আমি মায়াবতী পর্ব ৩২

আমি মায়াবতী পর্ব ৩২
তাহমিনা মিনা

“তুই মায়াকে বিয়ে করতে চাস তো কাব্য?”
“কেন তোর সন্দেহ আছে?”
“তাহলে তুই মায়াকে না বলিস মায়ার বাবা মা কে জানা। বিয়ে ঠিক করে রাখুক। আম্মু আব্বুকে আমিই জানাবো না হয়। দরকার পরলে বাসা থেকে প্রোপোজাল পাঠাক। এইরকম নাটকের কি দরকার আছে?” অধৈর্য হয়ে বলে কবিতা।

“ঝামেলা আছে বলেই তো নাটক। ”
“বোঝা আমাকে কি ঝামেলা।”
“এখন না কবিতা। কাজ করছি আমি। রুমে যা নিজের।”
কবিতা দুইহাত পেছনের দিকে নিয়ে সাহেবী ভঙ্গিতে প্রশ্ন করে, “আপনি কি চান আপনার কাজটা ভালোভাবে সম্পন্ন হোক?”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“অবশ্যই চাই, স্যার। এখন আপনি যদি দয়া করে বিদেয় হতেন।”
“অবশ্যই আমি বিদেয় হবো। যাওয়ার সময় দরজা বাইরে থেকে লক করে দিয়ে যাবো। আর বাইরে গিয়ে মেইন সুইচ অফ করে দিব। তারপর আপনি নিশ্চিন্ত মনে আপনার ল্যাপটপ নিয়ে কাজ কইরেন।”
কাব্য কবিতার দিকে হা হয়ে তাকিয়ে রইলো। এই মেয়ের মাথায় এতো বুদ্ধি আসে কই থেকে? আফসোসের স্বরে কাব্য বলেই ফেলে,”ইশশ! ব্রিলিয়ান্ট। এই কুবুদ্ধিগুলো যদি সুবুদ্ধি হতো, তাহলে তো নোবেল প্রাইজ পাওয়ার সুযোগ রাখতি তুই। আফসোস।”

“ভণিতা বাদ দিয়ে সোজা কথায় আয় গরু। একটা কাজই তো তোকে দিয়েছিলাম। বলছিলাম আমার কথামতো কাজ করলে কাজ হবে।”
“আমি তো ওকে বলেছিলামই। ঐ তো এখন আর অন্য কোনো শিক্ষক নিবে না। বাইরেও পড়বে না।”
“ভালোমতো বললে অবশ্যই পড়তো। ইডিয়ট একটা তুই। এখন আমাকে এর জন্য ওর বাসায় যেতে হবে। তুই বল তুই কেন বলতে পারবি না?”

“কারণ ও এখন আমার প্রেজেন্ট স্টুডেন্ট। আর আমার কলেজেরই ছাত্রী। এখন যদি এই বিষয়টা জানাজানি হয়, তাহলে কেমন হবে?ওর বাবা-মাও তো বলবে কেমন স্যার যে ছাত্রীর দিকে নজর দিয়েছে। ”
“ঠিকই তো বলবে। কেমন স্যার তুই যে ছাত্রীর দিকে নজর দিলি।” কাব্যকে ক্ষ্যাপানোর জন্য বলে কবিতা।
কাব্য দাঁতে দাঁত চেপে বলে,”আমি যখন ওকে ভালোবেসেছি, তখন ও আমার ছাত্রী ছিল না।”

“ঐ একই হইলো। তারপর বল। আর কি কি সমস্যা? ”
“আমার চাকরিটাও চলে যেতে পারে। তখন কি মায়ার বাবা মা আমার কাছে ওনাদের মেয়ে দিবে?”
কবিতা বিজ্ঞের মতো মাথা নেড়ে বলে,”যাক, ভালো যুক্তি। গরু হলেও মাথায় বুদ্ধি আছে।”
“মায়া কি বললো?”
“বলেছে সোহাগ স্যারকে জিজ্ঞেস করতে হবে আগে।”

“হ্যাঁ, সেটা তো স্বাভাবিক। ”
“হুমম। ”
“আপনি এখন আসবেন? আমার অনেক উপকার হতো, তবে।”
“যাচ্ছি, যাচ্ছি।” উনার রুমে আসছি মনে হচ্ছে উনার মাথা কিনতে এসেছি।
কাব্য বিরবির করে বলে,”মাথা কিনতে আসিসনি তো, এসেছিস তো আমার মাথা খেতে।”

“মায়া, তোমাদের বাসায় কি কালো রঙের লিপস্টিক নেই?”
মায়া অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, “লিপস্টিক? তাও আবার কালো রঙের?”
“হুমম। নেই?”
“নাহ। কিন্তু কেন ভাইয়া?”

“তোমাদের বাসার সাজুনি বুড়ি আছে না, কাল তো সে সম্পূর্ণ লাল রঙ দিয়ে সেজেছিল। আর আজ কালো। সবই কালো নিয়েছে। শুধু লিপস্টিক লাল। তাই বলছিলাম আর কি যে কালো রঙের লিপস্টিক পড়লে তো আরো সুন্দর লাগতো। কিন্তু তোমাদের বাসায় তো লিপস্টিক নেই। ”
“কার কথা বলছেন? রিজা?”
“হুমম। ”

মায়ার মনটা মুহুর্তেই খারাপ হয়ে গেল। পিছনে তাকিয়ে দেখে রিজা দরজার পর্দা ধরে দাঁড়িয়ে মুচকি হাসছে। আর সামনে সোহাগ বিরক্তিভরা চাহনি নিয়ে তাকিয়ে আছে। মায়ার হঠাৎই ইচ্ছে করলো কান্না করতে। রিজার দু গালে দুটো থাপ্পড় দিয়ে তাকে জড়িয়ে কান্না করতে। এই মেয়েটা এতোটা বোকা কেন? কেন সে দুনিয়া বোঝে না? মায়ার আর পড়তে ইচ্ছে করলো না। সে মন খারাপ করে সোহাগকে বলে, “ভাইয়া, আজ আমার অনেক খারাপ লাগছে। আজকে আর না পড়লাম? ”

“কেন? শরীর খারাপ?”
“নাহ। তেমন কিছু না। আসলে এই সময়ে ঘুমোনোর অভ্যাস ছিল আমার। হুট করেই এই সময়ে পড়াশোনা করতে ভালো লাগছে না। ঘুম ঘুম পায় আর মাথা ব্যথা করে।”
“অহ, আচ্ছা। তাহলে অন্য কোনো সময়ে কি পড়তে চাও?”
“নাহ। এই সময়টাই ঠিক আছে। কিছুদিন পরই স্বাভাবিক হয়ে যাবে।”
“আচ্ছা, আজ তাহলে উঠি। ”
“হুমম। ”

সোহাগ চলে গেলে মায়া রিজার ঘরে গিয়ে বলে,”তুমি এতো সাজগোছ করো কেন?”
রিজা হয়তো আশা করেনি এই প্রশ্ন। থতমত খেয়ে বলে,”আমার ভালো লাগে আপু।”
মায়া কিভাবে কথাটা বলবে বুঝতে পারে না। মনে অনেক কথা বলার থাকলেও মুখে বলতে পারে না।
“তুমি এতো সাজগোছ করো না রিজা। বিশেষ করে এই সময়ে। যখন সোহাগ ভাই আসে।”
“কেন? কি হবে সাজলে?”

মায়া ভেবে পায়না কি জবাব দিবে। তার কান্না পায় ভীষণ। এই নিষ্পাপ মেয়েটার শুদ্ধ ভালোবাসার মর্ম তো মানুষটা বুঝবে না। বুঝার কথাও না। মায়া নিজেকে সামলে বলে,”দুপুরের সময় সাজতে হয় না, রিজা। মুখের অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। আর এতো সাজগোজ ভালোও না। আমরা যে প্রোডাক্ট গুলো ব্যবহার করি, সেগুলো আমাদের মুখে সবসময় মানায় না। পরবর্তীতে মুখে অনেক ব্রণ উঠবে।”

রিজা চোখ বড়বড় করে বলে,”তাহলে তুমি বলছো, এইগুলা নিবো না?”
“নাহ। সবসময় না।”
“আচ্ছা। নিবো না।” বলেই হাসে সে।
“তোমাকে বাবা স্কুলে ভর্তি করাচ্ছে না কেন?”
“মামা চেষ্টা করছে। আর মা আর মামা কি যেন কাজে যায় রোজরোজ। কি কাজে যায়?”
“আমি তো জানিনা, রিজা।”

রিজা চুপ করে থাকে। মায়া জিজ্ঞেস করে,”এইখানে কেমন লাগছে রিজা?”
রিজা মাথা নিচু করে বলে,”ভালো লাগে না এইখানে। আমি আসার পর একদিনও বের হইনি। চারদিকে শুধু দেয়াল আর দেয়াল। আমার ভালো লাগে না।”
মায়া ওর অবস্থা বুঝতে পারলো। বললো,”আজকে তাহলে আমরা ঘুরতে যাই কোথাও? কিছু একটা খেলাম। তারপর কোনো পার্কে ঢুকলাম। তুমি যাবে?”

রিজার চোখ চকচক করে উঠে। আনন্দের সাথে বলে,”আচ্ছা। কখন যাবে? আমি কোন ড্রেস পড়বো?”
“তোমার ইচ্ছে মতো পড় রিজা। তুমি থাকো। আমি সাবিহাকেও বলি। আমার বান্ধবীকেও ডাকি। সমস্যা হবে তোমার ওকে নিলে?”
“নাহ। আমার তো ওনাকে অনেক ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর করে কথা বলে। আমার তো শুধু তাকিয়ে থাকতেই ইচ্ছে করে।”
মায়া হেসে বলে,”ও একটু এরকমই।”

মায়া বের হয়ে আসার সময় দেখে রিজা প্রবল উৎসাহ নিয়ে নিজের জামাকাপড় এর মাঝে থেকে সবচেয়ে ভালোটা খুঁজে নিচ্ছে। মায়ার ভীষণ মায়া হলো ওকে দেখে। বেচারি মেয়েটা। কতটুকুই বা বয়স ওর? জন্মের পরপরই বাবাকে হারিয়েছে। বাবার ভালোবাসা কি সেটা কখনো বুঝে নি। জন্মের পরই মাকে নিজের বাড়িতেই কাজের মেয়ের মতো খাটতে দেখেছে। নিজেও অন্যের খাটুনি খেটেছে।

মা ছাড়া কারো থেকে বিন্দুমাত্র ভালোবাসাও পায়নি। কোনো বিলাসিতা করতে পারেনি। একটু ভালো খাবারও পায়নি কখনো। অন্যের ব্যবহৃত পুরনো জিনিসপত্র ব্যবহার করেই মেয়েটা এতোদূর এসেছে। এতোকিছুর ভীরেও মেয়েটা ভালোবেসেছে। তাও আবার নিজের চাইতে অনেক বেশি দামী মানুষকে। ভালোবাসায় তো কারো হাত নেই। কাউকে তো আর জোর করে ভালোবাসতে বাধ্য করা যায় না।

বাবাহীন এই অনাথ মেয়েটার ভালোবাসা বুঝার ক্ষমতা ছেলেটির নেই। সোহাগ যেমন রিজার চাইতে ভালো কাউকে ডিজার্ভ করে, তেমনি রিজাও সোহাগের চাইতে ভালো কাউকে ডিজার্ভ করে। কিন্তু আজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় বুঝতে পেরেছে মায়া। সেটা হচ্ছে অধিকারবোধ। মায়ার অধিকার নেই রিজাকে সব কথা বলার। কিংবা অধিকার থাকলেও বলার মতো সাহস নেই।

শাসন করার কিংবা দুটো চড় মারারও সাহস নেই। অথচ আজ এই জায়গায় সাবিহা থাকলে মায়ার অবশ্যই সেই অধিকার বা সাহস থাকতো। আজ আম্মার বিষয়টা বুঝতে পারছে মায়া। চাইলেও কারো উপর এতো সহজে অধিকার ফলাতে পারে না কেউ। মায়া ভাবছে হয়তো ফুপি আর রিজা ভীষণ কষ্ট পাবে যদি রিজাকে বকা দেয় সে। আম্মাও হয়তো ভাবে মায়া আর বাবা কষ্ট পাবে। অথচ ভিতর থেকে মানুষ যেমন ভালোবাসা চায়, তেমনি শাসনও চায়। কিন্তু কেউ কাউকে মুখ ফুটে বলতে পারে না। বললেই হয়তো সম্পর্কের সম্পর্কের সমীকরণ ভীষণ সহজ হয়ে যেতো। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে,এতো সহজ না বিষয়টা।

“তোমাদের শহরটা খুব বেশি খারাপ না কবিতা আপু। তবে আমি যেরকম শুনেছিলাম সেরকমও না।”
“তুমি কেমন শুনেছিলে আমার শহর নিয়ে?”
রিজা বলে,”আমাকে বলেছিল ঢাকায় নাকি লাল নীল বাত্তি জ্বলে। আমি তো দেখলাম না এখনও।”
কবিতাসহ সবাই এতোটাই অবাক হয় যে কথা বলতেও ভুলে যায়। কবিতাই মুখ খুলে বলে,” সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকো, তাহলেই দেখতে পাবে।”

পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সাবিহা বলে,”আমি ফুসকা খাবো।”
কবিতা উঠে দাঁড়িয়ে বলে,”আমিও খাবো। চল তাড়াতাড়ি। ঐদিকে ফুসকার ভালো একটা রেস্টুরেন্ট আছে। ”
“কিহ? ফুসকার জন্য রেস্টুরেন্ট?”
“হ্যাঁ, চলো।”

“বাহ, তোমাদের শহরে ফুসকার জন্যও আলাদা রেস্টুরেন্ট আছে? আমাদের গ্রামে তো আসতো ঘাড়ে করে নিয়ে। ছোট ছোট ফুসকা আর তেতুল টক দিত। কি যে মজা লাগতো।”
কবিতা বলে,”এইখানে আরো অনেক ধরনের আছে।”

রেস্টুরেন্টে ঢুকে রিজা অবাক হয়ে যায়। কি সুন্দর। একটা টেবিলে চারজন বসলে ওয়েটার আসলে কবিতা অর্ডার দেয়। রিজা চারদিকটা অবাক হয়ে খেয়াল করে। কবিতা বলে,”আমি কি তাহলে কালকে থেকে আসবো? তোদের বাসায় পড়ার জন্য? ”

“হুমম। আসিস। ভাইয়াকে তো বললাম। ভাইয়ার কোনো সমস্যা হবে না। ”
“তাহলেই ভালো। শোন, সামনের শুক্রবার তুই রিজা আর সাবিহাকে নিয়ে আমাদের বাড়ি যাবি। আমাদের সাথেই দিনটা কাটাবি। যেতে পারবে তো রিজা?”
“হ্যাঁ, হ্যাঁ। যাবো আপু। আমি যাবো। আর তোমার ভাইকেও দেখে আসবো।” সাবিহা বলে।
“তা তো দেখবেই।”

মায়া কপট রাগ দেখিয়ে বলে,”কোন ধরনের কথা এটা সাবিহা?”
“তুমি চুপ করে থাকো তো আপু। আমাকেই যাচাই-বাছাই করতে দাও।”
“কিসের যাচাই-বাছাই? ” অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে মায়া।

সাবিহা চোখে টিপ্পনি কেটে বলে,”সিক্রেট ব্যাপার। তোমাকে বলা যাবে না। আমার আর কবিতা আপুর ব্যাপার।”
ওদের কথার মাঝে ফুসকা চলে আসলে রিজা ফুসকার সাইজ দেখে অবাক হয়ে যায়। প্রায় চিল্লিয়েই বলে,”এতো বড় ফুসকা? আর এইগুলো কি? আমি তো এইগুলো জীবনেও খাইনি।”

মায়া আর সাবিহা হঠাৎ অপ্রস্তুত হয়ে যায় কবিতার সামনে। কিন্তু কবিতা ওদের অবস্থা বুঝতে পেরে বলে,” তোমরা গ্রামের মানুষ যা খাও আমরা তার কোনাকোনিও খেতে পারিনা। আমরা হাবিজাবি খাই বলেই তো এতো রোগবালাই আমাদের।”
মায়া অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে দুই মানবীর দিকে। তাদের জীবনের কিছু কিছু অংশে কত মিল। দুজনই পরের বাড়িতে আছে। একজনের বাবা নেই আরেকজনের থেকেও নেই। দুজনেই কতটা স্পষ্টবাদী। নির্দ্বিধায় নিজেকের দোষ গুণ স্বীকার করে নিতে পারে। হিংষা ছাড়া এমন মানুষ তার আম্মার পরে তাহলে আরো আছে?

সোহাগ হাহা করে হাসছে রিজার দিকে তাকিয়ে। আর বলছে, তোকে তো ভীষণ সুন্দরী লাগছে রে। আমি আমার জীবনে এতো সুন্দরী মেয়ে আর একটাও দেখেনি৷ কাউকে কি কখনো দেখেছিস সবুজ রঙের লিপস্টিক পড়ে? তোকে হেব্বি লাগছে। আয় তোর একটা ছবি তুলি। একটা সেলফীও তুলবো আমরা।”

একসাথে ছবি তোলার কথা শুনে রিজা ছুটে যায় সোহাগের দিকে। সোহাগ ওর সাথে দুটো ছবি তুলে ওকে সামনে দাঁড় করিয়ে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করিয়ে ছবি তুলাচ্ছে। আর বলছে,”তোকে সেই লাগছে রে।”
ড্রয়িং রুমে শব্দ শুনে মায়া ছুটে যায় সেখানে গিয়ে দেখে রিজা বিশ্রী অঙ্গভঙ্গি করছে আর সোহাগ তার ছবি তুলছে। মায়ার দিকে চোখ পড়তেই সোহাগ বলে,”এসো দেখো মায়া, তোমার বোনকে কি সুন্দরই না লাগছে।” মায়া অবাক হয়ে দেখে, রিজা আজ সবকিছু সবুজ পড়েছে। কিন্তু সবুজ রঙের লিপস্টিক কই পেল ও? আস্তে আস্তে ওর কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করে,”সবুজ লিপস্টিক কই পেয়েছিস তুই?”

রিজা মুখটা লজ্জিত ভঙ্গিতে নিয়ে বলে,” সাব্বিরের সবুজ কালার পেনসিল এর সাথে পানি মিশিয়ে নিয়েছি। সুন্দর লাগছে না আমাকে?”

আমি মায়াবতী পর্ব ৩১

মায়া আর নিজেকে আটকাতে পারে না। কান্না করতে করতে সজোরে দুটো থাপ্পড় মেরে দেয় রিজাকে। রিজা হতভম্ব হয়ে তাকায় মায়ার দিকে। সোহাগও অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। বলে,”কি হলো মায়া? কোনো সমস্যা? ও কি কিছু করেছে?”
মায়া প্রচন্ড ঘৃণা নিয়ে সোহাগের দিকে তাকিয়ে বলে,”বের হয়ে যান আমার বাসা থেকে। আর কখনো এইমুখো হবেন না। আমি আপনার কাছে পড়বোও না। আপনার মুখও দেখতে চাই না আমি। চলে যান আপনি।”

আমি মায়াবতী পর্ব ৩৩