মন পাথরে হঠাৎ ঝড় সিজন ২ গল্পের লিঙ্ক || Tahrim Muntahana

মন পাথরে হঠাৎ ঝড় সিজন ২ পর্ব ১
Tahrim Muntahana

শিতল আবহাওয়া, ঝিরঝির বাতাসের হালকা শব্দ চারদিক ছড়িয়ে আছে; একটু কান পাতলেই যেন শব্দ কানে বেজে উঠছে। বাতাসের হালকা শব্দটাই শ্রবণ করছিলো রামিয়া। নদীর ধারে বসে আছে। অপেক্ষা! কারো অপেক্ষার প্রহর গুনছে। একটুও খারাপ লাগছে না তার; বিরক্তিতে কপালে ভাজ ও পড়ছে না বরং অপেক্ষার প্রহর গুলো অত‍্যন্ত মিষ্টি লাগছে।

সময় যত গড়াচ্ছে নিজের আজগুবি ভাবনায় সে ততই বিভোর হয়ে পড়ছে। ঠোঁটের কোণে লাজুক হাসি। কাউকে নিয়ে কল্পনা সাজাতে ব‍্যস্ত। যে কল্পনায় রাজ‍্যে সুখপাখিকে এক‍দম নিজের বশে করে নিয়েছে। আর সুখপাখি তার বশ‍্যতা মেনে মুখ থেকে হাসি সরাতেই দিচ্ছে না। রাজ‍্যের সুখ যেন তার হাসিতেই উপচে পড়ছে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

বাড়ি যাওয়ার তাড়া নেই আজ। কি যেন ভেবে উঠে দাড়ালো সে। পায়ের জুতোটা খুলে হাতে নিয়ে নদীর দিকে অগ্রসর হলো। উদ্দেশ‍্য পানি তে পা ভিজাবে। আগে কখনোই তার এরকম কোনো ইচ্ছা হয় নি কিন্তু আজ! ভিষণ ইচ্ছে করছে শিতল আবহাওয়ায় পানির শিতল স্পর্শ নিতে। মনটা আঁকুবাঁকু করছে প্রিয়জনের কাঁধে মাথা রেখে পরিবেশ টা উপভোগ করতে। কিন্তু যাকে নিয়ে সে এত কল্পনায় ব‍্যস্ত তার আসার নাম ই নেই! তবুও কেন রামিয়া রাগ করতে পারছে না! কেন হালকা অভিমান মনের মধ‍্যে গেঁথে যাচ্ছে! রামিয়া মুচকি হেসে পানিতে পা ভিজিয়ে বসলো। কিছুক্ষণ নদীর অপরপাশের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো,

আপনার আমার দুরত্ব কতটুকু রাফিন? এই যে নদীর এপার ওপারের মাঝে যত দুরত্ব ততটুকু? উমম হামম! আমি কেন আপনাকে একদম নিজের পাশে দেখতে পাই; কেন দুরত্ব গুলো চোখে পড়ে না। কেন আপনার অবহেলাতেও চোখে পানি আসে না? কেন আপনার অবহেলাও ভালোবাসা ধরে নিই? কেন এত কল্পনা সাজাই? আচ্ছা আমি কি আবেগে ভাসছি? আবেগ কি এতটা গাঢ় হয়? যে গাঢ়তায় আপনি বিনা আর কিছু নাই!

হুহু করে উঠে বুকটা। দীর্ঘশ্বাসের সাথে ভেতরকার হাহাকার টাও রামিয়া দূরে ছুড়ে মারে। কঠোর সমাজ তাকে অনেক আগেই বড় করে দিয়েছে। এখন তো গম্ভীর করে দেওয়ার কারণ ও এসে গেছে। উঠে দাড়ায় রামিয়া। খোলা চোখে যতদূর দেখা যায় দেখে নেয়। নাহ, মানুষটার কোনো অস্তিত্ব নেই। ভেতর থেকে আরেকটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে। জুতোটা হাতে নিয়ে হাটতে শুরু করে।

পুরো তিনটা ঘন্টা অপেক্ষা করেছে সে। আসেনি মানুষটা! শুধু মাত্র দশটা মিনিট সময় চেয়েছিলো। রামিয়া চলে যেতেই আড়াল থেকে বের হয়ে আসে রাফিন। মুখটা তার আঁধারে ঢাকা। তীব্র অপরাধবোধে ভেতরটা যেন খুবলে খুবলে খাচ্ছে ! সে রামিয়ার আগে এসেই লুকিয়ে আছে। সামনে যাওয়ার সাহস পায়নি। আদর কে পাওয়ার লোভে উন্মাদ হয়ে গিয়েছিলো সে। তাই তো বাচ্চা একটা মেয়েকে নিজের অস‍ৎ পরিকল্পনার গুটি হতে হয়েছে। কিন্তু এতে তার কেন কষ্ট হচ্ছে? মেয়েটার আঁধারে ঢাকা মুখটা কেন বুকের হাহাকার বাড়াচ্ছে। ভালো লাগছে না কিছু। সবকিছু বিষাদে ছেঁয়ে গেছে। কিছুটা ব্রেক দরকার। ভেবেই বাড়ির দিকে রওনা হলো রাফিন। প্রকৃতির মাঝে থাকলে হয়তো খারাপ পরিস্থিতি ভুলে থাকতে পারবে!

অফিসের মিটিং রুমে বসে আছে আদর। চোখ মুখে গাম্ভীর্যতা বিরাজ করছে। ইদানিং ব্যবসায়ের কাজ অনেকটা পিছিয়ে গেছে। তার কারণ ই খুঁজে পাচ্ছে না আদর। ভালোয় তো চলছিলো সবকিছু। হঠাৎ করেই কিছু প্রতিযোগি বের হয়েছে। তাদের সাথে সমান‌ তালে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা করছে। পুরাতন‌ ব্যবসায় হলে তেমন কোনো সমস্যা হতো না। নতুন‌ বলেই ব্যবসায় ঠিক ভাবে দাঁড় করাতে সক্ষম হচ্ছে না। কিভাবে কি করবে এসব ভাবনার মাঝেই খট করে দরজা খোলার শব্দ হলো। নড়ে চড়ে বসল আদর। সে জানে এখন কে এসেছে। চোখটা হঠাৎ করেই ছলছল করে উঠলো তার। মানুষ টাকে কতদিন পর দেখবে। সেই যে না বলে চট্টগ্রাম চলে গেল, একটা সপ্তাহ খুঁজ নেই। না আছে ফোনে যোগাযোগ, না সে কারো কাছ থেকে কোনো খবর পেয়েছে। কত ফোন, কত ম্যাসেজ করেছে, অথচ লোকটার কোনো রেসপন্স ই পায় নি।

হৃদান মিটিং রুমে প্রবেশ করে সবাইকে এক নজর দেখে নেয়। কিছুক্ষণ নীরবে থেকে গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠে,
এভ্রিওয়ান, ইতোমধ্যে অফিসের সমস্যাগুলো আপনাদের কানে পৌঁছেছে।এখন আপনাদের করণীয় হলো উৎপাদনের পর যখন বিপণন কার্য শুরু হবে তখন থেকে সবকিছুর উপর বিশেষ নজর রাখা। আমি ম্যানেজারকে সব বলে দিবো সে আপনাদের কাজ কি তা বুঝিয়ে দিবে।আশা রাখছি আপনারা এই সময়ে আমাদের পাশে থাকবেন!

হৃদানের কথায় সবাই মাথা নাড়িয়ে সায় জানিয়ে বের হয়ে যায়। এতো কথার মাঝে আদর একবারও মাথা তোলে নি।অভিমান হয়েছে যে তার। হৃদান এইবার আদরের দিকে তাকায়। মুচকি হাসে, তাকে যে এইবার প্রিয়জনের অভিমানের সম্মুখীন হতে হবে। যদিও সে প্রস্তুতি নিয়েই এসেছে। তবুও হালকা ভয় লাগছে। আদরের সামনে হাটু মুড়িয়ে বসতেই আদর হৃদানের গলা জড়িয়ে কেঁদে দেয়।

চমকে যায় হৃদান। এতোটা হবে সে আশা করে নি। তার অনুপস্থিতিতে আদর এতোটা ভেঙ্গে পড়বে সে ভাবতেও পারে নি। মনটা খারাপ হয়ে রায় তার। তারই বা কি করার ছিলো। নেটওয়ার্কের বাইরে ছিলো যে সে। চাইলেও প্রেয়সীর মিষ্টি কণ্ঠটা শুনতে পারে নি। তারও যে কষ্ট হচ্ছিলো। হৃদান আদরকে কিছু বলে না।কাঁদুক একটু। আদর কিচ্ছুক্ষন কেঁদে কান্নাভেজা কণ্ঠে বলে উঠলো-

কোথায় ছিলেন আপনি?জানেন কতটা কষ্ট হয়েছে আমার।একটা খবরও পাই নি। এতো নি* ষ্ঠুর কেনো আপনি? আমার পাথর মনে ঝড় তুলে দিয়ে দূরে দূরে থাকছেন!
আদরের কথা শুনে মুচকি হাসে হৃদান।চুপচাপ শুনে নেয় প্রেয়সীর হৃদয় ব্যকুল কথাগুলো। নিজের প্রতি ভালোবাসার মানুষটার উতলা হওয়া যে ভালো লাগে।আলাদা শান্তি পাওয়া যায়। হৃদান আদরের চোখের পানি মুছে দিয়ে কপালে গাঢ় চুমু খায়।মুচকি হেসে বলে উঠে,

আমার না কেমন লাগছে। এই যেমন ধরো হাত পা ঝিমঝিম করছে। বুকটা চিনচিন করছে। মাথা ভনভন করছে। আর সবথেকে বেশি কি করছে জানো?মনটা খুব আনচান করছে। এই রোগের একমাত্র ঔষধ তোমার ঠোঁট।
আদর অবাক হয়ে হৃদানের কথা শুনছিলো।শেষের কথাটা শুনেই খপ করে হাত দিয়ে ঠোঁট ঢেকে নেয়। এই লোককে দিয়ে বিশ্বাস নেই। যখন তখন হামলা করতে পারে। আদরের কাজে হৃদান ঘর কাপিয়ে হেসে দেয়। সে শুধু চেয়েছিলো আদরের মাইন্ড চেঞ্জ করতে। সেটা সে পেরেছে। হৃদানের হাসিতে আদরও হেসে দেয়। এক সপ্তাহের কষ্ট যেনো এক নিমিষেই হাওয়া। ভালোবাসা সুন্দর!

হৃদযা কে ভার্সিটিতে ড্রপ করতে এসছে মৃহান। কিছুদিন ধরে সে-ই হৃদযাকে দিয়ে যায়। সুবহাকে এক নজর দেখার সুযোগ কি হাতছাড়া করা যায়? তাই তো হাজার ব্যাস্ততাকে দূরে ঠেলে আজও এসেছে।কিন্তু আজ সে বরাবরের মতো খুশি হতে পারে নি। তার ভালোবাসাকে সে আজ অন্য কারো বাহুডোরে দেখছে। ভালো থাকে কি করে?

হৃদযাকে নামিয়ে দিয়ে যেই না সে চলে আসতে নিবে ঠিক তখনই হাজির হয় সুবাহ। মুখে তার এক চিলতে হাসি। একটা ছেলের হাত ধরে মৃহানের সামনে দাড়ায়।বুকটা ধ্বক করে উঠে মৃহানের। কিছু না বলেই ছুট লাগায় সে। ভ্রু কুচকে আসে সুবাহ’র। কি হলো এটা?সেতো মৃহানের সাথে কথা বলতে এসেছিলো । সে কি ভুল ভেবেছে সব? মৃহানের মনে আজ‌ও সে জায়গা করতে পারেনি? নাহলে এতটা ইগনোর কেন!
মুখটা কাচুমাচু করে ছেলেটার থেকে বিদায় নিয়ে ভিতরে ঢুকে পড় সে। সবটাই সে সময়ের উপর ছেড়ে দিয়েছে! সময়‌ই বলে দিবে ভুল না সঠিক!

অন্যদিকে অফিসে এসেও শান্ত হতে পারছে না মৃহান। শুধু বারবার হাত ধরার দৃশ্যটা চোখের সামনে ভাসছে তার।কোনো কাজেই মন বসাতে পারছে না।ভাইয়ের কেবিনে এসেছিলো হৃদান।এভাবে পাইচারি করতে দেখে অবাক হলো সে। অনেকদিন পর ভাইয়ের মুখে চিন্তার ছাপ দেখতে পাচ্ছে। এগিয়ে যেতেই মৃহান গড়গড় করে বলে উঠে-
হৃদ আই লাভ সুবাহ। আই রিয়েলি লাভ হার।

হৃদানের কোনো ভাবাবেগ হয় না। সে আগেই জানতো এটা। হাসি ফুটে উঠে তার ঠোঁটের কোণে। কিন্তু চিন্তিত হওয়ার কারণ বুঝতে পারছে না সে। তার জানা মতে সুবাহ’ও মৃহানকে ভালোবাসে! এত কিছু না ভেবে স্বাভাবিক কণ্ঠে বলে,
তা আমি আগেই জানতাম। পরের টা বলো। এতো বিচলিত কেনো?

মৃহান এবার একটু লজ্জা পেলো। বড় ভাই হয়ে ছোট ভাইকে এসব বলা যায় কিনা তাই ভাবছে। ভাইয়ের মনোভাব বুঝতে পেরে হৃদান হো হো করে হেসে দেয়;যেনো দারুন জোকস শুনেছে।হৃদানে হাসিতে মৃহান লজ্জায় মাথা নিচু করে নেয়। আরে এতো লজ্জা লাগছে কেনো আজকে?হৃদান এবার নিজের হাসি থামিয়ে মৃহানের দিকে গাড় দৃষ্টিতে তাকায়। মৃহান ইতস্তত করে বলে উঠে-

আজকে সুবহাকে দেখলাম একটা ছেলের হাত ধরে ভার্সিটির সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
হৃদান এবার নিজের হাসি কন্ট্রোল করতে পারে না। হো হো করে হেসে উঠে।
মৃহানের রাগ হয়। সে চিন্তায় মরে যাচ্ছে, তা দেখে তার ভাই হাসছে। এ ঘোর অন্যায়। হৃদানেরও উচিত ছিলো তার কথা শুনে চিন্তায় তারই মতো পাইচারি করা। তা না করে মজা নিচ্ছে! মৃহান তেড়ে এসে কিছু বলতে নিবে তার আগেই হৃদান হাত দিয়ে থামিয়ে দেয়। কিঞ্চিৎ হেসে বলে ওঠে-

লাইক সিরিয়াসলি ভাইয়া? সামান্য এই বিষয় নিয়ে তুই এতোটা চিন্তিত? টিনেজারদের মতো করছিস তুই? মানে উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা যেমন জিএফ/বিএফ এর আশেপাশে এমন কাউকে দেখলেই সন্দেহের বশে ব্রেকআপ পর্যন্ত করে দেয় তুই তো সেরকমই টেনশন করছিস। আচ্ছা এইসব বাদ দিলাম।ভালোবাসায় জেলাসি থাকবেই, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাই বলে তুই জিজ্ঞাসা করবি না যে কে হয় ছেলেটি? ভাই ও তো হতে পারে তাই না? সোজা কথা না বলে চলে আসলি? আমার ভাই হয়ে তুই এতটা গাধা কি করে হতে পারলি? আমার কাছে শিখ কিছু। দেখলি তো অল্প সময়েই কিভাবে পটিয়ে নিলাম!

শেষের কথা গুলো একটু ভাব নিয়ে বললো হৃদান। মৃহান ভাবনায় পড়ে যায়; তাই তো ভাই ও তো হতে পারে। আর সে তো জানে সুবাহ তাকে কতোটা ভালোবাসে তারপরেও এতো চিন্তা করছে কেন সে! আবার মন ভাবে, ‘সে তো ভাবতেই পারে ! হঠাৎ করে উদয় হওয়া ছেলেটা কে তার মাথাই আসতেই পারে! সবার কৌতূহল হবে এটাই স্বাভাবিক! ভালোবাসে অথচ জেলাস হবে না এটা হতে পারে না!’

শেষের কথা গুলো শুনে ভ্রু কুচঁকে বলে,
উমম আসছে চালাক! কিভাবে
আদা জল খেয়ে পিছনে পড়ছিলে দেখিনি মনে করছো! বাহাদুরি করতে এসো না। আমি চাইলে ২ বাচ্চা পয়দা করে ফেলতে পারতাম !

কে কার আগে উঠবে এই নিয়েই তর্ক করে যাচ্ছে দুই ভাই। এক সময় হৃদান হার মেনে নেয়! বড় ভাইয়ের এক্সপিরিয়েন্স বেশি সে জানে! বেশি লাগতে গেলেই বিপদ!হুট করে মৃহান বলে উঠে,
আমার না বিয়ে করতে ইচ্ছে করছে!

চমকে উঠে হৃদান। মৃহান যে সুবাহকে নিয়ে এতটা পসেসিভ হবে সে তো ভাবতেও পারেনি। শেষমেষ তার ভাই টার জীবনেও ভালোবাসা আসলো দ্বিতীয় বারের মতো। আর দেরি করবে না এবার। খুশিতে হৃদান ভাইকে ঝাপটে ধরে। অল্প কিছুক্ষণ পর কিছু না বলেই মৃহান কে টানতে টানতে নিয়ে গাড়িতে বসায় সে। মৃহান কে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই গাড়ি নিয়ে ছুট লাগায়…!

ক্লাস শেষ করে মাঠে বসে আছে হৃদযা!সুবাহ সকালে আসা ছেলেটার সাথে চলে গেছে! তাই সে একা অপেক্ষা করছে মৃহানের জন্য! কিন্তু মৃহানের আসার নাম’ ই নেই! ফোন দিতে যাবে তখনই চোখে পড়ে আতইয়াব কে। এক প্রকার দৌড়ে আসছে এদিকে! হৃদযা নিজেও দাঁড়িয়ে যায়! এভাবে হন্তদন্ত হয়ে আসছে কেনো?কিছু হলো না তো কারোর?চিন্তা গুলো মাথায় আসার আগেই আতইয়াব বলে ওঠে,

কারোর কিছু হয়নি! তোমার খা* রুচ ভাই বললো তুমি একা বসে আছো তাড়াতাড়ি আসতে।
হৃদান কে খা* রুচ ডাকায় হৃদযা চোখ গুলো ছোটছোট করে তাকায়। আতাইয়াবের বুঝতে পারে যে কি বলতে কি বলে ফেলেছে! ইতস্তত করে বলে ওঠে,

না মানে আসলে; আরে তোমার ভাই কে আমি খুব ভালোবাসি তো তাই নিকনেইম দিয়েছি। সুন্দর হয়েছে না? ওভাবে তাকিয়ে আছো কেন? আমি কি তোমাকে ভয় পাই নাকি?
আত‌ইয়াবকে ভয় পেতে দেখে হৃদযা দারুন মজা পেলো। আরেকটু ভয় দেখাতে গিয়ে যেই রাগি চোখে তাকাবে আত‌ইয়াবের মুখের দিকে তাকিয়ে হো হো করে হেসে দেয় সে। আত‌ইয়াব নিজেও হাসে। ভালোবাসার মানুষের কাছে একজন প্রেমিক কতটুকু বাধ্যগত হয় সে নিজকে না দেখলে বুঝতেই পারতো না।

হুট করেই আত‌ইয়াব হৃদযা কে কোলে নিয়ে হাটা শুরু করে। হৃদযার চোখ বিষ্ময়ে বড় বড় হয়ে যায়। এতোগুলা ছেলেমেয়ের সামনে কোলে নিয়েও লোকটার লজ্জাকরছে না! হৃদযার মনোভাব ধরতে পেরে আত‌ইয়াব স্বাভাবিক ভাবেই বলে ওঠে,

আমি জানি তোমার এখন খুব কোলে উঠতে ইচ্ছা হয়েছে। তাই তো লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে কোলে নিতে হলো।
হৃদযা কিছুক্ষণ ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আত‌ইয়াবের পিঠে দুম করে কিল বসিয়ে দেয়। আত‌ইয়াব পিঠ বেঁকিয়ে হালকা শব্দ করে উঠে। মোমের মতো মেয়েটার মারের জোর যে কতটা তা আতিয়ার বুঝে গেছে…

(আসসালামু আলাইকুম। ছোট হলেও কিছু করার নেই।‌ সমস্যার জন্ম টাইপিং করতে পারছি‌ না।
তবে রিগোলার গল্প দেওয়ার চেষ্টা করবো। মন্তব্য করবেন! শুকরিয়া!)

মন পাথরে হঠাৎ ঝড় সিজন ২ পর্ব ২