প্রণয় আসক্তি সিজন ২ পর্ব ১৮

প্রণয় আসক্তি সিজন ২ পর্ব ১৮
লেখিকাঃ মাহযাবীন

ফোনের দিকে চাতক পাখির মতো চেয়ে থেকে অপেক্ষার প্রহর গুনছে মিয়ামি।আর মাত্র ১৫ মিনিট বাকি ভ্যালেনটাইন’স ডে শুরু হওয়ার।বিয়ের আগে আর্শের রুক্ষ ব্যবহারের জন্য কখনোই এ দিন বিশেষ করে পালন করা হয়নি তাদের।আর বিয়ের পর প্রথম ভ্যালেনটাইন’স ডে তে আর্শ অফিসের কাছে অন্য শহরে গিয়েছিলো।বলতে গেলে ভ্যালেনটাইন’স ডে তারা দু’জনের কেউই কখনো উদযাপন করেনি।এবার উদযাপন করার সুযোগটা হবে তো?
ফোনের দিকে তাকিয়ে এসব চিন্তেই করছিলো মিয়ামি।সেই সাথে বুকের মাঝে সে আশা পুষে নিয়ে বসে আছে যে, আর্শ কারেক্ট ১২ টায় কল করে উইশ করবে তাকে।

এরই মাঝে মিয়ামির অপেক্ষায় ব্যাঘাত ঘটলো।বন্ধ দরজায় কড়া নড়াবার আওয়াজ হচ্ছে।কে আসলো?আর্শ?
ভাবতেই ঠোঁটে এক বিশাল হাসি জায়গা করে নিলো মিয়ামির।সে নিজের ভারী পেটে হাত রেখে উঠে দাঁড়ালো,সাবধানে দ্রুত গতিতে পা ফেলে এগোলো দরজার ধারে।দরজা খুলতেই দেখা পেলো কাজের মেয়ে মিলির।আশাহত হওয়ায় খানিক খারাপ লাগলো মিয়ামির।নিরাশ কন্ঠে প্রশ্ন করে উঠলো,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

-কি চাস?জ্বালাচ্ছিস কেন এই রাত-বিরাতে?
ঠোঁট চেপে হাসলো মিলি।লাজুক কন্ঠে বলে উঠলো,
-এইডা ভাই কইলো আপনারে দিতে।আর কইছে আপনারে ছাঁদে যাইতে।
উক্ত বাক্যদ্বয় শেষে আর দাঁড়ালো না মিলি।হাতের প্যাকেট মিয়ামির হাতে ধরিয়ে দিয়ে সে ছুটে স্থান ত্যাগ করলো।মিয়ামি বুঝলো না মিলির এই অতিরিক্ত লজ্জার কারণ।এ নিয়ে আর ভাবলোও না সে।হাতের ব্যাগটার দিকে তাকিয়ে অপলক কয়েক প্রহর কাটিয়ে দিয়ে ফিক করে হেসে ফেললো সে।মন যেনো আনন্দে দুলতে আরম্ভ করেছে তার।
বিলম্ব করলো না মিয়ামি।নিজের কক্ষের ভেতর প্রবেশ করেই প্যাকেট খুললো সে।দেখলো গাঢ় লাল রংয়ের ট্রান্সপারেন্ট শাড়ি,সাথে ব্লাউজ।

এমন সময়ই আর্শের ম্যাসেজ এলো মিয়ামির ফোনে।মিয়ামি হাতে তুলে নিলো নিজের ফোনখানা।দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো ম্যাসেজে,
-শুভ ভালোবাসা দিবস,আমার ভালোবাসা।দ্রুত ছাঁদে এসো।তোমার অপেক্ষায়।
ঠোঁটের হাসি প্রশস্ত হলো মিয়ামির।খুশির জোয়ার ধীরে ধীরে বেসামাল হচ্ছে তার।উত্তেজনা বাড়ছে ক্রমশ।নিজেকে তবুও সামলে নিলো সে।দ্রুত গতিতে নিজেকে রাঙাতে আরম্ভ করলো আর্শের ভালোবাসার রঙ এ।

অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ।আকাশের বুকে অর্ধ চাঁদ জ্বলজ্বল করছে।তা খানিক আলো বিচ্ছুরিত করলেও অন্ধকার পুরোপুরি দূর করতে পারলো না। এ আলো আঁধারের সংমিশ্রণে পরিবেশটা মনকাড়া রূপ নিচ্ছে।মুগ্ধতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে যোগ দিয়েছে শীতল হাওয়াও।
মিয়ামি তার নিজ শরীরে লাল শাড়ি জড়িয়ে ও সামান্য সাজসজ্জায় নিজেকে মুড়িয়ে নিয়ে উপস্থিত হলো ছাঁদে।চারিপাশে পিনপতন নিরবতা।কোথাও কেউ নেই।ছাঁদের চারিপাশে ছোট ছোট রং-বেরঙের হারিকেন ল্যাম্প লেড লাইট সাজিয়ে রাখা।এ হতে দৃষ্টি সরিয়ে খানিকটা সামনে তাকাতেই মিয়ামি দেখতে পেলো অসংখ্য গোলাপের পাপড়ি ও টিপটপ লাইট দিয়ে লেখা,

“তুমি জেনো প্রিয়,এই উন্মাদ প্রেমিকের উন্মাদনা তুমি,এই অশান্ত হৃদয়ের স্বস্তি তুমি,এই হৃদয়ে লুকোনো গাঢ় প্রণয়ের অধিকারীনি তুমি,এই অনুরত হৃদয়ের তীব্র এক আসক্তি তুমি,এই খোর হৃদয়ের #প্রণয়_আসক্তি তুমি”
লেখাগুলো পড়া শেষ হতে না হতেই মিয়ামির কানে এলো দরজা লাগানোর শব্দ।ছাঁদের দরজাটা কেউ লাগিয়ে দিচ্ছে।মায়ামি জানে এই কেউ টা কে।তাই আর পেছনে ফিরলো না সে।দ্রুত গতিতে স্পন্দিত হওয়া হৃদয় নিজের বেগ আরও বৃদ্ধি করে নিলো।সমস্ত শরীর জুড়ে প্রেমের ঢেউ বইতে আরম্ভ করলো।ভালোবাসার হরমোন ‘অক্সিটোসিন’ নিজের কাজ শুরু করে দিলো।মনে প্রেম,কামনা,বাসনার উদয় ঘটালো।প্রেমের ঘোরে বিলীন হতে থাকা মিয়ামি হটাৎ নিজের কাঁধে আর্শের ঠোঁটের উষ্ণ স্পর্শ পেলো।কেঁপে উঠলো সে।

আর্শ মিয়ামির শাড়ি ভেদ করে তার উন্মুক্ত পেটে হাত রাখলো।কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলে উঠলো,
-পেছন থেকে দেখেই তো ঘায়েল হলাম।সামনে থেকে দেখলে বেঁচে থাকতে পারবো তো?
উক্ত বাক্য কানে আসতেই লজ্জায় নিজের মুখ নুইয়ে নিলো মিয়ামি।চোখজোড়া বুঁজে নিলো।কি উত্তর দেবে সে?এমন অযৌক্তিক কথা বলে ছেলেটা লজ্জায় মারছে কেন তাকে?

আর্শ বাঁকা হাসলো,বুঝলো রমনীর লাজে মাথা নুইয়ে নেওয়া।আর কোনো শব্দ ব্যয় না করে সে মিয়ামিকে নিজের দিকে ফিরিয়ে নিলো।ছোট্ট রঙিন হারিকেনগুলো দিয়ে আসা মৃদু আলোয় মিয়ামির রূপ যেনো কয়েকশত গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।পাতলা শরীর টায় মেদ জমেছে।উঁচু পেট,ফোলা গাল আর একরাশ স্নিগ্ধতা।মাতৃত্বে সব মেয়েরাই একটু বেশিই সুন্দর হয়ে যায়? প্রশ্ন খানার উত্তর জানা নেই আর্শের।তবে নিজের স্ত্রীর রূপে সে মন্ত্রমুগ্ধ।অপলক চোখে তাকিয়ে কাটিয়ে দিলো সে কয়েক প্রহর। অতঃপর আলতো করে হাত রাখলো মিয়ামির গালে।ঘোর লাগা কন্ঠে বলে উঠলো,

-এতোটা আবেদনময়ী কবে হলে মিয়ু?নিজেকে আটকাই কীভাবে?
মিয়ামির ঠোঁটে লাজুক হাসি ফুটে উঠলো।আজ অদ্ভুত কোনো এক কারণে আর্শের চোখে চোখ রাখতেই পারছে না সে।এতো লজ্জা পাওয়া মেয়ে তো সে নয়,তবে কী হলো আজ?

আর্শ মিয়ামির লাজুকলতায় আবারও মৃদু হাসলো।হরমোনের ক্রিয়ায় সে ধীরে ধীরে নিজের নিয়ন্ত্রণ হারাতে লাগলো।ঘোর লাগা চোখে মিয়ামিকে মন ভরে দেখে নিয়ে ধীর গতিতে মেয়েটার কাছে অগ্রসর হলো সে।আলতো করে তার ঠোঁট ছুঁয়ে দিলো মিয়ামির লাল রাঙা ঠোঁটকে।এ স্পর্শ ধীরে ধীরে গভীর হতে আরম্ভ করলো।মিয়ামির হাত আঁকড়ে ধরলো আর্শের কাঁধ ও ঘাড়। আর্শ দু’হাতের বন্ধনে আবদ্ধ করে নিলো মিয়ামির কোমর।ধীরে ধীরে সমান তালে উন্মাদনা বাড়তে আরম্ভ করলো দু’জনার।

হটাৎই শব্দ হলো ছাঁদের দরজায়।আর্শির কন্ঠস্বর ভেসে এলো ভিতরে,
-মিয়ু দরজা খোল।আম্মু, আব্বু,আঙ্কেল, আন্টি সবাই আসতেছে।ভাই?শুনতেছো?
ছিটকে একে-অপরের থেকে দূরে সরে এলো আর্শ-মিয়ামি।দু’জনেই জোরে জোরে শ্বাস নিতে ব্যস্ত।সেই সাথে চোখমুখে বিস্ময় স্পষ্ট ফুটে উঠেছে তাদের।এ বিস্ময় কাটিয়ে উঠার আগেই আবারও আর্শির গলার স্বর ভেসে এলো।দরজা খুলার জন্যে তাড়া দিচ্ছে মেয়েটা।

মিয়ামি নিন্ম স্বরে বলে উঠলো,
-তুমি এই গোলাপের লেখাগুলো সরাও,আমি যেয়ে দরজা খুলি।
কথা শেষ করে আর দাঁড়ালো না মিয়ামি।নিজেকে সামলে এগিয়ে গেলো সে দরজার দিকে।আর্শও দ্রুতগতিতে গোলাপের লেখাগুলো মুছতে ব্যস্ত হয়ে পরলো।

দরজা খুলতেই আর্শি ভেতরে চলে এলো।বড়রা কেউ এখনো উপরে উঠে পারেননি।মিয়ামি আর্শির দিকে তাকাতেই দেখতে পেলো আর্শির গায়ে ওড়না ছাড়াও বাড়তি চাদর জড়িয়ে রাখা।
শাড়ি ট্রান্সপারেন্ট হওয়ায় নিজের অস্বস্তি ঢাকতে বিনাবাক্যে এক টানে আর্শির চাদরখানা নিয়ে নিজ গায়ে জড়িয়ে নিলো মিয়ামি।আর্শি কিছু বলতেই যাবে তার আগেই মিয়ামি বলে উঠলো,
-তোর ভাই দিসে এই পাতলা শাড়ি।আমার কী দোষ?

উত্তরে দুষ্টু হাসলো আর্শি।চোখের ইশারায় বান্ধবীকে লজ্জায় ফেলার ধান্দা করবার আগেই তার ভাই এসে উপস্থিত হলো।
আর্শ প্রশ্ন করে উঠলো,
-বড়রা ছাঁদে আসতেছে কেন? আর বাবা-মা হটাৎ এই বাসায়?কাহিনি কী?
-কাহিনি হচ্ছে তোমার মায়ের মতে, “বিচ্ছেদ মিলনের সুখ বাড়ায়”।এখন মিয়ু কাল বা পরশু তো বাড়িতে ফিরবেই তাই এর আগে তোমাদের একান্তে সময় কাটানো নিষেধ। এই ভেবে মা, মেহরিন আন্টিকে কেমনে জানি ম্যানেজ করে আমাকে আর বাবাকে নিয়ে চলে আসলো এই বাড়ি।এখন বুঝলে, এই হচ্ছে বাপের বাড়ি আর শশুর বাড়ি একই জায়গায় হওয়ার বিপদ।

কথা শেষ করে হেসে উঠলো আর্শি।এতোক্ষণ আর্শির কথা বিরক্তি নিয়ে শুনলেও এবার দাঁতে দাঁত চেপে আর্শ প্রশ্ন করে উঠলো,
-আর মা জানলো কী করে আমি মিয়ামির সাথে?
-ইয়ে মানে আমি আরকি…

আর্শির কথা শেষ হবার পূর্বেই বড়রা সবাই একে একে ছাঁদে এসে হাজির হলেন।এক জনের হাতে চায়ের ফ্লাস্ক,একজনের হাতে পাকোড়া, একজনের হাতে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আর একজনের হাতে বসার জন্য ফ্লোরে বিছানোর পাটি।
আর্শ-মিয়ামি অবাক চোখে শুধু এদের দেখে চলছে।দুজনার বিস্ময় ভরা চাহনি পানে চেয়ে সানিয়া বেগম বলে উঠলেন,
-ভালোবাসা দিবস কী শুধু স্বামী-স্ত্রীর জন্যে? পরিবারে একে-অপরের প্রতি কী ভালোবাসা নেই?অবশ্যই আছে তাই না?তাইলে ভালোবাসা দিবস একারা কেনো উদযাপন করবা?পরিবারসহ না কেন?চল আজ সারা রাত আড্ডা হোক,পারিবারিক ভালোবাসা উপভোগ করা হোক?

এইচএসসি পরিক্ষার আর মাত্র এক মাস বাকি।কোমরে কাপড় বেঁধে পরিক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে কোচিং এর সকলেই।আর্শি নিজেও কম চেষ্টা করছে না।তবে সে ভীষণ আলসে ও ফাঁকিবাজ হওয়ায় তার প্রস্তুতির গতিবেগ অন্যদের তুলনায় ধীরেই চলছে।
এই যেমন সবাই নিজেদের নাওয়াখাওয়া বাদ দিয়ে একমনে ক্লাসের লেকচার গিলছে সেখানে সে ঝিমতে ঝিমতে এখন পানির তৃষ্ণায় ছটফট করছে।নাহ আর পারলো না বসে থাকতে।উঠে দাঁড়িয়ে পড়লো আর্শি।বলে উঠলো,

-ভাইয়া, একটু পানি খেতে যাই?
-হ্যাঁ হ্যাঁ যাও।
অনুমতি পেয়ে আর দাঁড়ালো না আর্শি।কোচিং এর ভেতরের দিকে এক চিপায় ছোট্ট একটা রান্নাঘর আছে।সেখানে চা,কফি বানানোর জিনিসপত্রের সাথে একটি পানির ফিল্টার ও গ্লাস রাখা থাকে।আর্শি এলো এ রান্নাঘরে।গ্লাস ধুয়ে ফিল্টারের কাছে আসতেই হটাৎ রান্নাঘরের দরজা লাগানোর শব্দ কানে আসলো তার।অনতিবিলম্বে পেছনে ফিরে তাকালো সে।

এহসান দরজা লাগিয়ে দিয়ে ধীর গতিতে তার দিকে এগোচ্ছে।হৃদয়ে সামান্য ভয় উৎপন্ন হলো আর্শির।রান্নাঘরটা একদম ভেতরের দিকে হওয়ায় এখান থেকে চিল্লালে সহজে কেউ শুনবে কিনা সন্দেহ।কিন্তু এহসান কী এতোটাই খারাপ?সে কী সত্যিই খারাপ কিছু করবে?
উত্তর নেই আর্শির কাছে।নিজের ভয় লুকিয়ে সে কঠোর কন্ঠে প্রশ্ন করে উঠলো,
-দরজা লাগালেন কেন আপনি?রিভেঞ্জ নিতে চাচ্ছেন? দেখেন এজ আ টিচার একজন স্টুডেন্টের সাথে আপনি এগুলো করতে পারেন না।

-শাট আপ আর্শি।জাস্ট লিসেন টু মি ওকে?
এটুকু বলে থামলো এহসান।জোরে এক নিঃশ্বাস নিয়ে সে বলে উঠলো,
-কেনো আইসিটি ক্লাস করবা না তুমি?এটা কী একটু বেশি বেশি না? সামান্য মজা করা টা তোমাকে এতোটা ইফেক্ট করলো?এতো সেনসিটিভ হওয়াটা কী আসলেও উচিৎ?
-আমি ক্লাস করলাম কিনা তা নিয়ে আপনার মাথা ব্যথা কেন?আর একজন টিচার হয়ে আপনি আমাকে স্যরি নোট লেখেন কোন যুক্তিতে?

-কিসের টিচার?ইমদাদ ভাইয়ের হুট করে চাকরি হয়ে যাওয়ায় এই কোচিং এ একজন আইসিটি পড়ানোর মানুষ প্রয়োজন ছিলো তাই শুধু ইমদাদ ভাইয়ের অনুরোধে আমি ৩ মাসের জন্য এখানে আসছি।আই অ্যাম জাস্ট আ লেকচারার। সো টিচার বলা বন্ধ করো।

-মানলাম আপনি টিচার না।কিন্তু আমার জন্য আপনার এতো মাথাব্যথা হওয়ার কারণও নেই তাই না?
-কারণ আছে।কারণ হচ্ছে তোমাকে আমার ভালো লাগে।তোমাকে চেতাইতে আমার ভালো লাগে।তোমার রাগ করা আমার ভালো লাগে।তুমি যে আমার সাথে ঝগড়া করো ঐটা আমার ভালো লাগে।আই লাইক ইউ ড্যাম ইট।
আর্শি যেনো এই ভয় টাই পাচ্ছিলো।ঐ স্যরি লেখা নোট টা পাওয়ার পর থেকেই তার মনে এই সন্দেহ বাসা বেঁধেছিলো।তাই তো সে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো এহসানের ক্লাস সে আর করবে না।কিন্তু লাভ হলো না।আর্শি জোরে এক নিঃশ্বাস নিজের মাঝে টেনে নিয়ে বলে উঠলো,

-আমি গত ৩ বছর ধরে একটা মানুষকে ভীষণ ভালোবাসি।ভীষণ মানে ভীষণ।আমি তো পারবো না অন্যকেউকে ভালোবাসতে।

প্রণয় আসক্তি সিজন ২ পর্ব ১৭

[আর্শকে মেরে ফেলবো তা কী আমি একবারো বলছি?বলিনি।তাও সবাই হুমকি ধামকি দিলেন🙂তাতেও সমস্যা নেই।সমস্যা হচ্ছে গল্পে রেসপন্স শূন্যের কোঠায়।মানে সবাই ভেবেই নিছে আমি আর্শকে মেরে ফেলবো তাই তারা আর গল্প পড়বেই না💔
গল্প আর ২-৩ পর্বে শেষ হয়ে যাবে।আর ইন শাহ আল্লাহ ভালোভাবেই শেষ হবে।কেউ কেউ সুখে কেঁদেও দিতে পারেন বলা যায় না।চাইলে এখনই অগ্রীম ধন্যবাদ দিয়ে দিতে পারেন কিন্তু আমাকে😉]

প্রণয় আসক্তি সিজন ২ পর্ব ১৯