প্রণয় বিরহ পর্ব ১২

প্রণয় বিরহ পর্ব ১২
অর্ষা আওরাত

পুরো বাড়ি নানান রকম আলোকসজ্জায় সজ্জিত হয়ে রয়েছে! বাড়ির ভেতর দিকটায় বেলুন আর নানান রকম ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। বাড়ির সকলেই সকাল থেকে ব্যস্ত ভঙ্গিতে কাজ কর্ম করে যাচ্ছে! আমার উপরও কিছু কাজের দায় আসতেই আমি শরীর খারাপের বাহানা দিয়ে নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে শুয়ে রযেছি। যথাসম্ভব চেষ্টা করছি নিজেকে ইহাদ ভাইয়ার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান থেকে দূরে রাখতে। বাড়িভর্তি মেহমান।

সকল আত্নীয় স্বজন আজকে থেকেই এসে পড়েছে। সেহেরিশ ভাইয়াও আমাদের বাড়ির কোনো অনুষ্ঠানেই বাদ যায় না ফলস্বরূপ এইবারো তিনি এসেছেন। বিকেলের স্নিগ্ধ আভা সরিয়ে সন্ধ্যার আভাস ফুটে ওঠেছে চারদিকে। ইতিমধ্যে সকাল থেকে এখনকার সময়ে বাড়িতে বেশ হইচই পরে গেছে! কারন আর একটু পরেই ইহাদ ভাইয়ার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান পুরোপুরি ভাবে শুরু হবে। জোরে জোরে সাউন্ড বক্স এর আওয়াজ শোনা যাচ্ছে!

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

রুম থেকে বের হলাম। গায়ে হলুদের পুরো অনুষ্ঠান ছাঁদে আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের কারনে ছাঁদটিও অসম্ভব রকম সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। ইহাদ ভাইয়া প্যান্ডেলের ভিতর বসে রয়েছে। জোরে জোরে গান বাজছে আর গানের তালে তালে সকল মেয়েরা নেচে ওঠছে! আমার সেদিকে চোখ না গিয়ে চোখ পড়লো শুভ্র রঙের পাঞ্জাবী পরিহিতো এক সুর্দশন যুবকের দিকে! হ্যাঁ সবার থেকে দূরে ছাঁদের এক কোনে দাঁড়িয়ে আছে সেহেরিশ। আমি তার কাছে গিয়ে বলে ওঠলাম,

–“আপনি এখানে এরকম একলা একলা দাঁড়িয়ে আছেন কেনো সেহেরিশ ভাইয়া?”
ছাঁদের একদম কিনারায় দিকে গিয়ে রেলিং ধরে খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে তার সোজা উত্তর,
–“জুঁইফুল একটা কথা কি জানো? জীবনে কিছু কিছু পরিস্থিতি আসে সে সময় নিজেকে একলা রাখতে হয় কিন্তু তুমি যদি নিজেকে তখন একলা না রেখে মুক্ত আকাশে খোলা পাখির মতন সবার সাথে মিশে যাও দেখবে ওই একাকীত্বের চেয়ে সকলের সাথে মিশে আরো উৎফুল্ল থাকবে তুমি।”
আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই তিনি বলে ওঠলেন,

–“উপস স্যরি! তোমাকে জুঁইফুল বলে ডেকেছি তুমি বারন করা সত্বেও। নেক্সট টাইম আর এরকম ভুল হবে না।”
কথাগুলো বলেই তিনি আমার উল্টো দিক ফিরে খোলা আকাশ দেখতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন! কিন্তু ওনার প্রথম বলা কথাগুলো আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।
–“হ্যাঁ তখন রেগে আমি আপনাকে ওই নামে ডাকতে বারন করেছি বটে কিন্তু আপনি ডাকতে পারেন ওই নামে।”
–“কারো ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে আমি কখনোই কিছু করিনি। আর আজও সেটা করবো না।”
ওনার কথার ধরন শুনে আমি হতভম্ব হয়ে রইলাম কিয়ৎপরিমাণ! ওনি তো কখনো এরকম ভাবে কথা বলেন না তাহলে আজকে হঠাৎ করে কি হলো ওনার?

–“আপনি কি তখনকার ঘটনা নিয়ে আমার সঙ্গে রেগে আছেন? আমি তো তখন বললামই আমার মাথা গরম ছিলো তাই ভুল করে আপনার সঙ্গে ওরকম বাজে ভাবে কথা বলেছি। তার জন্য তো স্যরি।”
–“জুঁই একদমই আমি তোমার কথায় কিছু মনে করিনি। তুমি বাদ দাও হয়তো কোনোসময়ই তুমি আমার এই মন খারাপের কারন খুঁজে বের করতে পারবে না।”
সেহেরিশ এর কথার ধরন বুঝতে পারলাম না! কি এমন হয়েছে যার জন্য ওনি এতোটা চুপচাপ? মনের কৌতুহল মেটাতে আবারো বলে ফেললাম,

–“আপনি কি কোনো কিছু নিয়ে আপসেট? মন খারাপ হয়ে রয়েছে? আপনি চাইলে আমার সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন।”
–“জুঁইফুল তুমি যে বলেছো আমি তাতেই খুশি তবে তোমার উচিত এখন আমার সাথে না থেকে ওই খানে সবার সাথে গিয়ে আনন্দ করা।”

আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে তিনি মিশে গেলেন অনুষ্ঠানে সকলের মাঝে! সবকিছু আমার মাথার উপর দিয়ে গড়িয়ে গেলো যেনো! যে মানুষটা কোনোদিনও আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলেনি সে বলেছে আজকে তাও কেনো বলেছে সেই কারনই এখনো বুঝতে পারছি না আমি! এর আগেও যখন ওনি আমাকে রাগাতেন তখনও এরকম দু-চার কথা আমি শোনাতাম পরে আমার স্যরি বলার আগেই ওনি নিজে এসে আমার সঙ্গে কথা বলতেন আজকে স্যরি বললাম তাও কাজ হলো!

জিগেস করলাম তাও বললো না। কীরকম হেয়ালি করে কতোগুলো কথা বললেন যার বিন্দু বির্সগ আমি কিছুই বুঝলাম না। অগত্যা অনুষ্ঠানের ভীড়ে গিয়ে একটি চেয়ার নিয়ে ছাঁদের এক কোনে বসে সবটা অবলোকন করে যাচ্ছি। ইহাদ ভাইয়া হাসোজ্জল মুখ নিয়ে বসে আছে আর সবার সাথে হেঁসে হেঁসে কথা বলে যাচ্ছে। তার তো খুশি হবারই কথা যা চেয়েছে তাই পেতে চলেছে সে। অথচ আমিই খুশি হতে পারছি না কেনো জানি।

সবটা মুখে মুখে মেনে নিলেও অন্তরের কোন এক কোঠরে হয়তো ইহাদ ভাইয়ার প্রতি সুপ্ত অনুভুতি লুকিয়ে আছে যার দরুন আমি তার বিয়েতে আনন্দ করতে পারছি না! সবটা ভেবে দীর্ঘ শ্বাস বেরিয়ে এলো! কিন্তু কোনো একদিন নিজের মন থেকে একবারে সম্পুর্ন ভাবে মুছে যাবে ইহাদ নামটি। যে আমার নয় তার জন্য আমি কষ্ট পাবো না! হয়তো আমি চেষ্টা করেও তাকে ভুলতে পারছি না কারন আমার একটু সময়ের প্রয়োজন। সেহেরিশ ভাইয়াও বৃষ্টি আপুর সাথে খোশ মেজাজে গল্প জুড়ে দিয়েছে দেখলাম! শুধু বিষন্ন মন নিয়ে আমিই একা একা বসে আছি। এখানে এরকম একলা একলা থাকবার চেয়ে না থাকাই ভালো।

ঘড়ির কাঁটা রাত দু’টো ছুই ছুই। আর একটু আগেই ইহাদ ভাইয়ার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে। তখন নিচে যাবার পরেও উচ্চ স্বরে গান বাজনার জন্য ঘুমুতে পারিনি। এখন সব নিরব তাও ঘুম নেই দু চোখের পাতায়। রুমে ভালো লাগছিলো না দেখে ছাঁদে এসে দাঁড়িয়েছি। অন্য সময় হলে এই মাঝরাতে ছাঁদে আসার কথা ভাবলেই গা শিওরে ওঠতো ভয়ে কিন্তু আজকে ছাঁদ ভর্তি নানান রকম আলোকসজ্জায় সজ্জিত রয়েছে যার দরুন আমার ভয় নেই। ছাঁদের এক পাশে রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে দূর আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি আনমনে। স্মৃতিরা বড্ড তারা দিচ্ছে যখন এই সময়টা মাঝে মাঝে ইহাদ ভাইয়ার সাথে কথা বলতাম। সেই স্মৃতিগুলো বড্ড মনে পড়ছে আজকে। ভাবনার ছেদ ঘটলো পিছনে কাঁধে কারো হাতের স্পর্শ পেতে। পিছন ঘুরে দেখলাম ইহাদ ভাইয়া আমার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে! তাকে দেখে খানিকটা স্তম্ভিত হলাম এই সময় উনি কি করছেন? আমি কিছু বলবো তার আগেই উনি বললেন,

–“এই অসময় ছাঁদে কি করছিস তাও অতো রাত্রে?”
আমি আনমনে বলে ওঠলাম,
–“সেটা আদৌ আপনার না ভাবলেও চলবে আমি কি করছি এখানে?”
–“হ্যাঁ সেটা ঠিক। তোর ব্যাপারে কোনো কিছুই জানার অধিকার নেই এখন। কেনো বদলে গেলি তুই এভাবে? দেড় বছর আগের জুঁইতো ভালো ছিলো যে আমার সঙ্গে তার সব কথাই শেয়ার করতো। হঠাৎ করে তোর এরকম বদলানোর কারন কি বল?”

ইহাদ ভাইয়ার কথা শুনে চমকে ওঠলাম কিছুক্ষণের জন্য! ভাইয়া কি বলছে এসব? আমি তো বদলাইনি বদলেছে ওনি প্রিমা আপুকে ভালোবেসে তাহলে আজ কেনো আমার উপর মিথ্যা দোষারোপ?
–“আপনি ভুল ভাবছেন ইহাদ ভাইয়া। আমি বদলাইনি বদলেছেন আপনি। নতুন করে জীবন সাজিয়েছেন প্রিমা আপুকে নিয়ে।”

–“হ্যাঁ আমি প্রিমাকেই ভালোবাসি! কিন্তু জানিস কি একটা কথা সেদিন যদি তুই বদলে না যেতিস সবটা আগের মতো থাকতো তাহলে হয়তো আজ প্রিমার জায়গায় তুইই থাকতি!”
ভাইয়ার কথাগুলো আমার কর্নকুহুরে প্রবেশ করা মাত্রই সারা শরীর কেমন শিউরে ওঠলো! মানে কি বলছে কি ইহাদ ভাইয়া? সবটা মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে! তিনি তো প্রিমা আপুকে ভালোবাসেন তাহলে সেখানে আমি প্রিমা আপুর জায়গায় কি করে থাকবো? প্রশ্নের ঝুড়ি মেলে ধরলাম ভাইয়ার দিকে,

–“রাত পোহালেই আপনার বিয়ে আর আপনি এই মাঝরাতে আপনি আমাকে বলছেন যে সব ঠিক থাকলে প্রিমা আপুর জায়গায়ই আমি থাকতাম! কিসব উল্টোপাল্টা বলছেন? যা বলছেন ভেবে দেখুন কি বলছেন কি আপনি?”
–“তোর এখন এই মুহুর্তে এই কথাগুলো শুনে যদি আমাকে পাগল মনে হয় তবে তা ভাবতে পারিস কোনো অসুবিধা নেই! তবে হ্যাঁ যা বলেছি সবটাই সত্যি।

কেনো জানি আজকে তোকে খুব করে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে আজ থেকে দেড় বছর আগে যখন তুই আমার ফোন ধরিস নি টানা তিনদিন। তারপর থেকেই তুই বদলে গেছিলি তোর বদলে যাবার কারনও আমার কাছে অজানা নয় কোনো কিছু। সেদিন আমার জায়গায় সেহেরিশ এসেছিলো যার জন্যই তুই আমাকে ভুলে গেছিলি। ভাগ্যিস আমি বিদেশে থেকেও আমাকে সব খবরাখবর দিয়েছিলো শাহী*। উহু নাম বলবো না কারন সে আমাকে অনেক অজানা কথা বলেছে তোর ব্যাপারে যার জন্য আমি তোকে আরো ভালো করে চিনেছি।

তবে সে আমার শুভাকাঙ্ক্ষী! বিদেশে যাবার পর তোর সাথে রাত্রি করে কথা বলতাম প্রায়শই তখন আস্তে আস্তে আমার তোকে ভালো লাগতে শুরু করে ভাগ্যিস সেই ভালো লাগা ভালোবাসায় রুপান্তরিত হওয়ার আগেই তুই বদলে গেছিস! নতুবা মাঝখান দিয়ে আমি তোর প্রণয়ের বিরহে বিলীন হতাম। তোর সঙ্গে কথা বলার সময়টা খুব মিস করতাম কিন্তু বেশিদিন মিস করিনি কারন তুই যাবার পরপরই প্রিমা আসে আমার জীবনে!

তোর সাথে কথা বলার সময়গুলো, তোকে মিস করতাম প্রথম প্রথম কিন্তু প্রিমা আমাকে তার ভালোবাসা দিয়ে সব ভুলিয়ে দিয়েছে। বলতে পারিস তুই বদলে গেছিস ভালোই হয়েছে এক দিয়ে কারন তুই না বদলালে আমি প্রিমার মতন এমন একজনকে পেতাম না। কিন্তু সেই দিনশেষে কিছুদিন আগে তুই আমাকে ভালোবাসি বলেছিস কিন্তু সেটা যে বড্ড দেরি হয়ে গেছেরে! কারন ততদিনে আমার মনের সুপ্ত কুঠুরিতে শুধু প্রিমাই জায়গা করে নিয়েছে। তাই তুই এখন হাজার ভালোবাসলেও আমি শুধু প্রিমারই! তুই ভালো থাক তাকে নিয়ে যার জন্য তুই বদলেছিস। যার জন্য আমাদের না প্রণয় ভেঙে গেছে তুই বরং তাকে নিয়েই ভালো থাক!”

ভাইয়ার কথা শুনে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে এমন অবস্থা আমার! উনি তাহলে আমাকে ভুল বুঝে সবটা না জেনেই আমার সম্পর্কে এরুপ চিন্তা ধারনা নিজের মনে পুষে রেখেছিলো! যা কিনা সম্পুর্নই মিথ্যা! তিনদিন আমি ফোন ধরিনি কারন তখন সবে নতুন নতুন কলেজে ওঠে পিকনিকে গিয়েছিলাম কয়েকজন বন্ধুদের সাথে মিলে আর সেখানে নেটওয়ার্ক এর প্রবলেম থাকায় ইহাদ ভাইয়ার ফোন ধরিনি। পরে বাড়িতে আসার পর ফোনও নষ্ট হয় যায় যার ফলস্বরূপ দীর্ঘ বিরতি কেটেছে আমাদের দু’জনের মাঝখানে।

আর পিকনিকে সেহেরিশ ভাইয়া ও গেছিলো কারন ঝেঠু ভাইয়াকে যেতে বলেছিলো আমাতের সঙ্গে সেফটির জন্য। এই সবটা না জেনেই ওনি এমন ভুল ভেবেছে আমায়? যদি সেদিন এইরকম টা না ঘটতো সত্যিই কি উনি আমায় ভালোবাসতো? বিবেক বলছে যদি সত্যিই ওনি আমাকে ভালোবাসতো তাহলে আমার জায়গা এতো সহজে প্রিমা আপু নিতে পারতো না। এখন ওনাকে যদি এসব বলতে যাই তাহলে কালকের মতন উনি আবারো ভাববে আমি মিথ্যা বলছি। সবশেষে উনার বিয়ে কালকে আর উনি প্রিমা আপুকে ভালোওবাসে তাই আমার এসব বলাও উচিত নয়। সে ভালো থাকুক তার ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে আমার প্রতি। আমি বলললাম,

–“আপনি একবারো জানতে চাননি আমার মুখ থেকে সত্যি টা। কে কি বলেছে সেটাই বিশ্বাস করেছেন। ঠিকআছে আপনি থাকুন আপনার বিশ্বাস নিয়ে। আমার কোনো দায় নেই আপনার বিশ্বাস ভাঙার। কোনো সম্পর্কও নেই আপনার সঙ্গে যে আপনার ধারনা ভাঙবো। আপনি প্রিমা আপুকে ভালোবাসেন তাই তাকে নিয়ে সুখে থাকুন, ভালো থাকুন।”

আমার কথার প্রতিত্তোরে ইহাদ ভাইয়া বলে ওঠলো,
–“তাহলে কি আমার জানা ভুল ছিলো সেদিন জুঁই? সত্যিই কি কোনো ভুলের জন্য তুই আজ প্রিমার জায়গায় থেকেও থাকতে পারলি না?”

ইহাদ ভাইয়ার কথা শুনে মনে হলো সবটা তাকে বলি কি হয়েছিলো? কিন্তু মন বলছে যে আমাকে ভালোবাসে না অন্যের কথা বিশ্বাস করে দূরে সরে আরেকজনকে ভালোবাসতে পারে তার কাছে এখন সত্যি বলার চেয়ে না বলাই ভালো! বরং এতে আমি নিজের কাছেই ছোটো হবো। সে মনে করবে আমি তাকে ভালোবাসি বলে এসব বলছি আমি চাই না যে আমাকে ভালোবাসে না তাকে নতুন করে কিছু বোঝাতে। তাই বললাম,

–“বললাম তো আপনি এখন প্রিমা আপুকে ভালোবাসেন তাই তাকে নিয়েই সুখে থাকুন।যে বিশ্বাস করে না আমাকে আমারো কোনো দায় নেই তাকে বোঝানোর অন্ততো তার বিয়ের ঠিক আগ মুহুর্তে! এসব এখন জানার কোনো দরকার নেই কারন আর কিছু প্রহরের অপেক্ষা তার পরেই আপনি প্রিমা আপু মানে যাকে ভালোবাসেন পুরোপুরি ভাবে তার হবেন। তাই আমি এখন আর কিছু বলবো না আপনাকে।”

প্রণয় বিরহ পর্ব ১১

তাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসলাম নিজের রুমে। এখন থেকে একটাই প্রচেষ্টা করবো সর্বক্ষন ইহাদ নামক কেউ ছিলো সেটা পুরোপুরি ভুলে যেতে!

প্রণয় বিরহ পর্ব ১৩