প্রেম নেশা সিজন ২ পর্ব ১১+১২

প্রেম নেশা সিজন ২ পর্ব ১১+১২
শান্তনা আক্তার

আসরের আগ দিয়ে বাসায় ফিরলো মেঘ শান্তনা।মেঘ বাসায় এসেই বিছানায় হাত পা ছাড়িয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নিল।আজ পুরো নাজেহাল অবস্থা হয়েছে মেঘের।শান্তনার মন ভালো করার জন্য কি কি না সইতে হলো বেচারাকে।ভাবা যায়!মহাবিপদকে জয় করে বাড়ি ফিরলো ও।রাতে সবাই খাবার খেয়ে যার যার রুমে চলে যায়।মেঘ অফিসের কাজ নিয়ে বসে আর শান্তনা বারান্দায় গিয়ে প্রতিদিনের মতো চাঁদের সাথে কথা বলে।আজ চাঁদকে খুব সুন্দর লাগছে শান্তনার কাছে।শান্তনার মনে হচ্ছে ওর চাঁন্দামামা তার সব আলো দিয়ে ওর মনের সকল আধাঁর চুষে নিচ্ছে।সেও যেন শান্তনাকে স্বস্তির শান্তনা দিতে ব্যাকুল হয়ে উঠেছে।মেঘ কাজ শেষ করে বারান্দায় এসে শান্তনার পাশে গিয়ে দাঁড়ায়।চাঁদের আলোয় শান্তনার মুখে যেন এক আলাদা মায়া ফুটে উঠেছে।নাকের নথটাও ঝলমল করছে।মেঘের খুব ভালো লাগছে শান্তনাকে দেখতে।খুব ইচ্ছে করছে শান্তনার গালে ভালবাসার স্পর্শ ছুঁয়ে দিতে।কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য দেয়াল যেন বাঁধা দিচ্ছে ওকে।ওর মনোবাঞ্চাকে সাইডে ফেলে দু একবার কাশি দেয় শান্তনার ধ্যান ভাঙার জন্য। শান্তনা হচকচিয়ে ওঠে এবং ওর রাগি চোখ দুটোকে মেঘের দিকে তাক করে বলে,,

কি চাই এখানে?

কি আর চাইবো আমার বউটাকে ছাড়া।

আপনি,,,

আমি,,

খুবই,,

আমি খুবই,,

পাঁচমেশালি একজন লোক।

সেটা আবার কি?
মেঘ ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করল।

কখন কি রুপ ধারণ করেন বোঝাই যায়না।কখনো রাগ তুলে দেন আবার কখনো রাগ নিবারণ করেন।কখনো বিরক্তির কারণ হন আবার কখনো বিরক্ত দূর করে দেন।

তো এখন কোনটা করলাম?মানে এখন আমি কিসের কারণ?

এখন বিরক্ত রাগ দুটোর।

তার মানে আমি এখন নেগেটিভ সাইট হয়ে দাঁড়িয়েছি তাইতো?

হুম,,,ডিসটার্ব করছেন।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

ওকে তাহলে আমি গেলাম।

আরে দাঁড়ান।
মেঘ চলে যাচ্ছিল কিন্ত শান্তনা পিছন থেকে ডাক দেয়।

হুম,,(মেঘ পিছনে ফিরে বললো)

ধন্যবাদ।

বুঝলাম না।

ধন্যবাদ বলেছি এতে না বোঝার কি আছে?

তোমার ধন্যবাদ টা যে আমার হজম হচ্ছে না।

কেন?

তুমি আমাকে ধন্যবাদ বলবে এটা তো আমার কল্পনার বাহিরে তাই আর কি।

কেন আমি ধন্যবাদ বলতে পারিনা নাকি?

পারো তবে আমাকে তো তুমি সহ্য করতেই পারোনা তাই,,,

তাই আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে পারবো না তাইতো?

ঠিক তাই।

তাহলে আপনার মনোভাবটা চেঞ্জ করেন আজ থেকে।

আচ্ছা।তো,ধন্যবাদ জানানোর কারণটা বুঝলাম না যে?যদি বুঝিয়ে বলতে।

আমাকে বিয়ে করার জন্য ধন্যবাদ।

বিয়ে করার জন্য ধন্যবাদ কেন?তুমি কি ঘুমের ঘোরে আবল তাবল বকছো?
মেঘ যেন অবাকের পর অবাক হচ্ছে শান্তনার কথায়।

আমি স্ব জ্ঞানে আছি।আর আমি ঠিকই বলছি।আজ যদি আপনার সাথে আমার বিয়ে না হতো তাহলে কুশালের জাল থেকে আমি বেরই হতে পারতাম।সব সময় ওর মিথ্যা অভিনয়কে বিশ্বাস করে যেতাম।যদি ওর সাথে বিয়ে হয়ে যেত তাহলে কি হতো?

কি হতো?
মেঘ পালটা প্রশ্ন করে,

জীবন টা তেজপাতা হয়ে যেত।খুব বড় ভুল করে ফেলতাম আমি।

বুঝলাম,তবে আমাকে বিয়ে করেও তো ভালো নেই তুমি।কি পাতা বললে ওটাই তো হয়ে আছে।

তেজপাতার কথা বলছেন?

হুম।

কিভাবে হলো তেজপাতা?

এইযে আমাকে ভালো না বেসেও এক ছাদের নিচে থাকছো।তারপর নিজের বাবা মাকে হারালে।চাইলেও তাদের কাছে যেতে পারছো না এক্সেট্রা।

কুশালকে বিয়ে করলেও তো একই হতো।কিন্তু তখন আমি না পারতাম কুশালের ফাদ থেকে বাঁচতে আর না পারতাম নিজের ভুলের মাশুল গুনতে।সেই দিক দিয়ে তো বেঁচে গেলাম।

এখন সেসব বাদ দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো।

আজ না ঘুম পাচ্ছেনা।একটু কথা বলি আপনার সাথে?

সত্যি?

হুম সত্যি কিন্তু তাই বলে এটা ভাববেন না আমি আপনার প্রেমে পড়ে গিয়েছি।আমি জাস্ট ফ্রেন্ড হিসেবে কথা বলবো।মনটা হালকা করার জন্য।

চলবে,আমার ওতেই হয়ে যাবে।

আমি তাহলে আপনার জন্য কফি আর আমার জন্য এক কাপ চা নিয়ে আসি।একটু ওয়েট করুন প্লিজ।

ওকে,,,
শান্তনা বেশ খুশি মনে চলে যায় কিচেনের উদ্দেশ্যে।কিছুক্ষণ পর শান্তনা ফেরত আসে গরম গরম চা আর কফি নিয়ে।দুজনে দুটো চেয়ার এনে বারান্দায় বসে পড়ে।গরম চা আর আর কফির মগ থেকে ধোয়া ভেসে আসছে।সেটা দেখে শান্তনা বলে ওঠে,,

জানেন মানুষের জীবন এই গরম চায়ের ধোয়ার মতো।(গায়ের শালটা ঠিক করে)

কিভাবে?

যতক্ষণ গরম থাকবে ততক্ষণই এর মজা টের পাওয়া যাবে।যখনই ঠান্ডা হয়ে যাবে তখনই এর প্রয়োজন ফুরিয়ে যাবে।ঠিক সেভাবে মানুষও সব সময় সবার প্রয়োজন হয় প্রিয়জন নয়।

কথাটা হয়তো ঠিক বলেছো কিন্তু হঠাৎ এই এক্সেম্পেল দেওয়ার মানে কি?

এমনি মনে আসলো তাই বলে ফেললাম।

ওহ,,,শান্তনা চায়ের কাপে ফু দিচ্ছে আর একটু একটু করে চুমুক দিচ্ছে।মেঘও সেম তবে পার্থক্য হচ্ছে শান্তনা নিজ ধ্যানে মগ্ন আর মেঘ শান্তনাকে দেখতে।বেশ কিছুক্ষণ যাবৎ ওরা নিরবতা পালন করার পর হটাৎ ই শান্তনা আরেকটা উদ্ভট প্রসঙ্গ তুলল।

আচ্ছা মানুষ কি শুধুই স্বার্থের কাঙাল হয়?

কেন বলোতো?

এইযে স্বার্থ ফুরালো কি অন্য কোথাও চলে গেল।

তোমার কি হয়েছে বলোতো শান্তনা?কি বলছো তুমি?কোথা থেকে কি তুলে নিয়ে আসছো বলোতো?ভালো কিছু বলো যেই টপিকটা দিয়ে গল্প করা যায় বা কিছু জানা যায়।

আচ্ছা আপনি শুরু করেন তাহলে।আমার না কিসব মাথায় আসছে বুঝতে পারছি না।

আমি কি যে বলি?উমমম,,,আচ্ছা একটা কথা মাথায় আসলো আমার।যদি কিছু মনে না করো তাহলে জিজ্ঞেস করি?

নিশ্চয়ই আপনি প্রেম ভালবাসা নিয়ে বলবেন?শান্তনা চোখ গরম করে মেঘের দিকে চেয়ে বললো।

আরে না।

তাহলে?

অন্য কিছু।

কি সেটা?

আগে বলো রাগ করবে না।

আচ্ছা বলেন শুনি।

তুমি গতরাতে বললে মেঘ তোমার মা বোনকে কেড়ে নিয়েছে কিন্তু কিভাবে?তেমার মা তো বেঁচে আছে।তাছাড়া তোমার বোন ইবা কিভাবে আসলো?তোমার তো একটাই ছোট ভাই।
মেঘ একনাগাড়ে বলে দিল প্রশ্ন গুলো।শান্তনার দিকে তাকাতেই দেখলো শান্তনা চোখ দিয়ে পানি ছেড়ে দিয়েছে।তাই দেখে,,,,

একি তুমি কাঁদছো কেন?আমি কি কিছু ভুল বলেছি?(মেঘ বললো)
এদিকে শান্তনার কান্নার বেগ যেন ধিরে ধিরে বেড়েই চলেছে।তাই দেখে মেঘ আবারও জিজ্ঞেস করে,,,
বলো কি হয়েছে?আচ্ছা তুমি না বলতে চাইলে থাক বলতে হবে না।

আমার মা আর বোন মারা গেছে(কান্নামাখা সুরে বলে দিল)

মারা গেছে!কি বলছো এসব?তোমার মা তো বেঁচে আছে।

উনি আমার আসল মা নয়।আমার যখন ৫ বছর বয়স তখন আমার মা মারা যায়।

মেঘ ওর কপাল ঘুচিয়ে জিজ্ঞেস করে।
কিভাবে?

আমার মার ২য় বার ডেলিভারির সময় আব্বু আম্মুকে হসপিটালে নিয়ে যেতে পারেনি।সেদিন আকাশ কালো মেঘে আচ্ছন্ন ছিল।চারিদিকে অন্ধকার আর অন্ধকার।হঠাৎ করেই আম্মুর লেবর পেইন উঠে।আমার এখনো মনে আছে আম্মু কিভাবে ব্যাথায় ছটফট করছিলো আমার সামনে।আমি যে কাউকে ডাকবো সেই সেন্সটুকু আমার ছিলো না তখন।আমি আম্মুকে কাঁদতে দেখে নিজেও কেঁদে যাচ্ছিলাম।কিছুক্ষণ পর আব্বু বাড়ি ফেরে।আম্মুর ওই অবস্থা দেখে আব্বু তৎক্ষনাৎ আম্মুকে নিয়ে হসপিটালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কিন্তু তখনি নেমে আসে কালবৈশাখী ঝড় তার সাথে বৃষ্টি।সেই ঝড়ের মধ্যে আব্বু আর আম্মুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সাহস করেনি।আব্বু গিয়ে আশে পাশে থাকা কিছু মহিলাকে ডেকে আনে।তারা এসে আম্মুর ডেলিভারি করায়।

আমার বোন হয়েছিল।কিন্তু জীবিত নয় মৃত।সময় মতো ডেলিভারি নাহয় আমার বোন মারা যায়।কিছুক্ষণ পর জানতে পারি আমার মাও পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেছে।কান্নায় ভেঙে পড়ে আব্বু।আমি মায়ের নিথর শরীরটার দিকে চেয়ে চিৎকার করে কাঁদছিলাম।আর আম্মু আম্মু বলে ডেকে যাচ্ছিলাম।কিন্তু আমার আম্মুর কোনো সাড়া শব্দ পাচ্ছিলাম না।আম্মুকে নড়তে না দেখে আমি আম্মুর বুকে মাথা রেখে কান্না করছিলাম এই বুঝি আম্মু ঘুম থেকে উঠে আমাকে বুকের সাথে জড়িয়ে নিয়ে কপালে চুমু খেয়ে বলবে,আমার সোনা মা কাঁদছো কেন?এইতো আমি তোমার সাথেই আছি। ভয় কিসের?কিন্তু আম্মু না ঘুম থেকে জেগেছিলো আর না আমাকে বুকে টেনে আদর করেছিলো।আম্মু চিরদিনের জন্য আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে।চোখ খুলে আর তাকায় নি আমার আম্মু।কথা গুলো বলে ডুকরে কেঁদে উঠে শান্তনা।তারপর আবার বলে ওঠে,

তারপর থেকে আমি আম্মুর জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠি কিছু খেতে চাইতাম না।সব সময় চুপচাপ থাকতাম।শুধু বলতাম আম্মু চাই,আমাকে আম্মু এনে দাও।আমার এই অবস্থা দেখে আমার দাদা আব্বুকে আরেকটা বিয়ে করায়।যাকে আমি এখন আম্মু বলি ওনাকে আব্বু আমার সামনে এনে বলে,এই যে তোমার আম্মুকে নিয়ে আসলাম।আমি নতুন আম্মুকে দেখে তার কোলে ঝাপিয়ে পড়ি।নতুন আম্মুও আমাকে তার কোলের মধ্যে নিয়ে আদর করতে শুরু করে।আম্মু আমাকে কখনো বুঝতে দেয়নি উনি আমার আপন মা নয়।সব সময় আমার নিজের মায়ের মতো আদর দিয়েছে।কেউ দেখে বুঝতে পারেনি আম্মু আমার সৎ মা।আম্মু কখনো আমাকে আমাকে বুঝতে দেয়নি যে উনি আমার সৎ মা।সাফিনকে আর আমাকে কখনো দুই চোখে দেখেনি।সব সময় সমান ভালবাসা দিয়েছে আমাদের।বরং আমাকে একটু বেশিই ভালবাসা দিয়েছে।কথা গুলো শেষ করে আবার কেঁদে দেয় শান্তনা।

মেঘ এতক্ষণ চুপটি করে শান্তনার কথা শুনে গেছে।কি বলে শান্তনাকে শান্তনা দেবে সেই ভাষা মেঘ খুঁজে পাচ্ছে না।মেঘ ওতো ওর মাকে হারিয়েছে।তাই মা হারানোর কষ্টটা মেঘ বেশ ভালো ভাবে বুঝতে পারছে।শান্তনাকে শান্তনা দিতে মেঘ বলে ওঠে,,
যা হওয়ার হয়ে গেছে ওসব কথা বাদ দাও।সরি আমি তোমাকে তোমার মা বোনের কথা জিজ্ঞেস করে কাঁদিয়ে দিলাম।

তো জানতে পারলেন তো আমি মেঘকে এতো ঘৃণা কেন করি?তবে,,

তবে কি?

তবে আমি আপনাকে ভুল বুঝেছিলাম।আপনাকে আমি সত্যিকারের মেঘের সাথে মিশিয়ে ফেলেছিলাম।ভেবেছিলাম আপনি ও ওই কালো মেঘের মতো আমার সব কেড়ে নিয়েছেন।

কেড়ে তো নিয়েছি তোমার ফ্যামিলিকে।

হুম নিয়েছেন কিন্তু চিরদিনের জন্য নয়।আমার বিশ্বাস একদিন না একদিন আব্বু আম্মু আমাকে আবারও তাদের মেয়ে বলে স্বীকৃতি দেবে। তাদের সব মান অভিমান শেষ হয়ে গেলে আবারও আমি তাদের আদরের মেয়ে হয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।

আমিন।তুমি তো তাও আরেকটা মা পেয়েছো তোমাকে ভালবাসার জন্য।আর আমিতো তাও পাইনি।আর কখনো কাউকে মম বলে ডাকতে পারবোও না।কখনো আর মমের কোলে মাথা রাখতে পারবো না।

হুম,কিন্তু একটা উপায় আছে আপনার মাকে ফিরে পাওয়ার।

আর ইউ স্ক্রাব?

আমি সত্যি বলছি আপনি একজনকে মা বলে ডাকতে পারবেন।

কাকে?

আপনার মেয়েকে।

আমার মেয়ে!

হুম যদি কখনো আপনার কন্যা সন্তান হয় তাহলে তাকে মা বলার চান্স পাবেন।

কথাটা ঠিক বলেছো।কিন্তু আমার মেয়ে কিভাবে হবে?তুমি তো আমাকে হাসবেন্ড হিসেবে মেনেই নিচ্ছো না।

তো কি হয়েছে অন্য কাউকে বিয়ে করে নেন।আর আমাকে ছেড়ে,,শান্তনা পুরো কথাটা শেষ করতে পারলো না তার আগেই মেঘ নারাজ হয়ে রুমের ভেতর ঢুকে যায়।তাই দেখে শান্তনা বলে ওঠে,,
যাহ বাবা ওনার কি হলো?রাগ করেছে মনে হলো।গিয়ে শুনি বলে শান্তনাও রুমের ভেতর চলে যায়।গিয়ে দেখে মেঘ,কম্বল,বালিশ নিয়ে পুনরায় বারান্দার দিকে যাচ্ছে।তাই দেখে শান্তনা বলে ওঠে,,
শুনুন!

মেঘ শান্তনার দিকে চেয়ে বললো,
কি?

আপনাকে বারান্দায় শুতে হবে না।বেশ ঠান্ডা পড়েছে আপনার শরীর খারাপ করবে।আপনি বিছানায় শুতে পারেন আমার সমস্যা হবে না।

থাক তোমাকে আমার জন্য ভাবতে হবে না।

প্রেম নেশা সিজন ২ পর্ব ৯+১০

ভাবতে তো হবেই কারণ আমি একজন মানুষ।আমি আরামে ঘুমাবো আর আপনি বারান্দায় কনকনে ঠান্ডার মধ্যে ঘুমাবেন এটা আমি কিভাবে মেনে নেব?তাছাড়া এখন অসময়ে বৃষ্টি হচ্ছে।

তো?আমার সমস্যা হবে না।

আপনার না হলেও আমার হবে।

আমি কে যে আমার কথা তোমাকে ভাবতে হবে?

আপনি সোজা কথায় মানবেন না তাইতো?দিন আমাকে বলে মেঘের হাত থেকে বালিশ কম্বল টানতে থাকে শান্তনা।

কি করছো তুমি?

ছাড়ুন আপনি আমি বারান্দায় গিয়ে শোবো আপনি রুমে শোন।

না তোমাকে শুতে হবে না।

আমি শোবো।
মেঘ শান্তনার জেদের সাথে না পেরে শেষমেষ বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ে।শান্তনাও গিয়ে মেঘের পাশে শুয়ে পড়ে মাঝে কোলবালিশ রেখে।

প্রেম নেশা সিজন ২ পর্ব ১৩+১৪