কহিনুর তৃতীয় খণ্ড পর্ব ৩

কহিনুর তৃতীয় খণ্ড পর্ব ৩
লাবণ্য ইয়াসমিন

রাত শেষ,সোনালী সূর্যের সঙ্গে নতুন দিনের সূচনা হলো। আবহাওয়া বেশ স্বাভাবিক আছে। গাছের পাতায় সূর্যের আলো পড়ে চিকচিক করছে। অরিত্রী গভীর ঘুমে তলিয়ে আছে। বাচ্চাটার জন্য গতকাল রাতে একটুও ঘুম হয়নি। রিজু চেয়েছিলো ওকে বের করে দিতে কিন্তু সেটা ও পারবেনা। এটা নিয়ে দুজনের মধ্যে সামান্য তর্কাতর্কিও হয়েছে। লোকটা বুঝেনা এই বাচ্চাটা কোনোরকমে হাতছাড়া হলে সব শেষ।

কি দরকার ঘরের লক্ষ্মী পায়ে ঠেলে দেওয়ার? তাছাড়া অরিত্রী এতোটা নিষ্ঠুর নয়। গালিব বা রিজু যার সঙ্গেই ও থাকুক না কেনো বাচ্চা তো ওর হবে না। বাবা মা ছাড়া বাচ্চাটাকে মানুষ করে নিজের কাছে রাখতে কিসের অসুবিধা? এই বাচ্চাটাকে নিয়ে অনেক পরিকল্পনা আছে সেগুলোর বাস্তবায়ন করা জরুরী। নিজের আখের গোছাতে এই বাচ্চা ওর তুরুপের তাস। অরিত্রীর আগেই রিজু উঠে গেছে। মাথায় যন্ত্রণা তাই ওর কফির দরকার।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

কহিনুর ভোররাত থেকে গৃহ পরিচারিকাদের কাছে। হঠাৎ হৈচৈ শুনে অরিত্রীর ঘুম ভাঙলো। দরজা অর্ধেক খোঁলা আছে তাই বাইরের আওয়াজ আংশিকভাবে ভেতরে আসছে। অরিত্রী বিরক্ত হয়ে উঠে বসলো। রিজু বাইরে গেছে দরজা খোলা রেখে। অরিত্রী বিরক্ত হয়ে কাপড় ঠিক করে ঘুম ঘুম চোখে বাইরে এসে ভ্রু কুচকে ফেলল। ডাইনিং রুমের সোফায় একটা মেয়ে বসে আছে। অরিত্রী ধুমধাম পায়ে সিঁড়ি ধরে নিচে নেমে আসলো।

কারণ এই মেয়েকে ও আগেও দেখেছে। গালিবের গার্লফ্রেন্ড নাকি বউ যাইহোক একটা হবে।ছবিতে ওকেই গালিবের সঙ্গে ও দেখেছিলো। গালিব সত্যি ওকে ঠকিয়েছে। কথাটা ভেবেই ওর মেজাজ চরম খারাপ হলো। দ্রুতগতিতে মেয়েটার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। মেয়েটা দেখতে বেশ চমৎকার। আহামরি সুন্দরী নয় তবুও চোখে লাগার মতো। বিশেষ করে ওর টোলপড়া হাসি আর গজ দাঁতটা নজর কাড়ছে। গালিব একে দেখেই ওকে ঠকিয়েছে তবে? আগুন জ্বলে উঠলো শরীরে। অরিত্রী হুঙ্কার দিয়ে বলে উঠলো,

এই মেয়ে এখানে কি তোমার? গালিব নেই তাই এই বাড়িতে তোমার কোনো জায়গা হবে না। আমি কিছুতেই গালিবের দ্বিতীয় বিয়ে মানবোনা। ধোঁকা দিয়ে গালিবের সম্পত্তির ভাগ নিতে এসেছো তাইনা? তবে শুনে রাখো সেই ইচ্ছা বা স্বপ্ন কিছুতেই তোমার পূরণ হবে না। আমি হতে দিবনা। আমার মেয়ে আর আমার জীবনে তোমার কোনো জায়গা নেই।

অরিত্রী মনে যা আসলো এলোমেলো বকে দিলো। পাশে ওর শাশুড়ি বসে আছে। রিজুর মুখে বিরক্তির ছাপ। বাড়ির বাকি সদস্যরা এখনো ঘুমিয়ে আছে। কাজের মেয়েগুলো উঁকিঝুঁকি দিয়ে দেখছে। অরিত্রীর ইচ্ছা হলো চুলের মুঠি ধরে এই মেয়েকে উচিত শিক্ষা দিতে কিন্তু সামনে শাশুড়ি মা আছেন। উনি কি বলেন সেই আশায় ও পাশে চাইলো। আপাতত কারো মুখেই কোনো কথা নেই। নির্জনতা ভেঙে গালিবের মা মেনুকা শিকদার বলে উঠলেন,

আমার ছেলের সঙ্গে জানিনা তোমার কিসের সম্পর্ক ছিল তবে সে এখন মৃ/ত তাই আমি তার হয়ে তোমার কাছে ক্ষমা চাইছি। ঝামেলা করোনা আমি তোমাকে একটা চেক লিখে দিচ্ছি এটা নিয়ে তুমি আবারও জীবন নতুন করে শুরু করো। দেখো মা,জীবন কারো জন্য থেমে থাকেনা। তুমি যার জন্য লড়াই করতে এসেছো সে নেই।
মেনুকা শিকদারের কথা শুনে মেয়েটা মৃদু হাসলো। মেয়েটার গায়ে সাদা রঙের লম্বা গাউন আর মাথায় হিজাব। মেয়েটা যে বাঙালি তা চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। অরিত্রী কিছু বলতে চাইলো তার আগেই মেয়েটা মৃদু হেসে বলল,

আমি মেহুল শিকদার, শিকদার গালিব রেজার প্রথম এবং একমাত্র স্ত্রী। আপনাদের গৃহে যেই বেবিটা আছে কহিনুর শিকদার আমি মেয়েটার মা। আমি আর গালিব ওকে দত্তক নিয়েছি। মেয়েটা আমাদের দুজনের। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার উকিল এখানে এসে যাবে। গালিব নেই কিন্তু ও আমাকে দায়িত্ব দিয়ে গেছে।আমি স্ত্রী হিসেবে সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে চাই।

মেহুল কথাগুলো বলে হাসতে চাইলো কিন্তু হলো না। কয়েক জোড়া চোখ ওকে কঠিন দৃষ্টিতে দেখছে। মেহুল ভড়কে গেলো। অরিত্রীর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা। ও জোর গলাই চিৎকার করে প্রতিবাদ করে বলল,
এই মেয়ে তোমার মাথায় সত্যি সমস্যা আছে। তুমি গালিবের স্ত্রী হলে আমি কে তাহলে? গালিবের প্রথম স্ত্রী আমি। তুমি বললেই আমি বিশ্বাস করবো ভাবছো? মা আছেন উনি জানেন সবটা। এতোদিন গালিবের সঙ্গে আমি সংসার করেছি। তুমি না।
অরিত্রীর কথায় থমথমে মুখে মেহুল উত্তর দিলো,

আপনি এতোদিন রিজু শিকদারের প্রেমিকা ছিলেন এখন উনার স্ত্রী হয়েছেন। আমার জানা মতে গালিবের সঙ্গে আপনার স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ছিল না । এতো কথা কিসের?আপনি নিজেও জানেন গালিবের সঙ্গে আপনার কেমন সম্পর্ক ছিল। যাইহোক সময় নষ্ট করবেন না। নিয়ে আসুন আমার মেয়েকে। আমি এখুনি চলে যাবো। হাতে সময় কম। দরকারি পেপার আমি কোর্টে জমা করেছি কিছু সঙ্গে এনেছি। তাছাড়া গালিব নিজেই সবটা ঠিকঠাক করে দিয়েছে। মিসেস রিজু শিকদার যাকে পাওয়ার ছিল তাকে তো আপনি পেয়েছেন আর আফসোস করবেন না। আপনি গালিবকে ঠকাতে চেয়েছিলেন গালিব আপনাকে ঠকিয়েছে।তাই দুপক্ষের ভুল ভেবে ওকে ক্ষমা করে দিয়েন।

মেহুল বেশ শান্তভাবেই কথাগুলো বলে থামলো। কিন্তু মেনুকা শিকদার এবার জ্বলে উঠলেন। উনার মাথায় কিছুই আসছে না। মেহুল কি বলছে উনি বুঝতে পারছেন তবে পুরোপুরি নয়। তাছাড়া অরিত্রীর সঙ্গে বিয়েটা গালিব নিজের পছন্দে করেছিলো। বিয়েটা বাংলাদেশ থেকেই হয়েছিলো। যদিও সামাজিক অনুষ্ঠান করা হয়নি কিন্তু দুপক্ষের মধ্যে মিলমিশভাবে পরিবারিক অনুষ্ঠান হয়েছিল। গালিব বেশ বুদ্ধিমান ছেলে মাথায় কি চলছিলো কে জানে। কিন্তু তাইবলে নিজের সবকিছু অচেনা একটা মেয়ে আর নাম পরিচয়হীন একটা কাজের মেয়ের শিশু কন্যার নামে লিখে দিবে এটা উনি মানতে পারছেন না। দরকার হলে উনি পুলিশের সাহায্য নিবেন। তাই গম্ভীর কণ্ঠে বললেন,

আমি তোমার কোনো কথায় বিশ্বাস করছি না। দয়াকরে তুমি আসতে পারো। আমি কিন্তু পুলিশে ফোন করবো। ছলচাতুরি আমার কাছে চলবে না। আমার ছেলে বিয়ে করলো আর আমি জানবোনা? মেজাজ খারাপ করোনা মেয়ে।
মেনুকা শিকদারের কথা শেষ হলোনা দুজন পুলিশ আর একটা উকিল এসে হাজির হলো। এই দেশের আইন কানুন বেশ জটিল। বাংলাদেশের ন্যায় ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ করা যাবে না। তাই মেনুকা শিকদার দমে গেলেন। এবার রিজু উঠে আসলো। সোজা উকিলের সামনে গিয়ে বলল,

নোটিশ এনেছেন ওটা পড়ে শোনান আর প্রমাণপত্র দেখান তবেই বিশ্বাস করবো আমরা।
উকিল সাহেব মাথা নাড়িয়ে শুরু করলেন,
আমি শিকদার গালিব রেজা,নিজ ইচ্ছেতে আমার সম্পত্তির বিশ শতাংশ আমার স্ত্রী মিসেস মেহুল শিকদার এবং আশি শতাংশ আমাদের কন্যা কহিনুর শিকদারের নামে লিখে দিতেছি। এই সম্পত্তির উপরে আমার বা আমার পরিবারের কারো অংশীদারিত্ব থাকবে না। দৈবক্রমে আমার শিশু কন্যার মৃত্যু ঘটলে সবটা সরকারি ফান্ডে জমা হবে।

উকিল এইটুকু বলতেই রিজু থামিয়ে দিলো। মেহুল একটা ভিডিও অপেন করে সামনে ধরলো। উকিলের সঙ্গে থাকা পেপারে যা লেখা আছে গালিব সেগুলো ভিডিও করে রেখেছে। লোকটা প্রচণ্ড চালাক বোঝাই যাচ্ছে। বিশ্বাস না করে কোনো উপাই নেই। কয়েক কোটি টাকা হাতছাড়া হলো তাই রিজুর মাথা খারাপ অবস্থা। মেজাজ খারাপ হচ্ছে। অরিত্রীর মুখে কথা নেই চুপচাপ সোফার কোনে মাথায় হাত রেখে বসে আছে। কাজের মেয়েটা বাচ্চা নিয়ে আসতেই অরিত্রী উঠে গিয়ে ধরতে গেলো কিন্তু পারলো না। মেহুল দ্রুত গিয়ে বাচ্চাটাকে নিজের দখলে নিয়ে নিলো। ওর ওষ্ঠে চমৎকার হাসির ঝিলিক। কত কাঙ্ক্ষিত বাচ্চাটা ওর কাছে তা ওর হাসি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। মেহুল ছোট্ট করে কহিনুরের কপালে চুমু দিয়ে ফিসফিস করে বলল,

মাম্মা, পাপা অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য যেতে হবে তো?
মেহুল বাচ্চার থেকে মুখ তুলে বলল,
আমার যেতে হবে। এই বাড়িটা কহিনুরের ভাগে পড়েছে। আপনারা গালিবের পরিবার তাই ইচ্ছে করলে কিছুদিন এখানে থাকতে পারেন। তবে সেটা বেশিদিন নয়। গালিবের রেখে যাওয়া জার্মানিতে থাকা সকল সম্পত্তি আমি দেখাশোনা করবো। বাংলাদেশে যেগুলো আছে সেসব দেখাশোনার জন্য লোক ঠিক করেছি আপনাদের ভাবতে হবে না। এখন আসছি ভালো থাকবেন। আর শাশুড়ি মা আপনি যেকোনো সমস্যার সম্মুখিন হলে আমাকে জানাবেন আমি চেষ্টা করবো আপনাকে সাহায্য করার। টাকা পয়সা বড্ড খারাপ জিনিস। রক্তের সম্পর্কও নষ্ট করে। এখন আসছি তবে?

মেহুল মেনুকা শিকদারের দিকে চেয়ে আছে। এখান থেকে যাওয়ার জন্য ওর বড্ড তাড়া। শাশুড়ি মায়ের থেকে অনুমতি নিতে হবে ভেবেই কথাগুলো বললো। মেনুকা শিকদারের পেশার বেড়ে গেছে উনি ঘনঘন নিশ্বাস ফলছেন।হাত উঁচু করে ওকে ইশারা করলো চলে যেতে। যেখানে ছেলে নেই সেখানে তাঁর টাকা পয়সা দিয়ে উনি কি করবেন। তাছাড়া ছেলেটা সবাইকে ঠকিয়েছে।

কিভাবে পারলো নিজের পরিবারের কথা না ভেবে বাইরের লোকদের কথা ভাবার? মেজাজ খারাপ হচ্ছে। উদিকে রিজু অগ্নিদৃষ্টিতে অরিত্রীকে দেখছে। এই মেয়েটা সতি সাবিত্রী সাজতে গিয়ে আজ এমন ঝামেলা পাকিয়েছে। কি দরকার ছিল প্রথম থেকেই গাদিবের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরী না করে অজুহাত দিয়ে দুরে থাকার?

বেশিরভাগ সময় মেয়েটা বাংলাদেশ পড়ে থেকেছে সেই সুযোগে গালিব ওই মেয়েকে নিয়ে চুটিয়ে সংসার করেছে। ওরা দুজন ভেবেছিল বুদ্ধি করে গালিবকে ঠকিয়ে ওর সব সম্পত্তি নিজেদের করে নিবে কিন্তু এখানে সব উল্টো। গালিব বরং ওদেরকে ঠকিয়ে নিজের আখের গুছিয়ে নিতেছিলো। কিন্তু এতে ওর কিসের লাভ হলো? গালিব কেনো এমন করলো? প্রতিশোধ নিতে নাকি অন্য কিছু?

কানাডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাচ্চাটাকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মেহুল। জার্মানি থেকে সোজাসুজি এখানে এসেছে। কাঙ্ক্ষিত লোকটার জন্য ও অপেক্ষা করছে। সঙ্গে লাগেজ আছে যেটা নিতে একটু অসুবিধা হচ্ছে। লোকটা বলেছিল ঠিক সময়ে চলে আসবে কিন্তু এখনো তাঁর আসার খোঁজ নেই। মেহুল ঠোঁট ফুলিয়ে ফেলল। মেজাজ শান্ত করতে চাইছে কিন্তু হচ্ছে না। মেয়েটার মুখের দিকে তাঁকিয়ে শান্ত থাকতে হচ্ছে। বাচ্চাটার ক্ষুধা পেয়েছে কি বুঝতে পারছে না। ঘুমিয়ে আছে অনেক সময় হতে চলেছে। মেহুল মাথা নিচু করে মেয়েটার কপালে চুমু দিলো।তারপর সামনে এগিয়ে গিয়ে দূরে একটা অবয়ব দেখে ওষ্ঠে হাসি ফুটে উঠলো। হাত উঁচু করে লাফিয়ে চিৎকার করে বলল,

মিস্টার শিকদার আমি এখানে।
দূর থেকে লোকটা ক্রমাগত একপা দুপা করে সামনে এগিয়ে আসলো। চেহারা আবছা থেকে দৃশ্যমান হলো। গালিব হেঁটে আসছে। গায়ে সাদা সার্ট আর কালো জিন্স পায়ে সাদা জুতা। হাটার গতির জন্য কপালের চুলগুলো কপালের এসে নৃত্য করছে। মেহুলের বুকের মধ্যে ধুমধাম আওয়াজ হচ্ছে। লোকটাকে কয়েকদিন পরে দেখলো। ঝামেলার পর ঝামেলা এসে সবটা কেমন খিচুরি পাকিয়ে দিয়েছিলো। অবশেষে কাহিনী খতম। মেহুল সামনে এগিয়ে যেতে পা বাড়ালো কিন্তু গালিব ওকে থামার জন্য ইশারা করলো। মেহুল দাঁড়িয়ে পড়লো। দ্রুতগতিতে গালিব এসে ওকে ঝাপটে ধরে বাঁকা হেসে বলল,

মিসেস ওয়াইফি স্বাগতম আপনাকে আমার প্রেমহীন মরুময় হৃদয়ের উর্বর ভূমিতে।
মেহুল উত্তর দেওয়ার আগেই গালিব ওকে ছেড়ে দিয়ে কপালে চুমু দিয়ে মেয়েকে নিজের কোলে তুলে নিলো। ভ্রু নাচিয়ে বলল,
এতদিন পরে বরকে দেখে লজ্জা পাচ্ছো?
গালিবের এহেন কথায় মেহুল এবার সত্যি লজ্জা পেলো। মেকি রাগ দেখিয়ে বলল,

আপনি ভীষণ খারাপ মানুষ। কি দরকার ছিল এসব করার? এখন আসছেন আমাকে লজ্জা দিতে। মেহুল একটুও আপনাকে লজ্জা পাচ্ছে না। বরং রেগে আছে।
গালিব ডান হাতে ওকে নিজের কাছে টেনে নিয়ে বলল,
আমার মেয়েটা দেখেছো কেমন ভদ্র? শান্ত হয়ে ঘুমিয়ে আছে কিন্তু মেয়েটার মা দেখি ভীষন ঝগড়ুটে। এতোদিন পর দেখা হলো কোথায় জড়িয়ে ধরবে তানা প্রশ্ন করে চলেছে। যাইহোক এখন তবে যাওয়া যাক?

কহিনুর তৃতীয় খণ্ড পর্ব ২

মেহুল মাথা নাড়লো। গালিব একহাতে মেয়েকে কোলে নিয়ে অন্য হাতে লাগেজ নিয়ে সামনে এগিয়ে চললো। সামনে কি অপেক্ষা করছে ওদের জন্য? প্রশ্ন, গালিব কোথা থেকে আসলো? মৃ/ত্যুর পরে কি আবারও ফিরে আসা যায় নাকি আদো ও মারাই যায়নি সবটা পরিকল্পিতভাবে সাজানো হয়েছে? এসব করে ওর কিসের লাভ?

কহিনুর তৃতীয় খণ্ড পর্ব ৪