মন তুমি ছুঁয়ে দেখো না পর্ব ২৯

মন তুমি ছুঁয়ে দেখো না পর্ব ২৯
সাদিয়া জাহান উম্মি

ভার্সিটির পিছনের সেই নদীর পাড়ে এসে বসে আছে অথৈ প্রায় দশমিনিট যাবত।কিন্তু রুদ্রিকের কোনো খবর নেই।অথৈ বসে বসে অপেক্ষা করছে।কারন মাঝে মাঝেই রুদ্রিক এরকম পাঁচ দশ মিনিট দেরি করে আসে।অথৈ আনমনে রুদ্রিককে নিয়ে ভাবছে।তার সবসময় রুদ্রিককে নিয়ে ভাবতে ভালোলাগে।

লোকটা যেন তার সবটা গ্রাস করে নিয়েছে।চব্বিশ ঘন্টা যেন মন মস্তিষ্কে এই লোকটারই বসবাস।মুচঁকি হেসে ঘড়ির দিকে তাকালো অথৈ। পনেরো হুয়ে গিয়েছে।এখনও আসছে না কেন লোকটা?বিরক্ত হয়ে অথৈ মোবাইল অন করে রুদ্রিককে কল দিতে যাবে ঠিক তখনই ওর মোবাইলে একটা মেসেজ আছে।আর মেসেজটা রুদ্রিকই করেছে।অথৈ চট জলদি মেসেজটা ওপেন করল।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

‘I’m waiting in my car. Come quickly. I need you badly.’
মেসেজটা পড়ে অথৈয়ের বুক কেঁপে উঠল।কি হলো লোকটার?কোনো বিপদ হলো না তো?নানান চিন্তা নিয়ে অথৈ ছুট লাগালো রুদ্রিকের কাছে যাওয়ার জন্যে।রুদ্রিকের গাড়িটা কার পার্কিং সাইটে অন্যসব পার্ক করা গাড়িগুলোর থেকে বেশ দূরে।

সে বাইক নিয়েই এসেছিলো।সকালের ওই ঘটনার পর ওর বাড়ির একজন ড্রাইভারকে ফোন করে গাড়ি নিয়ে আসতে বলেছিলো।আর সে আসতেই ওর বাইকটা তাকে দিয়ে দিয়েছিলো।কারন তার প্লানিং অথৈ নিয়ে দূরে কোথাও যেতে।একান্ত কিছু সময় কাটাতে।নিরিবিলি কোন জায়গায়।আর তার মন মেজাজ ভালো না এমনিতেই।বাইক চালানোর মতো মুডও ওর নেই।এতে রিস্ক হয়ে যেতে পারে।আর অথৈকে নিয়ে কোনোপ্রকার রিস্ক রুদ্রিক নিবে না।

অন্যদিকে অথৈ পার্কিং এরিয়ায় এসে এদিক সেদিক তাকাচ্ছে।সে মূলত রুদ্রিকের গাড়ি চিনে না।সবসময় রুদ্রিককে বাইক নিয়েই আসতে দেখেছে।কিন্তু আজ হঠাৎ লোকটার কি হলো কে জানে?গাড়ি দিয়ে কি করবে এই লোক? এর মধ্যে ওর ফোনে আবারও মেসেজ আসে।

‘Look to your right side. There is a gray car. I am in that car.’
মেসেজটা পড়ে অথৈ সেই কথামতো ওর ডানদিকে তাকালো।সেখানে একটা ধূসর রঙের গাড়ি আছে।অথৈ ধীর পায়ে এগিয়ে গেলো সেই গাড়ির দিকে।গাড়ির কাছে আসতেই গাড়ির দরজা খুলে গেলো।অথৈ ভীতরে উঁকি দিয়ে দেখে রুদ্রিক কপালের উপর হাত রেখে ড্রায়ভিং সিটে মাথা এলিয়ে শুয়ে আছে।রুদ্রিককে এমন অবস্থায় দেখে অথৈয়ের কপালে চিন্তার রেখা দেখা দিলো।হঠাৎ রুদ্রিকের গম্ভীর স্বর ভেসে আসল,

‘ what are you looking for?just get in the car quickly.’
অথৈ হকচকিয়ে গেল।তারপর তাড়াতাড়ি করে গাড়িতে ঢুকে বসে পরল।অথৈ গাড়িতে এসে বসতেই রুদ্রিক কপালের উপর থেকে হাত সরালো।তারপর সোজা হয়ে বসে একেবারে অথৈয়ের দিকে ঘুরে বসল।রুদ্রিকের চোখের দিকে তাকাতেই অথৈয়ের বুকটা ধ্বক করে উঠল।কারন রুদ্রিকের চোখজোড়া অসম্ভব লাল হয়ে আছে।অথৈ ঘাবড়ে গেলো।চটজলদি হাত ছোঁয়ালো রুদ্রিকের গালে।উদ্বিগ্ন কণ্ঠে বলল,’ কি হয়েছে আপনার?এমন দেখাচ্ছে কেন আপনাকে?’

রুদ্রিকের কোনো জবাব নেই। সে এক দৃষ্টিতে অথৈকে দেখছে।রুদ্রিকের কোনো জবাব না পেয়ে অথৈ আবারও বলে উঠে,’ কি হয়েছে?কিছু বলছেন না কেন?মাথা ব্যথা করছে আপনার?বেশি খারাপ …..!’

বাকিটুক আর বলতে পারল না অথৈ। তার আগেই রুদ্রিক অথৈয়ের বাহু ধরে টেনে নিজের বুকের মাঝে নিয়ে আসে।নিজের সবটুকু শক্তি দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ওকে।এদিকে রুদ্রিকের এমন কান্ডে চমকে যায় অথৈ। পরক্ষণে রুদ্রিকের এমন শক্ত করে জড়িয়ে ধরার কারনে হাশফাশ করে উঠে।এতো জোড়ে চেপে ধরায় সে শ্বাস নিতে পারছে না।অথৈ বহু কষ্টে রুদ্রিকের পিঠে আলতো করে দু হাত রাখে।আটকে আসা স্বরে বলে,’ রু..রুদ্রিক! একটু আস্তে ধ..ধরুন।শ্বাস নিতে পারছি না আমি।’

অথৈয়ের কথায় রুদ্রিক একটু ঢিলে করে ওর হাতের বাঁধন। তবে অতোটাও না।এভাবে কিছু সময় থেকে ছেড়ে দেয় অথৈকে।রুদ্রিকের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে অথৈ জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিতে লাগল। বুকে হাত চেপে শ্বাস নিতে নিতে অথৈ বলে,’ এভাবে কেউ জড়িয়ে ধরে?যেভাবে চেপে ধরেছিলেন মনে হচ্ছিলো আমার হাড্ডি-গুড্ডি ভেঙে গুড়ো হয়ে যাচ্ছিলো।আর একটু হলে আমি উপরে চলে যেতাম।’

রুদ্রিক গাড়ি স্টার্ট করতে করতে অথৈয়ের কথার জবাবে বলে,’ অভ্যাস করে নেও।কারন ভবিষ্যতেও আমি এইভাবেই জড়িয়ে ধরব।আর যখন আমার কাছে একেবারে নিয়ে আসব।তখন তো কোনো টাইম টেবিল মেইনটেইন করব না।চব্বিশ ঘন্টাই তোমাকে আমার সাথে লেপ্টে থাকতে হবে।’

অথৈয়ের গাল,কান গরম হয়ে উঠল রুদ্রিকের এহেন কথায়।দুগালে হাত চেপে ধরল অথৈ। মিনমিন স্বরে বলে,’ অসভ্য লোক।যতোসব বেঁফাস কথাবার্তা তার।এদিকে আমি চিন্তায় মরে যাচ্ছিলাম।আর সে আছে শুধু অসভ্য কথাবার্তা বলার ধান্দায়।’

রুদ্রিক আচমকা অথৈয়ের কাছে চলে আসল।এতে অথৈ চমকে গিয়ে গাড়ির জানালার সাথে মিশে গেল।বলে উঠল,’ ক…কি করছেন?’
রুদ্রিক অতি সাবধানে অথৈয়ের সিট বেল্ট বেঁধে দিলো।তারপর সরে আসল অথৈয়ের কাছ থেকে।ভ্রু-কুচকে অথৈয়ের উদ্দেশ্যে বলে,’ মাথায় শুধু আমাকে নিয়ে এসব উল্টাপাল্টা ভাবতে থাকো তাই নাহ?’
পরক্ষণে চোখে মুখে দুষ্টুমির হাসি ফুটে উঠে ওর।বলে,’ অবশ্য তুমি চাইলে এতোক্ষণে তুমি যা কল্পনা করছিলে।তা আমি এখন করতে পারি।আই হেভ নো প্রবলেম।’

অথৈয়ের চোখ বড়ো বড়ো হয়ে গেল রুদ্রিকের কথায়।এই লোক তো গিরগিটির থেকেও বেশি নিজের রূপ বদলায়।
অথৈ সোজা হয়ে বসল।তারপর মুখ ফুলিয়ে বলে,’ আমি কোনো কিছুই ভাবছি না।আপনার ভীতরেই সব সমস্যা।আমাকে শুধু শুধু দোষ দিবেন না।মাথায় শুধু তার অসভ্য চিন্তা ভাবনা ঘুরে শুধু।’

অথৈয়ের মুখ ফোলানো দেখে রুদ্রিক নিঃশব্দে হাসে।এই মেয়েটা তার আশেপাশে থাকলেই তার সকল দুশ্চিন্তা, সকল ক্লান্তি,মন খারাপ নিঃশেষ হয়ে যায়।চারদিকে শুধু ভালোলাগার প্রজাপতিরা ডানা মেলে উড়তে থাকে।মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরলেই মনে হয় যেন সে পৃথিবীর সকল সুখ পেয়ে গিয়েছে ও।

এদিকে রুদ্রিকের ঠোঁটের কোণে ফুটে উঠা সেই হাসি দেখে অথৈর ঠোঁটেও হাসি ফুটে উঠল।একটু আগে কি হয়েছিলো লোকটার সে জানে না।কিন্তু রুদ্রিকের ওমন রূপ দেখে তার অন্তর আত্মা কেঁপে উঠেছিলো।তবে এখন ভালো লাগছে।এইযে লোকটার ঠোঁটে হাসি। এটা দেখে যে অথৈয়ের কি যে শান্তি লাগছে তা ও নিজেই শুধু জানে।

ড্রায়ভিংয়ের মাঝেই হঠাৎ রুদ্রিক হাত বাড়িয়ে দিলো অথৈয়ের দিকে।অথৈ হেসে বিনাবাক্যে রুদ্রিকের হাতে হাত রাখল।রুদ্রিক অথৈয়ের হাত নিজের হাতের মাঝে শক্ত করে ধরল।এইভাবেই পুরোটা পথ পারি দিলো তারা।রুদ্রিক গাড়ি থামালো একটা নির্জন রাস্তায়।রাস্তার দুধারে শুধু বড়ো বড়ো করে মেহগনির গাছের বাগান।রুদ্রিক নেমে আসল।তারপর ঘুরে গিয়ে অথৈকেও নামতে সাহায্য করল নামতে।অথৈ শুধু চারদিকে তাকাচ্ছে।এরকম জায়গা যে আছে অথৈ জানত না।রুদ্রিক অথৈয়ের হাত নিজের হাতের মাঝে নিয়ে বলে,’ চলো আমার সাথে।’

অথৈ কোনো প্রশ্ন করল না।হাটতে লাগল রুদ্রিকের সাথে।রুদ্রিক অথৈকে নিয়ে বামপাশের জঙলে নেমে পরল।এরকম বাগানে প্রবেশ করতে অথৈয়ের মনে প্রশ্নেরা উঁকিঝুকি দিতে থাকে।এই বাগানের ভীতর দিয়ে এই লোক যাচ্ছেটা কোথায়?মনের কৌতুহল দমাতে না পেরে অথৈ প্রশ্ন করে বসে,’ কোথায় যাচ্ছেন আপনি?এমন জঙলের মাঝে যাচ্ছেন কেন?’
রুদ্রিক হাটতে হাটতেই গম্ভীর গলায় বলে,’ কেন ভয় লাগছে আমার সাথে যেতে?তোমাকে নিয়ে গিয়ে গভীর জঙলে কিছু উল্টাপাল্টা করে। তোমাকে মেরে ফেলি। এমন কিছুর ভয় পাচ্ছ?’

রুদ্রিকের এমন কথা শুনে অথৈ আচমকা তার চলন্ত পা জোড়া থামিয়ে দেয়।অথৈয়ের হাত ধরে হাটছিলো রুদ্রিক।অথৈ থেমে যাওয়ায় তাকেও থামতে হয়।পিছনে ফিরে তাকাতেই রুদ্রিক থমকে যায়। অথৈয়ের চোখজোড়া ছলছল করছে।রুদ্রিক যে এমন একটা কথা এইভাবে তাকে বলবে সে স্বপ্নেও ভাবেনি।সে তো এমনেই জানতে চেয়েছিলো যে তারা কোথায় যাচ্ছে।রুদ্রিক তা উলটো বুঝল।

কিসব বলে বসল।যা অথৈ স্বপ্নেও কখনও ভাববে না।অথৈ অনেক কষ্ট পেয়েছে।এতোদিনে রুদ্রিক তাকে এই চিনল?কই সে তো রুদ্রিককে নিয়ে এসব ভাবে না।ও তো চোখ বন্ধ করে লোকটাকে বিশ্বাস করে।নিজের থেকেও বেশি বিশ্বাস করে।অথৈ অনেক কষ্ট পেয়েছে রুদ্রিকের এমন কথায়।অথৈয়ের চোখ থেকে একফোটা অশ্রু গড়িয়ে পরে।যা দেখে রুদ্রিক অস্থির হয়ে উঠে।অথৈ কাছে এসে ওর গালে দু হাতে আলতো করে স্পর্শ করল।ব্যাকুল কণ্ঠে বলে,’ কি হয়েছে অথৈ? কাঁদছ কেন?হাটতে নিয়ে কি ব্যথা পেয়েছ?’

অথৈ ঝটকা মেরে রুদ্রিকের হাত দুটো সরিয়ে দিলো।এতে অবাক হয়ে যায় রুদ্রিক।অথৈ সেদিকে পাত্তা দিলো না।
ও চোখের পানিটুক মুছে নিলো।তারপর বিনাবাক্যে উলটো দিকে পা বাড়ালো চলে যাবার জন্যে।এতে যেন ঘাবড়ে গেল রুদ্রিক।দৌড়ে গিয়ে অথৈয়ের বাহু আকঁড়ে ধরল।এতে যেন অথৈ আরও ক্ষেপে গেল।রাগি চোখে তাকাল রুদ্রিকের দিকে।রাগি গলায় বলে,’ আমার হাত ছাড়ুন।’

‘ কিন্তু কে কি হয়েছে?’
‘ আমি আপনার সাথে কোথাও যাবো না।’
‘ আরে কারনটা তো বলবে আমায়?’

অথৈ রুদ্রিকের হাত সরিয়ে দিলো ওর বাহু থেকে।পর পর চেঁচিয়ে উঠে,’ আপনি কিভাবে পারলেন ওমন জঘন্য কথাগুলো বলতে।আমাকে নিয়ে এসবই ভাবেন আপনি।এতোদিনে এই চিনলেন আমায়?আপনি ভাবলেন কিভাবে আপনি আমাকে এখানে এনেছেন তাই আমি ওইসব চিন্তা ভাবনা করব।আরেহ আপনি যদি আপনার সাথে আমাকে জাগান্নামেও নিয়ে যেতেন তাও আমি আপনার সাথে চোখ বন্ধ করে চলে যেতাম।

আমি তো শুধু এমনিতেই জিজ্ঞেস করেছিলাম।আর আপনি আমাকে নিয়ে কিসব ভেবে নিলেন।আর এক মিনিটও আমি আপনার সাথে থাকব না।আমি এক্ষুণি বাড়ি চলে যাবো।’

কথাগুলো বলে শেষ করে অথৈ হনহনিয়ে হাটা ধরল। সে চলে যাবে।এদিকে রুদ্রিক নিজেই হতভম্ব হয়ে পরেছে।ও নিজেও ওইভাবে মিন করে কথাগুলো বলেনি।যে অথৈ কষ্ট পাবে।সে এমনিতেই মজা করে বলে ফেলেছে।কিন্তু অথৈ যে এতোটা কষ্ট পাবে যে ও কেঁদে দিবে।

এটা ভাবেনি।নাহ,মেয়েটা কষ্ট পেয়েছে।রুদ্রিক দৌড়ে চলে গেল অথৈয়ের কাছে।কোনোকিছু না বলে অথৈকে পিছন দিক থেকেই পাঁজাকোলে তুলে নেয়।আচমকা রুদ্রিক এমন করায় অথৈ ভয়ে মৃদ্যু চিৎকার করে উঠে।পর পর বুঝতে পারে এটা রুদ্রিকের কাজ।সাথে সাথে রুদ্রিকের কোলে ছটফট শুরু করে দেয়।চিল্লাপাল্লা শুরু করে দেয়,’ নামান আমাকে।নামা বলছি অসভ্য লোক।আমায় একদম স্পর্শ করবেন না।’

রুদ্রিকের কোনো ভাবান্তার নেই।সে একমনে অথৈকে কোলে নিয়ে হেটে যাচ্ছে।এদিকে ছটফট করে,চিল্লাপাল্লা করে অথৈ ক্লান্ত হয়ে চুপ করে রইলো রুদ্রিকের কোলে।এই বজ্জাত লোক যে তাকে আর কোল থেকে নামাবে না সে ভালোই বুঝতে পেরেছে।তবে ওর নিজেরও বেশ ভালো লাগছে রুদ্রিকের কোলে উঠে।এই প্রথমবার লোকটা ওকে কোলে তুলেছে। অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে।

মন তুমি ছুঁয়ে দেখো না পর্ব ২৮

অথৈ আনমনে আরও লেপ্টে গেল।রুদ্রিকের প্রসস্ত বুকে নিজেকে গুটিয়ে নিলো।রুদ্রিকের উষ্ণতায় নিজেকে সপে দিতে চাইছে যেমন।রুদ্রিক হাসল অথৈয়ের কান্ডে।মেয়েটা তার সাথে বেশিক্ষণ রাগ করে থাকতেই পারে না।সেটা সে নিজেও জানে না।এভাবে অনেকটা পথ হাটার পর রুদ্রিক জঙলের মাঝে হঠাৎ থেমে গেল।পর পর অথৈকে থামিয়ে দিলো।রুদ্রিকের কোল থেকে নেমে অথৈ সামনে তাকাতেই ওর চোখজোড়া বড়ো বড়ো হয়ে যায়।চোখে মুখে অবাকের রেশ তার।

মন তুমি ছুঁয়ে দেখো না পর্ব ৩০

1 COMMENT

Comments are closed.