রাজনীতির রংমহল পর্ব ১১

রাজনীতির রংমহল পর্ব ১১
সিমরান মিমি

থমথমে সরদার বাড়ি।প্রত্যেকটা সদস্য আতংক ভরা মুখে তাকিয়ে আছে শামসুল সরদারের মুখের দিকে।সামনেই সোফার এক কোনায় নির্লিপ্ত ভাবে বসে আছে স্পর্শী।মাথাটা ভীষণ বিগড়ে আছে।বলা নেই,কওয়া নেই,হুট করে অধিকার দেখিয়ে টেনে সেই ঢাকা থেকে নিয়ে এসেছে। আশ্চর্য!

গত বছর বড় ভাই নামক এই লোক বাবার সাথে গিয়েছিলো সাভার,তাকে দেখতে।খুব ভালো করে চেনা তো দূর কখনো কথা বলেছে কি না তাও সন্দেহ।অথচ আজকে ক্যাম্পাসের সবার সামনে থেকে টেনে হিচড়ে নিয়ে এলো।নেহাত সম্পর্কে বড় ভাই হয় তাই অসম্মান করেনি। তাছাড়াও ওই মুহুর্তে স্পর্শী একটা ঘোরের মধ্যে ছিলো যার কারনে পুরো ঘটনা টাই বুঝে উঠতে পারেনি।গাড়িতে বসে বারকয়েক সোভাম সরদারের উদ্দেশ্যে জিজ্ঞেস করেছিলো-

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

ভাইয়া,আপনি আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন?আরে আমার হোস্টেলে যেতে হবে।
বিনিময়ে কঠিন দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলেছিলো-
তুমি কোনো কথাই বলবে না।তোমাকে স্বাধীনতা দিয়েছি তার মানে এই নয় যে সরদার বাড়ির সম্মান নিয়ে খেলবে।
অবাক হয়ে স্পর্শী বলেছিলো-

আশ্চর্য! আমি করেছি টা কি?
–যা বলার আব্বুর সামনে বলবে।আমার সামনে আর একটা কথাও উচ্চারণ করবে না,আমার মাথা গরম আছে।
ভেতরে ভেতরে রাগ লাগলেও নিজেকে সং যত করে নিয়েছিলো স্পর্শী।ভাবলো,যা হওয়ার সেটা দেখা যাবে বাড়িতে গিয়েই।এই আচমকা জন্ম নেওয়া দরদ তার একটুও সুবিধার লাগছে না।দাতে দাত চেপে চুপচাপ গাড়িতে বসে থাকে সে।ইতোমধ্যে বাড়িতে শামসুল সরদার’কে ফোন করে অপেক্ষা করতে বলে সোভাম।আর এটাও বলে যে সে স্পর্শীকে নিয়ে আসছে।

আজ এতোবছর পর বড় মেয়ে বাড়িতে আসছে এটা শুনে যতটা না খুশি হয়েছে তার থেকেও বেশী চিন্তিত হয়ে মুখটা থমথমে করে রেখে শামসুল সরদার। তার’ই থমথমে চেহারা থেকে বর্ধিত পরিবার’টির প্রত্যেকটা চরিত্রের মুখ পাংশুটে বর্ণ ধরে আছে।সবার মুখেই এক কথা। কি হলো?কি হলো?

বিশাল বড় বাড়ি।চার ভাইয়েরা স্ত্রী-সন্তান নিয়ে একসাথে থাকবে ভেবেই শামসুল মির্জার বাবা এই বিশাল বাড়ি’টি বানিয়েছিলেন।বসার ঘরের বড় সোফাটাতে বসে আছে সোভাম সহ চার চাচাতো ভাই।তার পাশের সোফায় বসে আছে তাদের’ই চার ছেলে।সোফার পেছনে পাংশুটে বর্ণ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বউয়েরা।তাদের পেছনেই উকি মেরে দাঁড়িয়ে আছে অষ্টাদশী আর্শিয়া।সে জানে স্পর্শীয়া নামের একটা বড় বোন আছে তার,কিন্তু কখনো নিজ চোখে দেখে নি।আজ প্রথমবার নীল শাড়ি জড়ানো বোনকে দেখে ভীষণ কষ্ট পেল।তার বোন তো কত্ত ফর্সা,দেখতে একদম বলিউডের নায়িকাদের মতো।অথচ সে কেন শ্যামলা হলো। বড় বোনের মতো সুন্দরী হলে তো পাভেল নিজে থেকেই পেছন পেছন ঘুরতো।ইশ,কেন যে একটু ফর্সা হলো না সে।

সবার নিরবতায় বেশ বিরক্ত হলো স্পর্শী।আশ্চর্য ব্যাপার স্যাপার!কেউ কিছু বলছে না, কিছু করছেও না অথচ সবার মাঝখানে ভাস্কর্যের মতো তাকে বসিয়ে রেখেছে।খুব ছোট বেলায় এখানে একবার এসেছিলো সে, তাও খালামনির সাথে।তারপর থেকে আর কেউ আনতে পারে নি।বাধ্য হয়ে বছরের মধ্যে এক বার- দুবার বাবা শামসুল সরদার দেখে আসতেন মেয়েকে।স্পর্শী তার কাছে আসতো না,আব্দুর রহমানের সাথে লেপ্টে থাকতো।

মেয়ের অবজ্ঞা দেখে ধীরে ধীরে শামসুল সরদার ও দেখা পাতলা করে দেয়।ফলে এই বাড়ির কারো সাথেই স্পর্শীর কোনো সম্পর্ক নেই।তাদের বাড়ির এক মেয়ে আছে,খালার বাসায় থাকে,জাবিতে পড়ে,নাম স্পর্শীয়া। ব্যাস!এটুকুই জানে তারা।এর বাইরে কেউইই জ্ঞাত নয়।

অচেনা পরিবেশে হাস-ফাস করছে স্পর্শী।তার মতো মেয়ে কিনা এমন চুপচাপ থাকতে পারে।শামসুল সরদার এক ধ্যাণে মেয়ের দিকে তাকিয়ে আছেন।শাড়ি পরিহিতা মেয়েকে যেন পরীর চাইতে কম লাগছে না তার কাছে।স্পর্শী পুনরায় বিরক্ত হলো।আশে-পাশে তাকিয়ে শামসুল সরদারের দিকে দৃষ্টি দিল।স্পষ্ট ভাবে বললো-
উনি(সোভাম কে উদ্দেশ্য করে)আমাকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে এনেছে কেন?

চকিতে স্পর্শীর দিকে তাকালো সোভাম। অন্য ভাইয়েরাও হতভম্ব হয়ে একে অপরের দিকে তাকাচ্ছে।শামসুল মির্জা অবাক হয়ে ছেলের দিকে তাকালেন।সোভামের এমন দৃষ্টি দেখে স্পর্শী তাকে বলল-
এমন ভাবে তাকাচ্ছেন কেন?আপনি’ই তো বললেন যা জিজ্ঞেস করার আব্বুকে করতে।
পুনরায় শামসুল সরদারের দিকে তাকিয়ে বললো-

কি হলো,আশ্চর্য তো!মানে কি এসবের?আমাকে হুট করে ক্যাম্পাস থেকে টেনে হিচড়ে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে।এখন আবার সবার মাঝখানে সং সাজিয়ে বসিয়ে পরিদর্শন করা হচ্ছে।সমস্যা’টা কি আমি তো সেটাই বুঝলাম না।হোস্টেলের কাউকে বলা হয় নি। সেখানে আমার অনুপস্থিতি পড়লে সোজা খালামনির কাছে ফোন যাবে।সবাই কতটা চিন্তায় থাকবে।তাছাড়াও রাতের বেলা হোস্টেল মিস দিয়ে আমার নামটা কালারিং করার কি আছে?
পুরো বাড়ির সমস্ত মহিলারা আতংকে নীল হয়ে গেছে।এভাবে কথা বলছে তাও আবার ছেলেদের সামনে,ভাবতেই তাদের আত্না বেরিয়ে যাচ্ছে।

–চুপ করো!অনেকক্ষণ ধরে তোমার লেকচার শুনছি।তুমি যে বাচাল সেটা আগের থেকেই জানতাম।তাই বলে সবার সামনে নিজের শিক্ষা টাকে তুলে ধরো না।
স্পর্শী ভ্রু কুচকে তাকালো সোভামের দিকে।পুনরায় সোভাম থমথমে কন্ঠে বলে উঠলো-
পরশ শিকদারের সাথে কি সম্পর্ক তোমার?
চমকালো স্পর্শী। বললো-

কে পরশ?
চোয়াল শক্ত হয়ে গেল সোভামের।সাথে শামসুল সরদার ও পরশের নাম শুনে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলেন।সোভাম বললো-
যার সাথে ঘুরছিলে তুমি।এর আগেও তুমি ওর সাথে দেখা করেছো।তুমি কি আমাদের মান সম্মান কিচ্ছু রাখবে না নাকি।
মস্তিষ্কে চাপ দিতেই ভ্রু সোজা হয় স্পর্শীর।সেতো নেশামশাই য়ের সাথে দেখা করেছে।তাহলে নেতামশাইয়ের নাম’ই হলো পরশ শিকদার।

স্পর্শীর নিরবতা দেখে শামসুল সরদার নড়েচড়ে বসলেন।যে মেয়েকে আদর করা হয়নি তাকে শাসন করাও অনুচিত। হিমশিম খেতে খেতে শান্ত কন্ঠে স্পর্শীকে বললেন-
তুমি আমাদের কাছে ছিলে না।অনেক বার আনতে যাওয়ার পরেও আসো নি।সেটা অবশ্য তোমার দোষ নয়,ছোটবেলা থেকেই ঢাকায় আছো।কিন্তু তাই বলে পরিবারের মান সম্মান ডোবানো কি তোমার উচিত হবে?

স্পর্শী বিরক্ত চোখে তাকালো।মান সম্মান ডুবিয়েছে মানে টা কি?এই মুহুর্তে বাবার জায়গায় অন্যকেউ থাকলে নির্ঘাত মুখ থেকে কিছু স্পেশাল মসলা বের করতো।সে কি নেতামশাই য়ের সাথে চুমু খেয়েছে নাকি ডেটে গিয়েছে।মাত্র কথাই তো বলেছে।এতে মান সম্মান গেল কোত্থেকে?মুখে বললো-
আমি মান সম্মান যাওয়ার মতো কোনো কাজ করি নি।নেতামশাই য়ের সাথে ব্যাস কথা বলেছি।
চেচিয়ে উঠলো সোভাম সরদার।দাতে দাত পিষিয়ে বললো-

কথা বলবে কেন তুমি?শত্রুর সাথে হেসে হেসে কথা বলে নিজের পরিবারকে বাইরের মানুষের কাছে হাসির পাত্র বানাচ্ছো।সবাই এরপর বলাবলি করবে সোভাম সরদারের বোন তারই বিরোধী পক্ষের নেতার সাথে প্রেমালাপ করে।
এতক্ষণে পুরো ব্যাপার’টা বুঝতে পারলো স্পর্শী।তাহলে এদের স্বার্থে ব্যাঘাত পড়েছে বলেই তাকে আনা হয়েছে।শামসুল সরদার বললেন-

স্পর্শীয়া মা,আমি জানি তুমি এই ব্যাপারে কিছুই জানতে না।এখন জেনেছো,আমি চাই এই ব্যাপারে তুমি আর না আগাও।রাহুলকে বিয়ে করতে চাও না বেশ।জোর করবো না।কিন্তু বাড়ির সম্মানের কথা মনে রেখো।
থেমে,
আর সোভাম তোমার বড় ভাই।ও তোমাকে শাসন করতেই পারে।মন খারাপ করো না।বুঝেছো?
স্পর্শী বেশ কিছুক্ষণ নিরব রইলো।তারপর অন্যদিকে তাকিয়ে বললো-
ভেবে দেখবো।

থেমে,
আমি এখন ঢাকায় যাবো।প্লিজ কাউকে বলুন নইলে রাত ন’টার বাস ধরে চলে যাবো।
আতকে উঠলো শামসুল সরদার।শীতল চাহনি দিয়ে মেয়ের দিকে তাকালেন।বললেন-
এতোদিন পর এসেছো।বাবার কাছে কয়েকটা দিন থাকবে না মা।এটা তো তোমার বাড়ি।
–নিজের বাড়িতে আসার মতো তো কোনো ঘটনা ঘটে নি।জোর জুলুম করে নিয়ে এসেছে।আমার কোনো জামাকাপড় পর্যন্ত আনা হয়নি। ভাগ্যিস ফোন টা হাতে ছিল।
কটমটে চোখে সোভামের দিকে তাকালেন শামসুল।
–আজ রাত টা কোনোমতে কাটাও। সকালে তোমার জিনিসপত্র আনার ব্যাবস্থা করছি।
থেমে,

আর্শি?
চমকে তাকালো আর্শিয়া।এতোক্ষণে সে বিশাল কল্পনার রাজ্যে ছিলো।বড় ভাইয়ের ডাক পেতেই ছোট চাচির আড়াল থেকে বেরোলো।ভীতসন্ত্রস্ত গলায় বললো-
জ্বী ভাইয়া।
–স্পর্শী কে রুমে নিয়ে যা।
আর্শি ত্রস্ত পায়ে এসে স্পর্শীর পাশে দাড়ালো।তারপর বললো-
চলুন আপু।
স্পর্শী আর্শির দিকে তাকালো।ভীষণ মিষ্টি দেখতে।প্রত্যেকটা কথার সাথে স্বভাবত’ই চোখের পলক ঝাপটাচ্ছে।হাসলো স্পর্শী।পরক্ষণেই বাবার দিকে তাকালো।বেশ মিল পাচ্ছে আর্শির সাথে।কোনোরুপ ভণিতা না করেই বললো-
তুমি কি হও আমার?

মলিন হাসলেন শামসুল।সোফা থেকে উঠে স্পর্শীর মাথায় হাত বোলালেন।বললেন-
আর্শিয়া তোমার ছোটবোন স্পর্শিয়া।
চোয়াল শক্ত হয়ে গেল স্পর্শির।মুখ দিয়ে ছোট্ট আওয়াজে বের করলো-
ওহ।
তার পর ত্রস্ত পায়ে উঠে গেল রুমের দিকে।আর্শি ও তার পেছন পেছন ছুটে গেল।

রাত সাড়ে ন’টা।পাভেল চিন্তিত মুখে ছুটতে ছুটতে বাড়িতে এলো।কাউকে কিছু না বলেই সরাসরি পরশের রুমের সামনে এলো।আলতো হাতে দরজা ঠেলতেই অবলোকন হলো ধু ধু অন্ধকার।রুমে সামান্য আলোর ছিটেফোটাও নেই।পাভেল দেয়াল হাতরে রুমের লাইট জ্বালালো।মুহুর্তেই চোখে পড়লো পরশকে।বিছানায় উপুর হয়ে মাথার উপর বালিশ রেখে শুয়ে আছে।চোখের উপর আলোর রেশ যেতেই বালিশ সরিয়ে মাথা উচু করে তাকালো।বিরক্তিকর শব্দে বললো-

উফফফ,পাভেল । লাইট অফ কর তো।মাথা যন্ত্রনায় ছিড়ে যাচ্ছে।বিরক্ত করিস না।
পাভেল হার মানলো না।ছুটে এসে বসলো ভাইয়ের পাছে।উত্তেজিত কন্ঠে বললো-
কি হয়েছে তোর?ঢাকা গেলি সেখান থেকে তো আর অফিসে এলি না।ফোন ও ধরছিস না।কি হয়েছে জ্বর এসেছে নাকি?
মাথার উপরে হাত রেখে নিরস কন্ঠে বললো-
নাহ,তেমন কিছু না।ব্যাস ভালো লাগছে না।

–তুই না বাবুর আম্মুর সাথে দেখা করতে গেছিলি।কি হয়েছে কতদুর এগিয়েছে কথাবার্তা।বিয়ে শাদির প্লান করেছিস আদোও।
পরশ চোখের উপর থেকে হাত সরালো।পাভেল অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো।রক্তজবার মতো লাল হয়ে ফুলে আছে চোখদুটো।উত্তেজিত কন্ঠে বললো-
সব ঠিকঠাক তো।

—স্পর্শীয়া সরদার বাড়ির মেয়ে।সোভামের বোন।
শান্ত কন্ঠে বললো পরশ।হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইলো পাভেল।মনে মনে ব্যাংক পার্টি গান চালাচ্ছে।ইচ্ছে হচ্ছে ভাইকে জড়িয়ে ধরে নাচতে।তাহলে সে একা না,তার ভাই ও একি গর্তে পা মচকেছে।হাহ!কোনো চিন্তা নেই এবার।দু ভাই গিয়ে দু বোনকে প্রয়োজনে তুলে এনে বিয়ে করবে।শান্তি!শান্তি!
মুখে বললো-

তাই বলে ভুলে যাবি?ভয় পেয়ে বসে থাকবি?
ভ্রু কুচকে তাকালো পরশ। আশ্চর্য তো!সে ভয় পাবে কেন?সে তো স্পর্শীর কথা ভেবে ব্যাথিত।এতো কষ্ট করে কোনোমতে রাজি করিয়েছে এখন পরিবারের বিরুদ্ধে কি আর স্পর্শী তার সাথে সম্পর্ক রাখবে।
–কি জ্বলছে এখানে?

বালিশের নিচ থেকে আলো আসতেই সেটা তুলে ফোন টা হাতে নিলো পাভেল।স্ক্রিনে বড় বড় করে লেখা “স্পর্শীয়া”। পরশকে বলতেই অবাক হয়ে ফোন হাতে নিল।এই বুঝি এখনই ফোন দিয়ে বলে ” নেতামশাই, আমি আমার ফ্যামিলির বিরুদ্ধে যেতে পারবো না।রিলেশন ক্যানসেল।
দুরুদুরু বুক নিয়ে পরশ ফোন রিসিভড করলো।সাথে সাথেই ওপাশ থেকে ঝাঝালো কন্ঠে ভেসে আসলো-
কিহহহ!ভালোবাসা শেষ?শত্রুর বাড়ির মেয়ে শুনেই প্রেম/ভালোবাসা সব পালিয়ে গেল।
থেমে দাতে দাত চেপে বললো-

টানা সাত বার ফোন দিয়েছি।একবারেও ধরেন নি কেন?শুনুন নেতামশাই,ব্রেকাপের কথা মাথায় আনলেও ওই মাথা গুড়ো করে দিব আমি।নাচতে নাচতে আপনিই প্রেম করতে এসেছিলেন,আমি না।এখন কোনোভাবে উলটো গান গাইলে ওই ঠ্যাং ভেঙে এমপি’গিরি ছুটিয়ে দিব।

রাজনীতির রংমহল পর্ব ১০

গল্পটা রোমান্টিক এবং থ্রিলারধর্মী হবে।কাহিনি কাহিনীর মতোই ধীরে ধীরে আগাবে।যদি ভেবে থাকেন,দু এক পর্বেই রহস্য শেষ হয়ে যাবে তাহলে বলবে সেগুড়ে বালি।সবে তো রহস্যের “র” ও শুরু হয় নি।ধৈর্য নিয়ে পড়তে থাকুন এবং গল্পটা উপভোগ করুন।ভালোবাসা

রাজনীতির রংমহল পর্ব ১২