প্রেয়সী পর্ব ৩২

প্রেয়সী পর্ব ৩২
নন্দিনী নীলা

রাহী আর নাঈমের বিয়েটা নির্বিঘ্ন ভাবেই সম্পূর্ণ হলো। যথারীতি দু’জন কেই বিদায় দেওয়া হলো। কিন্তু বিয়েতে একটা অদ্ভুত কান্ড ঘটল। হঠাৎ করেই ফুয়াদ আর মধু বিয়ে থেকে মিসিং হয়ে গেল। বিয়েতে এসে উপস্থিত হয়েছিল মধুর ভাই। তিনি জাহানারা বেগম এর থেকে খবর পেয়েই বিয়েতে অ্যাটেন্ট করেছে। কিন্তু মধু কে পায়নি। জাহানারা বেগম মধুর ভাইয়ের সামনে লজ্জায় দাঁড়াতে পারেনি। মেয়েটাকে আর খোঁজে পেল না।

প্রথম দেখায় কল করে খবর পাঠিয়ে দিয়েছিল আর পরে তার নাম নিশানা হারায় গেল। মধুর ভাই অতিথি হয়েই এসেছিল বোনকে খুঁজেছে না পেয়ে বিরক্তিকর মুখে জাহানারা বেগমকে কড়া গলায় ধমকে চলে‌ গেছে। তার‌ ভুল নিউজের জন্য তার কতটা সময় নষ্ট হলো। এই বিয়েতে এসে। জাহানারা বেগম মুখ নিচু করে ছিল শুধু। মধুর ভাই বিয়ে থেকে প্রস্থান করার পর‌ই মিতুল এসে দাঁড়াল তার সামনে। মিতুল জহুরি নজরে তাকে মাথা থেকে পা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করল।
জাহানারা বেগম মিতুল কে একটু ও পছন্দ করেন‌না‌। সেইদিন রুমে যে অপমান করেছে এই বেয়াদব মেয়ে। তাই তিনি মিতুল কে এরিয়ে চলে যেতে চাইল‌।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

মিতুল তাকে ডেকে বলল,,” আপনি কি কাউকে খুঁজছেন?”
জাহানারা বেগম বললেন,,” না কাকে খুঁজব?”
” মিথ্যা বলছেন কেন? আমাদের রুমে তো খুঁজতেই গিয়েছিলেন মনে নাই?”
” গিয়েছিলাম তো কি হয়েছে?”
“আমাকে বলেন আমি হয়তো আপনাকে হেল্প করতে পারব।”
” দরকার নাই।”

” আরে আন্টি তখনকার ব্যবহারের জন্য সরি রাগ করবেন না। তখন মাথা গরম ছিল‌। বলুন না কাকে‌ খুঁজছেন!”
জাহানারা বেগম তাও বললেন না মিতুল ও কম না। না শুনে ছাড়বেই না জাহানারা বেগম কে।
” আচ্ছা বলছি আমি একটা মেয়েকে খুঁজছি। কিন্তু তাকে পেলাম না গতকাল দেখেছিলাম তারপর লাপাত্তা হয়ে গেছে।”
” আন্টি মেয়েটার নাম কি? দেখতে কেমন?”

” মেহেরিমা। দেখতে ফর্সা, গোলগাল মুখ, পিঠ পর্যন্ত কুকড়ানো চুল। ছিমছাম গায়ের গরন।”
নিজের মতো বর্ণনা দিতে লাগল। মিতুলের চোখের সামনে মধুর মুখটা ভেসে উঠল। খুশিতে এক লাফ দিয়ে বলল,,” আমি চিনি ওকে। ওর নাম মধু। আপনাদের নতুন ব‌উ রাহীদের বাসায় থাকে।”
” সত্যি।”
” একদম সত্যি আন্টি।”

মিতুল খুশিতে পারেনা নেচে দিবে। কিন্তু মধু কোথায় তাকে কোথাও খোঁজে পায় না মিতুল। এদিকে পাত্র পক্ষ ব‌উ নিয়ে চলে যায় বাকি রাও রিসোর্ট থেকে বেরিয়ে পরে। তীরে এসে তরী ডোবার মতো অবস্থা মিতুল এর। বিয়ে থেকে ফুয়াদ আর মধু কোথায় গেছে? সবার মাথায় এখন একটাই প্রশ্ন। নাফিসা বেগম নিজেও হতভম্ব দুজন অনুপস্থিত মানে দুজনেই একসাথে আছে কিন্তু আছে টা কোথায়? আর হঠাৎ দুজনে একসাথে কোথায় কেন গেল?
নাফিসা বেগম সন্দেহ চোখে বাসায় ফিরে আসলেন সেখানেও কাউকে পেলেন না। গম্ভীর মুখে তিনি বসে আছেন। ফুয়াদ ও মধুর দুজনের ফোন বন্ধ তাই কারো সাথে কেউ যোগাযোগ ও করতে পারছে না।

সিটে হেলান দিয়ে বসে আছে মধু। ওর চোখ দুটো বন্ধ। খোলা, নিরিবিলি রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করানো। বাইরে পিনপিনে নীরবতা। এই রাস্তাটা হয়ত বন্ধ থাকে গাড়ির চলাচল কম। আধা ঘন্টার মতো হয়ে গেছে ওরা এখানে আছে এখনো একটা গাড়ির আওয়াজ আসেনি। ফুয়াদ গাড়ি পার্কিং করে বাইরে দাঁড়িয়ে ভূতের মতো কারো সাথে কথা বলছে। মধু চোখ খুলে ফাঁক করা দরজা দিয়ে তাকাল ছায়ার মতো মানুষটার দিকে হাত নেড়ে নেড়ে কথা বলছে।

মধু লেহেঙ্গা দুই হাতে ধরে উঁচু করে লাফ দিয়ে গাড়ি থেকে নামল রাস্তায়। লেহেঙ্গার কোনা ছেড়ে গাড়ির দরজা শব্দ করে লাগালো। শব্দ শুনে ফুয়াদ পিছু ফিরে ওর দিকে তাকাল। মধু রাস্তায় নেমে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল। দক্ষিণ দিকে থেকে ঠান্ডা বাতাস এসে মধুর শরীর ছুঁয়ে দিতে লাগল। বাতাসের ঝাপটায় মধুর গলার ওরনা দুলতে লাগল।

মধুর চোখে বাতাস লাগছিল ও সরাসরি বাতাস না নিয়ে একটু বাঁকা হয়ে দাঁড়াল বাতাসের গতিবেগ তীব্র থাকায় পিন আপ করা ছাড়া লেহেঙ্গার পাতলা ওরনাটা মধুর গলা থেকে উড়ে যায়। মধুর থেকে কয়েক হাত দূরত্বে ফুয়াদ দাঁড়িয়ে ছিল ওরনা গিয়ে ফুয়াদের পায়ের কাছে পড়ল। মধু চমকে সেদিকে তাকাল। মিনিট খানিক বাদেই ফুয়াদ ফোন অফ করে পকেটে ঢুকিয়ে ওরনা তুলে নিচু হয়ে। তারপর সেটা হাতে পেঁচিয়ে এগিয়ে আসতে লাগে। গাড়ির পেছনে ও সামনে লাইট জ্বলছিল নিভছিল তাই সেই আলোতে মধু সবটাই পরিষ্কার দেখতে পেল। ওরনা ছাড়া টপস পরার অভ্যাস মধুর আছে তবুও ফুয়াদ এর সামনে ওরনা ছাড়া থাকতে কেমন জানি লাগল‌ ও খোলা চুল গুলো দুই সাইটে এনে দাঁড়িয়ে র‌‌ইল।

ফুয়াদ এগিয়ে এসে দাঁড়াল মধুর খুব নিকটে। মধু পিছিয়ে গেল তা দেখে। ফুয়াদ আরেক পা এগিয়ে আনল মধুর দিকে। মধু চোখ কটমট করে তাকাল ফুয়াদের দিকে। ফুয়াদ এর ঠোঁটে দুষ্টু হাসি। মধুর শরীর জ্বলে উঠল হাসি দেখে ও এক পা না এবার পেছনে যতদূর যাওয়া যায় পা পিছাতে লাগল। বেশি পিছাতে পারল না গাড়িতে ঠেকে গেল। গাড়িতে পিঠ লাগতেই মধু গাড়িতে হেলান দিয়ে দাঁত কিড়মিড় করে বলল,,” সামনে আসবেন না পেছনে যান।”

ফুয়াদ ওর কথা শুনে পা থামিয়ে দিল। মাথার চুলে হাত দিয়ে ঠিক করার মতো করে বলল,” ভয় পাচ্ছ?”
মধু বলল,,” ভয় পাব কেন?”
ফুয়াদ নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকেই মাথা নিচের দিকে ঝুঁকিয়ে মধুর দিকে মুখ এগিয়ে এনে ফিসফিস করে বলল,,” কাছে আসলে নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার ভয়?”
মধুর চোখে মুখে ফুয়াদের গরম নিঃশ্বাস আছড়ে পড়ছে ওর বুকের ভেতর ধুকপুক করে উঠল। শরীরের প্রত্যেক শিরা উপশিরায় কেঁপে উঠল। ফুয়াদের বুকে হাত রেখে মধু ওর মুখটা নিজের কাছে থেকে সরিয়ে বলল,,” দূরে যান বলছি ভালো হবে না কিন্তু।”

ফুয়াদ পাঞ্জাবি পরা ছিল। হাতে মধুর ওরনা ও ওরনা হাতে থেকে খুলে গলায় ঝুলালো পেছনে থেকে সামনে এনে। মধু বলল,,” আমার ওরনা দিন।”
“ওরনা তোমাকে পছন্দ করেনি। তাইতো উড়ে চলে গেছে আমার কাছে।”
” অসভ্যতামি করবেন না দিন বলছি।”

বলেই মধু হাত বাড়িয়ে ফুয়াদ এর গলা থেকে ওরনা কেড়ে নিতে চায়। ফুয়াদ ওর হাত ধরে ফেলে। মধু চমকে উঠে। শরীরে কাটা দিয়ে উঠে ফুয়াদ এর স্পর্শে। ও ঢোক গিলে হাত ছাড়ানোর জন্য ধস্তাধস্তি করতে লাগে। ফুয়াদ মধুর হাত ছেড়ে দেয় আর আচমকাই একটা কাজ করে বসে। নিচু হয়ে দুহাতে মধুর কোমর জড়িয়ে উঁচু করে ধরে। মধু চিৎকার করে ফুয়াদের গলা জড়িয়ে ভয়ে কাঁপতে লাগে‌।

ফুয়াদ ওকে গাড়ির উপরে বসিয়ে কোমর থেকে দুহাতের বাঁধন আলগা করে দেয়। মধু বিস্ময় এ দুই মিনিট কথা বলতে পারে না। ওর মাথা ঘুরছে আচমকা বাচ্চাদের মতো ওকে কোলে নেওয়ায় ওর মাথা ঘুরছে ও মাথায় হাত দিয়ে চোখ বন্ধ করে থাকে। ফুয়াদ নিজেও মধুর পাশে লাফ দিয়ে উঠে বসে। আর মধুর পিঠ এলিয়ে কাঁধে হাত দিয়ে চেপে ওকে একহাতে জড়িয়ে নেয় বুকে।

” এবার বলোতো কি হয়েছে তোমার? তোমার ভাই তোমার খোঁজ পেয়েছে তাই টেনশনে আছো নাকি অন্য কোন ব্যাপার?”
মধু ফুয়াদের বাহুডোরে থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে বলল,,” ভাইয়া এসেছিল?”
” হ্যা। তোমাকে না পেয়ে রেগে বোম হয়ে ফিরে গেছে।”
” আমি বাসায় ফিরে যেতে চাই।”
” আচ্ছা চলো‌ তোমায় পৌঁছে দিয়ে আসি।”
মধু চমকে তাকাল ও ভেবেছিল ফুয়াদ ওর যাওয়ার কথা শুনলে মানা করবে। কিন্তু সে দেখি দিয়ে আসার জন্য এক পা এগিয়ে আছে।

” কি‌ হলো যাবে না।”
” যাব কিন্তু ভয় হচ্ছে?”
” এতো ভয় পাচ্ছ কেন তোমার বিয়ে তো ভেঙে গেছে। এবার ফিরে একটু বকা খেয়ে নাও।”
” আমি ভেবেছিলাম আপনি মানা করবেন এটা শুনে।”
” মানা করব কেন তোমার বাড়ি তুমি ফিরে যেতেই পারো। আমি মানা করার কে?”
মধু আরো চমকালো।

” আপনি এতো ভালো হলেন কবে? ”
” আমি খারাপ ছিলাম কবে?”
” এই যে আমাকে ওসব বলতেন,”
” কি‌সব বলতাম?”
” কি আজব এমন করছেন কেন?”
” কেমন করলাম?”
” ধ্যাত মাথা নষ্ট করে দিবেন।”

ফুয়াদ এবার আচমকাই আবার হেসে উঠল গলা ফাটিয়ে হাঁসতে লাগল। মধু ওর হাসির কোন কারণ খুঁজে না পেয়ে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে র‌ইল। ফুয়াদ হাসতে হাসতেই মধুর একটা হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে নিল। মধু ঝামটা দিয়ে হাত ছাড়িয়ে নিতে চাইল। ফুয়াদ ছাড়াতে দিল না। শক্ত করেই নিজের হাতের মুঠোয় মধুর হাতটা ধরে রাখল।
” দেখুন হাত ছাড়ুন বাড়াবাড়ি করবেন না।”
” হাত ধরাটা বাড়াবাড়ি?”

” অবশ্য‌ই, একটা ছেলে একটা মেয়ের হাত যখন তখন ধরতে পারে না। এটা ভালো কাজ নয়।”
” একজন প্রেমিক ধরতে পারে। সে তার প্রিয়তমার হাত সব সময় ধরতে পারে। তাতে নেয় কোন অশ্লীলতা আছে অসীম ভালোবাসা।”

মধু ফুয়াদের চোখের দিকে তাকিয়ে বলল,,” মিতুল আপু আপনাকে অনেক ভালোবাসে‌। সে আপনার ব‌উ হবার আশা নিয়ে বসে আছে।‌ আপনার মা ও তাকে ছেলের ব‌উ করতে চায় আপনি তাকে রেখে এভাবে আমার পিছনে পরে আছেন ব্যাপার টা সত্যিই খারাপ।‌ আমি আপনাকে ভালোবাসি না তাই তাকে মেনে নিন।”
ফুয়াদ মধুর হাত ছেড়ে ওর গাল স্পর্শ করল মধু কেঁপে উঠে সরে যেতে চাইল।

” দুটো কথা জিজ্ঞেস করব, ছটফট না করে মনোযোগ দিয়ে শুনবে, উত্তর দিবে!”
মধু ঢোক গিলে বলল,,” কি কথা?”
” তুমি আমাকে ভালোবাসো?”
তুমি আঁতকে উঠে বলল,,” কি বলছেন? অসম্ভব।”
” জিজ্ঞেস করছি উত্তর দাও।”
মধু মাথা দুই দিকে কাত করে না বলল। ফুয়াদের ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটে উঠল।

” তুমি মিথ্যা বলছো।”
” না আমি সত্যি বলছি।”
” মিতুল আমাকে ভালোবাসে এটা বলার সময় তোমার কন্ঠ কাঁপছিল কেন?”
মধু আশ্চর্য কন্ঠে বলল,” ক‌ই কাঁপছিল?”
” আমি মিতুল কে বিয়ে করলে তুমি মানতে পারবে?”
” কি আজব মানতে পারব না কেন?”
” পারবে না বিকজ ইউ লাভ মি।”
” অসম্ভব।”

” আচ্ছা তাহলে থাকো আমার আর মিতুলের বিয়েটা খেয়ে না হয় নিজ বাসায় ফিরে যেও।”
” না আমি আগামীকাল ফিরে যাব‌।”
” কেন বিয়ে সহ্য করতে পারবে না নাকি?”
” কথা পেঁচিয়ে নিচ্ছেন!”
ফুয়াদ মধুর গাল থেকে হাত সরিয়ে নিল। ওর থেকে সোজা হয়ে বসে গলার ওরনা খুলে মধুর মাথায় ঘোমটা দিয়ে দিল। মধু চমকে তাকাল ফুয়াদের দিকে। ফুয়াদ সোজা হয়ে গাড়িতেই শুয়ে পড়ল। মধু পা ঝুলিয়ে বসে ওর দিকে তাকিয়ে ছিল।

” মধু”
খুব নরম সুরে ডাকল ফুয়াদ মধুর বুকের ভেতরটা কেঁপে উঠল‌।
” বলুন।”
” তুমি কি সত্যি আমাকে ভালোবাসো না?”
মধু সঙ্গে সঙ্গে জবাব দিতে পারল না। জবাব মুখের আগায় আছে কিন্তু বলতে সময় লাগল‌।
মধু বলল,” না।”

ফুয়াদ মধুর হাত টেনে ওর বুকের বাঁ পাশে চেপে ধরল।
মধুর হাতটা শিরশির করে উঠল। ওর হৃদস্পন্দন থমকে গেল ফুয়াদের হৃদস্পন্দন এর গতি দেখে। এতো জোরে লাফাচ্ছে যে মধুর হাত থরথরিয়ে কাঁপছে। এমন অশান্ত হয়ে আছে কেন ফুয়াদের হার্ট‌। যেন হার্ট অ্যাটাক করবে। মধুর গলা শুকিয়ে গেল ও হাত সরিয়ে নিতে ছটফট করতে লাগল ফুয়াদ সরাতে দিল না‌। শক্ত হয়ে চেপে ধরে আছে মধুর হাতটা বুকে।
ফুয়াদ জড়ানো গলায় বলল,,” মধু শুনতে পাচ্ছ?”
মধু ঢোক গিলে বলল,,” কি?”

প্রেয়সী পর্ব ৩১

“আমার ভালোবাসার চিৎকার! প্রতিটা হৃদস্পন্দন চিৎকার করে বলে চলেছে, ‘মধু ভালোবাসি’।”
মধুর দম আটকে এল ও নিজের শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলল। বসে থাকতে ও পারছে না নিস্তেজ দেহটার ভার ফুয়াদের বুকেই ছেড়ে দিল। ফুয়াদের বুকের উপর ঠাস করেই মধুর মাথাটা আছড়ে পড়ল।

প্রেয়সী পর্ব ৩৩