প্রেয়সী পর্ব ৪০

প্রেয়সী পর্ব ৪০
নন্দিনী নীলা

” এই রাতের বেলা আমাকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছেন? উফফ ছাড়ুন আমার হাত।”
মধু হাত মুচড়ামুচড়ি করে বলল। ফুয়াদ জোরে চেপে ধরতেই ও ব্যথায় কুঁকড়ে আহ্ করে উঠল।
” ব্যথা পাচ্ছি। আমার হাত ভেঙে ফেলতে চাইছেন নাকি?”

ফুয়াদ অন্ধকারে ওর মুখের দিকে চেয়ে বলল,,”হাত বাঁচাতে চাইলে, ছটফটানি বন্ধ করে আমার সাথে চলো।”
মধু পা মিলিয়ে হাঁটা ধরতেই ফুয়াদ হাতের বাঁধন করে দিল। মধু অন্ধকার আঁকাবাঁকা রাস্তায় পা ফেলে বলল,,” এমন আঁকাবাঁকা রাস্তা ধরে কোথায় যাচ্ছি?”
ফুয়াদ মধুর যে হাত শক্ত করে ধরে ব্যথা দিয়েছিল সেই হাতেই অধর স্পর্শ করে বলল,,” তোমাকে ভূতে দের সাথে সাক্ষাৎ করাতে নিয়ে যাচ্ছি।”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

মধুর হাত পা এমনিতেই কাঁপছে থরথরিয়ে ফুয়াদের ছোঁয়া হাতে পেয়ে। তার উপর এমন কথা শুনে ভয়ে ভীতু মুখ করে বলল,,” কি বলছেন? দেখুন আমি যাব না আপনার সাথে।”
ফুয়াদ বলল,,” চলেই তো এসেছ। এখন যাবে না বললে আর কি হবে?”
মধু আর ফুয়াদ একটা বাসার সামনে এসে থেমেছে। এই বাসায় হয়ত কোন অনুষ্ঠান চলছে। বাসায় আত্নীয় স্বজন গিজগিজ করছে। ফুয়াদ মধু কে টেনে বাসার ভেতরে গেল। মধু ছোটাছুটি বাদ দিয়ে ফ্যালফ্যাল করে এদিকে সেদিকে তাকিয়ে আছে। দূরে দেখল বৈশাখী সেজে গুজে দাঁড়িয়ে আছে। মধু ফিসফিস করে ফুয়াদ কে বলল,,” এখানে কীসের অনুষ্ঠান চলছে?”

ফুয়াদ বলল,,” বিয়ে চলছে।”
” আমরা এখানে কেন এসেছি? বিনা দাওয়াতে?”
” বিনা দাওয়াতে নয়। আমাদের ইনভাইট করা হয়েছে।”
মধু কপাল কুঁচকে বলল,,” আমাদের কখন ইনভাইট করল আমরা তো এখানে গতকাল‌ই আসলাম।”
” সাহিত্যদের বাসা যে চাচা দেখাশোনা করেন তার বড়ো ভাইয়ের ছেলের বিয়ে চলছে। তিনিই ইনভাইট করেছে।”
” ওহ তার মানে ওই বৈশাখীর চাচাতো ভাইয়ের।”
” হুম।”

” এই কথাটা আসার আগে বললে কি হতো? এমন না জানিয়ে জোর জবরদস্তি করলেন কেন?”
” তোমাকে জোর করতে মজা লাগে স্পেশালি তোমার ভীত মুখ দেখতে।”
মধু রাগী চোখে তাকাল ওর চোখের দিকে ফুয়াদ আবার বলল,,” আমি কিন্তু ভালো ভাবে আসার কথা বলেছিলাম তুমি আসবে না বলে জেদ করছিলে। আর কি কারণে আসতে বলছি তখন এটাও শুনতে চাইছিলেন না তাই জোর করলাম। কিন্তু পরে শুনতে চাইলে আমি বললাম না।”

মধু চুপ মেরে গেলে আসলেই ফুয়াদ ভালো করে যখন আসতে বলেছিল, সব বলতে চাইছিল ও শুনবে না। আসবে না বলে ছিল জেদ শুরু করেছিল‌।
ছেলের বিয়েতে আর কি গায়ে হলুদ দেখবে। সবাই ছেলেটাকে ইচ্ছে মতো হলুদ দিয়ে ভূত বানাল। ফুয়াদ আর মধু দূরে দাঁড়িয়ে দেখল। কে যেন হলুদ পানিতে গুলিয়েছে সেটা সবার গায়ে দিতে লাগল ছিটিয়ে। মধু আর ফুয়াদ তাড়াতাড়ি জায়গা পরিবর্তন করল‌। মধুর শরীর অক্ষত থাকলেও ফুয়াদের শার্ট এ লাগল। মধু ওর গায়ের দিকে তাকিয়ে খিলখিলিয়ে হেসে দিল মুখে হাত দিয়ে।

” খুব হাসি পাচ্ছে তাই না?”
মধু অট্টহাসি ঠোঁটে রেখেই বলল,,” খুবই।”
ফুয়াদ ওকে টেনে জড়িয়ে ধরল। মধুর পরনে সাদা জামা ছিল। ফুয়াদ জড়িয়ে ধরতেই ওর সাদা জামায় হলুদ লেগে বিচ্ছিরি হয়ে গেল। মধু রাগান্বিত চোখে ফুয়াদের দিকে তাকিয়ে ওরনা দিয়ে শরীর ডেকে নিল।

বিরিয়ানির ব্যবস্থা করা হয়েছে ওরা খাবার দশটা নাগাদ খেয়ে বাসায় ফিরে এল। আসার সময় মধু ফুয়াদ কে হাত ধরতে দেয় নি। একাই ওর পেছনে পেছনে হাঁটছিল আঁকাবাঁকা সরু পথ ধরে। আর একা হাঁটতে গিয়েই ঝামেলা করল। মধু হোঁচট খেয়ে রাস্তায় গড়িয়ে পড়ল মুখ থুবড়ে। মধুর শরীর মাটিতে মাখামাখি অবস্থা। মধু ভয়ে আর ব্যথায় চিৎকার করে উঠল। ফুয়াদ ফোনের লাইট মধুর দিকে ধরে তাড়াতাড়িই ওর দিকে ফিরে তাকিয়েছে।
ওকে টেনে তুলে বলল,,” এবার বুঝলে তো আমার হাত তোমার জন্য কতটা উপকারী। ধরতে দিলে এভাবে মাটিতে গড়াগড়ি খেতে না। সব সময় তো পাকনামী করো।”

মধু মাথা নিচু করে গায়ের মাটি ঝাড়চ্ছে। ফুয়াদ ওকে ছেড়ে আবার হাঁটা ধরেছে। ওর হাত ধরেনি। মধু কোমড়ে আর হাঁটুতে ব্যথা পেয়েছে হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে খুব। ব্যথায় কুঁকড়ে উঠছে ও হাঁটতে পারছে না। ফুয়াদ আগে আগে হাঁটছে ও ভয়ে ভয়ে দুই কদম হেঁটেই দাঁড়িয়ে পড়েছে। লাজ লজ্জার মাথা খেয়ে ফুয়াদ কে পেছনে থেকে ডেকে উঠল।
ফুয়াদ জানত এই ডাক আসবে ও আবার পিছু ঘুরে মধুর সামনে এসে দাড়িয়ে ভাব নিয়ে বলল,,” ইয়েস ম্যাডাম আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারি?”

মধু বলল,,” আমি হাঁটতে পারছি না। ব্যথা করছে আপনি যদি,”
ফুয়াদ বলল,,” হাঁটতে পারছো না তবে কি তোমায় এখন কোলে করে নিয়ে যেতে হবে? দেখো আমি পারব না‌। গার্লফ্রেন্ড তো হচ্ছ না কিন্তু কোলে ঠিকি উঠছ। এসব তো চলবে না। আমি ভেবেছি গার্লফ্রেন্ড ছাড়া আর কাউকে কোলে তুলব না।”
মধু ফুয়াদের দিকে রাগী দৃষ্টি নিক্ষেপ করল। ফুয়াদ তা দেখে আরো বলল,,” ওই যে চোখ রাঙানি দিচ্ছ। এজন্য কি ডেকেছ?”

মধু নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করে বলল,,” আমি শুধু আপনার হাতটা ধরে হাঁটতে চাইছি কোলে তুলতে হবে না।”
ফুয়াদ দুই হাত লুকিয়ে বলল,” নো নেভার।”
মধু চোখ ছোটো ছোটো করে বলল,,” মানে? একটু আগে তো জোর করেই ধরে রেখেছিলেন এখন ভাব দেখাচ্ছেন কেন?”
” দেখো এই মাত্র আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই হাত দিয়ে সাহায্য ও আমি গার্লফ্রেন্ড ছাড়া আর কারো সাহায্যের জন্য ব্যবহার করব না।”

মধু দাঁত কিড়মিড় করে বলল,,” সব সিদ্ধান্ত কি এই মাত্র নিয়ে ফেলেছেন?”
” জ্বি।”
মধু বলল,,” ভালো। তবুও আমি আপনার হাত ধরবোই।”
বলেই মধু জোর করে ফুয়াদের হাত টেনে ওর হাত জড়িয়ে ধরে ওর বাহুতে মাথা ঠেকিয়ে রাখে।
” দেখো হাত ছাড়ো। হাত ধরে থাকলে কিন্তু গার্লফ্রেন্ড হয়ে যাবে।”
” গার্লফ্রেন্ড না হয়েই হাত ধরে এখন যাব দেখি আপনি কি করেন।”
ফুয়াদ বলল,,” দেখবে কি করব?”

মধু মাথা নাড়িয়ে দেখাতে বলতেই ফুয়াদ ওকে এক টানে পাঁজকোলে তুলে নিয়ে বলে,,”গার্লফ্রেন্ড না বানিয়ে ব‌উ বানিয়ে ফেলব। তোমার মাথা বাহুতে না রেখে বক্ষস্থলে এনে ফেলব।”
বাসায় এসে মধুকে গোসল দিতে হলো। পায়ের ব্যথায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছে ও। মধু ফুয়াদের রুমে এল খুড়াতে খুড়াতে। এসে ফুয়াদকে দেখল ল্যাপটপ নিয়ে কার সাথে যেন ভিডিও কলে কথা বলছে। এই ল্যাপটপ প্রান্তর বাসা থেকে নিয়ে এসেছে। মধু কে রুমে দেখেই কল কেটে ল্যাপটপ অফ করে দেয়। মধু কপাল কুঁচকে ওর সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।

” কি করছেন?”
ফুয়াদ বলল,,” আমাকে এতো মিস করছিলে যে ব্যথা পা নিয়েই চলে এসেছ?”
বলে ফুয়াদ মধুর হাত ধরে টেনে ওকে সামনে বসিয়ে দিল। মধু হাত ছাড়িয়ে বলল,,” আমার ফোন দেন।”
“কার সাথে কথা বলবে?”

” দেখুন আমার ফোন আমাকে ফিরিয়ে দিন। আপনি কিন্তু বেশি বাড়াবাড়ি করছেন।”
” আচ্ছা দেব কিন্তু একটা শর্ত আছে।”
” আমার জিনিস আমি নেব তাতে আবার শর্ত কিসের?”
” আছে।”

” আমি আপনার কোন শর্ত মানতে বাধ্য নয়। আমার ফোন দিন চুপচাপ।”
ফুয়াদ ল্যাপটপ খুলে বলল,,” দেব না তুমি এবার আসতে পারো।”
” আচ্ছা আপনার শর্ত টা কি?” ফুয়াদ ঠোঁটের কোনে দুষ্টু হাসি এনে বলল,,” শর্ত টা হলো,,
You have to give me a kiss.”

মধু চোখ বড়ো বড়ো করে ফেলল। রাগে চোখ মুখ লাল করে বলল,,” লাগবে না আমার ফোন।”
বলেই উঠে রুমে থেকে বেরিয়ে গেল। ফুয়াদ জানত এই কথা বললে একমাত্র মধু ফোন ছাড়া রুম ত্যাগ করবে তাই তো এমন কথা বলল।

ফুয়াদ নাফিসা বেগম কে কল করল। তিনি কলে অনেক বকাঝকা করলেন ফুয়াদ কে। ফুয়াদ মাকে সরি বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলল। নাফিসা বেগম ফুয়াদ কে কালকেই বাসার পৌঁছাতে বলল না হলে উনি না খেয়ে অনশন করবে। তিন্নির সাথে কথা বলে ফুয়াদ জানতে পারল নাফিসা বেগম দুই দিন ধরে না খেয়ে আছে। তাকে পানি ছাড়া কিছুই খাওয়ানো যাচ্ছে না। মায়ের চিন্তায় ফুয়াদ ছটফট করে রাত পার করল। ভোরের দিকেই মধু কে ডেকে তুলল।
কাঁচা ঘুম ভাঙতেই মধু রেগে উঠে বসল।

” কি হয়েছে কি? সাত সকালে আমাকে জ্বালিয়ে মারছেন কেন?”
ফুয়াদ বলল,,” ফ্রেশ‌ হয়ে আসো আমাদের বের হতে হবে।”
রাগে মধুর মাথা গরম হয়ে উঠল। পেয়েছে কি উনি। যখন খুশি টেনে তুলে বলবে আমাদের বের হতে হবে। ও রাগে হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়ল। ফুয়াদের কলার টেনে ধরে দাঁতে দাঁত চেপে বলল,,” এই আপনার সমস্যা কি? যখন যা খুশি তাই করবেন তাই না। এখনি আমাকে মানিকগঞ্জ দিয়ে আসুন অনেক হয়েছে আর না আপনার এসব বাড়াবাড়ি নেওয়া যাচ্ছে না।”

ফুয়াদ কলার থেকে মধুর হাত ছাড়িয়ে মধুর হাত মুচড়ে ধরে বলল,,” আমার কলার ধরার দুঃসাহস করবে না মধু। ভালোবাসি তাই আজকের মতো মাফ করে দিলাম নেক্সট টাইম এমন দুঃসাহস দেখাবে না।”
বলেই ওর হাত ছেড়ে বলল,,” চুপচাপ রেডি হয়ে আসো।”

মধুর চোখে জল‌ চলে এসেছে ও টলমল চোখে ফুয়াদের দিকে তাকিয়ে থেকে উঠে ওয়াশরুমে চলে গেল।
ফুয়াদ মধুকে নিয়ে বাসায় ফিরে আসলো‌ এসে দেখল ওদের জন্য চমক অপেক্ষা করছিল। সবাই মিলে ওকে এমন মিথ্যা কথা বলে ডেকে এনেছে ও কল্পনা ও করেনি। ড্রয়িংরুমে বসে আছে মধুর বাবা ও ভাই। তাদের সামনে বসে আছে নাফিসা বেগম তার মুখটা যথেষ্ট গম্ভীর হয়ে আছে।

মধু বাবা আর ভাই কে দেখতেই ওর হৃদপিন্ড কেঁপে উঠল ও ফুয়াদের বাহু খামচে ধরে ওর পিছনে লুকিয়ে পড়ল। ফুয়াদ রাগী চোখে তাকাল তিন্নির দিকে। তিন্নি নাফিসা বেগমের পাশেই দাঁড়িয়ে আছে। তিন্নি ভাইয়ের রাগ দেখে ভয়ে মাথা নিচু করে ফেলল। চাচির ধমক খেয়ে মিথ্যা বলতে বাধ্য হয়েছিল। তিন্নি বলেছিল বিধায় ফুয়াদ রাজি হয়েছে নচেৎ রাজি হতো না আসতে। মধু ভয়ে কাঁপছে অনবরত।‌ মধুর বাবা এতো দিন পর মেয়েকে দেখে খুশি‌ মুখে ওকে ডাকল,,” মামনি বাপির কাছে আসো। রাগ করে এভাবে কেউ সবাইকে ছেড়ে পালিয়ে আসে বলো। তোমার মাম্মা কত কষ্ট পাচ্ছে জানো ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া ও করছে না। তোমার চিন্তায় অস্থির হয়ে আছে।”

মধু ভয়ে চোখ মুখ অন্ধকার করে ফুয়াদের পিঠে লুকিয়ে আছে। মধুর ভাই মামুন রক্তচক্ষু করে তাকিয়ে আছে মধুর হাতের দিকে ও মধুর লুকানো মুখের দিকে। একটা ছেলেকে এভাবে ধরে দাঁড়িয়ে থাকাটা বাবা ছেলের কারোই পছন্দ হচ্ছে না কিন্তু সবার সামনে নিজেদের রাগ প্রকাশ করছে না।‌

মামুন ও ডেকে উঠল মধু কে । মধু তাও আসছে না। বাবা ছেলে দুজনেই কয়েকবার ডাকল মধুকে মধু ভয়ে এখনো লুকিয়ে আছে। আর সহ্য করতে পারল না মামুন উঠে দাঁড়াল আর গটগট করে হেঁটে আসলো। মধু ভয়ে কেঁদেই দিয়েছে মামুনকে কাছে এগিয়ে আসতে দেখে। মামুন মধুর হাত ধরতে যাবে ফুয়াদ চট করেই ওর হাত ধরে বলে,” ভয় পাচ্ছে দেখতে পাচ্ছেন না?”

” আমার বোন আমাকে ভয় কেন পাবে?” রাগে ফেটে পড়ল মামুন।
ফুয়াদ কপাল কুঁচকে বলল,,” আমার ও তো সেটাই প্রশ্ন। আপনার বোন আপনাকে ভয় পাচ্ছে কেন?”
মামুন থতমত খেয়ে যায়। রাগী চোখে মধুকে চোখ রাঙিয়ে ফুয়াদ কে বলে,,” তুমি ওর কাছ থেকে সরে আসো আমার কাছে আসতে দাও।”

ফুয়াদ সরে গেল সত্যি কিন্তু অদ্ভুত ভাবে মধুও ওর সাথে সরে গেল।
বিড়বিড় করে বলতে লাগল,,” আমাকে ভাইয়ের সাথে ছাড়বেন না প্লিজ। ভাই আমাকে মেরেই ফেলবে।”
মামুন মধুকে ধমকে উঠল,,” মেহেরিমা বেশি বাড়ছিস কিন্তু আমাদের সাথে বাড়ি চল। অনেক বাড়াবাড়ি করেছিস আর না।”
মধু চোখ বন্ধ করে থরথরিয়ে কাঁপছে। হঠাৎ ভাইয়ের রাগী ধমক খেয়ে নিজের শরীরের ভারসাম্য ছেড়ে অচেতন হয়ে গেল। ফুয়াদ সহ সবাই‌ চমকে উঠল। ফুয়াদ তাড়াতাড়ি মধু কে জাপ্টে ধরে মধুর অচেতন মুখের দিকে তাকিয়ে ওকে ডাকতে লাগল।

প্রেয়সী পর্ব ৩৯

” মধু হোয়াটস হাপেন্ড। অপেন ইউর আইস।”
মধু নড়াচড়া করছে না। মামুন ফুয়াদের কাছ থেকে টেনে সরিয়ে নিল মধু কে। আর রাগী কন্ঠে বলল,,” মেহেরিমা কে নিয়ে এখনি আমরা বাসায় ফিরে যাব।”

প্রেয়সী পর্ব ৪১