এলোকেশী কন্যা সিজন ২ পর্ব ১৯+২০+২১

এলোকেশী কন্যা সিজন ২ পর্ব ১৯+২০+২১
লেখনীতে:- নূরজাহান আক্তার (আলো)

রোদ রেডি হয়ে রুম থেকে বের হতেই দেখে আলো রেডি হয়ে সোফাতে বসে পানি খাচ্ছে। রোদ আলোর মাথা থেকে পা পর্যন্ত তাকায় আর দেখে সবকিছু ঠিক আছে।তারপর রোদ ওর আম্মু বলে বেরিয়ে পড়ে!আলো রোদের পাশে বসে রোদকে কয়েকদফা গালি দিচ্ছে। রোদ আলোকে উদ্দেশ্য করে বললো…
রোদঃ কালকে সুবর্ণপুর যাচ্ছেন যান!তবে ওখানে কোন ছেলের আশেপাশে যাতে না দেখি!আর ওখানকার মেয়েদের সাথে দাঁত ক্যালাতে ক্যালাতে যেখানে সেখানে যাবেন না।আমার চোখে যদি পড়ে তাহলে তো কেল্লাফতে.. (তেডি স্মাইল দিয়ে)
আলোঃ তারমানে আপনি যাবেন??(অবাক হয়ে)
রোদঃ হুমম!কেন আমি গেলে কি তোমার কোন সমস্যা।(ভ্রু কুচকে)
আলোঃ না আমার আর নতুন করে কি সমস্যা? বাঘের গর্তে থাকি বাঘের সাথেই তো চলাফেরা করতে হবে তাই না (বিরবির করে)
রোদঃ বিরবির করছো কেন?যা বলার জোরে বলো।আচ্ছা তুমি কি ড্রেস পড়তে বেশি পছন্দ করো।
আলোঃ থ্রি পিস
রোদঃ আর

আলোঃ আর নাই!গ্রামের মেয়ে আমি মর্ডান ড্রেস পরিনি কখনো।আর পড়ার ইচ্ছেও নেই।
রোদ আর কিছু বললো না!রোদ আর আলো ঘুরে ঘুরে শপিং করছে!রোদ আলোকে একবারো জিজ্ঞাসা করেনি আলোর কোনটা পছন্দ। রোদ ওর পছন্দ মত ড্রেস চুজ করছে!আলো কিছু বলে নি কারণ রোদের চয়েজ অনেক ভালো আলো সেটা খুব ভালো করেই বুঝতে পেরেছে।রোদ ওর আম্মু, আব্বু আর মেঘ আর আলোর জন্য শপিং করলো।রোদ আলোকে কসমেটিকস এর শপে নিয়ে গিয়ে বললো…
রোদঃ মেয়েদের সাজগোজের সব জিনিস এখানে পাওয়া যায়!তোমার যা যা লাগবে তুমি চুজ করে নাও! আমি এই শপিং ব্যাগ গুলো গাড়িতে রেখে এক্ষুনি আসছি।
আলোঃ আচ্ছা…
আলো দোকানে থাকা মেয়েটাকে বলে কয়েক কালারের টপটেন নিয়ে নিলো!কারন রোদ যে ড্রেস কিনছে সেগুলো শেমিজ বা টপটেন ছাড়া পড়া ঠিক হবে না।আলো তো রোদকে বলতেও পারছে না!আর রোদ ইচ্ছে করেই আলোকে এখানে রেখে গেছে!যাতে আলো ওর পারসোনাল কিছু জিনিস কিনে নিতে পারে!বুদ্ধি মান ছেলে মনে হয় একেই বলে।আলো ওর ব্যাগে টপটেনের প্যাকেট টা নিয়েছে আর বিলও দিয়ে দিয়েছে!১০ মিঃ পর রোদ এসে দেখে আলো দাড়িয়ে আছে!রোদ ভ্রু কুচকে জিজ্ঞাসা করে…
রোদঃ দাড়িয়ে আছো কেন?কিছু নাও নি….
আলোঃ আমার কিছু লাগবে না।চলুন বাসায় যায়।
রোদঃ কসমেটিক্স এর শপে এসে বলছো যে কিছু লাগবে না!বাহ্ তোমাকে তো নোবেল দেওয়া উচিত।
আলোঃ….

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

রোদঃ ওকে আমি হেল্প করছি…
রোদ দুই ডজন চুরি,ছোট্ট কালো টিপ,কাজল,চুলের জন্য ছোট কাকড়া,কালো ক্লিপ,বাবার ব্যান্ড,ডিজাইন করা ব্রুজ,চুলের জন্য বড় কাকড়া নিতে গেলে আলো বলে উঠে…
আলোঃ আমার জন্য কাকড়া নিতে হবে না।আম্মুর জন্য হলে নিতে পারেন।
রোদঃ কেন??তোমার জন্য নিলে কি হবে (ভ্রু কুচকে)
আলোঃ আসলে এগুলো আমার চুলে হবে না।চুলে আটকাতে গেলেই ভেঙ্গে যাবে।এজন্য নিষেধ করছি।
রোদঃ তাহলে এখন কি করবে?ওখানে গিয়ে তো আর সবসময় চুল ছেড়ে রাখা যাবে না তাই না।
আলোঃ চুলের কাটা হলে ভালো হয়।
রোদঃ ওকে
রোদ যেগুলো আলোকে কিনে দিলো রোদ সেগুলো নাম জানে কি না সন্দেহ! দোকানে সাজানো আছে ওটা ওটা বলছে আর দোকানের মেয়েটা এনে দিচ্ছে। আলো দুইটা চুলের কাটা নিলো! রোদের আম্মুর জন্য আলো বেশ কয়েটা জিনিসও নিলো।তারপর রোদ সেগুলো বিল দিয়ে সামনে এগুলো!আলো অনেক সাহস নিয়ে বললো….!!
আলোঃ বলছিলাম যে আপনার জন্য তো কিছু নিলেন না।
রোদঃ আমার অনেক গুলো ড্রেস নিউ কেনা আছে!একবারো পড়া হয়নি এজন্য নিলাম না।(মুচকি হেসে)
আলোঃ ব ব বলছিলাম কি যে?
রোদঃ না তুতলে বলো কি বলবে….!!
আলোঃ মেঘের জন্য একটা পান্জাবী নিতে চাচ্ছিলাম।
রোদঃ ওকে চলো(মুচকি হেসে)

পান্জাবীর শপে গিয়ে আলো পান্জাবী দেখছে!আর রোদ বসে বসে আলোকে ফলো করছে।আলো দুইটা এ্যাশ কালারের পান্জাবী বের করে!এ্যাশ কালারের পান্জাবীতে ব্লু সুতার কাজ করা!সাধারণ পান্জাবী মত বুকের মাঝখানে বোতাম না সাইডে বোতাম স্টিটেম!আর পাঁচটা পান্জাবীর থেকে এই পান্জাবীটা একটু বেশিই ইউনিক!আলো অনেক খুশি হয়ে রোদকে দেখায়।রোদ ভ্রু কুচকে বলে…!!
রোদঃ এই ছোট সাইজের টা মেঘের হবে! আর মেঘকে ভালোও দেখাবে।বাট বড় সাইজের টা কার….ওয়েট ওয়েট তুমি কি পান্জাবী পড়বে নাকি।
আলোঃ আমি মেয়ে হয়ে পান্জাবী কেন পড়বো??
রোদঃ তাহলে এটা কার জন্য! বাবার তো এই সাইজটা হবে না।
আলোঃ এটা কারো জন্য না!এটা রেখে দিচ্ছি! এবার আপনি খুশি… (একটু রাগ নিয়ে)
রোদঃ ওকে..!!
রোদ আর আলো মেঘের পান্জাবীটা নিয়ে বেরিয়ে গেল!আলো মন খারাপ করে আরেকবার পেছনে ঘুরে পান্জাবীটার দিকে তাকালো!তারপর রোদের সাথে হাটতে শুরু করলো।রোদ আলোকে নিয়ে গোল্ডের শপে গেল! তারপর রোদ একটা মাঝারি সাইজের চেন এনে আলোর হাতে দিলো!আলো ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে…
আলোঃ এটা কি বরের জন্য??
রোদঃ বরের জন্য মানে?
আলোঃ যার বিয়ের জন্য যাচ্ছি তার জন্য কি এটা?
রোদঃ জি না!এটা আপনার জন্য..
আলোঃ আমার এসব লাগবে না।
রোদঃ আমার মুখে মুখে তর্ক করবে না!এই ভুল যেন দ্বিতীয় বার না হয়।মাইন্ড ইট..(দাঁতে দাঁত চেপে)
আলোঃ আ আপনি আম

রোদঃ আমার রাগ উঠিও না আলো!আমার কাজে বাঁধা দেওয়াটা আমি মোটেও পছন্দ করি না।আর ওখানে গিয়ে আম্মু বলবে তুমি আম্মুর মেয়ে। আর আম্মু মেয়েকে তো আম্মুর মত হতে হবে না তাই না।আর একটা কথা বললে থাটিয়ে এমন থাপ্পড় দিবো ৮৮০ এ্যাঙ্গেলে মুখ বাঁকা হয়ে যাবে।(দাঁতে দাঁত চেপে)
আলো আর কিছু বলার সাহস পায়নি!রোদ একটা সুন্দর পাতার লকেট এনে চেনের মধ্যে ঢুকিয়ে আলোর গলায় পড়িয়ে দিলো।আর রোদ রাগী গলায় নিষেধও করে দিলো এটা যেন কোন সময় না খুলে!তারপর রোদ আলোকে নিয়ে একটা রেস্টুরেন্ট চলে গেল!আলো বললো এখন কিছু খাবে না তাই রোদ খাবার প্যাক করে নিয়ে বাসায় চলে গেল।
আলো বাসায় ফিরে রোদের আম্মুকে সব কিছু দেখাচ্ছে! আলো ওর চেনটাও দেখালো। রোদের আম্মু তো রোদের এই কাজে খুব খুশি।আর মেঘ গাল ফুলিয়ে বসে আছে ওকে শপিং করতে নিয়ে যায়নি তাই।বাট মেঘ ওর ড্রেস আর আলোর পছন্দ করা পান্জাবী দেখে নাচতে শুরু করছে!রোদ ড্রেস বদলে কেবল বেডে শুয়েছে এমন সময় মেঘ এক দৌড় এসে রোদের উপর হামলে পড়লো আর বলতে শুরু করলো…

মেঘঃ কি বড়মিঞা ফেঁসে গেলে তো?
রোদঃ মানে?
মেঘঃ আগে আমাকে ট্যাস্ক দাও! কোন কথা হবে না! আগে আমাকে ট্যাস্ক দাও তারাতারি..
রোদঃ ভণিতা না করে আসল কাহিনী কি বলবি নাকি মার খাবি।
মেঘঃ আমার বউমনি প্রেমে পড়ছো আর আমাকে ট্যাস্ক দিবে না।(বিশ্বজয় করা হাসি দিয়ে)
রোদঃ কেবল বাইরে থেকে আসলাম মাথা গরম আছে বকবক করিস না তো।
মেঘঃ বুঝি দাভাই! আমি তো আর বেবি না আমি এখন সব বুঝি..!!
রোদঃ এই তোর বউমনির প্রেমে পড়তে আমার বয়েই গেছে!যা ভাগ এখান থেকে..
মেঘঃ বউমনি ঠিকই বলে
রোদঃ কি ঠিক বলে তোর বউমনি(ভ্রু কুচকে)
মেঘঃ বউমনি বলে তুমি একটা খাটাশ।
মেঘ কথাটা বলে দৌড় দিসে!রোদ আর কিছু বলে নি!৩০ মিঃ রেস্ট নিয়ে ওর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে চলে যায়!রোদের আম্মু আলোর দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলে…
রোদের আম্মুঃ আলো তোর যা যা লাগবে সব গুছিয়ে নে।কালকে সকাল সকাল আমরা বেরিয়ে পড়বো…
আলোঃ জি আম্মু..!!
রোদের আম্মুঃ আলো আমার ছেলেটা এতটাও খারাপ না!(মুচকি হেসে)
আলোঃ…..
না আম্মু আপনার পোলা খারাপ হইবো ক্যান!আপনার পোলা তো গোবরে ধোঁয়া তুলসি পাতা।সারা ডা দিন আমাকে ধমকের উপরে রাখে।শালা হুলো বিড়াল! মুখে তো রস কস তো কিছু নাই! জন্মের সময় মধু ভাইবা সরিষার তেল দিসিলেন মনে হয়।এজন্য কথার এত ঝাঁজ!ক্যান রে ভাও আমার লগে একটু মিষ্টি কইরা কথা কইলে! তোর কত নাম্বার বউ মইরা যাবে শুনি! যে তুই আমার লগে ভালো কইরা কথাও কস না।এই পোলা আমার জীবনখান নিজ দায়িত্বে ত্যানা ত্যানা কইরা দিবে! এটা বুঝতে আমার আর বাকি নাই। শালা তুই আসলেই একখান ঢ্যামনা….!!(মনে মনে)
তারপর আলো রোদকে আরো কিছু বকা দিয়ে ধুয়ে দিলো! আর ওর রুমে গিয়ে জামা কাপড় গোছাতে শুরু করলো।

#এলোকেশী_কন্যা২__
#written_by_Nurzahan_akter_Allo
#part_20

পরেরদিন সকালে……!!
রোদের আম্মু আর আলো নাস্তা বানিয়ে রেডি করে ফেলে!তারপর সবাইকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে আর সবাই একসাথে খেতে বসে!রোদের আম্মু আলো,মেঘ আর রোদকে একেবারে গোসল সেরে নিতে বলে কারন ১৪ ঘন্টার রাস্তা যেতে যেতে রাত হয়ে যাবে।আলো আর মেঘ খেয়ে চলে গেল!রোদ ওর আব্বু দিকে তাকিয়ে বললো….
রোদঃ আব্বু তুমি কবে যাবে?
আব্বুঃ আমি বিয়ের দিন সকালেই চলে যাবো।রোদ তুমি সবার খেয়াল রেখো কেমন।
আম্মুঃ যত তারাতারি সম্ভব যাওয়ার চেষ্টা করো।
আব্বুঃ রোদ ট্রেন কয়টায় ছাড়বে।
রোদঃ ১০ টায়
আব্বুঃ এসি কেবিন বুক করছো তো।
রোদঃ জি আব্বু
আম্মুঃরোদ তুমিও গোসল সেরে রেডি হয়ে নাও।
রোদঃ হুমমম।
রোদ খেয়ে ওর রুমে গেল!আলোর ওয়াশরুমে আলো আর মেঘ ঢুকে দুইজন গল্প করছে আর সাবান মাখছে।আলো তারাতারি করে মেঘকে গোসল করিয়ে দিয়ে ওর রুমে পাঠিয়ে দেয়!মেঘ টাওয়াল পড়েই ওর ড্রেস নিয়ে রোদের রুমের দিকে হাটা ধরে!মেঘের এখন রোদের রুমে যাওয়ার প্রধান কারন রোদের স্পেশাল পারফিউম টা হাতানো।মেঘ তো অনেক খুশি তাই চিৎকার করে গান গাইছে…
গোগুলা গোগুলা

মাই বুলবুলা…….বুলবুলা
ইটস্ ইজ সো ইউজফুল আ…
ভেরি কুল আ..
হোয়েন আই হ্যাভ এ কোশ্চেয়ন আ
আই সার্চ ইন দা হোমপেজ আ
ইটস্ উয়িল আনসার আ
ভেরি রিয়েল আ
গুগোলা গুগোলা..!!
মেঘ গানটা গাইতে গাইতে হঠাৎ মেঘের টাওয়াল খুলে নিচে পড়ে গেল!মেঘ তাড়াতাড়ি করে ওর হাতের ড্রেস ফেলে আগে টাওয়াল তুলে পেচিয়ে নেয়।তারপর আশে তাকিয়ে দেখে কেউ আছে কি না!যখন মেঘ দেখলে আশে পাশে কেউ নেই তখন আবার ড্রেস গুলো তুলে বিশ্বজয় করা হাসি দিয়ে রোদের রুমের দিকে হাটা দিলো….!!
রোদও টাওয়াল পড়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাড়িয়ে তখন চুল ঠিক করছিলো!মেঘ রোদের রুমে ঢুকে বললো…
মেঘঃ দাভাই টাওয়াল ভাল করে পেচিয়েছো তো
রোদঃতুই এখন আমার রুমে কেন?আর আমার টাওয়ালের কথা না ভেবে তোর টাওয়ালের কথা ভাব।
মেঘঃ আমারটা খুলবে না!জানো তো দাভাই টাওয়াল আর কপাল কখন যে খুলে যায়।সেটা কেউ বলতে পারে না।তাই সাবধান…
রোদঃ এত বড় বড় কথা তুই আমদানি করিস কই থেকে!তোর কথা শুনে মনে হয় কেউ তোকে কথা শিখিয়ে দেয়!(মেঘের মাথায় চাট্টি মেরে)

মেঘঃ মেঘকে কিছু শেখাতে হয় না।মেঘ একাই এক হাজার বুঝলে দাভাই (ভাব নিয়ে)
রোদঃ তা মেঘ মেহবুব আপনি আমার রুমে কেন সেটা বলেন!আপনি যে এমনি এমনি আসেন নি আমি ভালো করেই জানি।
মেঘঃ না মানে ভাবলাম দুইভাই একসাথে রেডি হয় আর সুখ দুঃখের আলাপ করি। তাই আর কি…..!!
রোদ আর মেঘ রেডি হতে শুরু করলো!মেঘ আগে শার্ট পড়ছে আর রোদ আগে প্যান্ট পড়ছে।রোদ যখনই ওর প্যান্টের চেন আটকে ঘুরতে যাবে তখনই মেঘ বেডের উপর চিৎকার করে লাফাতে থাকে!রোদ মনে করছে মেঘ ফাজলামি করছে তাই শার্ট হাতে নিয়ে পড়তে পড়তে বললো…
রোদঃ মেঘ এবার বেশি হয়ে যাচ্ছে। অযথা কানের কাছে চিৎকার করছিস কেন?
মেঘঃ দাভাই আমার ইয়ের সাথে চেন আটকে গেছে।দাভাই তারাতারি ছুটিয়ে দাও… (চিৎকার করে)
রোদঃ আচ্ছা তোর এত চেন আটকায় কেন বল তো?কি করে প্যান্ট পড়িস তুই…!!
আলোঃ কি হয়েছে মেঘ?এভাবে চিৎকার করছো কেন?? (দরজায় নক করে)
মেঘঃ দাভাই বউমনিকে রুমে আসতে দিও না দাভাই!আমি লজ্জায় কংকাল হয়ে যাবো।(চিৎকার করে)
রোদ হাসবে না কাঁদবে এটা নিয়ে কনফিউজড হয়ে গেছে!রোদ ওর কনফিউজড টাকে সাইডে রেখে মেঘের দিকে এগিয়ে গেল!মেঘ উল্টো দিকে ঘুরে দাড়িয়ে আছে! আর আলো কিছু বুঝতে না পেরে হাবলার মত দাড়িয়ে আছে!রোদ আলোর দিকে তাকিয়ে বললো…
রোদঃ এই যে রাণী এলিজাবেথ আপনি রেডি না হয়ে এখানে দাড়িয়ে আছেন কেন??
আলোঃ মেঘের চিৎকার শুনে এসেছি!মেঘের কি হয়েছে? (মেঘের দিকে তাকিয়ে)
মেঘঃ দাভাই পরে গল্প করো।আগে আমাকে ইয়েটা খুলে দাও….
রোদঃমেঘের কিছু হয়নি তুমি যাও তারাতারি রেডি হয়ে নাও।

আলো কিছু বলার আগে রোদ ওর রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়!আলোও আর কিছু না বলে ওর রুমে এসে রেডি হতে থাকে!রোদ ড্রেসিং টেবিলে সামনে গিয়ে গান গাইছে আর চুল ঠিক করছে!বেচারা মেঘ পড়ছে মাইনকার চিপায়। মেঘ কাঁদো কাঁদো হয়ে বলছে…
মেঘঃ ওহ দাভাই তারাতারি ছুটিয়ে দাও না প্লিজ
রোদঃ পারবো না।তোর বউমনির কাছে যা
মেঘঃ দাভাই এমন বলে না।
রোদঃ কেন বলবো না?অন্য সময় তো তোরা দুজন চিপকে থাকিস।এখন তোকে হেল্প করতে পারি তবে একটা শর্ত আছে…
মেঘঃ তুমি যা বলবে আমি তাতেই রাজি আগে আমাকে সাহায্য করো প্লিজ দাভাই।
রোদঃ বিয়ে বাড়ি গিয়ে কোন ছেলেকে তোর বউমনির আশে পাশে ঘেষতে দিবি না।আর আমি যা বলবো তাই করবি…
মেঘঃ হুম হুম! তুমি যা বলবে তাই হবে।
রোদঃগুড
তারপর রোদ মেঘকে উদ্ধার করে দিলো!মেঘ ড্রেসিং টেবিলে চুলের উপর দাড়িয়ে রোদকে ওর সামনে দাঁড়াতে বললো!রোদ মেঘের সামনে দাঁড়াতেই মেঘ রোদের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললো!
মেঘঃ দাভাই আমার চুল গুলো তোমার মত স্পাইক করে দাও
রোদঃ আমার মতই তোকে করতে হবে
মেঘঃ হুমমম!তারাতাারি চুলটা ঠিক করে পারফিউমও দিয়ে দাও…!!
রোদঃ….
মেঘঃ দাভাই কালো শার্টে আমাকে দেখতে ভালো দেখাচ্ছে তো।
রোদঃহুমমম
মেঘঃ তোমার থেকে সুন্দর দেখাচ্ছে তো
রোদঃ না

মেঘঃ না না আমাকে তোমার থেকেও সুন্দর করে সাজিয়ে দাও।
রোদঃ তোর মতলব টা কি বল তো
মেঘঃ না মানে বিয়ে বাড়ি যাচ্ছি একটা ব্যাপার আছে না।
রোদঃ আমার থেকেও সুন্দর দেখাচ্ছে তোকে(মুচকি হেসে)
রেডি হয়ে দু’জনে তাদের ব্যাগ নিয়ে রুমে থেকে বের হলো!আলো একটা গোলাপি কালার থ্রি পড়ে রুম থেকে বের হতেই রোদের আম্মু এসে আলোর বাম হাতে একটা স্বণের ব্যাচলেট আর দুইটা আংটি আঙ্গুলে পড়িয়ে দিলো!আলো কিছু বলতে যাবে তার আগেই রোদের আম্মু চোখ রাঙিয়ে তাকাতেই চুপ হয়ে গেল!আলো খুব সাবধানে ওর চোখের পানি মুছে ফেললো!আলো আর রোদের আম্মু ড্রয়িং রুমে দাড়াতেই রোদ আর মেঘ সিড়ে দিয়ে নামছিলো।আলো পেছনে ঘুরে তাকিয়ে দেখে….
রোদ পড়ছে সাদা শার্ট আর কালো জিন্স আর মেঘ পড়ছে কালো শার্ট আর ব্লু জিন্স!দুইভাই কেউ কারো থেকে কম না দেখতে!মেঘ গুলুমলু আর সাদা ফর্সা এজন্য মেঘকে হিরোর থেকে কম কিছু লাগছে না!আর রোদকে সাদা শার্ট খুব মানিয়েছে। সাদা শার্টে রোদকে এত ভালো দেখানোর কোন কারন আলো খুঁজে পাচ্ছে না। তারপরেও রোদকে অসম্ভব সুন্দর দেখাচ্ছে…!! আলো আজকে রোদের মাথা থেকে পা পর্যন্ত খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে…!!আলো মনে মনে বললেই ফেললো…
আলোঃ ইসসস রে এই পোলাডারে এত কিউট লাগে ক্যারে!দেখতে তো মাশাল্লাহ! আমারই না নজর লেগে যায়।পুরাই চকলেট বয় একটা। মন ডা তো চাইতাছে….
এই পোলাডারে এখনই চুম্মায় মাইরাল্লাই….(মনে মনে)

#এলোকেশী_কন্যা২__
#written_by_Nurzahan_akter_Allo
#part_21

মন তো চাইতাছে এই পোলাডারে এখনই চুম্মায় মাইরাল্লাই….(মনে মনে)
আলো আড়চোখে আরেকবার রোদের দিকে তাকিয়ে আবার মনে মনে বললো..
আলোঃ না না এই পোলারে চুম্মানো যাইবো না!এই পোলা না পুরাই আগুনের গোলা!আর একে চুম্মানোর কথা বললে আমাকে সেই আগুনে ঝলসে দিবে!থাক এই সিংহের থেকে যত দুরে থাকবে আমি ততই ভালো থাকবো।উমম ঢং দেখরে শরীর জইল্লা যাইতেছে!ক্যারে তোর এত সাজুগুজু করা লাগবো ক্যান? তুই কি বিয়া করতে যাইতাছোস।শালা লুচু …..(মনে মনে)
মেঘঃ বউমনি আমাকে কেমন লাগছে বলো! বলো!
আলোঃ হা হা হা!তোমার ভাষার পুরাই জখাম(মেঘের গাল টেনে)
মেঘঃ এবার বলো আমাকে বেশি ভাল দেখাচ্ছে? নাকি দাভাইকে বেশি ভালো দেখাচ্ছে..???
আলোঃ অবশ্যই তোমাকে বেশি দেখাচ্ছে মেঘবাবু!তোমার দাভাই কে তো পুরা কাউয়া লাগছে…
রোদঃ তাই নাকি!এজন্য হা করে তাকিয়ে ছিলে বুঝি।(তেডি স্মাইল দিয়ে পেছন থেকে)
মেঘঃ বউমনি তুমি দাভাইয়ের উপর হা করে তাকিয়ে ছিলে..!!
আলোঃ আ আম আমি ক ক কখন তোমার দাভাইয়ের দিকে তাকালাম।(তুতলে)
রোদঃ মেঘ মানুষ কখনো তোতলায় জানিস?(তেডি স্মাইল দিয়ে)
মেঘঃ হুমম!চুরি করলে মানুষ তোতলায়
রোদের আম্মুঃ আলো,রোদ, মেঘ গাড়িতে গিয়ে বসো।
রোদঃজি আম্মু

রোদ আর মেঘ বাইরে যাওয়ার জন্য বের হতে যাবে আর ওমনি মেঘ আবার সোফার সাথে ধাক্কা খায়!রোদ কিছু বলার আগেই মেঘ ফট করে উঠলো…
মেঘঃ আজকে সকাল থেকে আমার ইয়ের উপর দিয়ে এত বিপদ যাচ্ছে কেন?উফফ আবার ব্যাথা পেলাম!ধুররর আর ভাল্লাগেনা….!!
রোদঃ হা হা হা হা!ঠিক হয়েছে..!!
রোদ, মেঘ আলো,রোদের আম্মু এসে গাড়িতে বসে!রোদ বসেছে ড্রাইভারের পাশে আর রোদের কোলের উপর বসেছে মেঘ!রোদ মেঘকে পেছনের সিটে বসতে বলছে বাট মেঘ জোর করে রোদের কোলের উপরেই বসেছে!আলো আর রোদের আম্মু বসেছে পিছনের সিটে।গাড়ি চলতে চলতে হঠাৎ মেঘ আঙ্গুল দিয়ে বাইরে একজনকে দেখিয়ে বললো….!!
মেঘঃ দাভাই তুমি তো আমার বউমনিকে পছন্দ করো না!বউমনিকে নাকি বিয়েও করবে না। তো এক কাজ করো তুমি ওনাদের মধ্যে একজনকে বিয়ে করে নাও….!!
রোদঃ আম্মু তোমার ছোট ছেলেকে কিন্তু আমি গাড়ি থেকে ফেলে দিবো!আমার কোলে বসে আমাকে এসব কি বলছে দেখছো?(দাঁতে দাঁত চেপে)
রোদের আম্মুঃ চলন্ত গাড়িতে মেঘ কাকে দেখালো আমরা তো দেখিনি!রোদ মেঘ কাকে দেখালো রে…
রোদঃ……
মেঘঃ আম্মু হ্যালো হাই বাই বাই কে দেখিয়েছি।হা হা
রোদের আম্মুঃ সেটা আবার কে??
ড্রাইভারঃ ম্যম মেঘ বাবু হিজড়াদের কথা বলছে…

রোদের আম্মু আর আলো হো হো করে হাসতে শুরু করলো!রোদ ঘাড় ঘুরিয়ে চোখ মুখ লাল করে আলোর দিকে তাকিয়ে বললো…!!
রোদঃ থাটিয়ে এমন থাপ্পড় দিবো সব দাঁত ঝরঝর করে পড়ে যাবে!দাঁত কেলিয়ে আবার হাসা হচ্ছে। আর একটা টু শব্দ আমার কানে আসলে! তোমাকে গাড়ি থেকে ফেলে যদি না দিসে তো আমিও রোদ মেহবুব না…(রেগে গিয়ে)
রোদের ধমক শুনে কেউ আর কোন টু শব্দ করে নি বাট সবাই মুখ টিপে টিপে হেসেছে।তারপর ওরা ষ্টেশনে পৌছালো আর রোদ আর ড্রাইভার মিলে ওদের কেবিনে ব্যাগ গুলো রাখলো! তারপর রোদ ড্রাইভার কে বাসায় চলে যেতে বললো!রোদ, মেঘ আলো আর ওর আম্মুকে কেবিনে রেখে বাইরে গেল!মেঘ আর আলো তো গল্প জুড়ে দিয়েছে! ওদের কথা কোন সময়ই শেষ হয় না! দুজনেই সমান তালে কানের কাছে বকবক করতেই থাকে।রোদের আম্মু আলোকে বললো….
রোদের আম্মুঃ আলো ওখানে সবার সাথে মানিয়ে নিস কেমন!কারন বাসার সবাই তো আর এক হয় না।আর আমার মা খুব কড়া টাইপের মানুষ! পান থেকে চুন খসলেই কারো রক্ষা নেই।আগের মানুষ তো ওনি যা বুঝে সেটাই ঠিক বলে মনে করে।
আলোঃ আচ্ছা আম্মু সমস্যা নাই…!!(মুচকি হেসে)

মেঘঃ জানো বউমনি দীদান সারাদিন পান খায়!ছাগলে যেমন পাতা খায় ওমন আর কি….!!
রোদের আম্মুঃ কি বললি তুই??আমার মাকে তুই ছাগল বললি (মেঘের কান টেনে)
মেঘঃ আমার মুখ স্লিপ করছে আর বলবো না আম্মু।
আলোঃ হা হা হা!মেঘবাবু বড়দের সাথে কথা এভাবে কথা বলতে নেই।
মেঘঃ আচ্ছা আর বলবো না।
রোদের আম্মুঃ এই তোরা দুইজন পাশের কেবিনে যা!আমি এখন ঘুমের মেডিসিন খেয়ে ঘুমাবো।কানের কাছে বকবক করলে আমি ঘুমাতে পারবো না।আর এত ঘন্টার রাস্তা বসে বসে কোমর ব্যাথা করার কোন মানেই হয় না।(আসলে রোদের কাছে পাঠানোর জন্য)
এর মধ্যে টেন চলতে শুরু করলো!আলো আর মেঘ দুজন দুজনের দিকে তাকালো তারপর আচ্ছা বলে দুজনেই এই কেবিনের গেট আটকে পাশের কেবিনে চলে গেল।আর রোদের আম্মু মেডিসিন খেয়ে শুয়ে পড়লো!রোদ পাশের কেবিনে ঢুকে দেখে আলো আর মেঘ ফিসফিস করছে!রোদকে দেখে দুজনেই চুপ হয়ে গেল!রোদ কে আসতে দেখে দুজনেই মুখের ভাব দেখে মনে হচ্ছে দুজনেই খুব বিরক্ত হয়েছে!রোদ ওর হাতে খাবার গুলো রেখে! কেবিনের বেডে শুয়ে পড়ে মেঘের দিকে তাকিয়ে বলে…
রোদঃ তোরা এখানে কি করিস??(ভ্রু কুচকে)
মেঘঃ তুমি এখানে কি করো?
রোদঃ মেঘ যা জিজ্ঞাসা করছি তাই বল!
মেঘঃ আমরা এখানে গল্প করতে এসেছি!তুমি আম্মুর কেবিনে যাও।
রোদঃ এটা আমি আমার একার জন্য নিয়েছি! তোরা যা এখান থেকে।আর থাকতে চাইলে একদম চুপচাপ থাকবি একটা কথাও বলতে পারবি না….

মেঘঃ তাহলে আমাদের জন্য আরেকটা কেবিন নাও নি কেন?তোমার কাছে কি টাকা ছিলো না আমাকে বলতে?
রোদঃ ওহহ আমার ভুল গেছে! তা এখন তোর কাছে কত টাকা আছে শুনি (এক হাতের উপর ভর দিয়ে শুয়ে)
মেঘঃ বামে পকেটে আছে সতেরো টাকা! আর ডান পকেটে আছে বিশ টাকা।
রোদঃ এত টাকা দিয়ে তো পুরো ট্রেনটাই বুক করা যেতো!ইসস আমিই ভুল করে ফেললাম।তোকে আগেই আমার বলা উচিত ছিলো..!!
মেঘঃ দাভাই আমাকে গরীব ভেবো না বুঝলে!আজকে সকালে তোমার ওয়ালেট থেকে ২ হাজার টাকা ঝেড়েছি।এই দেখো (মেঘের ওয়ালেট বের করে)
রোদঃ তুই আবার আমার ওয়ালেটে হাত দিয়েছিস!তোকে না নিষেধ করছিলাম।
মেঘঃপ্রতিটা বড় ভাইয়ের ওয়ালেটে হাত দেওয়া তার ছোট ভাইয়ের অধিবান..
আলোঃ ওটা অধিবান না মেঘ! ওটাকে বলে অধিকার..
রোদঃ এসেছে আরেকটা ম্যম!সব সময় টিচারগিরি তাই না।
মেঘঃ দাভাই বউমনিকে বকবে না!
রোদঃমেঘ তুই বেশি কথা বললে আজকে সকালের কথা তোর বউমনিকে বলে দিবো।তখন বুঝবি…
মেঘ আর টু শব্দ করে নি!রোদের দিকে কয়েক মিনিট কুটুরকুটুর করে তাকিয়ে চুপ করে গেছে।আলো কিছু বলছে না কারন এখন কিছু বললেই রোদের থেকে আলো বাঁশ খাবে এটা সিওর!মেঘ চুপ করে থাকার চেষ্টা করেও যখন চুপ করে থাকতে পারলো না তখনই রোদের দিকে তাকিয়ে বললো…
মেঘঃ দাভাই চলো আমরা বাজি ধরে লুডু খেলি!খেলবে…??
রোদঃ উমমম ওকে!বাট হেরে গেলে আমি যা বলবো তাই করতে হবে..!! (তেডি স্মাইল দিয়ে)
আলোঃ না না আমি খেলবো না!তোমরা খেলো…
রোদঃ খেলবে নাকি ট্রেনের ওয়াশরুমে তোমাকে আটকে রেখে আসবো।বলো কোনটা করবো…??
মেঘঃ বউমনি ভয় পাচ্ছো কেন?আমি আছি তোমার সাথে!
আলোঃ আচ্ছা খেলবো!(মুখ গেমড়া করে)

এলোকেশী কন্যা  সিজন ২ পর্ব ১৬+১৭+১৮

রোদ মুচকি হেসে উঠে বসে!মেঘ ওর ট্যাব বের করে লুডু খেলা শুরু করে!রোদ আলোর দিকে তাকিয়ে একটা দুষ্টু হাসি দিলো!বেচারা আলো এই হাসির মানে বুঝতে না পেরে হাবলাম মত হা করে তাকিয়ে থাকলো।তিনজন তিনটা চিপ্সের প্যাকেট নিয়ে বসেছে!রোদ আগে মেঘের গুটি কাটতে শুরু করে!মেঘ অসহায় দৃষ্টিতে রোদের দিকে তাকালো!রোদ মেঘকে কিছু একটা ইশারা করলো মেঘ বুঝতে পেরে মাথা নাড়ালো!এবার রোদ আর মেঘ মিলে আলোর সব গুটি কেটে ঘরে ঢুকিয়ে দিলো!দুই ভাই শেয়ারে খেলছে আলোও বুঝতে পেরে বুদ্ধি খাঁটিয়ে খেলতে শুরু করলো কিন্তু দুইভাই আলোর গুটি বের হতেই দিচ্ছে না।এদিকে দুই ভাইয়ের দুইটা করে গুটি উঠে গেছে….!!মেঘের যখন ছয় পড়ে তখন মেঘ তো গান গাইতে শুরু করে…
তুনে মারি এন্টি আর দিলমে বাজি ঘান্টি আর
ডাং ডাং ডাং
আলো দুইভাইয়ের দিকে রাগি চোখে তাকালো!রোদ খেলাতে ফাস্ট হয়ে গেল!মেঘ সেকেন্ড আর বেচারা আলো হলো ভজার মা !রোদ ভ্রু নাচিয়ে মুচকি হেসে আলোকে বললো…
রোদঃ কি ম্যম হারলেন তো?এবার আমি যা বলবো তাই করবেন।
আলোঃক ক কি করতে হবে??

মেঘঃ দাভাই বউমনিকে সহজ কাজ দিও প্লিজ
রোদঃ হুম!আলো তুমি আমার মাথার চুল টেনে দাও!আমার খুব মাথা ব্যাথা করছে। আর হ্যা আমি যদি ঘুমিয়ে যায় তো আমাকে আর ডাকবে না! আর যদি তোমাদের দু’জনের জন্য আমার ঘুম ভেঙেছে তো দুইজনকে কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখবো
রোদ ওর বুদ্ধি খাঁটিয়ে ঠিকই ওর কাজ হাসিল করে নিলো!তারপর রোদ টানটান হয়ে শুয়ে পড়লো আর আলো রোদের চুল টেনে দিতে শুরু করলো।মেঘ পাশের বেডে শুয়ে শুয়ে মনের সুখে গেম খেলছে আর ইয়ার দিয়ে গান শুনছে!রোদ চোখ বন্ধ করে মনে মনে বলছে…!!
রোদঃ তিলোকন্যা তোমাকে বোকা বানাতে পেরে যে আমার কি ভালো লাগে তা বলে বোঝাতে পারবো না।তোমার নরম হাতে পরম যত্নে চুল টেনে দিচ্ছো কি যে ভালো লাগছে আপাতত সেটা ভাষার প্রকাশ করতে পারছিনা আমি!এত যত্নে চুল টেনে দিচ্ছো যে আমার এখন ঘুমের দেশে পাড়ি জমাতে মন চাচ্ছে
তিলো কন্যা….!!

এলোকেশী কন্যা  সিজন ২ পর্ব ২২+২৩+২৪