প্রজাপতি আমরা দুজন পর্ব ২২

প্রজাপতি আমরা দুজন পর্ব ২২
ইলমা বেহরোজ

রোজ ফজর ওয়াক্তে আপনা আপনিই ঘুম ভেঙ্গে যায় আঞ্জুমানের।কোনো এলার্মের প্রয়োজন পড়েনা।আশেপাশের মসজিদ থেকে যখন আজানের ধ্বনি ভেসে আসে তখনি তিনি সজাগ হয়ে উঠেন। ‘আসসালাতু খাইরুম মিনান্নাউম,আসসালাতু খাইরুম মিনান্নাউম’ ঘুমের চাইতে নামায উত্তম,ঘুমের চাইতে নামায উত্তম!’ বিড়বিড় করে তিনি উঠে বসেন।তারপর আলতাফ চৌধুরীকে আলতো করে ধাক্কা দিয়ে ডাকেন,
— “উঠো!”

আলতাফ চৌধুরী পাশ ফিরে আবার ঘুমিয়ে পড়েন।আঞ্জুমান বিছানা থেকে নামেন।গ্লাস থেকে একটু পানি নেন হাতে।এরপর ছিটিয়ে দেন স্বামীর মুখে।আলতাফ ধড়ফড়িয়ে উঠেন।আঞ্জুমাম বিড়বিড় করতে করতে ওয়াশরুমে যান,
— “ত্রিশ বছর ধরে ডেকে যাচ্ছি একদিনও নিজে উঠতে পারলানা।”
নামায শেষ করে তিনি ছাদে হাঁটতে আসেন।ভালো করে আলো ফুটতেই নিঝুমের রুমের দিকে এগোন।ভোরে তো ওদের রওনা দেওয়ার কথা।দরজা ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে যায়!আঞ্জুমান অবাক হন।ছেলে তার দরজা খুলে তো ঘুমায়না।রুমে ঢুকে আরো বেশি অবাক হন। নিঝুমের পা বিছানার এক কোণে মাথা অন্য কোণে।আর শরীরের ভর কোলবালিশের উপর।নিঝুম সবসময় শান্ত ভঙ্গিতে ঘুমায়!আর কোলবালিশ তো দেখতেই পারেনা।ঘুমাবার পূর্বে সবসময় বালিশ সোফায় ছুঁড়ে ফেলে।এজন্য অনেকবার আঞ্জুমান ছেলেকে বলেছেন,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

— “আব্বা,সারা দুনিয়ার মানুষ কোলবালিশের জন্য পাগল আর তুই দেখতে পারিস না কেনো?”
নিঝুম হেসে বলতো,
— “আমার বেড শেয়ার করতে ভাল্লাগেনা।সেটা মানুষ বা বালিশই হউক!”
আর আজ সেই ছেলে….সেসব চিন্তা বাদ দিয়ে আঞ্জুমান ছেলের পাশে বসেন।মাথায় হাত বুলিয়ে ডাকেন,
— ”আব্বা? ও আব্বা? উঠো! তোমার না বের হওয়ার কথা।”
নিঝুম মায়ের ডাকে নিভু নিভু করে চোখ খুলে।ঘুম জড়ানো কণ্ঠে বলে,
— “আম্মু ঘুমাই প্লীজ।”
আঞ্জুমান নিঝুমের পিঠে স্নেহের হাত বুলিয়ে বলেন,
— “আব্বা, পরে তো দেরি হয়ে যাবে।তারপর তো আজ ফিরতে পারবানা।না ফিরলে তো হবে না। নির্জনের বিয়ে আছে।উঠো আব্বা।”

নিঝুম চোখ খুলে মায়ের কোলে মাথা রাখে। আঞ্জুমান হেসে ছেলের মাথায় বিলি কেটে দেন।আর বলেন,
— “আব্বা একটা কথা বলি?”
নিঝুম মায়ের চোখে চোখ রেখে শান্ত স্বরে বললো,
— “একটা কেনো আম্মু? হাজারটা বলো না।”
— “তুই নিশাকে বিয়ে করতে চাস?এখনো ভালোবাসিস?”
নিঝুম যেনো থমকায়।মনটা বিষে যায়!নিশা নামটা যেন বিষের মতো কাজ করে।আঞ্জুমান আবার বলে,
— “বলো আব্বা?”
নিঝুম নিশ্চুপ।আঞ্জুমান নিঝুমের চুলে ঝাঁকি দিয়ে বলে,
— “কিরে নিঝুম বল।”

নিঝুম হেসে মায়ের দিকে তাকায়। তারপর মায়ের কোমর জড়িয়ে ধরে কোলে মুখ লুকিয়ে বললো,
— “তোমার আব্বা ডাকের সাথে একবার তুই আরেকবার তুমি বলাটাও কিউট আম্মু।”
আঞ্জুমান চোখা চোখে ছেলের দিকে তাকান।বলেন,
— ”কথা এড়াচ্ছিস কেনো?”
নিঝুম মায়ের কোলে বাম দিকে মাথা কাত করে জোরে নিঃশ্বাস ফেলে বললো,
— “জানিনা আম্মু ভালবাসি কিনা।আমার কিছু ভালো লাগেনা।নিজেকে খুব একা লাগে।কেনো জানিনা!নিশা আসার পর থেকে বুকটা ভার হয়ে আছে।অশান্তিতে ভুগছি মনে হচ্ছে।”
নিঝুমের গলাটা কেঁপে উঠে।চোখের কোণে জল।
আঞ্জুমান ছেলের কাঁপা গলা টের পান।বলেন,

— “তুই কি অন্য কাওকে ভালবাসিস আব্বা?”
নিঝুম উঠে বসে।মায়ের দিকে তাকায়।আবার চোখ সরিয়ে নেয়।বলে,
— “প্রেম ভালবাসাটা কি আম্মু?পাঁচ বছর যেটাকে ভালবাসা ভাবছি সেটা এখন বিরক্ত আর বোঝা মনে হয়।দুনিয়াতে ভালবাসা বলে কি কিছু আছে আম্মু? কিছু না।”
— “কে বলছে ভালবাসা নাই? আমাকে আর তোর আব্বুরে দেখস না?”
নিঝুম হেসে মা কে জড়িয়ে ধরে বললো,
— “তোমরা হচ্ছো মেইড ফর ইচ আদার!তাই বলে কি সবাই তেমন হবে?”
— “আমার ছেলে মেয়েদের তেমন হওয়াই উচিৎ।”
— “সব উচিৎই কি আর উচিৎ হয় আম্মু?”
— “কেনো হবে না? নির্জনের বারো বছরের প্রেম।বিয়েও হচ্ছে।”
— “আমারটা তো ভেঙ্গে গেল।”

— “আরেকটা হবে।তোর জন্য কেউ তো অবশ্যই আছে।”
— “হুম আছে, মাটির নিচে।”
— “তোর ডাক্তার না উকিল হওয়া উচিৎ ছিলো।এতো তর্ক করিস।”
নিঝুম আওয়াজ করে হেসে বললো,
— “ওইযে বললাম সব উচিৎই কি উচিৎ হয়?”
— “তুই একটা ফাজিল।”
— “হুম তোমার ছেলে ফাজিল।”
— “আমার ছেলে না, তুই ফাজিল!’
নিঝুম কপাল কুঞ্চিত করে,চিন্তিত মুখে বললো,
— “তাহলে আমি কি বাবার দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে?”
আঞ্জুমান অনেকক্ষণ ছেলের দিকে চোখা চোখে তাকিয়ে তাকেন।তারপর বলেন,
— “নিশা তাহলে ক্যান্সেল?”
— “জানিনা আম্মু।আর শুনো,নির্জনের বিয়ের দাওয়াত দিয়েছিলাম।কাল হয়তো আসবে।বিয়ে অব্দি থাকতেও পারে।”
নিঝুমের কথাতে আঞ্জুমান অসন্তুষ্ট হন।তবুও মুখে বলেন,

— “আচ্ছা!তিতলির সাথে থাকতে দেব নে।রুমটা বড় আছে।”
নিঝুম চট করে প্রতিবাদ করে,
— “না!”
— “কি না?”
— “তিতলির রুমে না।অন্য রুমে দিও।”
নিঝুম কথাটি শেষ করেই বাথরুমে ঢুকে পড়ে।
আঞ্জুমান বাথরুমের দরজার দিকে তাকিয়ে কিছু একটা ভাবেন।এরপর দুই তলায় তিতলির রুমের দিকে আসেন।এসে দেখেন,তিতলির রুমের দরজাও খোলা!আঞ্জুমান রুমে ঢুকেন।তিতলিকে দেখে অবাক হন।গায়ে কাঁথা দেওয়া!জ্বরাজ্বরি হয়েছে নাকি?আঞ্জুমান দ্রুত তিতলির কাছে এসে মাথার কাছে বসেন।কপালে হাত রাখেন।হালকা গরম! তবে, মুখখানা বিমর্ষ। তিতলিকে ডাক দেন।তিতলি প্রথম ডাকেই সজাগ হয়ে যায়।চোখ মেলে মিসেস আঞ্জুমানকে দেখে ধড়ফড় করে উঠে বসে।

— “ফুফি আম্মা।”
— “কাঁথা কেনো গায়ে?রাতে তো বেশ গরমই ছিলো।জ্বর উঠেছিল?”
তিতলি নিজের দিকে তাকায়।অবাক হয়!ভাবে,সে তো ছাদে ছিল।তারপর?তারপর কি হলো? নির্জন আসে।তারপর নিঝুম।তারপর তার মাথা ব্যাথা হয় খুব।আর তারপর…মনে হতেই তিতলি কেঁপে উঠে।ঘাম হতে থাকে খুব।মনে পড়ে,সে নিঝুমকে জড়িয়ে ধরেছিলো।তারপর জোরে জোরে গাল ঘষেছিল। তিতলি ঢোক গিলে।আঞ্জুমান সন্দিহান চোখে তিতলির মুখের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকেন।তিতলির সাড়া পেতে ডাকেন,
— “তিতলি?”
সে চুরি করেছে আর তখনি মালিক দেখে ফেলছে।এমন ভাব নিয়ে আঞ্জুমানের দিকে তাকায় তিতলি।আঞ্জুমান চোখা চোখে তিতলিকে দেখেন।তারপর গলার স্বর স্বাভাবিক করে বলে,
— “রেডি হ।নিঝুম আর তুই না বের হবি।”
তিতলি আমতা-আমতা করে বললো,

— “ক-ক-কই?”
— “তোতলাচ্ছিস কেনো?”
তিতলি ঢোক গিলে বললো,
— “পানি খাবো।”
আঞ্জুমান পানি এগিয়ে দেন।তিতলি এক নিঃশ্বাসে পানি শেষ করে।তারপর মিসেস আঞ্জুমানের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হাসে।আর তারপরই দৌড়ে বাথরুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেয়।দরজায় হেলান দিয়ে অনেকবার শ্বাস নেয় আর ছাড়ে।বুক কাঁপছে।মানুষটা কি ভেবেছে তাঁকে?কতটা নিচু মনের ভেবেছে তাঁকে আল্লাহ জানে!কান্নাও পাচ্ছে তাঁর।যাকে ভালবাসে তার কাছে খারাপ হয়ে গেল!

আঞ্জুমান বেক্কলের মতো মুখ করে হা হয়ে তাকিয়ে থাকেন বাথরুমের দরজার দিকে।নিঝুম কোথাও যাত্রা করার পূর্বে গোসল করে নেয়।অনেক্ষণ যাবৎ শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে আছে।দু’হাত দেয়ালে রেখে তার উপর পুরো শরীরের ভর রেখেছে।রাতের দৃশ্য চোখে ভেসে উঠছে।আর নিজের উপর হচ্ছে বিরক্ত! অজ্ঞান অসহায় একটা মেয়েকে তার অজান্তে চুমু দিয়ে দিল!এতোটা খারাপ তো সে কখনো ছিলোনা।কি এমন হলো যে,এমনটা করতে পারলো।তিতলি কখনো জানতে পারলে কি ভাববে?কতটা খারাপ ভাববে?নিঝুম গোসল শেষ করে রেডি হয়ে তিতলির রুমে আসে।তিতলি তখন চুল বেণী করছিলো। নিঝুম আওয়াজ করে গলা কাঁখাড়ি দেয়।তিতলি ঘুরে তাকায়।নিঝুমকে দেখে তার পা দুটো স্তব্ধ হয়ে যায়।এক্ষুনি না এসে বলে, ছিঃ তিতলি কি করলে রাতে? তুমি এতোটা নীচ?’ কিন্তু তা বলেনি।উল্টে বলেছে,

— “রেডি হয়েছো?বের হতে হবে তো।”
তিতলি মাথা নত করে ছিলো কথা শোনার জন্য।নিঝুমের মুখে ভালো কথা শুনে চোখ তুলে নিঝুমের চোখে তাকায়।মুহূর্তেই চোখ-জোড়া এক হয়ে যায়।তিতলি, নিঝুম দুজনেরই মনে হলো – অপরজন চোখ দিয়ে তাকে বশ করে নিচ্ছে।ছোটকালে দেখা আলিফ-লায়লায় যেভাবে অনেক পরীদের চোখ থেকে নীল একটা রশ্মি বের হতো আর সামনে থাকা কোনো যুবক বা যুবতী বশ হয়ে যেতো।ওদের কাছেও ব্যাপারটা তেমন মনে হচ্ছে।চোখের চাহনিতে শরীর কাঁপিয়ে তুলছে!হৃৎপিন্ডের গতি বাড়ছে!দুজনেই চট করে চোখ সরিয়ে নেয়।অনেকক্ষণ রুমটাতে পিনপতন নীরবতা বিরাজ করে।তারপর নিঝুম নিজেকে স্বাভাবিক করে গাঢ় স্বরে বললো,
— “তুমি রেডি?”
তিতলি না করতে গিয়েও পারেনি।ওর নিষিদ্ধ হৃদয় আরো অনেকটা সময় নিঝুমকে পাশে চাচ্ছে।ভবিষ্যতে সে নেই জেনেও।জড়ানো গলায় তিতলি বললো,

— “হুম রেডি!চলুন।”
নিঝুম তিতলিকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে বললো,
— “কই, তুমিতো রেডি না।গতকালের কাপড় পরা!”
‘গতকাল’শব্দটা শুনেই তিতলি ভড়কে যায়।কথা না বাড়িয়ে আস্তে করে বলে,
— “একটু বের হন।আমি চেঞ্জ করে আসছি।”
নিঝুম অবাক হবার ভান করে বললো,
— “বাথরুম তো আছে।ওইখানে যাওনা।বের হতে হবে কেন?”
তিতলি কথা বাড়াতে গিয়েও বাড়ায়নি!যদি রাতের কথা উঠে যায়।সে চট করে কাপড়টা চেঞ্জ করে আসে।দুজন বেরিয়ে পড়ে।বাস ষ্টেশন পর্যন্ত বাড়ির ড্রাইভার দিয়ে যায়।তারপর নিঝুম টিকেট কিনে তিতলিকে নিয়ে কুমিল্লার বাসে উঠে।সিটে বসার আগে,নিঝুম তিতলিকে প্রশ্ন করে,

— “জানালার সাইট?”
তিতলি অন্য দিকে তাকিয়ে মাথা কাত করে।মানে ‘হ্যাঁ।তিতলি আগে আগে জানালার পাশে বসে।তারপর নিঝুম।কিছুক্ষণের মাঝে গাড়ি চলা শুরু করে।তিতলির চোখ জানালার বাইরে।একবারও কথা বলছেনা নিঝুমের সাথে!ওর মনে হচ্ছে,কথা বলতে গেলেই যদি গতকাল রাত নিয়ে কিছু বলেন উনি!নিঝুম কথা বলতে গিয়েও থেমে যাচ্ছে।সে বুঝতে পারছে,তিতলি তাঁকে ইগ্নোর করছে।কিন্তু কেনো? নিঝুম ভাবে,আচ্ছা ও কি কোনোমতে বুঝতে পেরেছে চুমু যে দিয়েছিলাম?খারাপ ভাবছে আমাকে? মনটা তিতা হয়ে যাচ্ছে বাজে ভাবে। বাতাসেও তেতো তেতো স্বাদ পাচ্ছে।নিঝুম ভাবতে পারছে না তিতলি তাকে খারাপ ভাববে!
অনেকটা সময় দুজনে চুপ করে কাটিয়ে দেয়।তিতলি বাসের জানালায় হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে।নিঝুম চোখ বন্ধ করে সিটে হেলান দিয়ে আছে।বাস যখন মোড় ঘুড়ায় তিতলি মাথা নিঝুমের কাঁধে এসে পরে।নিঝুম চোখ খুলে তাকায়।তিতলির মুখে অনেকগুলো চুল উড়ছে।নিঝুম হাতের এক আঙ্গুল দিয়ে সরিয়ে দেয়।তিতলির ঘুমন্ত মুখখানা ভেসে উঠে।নিষ্পলক চোখে তাকিয়ে থাকে সে। ঠোঁটে ফুটে হাসি।ভেতরের নিঝুম বলে,তিতলি সীমাহীন আশ্চর্য সুন্দর নারী আর সীমাহীন পাগলি।

— “ও ভাই বউনি?”
কারো কর্কশ কণ্ঠস্বর শুনে নিঝুম ঘুরে তাকায়।একজন বয়স্ক ভদ্রলোক তার দিকে তাকিয়ে আছে।পাশের সিটেই বসেছেন।ভদ্রলোকের বয়স আশির উপর তো হবেই।নিঝুম কিছু না ভেবেই উত্তর দেয়,
— “জ্বি দাদু।”
ভদ্রলোক হাসেন।দাঁত নেই!হেসে বলেন,

— “যখন যুবক ছিলাম।তখন আমার একটা পিচ্চি বউ ছিলো।দুজনে মিলে সারাক্ষণ গাড়ি দিয়ে ঘুরতাম।বউটা আমার গাড়িতে ঘুমিয়ে যেতো।পুরো রাস্তা তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতাম।কি সুন্দর সময় ছিলো।কিন্তু দশটা বছর ধরে আমি একা ঘুরি।তোমাদের মতো মানুষদের দেখি।তখন বউটার কথা খুব মনে পরে বুঝলা।এজন্য কথা বলাই।শান্তি পাই কথা বলে।”
শেষ লাইনগুলো বলতে গিয়ে বয়স্ক লোকটির গলা কেঁপে উঠে।নিঝুম তিতলির দিকে তাকায়।কাঁপা কাঁপা হাত তিতলির মাথায় রাখে।ভদ্রলোক প্রশ্ন করেন,

প্রজাপতি আমরা দুজন পর্ব ২১

— “খুব ভালবাসো বউরে?”
নিঝুম ভদ্রলোকের দিকে একবার তাকিয়ে তিতলির দিকে একবার তাকায়।তারপর মাথা নিচু করে।তার কাছে এই উত্তর নেই।সে আসলে বুঝেনা!এই বয়সে এসেও বড্ড অবুঝ সে।কারণ,তাকে ভালবাসা যে এই প্রথম ছুঁয়েছে!এই প্রথম? হ্যাঁ এই প্র‍থম।

প্রজাপতি আমরা দুজন পর্ব ২৩