাচ্চা সে আসবে রাজকীয় ভাবে। কোনো ক্ষতি হতে দেওয়া যাবে না। চিত্রা শুধু খাবে আর শুয়ে থাকবে। আর একটু আধটু হাটাহাটি করবে। বাড়ির কাজে হাত লাগানো মানা।

তুষার এখন তাড়াতাড়ি কাজকর্ম শেষ করে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরার চেষ্টা করে। বেশি দেরি হলে রাত আট টা বাজে। তার বেশি হবেই না। যতো রাজ্যের কাজ থাকুক না কেনো সে চলে আসবে বাসায়। হয় বাসায় এসে করবে ল্যাপটপে রাত জেগে। তবুও বাসায় আসবে। তুষার এসেছে সন্ধ্যা সাতটা বাজে। হাতে তার ফুচকার পলিথিন। চিত্রা ফেরার পথে ফোন করে বলেছিল তার ফুচকা খেতে ইচ্ছে করছে।

সেজন্য তুষার নিয়ে এসেছে। ফুচকার পলিথিন টা তৃষ্ণার হাতে দিয়ে বলল প্লেটে সাজিয়ে দিতে। ফুচকার ব্যাগ দুটো। একটা অধরা তৃষ্ণার জন্য আরেক টা চিত্রার জন্য। একটা পলিথিনের ফুচকা সাজিয়ে দিলো প্লেটে তৃষ্ণা । তুষার প্লেট টা নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে গেলো। চিত্রা বিছানায় আধশোয়া হয়ে হুমায়ুন আহমেদের কোথাও কেউ নেই বই টা পড়ছে। তুষার ফুচকার প্লেট টা এগিয়ে দিয়ে বলল-

-“ নাও তোমার ফুচকা।
চিত্রা তাকায় প্লেটের দিকে। মুখে বিস্তৃত হলো হাসি। ফুচকার প্লেট টা নিয়ে ফুচকা খেতে আরম্ভ করলো। তুষার চলে গেলো ওয়াশরুমে ফ্রেশ হতে।

খাওয়া শেষে চিত্রা প্লেট রাখার জন্য উঠতে নিলে তুষার প্লেট টা নিয়ে নিজে গিয়ে রেখে আসে। এতো আহ্লাদী পনা এখন বিরক্ত লাগছে। মনে হচ্ছে কাজ বা একটু হাঁটলেই বড় কিছু হয়ে যাবে। চিত্রা ভেঙচি কাটলো। তুষার ড্রেসিং টেবিল থেকে তেলের বোতল এনে চিত্রার মাথা ম্যাসাজ করে দেয়। আজকাল রাতে তেল না দিয়ে ঘুমালে প্রচুর মাথা ব্যাথা করে চিত্রার। মধ্য রাতে হাত পা জ্বালাপোড়া করে। তুষার তখন টিপে দেয়।

-“ ঐ শুনুন না।
তুষার মাথা ম্যাসাজ করতে করতে বলে-
-“ হুমম।
-“ কাল ডক্টরের কাছে যেতে হবে মনে আছে?
-“ হুমম।
-“ কখন নিয়ে যাবেন?
-“ বিকেলে।
-“ তাহলে কাল বাহিরে খাবো।
-“ আচ্ছা।
-“ ঘুমাবো।
-“ এই তো হয়ে গেছে। এবার ঘুমাও।

চুল গুলো বেণি করে দেয় তুষার চিত্রার। চিত্রা বেণি টেনে দেখে শুয়ে পড়ে। তুষার লাইট নিভিয়ে চিত্রার পাশে শুয়ে পড়ে। চিত্রা তুষারের বুকে মাথা রাখে। তুষার মাথায় হাত বুলোয়। চিত্রা তুষারের শার্টের বোতামে হাত দিয়ে খুলতে থাকে।

-“ পাখি শরীর ভালো না তোমার।
চিত্রা বোতাম খুলতে খুলতে জবাব দেয় –
-“ তাতে কি?
-“ এই সময় ওসব করা উচিত না। ঘুমাও।
-“ আমার লাগবে আপনাকে।
-“ আমি পুরুষ হয়ে নিজেকে সামলাতে পারছি আর তুমি পারছো না!
চিত্রা তুষারের কানে ফিসফিস করে বলল-

আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পর্ব ৩৫

-“ না।
তুষার কিছু বললো না। চুপচাপ শুয়ে রইলো। কিন্তু চিত্রা ছাড়লো না তুষারকে। শেষ মেষ না পেরে চিত্রার মাঝে ডুব দিলো। একটা পুরুষের পক্ষে নিজেকে কন্ট্রোলে রাখা ভীষণ কষ্টের। আর সেখানে নিজেই তুষার কে সিডিউস করে চলছে। কন্ট্রোলে থাকতেই পারলো না।

আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পর্ব ৩৭