ডাক্তার ম্যাডাম পর্ব ৩৪

ডাক্তার ম্যাডাম পর্ব ৩৪
মুমতাহিনা জান্নাত মৌ

আমান নোমানের মুখে পুরো কাহিনী শুনে ভীষণ রেগে গেলো।আর বললো,তোকে না ওখানে যেতে বারণ করলাম?তারপরও কেনো গেলি?আমি জানতাম ওরা সবাই রেগে আছে।নতুন করে একটা ঝামেলা বাধাবে।
নোমান তার ভাই এর কথা শুনে চুপ হয়ে থাকলো।কারন তার কিছু বলার নাই।সে প্রতিবার ই এভাবে একটা করে ঝামেলা বেধে বসে থাকে।

কিন্তু সে তো কোনোকিছু ইচ্ছাকৃতভাবে করে না।হঠাৎ করেই হয়ে যায় এসব তার সাথে।
আমান নোমানকে চুপ থাকা দেখে বললো,কি রে কথা বলছিস না কেনো?উত্তর দে।এখন চুপ করে থাকলে হবে?এটা তোর ফ্যামিলি না?এটা জেলখানা?জবাব দিতে হবে?

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

এদিকে মিঃ শফিক সাহেব জিসান কে সাথে করে নিয়ে পুলিশ ষ্টেশনে এলেন।নতুন করে আরেকটা মামলা করবেন বলে।
কিন্তু নোমান কারো সাথে কোনো কথা না বলে অফিস থেকে চলে যেতে ধরলো।তখন পুলিশ চারজন বললো,আপনি আগেই যাচ্ছেন কেনো?আপনার ঝামেলা তো এখনো মিটমাট হয় নি।এই বলে তারা আবার নোমানের কাছে এগিয়ে এলো।
কিন্তু নোমান তখন বললো, যেখানে আমি কোনো দোষই করি নি সেখানে আমি কি কারণে থাকবো?আপনারা অযথা বাড়াবাড়ি করছেন আমার সাথে।জিসান আমাকে আগে মেরেছে।তো আমি কি বসে থাকবো?আমিও মেরে দিয়েছি।তবে পার্থক্য শুধু একটাই।ওর আঘাতে আমার কিছু হয় নি।কিন্তু আমার আঘাতে ও রক্তাক্ত হয়েছে।

আমান তখন নোমানকে ধমক দেখিয়ে বললো,চুপচাপ থাক।আমি কথা বলছি।এই বলে আমান তার শশুড়ের মুখোমুখি হলো।আর বললো, বাবা আপনি আমার গুরুজন।আপনি আমার বাবার মতো।সেই হিসেবে আপনাকে আমি যথেষ্ট সম্মান করি।কিন্তু এমন কিছু করেন না যাতে আপনাকে অসম্মানিত হতে হয়?আমার মনে হয় অযথা এসব অশান্তি না করে ব্যাপারটা মিটমাট করে নেওয়াই ভালো।নোমান তো বিয়ে করেছে।এখনো কি আপনি শিলার সাথে ওর বিয়ে দিতে চাচ্ছেন?
শফিক সাহেব সেই কথা শুনে বললো,ইমপজিবল।প্রশ্নই আছে না।তবে একটা কথা শুনে রাখো,তুমিও আমার জামাই হও।সেজন্য জামাই এর মতোই থাকো।আমার মেয়ের সাথে যে অন্যায় হয়েছে আমি তার প্রতিবাদ না করে চুপচাপ থাকবো?সে তোমার ভাই বলে কি মাফ পেয়ে যাবে?

আমান তখন বললো, বাবা একবার শুধু ঠান্ডা মাথায় ভাবুন ব্যাপারটা।নোমানের অন্যায়টা কোথায়? সেটা একটু দেখান আমাকে।ও কি নিজের মুখে শিলাকে বিয়ে করতে চাইছে?না আপনি রিকুয়েষ্ট করেছেন বিধায় আমি আর শিরিন নোমানকে বিয়ে করতে রাজি করিয়েছে।সে তো বিয়ে করতেই চাইছিলো না কিন্তু আমি জোর করেছি বিধায় নোমান রাজি হইছে।কিন্তু আমি যদি জানতাম নোমান তানিশাকে লাভ করে তাহলে এভাবে রাজি করাতাম না?কিন্তু আপনারা ব্যাপারটাকে যেভাবে সিরিয়াস করছেন এতে কিন্তু ক্ষতি শিলারই হচ্ছে।
শফিক সাহেব আমানের কথা শুনে চুপচাপ থাকলো।কারণ তিনি এসব আসলে রাগের মাথায় করছেন।মেয়েকে আত্নহত্যা করতে দেখে ওনার মাথা আসলে ঠিক নেই।

কিন্তু জিসান এগিয়ে এসে বললো, দুলাভাই আপনাকে সবসময় নিজের ভাই মনে করতাম।কিন্তু আজ দিয়ে বুঝলাম পর পরই।পর কখনো আপন হয় না।চলো বাবা।শিলাকে শুধু সুস্থ হতে দাও।ও যখন নিজের মুখে সবকিছু ক্লিয়ার করে দেবে তখন দেখি কে বাঁচায় একে।এই বলে জিসান আর শফিক সাহেব বের হয়ে গেলো।
এদিকে তানিশা শুধু একের পর এক কল দিতেই আছে আমানকে।সে ভাবতে লাগলো হঠাৎ আমান ভাইয়ার কি হলো?তিনি হঠাৎ কল কেনো কেটে দিলেন।আর কেনোই বা ফোন রিসিভ করছেন না?

আমান এবার রিসিভ করলো তানিশার কল আর বললো,তানিশা আমি একটু ব্যস্ত আছি।পরে কথা বলছি।আর নোমানকে নিয়ে টেনশন করো না।ও আমার সাথেই আছে।আসলে ওর ফোনে চার্জ নাই সেজন্য অফ হয়ে গেছে ফোন। এই বলে আমান কল কেটে দিলো।

এতোক্ষনে তানিশা একটু চিন্তামুক্ত হলো।তা না হলে সে তো ভীষণ ভয়ের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলো।
আমান এবার নোমানকে বললো এখন বাসায় চলে যা। শিলা সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না।তবে আমার মনে হচ্ছে এরা শীলাকে নেগেটিভ কথা বলার জন্য জোর করবে।এখন দেখি শিলা কি বলে?ও যদি শয়তানি করে তাহলে তো আর কিছুই করার নাই।তাছাড়া ফরেন্সিক রিপোর্ট টা হাতে এলেই সবকিছু ক্লিয়ার হবে।
নোমান আমানের কথা শুনে পুলিশ ষ্টেশন থেকে বের হয়ে গেলো।হঠাৎ আমান আবার ডাক দিলো নোমানকে।আর বললো,তানিশা চেম্বারে গেছে।ওর সাথে কথা বলে নিস।তোর ফোন বন্ধ পেয়ে ও ভীষণ টেনশন করছে।
নোমান তখন অবাক হয়ে বললো,চেম্বারে কেনো?ও তো তিনদিন ছুটি নিয়েছে।

–এমারজেন্সি কোনো পেশেন্ট এসেছিলো হাসপাতালে।অন্যান্য ডাক্তাররা ব্যস্ত ছিলো বিধায় ওকে ডেকে নিয়েছে হাসপাতাল থেকে।
নোমান সেই কথা শুনে সোজা তানিশার চেম্বারের দিকে রওনা দিলো।
তানিশার আজ আর কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ নাই।কোনো গাইনি ডাক্তারের সিডিউল ফাঁকা ছিলো না বিধায় এই সিজার টা তাকে করতে হলো।তানিশা সেজন্য ঠিক করলো আর কিছুক্ষণ পরেই বাসার দিকে রওনা দিবে।সেজন্য সে সব জিনিসপত্র গুছিয়ে নিচ্ছিলো।

হঠাৎ একজন পুচঁকু ছেলে তার চেম্বারে উঁকি দিলো।
তানিশা কিছু বলার আগেই সে দৌঁড়ে চলে গেলো।তানিশা সেজন্য আবার তার কাজে মন দিলো।কিন্তু ছেলেটি আবার উঁকি দিলো চেম্বারে।এইভাবে পুচঁকু টা বার বার তানিশার রুমে উকিঁ দিয়ে আবার চলে যাচ্ছিলো।
কিন্তু এবার উঁকি দিতেই তানিশা হাতের ইশারায় ডাকলো পুচঁকু টিকে।পুচঁকু টিও গুটি গুটি পায়ে তানিশার রুমে এগিয়ে আসলো।
তানিশা তখন পাশের একটা চেয়ার টেনে ছেলেটিকে বসালো।আর তাকে জিজ্ঞেস করলো নাম কি বাবু?
পুঁচকু টি কোনো সংকোচ না করে তার মাথার ক্যাপ হাতে নিয়ে চুল গুলো ঠিক করতে করতে হাসি দিয়ে উত্তর দিল-
আদ্রিয়ান।

তানিশা সেই কথা শুনে বললো,ও রে বাবা রে!কি কঠিন নাম!এই নাম কে রাখছে?
–মা রেখেছে।
তানিশা তখন বললো,এত কঠিন নাম কেন রেখেছে?মাকে তুমি জিজ্ঞেস কর নাই?
পুঁচকু টি ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানালো যে সে জিজ্ঞেস করেছে।
তানিশা তখন বললো আমাকে বলা যাবে কি?
–হ্যাঁ যাবে! কারণ তোমাকে আমার পছন্দ হয়েছে!আমার যাকে পছন্দ হয় আমি তাকে সত্য কথাটা বলে দেই।
–ওমা!তাই নাকি!তাহলে বলো এখন এতো কঠিন নাম কেন রেখেছে তোমার মা?
পুচঁকু তখন বললো,মা বলেছে নাম সুন্দর না হলে বড় হলে কেউ আমাকে পছন্দ করবে না,ভালোওবাসবে না।এমন কি বউ ও না।
তানিশা আদ্রিয়ানের কথা শুনে হাসতে হাসতে শেষ। সে তার হাসি থামিয়ে দিয়ে বললো, ওহ! এই কথা! মা তো ঠিকই বলেছে।

এখন বল তো তুমি বড় হয়ে কি করতে চাও?
–বিয়ে করতে চাই!
আনসার শুনে তানিশার তো ভিড়মি খাওয়ার যোগাড়।
সে তখন পুচঁকু কে বললো- ঠিক আছে!বিয়ে তো করবেই, কিন্তু পড়াশোনা করে কি হতে চাও?
–ডাক্তার হতে চাই!
এইবার তানিশা খুশি হয়ে গেলো।যাক তার প্রফেশনে আসতে চাইছে। নিশ্চয়ই তার বাবা মা শিখিয়েছে ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করবে!

খুশির ঠ্যালায় তানিশা পুচঁকু কে আবার জিজ্ঞেস করলো- ডাক্তার হয়ে কি করতে চাও?
আদ্রিয়ান উত্তর দিলো পরীর মত একটা মেয়েকে বিয়ে করব!মা বলেছে ডাক্তার হলে পরীর মত বৌ পাওয়া যায়!
তানিশা একদম অবাক হয়ে গেলো আদ্রিয়ানের কথা শুনে।আর মনে মনে ভাবতে লাগলো এর মাকে দেখার খুব শখ হচ্ছে।এতোটুকু বাচ্চারে বিয়া ছাড়া আর কিচ্ছু শিখায় নাই।
তানিশা তখন জিজ্ঞেস করলো তোমার মা আসে নি?
পুচঁকু বললো কেনো?

–তোমার বৌয়ের ব্যাপারে কথা বলব!
পুচঁকু ওরফে আদ্রিয়ান হেব্বি এক্সাইটেড হয়ে বললো,এসেছে তো মা।ডেকে আনছি।এই বলে পুচঁকু দিলো এক দৌঁড়।
কিছুক্ষন পরেই আদ্রিয়ান তার মাকে জোর করেই আনলো ডেকে।আদ্রিয়ানের মা সালাম দিয়ে চেম্বারে প্রবেশ করলো।
তানিশা সালামের উত্তর দিয়ে বললো আপনি আদ্রিয়ানের আম্মু?
–জ্বি।

মহিলাটিকে দেখে তানিশার ভীষণ চেনা চেনা লাগলো।
কারণ মহিলাটির চোখ আর কথা বলার ভঙ্গি কেমন যেনো চেনা চেনা লাগলো তার।
তবে সে বুঝতে পারছে না কে আসলে।সেজন্য তানিশা ওনাকে অনেক কিছুই জিজ্ঞেস করলো।কিন্তু তবুও তানিশা চিনতে পারলো না মহিলাটিকে।

মহিলাটি চোখের ডক্টর দেখাবেন! সেজন্য পাশের রুমে সিরিয়ালে ওয়েট করছেন!তিনি মাসে মাসেই চেক করার জন্য আসেন।আর আদ্রিয়ানের বয়স প্রায় ৭ হবে।
হঠাৎ দরজায় দাঁড়িয়ে নোমান বললো,মে আই কাম ইন ডাক্তার ম্যাডাম।
নোমান কে দেখে মহিলাটি ভাবলো হয়তো পেশেন্ট।সেজন্য তিনি তাড়াতাড়ি করে আদ্রিয়ান কে নিয়ে বের হয়ে গেলেন।
মহিলাটি বের হয়ে গেলে নোমান নিজের থেকেই চেম্বারে প্রবেশ করলো।

–আপনি?
–হ্যাঁ আমি।আমি একটা প্রবলেম নিয়ে এসেছিলাম ডাক্তার ম্যাডাম।
তানিশা তখন হাসতে হাসতে বললো,ফান করা অফ করেন।।আগে বলেন সারাদিন কোথায় ছিলেন?
নোমান তখন তানিশাকে জড়িয়ে ধরে বললো ডাক্তার ম্যাডাম।প্লিজ আমার কথা টা মনোযোগ দিয়ে শুনুন।আসলেই আমি একটা প্রবলেম নিয়ে এসেছি।
তানিশা তখন বললো,কি প্রবলেম?
নোমান তখন বললো,আমরা দুই ভাই।

–তো?
–আমরা দুইজনই বিয়ে করেছি।
তানিশা তখন আবার ও বললো,তো?আমি কি করবো?
–দুঃখের বিষয় আমাদের একজনের ও ছেলে মেয়ে নাই।আমার ভাই এর কথা বলতে পারছি না।তবে আমার ঘরভরা পোলাপান চাই।
তানিশা নোমানের কথা শুনে লজ্জায় লাল হয়ে গেলো।এর কি উত্তর দেবে সে?
নোমান তা দেখে বললো,আরে ডাক্তার ম্যাডাম!এভাবে মুচকি মুচকি হাসছেন কেনো?এতো লজ্জা পেলে আপনি মানুষ কে পরামর্শ দেবেন কেমনে?
তানিশা তখন মনে মনে ভাবলো এতো মানুষ কে সে পরামর্শ দেয় কই তার তো কোনো লজ্জা লাগে না।তাহলে নোমানের কথা শুনে সে চুপ হয়ে আছে কেনো?

নোমান তখন বললো, কি হলো ম্যাডাম?উত্তর দিন।
তানিশা তখন বললো, আমি ছেলেদের কে পরামর্শ দেই না।আপনার বউকে পাঠিয়ে দিন পরামর্শ দিয়ে দেবো।
নোমান তখন তানিশাকে বললো,কি পরামর্শ দেবে আমাকে একটু বলো।
–ওটা পার্সোনাল ভাবে শুধু আপনার বউকেই দিবো।আপনাকে বলা যাবে না।
নোমান তখন বললো আমার শোনারও কোনো প্রয়োজন নাই।আমার শুধু বাচ্চা চাই।
তানিশা সেই কথা শুনে নোমানের মুখ টিপে ধরে বললো, আপনি কি এবার একটু চুপ করবেন।সারাক্ষণ এতো দুষ্টু দুষ্টু কথাবার্তা কিভাবে বলেন?

নোমান তখন তানিশার হাত সরিয়ে দিয়ে বললো,আচ্ছা আর বলবো না দুষ্টু দুষ্টু কথাবার্তা। এখন বলো বাসায় যাবে কখন?প্রচুর ক্ষুধা লাগছে।
–আগে বলেন কই ছিলেন?তা না হলে যাবো না আপনার সাথে।
নোমান তখন সবকথা খুলে বললো তানিশাকে।সে আর কিছুই গোপন করলো না।
তানিশা নোমানের কথা শুনে একদম হা করে তাকিয়ে রইলো।এতোকিছু হয়ে গেছে অথচ সে কিছুই জানে না।বা টের ও পায় নি।

নোমান তখন বললো তুমি অযথায় টেনশন করবে সেজন্য কিছু বলি নি।কিন্তু ব্যাপার টা যে এতো বেশি সিরিয়াস হবে সত্যি আমি ভাবতে পারি নি।এখন দেখি শিলা সুস্থ হলে কি জাবানবন্দি দেয়।
তানিশা নোমানের কথা শুনে বললো, কিন্তু আপনি তো বলেছেন শিলা মন থেকে সবকিছু মেনে নিয়েছে।
–হ্যাঁ মেনে তো নিয়েছেই।কিন্তু এখন যে সে এরকম পাগলামি করবে সত্যি বুঝতে পারি নি।
হঠাৎ সেই মহিলাটি বাহিরে থেকে ঠকঠক করতে লাগলো।কারন আদ্রিয়ান তার মাথার ক্যাপ টি রেখে গেছে চেম্বারে।
ঠকঠক আওয়াজ শুনে নোমান নিজেই খুলে দিলো দরজাটি।তখন মহিলা টি বললো,সরি ম্যাডাম!আসলে আদ্রিয়ান তার ক্যাপ টি রেখে গেছে।

–ইটস ওকে।এই বলে তানিশা ক্যাপটি খুঁজতে লাগলো।কিন্তু পেলো না।
কিন্তু নোমান খেয়াল করলো টেবিলের পাশে পড়ে আছে ক্যাপটি।সেজন্য নোমান ক্যাপটি তুলে মহিলাটির হাতে দিলো।
মহিলাটি তখন বললো,তোমার নাম কি বাবা?
–জ্বি মাহতাব চৌধুরী নোমান।
মহিলাটি নোমানের নাম শুনে বললো,
–তোমার বাবার নাম?
–জ্বি তায়েব চৌধুরী।
–কি করো বাবা তুমি?
–জ্বি আমিও একজন ডক্তর।
তানিশা তখন বললো,ইনি আমার হাজব্যান্ড হন।

ডাক্তার ম্যাডাম পর্ব ৩৩

মহিলাটি সেই কথা শুনে নোমানের মাথা ছুঁয়ে একটা চুমু খেয়ে বললো,হাজার বছর বেঁচে থেকো বাবা।মহিলাটি ছলছল চোখে কথাগুলো বলছিলো।তারপর তিনি চেম্বার থেকে বের হয়ে গেলেন।
তানিশা আর নোমান দুইজনই হা করে তাকিয়ে রইলো দুইজনের দিকে।তারা বুঝতে পারলো না মহিলাটি এভাবে কাঁদছে কেনো?

ডাক্তার ম্যাডাম পর্ব ৩৫