মনের কোণে পর্ব ৩০

মনের কোণে পর্ব ৩০
আফনান লারা

নাবিল নাছোড়বান্দা, সে কিছুতেই লিখিকে ছাড়া ঐ বাসায় পা রাখবেনা।
এদিকে জনাব অনাবিল আরও বড় নাছোড় বান্দা।তিনি লিখিকে ধমকে ওর বাবা,ভাইয়ার ঠিকানা নিয়ে নিছেন।তারপর তার লোকদের লাগিয়ে দিয়েছেন কাজে।আজ নাবিলকে না নিয়ে তিনি কোথাও যাবেননা।
লিখির মন ভীষণ খারাপ,ভাইয়া একবার এখানে আসলে ওকে না নিয়ে যাবেননা,এদিকে নাবিলের বাবা তো নিলে ওকে একাই নিবেন। হাঁপিয়ে গিয়ে তিনি একটু বাইরে মামার বাসার দিকে গেছেন পানি আর কিছু খাবার খেতে আর তার লোকদের পাহারা দিতে রেখে গেছেন এখানে।নাবিল আর লিখি দুজনেই ফ্লোরে বসে ছিল।

‘লিখি?’
‘হুম’
‘ কান্না পাচ্ছে তোমার?’
‘হুম’
‘বাবা আজ আলাদা করেই ছাড়বে।ফোন নাম্বারটা দাও তো’
‘কেনো?’
‘যাতে কল করতে পারি’
‘আমাকে ফেলে চলে যাবেন?’
‘আমি বাবার সাথে শেষ অবধি লড়াই করবো তোমাকে নিয়ে যাওয়ার।কিন্তু তোমার পরিবারোর কেউ এসে গেলে আমার হাতে আর কিছু থাকবেনা’
নাবিলের কথা শুনে লিখির মনে হলো সব শেষ।মুখটা ছোট করে সে নাবিলের হাত শক্ত করে ধরলো।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

আধঘণ্টা পর অনাবিল ফিরে আসলেন আবার তবে সাথে নিয়ে এসেছেন ওসমানকেও।ওকে কোথায় পেলেন তাই ভেবে লিখি অবাক হলো।
ওসমান বিয়ের কথা জেনে গিয়ে এসেই এক থাপ্পড় মে/রে দিয়েছে লিখির গালে।তারপর শুধু বলেছে ডিভোর্স লেটার এক মাস পর পাঠাবে।
লিখি হাত ছাড়িয়ে নাবিলকে ধরে বললো,’আমি যাব না।কিছু তো করুন’
নাবিলের সামনে বাবার ভাড়া করা লোকের অভাব নেই।সে মুখটা ছোট করে লিখির হাত ছেড়ে বললো,’আমি তোমায় নিয়ে যেতে আসবো লিখি।ততকাল তুমি…..’!
লিখির বড্ড অভিমান হলো।চোখের কোণা মুছে ভাইয়ার সাথে চলে গেলো সে।
ওর পরিারের কেউই বিয়েটা মানেনি, সঙ্গে সঙ্গে বলে দিল ডিভোর্সের কথা।
নাবিলের তো শুধু বাবা মানেননা।
যেতে যেতে নাবিলের দিকে একবারও তাকায়নি লিখি।তার বিশ্বাস ছিল নাবিল ওকে যেতে দেবেনা কিন্তু নাবিল হঠাৎ মত বদলে নেবে এটা কে জানতো।
নাবিল মন খারাপ করে বসে আছে নিচে।বাবা জয়ের হাসি দিয়ে বললেন গিয়ে গাড়ীতে বসতে,বাসায় মেহমানরা অপেক্ষা করছে।

লিখি গিয়ে তাদের গাড়ীতে বসলো।বুকটা কষ্টে ফেটে যাচ্ছে।খুব কষ্ট হচ্ছে নাবিলের জন্য।সে বাসায় ফিরে যাচ্ছে ওখানে তার সাথে কি হবে সেটা না ভেবে সে ভাবছে নাবিলের কথা।নাবিলকে আর একটিবার দেখার,আর একটা দিন ওর সাথে একই ছাদের নিচে কাটানোর ইচ্ছা তার ভেতরটা জ্বালিয়ে খাচ্ছিলো।
ভাইয়া ড্রাইভারের সাথে বসে বাবাকে কল করে জানিয়ে দিলেন লিখিকে নিয়ে আসছে তারা সবাই।
লিখি জানালায় হাত রেখে চেয়ে আছে ডান পাশে।বাইরে নাবিলকে এক ঝলক দেখা গেলো।মাথা নিচু করে কারে উঠছিল সে।
ওকে শেষবার দেখে লিখির চেখে পানির বাঁধ মানলোনা আর।কেঁদেই ফেললো।ভাইয়া শুনতে পেয়ে তাচ্ছিল্য করে বললেন,’ওসব দুদিনের প্রেম মিটে যাবে’

লিখিদের বাড়ি বরিশালের পশ্চিম কাউনিয়াতে।
পথ শেষ হচ্ছিলোনা।ক্লান্ত হয়ে শেষে লিখি ঘুমিয়ে পড়েছিল গাড়ীতেই।স্বপ্নে সে দেখলো নাবিলের কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছে সে।অথচ যখন চোখ মেললো চোখের সামনে ফাঁকা সিট আর সামনে ভাইয়াকে দেখে তার স্বপ্নের আর কোনো অস্তিত্ব রইলোনা।ফোনটা খুঁজে চেয়ে রইলো কেবল।নাবিলের নাম্বার তার নেওয়া হয়নি।কল লগ থেকে সেভ করেও লাভ নেই,কারণ ঐ সিমটা নাবিল ফেলে দিয়েছিল,বাবুর থেকে যে সিম নতুন নিয়েছিল সেটার নাম্বার লিখির কাছে নেই।
রাগ হলো ভীষণ।কেনোই বা সে নাবিলের কলের অপেক্ষা করছে??নাবিল কিই বা করবে!যদি করতেই পারতো তবে আজই করে ফেলতে পারতো।সকালটা এত সুন্দর হয়ে শেষটা এত বিদঘুটে হবে তা যদি জানতো সে!!!
পথ শেষই হয়না,লিখির চোখে বিরক্তির ছাপ,দুইটা বছর পরিবার থেকে দূরে থেকে একা বেঁচে থাকা শিখে গিয়েছিল সে।
আর কয়েকটাদিন ভালবাসার কিছু মূহুর্তে ডুব দিয়ে এখন আবারও সেই বিচ্ছিরি জীবনে প্রবেশ।

নাবিল বাসায় ফিরে নিজের রুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে ফেলেছে।মেহমানদের কারোর সাথে কোনো কথা বললোনা।মা বারবার দরজার দিকে ফিরে লিখির অপেক্ষা করলেন।জনাব অনাবিল লিখিকে মেনে নেবেননা এটা তিনি জানতেন কিন্তু মেনে না নেওয়া এভাবে ফলাবেন তা তাঁর জানা ছিলনা।খুব জানতে ইচ্ছে হলো মেয়েটা কোথায়।
ফোন ও নেই যে বাবুকে কল করে বৃত্তান্ত জানবেন।
তাই কৌতূহল মেটাতে নাবিলের রুমের কাছে এসে দরজার কড়া নেড়ে জানতে চাইলেন লিখি কোথায়।
নাবিল কিছু বললোনা।অনাবিল পাশে দাঁড়িয়ে বললেন,’তুমি চেনো তাহলে?
তুমিও জানতে সব অথচ বলোনি,তা কি হলো লুকিয়ে?আমি একদিনে সব জেনেই গেলাম’
‘একটা বিয়ের সম্পর্ককে মুখের কথায় ভাঙ্গা যায়না।’
‘যে কাজ মুখের কথায় হয়না,সে কাজ টাকায় হবে।
ওরা যদি াবিলকে মেনেও নেয় তারপরেও আমি তাদের মেনে নিবনা।তার জন্য যত টাকা ঢালতে হয় ঢালবো’

মিসেস সামিয়া বেশি কথা বললেন না।অনাবিলের সাথে মাঝে মাঝে তার কথা বলতে বিরক্ত লাগে।একটা বদমেজাজি লোক তিনি,নিজে যা সঠিক মনে করেন সেটাই পূরণ করেন।নিজেকে তিনি অনেককিছু ভাবেন।আজ লিখির জন্য তার খুব মায়া হলো।মেয়েটার এই পরিণতি তিনি আশা করেননি।

নাবিল রুমে এসে তার আলমারি তে রাখা টাকা গুলো সব পকেটে পুরলো তারপর ড্রয়ার খুলে একটা সিম নিয়ে ফোনে ঢোকালো।বাবুর কাছে যে সিমের নাম্বার আছে ওটা খুলে ফেলেছে,বাবা নাহলে সেটাও ধরে ফেলবে।তারপর নিজের কটা টিশার্ট ব্যাগে পুরে জানালার দিকে তাকালো।থাই গ্লাস,ভাঙলেই গ্রিল।গ্রিল কাটতে হবে তারপর। ঐ ঝামেলা পোহানো যাবেনা। আচ্ছা,বাবা কখন ঘুমাবে?ঘুমালেও তার লোকেরা তো ঘুমাবেনা।রীতিমত বন্দি করে রাখবে সেটা ওর জানা আছে।

বাসায় ফেরার পর মা বাবা খুব খুশি হলেন লিখিকে পেয়ে।এতই খুশি যে তারা ওর বিয়ের ব্যাপারটা মুখেই আনেননি।যেন সে অবিবাহিত। লিখিকে পেয়ে বাসায় যেন অনুষ্ঠান চালু হয়ে গেছে।লিখির মন পড়ে আছে ঢাকাশহরে।নাবিল কি করছে সেটা ভাবছে শুধু।মন খারাপ করে নিজের রুমে এসে ফোনে চার্জ লাগালো সবার আগে।বারবার করে চেক করলো কল এসেছে কিনা কোনো।কল তো আসেইনি,তাই ওর খুব করে রাগ হলো নাবিলের ওপর। ফোন রেখে বালিশে মাথা রেখে শুতেই তখন মা আসলো হাতে খাবার নিয়ে।

‘মা আমার খিধে নেই’
‘এতদিন পর আমার কাছে ফিরলি,কোথায় কোলে ঢুকে বসে থাকবি,তা না করে দূরে দূরে থাকছিস!’
‘মা আমার কিছু ভাল লাগছেনা,আমাকে একা থাকতে দাও’
মা কাছে এসে ফিসফিস করে বললেন,’ছেলেটা দেখতে কেমন?’
লিখি মাথা তুলে বললো,’তোমায় কে জানালো?’
‘সবাই জানে।ছেলেরা তো মনে হয় আমাদের মতন বড়লোক’
‘তাতে আর কি হলো?দু পক্ষ রাজিনা’
‘আরে সেটা কদিন পর ঠিক হয়ে যাবে।ছেলে দেখতে কেমন ওটা বল।ছবি আছে তোর কাছে?’
‘নেই’
‘তো দেখতে কেমন সেটা তো বলবি’
‘সুন্দর আছে,আমার চেয়ে একটু বেশি। আর লম্বাও ঠিকঠাক।’
‘তাহলে আর কি চাই!!!সুন্দর জামাই পেয়ে গোছি।তোর বাবা,ভাইয়া মেনে নিলেই হলো’

লিখি মন খারাপ করে ফোনের দিকে তাকালো।নাবিলের তো কল আর আসলোই না।
‘বুদ্ধি করে যদি বাবুর নাম্বারটা নিতাম তাহলে ওনার নাম্বারটা পেয়ে যেতাম অনায়াসেই।
আচ্ছা আমি কেন ওনার কলের অপেক্ষা করছি?উনি তো ভাল না।উনি আমায় একা চলে আসতে দিলেন।একবার আটকালেন ও না,
নিজের বাবার কাছে হার মানলেন,উনি একটা স্বার্থপর!!’
‘কিরে বিড়বিড় করে কাকে বকিস?’
‘ওনাকে’
‘কেন?সে কি করলো?’
‘কিছুনা,বাদ দাও।বাবা কোথায়?’
‘তোর বাবার স্বভাব তো জানিস!!তোর জন্য ছেলে দেখতেছে’
‘আবার???’

গভীর রাত।নাবিল বসে আছে বরিশাল যাবার অপেক্ষাতে।এদিকে একটা কল যে করবে ফোনে ব্যালেন্স ও নেই।বাবা চোখে চোখে রাখছে।
ইমারজেন্সি ব্যালেন্স ও নিয়ে রাখা।একেবারে বা/জে যে সিম ছিল ওটাই পুরেছে সে।
রাত দশটা বাজার পর মা দরজায় কড়া নেড়ে বললেন খাবার খেয়ে নিতে।নাবিল বললো সে খাবেনা।
দরজা খোলার ভয়ে পেটে খিধে থাকার পরেও সে কিছু খায়নি।
বাইরে বাবার লোকেরা সব পাহারা দিচ্ছে।বের হতে হলে ঐ মেহমান থাকতে থাকতে বের হতে হবে।একা বের হতে গেলেই ধরা খাবে।বাবা এগারোটার সময় গোসল করতে যান।ঐসময়টা কাজে লাগাতে হবে।মায়ের সামনে পড়লেও সমস্যা নেই কিন্তু বাবার সামনে পড়া যাবেনা কিছুতেই।

লিখি না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েছে।নাবিলকে জ্বালানো,তার দুষ্টুমিতে ভয়ে পালিয়ে বেড়ানো, সব কিছুর স্মৃতি তাকে এই রাতে এসে ধরেছে।এই ব্যাথা থেকে সে তখনই মুক্তি পাবে যখন নাবিলের একটা কল আসবে।কিন্তু এসব তার কেবলই ভুল ধারণা।নাবিলের কল আসেনি।তবে কি নাবিল ভুলে গেলো সব?

ভোরবেলা অনেক সময় দুঃসংবাদ নিয়ে আসে,, কখনও বা সুসংবাদ নিয়ে আসে।
লিখি সারারাত ভাবনাতে কাটিয়ে সেই ভোরের দিকে এসে একটু ঘুমোলো।ফোনে চার্জ হয়ে আছে ১০০%।
কতবার যে চেক করেছিল কল আসে কিনা।
৫টা বাজার দশ মিনিট পর তার ফোন অবশেষে বাজলো।তখন আবার সে গভীর ঘুমে ছিল।ফোন বাজতে বাজতে বন্ধ হয়ে গেলো তবে তার ঘুম ভাঙ্গলো তাও চোখ মেলে একবার চেয়ে আবার শুয়ে পড়েছে।ফোন আবার বাজলো এরপর তার হুশ এসেছে যে এটা নাবিলের কল হতে পারে।চট করে লাফিয়ে উঠে বসে রিসিভ করলো জলদি।
‘কল ধরতে এতক্ষণ লাগে?মেইন স্টেশনে আছি।তোমার বাসা কোন জায়গায়?’
‘আমি তো বরিশালের’
‘ওটাই!আমি বরিশালের স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছি তোমার বাসা কোন জায়গায় সেটা বলো’
‘কাউনিয়া,পশ্চিম কাউনিয়া ‘
নাবিল কল কেটে সিনএজি থামালো।
লিখি ফোনের দিকে চেয়ে হা করে তাকিয়ে বসে বসে ভাবছে এসব সত্যি নাকি মিথ্যা??সত্যি কি নাবিল আসছে?

চোখ ডলে ছুটে ওয়াশরুমে ঢুকে চোখ- মুখে পানি দিয়ে নিজের হুশ ফিরিয়ে এনে ফোন চেক করে দেখলো সত্যি তাই।পাক্কা এক মিনিট সে নাবিলের সাথেই কথা বলেছে,সত্যি কল এসেছিল।
চোখ মুখ মুছে ছুটে সে রুম থেকে বের হলো।
বাবা -মা নিজের রুমে,ভাইয়া তার রুমে।সে ধীরে ধীরে গেটের দিকে গেলো।দারোয়ান ওকে থামিয়ে বললো,’ম্যাডাম আপনাকে বের হতে দিতে মানা আছে।বাইরে যেতে পারবেননা ‘

‘এ্যা?কোন বাড়ি?রুহুল্যার বাড়ি?’
‘রুহুল্যা কে আবার?আপনি রুহুল আমিনকে চেনেন?’
‘রুহুল্যা কে হয় তোমার?’
‘শ্বশুর’
‘হৌর??’
‘হৌর কি আবার!!আপনি যাবেন নাকি যাবেননা?’
‘১০০টাহা দিবেন তাহলে হ্যার বাড়িত যামু’
‘কিসব বলতেছে কিছু বুঝতেছিনা,
লিখিকে আবার ফোন দিতে হবে মনে হয়’
‘হরমু আনে কি?’
‘এটা মানে কি?হ্যালো লিখি!!হরমু আনে কি মানে কি???’
লিখি কানে ফোন ধরে দারোয়ানের দিকে মুখ ফুলিয়ে তাকিয়ে ছিল।নাবিলের প্রশ্ন শুনে বললো,’হরমু আনে কি মানে হলো তারপর কি করবো’
‘ওহ।তারপর আমাকে রুহুল আমিনের বাসায় নিয়ে যাবেন।১০০টাকাই দিবো’

লিখি ফোন রেখে বললো,’এই বাড়ির জামাই আসতেছে,গেট খোলেন মামা’
‘আপনার বিয়ে হয়ে গেছে?’
‘হ্যাঁ,গেট খোলেন।তাকে বলবেন উপরের তলায় আসতে। আপনার যেহেতু আমাকে বিশ্বাস হচ্ছেনা আমি বাসায় চলে যাচ্ছি’
লিখি চলে গেলো।ওর কথামতন দারোয়ান গেট খুলে অপেক্ষা করতে লাগছে নাবিলের আসার।সিএনজি আলা মনমত বরিশালের ভাষায় কথা বলে যাচ্ছে।আর নাবিল গালে হাত দিয়ে ভাবছে ঐ বাসায় ঢুকতে দিবে কিনা
বাসাটা বেশি দূরে ছিলনা।অল্প সময় লেগেছে আসতে।কাউনিয়াতে নেমে রুহুল আমিনের বাসা দেখে ও ইয়া বড় হা করে তাকালো।এত বড় বাড়ির মেয়ে লিখি!!!বাবা এই বাড়ি দেখলে লিখির সাথে জীবনেও ডিভোর্স করাতোনা।’

মনের কোণে পর্ব ২৯

নাবিল সিএনজিআলাকে টাকা দিয়ে দেখলো দারোয়ান ওকে সালাম দিয়ে ভেতরে যেতে বলতেছে।সে ব্যাগ কাঁধে ঝুলিয়ে পা রাখলো ভেতরে।দু পা এগোতেই দোতলা থেকে লিখি ছুটে এসে জড়িয়ে ধরলো ওকে।পরশু রাতের নাবিলের ধরার চেয়েও শক্ত করে ধরেছে সে।নাবিলের চোখ বন্ধ হয়ে গেছে।লিখির গায়ের উষ্ণতা ওর এত বড় জার্নি লাঘব করে দিলো।

মনের কোণে পর্ব ৩১