এই কেমন ভালোবাসা পর্ব ২৩ || নুর নাফিসা খুশি || SA Alhaj

এই কেমন ভালোবাসা পর্ব ২৩
নুর নাফিসা খুশি

মাহির গাড়িতে বসে গাড়ি চালাতে শুরু করবে তখনই ফোনে মেসেজ আসে। হোয়াটস অ্যাপ অন করে দেখে একটা ভিডিও। মাহির ভিডিও অন করে দেখে খুশির হাত পা চেয়ারের সঙ্গে বেঁধে রেখেছে।খুশির এখনো জ্ঞান ফেরেনি।নীল তার হাত দিয়ে খুশির চুল সরিয়ে এক আঙ্গুল দিয়ে গালে স্লাইড করে।এটা দেখেই মাহির ক্ষেপে যায়। সঙ্গে একটা মেসেজ দেয় মেসেজে লেখা,” বেশি চালাকি করার চেষ্টা করবি না পুলিশ কে একদমই বলবি না নইলে তোর খুশির সঙ্গে আরও খারাপ হবে”।মাহিরের রাগে শরীর কাঁপছে।ফোন বন্ধ করে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে যায় খুশিকে খুঁজতে।

মাহির হন্ন হয়ে সব যায়গায় খুঁজে,নীলের সব আড্ডার যায়গায় যায়।কোথাও পায়না নীল কে। এমন কোন যায়গা নেই যেখানে মাহির দেখেনি। মাহির ক্লান্ত হয়ে বসে পরে।মাহিরের চোখ থেকে দুই তিন ফোটা পানি গড়িয়ে পরে। আজ যদি খুশির কিছু হয়ে যায় কি করবে সে,কি নিয়ে বাঁচবে। খালামনিকেই কি জবাব দিবে মাহির। খালামনি তো মাহিরের ভরসায় খুশিকে এই শহরে পাঠিয়েছিলো। এখন খুশির কিছু হলে মুখ দেখাবে কি করে খালামনি কে। রামপুর থেকে আসার সময় খুশির আব্বু কে দেওয়া কথা,সেটা কি রাখতে পারবে না মাহির।

মাহিরের কানে ভেসে উঠে একটাই কথা, “চিন্তা করবেন না আমি খুশির খেয়াল রাখবো “। কই খেয়াল রাখল মাহির।সে ঠিকই বিপদের মুখে ঠেলে দিল খুশি কে। সব কিছু ভেবে মাহিরের মাথা হ্যাং হয়ে যায়।মাথা চেপে ধরে দুই হাতে। নিজেকে শান্ত করে মাহির।তার হাতে বেশি সময় নেই। ঘড়ি দেখে, আর মাত্র ২০ মিনিট সময়। মাহির ভাবতে লাগে খুশি কে কোথায় রাখতে পারে নিল। কিছুক্ষন ভেবে ফোন হাতে নিয়ে মাহির নীলের দেওয়া ভিডিও টা আবার অন করে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখতে লাগে। খুশি কে চেয়ারে বেঁধে রাখা হয়েছে।রুমটা অন্ধকার না, পুরো রুমে আলো। তখনই মাহিরের চোখ যায় খুশির পেছনে দেওয়ালে লেখা ‘Taj Bengal’ এর দিকে। মাহিরের মুখে হাসি ফুটে উঠে। তারমানে নীল খুশি কে নিয়ে তাজ হোটেলে আছে।কিন্তু মাহিরের এখান থেকে তাজ হোটেল যেতেই ১ ঘন্টা মতো সময় লাগবে। এখন কি করবে মাহির তাই ভাবছে। তখনই মাহিরের মাথায় একটা আইডিয়া আসে। যেই ভাবা সেই কাজ।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

এই দিকে মাহিরের ফুফি রেহানা তার ভাই ভাবির চোখ ফাকি দিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছে নীল রুকশা যেখানে আছে সেখানে যাওয়ার উদ্দেশ্য। ফুফি নীলের কাছে এসে বলে।
” মেয়েটা কই?”
নীল ইশারায় দেখিয়ে দেই। ফুফি পিছনে তাকিয়ে দেখে খুশি এখনো সেন্সলেস হয়ে আছে। রেহানা ফুফি খুশির কাছে গিয়ে খুশির মুখটা চেপে ধরে বলে,
“এই মেয়ে আমার রাস্তার কাঁটা।এইটা কে এখনো ঠিক রেখেছ কেন? এই মেয়ের এমন অবস্থা করো যাতে মাহির ও ফিরে না তাকাতে পারে।”

” আমিও তাই চেয়েছিলাম কিন্তু আপনার মেয়ে আমাকে করতে দেয়নি।”(রাগ নিয়ে বলে নীল)
রেহানা রাগি চোখে তার মেয়ে রুকশার দিকে তাকায়, রুকশা মাথা নিচু করে নেয়। রুকশা পারেনি সে নিজে একটা মেয়ে হয়ে আরেকটা মেয়ের ক্ষতি করতে। এটা ঠিক রুকশা চায় খুশি মাহিরের থেকে দূরে সরে যাক কিন্তু সেটা এই ভাবে না। সমাজার কাছে খারাপ, কলঙ্ক হয়ে না। তাই নীল চেষ্টা করেও খুশি কে এখনো কিছুই করতে পারেনি,রুকশা দেয়নি। রেহানা বলে,
“তোমাদের কিছুই করা লাগবে না।এবার যা করার আমি নিজে করবো।”
নীলের ফোন বেজে উঠে। নীল ফোন হাতে নিয়ে দেখে মাহিরের ফোন।নীল রিসিভ করে কানে দিতেই তার কানে ভেসে উঠে এক বাচ্চা মেয়ের কথা,

” ভাইয়া তুমি কোথায়? দেখ না একটা ভাইয়া আমাকে চকলেট দিব বলে কোথায় যেনো নিয়ে এসেছে।কিন্তু এখনো চকলেট দিচ্ছে না।”
নীলের বুক মোচর দিয়ে উঠে আদরের বোনের কথা শুনে।নিজেকে সামলে নিয়ে বলে,
“মিস্টি ওই ভাইয়াকে ফোনটা দাও তো।” (নিল)
” আচ্ছা ভাইয়া দিচ্ছি। তুমি বকে দিও তো আমাকে চকলেট দেয়নি তাই। আর বলবা যাতে চকলেট দিয়ে দেয়।”
“হুম। ”
বাচ্চাটা ফোন মাহিরকে দেয়।মাহির ফোন নিতেই নীল রেগে বলে উঠে,

” মাহির আমার বোন তোর কাছে কি করছে!কোথায় পেলি তুই ওকে? তোর শত্রুতা আমার সঙ্গে তুই আমার বোনকে কেন নিয়ে গেছিস। আর কোথায় নিয়ে গেছিস?”(অনেক রেগে নিল বলে)
“হাহাহাহা!”(মাহির উচ্চ স্বরে হেসে উঠে)
” কু*র বাচ্চা আমি কিছু জিজ্ঞেস করেছি। তুইই হাসিস কেন! আমার বোনের কোন ক্ষতি করবি না। ওকে বাড়িতে রেখে আয় মাহির।”
“এখন কেমন লাগছে তোর নীল? নিজের বোনের বিপদের কথা শুনে? এখন আমি যদি তোর বোনের ক্ষতি করি তো কি করবি তুই?”

” না তুই মিস্টির কোন ক্ষতি করবি না।” (ভয় পেয়ে)
“তাহলে আয় তোর সাথেও একটা গেম খেলা যাক। “(মাহির)
” কিসের গেম।”
“তোকে দুই ঘন্টা সময় দিলাম। তোর বোন কে খুঁজে বের কর যা।”
বলেই ফোন কেটে দিল মাহির। এই দিকে নীল হ্যালো হ্যালো করেও আর পেল না। নীল রেহানা,রুকশাকে কিছু না বলেই চলে যায়। রুকশা রেহানা নীলের যাওয়ার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো।
১০ বছরের ছোট বোন মিস্টি নীলের।নীল নিজের জীবনের চেয়ে মিস্টিকে বেশি ভালোবাসে।এক কথায় নীলের দুনিয়া বলতে মিস্টি। মাহির অনেক বার দেখেছে মিস্টিকে নিয়ে ঘুরতে নীলকে। একমাত্র মিস্টিই নিলের দূর্বলতা যা দিয়ে নীল কে আটকানো যাবে। সেটাই কাজে লাগিয়েছে মাহির।

” ভাইয়া তুমি আমাকে চকলেট দিলা তবুও কেন নীল ভাইয়া কে মিত্থা বলতে বললা হুহ?”(মিস্টি মাহির কে বলে)
“দেখছিলাম তোমার ভাই তোমাকে কতটা ভালোবাসে।”(মাহির মুচকি হেসে বলে)
” অনেক ভালোবাসে আমাকে।তুমি আমাকে চকলেট দাও নি বলেছি তো তোমাকে খুব বকা দিয়েছে তাই না? আচ্ছা ভাইয়া আসলে আমি ভাইয়া কে সত্যি বলে দিব যে তুমি আমাকে চকলেট দিয়েছিলা, ঠিক আছে? তুমি মন খারাপ করো না।’
মিস্টির কথায় মাহির মুচকি হাসে আর বলে”
“আর কি খাবে বলো।”
” আর কিছু না এখন আমাকে বাড়িতে দিয়ে আসো। নয়তো ভাইয়া চিন্তা করবে।”
“আচ্ছা চলো।”

খুশির জ্ঞান ফিরলে আস্তে আস্তে চোখ খুলে। চোখ খুলে রুমের তীব্র আলোয় আবার চোখ বন্ধ করে ফেলে। আস্তে আস্তে চোখ খুলে বুঝার চেষ্টা করছে কোথায় আছে সে।আর সে নড়তে পারছে না কেন। কথা বলতেও পারছে না কেন?খুশি এবার নিজের দিকে তাকিয়ে দেখে কি অবস্থায় আছে সে। সেটা দেখতেই চমকে উঠে। চেয়ারে হাত পা বাঁধা অবস্থায় বসা আর মুখও বাঁধা। চোখ থেকে পানি পরতে লাগে খুশির।চিৎকার করে বলতে চাছে, ছেড়ে দাও আমাকে, কেন আটকে রেখেছো। কিন্তু খুশি কিছুই বলতে পারছে না। এবার খুশির চোখ যায় সামনে বেডে বসে থাকা রুকশার দিকে,সে ফোন টিপছে। তার পাশের সোফায় ফুফি কে দেখে আরও অবাক হয় খুশি। এরা এখানে কি করছে ভাবে আর আছেই যখন খুশিকে ছাড়াচ্ছে না কেন!

হঠাৎ ফুফির চোখ যায় খুশির দিকে। খুশি তার দিকেই ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে। রেহানা শয়তানি হাসি দিয়ে উঠে আসে।খুশির দিকে গিয়ে বলে,
” বাহ মহারানির ঘুম ভাঙ্গলো তাহলে।ভালোই হয়েছে, তোমার ঘুম ভাঙ্গারই অপেক্ষায় ছিলাম।”
রেহানার কথা কিছুই বুঝতে পারছে না খুশি।রুকশা চুপ চাপ বসে আছে আর দেখছে তার আম্মু কি করছে। রেহানা খুশির মুখ খুলে দেয়।খুলা মাত্র খুশি বলে।
“ফুফি আপনি আমাকে এখানে কেন এনেছেন আর এভাবে বেধে রাখার মানে কি?”
” মানে খুব সোজা।তোকে আমার রাস্তা থেকে সরানোর জন্য। ”
“আমি কি করেছি তোমাদের?”

“তোর একটাই ভুল,তোকে মাহির ভালোবেসেছে। তোর পিছনে পাগল হলে রুকশার সঙ্গে বিয়ে দিব কিভাবে?আমার যে মাহিরের সম্পত্তি সব চাই।”
“ছি!আপনি এতো বাজে! আপনাকে সবাই কত বিশ্বাস করে আর আপনি এমন করলেন!”
“ওরা আমার সঙ্গে যা করেছে সেটা কিছু না? আমাকে বাবার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছে আর আমি বদলা নিলেই ভুল?”
এই দিকে মাহির মিস্টিকে তার বাড়িতে রেখে এসে তাজ হোটেলের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পরে।নীল সব যায়গায় খুঁজে মাহির কে কিন্তু পায় না। নীল এখনো জানে না মাহির মিস্টিকে বাড়িতে রেখে এসেছে। নীল বাড়িতে ফোন করে এবার,

” হ্যালো আম্মু, মিস্টি কোথায়?”
“মিস্টি তো অনেক আগেই স্কুল থেকে বাড়িতে এসেছে।এখন খেলা করে।কেন কি হয়েছে?”
” কিছু না রাখছি।”
ফোন কেটেই নীল রেহানাকে ফোন করে,
“মাহির খুশির খোঁজ পেয়ে গেছে।হয়তো এখন চলেও গেছে সেখানে।খুশি কে নিয়ে চলে যান আপনারা। ”

রেহানার রাগ আরও বেড়ে যায়।আজ যদি খুশির কিছু না করে তো হাত থেকে সব বেরিয়ে যাবে। রেহানা তার ব্যাগ থেকে একটা বিষের শিশি বের করে খুশির সামনে নিয়ে আসে। রুকশা তার আম্মুর হাতে বিষ দেখে চমকে উঠে।রেহানা খুশির মুখ চেপে যখনই খাওয়াতে যাবে রুকশা এসে বাধা দেয় রেহানাকে।
” আম্মু তুমি কি করছো এসব? সম্পত্তির লোভে তুমি খুন করবা? এটা ঠিক না আম্মু।”(রুকশা)
“রুকশা ছাড় আমাকে।আমি যা করছি আমাদের ভালোর জন্য করছি।”

” এতে কোনো ভালো নেই আম্মু। আর তুমি কি ভাবছো? মাহির তোমাকে ছেড়ে দিবে খুশির সাথে এমন করায়।”
“ছেড়ে দিক আর না দিক আমার কিছু যায় আসে না। তুই আমাকে ছাড় নয়তো এই বিষ খেয়ে আমিই মরে যাবো।”
মা এর মুখে এমন কথা শুনে হাত ছেড়ে দেয় রুকশা। রুকশা কখনো এমন জিনিস চায় না যেটা তার না। মাহিরের প্রতি ও তার কোন ইন্টারেস্ট নেই। প্যারিসে ড্যানি নামের এক ছেলেকে খুব ভালোবাসে রুকশা। কিন্তু তার আম্মুর জোরাজুরিতে এখানে এসে মাহিরের পিছনে পরেছে।

খুশি রুকশা ও তার আম্মুর কথা শুনে বুঝতে পারে তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে।
” দোয়া করে এমন করবেন না ফুফি।আমার আব্বু আম্মু আমাকে ছাড়া বাঁচবে না।আমি মাহিরের থেকে দূরে চলে যাব তবুও এমন করবেন না প্লিজ। আমার আব্বু আম্মুর মুখের দিকে তাকিয়ে,প্লিজ ফুফি।”(কান্না করে বলে খুশি)
কিন্তু রেহানা কিছুই শুনে না খুশির কথা। মুখ চেপে ধরে মুখে ভরে দেয় বিষ। খুশি ফেলে দিতে চাইলে মুখ চেপে ধরে তবুও খুশি গিলতে চায়না দেখে রেহানা আরেক হাতে খুশির নাক চেপে ধরে। নিশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ায় বিষ গিলে নিতে বাধ্য হয় খুশি। ঝর ঝর করে কান্না করছে খুশি। রেহানা পাগলের মতো হেসে উঠে। রুকশা আর দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে খুশির হাত পায়ের বাঁধন খুলে দেয়। কিন্তু তা করতে করতে বিষের কাজ শুরু করে দিয়েছে। বুকে অসহ্যকর জ্বালা করতে লেগেছে। বুক গলা যেনো পুরে যাচ্ছে

খুশির। দাঁড়িয়ে থাকার শক্তি পাচ্ছে না খুশি। সঙ্গে সঙ্গে রক্ত বমি করতে লাগে খুশি।
রুকশা এসব আর সহ্য করতে পারছে না।তাই মাহির কে মেসেজ দিয়ে রুম নাম্বার বলে দেয়। কারন মাহির আসবে,এসে রুম খুঁজতেও সময় লাগবে। মাহিরের ফোনে রুকশার মেসেজ,তাও খুশি কোন রুমে আছে সেটা বলেছে। মাহিরের মনে সন্দেহ জাগে। মাহিরের মন ছটফট করছে। মনে হচ্ছে খারাপ কিছু হবে। মাহির দ্রুত গাড়ি চালিয়ে চলে যায়।
খুশির আম্মুর বুক টা হঠাৎ করেই ধুক করে উঠে। মন টা বড্ড আনচান আনচান করছে।বুঝতে পারছে না কেন তার এমন হচ্ছে। কিছু কি খারাপ হবে তাহলে? ভেবেই খুশির আম্মু চিন্তায় পরে যায়। খুশির সঙ্গে কাল রাত থেকে কথা হয়নি।খুশি ঠিক আছে তো! সব কিছু ভেবেই চিন্তা করছে খুশির আম্মু।

সন্তানের বিপদে মায়েরা কি ঠিক থাকতে পারে? খুশির এমন বিপদে খুশির আম্মুও দূরে থেকেও ঠিক নেই।’
মাহির হোটেলের রুমে প্রবেশ করে দেখে পুরো ফ্লোর রক্তে মাখা মাখি। এতো রক্ত দেখে থমকে দাঁড়ালো মাহির।পাশে তাকিয়ে দেখে খুশি কাতরাচ্ছে। রক্ত বমি করেই যাচ্ছে। রুমে অন্য কেউ নেই।মাহির আসার আগেই রেহানা রুকশা কে নিয়ে চলে গেছে লুকিয়ে। মাহির দৌড়ে খুশির কাছে যায়।বলে,
“খুশিইই!কি হয়েছে তোর? এমন কেন হচ্ছে! খুশি কথা বল।”(মাহির কান্না করে)
মাহির কে দেখে খুশি সব কষ্ট ভুলে মাহির কে ভাঙ্গা গলায় বলে,

এই কেমন ভালোবাসা পর্ব ২২

” ভাইয়া আমি বাঁচবো না রে,আমি বাঁচবো না। আমি মরে যাবো,ওরা আমাকে বাঁচতে দিল না। আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি ভাইয়া।আমি তোমার সঙ্গে থাকতে চেয়েছিলাম।ওরা আমাকে থাকতে দিল না। আমার আম্মু আব্বুকে এনে দেও ভাইয়া।শেষ বারের মতো একটাবার দেখি, প্লিজ। আমার হাতে সময় নেই বেশি। ”
“কি বলছিস! চুপ কর খুশি।তোর কিছু হবে না। আমি তোর কিছু হতে দিব না। কে তোর এমন অবস্থা করেছে আর এমন করছিস কেন তুই?”

” তোমার ফুফি আমাকে বিষ খাইয়ে দিয়েছে ভাইয়া। আমি আর বাঁচবো না।”
খুশির কথা শুনে মাহিরের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরে। ফুফি বিষ খাইয়ে দিয়েছে!মাহির চিৎকার করে বলে,
“তোর কিছু হবে না খুশি! কিছু না।”
বলেই মাহির খুশি কে কোলে তুলে নিয়ে যেতে লাগে।
” আমি বাঁচতে চাই ভাইয়া। আমি তোমার সঙ্গে বাঁচতে চাই।”
বলেই খুশি চুপ হয়ে যায়। শরীর নড়ে না,কথাও বলে না।চোখটাও বন্ধ।
“খুশি,খুশি। কথা বল। খুশি!”

এই কেমন ভালোবাসা পর্ব ২৪