এক মুঠো প্রণয় পর্ব ২৭

এক মুঠো প্রণয় পর্ব ২৭
লেখনীতে একান্তিকা নাথ

” হ্যাঁ জানি তো আমি।কোলে করে নিয়ে যাব।তোকে পা নাড়াতেও হবে না ”
আকস্মিক বলা কথাটা শুনে জ্যোতি অবাক হলো।কুঁচকে গেল ভ্রু জোড়া।চোখেমুখে খেলে গেল বিস্ময়। এমন একটা উত্তর সে মোটেও আশা করেনি। মোটেই ভাবেনি।স্থির চাহনীতে ভ্রু জোড়া কুঁচকে রেখে তাকিয়ে থাকল কেবল মেহেরাজের দিকে।
জ্যোতির মুখের চাহনী দেখেই মেহেরাজ ভ্রু উঁচু করল। সরু চাহনী ফেলে বলল,

” এবার সমস্যা হবে না আশা করি ”
জ্যোতির চাহনী এখনো বদলায়নি। চোখমুখে প্রশ্নময় দৃষ্টির বাহার নিয়ে একইভাবেই তাকিয়ে থাকল। উত্তরে কি বলা উচিত তাও যেন মস্তিষ্ক জানান দিল না। পাশ থেকে রিতু মিটমিট করে হেসে জবাব দিল,
” ভাইয়া, আপনি ওকে কোলে করে এখনই নিয়ে যেতে পারেন৷ আমি ব্যাগ গুঁছিয়ে দিচ্ছি। ”
মেহেরাজ রিতুকে চেনা না। গলা শুনে একনজর রিতুর দিকে তাকিয়ে দেখল জ্যোতির বিছানার পাশে চেয়ারটায় বসে মুচকি হাসছে। মুহুর্তেই গলা ঝেড়ে বলল,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন হউন

” তবে গুঁছিয়ে দিন। আমি একটু পর আবার আসছি।”
কথাটা বলেই মেহেরাজ বের হলো। জ্যোতির পায়ের যা অবস্থা রিক্সায় নেওয়া যাবে না। আবার সারা রাস্তা কোলে করেও নেওয়া যাবে না। একটা গাড়ি খুঁজতে হবে। তাই মূলত বেরিয়ে গেল। অপরদিকে জ্যোতি হতবিহ্বল চাহনীতে মেহেরাজের যাওয়ার পানে তাকিয়ে থাকল। পরমুহুর্তেই রুমে উপস্থিত আরো দুইজোড়া হাস্যোজ্জ্বল চোখের দিকে তাকিয়েই শ্বাস টানল।দরজার দ্বারে দাঁড়ানো মেয়েটির নাম তৃষ্ণা। বলা যায় রিতুর থেকেও দুয়েক ধাপ উপরে ঠাট্টা, মজা এসবে।দাঁড়িয়ে বুকে হাত গুঁজে ক্রমশ মুচকি হাসছে।হাসছে চেয়ারে বসে থাকা রিতুও। এগিয়েই এসেই রিতু চোখ টিপে বলল,

” কি সাংঘাতিক রেগে গেছেরে ভাইয়া? তোর মুখে কোনদিন উনার নামে কিছুই শুনিনি অথচ আজ এইটুকুতেই আমার মন বলছে উনি সাংঘাতিকভাবে ভালোবাসতে জানে। এমন একটা বর ফেলে কেউ একা একা পড়ে থাকে কিভাবে ভাই?”

রিতুর কথাটা শুনেই শব্দ করে হেসে উঠল তৃষ্ণাও। দুই পা এগিয়ে জ্যোতির কাছে এসেই বলল,
” ইশশ! দরজা খোলার পরই দেখি হ্যান্ডসাম একটা ছেলে।কোথায় ক্রাশ ট্রাশ খাব তা নয়, ছেলে গম্ভীর গলায় বলে উঠল,

‘ জ্যোতিকে একটু তাড়াতাড়ি আসতে বলবেন?’।প্রথমে না বুঝলেও পরে মনে পড়ল এটা জ্যোতির বর।মুহুর্তেই হৃদয়টা ভেঙ্গে খানখান হয়ে গেল। এমনভাবে বলল যেন বউকে দেখার জন্য কত যুগ ধরে তৃষ্ণার্ত। ”
রিতু ফের হেসে বলল,

“তাই নাকি? এখানে এসেই তো কি রাগ দেখাল। হাজব্যান্ড হলে এমন হওয়া উচিত।বুঝলি?বউ আঘাত পেলেই বউয়ের আগে বরের আঘাত লাগবে।কি বলিস তৃষ্ণা?”
তৃষ্ণা মাথা নাড়াল দ্রুত। ঠোঁট কাঁমড়ে বলল,
” একদম!এমন একটা জামাইয়ের অভাববোধ করছি খুব করে এই মুহুর্তে।”
রিতু আপসোসের সুরেই বলে উঠল,

” আমি তো এমন জামাইয়ের অভাবেই বিয়েটা করতে পারছি না। পাওয়া মাত্রই টুপ করে বিয়ে করে নিব।”
জ্যোতি সরু চোখে তাকাল দুইজনের দিকে৷ ছোট্ট শ্বাস টেনে স্বাভাবিক গলায় বলল,
” আচ্ছা বুঝলাম।”
রিতু প্রশ্ন ছুড়ল ভ্রু উঁচিয়ে,

” বুঝলি মানে? এত কেয়ারিং হাসব্যান্ড রেখে এতদূর কিভাবে মন টিকে তোর?”
জ্যোতি স্থির চাহনীতে তাকাল। সত্যিই মেহেরাজ অনেক কেয়ারিং আর দায়িত্ববান ছেলে। এই নিয়ে তার এইটুকুও সন্দেহ নেই। কিন্তু আধৌ কি মেহেরাজের মনে তার জায়গা হবে?জায়গা হওয়া তো দূর মেহেরাজ তাকে সম্পূর্ণ সম্পর্কটা থেকেই বের করে দিতে চায় এমনটা ভেবেই দুঃখ হলো। প্রিয়মানুষের সাথে অন্য কোন নারীকে সহ্য করার কষ্টে দহন ঘটল। চাপাস্বরে বলল,

” কেয়ারিং হলেই কি লাভিং পার্সন হওয়া যায়? একজনের প্রতি যত্নশীল হওয়া আর একজনকে ভালোবাসা এর মধ্যে তফাৎ নেই বলছিস? ”
রিতু নরম গলায় উত্তর দিল,
“থাকতে পারে। তবে আমার কিন্তু উনাকে দেখেই যথেষ্ট প্রেমিক পুরুষ মনে হয়েছে। লাইক এ কেয়ারিং এন্ড রোমান্টিক হাজব্যান্ড।”
জ্যোতি বলল,

” দ্বিতীয় সম্বোধনটা ভুল। তবে প্রথম সম্বোধনটা সঠিক। উনি যথেষ্ট কেয়ারিং , শুধু যে আমার প্রতি এমন নয়। সবার প্রতিই। ”
তৃষ্ণা অবাক হলো। গলাটা উঁচু করেই অবাক কন্ঠে বলে উঠল,
” উনি রোমান্টিক নয় বলছিস? ”
জ্যোতি নিরস গলায় উত্তর দিল,
” ঠিক জানা নেই।”

তৃষ্ণা জ্যোতির মাথায় চাটি মারল। দাঁত চেপে বলল,
” জানবি কি করে? জামাইকে ছেড়ে এতকাল এখানে পড়ে আছিস তো রোমান্টিকতার কি বুঝবি গর্দভ।তুই তো অদ্….”
কথাটুকু বলে শেষ না করতেই তৃষ্ণার চোখ গেল দরজার দ্বারে দাঁড়ানো মেহেরাজরন দিকে। তাদের কথোপকোতনের কতটুকু কি শুনেছে তা ভেবেই শুকনো ঢোক গিলল। ঠোঁট চওড়া করে মেকি হেসে বলল,

” একি ভাইয়া, এত তাড়াতাড়ি ফিরে আসলেন? আপনার পায়ের আওয়াজও তো শুনতে পেলাম না। ”
জ্যোতি মুহুর্তে ফিরে চাইল। মেহেরাজের নিঃশব্দে চলনের সম্পর্কে জানা আছে বলেই চমকাল না। কপাল কুঁচকে ভাবল রিতু আর তৃষ্ণার কতটুকু কথা শুনতে পেয়েছে?সে যে বলেছে সেগুলোই বা কতটুকু শুনল? জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে স্পষ্টস্বরে মেহেরাজের দিকে তাকিয়েই বলল,

” এই অবস্থায় সে বাসায় যাওয়াটা কতটুকু ইম্পোর্টেন্ট মেহেরাজ ভাই। মেহু আপু চিন্তা করবে তাই বলা হয়নি পায়ের কথাটা৷ আপনি গিয়ে বুঝিয়ে বললে ঠিকই বুঝবে।”
মেহেরাজ এগিয়ে আসল। শার্টের হাতা গুলো গুঁটিয়ে নিয়ে ঝুঁকে গেল জ্যোতির সামনে। টানটান গলায় বলল,
” সেটা আমি বুঝব। তোর থেকে শুনতে চাইছি না সেসব।”

কথাটা বলেই আর দেরি করল না সে। বলিষ্ট হাতজোড়া ছুঁইয়ে মুহুর্তেই তুলে নিল সামনের রমণীকে।সযত্নে কোলে তুলে রিতু আর তৃষ্ণার দিকে তাকিয়েই নরম গলা বলল,
” কাইন্ডলি কিছু কাপড় আর ঔষুধপত্র গুঁছিয়ে দিলে উপকার হবে। দিবেন?আমি ফের এসে নিয়ে যাচ্ছি।”
রিতু আর তৃষ্ণা মুহুর্তেই মাথা নাড়াল।সমস্বরে বলল,

” অবশ্যই ভাইয়া। আপনি যান, আমরা নিচে নেমে ব্যাগ দিয়ে আসছি। ”
মেহেরাজ হাসল। ঠোঁট গোল করে শ্বাস ছেড়ে পা বাড়াল জ্যোতিকে নিয়ে। অপরদিকে জ্যোতি অনুভূতিহীন হয়ে জমে রইল।তার জায়গায় অন্য কেউ থাকলে হয়তো প্রিয় পুরুষের এহেন কান্ডে লজ্জ্বায় নুঁইয়ে পড়ত। মুখটা হয়তো লজ্জ্বা রাঙ্গা রক্তিমতায় লালাভ হয়ে উঠত। কিন্তু তার মুখে খেলে গেল কেবল বিস্ময়। অবাক করা দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল মেহেরাজের মুখপানে৷ কি হচ্ছে না হচ্ছে কিছুই যেন বোধগম্য হলো না কিয়ৎক্ষনের জন্য। মেহেরাজ একনজর জ্যোতির দিকে তাকিয়েই চাপা হাসল। ধাপে ধাপে সিঁড়ি বেয়ে নেমে এসেই গাড়িতে জ্যোতিকে বসিয়েই ভ্রু উঁচু করল।তীক্ষ্ণ কন্ঠে বলল,

” এভাবে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে কি দেখছিস?আগে কখনো দেখিসনি আমায়?”
মেহেরাজের এই কথাটা শুনেই জ্যোতির মুখটা অপমানে থমথমে হয়ে এল। মুহুর্তেই নজর সরিয়ে অন্যপাশে তাকাল৷ এতক্ষন সবকিছু জমাট বাঁধা স্থির অনু়ভব হলেও এই মুহুর্তে এসেই তীব্র অস্থিরতায় ছটফট করে উঠল মন৷ অস্বস্তিতে হাত পায়ের তালু ঘেমে উঠল তৎক্ষনাৎ।

খেয়াল হলো কোলে তোলার সময় থেকে মেহেরাজের একটা হাত এতক্ষন তার পেটের উপরাংশেই চেপে রাখা ছিল। তার শরীরটা মেহেরাজের শরীরের সাথেই লাগোয়া ছিল এতোটা সময়। এসব ভেবেই ক্রমশ অস্বস্তি বাড়ল।অস্থির শিরশিরে অনুভূতি হলো সর্বাঙ্গে। সে অনুভূতি দমাতেই বারকয়েক শ্বাস ফেলল। মেহেরাজের দিকে চোখ তুলে তাকাতে নিতেই দেখল রিতু আর তৃষ্ণা এসে হাজির হয়েছে।তার ব্যাগ গাড়ির এককোণে রেখেই তৃষ্ণা চোখ টিপে ফিসফিস করে বলল,

” আমি আবেগে আপ্লুত দোস্ত।আই উইশ, আমারও পা ভাঙ্গুক। আমাকে আমার প্রেমিক এভাবেই যত্ন করে কোলে তুলে হাঁটুক। সুন্দর হবে না?”
জ্যোতির চাহনী ক্ষীণ হলো। তৃষ্ণা সে চাহনীকে পাত্তা দিল না। দাঁত কেলিয়ে হেসে মেহেরাজের দিকে তাকাল। বোকা বোকা হেসে বলল,

” ভাইয়া আপনি কিন্তু হাজব্যান্ড হিসেবে খুব ভালো। এমন হাজব্যান্ড কোথায় পাওয়া যাবে বলতে পারেন? ”
মেহেরাজ ভ্রু কুঁচকাল। রিতু আর তৃষ্ণা ততক্ষনে আর দাঁড়িয়ে রইল না।আকস্মিক কি বলে ফেলেছে তা বুঝতে পেরেই তৃষ্ণা লাজুক হেসে রিতুর হাত চেপে দ্রুত পা এগিয়ে সে স্থান ছেড়ে চলে গেল। মেহেরাজ চাপা হাসল৷বুক টানটান করে গাড়িতে উঠে বসেই তাকাল জ্যোতির দিকে। বলল,

” তোর উচিত ছিল এক্সিডেন্টের বিষয়টা জানানো৷ জানিয়েছিলি? আমাকে না হোক মেহুকে জানানো যেত না?”
মেহেরাজের শান্ত গলায় কথাগুলো শুনে জ্যোতি ফিরে তাকাল। মৃদুস্বরে বলল,

” এতকাল কিন্তু একা একাই সব ফেইস করেছি মেহেরাজ ভাই। কাঁটা ছেড়া হোক বা পা ভাঙ্গা। আজকে হয়তো এক্সিডেন্টের কথাটা কোনভাবে জেনে নিয়েছেন কিন্তু এতকাল তো আর জানতে পারেননি।এতকাল সবকিছু ঠিক সামলে নিতে পেরেছি। এখনও পারতাম। তাই আর জানাইনি।তাছাড়া এসব ছোটখাটো ঝামেলায় আপনাদের আর জড়াতে মন চায়নি।বেশিকিছু হলে আমি অবশই জানাতাম। ”

মেহেরাজের রাগ হলে। দাঁতে দাঁত চেপে তীক্ষ্ণ চাহনী ফেলে বলল,
” হ্যাঁ, ওপারে চলে গিয়ে জানাতি। রাইট? ”
জ্যোতি হাসল কিঞ্চিৎ। বলল,

” ওপারে চলে যাওয়ার মতো তো কিছু হয়নি। শুধু পায়ের একটা হাঁড় ভেঙ্গেছে।তেমন বিশিকিছু নয় এটা। ”
মেহেরাজ ফের রাগ দেখিয়ে গম্ভীর স্বরে বলল,
” আমার উচিত এখন তোর আরেক পাও ভেঙ্গে দেওয়া। তবেই বেশিকিছু হতো।”
বিনিময়ে জ্যোতি আর কিছু বলল না। মেহেরাজও আর কথা বাড়াল না।থমথমে মুখে অন্যপাশে ফিরে চাইল।

মেহুর মোবাইলে কাল রাত থেকেই অনেকগুলো কল করেছিল সাঈদ। একবারও কল তুলে নি সে। এখনও অনেকবার কল এসেছে। মেহু কল তুলল না। ছোট্টশ্বাস ফেলে মোবাইলটা বন্ধ করে দিল। কিয়ৎক্ষন পরই তাকে চমকে দিয়ে নাবিলা বলে উঠল,

” আপু, মোবাইল বন্ধ করে রেখেছো তুমি?সাঈদ ভাইয়া অনেকবার কল করেছে তোমায়। তুমি নাকি কল তুলোনি। সাঈদ ভাইয়া তোমাকে মোবাইল অন করে কল ব্যাক করতে বলেছে।”
মেহু ভ্রু জোড়া কুঁচকে নিল৷ বিষয়টা নাবিলা পর্যন্ত যাবে ভাবে নি সে৷ মৃদু আওয়াজে বলল,

” কেন? ”
” সেটা জানা নেই, জরুরী দরকার আছে বলেছে। ”
মেহু ছোট্ট শ্বাস ফেলল। বেলকনিতে গিয়ে মোবাইল অন করে কল করল সাঈদকে। রিং হওয়ার পর অপেক্ষা করতে হলো না। কয়েক সেকেন্ডে কল তুলেই ওপাশ থেকে সাঈদ নরম গলায় বলল,
” এই কেমন অন্যায় শুনি ? কাল রাত থেকে কন্টিনিউ কল দিচ্ছি অথচ কল তুলছো না। অবশেষে ফোন সুইচড অফ করে রেখে দিয়েছো ? ”

মেহু মৃদু আওয়াজে জিজ্ঞেস করল,
” কিছু বলবেন?”
সাঈদ চুপ থাকল কিয়ৎক্ষন। তারপর বলল,
” জম্মদিনের শুভেচ্ছা নিও প্রিয়৷ ”
” ধন্যবাদ৷ ”

সাঈদ আবারও চুপ হয়ে গেল। তারপর হঠাৎই অভিমানী সুরে বলল,
” আমায় কি ভালোবাসো না আর? ”
মেহু অবাক হলো এরূপ কন্ঠস্বর শুনে।বলল,
” কাকে বলছেন?”
শান্তস্বরে উত্তর এল,

” তোমাকে।”
“আমি আপনার বন্ধুর বোন হই সাঈদ ভাইয়া।এসব কি প্রশ্ন করছেন? ”
সাঈদের কন্ঠ মুহুর্তেই পরিবর্তন হলো। ফিচে গলায় বলল,
” হবু বউ হও তুমি।আপাতত সে সম্পর্কটাকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি। ”
” আপনি যদি এসব বলার জন্যই কল দিয়ে থাকেন তবে রাখছি৷”

এক মুঠো প্রণয় পর্ব ২৬

কথাটা বলেই কল রাখল মেহু।নরম মন হুহু করে কেঁদে উঠল যেন এবারে। চোখজোড়া দিয়ে বইল নোনা পানির ধারা। নারী মন সরল, নরম।পুরুষের মুখের দুয়েকটা শব্দই সে নারী মনে কান্নার ধারা বইয়ে দিতে পারে আবার সে নারী মনকেই এক মুহুর্তে শান্ত করতে পারে। নারীর জন্য সত্যিই পুরুষ মানুষ যাদুকর।

এক মুঠো প্রণয় পর্ব ২৮