বৃষ্টি ভেজা কাঠগোলাপ পর্ব ৩৫

বৃষ্টি ভেজা কাঠগোলাপ পর্ব ৩৫
সাদিয়া জাহান উম্মি

কালো মেঘে রাতের আকাশ ঢেকে গিয়েছে।ঝড়ো হাওয়া বইছে সমানতালে।কেমন ঠান্ডা,হিমশীতল হাওয়া।যা শরীরে ছুঁইয়ে দিলেই শিরশিরে অনুভূতি হয়।রাতের আকাশে চাঁদ, তারার অস্তিত্ব নেই বললেই চলে।তারা মেঘেদের আড়ালে নিজের লুকিয়ে নিয়েছে। হঠাৎ তীব্র গর্জনে মেঘ ডেকে উঠলো তার একটু পরেই আকাশ ভেঙ্গে প্রকৃতিতে নেমে এলো বারিধারা।

সারাদিনের প্রখর সূর্যের তাপে উত্তপ্ত পৃথিবীকে সিক্ত করতে নিজেদের অস্থিত্বের জানান দিলো। কখনো টিপটিপ, কখনো ঝিরঝির, কখনো বা ঝমঝম অবিরাম বর্ষণে সিক্ত হচ্ছিল। বকালো মেঘে শুরু হল গুরু গুরু গর্জন, আকাশের বুকে সেইসঙ্গে ঝিলিক দিতে থাকলো বিদ্যুতের নীল শিখা।মুষোলধারে মাটির ওপর যেইমাত্র পড়ল বৃষ্টির ফোঁটা, চারপাশ ভরে গেল ভিজে মাটির সোঁদা গন্ধে। সেই যে বৃষ্টি শুরু হল তার আর থামবার অবকাশ নেই।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

আরাবী একমনে প্রকৃতির এই সুন্দরতম মুহূর্তগুলো উপভোগ করছে।বারান্দার থাই গ্লাস টেনা দেওয়া।তবে স্বচ্ছ কাচের দ্বারা সবই দেখা যাচ্ছে বেশ ভালোভাবে।প্রায় অনেকক্ষন হলো নূর আরাবীকে জায়ানের রুমে দিয়ে গিয়েছে।রুমে প্রবেশ করতেই বেশ অবাক হলো আরাবী।মাত্র এটুকু সময়েই কিনা ফুল দ্বারা কি সুন্দর রুমটা সাঁজিয়ে ফেলেছে।আরাবী একমনে ঘরটির দিকে তাকিয়ে ছিলো।একসময় এই রুমটায় আসতে কতো ভয় পেতো আরাবী।আর আজ থেকে সে নিজেই এই ঘরের মালিক হয়ে গেলো।আরাবী অবাক হয়ে দেখছিলো জায়ানের রুম।

বেশ গোছালো আর শৌখিন লোকটা। ঘরের জিনিসপত্র সবকিছুই বেশ সুন্দর। বিছানার দিকে নজর দিতেই বিষ্মত হয়েছিলো আরাবী।সাদা চাদরে মুড়ানো বিছানা পুরো গোলাপ ফুল দিয়ে লাল বানিয়ে দিয়েছে। কি আশ্চর্য কারবার।এতো সুন্দরভাবে সাজিয়েছে আরাবী যে বিছানায় বসবে তার উপায় নেই।যদি নষ্ট হয়ে যায়? এই কারনেই ও বারান্দার দিকে চলে যায়।বারান্দাটা বেশ বড়।বারান্দার একপাশে একটা ছোট্ট বিছানাও আছে।সেখানে অনায়াসে একজন মানুষ ঘুমোতে পারবে।

আরাবী সেই বিছানাটায় উঠে বসেই প্রকৃতি বিলাশে মগ্ন হয়ে রইলো।পেরিয়ে গেলো অনেকসময়।হঠাৎ বাহির থেকে চেচাঁমেচি শুনেই ভড়কে যায় আরাবী।বারান্দার বিছানা থেকে নেমে দ্রুত রুমে আসে ও।রুমের বাহিরে ইফতি,নূর আর জায়ানের কথা শোনা যাচ্ছে।মানে লোকটা এসে পরেছে।বুকটা কেমন ধুকপুক করছে। প্রবলভাবে গলা উচিঁয়ে কথা বলছে নূর, ‘ ভাই নগত পঞ্চাশ হাজার টাকা দেও।পচিঁশ আমার আর পচিঁশ ইফতি ভাইয়ার।’

ইফতি নূরের কথায় সাথে সাথে তেঁতে উঠলো, ‘ তুই পচিঁশ নিবি মানে?সব করলাম আমি।এতো কষ্ট করে ফুল আনলাম আমি।লোক দিয়ে রুম সাজালাম আমি।তুই ফাও ফাও এতো টাকা নিবি মানে?থাপড়িয়ে তোর গাল লাল করে দিমু।বেয়াদপ।’
‘ তুমি একটা আস্তো শয়তান ভাইয়া। আমি না তোমাদের একমাত্র বোন?আমার সাথে এমন করতে পারবে? আর রইলো ফুল টুল এসব আনার কথা।তুমি কি আমায় কিছু বলেছো?যে আমি তোমাকে হেল্প করবো?কিছুই তো জানাও নি?ভাবিকে রুমে দিতে এসে না দেখলাম যে ফুল দিয়ে রুম সাজানো।’

ইফতি ধমকে উঠলো, ‘ ঘোড়ার ডিম না।বোন হয়েছিস তো কি?টাকার কথা আসলে সেটা অন্য।মাত্র দশ পাবি তুই।আর যদি ঘ্যানঘ্যানানি করোস তাহলে এই টাকাও দিবো না। যা ভাগ এখান থেকে ছকিনার মা।’
নূর রেগেমেগে বলে, ‘ খবরদার আমাকে ছকিনার মা এইসব ফাউল নামে একদম ডাকবে না ভাইয়া।’
ইফতি ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলে, ‘ একটা টাকাও দিবো না তোকে।দশ বাদ।’
‘ এই নাহ নাহ।আমি আর কিছু বলবো না।’

সাথে সাথে নূর মুখ গোমড়া করে নিলো।ইফতি এইবার হাসি মুখে জায়ানের দিকে তাকিয়ে বলে, ‘ কি ভাই?টাকা বের করো! এইভাবে দাঁড়িয়ে থাকলে তো হবে না!’
জায়ান ভ্রু উচিঁয়ে বলে, ‘ টাকা দিবো কেন?আমার রুমে আমি যাবো টাকা কেন দিবো?’
‘ কারন আজ তোমার রুমে স্পেশাল একজন আছে।আর তার কাছে যেতে হলে এন্ট্রি ফি লাগবে।’

জায়ান তপ্ত শ্বাস ফেললো।অহেতুক এদের সাথে কথা বাড়িয়ে লাভ নেই।সে এমনিতেও জানতো এমন কিছু হবে।তাই বিনা বাক্যে নিজের কার্ডটা বের করে ইফতিকে দিয়ে দিলো।বললো, ‘ ক্যাশ নেই আমার কাছে।তাই কার্ড দিলাম।কিন্তু সাবধান ফিফটি’র উপরে একটা পয়সা বেশি খরচ করলে আমি তোর থেকে তার ডাবল আদায় করবো।মানে পঞ্চাশ হাজারের ডাবল এক লক্ষ টাকা।বুঝেছিস?সো বি কেয়ারফুল।এখন সর সামনে থেকে দুটোই।’
ইফতি আর নূর মনের সুখে কার্ড নিয়ে চলে গেলো।

আরাবী ঠায় শক্ত হয়ে বসে আছে বারান্দার বিছানায়।ও অনেক আগেই জায়ানের গলার আওয়াজ পেয়ে এখানে এসে বসে রয়েছে।কেমন যেন লাগছে।অন্যরকম একটা অনুভূতি। দমবন্ধকর পরিবেশ। এলোমেলো লাগছে নিজেকে।ভয়,লজ্জায় আড়ষ্ট হয়ে গুটিশুটি মেরে বসে রয়েছে সে।
এদিকে রুমে প্রবেশ করে জায়ান অবাক হলো বেশ।পরক্ষণে ভাই বোনের পাগলামি দেখে হালকা হাসলো। রুমের চারদিকে চোখ বুলিয়ে কাঙ্খিত ব্যাক্তিটিকে না দেখতে পেরে কপাল কুচঁকালো।হঠাৎ বারান্দার দরজার দিকে তাকাতেই লাল কাপড়ের কিছু অংশ দৃষ্যমান হলো জায়ানের।সাথে সাথে হাসলো।মেয়েটা লজ্জায় এইভাবে বারান্দায় গিয়ে বসে আছে।নিস্তব্ধে সেদিকে এগিয়ে গেলো জায়ান।

আরাবী হাতদুটো কচলাচ্ছে।দৃষ্টি নত করা।হঠাৎ নিজের সম্মুখে কারো অস্থিত্ব অনুভব করতে পেরে। গলা শুকিয়ে গেলো।এটা যে জায়ান সে খুব ভালো করে জানে আরাবী।তবে সাহস হলো না একবার লোকটাকে দেখার। কেটে গেলো অনেকক্ষণ।আশ্চর্য লোকটা কিছু করছে না কেন?নড়ছেও না কিছু বলছেও নাহ। আরাবী আর অপেক্ষা করলো না।ধীরে ধীরে আঁখিপল্লবজোড়া উপরের দিকে উঠিয়ে তাকালো।তাকাতেই দৃষ্টি নীবদ্ধ হলো জায়ানের পানে।লোকটা কেমন থম মেরে দাঁড়িয়ে আছে।অন্যরকম একদৃষ্টিতে একধ্যানে তার দিকেই তাকিয়ে আছে।সেই দৃষ্টিতে আরাবী দেখতে পারছে একরাশ মুগ্ধতা,কাউকে আকুলভাবে কাছে পাওয়ার আকাঙ্খা আর সবচেয়ে বড় সেটা হলো একসমুদ্র ভালোবাসা। লজ্জায় রক্তিম আভা ছড়িয়ে পরলো আরাবীর মুখশ্রীতে। হালকা আওয়াজে বললো, ‘ আসসালামু আলাইকুম! ‘

জায়ান কেমন যেন চমকে উঠলো আরাবীর কথায়।এতোক্ষন সে তো ছিলো ধ্যানমগ্ন হয়ে পরেছিলো ওর কাঠগোলাপের পানে।লাল টুকটুকে বেনারসি শাড়িতে তার কাঠগোলাপকে এক অনন্য রূপসী লাগছিলো। সে কি চোখ ঝলসানো সৌন্দর্য মেয়েটার।রূপ যেন সারা অঙ্গ চুইয়ে চুইয়ে পরছে।
জায়ান দুকদম এগিয়ে গেলো আরাবীর আরো কাছে। বললো, ‘ ওয়া আলাইকুম আসসালাম! এখানে কি করছো?আমি তোমাকে খুঁজেছিলাম।’

আরাবী কিছুই বললো না আমতা আমতা কর‍তে লাগলো। জায়ান কাল বিলম্ব না করে হাত গলিয়ে দিলো আরাবীর কোমড়ে। কাঙ্খিত ব্যাক্তির হিমশীতল হাতের স্পর্শে কেঁপে উঠলো আরাবী। শিরশির করে উঠলো পায়ের তলা।নখ ডাবিয়ে দেওয়ার প্রয়াস চালালো ফ্লোরে।চোখ খিচে বন্ধ করে নিলো। হঠাৎ নিজের চোখের সেই বদ্ধ চোখের পাতায় নরম কিছুর আদুরে স্পর্শ পেলো।আরাবী যে লজ্জায় জুবুথুবু হয়ে নিজেই আরেকটু গুটিয়ে গেলো জায়ানের কাছে। সরে আসলো জায়ান। পরমুহূর্তেই পিটপিট করে চোখ খুলে আরাবী। জায়ান আরাবীর সেই রক্তিম মুখশ্রীর দিক মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে রইলো।আড়ষ্ট কন্ঠে বলে উঠলো, ‘ এ কোন বিধ্বংসী রূপে নিজেকে সাঁজিয়েছো আরাবী।তোমার এই ধ্বংসাত্মক সৌন্দর্য যে আমার সর্বনাষ করে দিচ্ছে।আ..আমার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে আরাবী।নিজেকে সামলানো বড্ড কঠিন হয়ে পরছে।’

আরাবীর জবাব নেই।কিইবা জবাব দিবে ও? লজ্জায় কথাগুলো কন্ঠনালিতে এসে আটকে আছে।জায়ান আরাবীর হাতটা আলতো করে ধরে নিজের বুকের বা-পাশে রাখলো। ঘোর লাগা কন্ঠে বললো, ‘ অনুভব করছো আরাবী?বুঝতে পারছো আমি কতোটা ডেস্পারেট হয়ে আছি?আমার ভীতরে যে অনুভূতির ঝড় হচ্ছে অনুভব করছো?’

আরাবী সাথে সাথে জায়ানের বুকে নিজেকে সপে দিলো। লম্বা,চওড়া পিঠটা নরম হাতের দ্বারা আকঁড়ে ধরলো।জায়ান নিজেও ওর বলিষ্ট হাতজোড়া দিয়ে আগলে নিজের স্ত্রীকে।মুখ নামিয়ে চুমু খেলোআরাবীর কানের পাতায় ।কেঁপে উঠলো আরাবী।খামছে ধরলো প্রিয় মানুষটার পিঠ।জায়ান হাত বাড়িয়ে মাথার ওড়নাটা ফেলে দিলো।একটানে লম্বা,দীঘলকালো কেশের খোপাটা খুলে দিলো।ঝরঝর করে একগোছা চুল ছড়িয়ে পরলো আরাবীর সারা পিঠময়।জায়ান মুখ গুজলো আরাবীর ঘাড়ের মাঝে।চুলের ঘ্রাণ টেনে নিচ্ছে নিজের নাসিকারন্দ্রের মাধ্যমে।জায়ান থেমে থেমে বলে উঠলো, ‘ তুমি অসুস্থ আরাবী।আমি জানি।কিন্তু আমার মনকে আমি দমাতে পারছি না।অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রনে আনতে পারছি না।সামলাতে ব্যর্থ হচ্ছি আমি নিজেকে।আমি কি করবো আরাবী? এ কি করলে তুমি আমার।কেন নিজেকে এমন রূপে সাঁজালে?’

আরাবী বুঝলো লোকটা অনেক ডেস্পারেট হয়ে আছে তার জন্যে।এও বুঝতে পারছে যে লোকটা ওকে চাইছে।এখনি,একমুহূর্তেই নিজের করে চাইছে।আরাবী নিজেও চায়।খুব করে চায়।আজ নিজেকে বিলিয়ে দিতে চায় লোকটার কাছে। আপন করে নিতে চায় লোকটাকে।আজ দুজন দুজনকে ভালোবাসবে সবটা উজাড় করে তা চায় আরাবী। আরাবী এইবার হাত উচিঁয়ে জায়ানের গলা জড়িয়ে ধরলো দুহাতে।আরাবীর চোখের কোণে অশ্রুরা ভীড় জমিয়েছে।ধরা গলায় বলে উঠলো আরাবী, ‘ আমি তো আপনারই।তবে দুরুত্ব কিসের? আমরা এখন স্বামি স্ত্রী। আমি চাই আপনি আমায় ভালোবাসুন।আদির স্পর্শ আমাকে যতোটা কষ্ট দিয়েছে।আপনার স্পর্শ দিয়ে আমাকে তার থেকে বেশি ভালোবাসুন।আপনার পবিত্র স্পর্শ দিয়ে আদির পাপিষ্ট স্পর্শগুলো মুছে দিন।ভুলিয়ে দিন আমাকে আজকের এই জঘন্য ঘটনা।’

সাথে সাথে তপ্ত অশ্রুগুলো গাল গড়িয়ে পরলো আরাবীর। আচমকা জায়ান আরাবীকে কোলে তুলে ফেলে।আরাবী দুহাতে ভালোভাবে আঁকড়ে ধরে জায়ানকে।জায়ান মুখ নামিয়ে ঠোঁট ছাপ বসায় ওই সিক্তচোখে।জায়ান সরে আসতেই আরাবী মাথা ঠেকায় জায়ানের বুকে।জায়ান আরাবীকে নিয়ে রুমে এসে ফুলে ভরা বিছানায় আলতো করে সুইয়ে দেই। মোহময় চোখে আরাবীর দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে হাত লাগায় পাঞ্জাবির বোতামে।

পাঞ্জাবি খুলে ছুড়ে ফেলে দেয় অদূরে।গায়ের গেঞ্জিটাও রাখলো না। খানিক বাদেই নিজের বলিষ্ট দেহটার ভড় ছেড়ে দেয় আরাবীর নরম দেহের উপর। লজ্জায় চোখ নামিয়ে নিলো আরাবী। জায়ান চুমু গেলো আরাবীর কপালে।অত্যন্ত আদরে।আবেশে চোখ বন্ধ করলো আরাবী। জায়ান ঠোঁটের স্পর্শ দিলো রক্তিম গালে, লাল হয়ে নাকে নোসপিনটার উপরে,চিবুকে।জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিচ্ছে আরাবী।জায়ানের স্পর্শে এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে আরাবী।জায়ান আরাবীর কানে কানে বললো, ‘ দোষ তোমার কোন্ট্রোললেস তুমি আমায় করে দিলে।এখন আর চাইলেও আমি নিজেকে দমিয়ে রাখতে পারবো না।’

একটু থামলো জায়ান ফের আদুরে স্বরে বুলি আওড়ালো, ‘বৃষ্টি যেভাবে কাঠগোলাপকে ছুঁয়ে দেয়। আমিও তোমাকে সেভাবেই কাছে টেনে নেব আরাবী।আজ আদুরে স্পর্শে প্রতিটা অঙ্গ ছুঁইয়ে দিবো আমি।’
আরাবী মুখে কিছু বললো না তবে মনে মনে ভাবলো, আমি নিজেই তো চাইছি আপনাকে।দমিয়ে রাখবো কেন?

বৃষ্টি ভেজা কাঠগোলাপ পর্ব ৩৪

আরাবী চোখ মেলে জায়ানের দিকে তাকালো।ওই নিভু নিভু চোখের দিকে একপলক তাকিয়ে সাথে সাথে আরাবীর অধরে অধর মিলিয়ে দিলো জায়ান।কেঁপে উঠে জায়ানকে খামছে ধরলো আরাবী। উন্মাদ হলো জায়ান।গাঢ় আদরে ভড়িয়ে দিলো আরাবীকে।আরাবীও আজ নিজের সর্বষ বিলিয়ে দিলো স্বামির কাছে।আর ওদের এই উজাড় করা ভালোবাসার সাক্ষি হয়ে রইলো এক বৃষিস্নাত প্রকৃতি।আর সেই বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা কাঠগোপাপ গাছটি সাথে গাছে ফুটে উঠা নিদারুণ সৌন্দর্যের অধিকারি #বৃষ্টি_ভেজা_কাঠগোলাপ টি।

বৃষ্টি ভেজা কাঠগোলাপ পর্ব ৩৬