প্রেম পরিণয় পর্ব ২

প্রেম পরিণয় পর্ব ২
রাজশ্রী মজুমদার রাই

অভি বললো,
অভি- ঠিক আছে চল, তবে তুই আমার হাত, আর হিয়া দাদাইয়ের হাত ধরে থাকবি। একদম হাত ছাড়া যাবে না। মেইন রোডে কখন হঠাৎ করে গাড়ি চলে আসবে, তার ঠিক নেই।
দিয়া-ঠিক আছে দাদাভাই।

চারজনে হাটঁতে হাটঁতে মেইন রোডে গেলো, দিয়া মেইন রোডে আসার পর থেকেই অভির হাত ধরেই খালি রোডে দৌড়াদৌড়ি করছে। অভি ধমক দিয়েও থামাতে পারছে না। হিয়া আর অগ্নিকে পিছনে ফেলে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। অভি এক সাইডে দাড়িয়ে হাঁপাতে লাগলো, তা দেখে দিয়া খিলখিল করে হাসছে। দিয়ার হাসি দেখে অগ্নির মনে প্রশান্তি বয়ে গেলে। হিয়া আর অগ্নি ও ওদের পাশে এসে দাঁড়ালো, অভি বললো
অভি- আর কখনোই তোর কোন কথা রাখবো না, এভাবে দৌড় করালি আমাকে।
দিয়া- বললেই হলো নাকি, তোমাকেই আমার সব কথা রাখতে হবে।
হঠাৎ করে হিয়া বললো,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

হিয়া-দাদাই আইসক্রিম খাবো।
অগ্নি-এই শীতের মধ্যে আইসক্রিম খাবি, তাছাড়া এতো রাতে আইসক্রিম কোথায় পাবো, দোকান তো যা দেখছি সব বন্ধ।
দিয়া- হিয়া চারপাশে চোখ ঘুরাতে লাগলো, অনেকটা দূরে একটা একটা দোকান খোলা আছে মনে হচ্ছে।
দিয়া হাত দিয়ে অভিকে দেখিয়ে দিলো, অভি বললো,
অভি- দাদাই তুমি এখানে থাকো, আমি দেখে আসছি।
দিয়া- আমি ও যাবো তোমার সাথে।

অভি- একদম না, পুরো রাস্তায় দৌড়াতে পারবো না আমি৷ তুই এখানেই চুপ করে দাঁড়া।
দিয়া মুখ কালো করে ফেললো, অভি কিছু একটা ভেবে বললো
অভি- হিয়া তুই চল আমার সাথে।
হিয়া খুশি হয়ে অগ্নির হাত ছেড়ে, অভির হাত ধরে বললো
হিয়া- চলো, চলো।
অভি দিয়াকে উদ্দেশ্য করে বললো,

অভি- কথা না শোনার শাস্তি এটা। দাদাই সাথে এখানেই চুপ করে দাড়িয়ে থাকবি।
এটা বলেই অগ্নিকে চোখে ইশারা দিয়ে, হিয়ার হাত ধরে হাঁটা দিলো।
দিয়া মুখ ফুলিয়ে ওদের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।
দিয়া রাস্তার দিকে তাকিয়ে ভাবছে, অভি আসার আগে কয়েক রাউন্ড দৌড় দিয়ে নিবে৷ খালি রাস্তায় দৌড়াতে ওর খুব ভালো লাগে। আর এ বদ লোক তো কিছুই বলবে না, দিয়ার ভাবনার মাঝেই অগ্নি ওর চিকন হাতটা নিজের শক্তপোক্ত হাতের মুঠোয় নিয়ে নিলো।

দিয়া তো আবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো অগ্নির দিকে, অগ্নি স্বাভাবিক ভাবে দাড়িয়ে রইলো, অগ্নির ভিতরে কি হচ্ছে সেটা কেউই আন্দাজ করতে পারবে না। দিয়া যে ওর দিকে তাকিয়ে আছে সেটা অগ্নি না তাকিয়েও বুঝতে পারছে। দিয়া নিজের আবাকতা কাটিয়ে হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করতে লাগলো, কিন্তু পারছে না। অগ্নি হালকা হাসলো।
দিয়া শরীরের সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে, তাও পারছে না।এবার অগ্নি চোখ গরম করে তাকালো, দৃষ্টি শিথিল হলো, দিয়ার মুখ দেখে। কিন্তু বরাবরের মতোই মুখে কিছু বললো না। দিয়া রাগ দেখিয়ে বললো,

দিয়া- ছাড়ুন আমার হাত??
অগ্নি ছাড়লো না হাত, কিছু বললো না।।
দিয়া আবার বললো
দিয়া- বয়রা নাকি কানে শুনেন না??
এবার দিয়া তাকালো অগ্নির দিকে, সরাসরি অগ্নির চোখে চোখ রাখলো, শান্ত হয়ে গেলো দিয়া। দুজনেই একে অপরের দিকে তাকিয়ে রইলো,,, অগ্নির নিজের চোখের তৃষ্ণা মিটাছে।ষোড়শী দিয়া কি সেটা বুঝতে পারছে?দিয়া নিজের চোখ সরালো না, অগ্নির চোখের ভাষা পড়ার চেষ্টা করছে।এভাবে কতোটা সময় কাটলো সেদিকে কারোই খেয়াল নেই।

অভির ডাকে দুজনেই দৃষ্টি সরালো, কিন্তু অগ্নি দিয়ার হাত ছাড়লো না, অভি বললো
অভি- একদম ঠিক করেছিস দাদাই, হাত না ধরে রাখলে এ শয়তান যে এতোখনে কয়েক রাউন্ড দৌড় লাগাতো।
দিয়া- দাদাভাই তুমি আমাকে শয়তান বলতে পারলে।
অভি- ওহ্ সরি, শয়তান না কিউট শয়তান হবে।
দিয়া মেকি রাগ করে মুখ বাঁকালো, অভি হেসে বললো
অভি- চকলেট ফ্লেভার আইসক্রিম টা কি হিয়া কে দিয়ে দিবো।

দিয়া সাথে সাথেই চিল্লিয়ে নাহ্ বলে আইসক্রিম টা কেড়ে নিয়ো নিলো। দিয়া কান্ডে হিয়া আর অভি শব্দ করেই হাসলো, অগ্নি মুখ টিপে হাসলো। আইসক্রিম হাতে পেয়েও দিয়া খেতে পারছে না,কারণ অগ্নি এখনো ওর হাত ধরেই রেখেছে। বিরক্ত হয়ে দিয়া বললো
দিয়া- হাত ছাড়ুন আমার।
অগ্নি হাতের বাঁধন আর একটু শক্ত করলো। দিয়া এবার রেগে গিয়ে চিল্লিয়ে বললো
দিয়া- কি সমস্যা আপনার, এরকম করছেন কেন আপনি?? ছাড়ুন বলছি, নয়তো খা,,,,,,
দিয়াকে আর বলতে না দিয়ে অগ্নি অভির উদ্দেশ্য বললো,

অগ্নি- অভি আইসক্রিম খুলে দে। অনেক রাত হয়েছে এবার বাসায় যেতে হবে।
অগ্নির কথা মতোই অভি আইসক্রিম টা খুলে আবার দিয়ার হাতে ধরিয়ে দিলো, দিয়া রাগে কিছু বলতে যাবে তার আগেই অভি হিয়ার হাত ধরে আগে আগেই হাঁটা দিলো। দিয়া পিছন থেকেই জোরে বললো
দিয়া- দাদাভাই আমাকে তোমার সাথে নিয়ে যাও, এই শয়তান, জল্লাদ, বদ লোকটার কাছে কেন রেখে যাচ্ছো।।
দিয়ার কথা শুনে পিছনে না ফিরেই অভি বললো
অভি- রেখে যাচ্ছি না, আমাদের পিছন পিছন চলে আয়।

হিয়াও বললো
হিয়া- দাদাই মোটেও বদ লোক না দিদিয়া। আসার সময় আমারা অনেক গল্প করেছি, তোমরা ও গল্প করতে করতে চলে আসো
দিয়া- এই লোক তোর দাদাই আমার নাা, যে লোক আমার সাথে কথায় বলে না, সে আবার করবে গল্প।
অগ্নি ও দিয়াকে নিয়ে হাঁটা দিলো,,, দিয়া বিড়বিড় করে বকেই যাচ্ছে, অগ্নি সব শুনেও নিশ্চুপ হয়ে হাঁটছে। হঠাৎ দিয়া দাঁড়িয়ে পড়লো, অগ্নি ভ্রু কুঁচকে তাঁকালো, দিয়া বললো
দিয়া- জল্লাদ লোক, হাতে ব্যথা পাচ্ছি আমি।

দিয়ার কথা শুনে অগ্নি হাত বাঁধন শিথিল করলো,তবে ছাড়লো না। দিয়াও আর কিছুই বললো না, দিয়া উপরে উপরে রাগ দেখালো ও মন থেকে খুব খুশি। ও মন থেকে চাইছে অগ্নি যেন একবার ওর সাথে কথা বলে৷ অন্য দিকে অগ্নি তো সময় টা উপভোগ করছে, শীতের রাতে প্রেয়সীর হাত ধরে হাঁটা এর চেয়ে রোমাঞ্চকর কিছু হতেই পারে না।

মেইন রোড পার হয়ে চলে এসেছে ওরা,আর দুটো গলি পার হলেই বাসা, কিন্তু অগ্নি এখনো একটা কথা ও বলে নি। এদিকে কিশোরী মনের অস্থিরতা বাড়ছে। দিয়ার হাতের কোণ আইসক্রিম টা এখনো শেষ হয় নি, ও তো খাচ্ছে কম ভাবছে বেশি কিভাবে অগ্নিকে দিয়ে কথা বলানো যায়। হঠাৎ দিয়ার মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি এলো,,, ও ভালো করে একপলক অগ্নিকে দেখে নিলো, অফ হোয়াট ট্রি-শার্ট তার উপরে কলো জ্যাকেট, জিপার টা খুলে রেখেছে, এই বদের হাড্ডি দিকে তাকালেই দিয়া ক্রাশ নামক বাঁশটা খায়।

দিয়া ইচ্ছা করেই ঠোঁটে মুখে কিছু টা আইসক্রিম লাগিয়ে নিলো,, তারপর আবারও দাঁড়িয়ে পড়লো, অগ্নি দু- পা এগিয়ে বুঝতে পারলো দিয়া দাঁড়িয়ে আছে, তাই পিছনে ফিরতেই দিয়া ঝড়ের গতিতে ওর ট্রি-শার্টে নিজের মুখ টা মুছে নিলো, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে কি হয়ে গেলে অগ্নি বুঝতে পারলো না। হতবাক হয়ে এক বার নিয়ে ট্রি- শার্টের দিকে আরেক বার দিয়ার দিকে তাকাছে। দিয়ার মুখে দুষ্ট হাসি, মনে মনে বললো

দিয়া- এবার তো আর চুপ থাকতে পারবে না, বকা দেওয়ার জন্য হলেও তো মুখ খুলবে। শয়তানের হাড্ডি একবার খালি মুখ খোল তারপর, এতো বছর কথা না বলার শাস্তি দিবো।
দিয়ার দুষ্ট বুদ্ধিতে এক বালতি জল ঢেলে দিলো অগ্নি, বকা তো দূরের কথা মুখ থেকে একটা শব্দ ও বের করলো না, উল্টো পকেট থেকে একটা রুমাল বের করে সুন্দর করে দিয়ার মুখটা মুছে দিলো,
দিয়া বিস্ময়ে হা হয়ে গেলো, বকা না দিয়ে মুখ মুছে দিচ্ছে,, দিয়া বিস্ময় কাটিয়ে যখন বুঝতে পারলো তোর প্ল্যান কোন কাজে আসে নি তখন ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কান্না শুরু করে দিলো, হঠাৎ দিয়াকে এমন কান্না করতে দেখে অগ্নি হকচকিয়ে গেলো। দিয়ার কান্নার আওয়াজে অভি আর হিয়া দৌড়ে ওদের কাছে এলো।

হিয়া- কি হয়েছে দিদিয়া, তুমি কাঁদছো কেন??
অভি- কি হয়েছে দাদাই, ও কাঁদছে কেন??
অগ্নি ভাইকে মাথা নাড়িয়ে বুঝালো সে জানে না?? অভি হাত ধরে টেনে নিজের ওর সামনে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করলো

অভি- কি হয়েছে বোনু, বল আমাকে??
দিয়া নাক টেনে টেনে বললো
দিয়া- এই শয়তান লোকটা বকা দিয়েছি আমাকে।
অভি- কি দাদাই তোকে বকছে? সত্যি,,,,,
দিয়ে কান্নার শব্দ আরো একটু বাড়িয়ে বললো
দিয়া- অ্যঁ, অ্যঁ আমি কি মিথ্যা বলছি নাকি,,, তুমি আমাকে একটুও বিশ্বাস করো না দাদাভাই,,, হিয়া তুই তো আমাকে বিশ্বাস করছিস,,,

হিয়া দাদাদের দিকে একপলক তাকিয়ে উপর নিচ মাথা নাড়ায়, যার অর্থ সে বিশ্বাস করে।
দিয়া কান্না থামিয়ে হিয়ার হাত ধরে হাঁটা দিলো,, পিছনে না ফিরেই বললো,
দিয়া- হিয়াপাখি ছাড়া আমার কেউই নেই, একটা দাদাভাই ছিলো, এখন সেটাও নেই।
অভি হাসলো, অগ্নির দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো
অভি- কি হয়েছে বলো তো?

অগ্নি ভাইকে কি বলবে, পুরো বিষয় তো নিজেই বুঝতে পারে নি, সব তো মাথার উপর দিয়ে গেছে। অগ্নিকে চুপ থাকতে দেখে অভি আবার বললো
অভি- সত্যি সত্যি বকা দিছো নাকি?
অগ্নি- ও যখন বলছে, তখন সত্যি বকেছি।
ভাইয়ের কথা শুনে অভি শব্দ করেই হাসলো,,,
পরের দিন সকাল ১০ টায় অগ্নির ঘুম ভাঙ্গলো, ঘড়ির দিকে তাকিয়ে মুখ থেকে বেরিয়ে এলো
অগ্নি- ওহ্ শিট।

তাড়াহুড়ো করে ফ্রেশ হয়ে রুম থেকে বের হলো। হিয়া আর অভি খাবার টেবিলে বসে আছে, অগ্নিকে দেখেই অভি বললো
অভি- তোমার জন্যই অপেক্ষা করছি, খুব ক্ষুধা লাগছে আমাদের।
অগ্নি চেয়ার টেনে বসে বললো,
অগ্নি- অপেক্ষা কেন করছিস, তোরে খেয়ে নিতি।
অগ্নি চারপাশ ভালো করে দেখে নিয়ে অভিকে বললো
অগ্নি- আর কাউকে দেখছি না, সবাই কোথায়??

অভি ঠিক বুঝতে পারলো, ভাই কার কথা জানতে চাইছে, তাই সে না বুঝার বান করে বললো
অভি- বাবা তো অনেক আগেই দোকানে চলে গেছে, আর মা মনে হয় মন্দিরে গেছে।
অভির উওর অগ্নি পছন্দ হলো না, ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে রইলো। অভি মুচকি হেসে খাওয়া শুরু করলো। খাওয়ার মাঝেই হিয়া বললো

হিয়া- অভি দা, তুমি আমাকে একটু বাসায় দিয়ে আসবে।
অভি কিছু বলার আগেই অগ্নি বললো
অগ্নি- আজকে তোরা থেকে যা,
হিয়া- না দাদাই চলে যাবো এখন, দিদিয়া মনে হয় প্রাইভেট পড়ে এতোখনে বাসায় চলে গেছে। বাবাই পরে বকবে আমাকে।

অগ্নি একটা হতাশার শ্বাস ফেললো, সারারাত পিচ্চি টাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে ভোরের দিকে চোখ টা লেগেছে, তাই তো সকালে উঠতে পারে নি, আর পিচ্চি পরীটা কে ও দেখে নি।
অগ্নিকে এভাবে খাবার সামনে নিয়ে বসে থাকতে দেখে অভি বললো,,
অভি- চিন্তা বাদ দিয়ে খাবার টা খাও।
অগ্নি খাবার মুখে দিয়ে বুজলো এটা ও মায়ের হাতের রান্না না, তবে ভীষণ মজা হয়েছে।
অগ্নি কিছু বলার আগেই অভি বললো,
অভি- কি রে দাদাই খাবার কেমন হয়েছে।
অগ্নি- হুম ভালো।

অভি- দিয়া টা ভালো রান্না করতে পারে, পিসিমনির হাতের স্বাদ পাওয়া যায়।
অগ্নি তো অবাক, তার পিচ্চি টা এতো ভালো রান্না করতে পারে এটা সে চিন্তা ও করে নি।
হিয়াকে উদ্দেশ্য করে অভি বললো
অভি- তুইও শিখে নিস কিছু রান্না।
হিয়া- আমিও পারি রান্না করতে, পিসিরা আসলেই আমাদের দুই বোনকে দিয়েই রান্না করায়, তাই দিদিয়ার মতো আমি ও পারি।

অভি- তোর পিসিদের কথা আর বলিস না, একেকটা ডাইনি, দেখলেই রাগ লাগে।
হিয়া মন খারাপ করেই বললে
হিয়া- বাসায় আসলেই আমাদের দিয়ে সব কাজ করাই, উনারা আসলেই বাবাই বেশি খারাপ আচারণ করে।
অগ্নির মন টা খারাপ হয়ে গেলো, হিয়ার কথা শুনে। অভি বললো

অভি- ঠিক আছে মন খারাপ করিস না, একবার জায়গা মতো হাতে পায় তোর পিসিদের দেখাবো সেদিন মজা।
রাতে অগ্নি নিজের ব্যাগ গুছিয়ে নিচ্ছে, কাল সকালেই ঢাকায় চলে যাবে। সব গুছিয়ে নেওয়ার পর চোখ গেলো,দিয়ার মুখ মুছে সে ট্রি-শার্টের দিকে। ট্রি-শার্ট নিয়ে কিছুখন বুকে জরিয়ে ধরলো, প্রিয়তমার দেওয়া চিহ্ন আছে এ ট্রি-শার্টে।

প্রেম পরিণয় পর্ব ১

অন্যদিকে অগ্নির কাল রাতের করা আচারণ দিয়ার কিশোরী মনে অনুভূতির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে।
দুই প্রান্তে দুইজন ঠিকই একে অপরকে নিয়ে ভাবছে, কিন্তু দুইজনের কেউই কারো অনুভূতি সম্পর্কে জানে না।

প্রেম পরিণয় পর্ব ৩