বিন্দু থেকে বৃত্ত সিজন ২ পর্ব ৪৭

বিন্দু থেকে বৃত্ত সিজন ২ পর্ব ৪৭
জাওয়াদ জামী

তাহমিদ রুমে এসে কুহুকে দেখে কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। এ কাকে দেখছে সে! এই মেয়েটা একেক সময় একেক রূপে ওর সামনে আবির্ভূত হয়! যা তাহমিদকে পা’গ’ল করে দেয়।

কুহু ডিভানে বসে ডান হাতের আঙুল দিয়ে বাম হাতের নখ খুঁটছে। ওর নিচে যেতে ভিষণ লজ্জা করছে। অথচ সেখানে রাজ্যের কাজ পরে আছে।
তাহমিদ ধীর পায়ে কুহুর সামনে এসে হাঁটু গেড়ে বসল। কুহুর হাত দুটো নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বুকের সাথে চেপে ধরল।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

” কি আছে তোমাতে! যার দরুন আমি বারেবারে তোমাতে মুগ্ধ হই? তোমাকে ছোঁবার নেশা, তোমাকে কাছে কাছে পাবার নেশা আমার শিরা-উপশিরায় পা’গ’লা ঘোড়ার মত ছুটে বেড়ায়? আমি জন্ম-জন্মান্তরে তোমার হতে চাই, বউ। তোমাতেই নিজেকে হারাতে চাই। একি নেশায় আমায় জড়ালে? যে নেশা থেকে আ’মৃ’ত্যু আমার বেড়িয়ে আসা সম্ভব নয়। আমি সেই নেশা থেকে বেরিয়ে আসতেও চাইনা। মন চাচ্ছে, আজ আরেকবার তোমাকে বিয়ে করি। কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। আমি চাইনা আমাদের বিয়ের দু’টো তারিখ হোক। হুম তবে ফার্স্ট এ্যানিভার্সারিতে আমরা আরেকবার বিয়ে করব। সাল আলাদা হলে ক্ষতি নেই, ডেইট একটাই থাকবে। ”

তাহমিদের ফিসফিসানি কথা শুনে কুহুর শরীরে অনুভূতিরা দোলা দিয়ে যায়। এই মানুষটা যে শুধুই ওর সেটা ভেবেই নিমেষেই মনের আকাশে রংধনু ভেসে ওঠে। উড়ে বেড়ায় হাজার প্রজাপতির দল। এই মানুষটাকে ও প্রতিদিন নতুনভাবে আবিষ্কার করছে, নতুনভাবে চিনছে।

তাহমিদ কুহুকে তার কলিগদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। আগেরবার যারা এসেছিল, তারা কুহুকে চেনে, তাই তার আগবাড়িয়ে এসে কুহুর সাথে কথা বলল। ওদের মধ্যে সেদিনের সেই মেয়েও ছিল।
কুহু সবাইকে সালাম দেয়। সবার সাথে আন্তরিকতা নিয়ে কথা বলে। এরপর সবার জন্য নাস্তার ব্যবস্থা করতে যায়।
দৃষ্টি, তনয়া আর সিক্তার কয়েকজন বান্ধবী মিলে গেইট আগলে দাঁড়িয়ে আছে। আজ ওরা বরপক্ষ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করেই ছাড়বে। ওদেরকে মদদ দিচ্ছে নীরা। কুহু এসবের আশেপাশে নেই। তাহমিদ ওকে নিষেধ করে দিয়েছে, এসব বাচ্চামো কাজ না করতে।

দুপুর দুইটার দিকে বর ও বরযাত্রী নিয়ে কায়েসের গাড়ি এসে দাঁড়ায় ‘ কুঞ্জছায়া’ র গেইটে। বরপক্ষের অভিভাবকের দ্বায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে কায়েসকে। গেইট সাজানো হয়েছে রাজকীয় সাজে।
কায়েস গাড়ি থেকেই দেখল মেয়েরা গেইট আগলে দাঁড়িয়ে আছে। সে সাথে সাথে গাড়ি থেকে বের হয়ে আসল। কয়েকটা মেয়ের সাথে দৃষ্টি ও তনয়াও আছে। কায়েস ঘটনা বুঝতে পেরে মুচকি হাসে।

” নিহান রে, এতক্ষণ আমাকে অপেক্ষা করানোর মানে হয় বলতো? এদের কি আক্কেলজ্ঞান বলতে কিছুই নেই! নতুন জামাইকে এভাবে রাস্তার মাঝখানে গাড়িতে বসিয়ে রেখেছে! আমার ভুড়িসর্বস্ব শ্বশুরের মাথায় বুদ্ধি বলতে কিছুই নেই। আর ঐ পা’গ’ল ডক্টর, সে তো তার ছেঁ’ড়া। আমাকে বোনের জামাই হিসেবে মানতে তার কষ্ট হচ্ছে বুঝলি? ”
আনানের কথা শুনে নিহান ওর দিকে চোখ বড় করে তাকিয়ে আছে।

” এসব তুই কি বলছিস, আনান! বিয়ে না করতেই শ্বশুর আর শালাকে একহাত নিচ্ছিস! বিয়ের পর তুই কি করবি, ভাবতেই আমার গায়ে কা’টা দিচ্ছে। আমার কথা শোন, এত অধৈর্য্য না হয়ে চুপচাপ বসে থাক। ভেতরে কিন্তু এখনো ঢুকতে পারিসনি। তুই অবশ্যই ভালো পজিশানে নেই। সো মুখ বন্ধ। ”

কিছুক্ষণ পর আয়েশা সালেহা আসলেন। তিনি আনানের গলায় সোনার চেইন পরিয়ে ওকে গাড়ি থেকে হাত ধরে নামালেন। এরপর তিনি আনানকে নিয়ে গেইটের সামনে আসলেন। সিক্তার এক বান্ধবী বৃদ্ধাকে ভেতরে নিয়ে এসে গেইটে লাল জরির ফিতা বেঁধে দিল।

আনানের পাশে ওর কয়েকটা বন্ধু, কাজিনরা দাঁড়িয়েছে। নিহান লক্ষ্য করল দৃষ্টি আজ খুব একটা সাজেনি। মেয়েটা মলিন মুখে দাঁড়িয়ে আছে। গতকালকের পর মেয়েটার সাথে কোন কথাই হয়নি। তবে আজ হালকা সাজে মেয়েটাকে চমৎকার লাগছে। নিহান দৃষ্টিকে জ্বা’লা’তে চাইল।

” এই যে বেয়ান, এভাবে গেইট আটকে দাঁড়িয়ে আছেন কেন? নতুন জামাই কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবে? বেচারা এসেছে বউ নিতে কিন্তু আপনারা ওকে ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছেননা! এমন অবিচার না করলে হয়না। ”
নিহানের হাসি দেখে দৃষ্টি চোখ পাকিয়ে ওর দিকে তাকাল। এদিকে আনানের বন্ধুরা নিহানের সুরে সুর মিলিয়েছে।
” গেইটের চার্য না দিলে, জামাইকে নিয়ে আপনাদের রাস্তায়ই দাঁড়িয়ে থাকতে হবে, বেয়াই। চার্য দিন ভেতরে আসুন। ” দৃষ্টিও হেসে উত্তর দেয়।

” তা বেয়ান, আপনার বিয়েতে গেইটে চার্য নেয়ার মানুষ আছে নাকি ভাড়া করতে হবে? আর আপনার সাথে এরা করা? এদেরকে কি ভাড়ায় এনেছেন? ” নিহান আবারও বলল।
” আমার বিয়ের ব্যাপারে আপনাকে এত চিন্তা করতে হবেনা। কাউকে না পেলে মানুষ ভাড়া করতেই হবে। আমার শ্বশুরের আবার অনেক টাকা। চার্য দিতে তার কোন অসুবিধা হবেনা। তবে আজকে কাউকে ভাড়া করতে হয়নি এদিক দিয়ে আপনাদের পাত্রের ভাগ্য ভালো। গেইটের জন্য মানুষ ভাড়া করলে চার্য বেশি পরে যায়। তাকে বেশি চার্য দিতে হবেনা। ”

” দৃষ্টি, এসব কি শুরু করেছিস বইনা? ভেতরে ঢুকতে দে। তারাতারি কবুল বলে, বউ নিয়ে বাসায় যাই। এভাবে পরের বাসায় নিজের বউকে কতদিন ফেলে রাখব! বিশটা বছরের বেশি হলো বউটা আমার পরের বাসায় আছে। আর নাহলে আমি ভেতরে ঢুকি, তোরা বেয়াই, বেয়ান এখানেই গল্প কর। ”

আনানের কথা শুনে গেইটে দাঁড়ানো সবাই হো হো করে হেসে উঠল। এমন বউ পা’গ’ল বর তারা আগে দেখেনি।
আনানের বন্ধুরাও ওর কথা শুনে জোড়ে হেসে উঠল। নিহান কপাল চাপড়ে ভাবছে, বিয়ের দিন সব ছেলেরাই এমন পা’গ’লা’মি করে? কিন্তু ওর তো বিয়ের আগেই এমন পা’গ’লা’মি করতে ইচ্ছে করে। নেহাৎ দৃষ্টি ছোট, তাই নিজেকে সংবরণ করে।

” দূর বিয়ে পা’গ’ল জামাই, নাকে রুমাল দিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে পারছনা? আজকে তুমি নতুন জামাই আর আমরা পাত্রীপক্ষ এটা ছাড়া কোন সম্পর্ক নেই। তাই চার্য দাও, ভেতরে ঢোক। এমন নির্লজ্জ বর আগে দেখিনি বাপু। বিয়ে করার জন্য পা’গ’ল হয়ে গেছে! ” দৃষ্টি মুখ ঝামটা দিয়ে বলল।

” শালিকা, তুমি আমার জায়গায় থাকলে বুঝতে। আমি বউয়ের জন্য কত উদগ্রীব হয়ে আছি। ও ভাই নিহান, দিয়ে দে ওরা যা চায়। তবুও আমাকে এভাবে অনাথ করে রাখিসনা। ” আনান অনুনয় করল।
” কি চাই বেয়ান আপনাদের? চার্য ছাড়া এক্সট্রা কিছু লাগবে? লাগলে বলুন বান্দা আপনাদের সেবায় হাজির। ” দৃষ্টি নিহানের কথা মানে ঠিকই বুঝতে পারল।
এদিকে আরোশিও এসে দৃষ্টিদের দলে যোগ দিয়েছে। আরোশিকে দৃষ্টির দিকে যেতে দেখে আনানসহ সবাই অবাক হয়ে গেছে।

” আরোশি, তুই আমার বোন হয়ে কনে পক্ষের সাথে যোগ দিলি কেন! ওরা তোর ভাইয়ার থেকে গেইটের চার্য দাবী করছে। তাও তুই ঐখানে গেলি! ” আনান জিজ্ঞেস না করে পারলনা।
” এই যে নতুন জামাই, এত কথা বলবেননা। সব কিন্তু ভিডিও হচ্ছে। পরে সবাই দেখবে, জামাই বউ বউ করে কেমন পা’গ’ল হয়ে যাচ্ছিল। নিজেকে পা’গ’ল প্রমান না করে নাকে রুমাল চেপে দাঁড়িয়ে থাকুন আর দেখুন কি হয়। ” সিক্তার একজন বান্ধবী খোঁ’চা মা’র’ল।

এমন খোঁ’চা খেয়ে আনান মুখ বন্ধ করল। কিন্তু নিহান মানতে পারছেনা আরোশির ওদের দলে যোগ দেয়া।
” আরোশি, কি করছিস? এদিকে আয়। ওরা বর্তমানে আমাদের শত্রুপক্ষ। ওদের সাথে হাত মেলাতে নেই। ”
” সরি ভাইয়া, এই মূহুর্তে আমি কনে পক্ষ। এখনই এমন অবাক হলে হবে ? পরের জন্যও কিছু রেখে দাও। ”

অনেক দরকষাকষির পর কায়েসের হস্তক্ষেপে পঞ্চাশ হাজার টাকায় ওরা বর পক্ষকে ভেতরে ঢুকতে দেয়।
স্টেইজে বসে আনান জুস খাচ্ছে আর বন্ধুদের সাথে গল্প করছে। আবার কেউ এলে তাদের সাথে ছবি তুলছে। এখনো সিক্তাকে নিয়ে আসা হয়নি। আনান ছটফট করছে, কখন সিক্তাকে দেখতে পাবে।
দৃষ্টি সিক্তার রুমে গিয়ে হাসতে হাসতে বিছানায় শুয়ে পরল।

” ও সিক্তাপু, তোমার জামাই বিয়ে এক নম্বরের বিয়ে পা’গ’লা। ভেতরে ঢোকার জন্য কেমন পা’গ’লা’মি’টা’ই না করল! ”
দৃষ্টির কথা শুনে সিক্তা লজ্জায় মাথা নিচু করল।
যথাসময়ে ভাই-ভাবীর হাত ধরে স্টেইজে আসল সিক্তা। ওর দুই হাত দুই ভাই ধরে রেখেছে। আর ভাবীরা রয়েছে তাদের পাশে। সিক্তাকে দেখে হুট করে দাঁড়িয়ে যায় আনান। কয়েক ধাপ সামনে এসে নিজের হাত বাড়িয়ে দেয়। সিক্তাও এগিয়ে দেয় ওর হাত।

আনান একটু পর পর আঁড়চোখে সিক্তার দিকে তাকাচ্ছে। সামনে অতিথিরাও বিষয়টা নোটিশ করে হাসছে।
কাজি আসলে স্টেইজেই সবার সামনে বিয়ে পড়ানো হল। এরপর চলল ছবি তোলার পালা।
সন্ধ্যার দিকে বরপক্ষ রওনা দেয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করল। আফরোজা নাজনীন রুমে বসে কাঁদছেন। বাহিরে বের হওয়ার শক্তি তার নেই। মেয়েটাকে বিদায় দিতে তার মন চাচ্ছেনা।

সানাউল রাশেদিনও সোফায় মাথা নিচু করে বসে আছেন। তিনিও কাঁদছেন। আজ থেকে তিনি মেয়েটাকে আর দেখতে পাবেননা। প্রতিদিন তিনি অফিস থেকে বাসায় আসলে মেয়েটা তার জন্য নিজ হাতে শরবত বানিয়ে দিত। তিনি কখন চা পান করেন তা মেয়েটার নখদর্পনে ছিল। একবেলা ঔষধ খেতে না চাইলে মেয়েটা জোড় করে তাকে ঔষধ খাওয়াত। আজ সেসব আর কেউ করবেনা।

বিদায় নেয়ার সময় এসেছে। সিক্তা কেঁদেই চলেছে। ওর তিন বোন, নীরা, কুহু মিলে ওকে সামলাতে পারছেনা। আনানের চাচা এসে আরেকবার তাড়া দিলেন৷ কিন্তু আফরোজা নাজনীন আর সানাউল রাশেদিন না আসায় তারা বের হতে পারছেননা।

” বড়মা, তোমরা বাহিরে এস। সিক্তাকে বিদায় দিতে হবে যে। ওরা তোমাদের অপেক্ষা করছে। ” এই সমান্য কথা বলতেই তাহমিদের গলা বুজে আসল।
তাহমিদের কথা শুনে সানাউল রাশেদিন হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন। তাহমিদ দ্রুত পায়ে তার কাছে যায়।

” বড় চাচ্চু, তোমরা যদি এভাবে কাঁদ, তবে সিক্তাকে সামলাবে কে? ঐ মেয়েটাও যে আহাজারি করে কাঁদছে। চোখের পানি মুছে, ওকে হাসিমুখে বিদায় দাও। নইলে ঐ বাসায় গিয়েও মেয়েটা কাঁদবে। দেখি চোখের পানি মোছ। আমার সাথে বাহিরে চল। সিক্তার সামনে একদম কাঁদবেনা। ওকে বুঝতেই দেবেনা তোমরা কষ্ট পাচ্ছ। বড়মা, তুমিও চোখের পানি মোছ। ” তাহমিদ ওর বড় চাচ্চু, বড়মার চোখের পানি মুছিয়ে দিয়ে তাদের নিয়ে বাইরে আসল।

সিক্তাকে আনানের হাতে তুলে দিলেন সানাউল রাশেদিন। সিক্তা মা, ছোটমাকে জড়িয়ে ধরে খুব কাঁদল। তবে আফরোজা নাজনীন নিজেকে শক্ত রেখেছেন তাহমিদের কথায়। তিনি একটুও কাঁদলেননা। তাহমিনা আক্তার, আয়েশা সালেহা চোখে পানি নিয়ে বিদায় দিলেন তাদের চোখের মনিকে।
কায়েস, শিউলি, নাজমা পারভিন আজ বড় বোনের কাছে থেকে যায়। এই অবস্থায় তারা বোনকে ছেড়ে কিছুতেই যেতে পারেনা।

সিক্তাদের গাড়ি গেইট দিয়ে বেরিয়ে যেতেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন বাড়ির সবাই। আফরোজা নাজনীন সেন্সলেস হয়ে গেলেন। তাকে রুমে এনে শোয়ানো হল। তাহমিদ প্রেশার চেইক করল। তার প্রেশার অনেকটাই বেড়ে গেছে। তাহমিদ তাড়াহুড়ো না করে ধীরেসুস্থে বড়মার চিকিৎসা করল। তার জ্ঞান ফিরলে জোড় করে খাইয়ে দেয় তাহমিদ। তিনি সারাদিন না খেয়ে ছিলেন। কুহু ওর ফুপুর কাছেই বসে রইল।

দৃষ্টি, তনয়া সিক্তার সাথে ঐ বাড়িতে গেছে। নিহান অবাক হয়ে যায় ওদের কাজকর্ম দেখে।
সিক্তা সাড়া রাস্তা কাঁদতে কাঁদতে যায়। আনান অসহায় চোখে ওর কান্না দেখছে।
আফরোজা নাজনীনের প্রেশার কমলে তাকে স্লিপিং পিল খাইয়ে দেয় তাহমিদ। আজ ওর অনেক কাজ। বড় চাচ্চুকে কিছুতেই একা ছাড়া যাবেনা।

বিন্দু থেকে বৃত্ত সিজন ২ পর্ব ৪৬

প্রায় দুই ঘন্টা পর গাড়ি এসে দাঁড়ায় আনানদের বিল্ডিংয়ের সামনে।
শাহনাজ সুলতানা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ছেলের বউকে বরন করতে।

বিন্দু থেকে বৃত্ত সিজন ২ পর্ব ৪৮