বিন্দু থেকে বৃত্ত সিজন ২ পর্ব ২৩

বিন্দু থেকে বৃত্ত সিজন ২ পর্ব ২৩
জাওয়াদ জামী

” বাপ, মাথা ঠান্ডা কর। তোকে এভাবে রা’গ’তে দেখলে আমার কোনকালেই ভালো লাগেনি। আজকের এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় কমবেশি সবাই কষ্ট পেয়েছে। কিন্তু দেখ তোর দিদুন,তোর বড় চাচ্চু তারা দুজনেই প্রতিবাদ করেছে। একবার নুসরাতের দিকটাও বিবেচনা করে দেখ। বেচারি কষ্ট পেয়েছে। ওর নিজেরও একটা কষ্টের অতীত আছে। ঠিক তেমনটাই ওর মেয়ের সাথেও ঘটছে। এটা দেখলে কোন মা’য়েরই মাথা ঠিক থাকবেনা। কিন্তু দেখ শেষ পর্যন্ত সব ভালোভাবে মিটে গেছে। তুই আর রা’গ করিসনা। ”

” আমার নুসরাত ফুপুর ওপর যতটা না রা’গ হচ্ছে, তার থেকে বেশি রা’গ হচ্ছে ঐ ভদ্রলোকের ওপর। তার জন্যই আজ এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আজ তোমাকে চরমভাবে অপমানিত হতে হলো। মামাকে অপমানিত হতে হলো। কুহুর কথা নাহয় বাদই দিলাম। ঐ ভদ্রলোককে এত দ্বায়িত্ববান হতে কে বলেছিল? সে জানতনা, তার খালাতো বোন খুব সুবিধার মানুষ নয়?

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

সে জানতনা, এত বছর ধরে নুসরাত ফুপু তোমাকে ঘৃণা করে গেছে? তোমাকে কটু কথা শুনিয়েছে? এরপরও কেন সে নুসরাত ফুপুর মেয়ের সাথে আমার বিয়ের কথা বলতে গেল? তাকে কি নুসরাত ফুপু ছেড়ে কথা বলল? তাকেও তো অপমান করল। আজ ছেলে হয়ে বাবা-মা’র অপমান বসে বসে দেখতে হল। ” তাহমিদ সানাউল রাশেদিনকে উদ্দেশ্য করে কথাগুলো বলল।

” বাপ, তোর চাচ্চু বুঝতে পারেনি, ঘটনা এতদূর গড়াবে। তাকে তো তুই জানিসই। তোকে ভালোবাসে বিধায় তোর বিয়ের কথা ভেবেছে। ”
” আমি জানি সে আমাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসে। কিন্তু তার মানে এই নয়, তার একটা ভুল সিদ্ধান্তের জন্য তুমি অপমানিত হবে। আর তাকে আমি ছেড়ে দিব। এর থেকে ফুপু আমাকে কয়েকটা থাপ্পড় দিত। আমি সহ্য করে যেতাম। কিন্তু তোমার এতবড় অপমান আমি মানতে পারছিনা। ”

” তোর মত ছেলে যার আছে, তাকে কোন অপমান সামান্যতম স্পর্শও করতে পারবেনা, বাপ। এছাড়াও আমার সাথে পুরো পরিবার আছে। মায়ের মত শ্বাশুড়ি যেখানে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল, সেখানে কেউ অপমান করলে আমার গায়ে লাগবে বল? দেখ, তোর চাচ্চুও কষ্ট পাচ্ছে। তুই যদি রে’গে থাকিস, সে আরও কষ্ট পাবে। তার শরীর এমনিতেই ভালোনা। ” কথাটা ম্যাজিকের মত কাজ করল।

” ঠিক আছে, আমি রাগলামনা। তবে তুমি ঐ ভদ্রলোককে বলে দিও, সিক্তার বিয়ের ব্যাপারে নিজ থেকে কোন সিদ্ধান্ত যেন সে না নেয়। সিক্তাকে কবে, কোথায় বিয়ে দিব, সেটা আমি বুঝব। আর সে যেন তোমার কাছে ক্ষমা চায়। ”
” আফরোজা, আমি ভুল করেছি। আমার জন্য তোমাকে অপমানিত হতে হয়েছে। আমি স্বামী হিসেবে স্ত্রী’র সম্মান রক্ষা করতে পারিনি। আমাকে ক্ষমা করে দিও। তুমি ক্ষমা না করলে, তোমার এই ছেলেটাও আমাকে ছেড়ে কথা বলবেনা। “সানাউল রাশেদিনের চেহারায় গ্লানি ফুটে উঠেছে।

” ও নাহয় রেগে আছে। তাই ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেছে। কিন্তু তুমিও ছোট মানুষের মত এসব কি বলছ! আমি কি এত বছরে তোমার ওপর কখনো রা’গ কিংবা অভিযোগ করেছি? আমার আর এসব ভালো লাগেনা। ”
” কুহু মা, দেখেছ সবাই আমার ওপর রা’গ করছে। কিন্তু তুমি অন্তত রে’গে থেকোনা। আমার জন্য তোমাকে বিয়ের পরদিনই অনেক কথা শুনতে হল। নিজেকে আজ বড্ড অপরাধী মনে হচ্ছে, মা। আমি কি তোমার কাছেও ক্ষমা চাইব? ”

” ফুপা, এসব কি বলছেন আপনি! আপনি আমার বাবার মত। মেয়ের কাছে বাবারা কখনও অপরাধী হয়না। আপনি আপনার ছেলের কথা বাদ দিন। তখন আমার মনটা সাময়িক খারাপ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন আর মন খারাপের কোন অস্তিত্বই আমার মাঝে নেই। তাই আপনার ক্ষমা চাওয়ার কোন প্রশ্নই আসছেনা। আপনি রিল্যাক্স থাকুন। ”

” কুহু ঠিক বলেছে, বড় দুলাভাই। আমরা কেউই মন খারাপ করে নেই। আপনি নিজেকে দোষী ভাববেননা। তাহমিদও আপনাকে আর কিছুই বলবেনা। ভাগ্নে, তুমি কিন্তু আমার দুলাভাইকে আর কিছু বলবেনা। আজকে যেটা ঘটল, এটা হওয়ারই ছিল। সবাই কত আনন্দ করছে। এখন তুমি রা’গ করে থেকে ওদের আনন্দে পানি ঢেলে দিওনা। ” কায়েসও তাহমিদের রা’গ দেখে, ওকে শান্ত করতে উদ্যত হয়।

” ভাই, বাদ দাওতো। যা হওয়ার হয়ে গেছে। আন্টি কষ্ট, পেয়েছে তাই রিয়্যাক্ট করেছে। দিদুন কি সুন্দরভাবে সবটা হ্যান্ডেল করে নিল। তাই তুমি আর রা’গ করে থেকোনা। ” আনান তাহমিদের কাছে এসে ওকে বোঝাতে থাকে।
সবাই বাড়ির এই দমবন্ধকর পরিবেশকে হালকা করতে নানানরকম কথায় মেতে উঠল।
” কায়েস, ও কায়েস, বাড়িতে আছ নাকি? ” বাহির থেকে কারও ডাক শুনে শিউলি ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। মেইন গেট খুলেই জমিরউদ্দীন মেম্বারকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল।

শিউলি মেম্বারকে দেখেই একটু ইতস্ততবোধ করছে। কায়েস ওকে কয়েকবার নিষেধ করে দিয়েছে, এই মেম্বারের সাথে কথা বলতে। মেম্বারকে বাড়িতে ঢুকতে দিতেও নিষেধ করেছে।
” চাচা, কিছু কইবেন? হেয় তো বাড়িতে নাই। ” মেম্বারকে ভেতরে ঢুকতে না বলে, দরজা জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকে শিউলি।
” কই গেছে, কায়েস? ”

” ঢাকায় গেছে। তার বড় মাইয়ার বিয়া হইছে কাইলকা। তাই গেছে। ”
শিউলির মুখে কুহুর বিয়ের কথা শুনে মেম্বার একটু থমকে যায়। সেই সাথে আশাহতও হয়। তার ইচ্ছে ছিল শিউলিকে পটিয়ে, কুহুকে বিয়ের প্রস্তাব দিবে।

” কি কও! কুহুর বিয়ে হইছে? কার সাথে? ছেলে কি করে? গ্রামে কি ছেলের অভাব ছিল, সে ঢাকায় যেয়ে মেয়ের বিয়ে দিল? গ্রামের মানুষজন কেউ কিছু জানতে পারলনা কুহুর বিয়ের কথা! ”
” আমার বড় ননদের দেওরের পোলার সাথে বিয়া হইছে। পোলায় ডাক্তার। খুব আদবের পোলা। আমারে খুব ভালোবাসে। খুব সন্মান করে। প্রত্যেকদিন আমার কাছে ফোন কইরা ভালোমন্দ জিজ্ঞেস করে। ” শিউলির চোখে খুশির ঝিলিক। তাহমিদ ওকে বেশ ভালোভাবেই পটিয়েছে।

” ওহ্। তা বউমা, তুমি যে টাকাটা ফিরায় দিলে? আমি তোমাকে কার্ড করে দিবার চাইলাম, তুমি নিবানা? ”
” না চাচা, আমি নিবার পারমুনা। দৃষ্টির বাপে আমার ভাইয়ের কাছে মাসের খরচ পাঠায় দিতাছে। তাগোর আর কুন কষ্ট নাই। আর তাছাড়া দৃষ্টির বাপ এইসব পছন্দ করেনা। ”
” আমি যাই, বউমা। ” জমিরউদ্দীন মেম্বার আর দাঁড়ায়না।

শিউলি বুঝতে পারলনা কেন মেম্বার চাচা বাড়িতে এসেছিল। আবার কিছু না বলে চলেও গেল।
” বউ, একটু হাসতো দেখি। সকাল সকাল তোমার চোখের পানি, আমার বুকের পিঞ্জরে আঘাত করেছে। আমি তোমার অযোগ্য স্বামী, যে কিনা স্ত্রী’র অপমান চুপচাপ বসে থেকে দেখেছে। ”

” আপনি আবারও এসব কথা ভেবে মন খারাপ করছেন! যেখানে দিদুন নিজে প্রতিবাদ করেছেন, সেখানে আপনার কিংবা অন্য কারও কথা বলার কোনও প্রয়োজন ছিলনা। আর আমার মন মোটেও খারাপ নেই। এমন একটা পরিবার পেয়েছি, যেখানে সবার ভালোবাসা আমার অপমান ভুলিয়ে দিয়েছে। আপনি বাইরে যাবার পর দিদুন আমাকে তার রুমে ডেকে নিয়ে কত দোয়া করেছে, জানেন? মা, বাবা সবাই আমাকে বুকে জরিয়ে রেখেছিল কতক্ষণ। এরপরও আমার মন খারাপ থাকতে পারে? ”

” এজন্যই তোমাকে এত ভালোবাসি। যে মেয়ে টুকরো টুকরো ভালোবাসাকেও জোড়া দিয়ে এক সাগর ভালোবাসায় রুপান্তরিত করতে পারে, তাকে ভালো না বেসে থাকা যায়? ” তাহমিদ কুহুকে জড়িয়ে ধরে ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়ায়।
” ভাই, আছ? একটু বাইরে আসবে? ” আনান দরজার বাইরে থেকে তাহমিদকে ডাক দেয়।
” বাহিরে থেকে ডাকাডাকি না করে ভেতরে আয়। তবুও শব্দদূষন করিসনা। ”
” বল, কি বলবে? ”

” হোয়াট! তুই আমাকে ডাকতে এসেছিলি গর্দভ। ”
” দেখেছিস কোকিলা, তোর জামাই আমাকে কি নামে সম্মোধন করছে? তাকে বলিসনি, আমি এখন সম্পর্কে একজন সম্মানিত ব্যাক্তি? না বলে থাকলে, এখনই আমার সামনে ভালোভাবে বুঝিয়ে বল। ”
তাহমিদ ভ্রু বাঁকিয়ে আনানের দিকে তাকিয়ে আছে।

” এই যে শুনছেন? আপনি আর আমার ভাইয়াকে অসম্মান করে কথা বলবেননা। এখন সম্পর্কে সে আপনার বড় ভাই। তাকে তার প্রাপ্য সম্মানটুকু দিতে হবে। ” কুহু মন থেকেই কথাগুলো বলল।
” সরি, কি বললে? শুনতে পাইনি। কাকে সম্মান দেয়ার কথা বললে? যে ছেলেটাকে তার ছোটবেলায় একবার মহল্লার বড় ভাইয়েরা ধরে প্যান্ট খুলে নিয়েছিল? আর সে কাঁদতে কাঁদতে ন্যাংটো হয়েই বাসায় এসেছিল। পরে তার সেই প্যান্টও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাকে সম্মান করব? এবার তুমি বল, যেই ছেলে তার ইজ্জত ঢাকার কাপড় সামলে রাখতে পারেনা, সে আমার দেয়া সম্মান কিভাবে সামলে রাখবে? এছাড়াও এমন আরও অনেক ঘটনাই আছে, যার দরুন তাকে সম্মান করার সাহস করে উঠতে পারছিনা। ”

” ভাই, তুমি সেসব কথা এখনও মনে রেখে আমাকে পঁচাবে? তখন ছোট ছিলাম, তাই প্যান্ট খুলে নিতে পেরেছিল। এখনও কি সেই ছোটই আছি নাকি! এখন কেউ প্যান্ট খুলতে আসলে, উল্টো তারই প্যান্ট খুলে পাবনায় পাঠাব। ” সিনা টানটান করে বলল আনান।

” ওকে। তবে আয় দেখি। আমার হাত নিশপিশ করছে। ” তাহমিদ দাঁড়িয়ে হাতে হাত ঘঁষে বলল।
তাহমিদকে দাঁড়াতে দেখে আনান দুই পা পেছনে সরে যায়। ওর মুখ শুকিয়ে গেছে।
” এ.. এ..এই ভাই, এসব কি বলছ! তুমি হলে গিয়ে পালোয়ান। তোমার সাথে আমার যায় নাকি? তুমি চাইলে শুধু প্যান্ট কেন, শরীরের চামড়াও খুলে নিতে পারবে। খালামনি তোমাকে খাইয়ে খাইয়ে খোদার খাসি বানিয়েছে। তোমার কাছে আমি পিঁপড়া। ”

” কি বললি তুই? আমি কি? তোকে তো আজ। ” তাহমিদ আনানের দিকে এগিয়ে যেতেই আনানের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।
” ওরে বাবারে, কে আছো বাঁচাও। ” আনান ভোঁ দৌড় দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায়।
আনানের এহেন কান্ডে কুহু হা হা করে হেসে উঠে।

তাহমিদ কুহুর হাসি দেখে ওর দিকে নেশাক্ত চোখে তাকিয়ে আছে।
” ওরে আমি গেলাম রে। আনাইন্না তুই কি চোখে দেখিসনা? এভাবে আমাকে ধাক্কা মারলি কেন? ” আনানের সাথে ধাক্কা লেগে সিক্তা পরে যেয়ে কঁকিয়ে ওঠে। ও গতকালের ঘটনা ভুলে আনানের ওপর খেঁকিয়ে উঠল।
” তোর ভাইয়ের মত তুইও দেখছি টাল, তার ছেঁড়া। সব সময়ই এমন তুই তুই করিস কেন? একটুতো আদর করে ডাকলেও পারিস। আদর করে ডাকলে কি শরীরের এনার্জি লস হবে? ”
সিক্তার দিকে হাত বাড়িয়ে দেয় আনান। ওর হাত ধরে সিক্তা উঠে দাঁড়ায়। এতক্ষণে সিক্তার গতকালের কথা মনে পরল। ও আবার লজ্জায় কুঁকড়ে যায়।

আনান এদিক-ওদিক তাকিয়ে কাউকে না দেখে সিক্তার হাত ধরে করিডোরের শেষ প্রান্তের বারান্দায় নিয়ে আসে।
” তুই নাকি প্রোকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছিস? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কি দোষ করল? একবারে ঢাকা ছেড়ে চলে যাবি? এই বাসায় শুধু তোকে দেখার জন্যই ছুটে আসতাম। ভাইয়ের সময় কাটানো তো বাহানা ছিল মাত্র। কিন্তু সেই তুই-ই থাকবিনা। আমার আর এ বাড়িতে আসা হবেনা।

তুই নতুন জায়গায় যাবি, নতুন বন্ধু হবে। হয়তো তাদের মধ্যে কেউ তোর খুব কাছের হবে। আমার একপাক্ষিক ভালোবাসা তোর মনে কোন উন্মাদনাই জোগাবেনা। কিন্তু আমি ঠিকই তোর বিরহে পু’ড়’ব। ভালোবাসলে সামান্য দূরত্ব যেখানে হাজার মাইলের দূরত্বের সমান, সেখানে তুই চিরতরের দূরত্ব সৃষ্টি করে চলে যাবি। ভালোবাসায় এই চিরতরের দূরত্বের সংজ্ঞা কি জানিস? তুই জানবিনা।

কারন তুই ভালোবাসিসনি। আচ্ছা, যেখানেই যাস, ভালো থাকিস। তুই ভালো না বাসলেও আমি কখনোই তোর খারাপ চাইবনা। হয়তো আর কখনোই এই ‘ কুঞ্জছায়া’র সীমানায় পা দেয়া হবেনা। হয়তো আর কখনোই তোর সামনেও আসবনা। যাইরে, ভালো থাকিস। ” আনান চোখ মুছে চলে যায়। একবারও পেছন ফিরে তাকায়না।
সিক্তা আনানের কথাগুলো ভাবছে। ও বিশ্বাস করতে পারছেনা আনান কথা বলার সময় কাঁদছিল। সিক্তা নিচে না যেয়ে বারান্দায় বসে থাকে।

রাতে খাবার সময় নিচে এসে তাহমিদ জানতে পারল আনান বিকেলেই চলে গেছে। আনানের এভাবে হঠাৎ চলে যাওয়ার কারন খুঁজে পায়না তাহমিদ। ও খেতে না বসে আনানকে ফোন করে।
” হ্যাঁ ভাই, বল। ” আনান ওর রুমেই শুয়ে আছে।
” তুই হঠাৎ চলে গেলি কেন? আমাকে একবারও জানিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন মনে করলিনা? সবাই এখানে আছে, তার তুই চলে গেলি! আমি গাড়ি পাঠাচ্ছি, তুই চলে আয়। ”

” আজকে আর যাবনা, ভাই। কাল একটা পরীক্ষা আছে। না পড়লে পিছিয়ে যাব। তোমরা এনজয় কর। আমার জন্য অযথা ভেবোনা। ”
” রাতে কি খাবি? ”

বিন্দু থেকে বৃত্ত সিজন ২ পর্ব ২২

” ফ্রিজে দেখলাম অনেক কিছুই আছে। সেখান থেকে কিছু খেয়ে নিব। তুমি এত কথা না বলে খেয়ে নাও। আর আমার বোনটাকে সময় দাও। আমি রাখছি। ”
তাহমিদ আঁড়চোখে সিক্তার দিকে তাকায়। কিন্তু সিক্তাকে একদম স্বাভাবিক দেখে খেতে বসে।

বিন্দু থেকে বৃত্ত সিজন ২ পর্ব ২৪