প্রেম নেশা সিজন ২ পর্ব ১৯+২০

প্রেম নেশা সিজন ২ পর্ব ১৯+২০
শান্তনা আক্তার

শান্তনা ওদের সামনে গিয়ে কপাল ঘুচিয়ে বললো,
আমি বাড়ি যাব।

বাড়ি যাবে মানে?মাত্রই তো আসলাম।
মেঘের কথা শুনে শান্তনা তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো।

আমার শরীর ভালো লাগছে না আমি বাড়ি যাব মানে যাব।(রাগে কটমট হয়ে)

তুমি এতোটা হাইপার হয়ে আছো কেন?

হেই মেঘ ইস সি ইউর ওয়াইফ?
মেঘকে যে মেয়েটি জড়িয়ে ধরেছিল সে বললো।তার কথা শুনে শান্তনা মুখটা পেঁচার মতো করে দাঁতে দাঁত চেপে বলল,

আজ্ঞে হ্যাঁ,আমি মেঘের ওয়াইফ।আপনার সমস্যা?

নো,নো।

তো জিজ্ঞেস করার কি আছে হুম?

একি শান্তনা তুমি টিনার সাথে এরকম বিহেভিয়ার কেন করছো?
মেঘের কথা শুনে শান্তনার রাগ যেন আরও তিনগুণ বেড়ে গেল।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

ওহ,আমি ওনার সাথে খারাপ বিহেভিয়ার করেছি বলে আপনার কষ্ট হচ্ছে!বাহ!চমৎকার!
শান্তনা কথাটা শেষ করার সাথে সাথে মেঘ ওর হাত ধরে টেনে কিছুটা দূরে নিয়ে।

তুমি এতোগুলো মানুষের সামনে এতোটা রুড বিহেভ কিভাবে করলে?তাও আবার টিনার সাথে।ওকে তো তুমি চেনোও না।

টিনার জন্য আপনার এতো খারাপ কেন লাগছে বলুন তো?কে হয় ও আপনার?

টিনা নীরবের কাজিন।আমাকে ফ্রেন্ডের চোখে দেখে।আমরা সেম এজের।

দেখে তো মনে হয়নি উনি আপনাকে ফ্রেন্ডের চোখে দেখে।

তুমি কি বলতে চাইছো?

আমি কিছুই বলতে চাচ্ছি না।আমি বাড়ি যাব এটাই শেষ কথা।

সেটা এখন সম্ভব না।তুমি বুঝতে পারছো না আমি এখান থেকে চলে গেলে নীরব কতটা কষ্ট পাবে!

আমি বলেছি আমি বাড়ি যাব।আপনাকে তো আর বলিনি আমার সাথে যাওয়ার জন্য।

আমি না গেলে তুমি কিভাবে বাড়ি যাবে শুনি?

কেন দুনিয়ায় কি কোনো রিকশা অটো ভ্যান নেই? নাকি তারা অবসর নিয়েছে?

তুমি রিকশা করে যেতে চাইছো?

হুম,

ওকে যাও।কিন্তু,

কিন্তু কি?

আমি শুনেছি এখানকার রিকশা চালকেরা মেয়েদের একা পেলে মেয়ে পাচারকারীদের কাছে নিয়ে বেঁচে দেয়।আর অনেক টাকা পায়।মেয়ে পাচারের ব্যবসা টা এখানে available হয়ে গিয়েছে।

কিহ!সত্যি বলছেন?
ভয়ে যেন শান্তনার হৃদপিণ্ড শুকিয়ে আসে।

হুম,,এখন তুমি যদি একা যেতে চাও তাহলে যাও।আমার কিছুই করার নেই।স্বামী হিসেবে আমার দায়িত্ব ছিল তোমাকে সাবধান করার,আমি আমার রেসপন্সিবিলি যথাযথভাবে পালন করলাম।এখন তোমার ইচ্ছে তুমি কি করবে।

বলছি কি আপনি,,,

এই দাঁড়াও বলে মেঘ ওর মানি ব্যাগ বের করে।তারপর সেখান থেকে একশো টাকার একটা নোট বের করে শান্তনার হাতে গুজে দিয়ে বলে,এখান থেকে আমাদের বাড়ি যেতে ৯০ টাকা ভাড়া।খুব জোড় একশো নিতে পারে।আচ্ছা তুমি আরও পঞ্চাশ টাকা রাখো বলে পঞ্চাশ টাকারও একটি নোট দিয়ে দিল শান্তনার হাতে।তারপর বললো,এবার খুশি তো!

আপনার মাথা।আমি কোথাও যাচ্ছি না এখানেই আছি।আপনি যখন যাবেন তখনই যাব এবার সরুন সামনে থেকে বলে মেঘের পাশ কেটে চলে যাচ্ছিলো ওমনি মেঘ বলে ওঠে,

আরে আমার দেড়শো টাকা তো দিয়ে যাও তাহলে।

এটা দিয়ে কাল আমি আমার বান্ধবীদের চালতার আচার কিনে খাওয়াবো।যত্তসব কিপটে পাবলিক হুহ বলে আগের জায়গায় এসে বসে পড়ে শান্তনা। আর মেঘ পেটে হাত চেপে হাসতে থাকে।

উফ কি বোকা তুমি শান্তনা।আসলেই তোমাকে পিচ্চি না বলে থাকা যাবে না হা হা হা।
কেক কাটা,খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ হলে সবাই আবার গল্পে জুড়ে যায় যার যার ফ্রেন্ডদের সাথে।তারপর সকলে মিলে ডিসাইড করে সবাই যার যার পার্টনারের সাথে কাপল ডান্স করবে।মেঘ এসে শান্তনাকে বলে,
চলো শান্তনা আমরাও ডান্স করি।

আমার ডান্স করার মুড নেই।আপনার সাথে তো একদমই নেই।

ও তাহলে আরকি থাক।আমরা তাহলে বসে থাকি।

আমি কি জানি?এখানে আসাটাই উচিত হয়নি আমার হাহ,শান্তনা মুখ বাকিয়ে অন্য দিকে চেয়ে আছে।এদিকে টিনা মেঘকে বসে থাকতে দেখে মেঘের কাছে যায়।

হোয়াটস অ্যাপ মেঘ?তোমরা কাপল ডান্স করছো না কেন?

আর বলো না টিনা।আমার ওয়াইফের মুড আজ ভালো নেই তাই আমার সাথে ডান্স করবে না বলেছে।

ওহ,,ভালোই হলো।আমিও ডান্স পার্টনার খুঁজে পাচ্ছিলাম না।চলো তুমি আর আমি ডান্স করি।ইফ ইউ ওয়ান্ট।

সিউর লেটস গো বলে মেঘ টিনার সাথে ডান্স করতে চলে যায়।এদিকে শান্তনার রাগে চোখ দুটো রক্তবর্ণ ধারণ করেছে,মেঘ আর টিনাকে একসাথে নাচতে দেখে।মেঘ মাঝে মাঝে শান্তনার দিকে চেয়ে শান্তনার রিয়েকশন দেখে মিটিমিটি হাসছে।শান্তনা যে জেলাস ফিল করছে তা মেঘ স্পষ্ট বুঝতে পারছে।তাই বারবার শান্তনার সামনে চলে যাচ্ছে নাচতে নাচতে।শান্তনা রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে মেঘ আর টিনার চোখের সামনে থেকে দূরে সরে যায়।তারপর একটা ওয়েটারকে ডাক দেয়।ওয়েটার শান্তনার কাছে গিয়ে বলে,

ইয়েস ম্যাম।কিছু লাগবে?

হুম,এখানে কি ওয়াইন পাওয়া যাবে?

জ্বি ম্যাম।তবে সেটা পুরুষদের জন্য।

কেন মহিলাদের জন্য কেন নয়?মহিলারাও গেস্ট এখানে।তাই আমরাও ড্রিংক করতে পারি।আপনি আপনার কাজ করুন ওকে?

ওকে ম্যাম,
তারপর ওয়েটার শান্তনাকে এক গ্লাস মদ দিয়ে গেল।প্রথমে শান্তনার প্রবলেম হলেও পরবর্তীতে মানিয়ে যায়।একের পর এক গ্লাস খালি করে ফেলে।ওয়েটার শান্তনার অবস্থা দেখে ভয়ে ড্রিংক দেওয়া অফ করে দেয়।শান্তনা অনেকবার বলার পরেও যখন ওয়েটার মানেনি তখন জোড় করে ওয়েটারের হাত থেকে মদের বোতলটা কেড়ে ঢকঢক করে খেয়ে নেয়।শান্তনা মদ খাচ্ছে আর মাতালদের মতো হেলে দুলে চলছে ফিরছে মনে যা আসছে তাই বলছে।এদিকে শান্তনাকে দেখতে না পেয়ে মেঘ পাগলের মতো ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছে।বেশ কিছুক্ষণ খোঁজার পর পেয়েও যায়।কিন্তু শান্তনাকে মাতাল অবস্থায় দেখে মেঘের চোখ প্রায় চড়কগাছ।মেঘ শান্তনার সামনে যেতেই শান্তনা এক টান দিয়ে মেঘকে ওর উপর ফেলে দেয়।আচমকা এমনটা হওয়ায় মেঘ ওর ভারসাম্য ঠিক রাখতে না পেরে শান্তনাকে নিয়ে ফ্লোরে পড়ে যায়।মেঘ শান্তনার উপর থেকে উঠে শান্তনাকে ধরে উপরে উঠিয়ে বলে,
এসব কি শান্তনা!
শান্তনা ওর অনামিকা আঙুল মেঘের ঠোঁটে রেখে মাতালদের মতো বলল,

হুশশ,আমি নাচছি দেখতে পারছেন না?আপনি ওই শাকচুন্নি কে রেখে আমার সাথে নাচুন।আমি গান গাচ্ছি দেখুন,,আজ ব্লু হ্যা পানি, পানি,পানি।ওর দিন ভি সানি সান,,,,

শাট আপ শান্তনা গান গাওয়া ছেড়ে বলো তুমি ড্রিংক কেন করেছো?
মেঘের কথায় শান্তনা কান না দিয়ে টেবিলে বসে থাকা দুজন দম্পতির সামনে গিয়ে প্রথমে ভদ্রলোটাকে বলে,

হিহিহি সবাই দেখো এই ব্যাটা টাক্কুর মাথায় একটা চুলও নাই।ওই তোর মাথার চুল কই হুম?নিশ্চয়ই তোর বউ মারামারির সময় তোর চুলে চুইংগাম লাগিয়ে দিয়েছিল তাইনা?নাকি কাক খেয়ে নিয়েছে হাহাহা।এই নে তোর কপালে থুতু দিলাম বলে থু মারলো লোকটার মাথায়।
ওরে বাব্বাহ!তোর বউটা দেখি হেব্বি মোটকি।একে বারে পানির টাংকি কথাটা শেষ করে আবার হো হো করে হেসে দেয় শান্তনা।সবাই কি ঠিক মতো খাবার পেয়েছিলে?আমি তো পাইনি।কারণ আমার সব খাবার তো এই মোটকি টা খেয়ে নিয়েছিল।ওই মোটকি বের কর সব খাবার।নইলে সেপ্টিপিন দিয়ে তোর পেট ফুটো করলাম। শান্তনার কথা শুনে সেখানে থাকা সব লোকজন হাসতে হাসতে মাটিতে গড়াগড়ি খাওয়ার উপক্রম কিন্তু যেই ভদ্রলোক আর ভদ্রমহিলাকে কথা গুলো বলেছে তারা ব্যতিত।তারা দুজন ভীষণ রেগে যান শান্তনার কথায়।তারা কিছু বলবে কি মেঘ এসে তাদের সরি বলে তারপর শান্তনাকে এক প্রকার জোড় করে কোলে তুলে নিয়ে গাড়ি তে ফেলে দেয়।কোমড়ে ব্যাথা পেয়ে শান্তনা চিৎকার দিয়ে বলে ওঠে,

ওমা গো ওই শয়তান আমাকে এভাবে ফেললি কেন?আমি ব্যাথা পেয়েছি তোর জন্য।(নেশার ঘোরে শান্তনা মেঘকেও তুই করে বলছে)
মেঘ শান্তনার কথায় পাত্তা না দিয়ে গাড়ি চালাতে শুরু করলো।খুব কষ্টে মেঘ গাড়ি চালিয়ে বাসায় ফিরে।কারণ মেঘকে শুধু গাড়ি নয় গাড়ির সাথে শান্তনাকেও নিয়ন্ত্রণ করতে হয়েছে।

শান্তনাকে কোলে করে এনে বিছানার উপর ফেলে দেয় মেঘ।তারপর শান্তনার দিকে চেয়ে বলে,
অবশেষে ঘুমালে।কি ভয়ংকর সিচুয়েশন টাই না ক্রিয়েট করলে আজ।কি জানি সবাই কি ভেবেছে তোমার সম্পর্কে।এই বলে মেঘ ওয়াশরুমের উদ্দেশ্যে যেতে নিচ্ছিলো কিন্তু শান্তনা মেঘের হাত ধরে বসে।

কোথায় যাচ্ছিস তুই হুম!তোকে তো এতো সহজে যেতে দেব না।
কথা বলতে বলতে উঠে বসে শান্তনা।

তুমি এখনো ঘুমাওনি?

না,ঘুমাইনি।এখন তুই ঘোড়া হ জলদি।

মানে!দেখ এখন রেস্ট নাও।তুমি যা বলছো বা করছো স্ব জ্ঞানে করছো না।তাই ঘুমিয়ে পড়ো দেখবে ঘুমালে তোমার নেশা কেটে যাবে।

তুই বেশি কথা বলিশ বেয়াদব ঘোড়া।

আমি ঘোড়া নই চুপচাপ ঘুমাও।

না,আমি ঘুমাবো না।তুই ঘোড়া হ।

এই মেয়েটা আমাকে ঘোড়া না বানানো অবধি শান্ত হবে না বুঝেছি।আচ্ছা হলাম ঘোড়া।
মেঘ হাটু মুড়ে দু হাত ফ্লরে রেখে ঘোড়া হলো।

এইতো গুড,এইবার আমি ঘোড়ার সাবারি করবো।বলে শান্তনা ওর দু পা দিকে দিয়ে মেঘের পিঠে চড়ে বসে।

হয়েছে এবার?

চুপ,এখন আমাকে নিয়ে ঘোর।
মেঘ কোনো উপায় না পেয়ে শান্তনাকে পিঠে নিয়ে ঘোরাচ্ছে।শান্তনা যেদিক যেদিক যেতে বলছে মেঘ ঠিক সেদিক সেদিক যাচ্ছে।কখনো ডায় আবার কখনো বায়।

কি মজা আমি ঘোড়ার উপর বসেছি।হেই ঘোড়া চলে টগবগ টগবগ।চাল মেরে ঘোড়ে হুরহুরহুর,জালদি সে উড় যা চুরমুরসুর।এখন আমি ঘোড়ায় চড়ে আমার রাজকুমারের কাছে যাব ইয়াহু।

একটা রাজকুমার কে ঘোড়া বানিয়ে তুমি অন্য আরেকটাকে গাধা বানাতে যাবে?

চুপ,ঘোড়া কি কথা বলে নাকি যে তুই বলছিস।এখন ঘোড়ার মতো আওয়াজ কর।কর বলছি।

আমি করবো ঘোড়ার আওয়াজ!লাইক সিরিয়াস!

কর নইলে আমি তোর চুল ছিড়বো।

ওকে তাও ভালো।ছিড়ো আমার চুল যত পারো।
শান্তনা মেঘের চুল ধরে টানতে শুরু করলো কিন্তু নেশাক্ত হওয়ায় হাতে বল পেলনা।যার জন্য মেঘ ব্যাথা পায়নি।কিছুক্ষণ চুল টানার পর শান্তনা হাঁপিয়ে ওঠে।

ওই ঘোড়া আমার জন্য পানি নিয়ে আয় আমার গলা শুকিয়ে গিয়েছে।বলে মেঘের পিঠ থেকে নেমে পড়ে।
তারপর মেঘ এক গ্লাস পানি এনে শান্তনাকে দেয়।শান্তনা পানি খেতে গিয়ে গায়ে ঠেলে দেয়।ঠিক ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে না পারায় পানি খেতে পারছে না।তাই দেখে মেঘ শান্তনার হাত থেকে পানির গ্লাসটা নিয়ে নিজ হাতে শান্তনাকে পানি খাইয়ে দেয়।তারপর পুনরায় শান্তনাকে টেনে বিছানায় শুইয়ে দেয়।তারপর বলে,

অনেক হয়েছে বাচ্চামি এবার ঘুমাও।
শান্তনা ঠোঁট উল্টে বলে,

তুই আমাকে ভালবাসিস না।তাই আমি তোর কথা শুনবো না।

তোমাকে কে বলেছে আমি তোমাকে ভালবাসি না?

তাহলে তুই আমাকে ভালবাসিস!

হুম খুব।

তাহলে আমার বেবি কই?ভালবাসলে তো বেবি থাকে।ছোট একটা বেবি।যার ছোট ছোট হাত পা থাকে।

তুমি আবল তাবল না বকে ঘুমাও তো শান্তি মতো।আর পারলে জামাটা বলদে নাও।

না,

প্রেম নেশা সিজন ২ পর্ব ১৭+১৮

প্লিজ শান্তনা স্বাভাবিক হও।পাগলামো ছেড়ে আমি যা বলছি শোনো।

আচ্ছা শুনবো তোর কথা কিন্তু আমাকে বেবি দিলে।

আচ্ছা কাল এখন ঘুমাও।

না এখনই দে।আমার এখনই চাই।

এখন আমার কাছে নেই।

আচ্ছা বেবি না দিলে আমাকে একটা চুমু খা বলে মুখ বারিয়ে দেয়।

তুমি ঘুমাও এখন কাল দেব।

না এখনই দে নইলে ঘুমাবো না।

ওফফফ আচ্ছা ঠিক আছে বলে শান্তনার কপালে একটা চুমু খেল মেঘ।এরপর শান্তনা যা করলো তার জন্য মেঘ মোটেও প্রস্তুত ছিলনা।
শান্তনা ডিরেক্ট মেঘের ঠোঁটে হামলা বসালো।শান্তনা মেঘের ঠোঁটের মধ্যে ঠোঁট ডুবিয়ে নাড়তে লাগলো।মেঘ প্রথমে নিজেকে সংযত করলেও পরে আর পারলো না।ধিরে ধিরে মেঘ শান্তনার পাগলামি গুলোতে সায় দিতে শুরু করলো।তারপর ডুব দিল দুজন সুখের সাগরে।মেঘ শান্তনার মধ্যে এতোটাই ঘুলিয়ে গিয়েছে যে ও ভুলেই গিয়েছে শান্তনা যা করছে সব নেশার ঘোড়ে।কিছুই জেনে বুঝে করছে না সে।

প্রেম নেশা সিজন ২ পর্ব ২১+২২