এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ২৫ || লেখনীতে: তানজিল মীম

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ২৫
লেখনীতে: তানজিল মীম

—-“কি হলো ভাই কথা বলছিস না কেন?’
“আচমকা আফরিনের কন্ঠ শুনে রিয়াদ তার ভাবনা থেকে বেরিয়ে এলো’!!তারপর বললোঃ
—-“না কিছু না…
—-“তাহলে বলছিস না কেন?কেমন কাটালি বাংলাদেশে?’
“রিয়াদ কফির মগে একচুমুক দিয়ে বললোঃ
—-“আর বলো না আপু এই কয়েকদিনে কত কিছু ঘটে গেছে….
“তারপর রিয়াদ একে একে সব ঘটনা বলতে লাগলো আফরিনকে?আফরিন তো অবাক সব শুনে অবাক হয়েই বললো সেঃ

—-“তানজু এত দুষ্টু?’
—-“তাহলে বলছি কি?’তবে খুব ভালো…
“হাল্কা হাসলো আফরিন!’তারপর আরো কিছুক্ষন রিয়াদের সাথে গল্প করে বেরিয়ে যায় রুম থেকে…
“আফরিন বের হতেই রিয়াদ কফি হাতে নিয়েই এগিয়ে যায় বেলকনির দিকে,রিয়াদের বেলকনিটা অসম্ভব সুন্দর দু-ফ্লোরের ছাঁদ ওয়ালা দোতলা বাড়ি, যার চারপাশটাই অসম্ভব সুন্দর,চারদিকে বিভিন্ন ধরনের গাছপালায় ঘেরা!’আর রিয়াদে বেলকনির চারপাশে ঘিরে রয়েছে রংবেরঙের ফুলগাছ,রিয়াদ আস্তে গিয়ে দাঁড়ায় বেলকনির রেলিং ধরে…
“তারপর কফি হাতেই চোখ দুটো বন্ধ করে নেয় সে’!!সাথে সাথে ভেসে আসছে তানজুর মুখ,রিয়াদ আবার চোখ দুটো খুলে ফেলে তারপর কফির মগে চুমুক দিয়ে আনমনেই ভাবলো সেঃ
—-“কি জানি তানজু এখন কি করছে?’

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

“সন্ধ্যা_৭ঃ০০টা…..
“বইয়ের পাতায় মুখ গুঁজে চেয়ারে বসে আছি আমি,কিছু ভালো লাগছে না, ধুর একরাশ বিরক্ত মাখা মুখ নিয়ে বই রেখে মোবাইলে হাত রাখলাম, ফেসবুকিং করতেও ইচ্ছে করছে না ধুর ছাতা আমার কিছু ভালো লাগছে না কেন?’
“মুড অফ নিয়েই পড়ার টেবিল থেকে উঠে দাঁড়ালাম আমি,তারপর চলে গেলাম বেলকনিতে ইদানীং কিছু ভালো লাগে না,কেন লাগে না বুঝতে পারছি না….
“হর্ঠাৎই রিয়াদ ভাইয়ার সাথে কাটানো মুহূর্তগুলোর কথা মনে পরলো,সত্যি আমরা খুব মজা করেছি,,আনমনেই হেঁসে উঠলাম আমি….

“সময় অতি মূল্যবান জিনিস,সময় মানুষকে বুঝিয়ে দেয় অনেককিছু, তোমার কাছে কে বেশি ইমপোর্টেন্স আর তুমি কার কাছে কতোটা ইমপোর্টেন্স,ব্যস্ত সময়েই ব্যস্ত হয়ে পরে রিয়াদ তানজু দুজনেই,দেখতে দেখতে কেটে যায় পুরো দু’মাস ১০ দিন….
“নিজেদের স্বাভাবিক জীবনে আবারো ব্যস্ত হয়ে পড়ে দুজনেই,রোজ ভার্সিটি,আম্মুর বকা,বাচ্চাদের সাথে খেলাদুলো, সাথে ফেসবুকিং করতে করতে দিন কেটে যায় তানজুর,সে তার মতো তার লাইফে স্বাভাবিক হয়ে গেছে….
“আর অন্যদিকে ডাক্তার হওয়ার লাস্ট এক্সামের দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে রিয়াদ,এবারের এক্সামে ভালো ফলাফল অর্জন করলেই রিয়াদের আমেরিকা এসে পড়াশোনা করা স্বার্থক হবে,জীবনের সবচেয়ে বড় ইচ্ছে পূরণ হবে তার,রোজ বন্ধুদের সাথে আড্ডা,পড়াশোনা আর তানজুর কথা ভাবতে ভাবতেই দিন কেটে যাচ্ছে রিয়াদের,,,সবকিছুই ঠিক ছিল সময়ের সাথে সাথে সবকিছুই স্বাভাবিক হচ্ছিল, শুধু স্বাভাবিক হলো না রিয়াদের তানজুর প্রতি ফিলিংস,তার ভালোবাসা,দিনের শুরুতে সবকিছু ঠিক থাকলেও রাত হলেই কিছু ভালো লাগে না রিয়াদের,ইচ্ছে করে তার দৌড়ে বাংলাদেশ গিয়ে ঝাপটে জড়িয়ে ধরতে তানজুকে আর বলতেঃ

—-“ভালোবাসি প্রিয়সী….
“কিন্তু আফসোস এটা রিয়াদ করতে পারছে না,,তানজুর কথা ভাবলেই সবকিছু এলেমেলো হয়ে যায় তার!’কেমন পাগল পাগল লাগে নিজেকে,,তাই তো রোজ রাতে রিয়াদ গ্রামে বসে তোলা তানজুর সব ছবিগুলো দেখে আর দেখেই খুশি হয়ে যায়,,অপেক্ষা অতি মূল্যবান জিনিস, আর অপেক্ষার ফল খুব মিষ্টি এটা বিশ্বাস করে রিয়াদ!’তাই তো ভেবে নিয়েছে সে আবার যখন দেখা হবে তানজুর সাথে তখনই তার মনের কথা বলে দেবে রিয়াদ….

“মাঝে মাঝে দু’একবার কথা হয় রিয়াদের তানজুর সাথে ফেসবুকে,অনেকবার ভেবেছিলো রিয়াদ ফেসবুকেই বলে ফেলবে তার ভালোবাসার কথা কিন্তু আবার ভাবে না দূর থেকে নয় কাছে গিয়ে বলবে সে তানজুকে তার মনের কথা…
“ধীরে ধীরে রিয়াদের এই চাওয়া আরো গভীরতা হয়ে যায়’!!মনে মনে খুব এক্সাইটিং এ আছে রিয়াদ….
“আরেক দিকে শিফা-আহানের ভালোবাসাও গভীরতায় রূপ নিয়েছে,এখন তারা দুজন বলতে দুজনের জন্য পাগল,অসম্ভব ভালোবাসে আহান শিফা দুজন’দুজনকে!’রোজ ভিডিও অডিও চ্যাটিং সবকিছুই হয়,হয়তো খুব তাড়াতাড়ি তারা বাড়ির লোকদের বলে ফেলবে তাদের সম্পর্কের কথা…..
“আর বাকি রইলো রুহি,রুহি অপেক্ষায় আছে রিয়াদের, রিয়াদ যেদিন ডাক্তার হয়ে দেশে ফিরবে সেদিনই রিয়াদকে তার মনের কথা বলে দিবে রুহি,,
“অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হতেই চায় না কারোর….

–“ঠিক এমন এভাবে
তুই থেকে যা স্বভাবে…,
–“আমি বুঝেছি ক্ষতি নেই
আর তুই ছাড়া গতি নেই…,
–“ছুঁয়ে দে আঙুল,ফুটে যাবে ফুল,ভিজে যাবে গাঁ,
কথা দেওয়া থাক,গেলে যাবি চোখের বাহিরে না…(২)
“ওওওওওওওও…..?
“বেলকনিতে নরম তুলতুলে ফোমের তৈরি চেয়ারের বসে গিটারের টোন দিতে দিতে গান টা গাইছে রিয়াদ আর চোখের সামনে ভেসে আসছে তার তানজুর সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো…
“কাঁদা পানি ফেলা থেকে শুরু করে ছোট ছোট দুষ্টুমিগুলো,সাথে তানজুর লুঙ্গি ড্যান্স,,বিয়ে বাড়ির পাগলামি..
“একে একে সব ভেসে আসছে রিয়াদের,,এসব ভেবে ভেবে আবারো গেয়ে উঠলো রিয়াদঃ
–“তোরই মতো কোনো একটা কেউ,কথা দিয়ে যায়, ছায়া হয়ে যায়….
–“তোরই মতো কোনো একটা ঢেউ,ভাসিয়ে আমায়, দূরে নিয়ে যায়….
–“ছুঁয়ে দে আঙুল,ফুটে যাবে ফুল,ভিজে যাবে গাঁ,
কথা দেওয়া থাক,গেলে যাবি চোখের বাহিরে না…(২)
“ওওওওওও….?

“গান গাইতে গাইতে চোখ বন্ধ করে নিলো রিয়াদ আবারো ভেসে আসলো রিয়াদের তানজুর সাথে কাটানো সেসব মুহূর্তগুলো যেসব মুহূর্তগুলো রিয়াদকে নতুনভাবে শিখিয়ে ছিলো তানজুকে,বাচ্চাদের সাথে দুষ্টমি,দোলনায় উঠার হাসির মুখখানা,পুরো সবুজের ঘেরা রিয়াদের হাত ধরে চলে যাওয়া সেই মনোমুগ্ধকর জায়গায় খোলা আকাশের মাঝখানে,চারিদিকে ফুলে ঘেরা সমরোহ, সবুজ ঘাসের উপর দাঁড়িয়ে চোখ বন্ধ করে বৃষ্টিতে ভেজার তানজুর প্রতিচ্ছবি,তানজুর ট্রাক্টরে চলা,বৃষ্টির মাঝে রিয়াদের হাত ধরে পুরো গ্রাম ঘোরা,সাথে খোলা আকাশের মাঝখানে বৃষ্টির ভিতর সবুজ ঘাসের মাঝে শুয়ে থাকার মুহূর্তে, মাটির গন্ধ, পাখির কলরব সবমিলিয়ে পাগল করে দিচ্ছে রিয়াদকে…
“রিয়াদ চোখ খুলে আবারো গেয়ে উঠলোঃ

–“আঁটকে তোকে রাখতে চাইছি খুব, সকালে আমার, বিকেলে আমার…
–“তুই ডাক না দিলে,থাকবো আমি চুপ, ধীরে তে আমার, দুপুরে আমার….
— “ঠিক এমন এভাবে
তুই থেকে যা স্বভাবে…,
–“আমি বুঝেছি ক্ষতি নেই
আর তুই ছাড়া গতি নেই…,
–“ছুঁয়ে দে আঙুল,ফুটে যাবে ফুল,ভিজে যাবে গাঁ,
কথা দেওয়া থাক,গেলে যাবি চোখের বাহিরে না আআ….(২)
“ওওওওওওওও….?
“কল্পনায় ভেবে উঠছে রিয়াদ…

“রাতের আকাশের জোৎসা ঘেরা আলোতে খোলা মাঠের মাঝখানে গাছের আড়ালে সবুজ ঘাসের উপর শুয়ে থাকা রিয়াদ তানজুর একসাথের দৃশ্য,একসাথে রাতের তারাগুলোকে গুনে দেখা, সাথে মেলায় তানজুর ঝগড়া,আর সবশেষে রাতের অন্ধকারে জোনাকি পোকার আনাগোনা নজরকারা সেই দৃশ্য, সাথে মাঝরাতে বৃষ্টিতে বাচ্চাদের মতো পাগলামি একে একে সবকিছু ভেসে আসলো রিয়াদের সামনে, বুকের ভিতর এক অস্থিরতা ভাব,রিয়াদ তানজুকে ফিল করেই গানটা গাইলো,রিয়াদ এতটাই বিভোর ছিল তানজুতে যে তার পাশে এসে কেউ বসে আছে তা বুঝতেই পারে নি রিয়াদ….
“রিয়াদের গান শেষ হতেই আহান হাতে তালি দিতে দিতে বললোঃ

—-“উফ,দোস্ত কি গান গাইলি আমি তো পুরো হা হয়ে গেছি,,মনে হচ্ছিল কোনো এক বিভোরে আঁটকে গেছি….
“আহানের কন্ঠ শুনে রিয়াদ তার ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসলো’!!হাল্কা হেঁসে বললো সেঃ
—-“ওহ,তুই কখন এলি?’
—-“অনেক্ক্ষণ কিন্তু কি ব্যাপার হর্ঠাৎ তুই গান গাচ্ছিস…
—-“না তেমন কোনো ব্যাপার নয় এমনি,চল ভিতরে গিয়ে বসি…
“বলেই রিয়াদ হাতে তার গিটারটা নিয়ে বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো তারপর আহানকে সাথে নিয়েই এগিয়ে গেল সে’!!ভিতরে ঢুকতেই আহান বলো উঠলঃ
—-“না কোনো না কোনো ব্যাপার তো আছেই, বল আমায় আর ইদানীং তোর ভিতর কিছু পরিবর্তন দেখছি,অকারণে হাসিস তুই কি হয়েছে তোর…
“রিয়াদ আনমনে হাসলো আহানের কথা শুনে’!!আহান বিছানায় বসে বললোঃ

—-“তুই আবার হাসছিস…
“আহানের কথা শুনে রিয়ান ঘোরের মধ্যে বলে উঠলঃ
—-“ওহ খুব দুষ্টু,কিন্তু ভাড়ি মিষ্টি…
“আচমকা রিয়াদের মুখে এমন কথা শুনে চমকে উঠলো আহান, চোখ বড় বড় করে বললো সেঃ
—-“কে ভাড়ি মিষ্টি?’
—-“সেটা জেনে তুই কি করবি….
—-“মানে,
—-“বেশি মানে খুজতে যাস না,আমার কথা শোন?’
—-“হুম বল…
—-“বয়সটা বড়দের মতো হলেও স্বভাবটা একদম বাচ্চাদের মতো…
“আহান আবারো শকট রিয়াদের কথা শুনে,চোখ বড় বড় করে বললোঃ
—-“কার?’
—-“সেটা জেনে তুই কি করবি…
—-“যা বাব্বা এটা কোনো কথা….
—-“তুই এত বুঝতে যাস না,আমার কথা শোন…
“আহান নিরুপায় হয়ে বললোঃ
—-“হুম বল….
—–“আমি নিজের অজান্তেই ওকে ভা…..
“আর কিছু বলার আগেই একটা বিকট শব্দ হলো সাথে সাথে রিয়াদ আহান দুজনেই দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল…..
“বাহিরের বের হতেই দুজন স্তব্ধ হয়ে যায়,কারন আফরিন পড়ে গেছে সিঁড়ির উপর থেকে,,
“সাথে সাথে এক অজানা ভয় এসে গ্রাস করলো তাদের….

“রান্না ঘরে কাজ করছিল রিয়াদের মা,এমন সময় ফোন বেজে উঠল তার,মেয়ের কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে গেলেন উনি,
“মুহূর্তের মধ্যে পুরো পরিবেশ কেঁপে উঠল তাদের তানজু, রুহি,শিফা সহ সবাই আফরিনের অবস্থা শুনে ঘাবড়ে গেলো,একি তো আফরিনের ৯ মাস চলছে তারওপর সিঁড়ি উপর থেকে পড়ে গেছে আর কিছু ভাবতে পারলো না কেউ, সবার চোখ বেয়ে পানি পরছে,,
“রিয়াদের মা তো পুরো পাগল হয়ে গেছে, দিশেহারা হয়ে পড়েছেন উনি,রিয়াদের বাবাও নেই এখন,কোনো কাজে একটু দূরে গেছেন উনি,,রিয়াদের মাকে সবাই মিলে শান্ত করছে হর্ঠাৎই বলে উঠলেন উনিঃ
—–“আমি এক্ষুনি আমেরিকার যাবো যাই হয়ে যাক না কেন?’
—-“কিন্তু আপু,,,,
—-“কোনো কিন্তু নয় আমি আজই ফ্লাইটের টিকিট কাটবো….
“রিয়াদের মায়ের কথা শুনে সবাই বেশ হতভম্ব হয়ে পড়লো,তানজুর বাবা,দিহান দুজনেই বাড়ি নেই,দিহান বন্ধুদের সাথে পিকনিকে গেছে আর তানজুর বাবা কাজের জন্য শহরের বাহিরে,এই অবস্থায় কি করে কি হবে?’
“অনেকক্ষন ভেবে চিন্তে আম্মু বলে উঠলঃ

—-“ঠিক আছে আপু,কিন্তু তুমি একা নও তোমার সাথে তানজুও যাবে…
“মায়ের মুখে এমন কথা শুনে চমকে উঠলাম আমি!’অবাক হয়ে বললামঃ
—-“আমি….
—-“হুম তুই তোর বাবা,ভাই কেউ বাড়িতে নেই,দিহান থাকলে না হয় ওকে বলতাম কিন্তু যেহেতু নেই তাই তুই যা তোর খালামনির সাথে কাউকে তো সামলাতে হবে তাই না,….
—-“কিন্তু মা….
—-“কোনো কিন্তু নয় আমি জানি তুই পারবি….
“শেষমেশ আর কোনো উপায় না পেয়ে রাজি হয়ে গেলাম আমি,….
—–“ঠিক আছে….
—-“তাহলে আমি এক্ষুনি সব ব্যবস্থা করছি, তোর বাবার বন্ধু শফির চাচা আছে না পাইলট,ওনার হেল্পেই তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে সবটা…..
“এতক্ষণে যেন বোনের কথা শুনে প্রাণ ফিরে আসলো রিয়াদের মায়ের,,,যে করেই হোক তাকে তাড়াতাড়ি যেতে হবে তার মেয়ের কাছে….

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ২৪

“হসপিটালের বেডে শুয়ে আছে আফরিন অচেতন অবস্থায়,কিছুক্ষনের মধ্যেই তার অপারেশন শুরু হবে,,মাস্ক পরিধিত ডাক্তারের পাশে দাঁড়িয়ে আছে রিয়াদ,বোনের অবস্থা দেখে কষ্ট হচ্ছে তার,,কি থেকে কি হয়ে গেল বুঝতে পারছে না রিয়াদ…..

“মাঝখানে কাটলো দু’দিন!’সবকিছু গোছাতে গোছাতে দুদিন সময় লেগেছে তানজুদের, আজ রাতের ফ্লাইটে আমেরিকায় যাবে তানজু আর রিয়াদের মা….

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ২৬