প্রেয়সী পর্ব ৬৬

প্রেয়সী পর্ব ৬৬
নন্দিনী নীলা

মধু ফুয়াদ কে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়েছিল। কিন্তু যখন ওর ঘুম ভাঙলো দেখল ফুয়াদ ওর কাছে নাই। ও ঘুমঘুম চোখে চেয়ে দেখল ফুয়াদ ল্যাকেজে থেকে সেই লাল ডায়েরি টা বের করে নিয়ে রুমের বাইরে চলে যাচ্ছে। মধু ফুয়াদ কে বেরিয়ে যেতে দেখতেই লাফ দিয়ে উঠে বসল। ও চোখ ঢলে বন্ধ দরজার দিকে তাকিয়ে আছে বিস্মিত নয়নে। ফুয়াদ এমন লুকোচুরি করে ডায়েরিটা নিয়ে কোথায় যাচ্ছে?

বাই এনি চান্স এটা ফুয়াদের কোন এক্স গার্লফ্রেন্ড কে নিয়ে লেখা নয় তো?
মধু চমকে উঠল। ফুয়াদের কোনো এক্স গার্লফ্রেন্ড ছিল নাকি ও তো জানে না‌‌। হয়ত ছিল তাকে হয়ত প্রেয়সী নামি ডাকতো। ওর মনে ঈর্ষা তৈরি হলো। ও লাফ দিয়ে বিছানা থেকে উঠে ফুয়াদকে ফলো করার কথা চিন্তাভাবনা করল কিন্তু মধু এখন যে পোশাক পরে আছে এসব পরে বাইরে যেতে পারবে না।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

তাই মধু দরজা খুলে ব্যর্থ চোখে ফুয়াদের যাওয়ার দিকে উঁকি মারলো। ফুয়াদ বাইরে চলে গেলে মধু রুমে এসে বসল। মধু ফুয়াদের নাম্বারে কল করল। ফোন বেজে উঠল বিছানায়। ও তাকিয়ে দেখল বালিশের পাশেই ফোন বাজছে ও ফোন কেটে ফুয়াদের ফোন নিজের হাতে নিল। মধু ফের বিছানায় শুয়ে ফুয়াদের অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ল। যখন ঘুম ভাঙ্গল দেখল ফুয়াদ ওর পাশেই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।

মধু চোখ বড়ো বড়ো করে তাকিয়ে আছে ফুয়াদের ঘুমন্ত মুখের দিকে। মধু উঠে বসে ভাবছে ফুয়াদ তো কোথায় জানি চলে গেল ডায়েরি টা নিয়ে। আসলো কখন? মধু ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখল এক ঘন্টা পড়িয়ে গেছে‌। ও ফুয়াদের অপেক্ষায় থাকতে থাকতে ঘুমিয়ে গেছিল তারমানে। মধু ফুয়াদের মুখের দিকে এক মিনিট চেয়ে থেকে পা টিপে উঠে দাঁড়াল। তারপর মধু আস্তে আস্তে ল্যাকেজের দিকে গিয়ে চেক করল ডায়েরি টা আছে নাকি ও দেখল ডায়েরি টা আছে ও চেইন আটকে আবার বিছানায় এসে বসল। ফুয়াদ এই ডায়েরি নিয়ে কোথায় গিয়েছিল?

মধু ওয়াশরুমে থেকে চোখে মুখে পানি দিয়ে এসে আবার খাটে বসে চিন্তিত মুখে। ওর বুকের ভেতরটা ছটপট করছে ডায়েরি টা পড়ে দেখতে।
মধু চোরের মতো মুখ করে ল্যাকেজের দিকে তাকিয়ে আছে। ওর হাত নিশপিশ করছে। হঠাৎ পেছনে থেকে কেউ ওকে জাপ্টে ধরে দুই হাতে। তার গরম নিঃশ্বাস ওর নগ্ন ঘাড়ে পড়ছে। ও কেঁপে উঠলো ফুয়াদের স্পর্শ। ও ছিটকে উঠে চোখ ল্যাকেজে থেকে সরিয়ে ভীতু মুখ করে চোখ পিটপিট করতে লাগল।

ফুয়াদ মধুর কাঁধে থুতনি রেখে বলল,,” কখন উঠলে?”
মধু বলল,” আপনি কখন আসলেন?”
ফুয়াদ মধু কে ছেড়ে দিয়ে ওকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে বলল,,” তুমি দেখে ফেলেছো?”
” আপনি কোথায় গিয়েছিলেন লুকিয়ে?”

” যার ডায়েরি তাকে দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তার দেখা পেলাম না।”
” সমুদ্র ভাইয়া সাথে দেখা করছেন?”
” এখনো না।”

দরজার বাইরে থেকে ফাহাদের কন্ঠ পাওয়া যাচ্ছে ওদের কেই ডাকছে। ফুয়াদ উঠে ওয়াশরুমে চলে গেল ফ্রেশ হতে। ফুয়াদ বের হতেই মধু ড্রেস চেঞ্জ করে আসলো। তারপর দুজনে একসাথে বাইরে আসলো।
বাইরে এসে মধু দেখল কাওসার আর তিন্নি কিছু নিয়ে ঝগড়া করছে। মধু অবাক হয়ে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে। তিন্নি মধুকে পেয়েই ওর কাছে ছুটে আসলো আর বলল,,” আমার মাথাটা নষ্ট করে দিচ্ছে। এই লোকটাকে কেন আনলি তোরা‌।”

মধু তিন্নির হাত খামচে ধরে বলল,,” আস্তে বল বেচারা শুনবে তো।”
তিন্নি বলল,,” আমার কি শুনুক।”
তিন্নি রাগে গজগজ করে সামনে চলে গেল। মধু কাওসারের দিকে তাকিয়ে কিছু বলবে কাওসার বলল,,” ভাবি ভালো আছেন?”

মধু ফিক করে হেসে বলল,” ভালো। আমার বান্ধবী তো রেগে বোম হয়ে আছে তার রাগ ভাঙান‌।”
ফুয়াদ কে দেখে তিনি ও চলে গেলেন আর কিছু বললেন না। সবাই খাবার খেতে এসেছে রেস্টুরেন্টে। মধু আর ফুয়াদ সবার শেষে এসে বসলো সবার সাথে। তিন্নি আর কাওসার দুই প্রান্তে বসেছে দেখে মধু মিটিমিটি হাসলো‌। খাবার অর্ডার করা হলো সবার জন্য। ফুয়াদ ফোন টিপছিল।

নাফিসা বেগম বললেন,,” সমুদ্র কোথায়?”
ফুয়াদ চমকে তাকাল মায়ের দিকে অতঃপর বলল,,” আমি নিজেও পাচ্ছি না তাকে। ফোনেও কন্টাক্ট করতে পারছিনা।”
” তুমি তো বলেছিল সমুদ্র কক্সবাজার আছে।”
” হ্যাঁ।”
নাফিসা বেগম বললেন,,” সে কোথায় তাহলে?”

ফুয়াদ মাথা নিচু করে আছে দেখে আর কিছু জিজ্ঞেস করলেন না নাফিসা বেগম। ফুয়াদের দিকে পলকহীন চোখে তাকিয়ে আছে মধু।
” আপনি ভাইয়াকে কখন খুঁজতে গেলেন?” কপাল কুঁচকে বলল মধু।
ফুয়াদ বলল,,” তখন তুমি ঘুমিয়ে ছিলে!”
” তখন তো আপনি ডায়েরি নিয়ে গিয়েছিলেন।”
” হুম। একসাথে দুজনকে খুঁজেছি কাউকেই পায়নি।”

মধু সন্দেহের চোখে তাকিয়ে আছে ফুয়াদের দিকে। ফুয়াদ মধুর চোখে দিকে তাকিয়ে বলল,,” কি হয়েছে সি আইডির মতো করে তাকিয়ে আছো কেন?”
” আপনি চোরের মতো আমতা আমতা করে উত্তর দিচ্ছেন কেন?”
মধুর প্রশ্নে ফুয়াদ বলল,,” আমি আমতা আমতা কোথায় করলাম?”
” আল্লাহ তাআলা জানেন আপনি কি নিজের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছেন। খিদে পেয়েছে খুব খাবার আসতে এতো লেট করছে কেন?”

” দশ মিনিট হলো কেবল। এতো জনের খাবার তৈরি করতে কমপক্ষে আধঘন্টা তো লাগবেই‌!”
” হুম কিন্তু আমার পেট ব্যথা করছে। মনে হচ্ছে না খেতে পারলে মরে যাব।”
মধুর কথা শুনে ফুয়াদ হাহাহা করে হেসে দিল।ওর হাসির শব্দে আশেপাশে থাকা সবাই অবাক হয়ে তাকাল ওর দিকে। মধু গাল ফুলিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে‌। ফুয়াদ মধুর কড়া চোখে চাহনি দেখে হাসি গিলে বলল,,” কি হয়েছে চোখ রাঙাচ্ছ কেন?”

” হাসলেন কেন?” দাঁতে দাঁত চেপে বলল মধু।
ফুয়াদ বলল,” তোমাকে নিয়ে হাসি নি‌ বিলিভ মি। হঠাৎ করেই একটা হাসির কথা মনে পড়ল তাই হেঁসে দিছি রাগ করো না জান।”

মধু চোখ লাল করে বলল,,” কি এমন হাসির কথা মনে পড়ল? বলুন দেখি আমিও একটু হাসি।”
ফুয়াদ চারপাশে সবার দিকে তাকিয়ে দেখল কেউ আর ওর দিকে তাকিয়ে না থাকলেও ফাহাদ ওর দিকে তাকিয়ে আছে। ফুয়াদ ওর দিকে তাকাতেই ও চোখ সরিয়ে নিল। মধু বলল,” কি হলো বলুন।”
” সরি আমার ভুলে হাসি বেরিয়ে গেছে। এখন আর বকা দিও না। ছোটো ভাই বোনদের সামনে মানসম্মান হারাতে চাই না।”

মধু কটমটিয়ে তাকিয়ে চোখ সরিয়ে নিল ফুয়াদের থেকে।
খাবার আসলো চল্লিশ মিনিট পর এতো সময় মধু মাথা টেবিলে ঝুঁকিয়ে ছিল। ওর পেট ব্যথা করছে কেন জানি। এতো খিদে পেয়েছে মনে হচ্ছে সবার খাবার ও একাই খেতে পারবে। কয়েকদিন ধরেই ওর কাছে এমন লাগে। কিন্তু খেতে গেলে খাবার খুব অল্প খায়। খিদের ভাব যতটা হয় তার থেকে অনেক কম খাবার ই খেতে পারে।

এর অবশ্য আরেকটা কারণ আছে‌। ইদানীং মধু খিদে লাগলে বেশি সময় ওয়েট করতে পারে না। ওর মনে হয় অনেক বেশি খেতে পারবে কিন্তু খেতে গেলে একটু খেলেই ও আর খেতে পারে না। বমি বমি লাগে মনে হয় আর খেলেই বমি হয়ে যাবে বমির হাত থেকে বাঁচতে মধু ইদানিং খিদে পেটে থাকলেও খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে। এমন অদ্ভুত রকমের খারাপ লাগা ওর আগে কখনো হয়নি‌। ফুয়াদ ও কিছু নিয়ে সবসময় চিন্তায় থাকে তাই তাকেও নিজের খারাপ লাগা টা বলতে পারেনি। হঠাৎ এমন হ‌ওয়াতে ও ভীত হয়ে আছে ওর কোন বড়ো অসুখ হলো না তো? মধু মাথা টেবিলে ঠেকিয়ে বসে ছিল হঠাৎ ঘাড়ে ফুয়াদের হাতের স্পর্শে ও সোজা হয়ে বসল।

ফুয়াদ ওকে জিজ্ঞেস করল,,” কি হলো? অনেক বেশি খারাপ লাগছে?”
ফুয়াদ হসপিটালে থেকে আসার পর থেকে মধুর দিকে খুব একটা মনোযোগী নয়। তাই মধুর খারাপ লাগা ওর পরিবর্তন হ‌ওয়া ও টের পায়নি। হসপিটালে থেকে আসার মাসের উপরে চলে গেছে সমুদ্র নিখোঁজ হয়েছে তার ও অনেক দিন হয়ে গেল। ফুয়াদ এখন নানান চিন্তায় অস্থির থাকে তাই মধু কে দেখার টাইম পায় না। খাবার আসতেই ফুয়াদ আজ নিজেই বলল,,” আমি খাইয়ে দিচ্ছি।”

বলে নিজের খাবার সরিয়ে রেখে মধু কে আগে খাইয়ে দিতে লাগল।
” এতোক্ষণ যতটা খাবারের জন্য পাগলামী করছিলে এখন তো খেতে গিয়ে একটুও আনন্দ করছো না। মুখটা ওমন করে রেখেছ কেন খাবার ভালো লাগছে না?”

মধু অনেক কষ্টে দুই লোকমা খাবার খেয়ে বলল,,” আমি আর খাব না।”
ফুয়াদ বলল,,” আর খাবে না মানে কি? তুমি তো এখনো কিছু খাও‌ই নাই! শুরু হতেই শেষ? তোমার না খিদের জন্য পেট ব্যথা করছে বললে। এখন খাওয়ার আগেই না বলছো।”
মধু বলল,,” আর খেতে পারব না বমি পাচ্ছে।”

“মধু বাচ্চাদের মতো বাহানা করবে না হা করো।”
জোর করেই ফুয়াদ মধু কে আরো দুই লোকমা দিল। মধু চোখ মুখ বিকৃত করেই খাবার টা শেষ করে উঠে বলল,,” আমি এখানে থাকলে আপনি আরো জোর করে খাওয়াবেন। তার থেকে আমি চলে যাই রুমে আপনি খেয়ে আইসেন।”

বলেই মধু চলে গেল। ফুয়াদ বোকা চোখে মধুর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে র‌ইল।
মধু রুমে ফিরে আসতেই ও একজন কে বিছানায় বসে থাকতে দেখে। তাকে দেখে ওর চোখ চড়কগাছ হয়ে যায়। মধু দেখে সমুদ্র পায়ের উপর পা তুলে বিছানায় বসে আছে।
ও রুমে প্রবেশ করতেই এক গাল হেসে ওর দিকে তাকায়। মধু আচমকা সমুদ্র কে দেখে ভয়ে সিটিয়ে যায়।‌
সমুদ্র মধু কে দেখেই বলে উঠে,,” আরে মধু যে কেমন আছো?”
মধু ঢোক গিলে বলে,,” আলহামদুলিল্লাহ। ভাইয়া আপনি এখানে?”

” শুনলাম তোমরা সবাই নাকি আমাকে সারপ্রাইজ দিতে কক্সবাজার চলে এসেছো। তাই আমিও তোমাদের সারপ্রাইজ দিতে চলে আসলাম।”
মধুর গলায় এখনো বমি আটকে আছে। ও ভেবেছিল রুমে এসে বমি করবে কিন্তু সমুদ্র কে দেখে ও বমি করার কথা ভুলে গেছে। ও বিস্মিত কন্ঠে সমুদ্রের সাথে কথা বলছে।

” ভাইয়া আপনি বসেন। আমি সবাইকে খবরটা দিয়ে আসি।”
বলেই মধু আবার পিছু ঘুরে আসতে যাবে পেছনে থেকে সমুদ্র ওর হাত চেপে ধরে। মধু চমকে উঠে পিছু ঘুরতেই সমুদ্র ওর হাত ছেড়ে বলে,,” সরি মধু আসলে তোমার সাথে আমার কিছু ইম্পর্ট্যান্ট কথা ছিল। যদি শুনতে আরকি।”
মধু বিদ্যুৎ শক লাগার মতো হাতের দিকে তাকিয়ে বলল,,” জি বলেন!”
সমুদ্র বলল,,” তুমি বসো তারপর বলছি।”

মধু কাঁচুমাচু মুখ করে খাটের কোনায় বসল। সমুদ্র দাঁড়িয়ে আছে। ও দাঁড়িয়ে কেমন জানি হাঁসফাঁস করছে। মধু এক দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। ওর অস্বস্তি ও অনুভব করতে পারছে। কি এমন বলবে যে সমুদ্র এমন করছে!
সমুদ্র রুমের এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত দুইবার পায়চারি করল তারপর সোজা হয়ে দাঁড়াল মধুর সামনে। মধু সমুদ্রের চোখের দিকে তাকাতেই কেঁপে উঠল। সমুদ্রের চোখের ভাষা হয়ত মধু বুঝে গেল এক সেকেন্ডে‌।
সমুদ্র কিছু বলতে মুখ খুলবে এমন সময়, মধু লাফ দিয়ে বসা থেকে দাঁড়িয়ে গেল আর সমুদ্রের কথায় বাঁধা পড়ল। মধু দুই হাতে মুখ চেপে ধরে দৌড় লাগাল ওয়াশরুমের দিকে। সমুদ্র পিছনে থেকে চেঁচিয়ে জিজ্ঞেস করল,,” মধু কি হলো তোমার?”

মধু কথা বলার মতো অবস্থাতে নাই। ও গলগলিয়ে বমি করছে। সমুদ্র মধু কে বমি করতে দেখে আর এগিয়ে গেল না। সবাই আসার আগেই ও স্থান পরিবর্তন করল। ফুয়াদ নিজেও বেশি খেতে পারল না মধুর চিন্তায় ওর খাওয়া চলে গেছে‌। ও কোন রকম হালকা খেয়েই চলে আসলো বিল মিটিয়ে। আর সবাইকে আস্তে ধীরে খেয়ে আসতে বলল।
ও রুমে এসে দেখল বাথরুমে থেকে মধুর আওয়াজ আসছে ও বমি করে ভাসিয়ে দিচ্ছে।
ও তাড়াতাড়ি দৌড়ে এসে মধুকে ধরে বলে,,” ও মাই গড। এতো বমি করছো কেন? তোমার কি শরীর খারাপ? আমাকে কিছু বলো নি কেন?”

প্রেয়সী পর্ব ৬৫

মধু ক্লান্ত হয়ে ফুয়াদের কাঁধে মুখ গুঁজে বিড়বিড় করে।
আধো আধো কন্ঠে বলল,,” সমুদ্র ভাইয়া এখানে এসেছিল।”
ফুয়াদ বিস্মিত কন্ঠে বলল,,” হোয়াট? কখন?”

প্রেয়সী পর্ব ৬৭