প্রেয়সী পর্ব ১১

প্রেয়সী পর্ব ১১
নন্দিনী নীলা

মধু একটা চেয়ার টেনে বসল। ওর দৃষ্টি এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। ও মূলত বাসাটা ভালো করে খুঁটিয়ে দেখছে নতুন একটা জায়গায় এসেছে দেখতে তো হবে। তার উপর এটা আবার ফুয়াদ খবিশ টার শশুরবাড়ি। সেটা শোনার পর আরো আগ্রহ ভরা চোখে দেখছে। তিন্নির কপাল খারাপ ও আসতে পারে নাই। বেচারি হুট করেই অসুস্থ হয়ে পরেছে। জ্বরে উঠতে পারছিল না‌‌।

তাই ওকে আনা হয়নি। আর নাফিসা আন্টি ও আসে নাই। তার নাকি কোমর ব্যথা। আর বাকি সবাই এসেছে। এইতো সবাই কারো না কারো সাথে গল্প করছে দাঁড়িয়ে, কেউ হাসছে, কেউ খাচ্ছে, কাউকে নজরেই পরছে না। মধু আছে বোরিং হয়ে আসার পর থেকে ও মিতুল কে খুঁজছে নজর ফেলে চারপাশে। কিন্তু তার দেখা নাই। মিতুল কে দেখেছে সেই প্রথম রাতে। এখনো মনে আছে মিতুল ওকে বিরক্তিকর চোখে দেখছিল। কথা বলতে নারাজ ছিল। সেদিন রাহী আর ফাহাদ না থাকলে ও কোথায় যেতো আর তিন্নি কেও পাওয়া দুষ্কর হয়ে যেতো।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

রাহী আপু এসেই কোথায় যেন চলে গেল। ওকে সাথেই নিতে চেয়েছিল। কিন্তু মধু এতো লোকের ভীড়ে তাকে হারিয়ে ফেলেছে। আর ফাহাদ আসার পর থেকেই খাওয়ার তালে আছে। বাসায় থেকে ওরা সবাই একসাথে আসলেও ফুয়াদ আর সমুদ্র আসে নি। তারা আলাদা ভাবে আসবে বলেছে। এসেছে নাকি এসে পৌঁছায় নি এখনো জানে না ও কারণ দুজনের একজন কেউ কোথাও দেখা যাচ্ছে না।

একটু পর পর একটা ওয়েটার এসে ওকে এটা সেটা সাধছে। ও খাবে না বলছে তাও লোকটা একটু পর পর আসছে। এবার ও এসে লোকটা বলল,,” ম্যাম একটা জুস অন্তত নিন। অনেক ক্ষণ ধরে খালি মুখে বসে আছেন।”
তীব্র বিরক্ত নিয়ে তাকাল মধু লোকটার দিকে।
মুখে বিরক্তের আভাস ফুটিয়ে বলল,,” আপনার সমস্যা কি আদ্যিখেতা দেখাচ্ছেন কেন?”

” ম্যাম আপনি ভুল বুঝছেন। এখানে উপস্থিত সবার খাওয়ানোর দায়িত্ব আমাদের তাই সবাইকেই এমন ট্রিট করছি। আপনি একা মলিন মুখে বসে আছেন। কিছু খাচ্ছেন না তাই বারবার বলছি। আপনার খারাপ লাগলে সরি।”
মধুর খারাপ লাগল লোকটার কথা শুনে তাই বলল,,” ইটস ওকে।” বলে মধু একটা জুস নিল হাতে। ও এখানে এসে চরম বিরক্ত হচ্ছে। তিন্নি থাকলে সময়টা সুন্দর করে কাটানো যেতো। কিন্তু এখন শুধুই বোর হচ্ছে। জুসে এক চুমুক দিয়ে উঠে দাঁড়াল। তখনি উপর থেকে মিতুল কে নামতে দেখা গেল।

সিঁড়ি বেয়ে নামছে পরণে হোয়াইট গাউন। পুতুলের মতো লাগছে। মধু হা হয়ে তাকিয়ে আছে মিতুলের দিকে। মিতুল সিঁড়ি মাথায় দাঁড়িয়ে আছে ও নামাবে তখনি রুমের লাইট অফ হয়ে গেল। চারপাশ অন্ধকারে ছেয়ে গেল শুধু আলোকিত হয়ে উঠল মিতুল। ওর উপর আলাদা করে লাইট ফিট করা হয়েছে ও নামছে ওর সাথে আলো নড়ছে। মধু হা হয়ে তাকিয়ে আছে। ওর জন্মদিন কখনো এভাবে সেলিব্রিশন করা হয়নি। বাবা জন্মদিন পালন করা পছন্দ করে না। কখনো কেক ও আনা হয়নি‌। মা এমনিতেই ওর পছন্দের খাবার তৈরি করতো শুধু। কিন্তু ওর ফ্রেন্ডরা বাইরে আয়োজন করতো কেক আনতো‌। তার অর্ধেক গায়ে মাখামাখি করছি শেষ করতো।

মিতুল নিচে নামতেই লাইট জ্বলে উঠল। চারপাশ আবার আলোয় আলোকিত হয়ে উঠল। ভেতরে থেকে একটা কেক নিয়ে আসা হলো ইয়া বড়ো কেক মিতুলের সামনে রাখা হলো। তখনি দেখা গেল সমুদ্র আসছে মুখে মিষ্টি হাসি। সমুদ্র একটা নেভি ব্লু শার্ট পড়েছে দেখতে সুন্দর লাগছে। মিতুলের দিকে একটা বড়ো গিফট বক্স বারিয়ে ধরল। মিতুল ঠোঁট নাড়িয়ে কিছু বলে হাতে নিল। মধু হাঁটছিল মিতুলের দিকে দৃষ্টি রেখেই। অন্যমনস্ক হয়ে হাঁটার ফলে ও কারো সাথে জোরে একটা ধাক্কা খায়। ওর হাতে জুস ছিল ধাক্কা খেয়ে হাতের জুস সব নিজের জামায় ফেলে দেয়। চমকে সামনে তাকিয়ে দেখে একটা মোটা করে মহিলার সাথে ধাক্কা খেয়েছে।

মহিলাটি ওর দিকে কটমট করে তাকিয়ে বিড়বিড় করে বকছে। মধু কার দোষ বুঝতে পারছে না ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে।
” এই মেয়ে দেখে চলতে পারো না একটুর জন্য আমার শাড়িতে জুস লাগে নি।”

মধু নিজের আকাশি কামিজের দিকে তাকিয়ে আছে। এই কামিজটা ওর দারুন পছন্দ হয়েছিল মার্কেটে গিয়ে। আজ যখন সকালে জন্মদিন পার্টিতে যাবে শুনল তখনি এটা পরে আসবে ফাইনাল করে সুন্দর করে সেজে গুজে এসেছিল। আর এই মুটকি মহিলার জন্য ওর জামাটা নষ্ট হয়ে গেল। হলুদে জুস পরে আকাশি কামিজ সাদার মধ্যে আকাশি পাথরের কারুকাজের সুন্দর ওরনাটা নিমিষেই বিচ্ছিরি হয়ে গেল।

এই পোশাক পরে এখন ও এখানে থাকবে কি করে এতো আত্নীয় স্বজন এখানে সবাই কি ভাববে ছিহ। লজ্জায় ওর কান গরম হয়ে এল। এই লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে ফুয়াদ কেও দেখল মধু। ফুয়াদ ও দাঁড়িয়ে আছে মিতুলের পাশে‌। দুজনেই কথা বলছে। ফুয়াদ একটা সাদা ব্লেজার পরেছে। মিতুল সাদা গাউন আর ফুয়াদ সাদা ব্লেজার দু’জনকে মানিয়েছে। সমুদ্র কে আশেপাশে দেখা যাচ্ছে না।

চিত্রা ভাবি বা রাহী আপুকেও দেখছি না‌। এখন পরিচিত শুধু ফুয়াদ কেই দেখছি আর কাউকেই দেখছি না। কি সাংঘাতিক বিপদের সম্মুখীন হলো মধু‌। রাগে দুঃখে এখন কান্না পাচ্ছে। এখনো কেক কাটা হয়নি আর ওর অবস্থা নাজেহাল এই ভাবে সবার সামনে থাকবে কি করে।
ও লক্ষ্য করল সেই ওয়েটার ওর দিকে তাকিয়ে আছে। ও লজ্জা মাখা নিচু করে কোনদিকে যাবে ভাবছে। তখনি সামনে এসে দাঁড়াল সমুদ্র।

” হেই মধু কোথায় ছিলে তোমাকেই খুঁজছিলাম।”
মধু মাথা নিচু রেখেই উত্তর দিল।
” জি এখানেই ছিলাম। আমাকে কেন খুঁজছিলেন?”
সমুদ্র মধুর জামার দিকে তাকিয়ে বলল,,” একি এই অবস্থা কেন তোমার? ভিজেও গেছে।”
মধু কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা। সমুদ্র মধুর হাতে খালি গ্লাস দেখে বলল,,” জুস নিজে না খেয়ে কি ড্রেসকে খাইয়েছো?”
মধু চোখ পাকিয়ে তাকাল সমুদ্রের দিকে।

” ওরে বাবা ভয় পেলাম তো।” বলেই হো হো করে হেসে উঠল।
মধু রাগী গলায় বলল,,” মজা নিচ্ছেন? যেখানে সাহায্য করা উচিত সেখানে মজা নিচ্ছেন। ভারি ফাজিল তো আপনি সেদিন তো খুব বড়ো মুখ করে বলেছিলেন কোন সমস্যা হলে যেন আপনাকে বলি।”
সমুদ্র অবাক গলায় বলল,,” তো বললে কখন? প্রবলেম এর কথা না বললে সাহায্য করব কি করে?”
” আপনার কি চোখ কানা? দেখতে পাচ্ছেন না কি সমস্যা হয়েছে। তাও বলতে হবে কেন! মুখে তো বলেছিলেন বড়ো বড়ো কথা এবার সাহায্য করুন দেখি। আমার ড্রেস ক্লিন করার ব্যবস্থা করুন। নয়তো নতুন ড্রেস এনে দিন।” আদেশ গলায় বলল মধু।

সমুদ্র ঘাড় কাত করে বলল,,” যথাআজ্ঞা রাণী সাহেবা। আর ড্রেস ক্লিন করলেও ভেজা জামা সেকেন্ডে শুকানো যাবে না।”
সমুদ্র মধু কে নিয়ে নিয়ে একটা রুমে এল।‌ তারপর মধু কে বলল,,” তুমি দাঁড়াও এখানে আমি রাহী খোঁজে আনি। তোমার ফোন কোথায় ওকে তো কল দিতে পারতে একা একা দাঁড়িয়ে ছিলে যে?”
মধু বলল,,” আমার ফোনে ব্যালেন্স নাই।”

সমুদ্র ওহ বলে ওকে ওখানেই থাকতে বলে চলে গেল। একটু পর রাহী এল এসেই ওকে সরি বলতে লাগল। সে নাকি নাঈম ভাইয়ের সাথে ছিল। মধু বলল,,” আপু আমি এখন কিভাবে বাইরে যাব দেখ আমার ড্রেস শেষ।”
” তুমি এখানেই থাকো আমি দেখি মিতুল ভাবির থেকে পোশাকের ব্যবস্থা করতে পারি নাকি।”

মধু মুখ কালো করে বসে র‌ইল খাটে রাহী আবার চলে গেল‌ সমুদ্র আর আসে নি। এই রুমটায় কোন বেলকনি নাই একটা জানালা আছে সেটা হাট করে খোলা। রাত এখন তাই বাইরে অন্ধকার। জানালা দিয়ে বাইরে ও তাকিয়ে আছে সেখানে দিয়ে গাছের পাতা দেখা যাচ্ছে। বাইরে চিৎকার চেঁচামেচি আওয়াজ আসছে। মধু বাথরুমে গেল টিস্যু দিয়ে কামিজ পরিষ্কার করতে লাগল যদি এভাবেই হয়ে যায় তাহলে আর অন্যের পোশাক পরবে না। ভেজা জামায় পরে থাকবে। হচ্ছে না ওরনায় ও লেগেছে। বিরক্তে নাক মুখ কুঁচকে আসছে ওর।

টিস্যু ফেলে বাইরে আসতেই চমকালো ও এখনো বাথরুমের দরজায় সামনে দাঁড়িয়ে আছে। একটা অপরিচিত ছেলে মেয়ে ঘনিষ্ঠ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ওর চোখ দুটো বিষ্ময় এ বের হয়ে আসতে চাইল। লজ্জায় শরীরের শিরাউপশিরা কেঁপে উঠল। এক দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে এল। ছেলে মেয়ে দুটো কারো আওয়াজ পেয়ে ছিটকে সরে যায় কিন্তু ততক্ষণে মধু বেরিয়ে এসেছে।

লজ্জা নাক মুখ কুঁচকে দৌড়ে বাইরে এসে মধু জোরে ধাক্কা খেলো একজন পুরুষের সাথে। সে আর কেউ নয় ফুয়াদ। মধু ঢোক গিলে তাকিয়ে আছে ফুয়াদের দিকে। ফুয়াদ আগুন চোখে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।
” ইউ স্টুপিড গার্ল। দেখে চলাফেরা করতে পারো না। খালি দৌড়াদৌড়ির তালে থাকো।” ফুয়াদ শক্ত গলার কথাগুলো বলেই এদিক ওদিক চোখ ঘুরিয়ে কাউকে খুঁজতে লাগল।‌ তারপর ওকে খেলেই সামনের রুমটার দিকে যেতে লাগে। যে রুম থেকে মধু পালিয়ে এসেছে।

মধু ফুয়াদের গন্তব্যে পালিয়ে আসা রুমটা দেখ চোখ কপালে তুলে ফেলল। বিড়বিড় করে বলল,,’ ওই রুমে যাচ্ছে কেন?’
আওয়াজ করে বলল,,” আরে ওদিকে কেন যাচ্ছেন?”
ফুয়াদ এমনিতেই মধুর সাথে ধাক্কা খেয়ে ওর মেজাজ তুরঙ্গে উঠে আছে। আবার বাধা পেয়ে রাগী দৃষ্টি নিক্ষেপ করল পেছনে ঘুরে। একটু আগে ও এখানে রমেশচন্দ্র এর গার্লফ্রেন্ড কে দেখেছে এদিকেই আসতে দেখে ও ফলো করেছে তখনি মধু নামক ঝামেলা ওর সামনে প্রকট হলো সয়ং ঝামেলা করে। ওর সাথে ধাক্কা খেয়েই কাঙ্খিত মানুষটিকে হারিয়ে ফেলেছে। সামনে একটা রুম দেখে ও সেদিকে যেতে চায় আবার মেয়েটি ওকে রাগের চরম সীমায় পৌঁছে দিতে বাঁধা দিচ্ছে। মন তো চাচ্ছে একে তুলে একটা আছাড় মারতে‌।

মধু কাঁচুমাচু মুখে তাকিয়ে আছে রুমটার দিকে। ওই রুমের দিকে কেন যাচ্ছে উনি? হায় আল্লাহ ওখানে যা হচ্ছে তা উনি ও দেখে ফেলবে ছিহ জেনে শুনে ওমন ভয়াবহ জায়গায় কিভাবে যেতে দিবো?
মধু আটকানোর জন্য জিজ্ঞেস করেছে। কোনভাবে আটকে দিবে এই ওর আশা।
কিন্তু ফুয়াদের তাকানো দেখে ও ভয়ে ঘামতে শুরু করে দিলো। কি ভয়ংকর চাহনি চোখ দিয়েই ওকে ভস্স করে দিবে নাকি খবিশ লোকটা।

” আমি কোথায় যাব! কেন যাব! তার কৈফিয়ত তোমাকে দিয়ে যেতে হবে নাকি?” ভ্রু নাচিয়ে বলল ফুয়াদ।
” হ্যা দিতে হবে।” কথার তালে বলে উঠল মধু। বলেই মধু জিভে কামড় দিল। আনমনে কি বলে ফেলেছে বুঝতে পেরে থমকে গেল। ফুয়াদ বিস্মিত চোখে তাকিয়ে আছে ওর দিকে। ফুয়াদ নিজেও স্তব্ধ মধুর কথা শুনে। সাহস দেখে ওর মুখে কথা বন্ধ হয়ে গেল। মধু ভয়ে ওরনা আঙুলে পেচাচ্ছে অনবরত।
মধু শুকনো ঢোক গিলেছে অনবরত। সাথে আমতা আমতা করতেছে। ফুয়াদ পেছনে ঘুরে দুইপা বারিয়ে একদম মধুর মুখোমুখি এসে দাঁড়াল।

তারপর চোখ ছোটো ছোটো করে বলল,,” ওহ রিয়েলি! হু আর ইউ?”
মধু তোতলানো গলায় বলল,,” দেখুন আপনি ওই রুমে যাবেন না। আমি কোন জবাবদিহিতা চাই না সেই অধিকার আমার নেই জানি কিন্তু তবুও বলছি যাবেন না।” বলেই মাথা নিচু করে ফেলল মধু।

ফুয়াদ আরেকটু নিকটে এগিয়ে এল। একদম কাছে যতটা কাছে এলে একজন আরেকজনের নিঃশ্বাসের শব্দ শুনতে পায়। মধু তড়াক করে মাথা তুলে তাকাল। ফুয়াদ মধুর চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। অদ্ভুত রহস্যময় তার দৃষ্টি মধু ভয়ে কাঁপছে। বুকের ভেতর হাতুড়ি পেটা হচ্ছে।

এভাবে কাছে এসে তাকিয়ে আছে কেন? ভয়ে ওর ঠোঁট শুকিয়ে আসছে। হাত পা থরথরিয়ে কাঁপছে। জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে কিছু বলতে যাবে মধু কিন্তু ফুয়াদ বলে উঠল,,” শোন তুমি আমার ঘরের ব‌উ ন‌ও। যে আমি কোথায় যাব! কেন যাব? তার কৈফিয়ত চাইবে।‌ থাকলেও আমি বলতাম কিনা জানি না। তাই এমন অযোক্তিক প্রশ্ন করে অধিকার দেখাতে আসবে না আমার উপর। তুমি আমার কেউ ন‌ও। তাই তোমার কাছে আমি কোন জবাবদিহিতা করব না। আমার আপন মানুষেরাই আমার কাজে জবাবদিহিতা চাইতে পারে না। সেখানে তুমি আমার কেউ না হয়ে সেই সাহস দেখাতে আসবে না।”

প্রেয়সী পর্ব ১০

নিঃশ্বাস আটকে মধু ফুয়াদের কথা শুনল। ফুয়াদ গমগমে গলায় কথাগুলো বলে গটগট পায়ে শব্দ করে চলে গেল। মধু ফুয়াদ সরে যেতে ঘনঘন শ্বাস ফেলল।

প্রেয়সী পর্ব ১২