তোমার নেশায় আসক্ত সিজন ৩ পর্ব ৭ || Suraiya Aayat

তোমার নেশায় আসক্ত সিজন ৩ পর্ব ৭
Suraiya Aayat

সকাল সকাল ঘুমটা ফোনের আওয়াজে ভাঙতেই আরু দুটো ঢুলুঢুলু চোখ নিয়ে উঠে বসলো ,চোখদুটো ব্যথায় টনটন করছে সারারাত ধরে কান্না করার ফল সব ৷ ভোরের দিকে ঘুমটা এসেছিল তাও আবার এতো সকাল সকাল ঘুমটা ভেঙে গেল ৷ ফোনটা ধরতে গেলেই ফোনটা কেটে গেল তা দেখে আরু বিরক্তির দৃষ্টিতে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো বেলা 10:30, এতক্ষণ ধরে ও ঘুমালো কিন্তু বাড়ির লোক ওকে ডাকলো না সেটা নিয়ে মনে মনে একটু বিরক্ত হলো, এত দেরি করে ঘুমানোর অভ্যাস টা ওর নেই তাই নিজের মাঝে মাঝে ঘটে যাওয়া অনিয়মগুলো নিজের বিরক্তির কারন হয়ে ওঠে ৷

কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই পুনরায় ফোনের রিংটোন টা বেজে উঠতেই পাশে হাতরে হাতরে ফোনটা খুঁজে চোখের সামনে ধরতেই দেখল অনিকা ফুপি লেখাটা ভেসে উঠছে তা দেখে আরূর বুকের ভেতর ধক করে উঠলো , হঠাৎ এই মুহূর্তে উনার ফোন করাটা স্বাভাবিক হলেও আরূর যেনো মন থেকে সায় আসছে না ব্যাপারটা নিয়ে,তাই আর বেশি দেরি না করে তাড়াতাড়ি করে ফোনটা ধরলো ৷
আরূর কিছু বলার আগেই অনিকা খান বলে উঠলেন ,,,,

__” গুড মর্নিং আরু মা ৷”
আরূ খানিকটা মুচকি হেসে বলল,,,,
__”গুড মর্নিং ফুপি ,কি করছো?”
আরূর কথার উত্তর দেওয়ার আগেই অনিকা খান বলে উঠলেন,,,,
__” বলছি কি সকাল-সকাল আরিস অফিসে চলে গেছে ,ও ব্রেকফাস্ট করে গেছে তো ? আমি ফোন করলাম আমাকে বলল যে ব্রেকফাস্ট করেই এসেছে তোদের বাসা থেকে কিন্তু আমার ওর কথা একদম বিশ্বাস হয় না ,আমি জানি ও কোনোমতেই সকালে বাসায় ব্রেকফাস্ট করার ছেলে না, বাসায় ওকে বললে বলে অফিসে গিয়ে খেয়ে নেব , তা তোদের বাসায় গিয়েও কি সেই নিজের তৈরি বাঁধাধরা নিয়ম পালন করছে, নাকি বৌ এর পাল্লায় পড়ে নিয়মটা অনিয়ম হয়েছে খানিকটা !”
(মুচকি হেসে বললেন)

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

কথাটা শুনে আরূ যেন কথার আগা মাথা কিছুই বুঝল না ৷
উনার কথার পরিবর্তে আরু কি উত্তর দেবে সেটা আরূ জানেনা তাই খানিকটা চুপ করে থাকতেই অনিকা খান আবার বলে উঠলেন,,,,
__” আমি জানি ছেলেটা টিক ব্রেকফাস্ট করেনি,!”
এই মুহূর্তে অনিকা খানের কথায় সায় দিয়ে এমন কিছু যদি আরূ বলে যে তাতে আরিশ যা বলেছে তার সম্পূর্ণ বিপরীত উত্তর যদি ও দেয় তাহলে অনিকা খান এখানে সন্দেহ করতে পারেন এবং ব্যাপারটা একটু এলোমেলো হয়ে যেতে পারে ৷তাই আরু আনিকা খানের কাছে খানিকটা চালাকি করে বলল,,,

__” তা তোমাকে উনি কি বলেছে শুনি !”
__”আরে আরিশকে ফোন করলাম বললো যে এখন অফিসে আছে ৷ ফোন করে জিজ্ঞাসা করলাম যে ব্রেকফাস্ট করে এসেছে কি সে তো বলল যে তোর মা ওকে না খাইয়ে ছাড়েনি কতকিছু নাকি রান্না করেছে ওর জন্য , ও তো নাকি সবটা খেয়ে উঠতে পারেনি ৷ কিন্ত বেশিক্ষণ কথা হলো না,ও বলছে ওর নাকি মাথাটা একটু ঝিমঝিম করছে তাই আমি আর জোর করিনি কথা বলার জন্য ৷”
আরূর কাছে ব্যাপারটা এবার ধোঁয়াশার মত লাগছে তবে এই মুহূর্তে যে কোন ভাবেই এই পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে সেইজন্য ও অনিকা খানের তালে তাল মিলিয়ে বলল,,,,,

__” আম্মু জোর করছিল খাওয়ার জন্য কিন্তু উনি খেলেন না ৷”
__”শোন ছেলেটা বড্ড বেখেয়ালি আর একটু চাপা স্বভাবের , কাউকে কখনো কিছু বুঝতে দেইনা যে কি চিই তাই একটু সামলে সামলে রাখিস, একটু খেয়াল রাখিস ওর ৷”
__”হমমম ৷”
__”আচ্ছা আমি রাখছি , আবার সানা ভার্সিটিতে যাবে তো ,ওর বার হবে ৷”
__”আচ্ছা ফুপি ৷’
কথাটা বলে ফোনটা কেটে দিল আরূ ৷
অনিকা খানের বলা কথাগুলো আরূকে বড্ড ভাবাচ্ছে, আরূ নিজের মনে নিজেই প্রশ্ন করতে লাগলো,,,,
__” তাহলে কি কালকে রাত্রে উনি বাসায় ফেরেননি ,তাই জন্যই কি ফুপিকে এত বড় মিথ্যা কথা বলল ! আর আমাকেই বা বললো কেন যে বাসায় ফুপি চিন্তা করবে উনি না ফিরলে !”
__”আচ্ছা আমি কি ওনাকে একবার ফোন করে জিজ্ঞাসা করবো যে কেন এমন মিথ্যা কথা বলতে গেল !”
পরক্ষণেই আরু মনে মনে বলল,,,,,
__” উনার সাথে ফোন করলে উনি আবার আমার সুযোগ নেবেন, ওনার মত মানুষদের কোনোভাবে বিশ্বাস করা যায় না যাদের মনে শারীরিক লোভ-লালসা টাই বেশি ভালোবাসা তুলনায় ৷”
কথাটা বলে আরূ ফ্রেশ হতে চলে গেল ৷

চেয়ারে মাথা ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে বসে আছে আরিশ মাঝে মাঝে ফোঁটা ফোঁটা করে কয়েক ফোটা জল গড়িয়ে পড়ছে চোখের কোন দিয়ে মনের অজান্তেই, জলগুলো মুছে ফেলার ব্যার্থ চেষ্টা করছে না ৷ জীবনে এতটা কষ্ট কখনো পায়নি যতটা না কালকে আরুর ব্যবহার আর ওর কথাগুলোতে পেয়েছে ৷
আরূ ওর ভালোবাসাকে কালকে অসম্মান করেছে আর অপভিত্র বলেছে এটা বলে যে আরিশ ওর শরুরকে ভালোবেসে বিয়েটা করেছে ৷
তবুও নিজের মনকে বোঝাচ্ছে যে এগুলো ওর প্রাপ্য ও যা করেছে তার বিনিময়ে ৷
হঠাৎ করে দরজা নক পড়তেই আরিশ ঝটপট করে চোখের জলটা মুছে নিয়ে বলল,,,,

__”কাম ৷”
তখনই দরজা খুলে মিথিলা আরিশের পি এ রুমের ভিতর ঢুকলো , তারপর আরিশের দিকে এক পলক তাকিয়ে বলল,,,,
__”স্যার আপনার কি শরীর খারাপ আই মিন আপনার চোখ মুখ দেখে ঠিক লাগছে না ৷”
আরিশ মিথিলার কথা শুনে বিরক্ত হয়ে বলল,,,,
__” আই এম ওকে, কি দরকার এসেছে সেটা বলো !”
আরিশের কথা শুনে মিথিলা একটু চুপ হয়ে গেল, তার পর আরিশকে বলতে লাগলো,,,,
__” স্যার আপনার একটা পার্সেল এসেছে ৷”
বলে আরিসের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল,,,,,
__” দেখে মনে হচ্ছে না কোন অফিশিয়াল কিছু, পার্সেলটা পার্সোনাল ম্যাটারে হয়তো কেউ পাঠিয়েছে আপনাকে ৷”
আরিশ পার্সেলটার দিকে তাকিয়ে খানিকটা ভ্রু কুঁচকে মিথিলাকে বলল,,,,
__” ওকে আমি দেখে নেব এখন তুমি যাও ৷”
মিথিলা চলে যেতেই আরিস পার্সেলটার দিকে তাকিয়ে আছে বেশ অনেকক্ষণ ভেবে বললো,,,

__” মাথিলা কথাটা একেবারেই ভুল কিছু বলেনি, ঠিকই বলেছে মনে হচ্ছে , যেন কেউ ব্যক্তিগতভাবে পার্সেলটা পাঠিয়েছে ৷”
পার্সেলটা পড়ে আরিশ বেশ অবাক হল সাথে চমকে উঠলো ৷ পার্সেলটা কে আবার আগের মত খামের মধ্যে ঢুকিয়ে রেখে পুনরায় চেয়ারে মাথা রেখে বলতে লাগলো,,,,
__” সত্যি আমি মানুষটা কেবলই ঘৃণার যোগ্য , সেই জন্যই হয়তো কথাটা তুমি ফোন করলে না বলে পার্সেল করে পাঠিয়েছো কারণ আমার সাথে কথা বলতেও তোমার রুচিতে বাধে, আর এটাই স্বাভাবিক ৷”
কথাটা বলে আরিশ মুচকি হাসতে লাগল….

বাড়ি থেকে বেরোতে আরুর অনেকটাই লেট হয়ে গেছে সেই কারণে বেশ পাঁ চালিয়ে হাঁটছে আরু, বড় রাস্তার শেষ হলেই রাস্তাটা একটা ছোট রাস্তায় নেমে যাচ্ছে সেখান থেকে দুই মিনিটের হাঁটা পথে রাস্তার ধারেই একটা তিন তলা বাসার সেকেন্ড ফ্লোরে ইলমাস থাকতো ৷
প্রায় দুই বছর হতে গেল ইলমাসের সাথে আরুর কোন যোগাযোগ নেই , এমনকি সেই দিনের পর থেকে কেবলমাত্র এক বার ইলমাসের সাথে লুকিয়ে দেখা করেছিল আরিশ, অনেক কষ্ট লুকিয়ে গিয়েছিল, তারপরে ইলমাস ই আরুকে বারণ করেছিল ওর সাথে দেখা করার জন্য কারণ সে নাকি চায়না তার জন্য আরিশ আবার আরূর গায়ে হাত তুলুক, তবুও আজকে আরুথ মাঝে ভয় নেই, ও আরিস কে ভয় পায় না ৷

আজকে বহু বছর পর আবার ইলমাসের সাথে দেখা করবে যদিও জানে যে নতুন করে আর ভালোবাসাটা ফিরে পাওয়া সম্ভব নয় তবুও মানুষটার খবরা খবর নিতে পারবে তাতেই নিজের মন মনের কালো ঘন মেঘটা যদি কিছুটা হলেও কমে ৷
বেশ কয়েক মিনিট পাঁ চালিয়ে হাটার পর তারপরে ছোট গুলিয সেই বাসার সামনে পৌঁছে গেল আরূ ৷ বাসার সামনে যেতেই আরূর বুকের ধুকপুকানিটা বেড়ে গেল ৷ আজ বহু বছর পর ইলমাসকে দেখবে ও ৷ চোখের কোনে জল গুলো জমে আছে পলক ফেললেই হয়তো গড়িয়ে পড়বে তবুও এই মুহূর্তে নিজেকে খানিকটা সংযত করার চেষ্টা করছে আরু তবুও পারছেনা যেন ৷ আজ বহু বছর পর প্রিয় মানুষটার সাথে দেখা কথাটা ভাবতেই আবেগে উৎফুল্ল হয়ে যাচ্ছে আরু ৷ ও নিজেও জানেনা কিভাবে মনের ভাষা গুলি মানুষটার সামনে ব্যক্ত করবে , হয়তো ওকে দেখে মুখ ফুটে কিছু বলতে পারবে না আরু ৷

বেশ কিছুটা সময় নিয়ে নিজেকে সংযত করে বাসার কলিং বেল বাজাতেই একজন বয়স্ক ভদ্রমহিলা বেরিয়ে এলেন ৷ আরুকে দেখে চোখের চশমাটা খানিকটা ঠিক করে নিয়ে বেশ কড়া গলায় বললেন,,,,
__” হেতিরে তো কহনো দেহিনাই, এই মইয়া তুমি এহানে কার লগে দেখা করনের লইগা আইসো ?”
একেই আরুর মনের মাঝে উথাল পাতাল হচ্ছে তার ওপর এই মহিলার এমন কড়া কণ্ঠ শুনে আরু একটু ঘাবড়ে গিয়ে বলল,,,,
__” আসলে এখানে শাহরিয়ার ইলমাস বলে একজন থাকতো উনার সাথে দেখা করতে এসেছি ৷”
মহিলা এবার নাক মুখ কুঁচকে বললো,,,,,
__” তা ওর লগে এখানে দেখা করতে আইসো কেন? তো এখন আর এখানে থাকেনা !”
কথাটা শুনে আরু কাঁপা কাঁপা গলায় বললো,,,,

__” থাকে না মানে ,কোথায় থাকে তাহলে এখন?”
__” আমি কেমনে জানুম কও তো যে সে এহন কোথায় থাকে ! ছেলেটা এতদিন ধরে আমগো বাসায় থাকতো,হেতির শরীর ভালো ছিলো না তার লইগে মাঝে মাঝে তার একটু খবর নিতাম , এখন আর হেতি থাকেনা তাই খবর নিব কেন! আমি এহন কোথায় থাকে মুই কিছু জানিনা ৷”
__” ওহহ! আচ্ছা ঠিক আছে ৷”
কথাটা বলে আরু মাথা নিচু করে সেখান থেকে চলে এলো ৷
আরু খানিকটা দূরে যেতেই মহিলা আবার তার কর্কশ কন্ঠে জোরে আরূকে ডেকে বলে উঠলেন,,,,
__” এই মাইয়া শোনো শোনো ৷”

উনার কথা শুনে আরু খানিকটা মনোবল নিয়ে উনার দিকে ঘুরে অধীর আগ্রহের চাহনিতে তাকিয়ে রইলেন, মনে মনে একটাই আশা করছে যে উনি যদি একবার বলতে পারেন যে ইলমাস কোথায় !
__” আমিতো জানিনা এই পোলাডা এহন কোথায় থাকে তবে সামনের চায়ের দোকানে যাও ওখানে একটা পোলাপান থাকে তারে জিজ্ঞাসা করো, হেতি হয়তো জানতেও পারে , ইলমাসের লগে হেতির বেশ খাতির দেখতাম , তারে হয়তো কইয়া গেছে যে নতুন কোথায় বাসা ভাড়া নিয়েছে ৷”
__” আচ্ছা ঠিক আছে,অনেক ধন্যবাদ ৷”
কথাটা বলে আরু এবার দ্রুত পায়ে হাঁটতে লাগলো,
তাড়াতাড়ি হেটে যায় দোকানটার সামনে,সেখানে গিয়ে দেখল একটা ছেলে চায়ের কাপ গুলো ধুচ্ছে তাকে দেখে আরু বেশি উত্তেজিত হয়ে বললো,,,,
__” ভাইয়া ওই বাসায় ইলমাস বলে একজন থাকতো আপনি কি তাকে চেনেন ?”.
ছেলেটা বেশ একটু চোখ কুঁচকে বললো,,,,
__” হ্যাঁ চিনবো না কেন চিনিতো !”

__”আচ্ছা আপনি কি বলতে পারবেন যে উনি এখান থেকে বাসা ছেড়ে দিয়ে নতুন কোথায় বাসা ভাড়া নিয়েছেন , মানে আমি উনার রিলেটিভ ,আজ অনেকদিন পর উনার সাথে দেখা করতে এলাম কিন্তু এসে জানতে পারলাম যে উনি এখানে এখন আর থাকেন না ,তাই আপনি যদি কিছু বলতে পারেন, ওই বাসার লোক কেও কিছু বলে যাইনি ৷”
__”না ভাইয়া কোথায় গেছে আমারে তো কিছু কইয়া যায় না কিন্তু আমার কাছে ভাইয়ার নাম্বার আছে চাইলে আপনি যোগাযোগ করতে পারেন আপু ৷”
__” হ্যাঁ হ্যাঁ দিন ৷”
আরূ ঝটপট করে ছেলেটার কাছ থেকে নাম্বারটা নিয়ে নিল ৷ ইলমাসের সাথে দেখা না হলেও কণ্ঠস্বরটা তো শুনতে পারবে ৷ কথা বলার পর তারপর না হয় দেখা করবে ইলমাসের সাথে ৷

রাত 11:30,,,,
দুইজন দুই দিকে মুখ করে শুয়ে আছে, মাঝখানে দূরত্বটা অনেক বেশি, হয়তো দূরত্বটা ভেঙে গেলেই শরীর দুটো একসাথে ছুঁয়ে যাওয়ার সাথে সাথে মনের মিলনও হয়ে যাবে আর সেই ভয়ে হয়তো তাদের মধ্যে এই এতটা দূরত্ব ৷
আরিশ চোখটা বন্ধ করে আছে ঠিকই কিন্তু চোখের ঘুম টা আর নেই , যতদিন না ইলমাসকে আরুর জীবনে ফিরিয়ে দেবে ততদিন ওর শান্তি নেই ৷

তোমার নেশায় আসক্ত সিজন ৩ পর্ব ৬

আরুও পাশ ফিরে শুয়ে আছে আর চোখ থেকে অনবরত জল গড়িয়ে পড়ছে কারনটা হয়তো আরিশ না ইলমাস ৷ এই ত্রিকোণ প্রমের সম্পর্কটাকে পরকীয়া বলবে নাকি অন্য কোন নামে আখ্যা দেবে সেটা আরুর জানা নেই তবে একদিকে আছে আরিশ , যার প্রতি ওর কোন অনুভূতি নেই আর না আছে কোন ভালোবাসা ৷আরু মনে মনে ভেবে রেখেছে যে ভবিষ্যতে ও আরিশকে কখনো ভালোবাসবে না ,মনের ভুলেও না ৷
আর অন্য দিকে আছে ইলমাস যার প্রতি আরুর পুরোনো অক্ষূন্ন ভালোবাসা আছে তবে আজ মানুষটা ওর কাছে নেই ৷
ইলমাসের নাম্বারটায় ফোন করেছিল আরু কিন্তু নাম্বারটা সুইচ অফ বলছে , অর্থাৎ ইলমাস বাসা পরিবর্তনের সাথে সাথে নিজের নাম্বারটাও পরিবর্তন করেছে ৷ এই মুহূর্তে আরুর নিজেকে সম্পূর্ণ হেল্পলেস মনে হচ্ছে, হয়তো ইলমাসের সাথে দেখা করার একটা যা ও বা সুযোগ ছিল সেটাও আর নেই ৷
এরপর কি করবে ও ?

তোমার নেশায় আসক্ত সিজন ৩ পর্ব ৮