রাজনীতির রংমহল পর্ব ১২

রাজনীতির রংমহল পর্ব ১২
সিমরান মিমি

কিহহহ!ভালোবাসা শেষ?শত্রুর বাড়ির মেয়ে শুনেই প্রেম/ভালোবাসা সব পালিয়ে গেল।
থেমে দাতে দাত চেপে বললো-
টানা সাত বার ফোন দিয়েছি।একবারেও ধরেন নি কেন?শুনুন নেতামশাই,ব্রেকাপের কথা মাথায় আনলেও ওই মাথা গুড়ো করে দিব আমি।নাচতে নাচতে আপনিই প্রেম করতে এসেছিলেন,আমি না।এখন কোনোভাবে উলটো গান গাইলে ওই ঠ্যাং ভেঙে এমপি’গিরি ছুটিয়ে দিব।

আচমকাই কল্পনাতীত,আশাতীত, অনাকাঙ্ক্ষিত হুমকিগুলো শুনে সাময়িক সময়ের জন্য বাকহারা হয়ে যায় পরশ।বুকের উপর থেকে যেন বিশাল ওজনের পাথর সরে গেছে।স্পিকার লাউডে থাকায় কথাগুলো পাভেল ও শুনতে পেয়েছে।শোনা মাত্রই ঢোক গিললো সে।মনের মধ্যে পুনরায় একই সুর ভেসে উঠলো-
ভাই একে সামলায় কিভাবে?

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

আর্শিয়ার কথা ভাবতেই নিজের প্রতি নিজের’ই গর্বে বুক ফুলে উঠলো।নাহ,তার টা ঠিক আছে।এভাবে কথা তো আর্শি জীবনেও বলবে না।উলটো পাভেল একটা ধমক দিলে কেদে কুটে বন্যা বইয়ে দিবে।ঠোট উল্টে বলবে-
পাভেল ভাই,আপনি এতো নিষ্ঠুর কেন?
পরশ ফোন হাতে বিছানা থেকে উঠলো।পাভেলের দিকে একবার তাকিয়ে গটগট পায়ে বেলকনিতে চলে গেল । তারপর বললো-

তুমি ফোন দিয়েছিলে খেয়াল করিনি। মাথা যন্ত্রণা করছিলো খুব।তাই ঘুমিয়েছিলাম।
স্পর্শীর খারাপ লাগলো।গলার স্বর নরম করে বললো-
সরি!
পরশ চমকালো।বিশ্বাস হচ্ছে না স্পর্শী তাকে সরি বলেছে।কিন্তু কারনটা কি?নিশ্চয়ই ভয়াবহ কোনো অপরাধ করেছে।নইলে তার মতো মেয়ের তো সরি বলার প্রশ্নেও আসে না।জিভ দিয়ে ঠোট দুটো ভিজিয়ে শান্ত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো-
সরি?কি জন্য?

স্পর্শী ছাদের রেলিং এ হেলান দিলো। তারপর বললো-
আপনি খুব বোকা নেতামশাই,জানেন তো?কি হতো বললে যে আপনি পিরোজপুরের এমপি।তাহলে তো আর আমি ওমন জোর করতাম না।প্রায় প্রতিদিন’ই তো ঢাকায় যেতে আসতে হয় আপনার। তার উপর একদিন ফ্রি হতেই আমি জোর করায় জার্নি করে চলে এলেন। এই জন্যই তো মাথা ব্যাথা হয়েছে।আমি তো একবার আসতেই আমার মাথা ঘুরছে।আমি ভেবেছিলাম আপনি হয়তো কাছাকাছিই থাকেন।

পরশের ভীষণ ভালো লাগলো। স্পর্শী তার কথা ভাবে।পুনরায় সোভামের কথা মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো।ত্রস্ত কন্ঠে বললো-
স্পর্শীয়া, সোভাম কি খুব বকেছে তোমায় আমার সাথে ছিলে বলে?
স্পর্শী ভ্রু কুচকে বললো-
স্পর্শী কারো বকার ধার ধারে না ওকে।
—এসব কি বলছো?তোমার৷ ভাই হয়তো, বকতেই পারেন।
পরশ শান্ত কন্ঠে বললো।মুহুর্তে’ই ওপাশ থেকে ঝাঝালো কন্ঠে শোনা গেল-
এহহহ ভাই না।সৎ ভাইইই।হঠাৎ করে অধিকার জন্ম নেওয়া ভাই।এর আগে তো খোজ নেওয়ার ও দরকার মনে করেনি।যেই স্বার্থে ব্যাঘাত পড়লো ওমনি গিয়ে নিয়ে আসলো।

পরশ চিন্তিত কন্ঠে বললো-
সৎ ভাই মানে?আর তুমি যে বললে তোমার পরিবার নেই,তাহলে এরা কারা?
স্পর্শী বিরক্ত কন্ঠে বললো-
ওসব আমি জানি না।আমি ছোটবেলা থেকে ঢাকায় ছিলাম খালামনির কাছে।এ বাড়ির কাউকে চিনিও না কে কি হয় পর্যন্ত।
পরশ ঠোট উচু করে বললো-

ওহহহহ এই জন্যই তো তোমাকে চিনি নি।এখানে থাকলে ঠিক চিনে নিতাম।
স্পর্শী ঝাঝালো কন্ঠে বললো-
তা চিনলে কি আর ধারও ধারতেন না আমার?ভুল হয়ে গেছে বুঝি নেতামশাই?
পরশ জিভ কাটল।বললো-

এমা এসব কি বলছো। এসব কিচ্ছু না।আর আমার বাবুর আম্মু যদি স্বয়ং নিজেও আমার বিপক্ষে ভোটে দাড়াতো তাও আমি তাকেই লাইন মারতাম। প্রয়োজনে তুলে এনে বিয়ে করতাম।ইনফ্যাক্ট এখনো তাই করবো।তোমার পরিবার মানলে মানবে নইলে সোজা গিয়ে তুলে আনবো।পরশ শিকদারকে ওতো সস্তা ভেবো না।
স্পর্শী মুচকি হাসলো। পুনরায় দুষ্টুমি করে বলল-
থাক নেতামশাই, আর ফ্লার্ট করতে হবে না।আমি অলরেডি গলে গেছি।আরো গলানোর চেষ্টা করলে পরে তো মাটিয়ে লুটিয়ে পড়বো।

আপুউউ ভ ভাইয়া আসছে।
পেছন থেকে ভয়কাতুরে কন্ঠ শুনতেই ঘুরে তাকালো স্পর্শী।দুরেই ছাদের দরজার পাশে আর্শি দাঁড়িয়ে আছে।তার পেছনেই সিড়ি বেয়ে সোভাম এবং সাথে তারই সমবয়সী একটা ছেলে হেটে আসছে।স্পর্শী ফোন কাটলো।ছাদে উঠে স্পর্শীকে দেখেই সোভাম আড়ালে হেসে দিলো।এই যে স্পর্শী তাকে দেখে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে এটা বেশ মিষ্টি লাগছে তার কাছে।সচারাচর কেউ সোভামের দিকে চোখ তুলে কথা বলতেও ভয় পায় সেখানে স্পর্শী একদম সোজা হয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে।মনে মনে সোভাম নিজেকে বাহবা দিলো।বলল-
বাহ!এই না হলো সোভাম সরদারের বোন। একদম বাঘিনী।
মুখে বললো-

তুমি এখানে কি করছো?
স্পর্শী অন্যদিকে ঘুরলো। বললো-
ছাদ দেখতে এসেছি।
–নিচে যাও খেতে ডাকছে।
স্পর্শী কিছু বলল না। এমনিতেও খুব খিদে পেয়েছে।কোনো বাক্য খরচ না করেই হনহন করে সিড়ি বেয়ে নিচে নামলো। আর্শিও গুটিগুটি পায়ে স্পর্শীর পিছু নিলো।হঠাৎ চলন্ত স্পর্শী থেমে যাওয়ায় দুম করে নিজেও হাটা বন্ধ করে দিলো আর্শি।স্পর্শী পিছু তাকালো।কতক্ষণ আর্শিকে অবলোকন করে ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করলো-

তুমি কি আমাকে পাহারা দিচ্ছিলে?
হ্যা,না হ্যা নান না তো।ওই চাচী খেতে ডাকতে পাঠিয়েছিলো।
থতমত খেয়ে বললো আর্শি।স্পর্শী হাসলো।ধীর পায়ে আর্শির সামনে এলো।হাত দিয়ে মাথার চুল এলোমেলো করে দিয়ে বললো-

গুড।বড় বোন প্রেম করলে ছোট বোনদের এমন পাহারা দিতে হয়।এতে তোমারই লাভ।বিয়ে হলে খুব বেশী মজা করতে পারবে।তাই না?
আর্শি বোকাবোকা হাসি হাসলো।মনে মনে বললো-
আমার যে কত্ত লাভ, তা তুমি বুঝবে না আপু।

গায়ের শাড়ি সামলে খাবার টেবিলের কাছে যেতেই চমকালো স্পর্শী।পুরো টেবিলের দিকে চোখ বোলাতেই সবার দিকে তাকালো। টেবিলের ডান পাশে রাজকীয় চেয়ারে বসে আছেন শামসুল সরদার।তার’ই পাশে বসে আছে আরো তিন জন মধ্যবয়সী পুরুষ। এরা শামসুলের’ই ছোট তিন ভাই।তার অন্যপাশে বসে আছে আঠারো,বিশ বছরের টগবগে দুই তরুন।টেবিলের খাবার আনানেওয়া করছেন চার মধ্যবয়সী মহিলা।স্পর্শী চেয়ারে বসলো।খাবার টেবিলে পোলাও,রোস্ট,ডিম,মাছ,গরুর মাংস,ডাল,সাদা ভাত আর পাশেই বড় এক গামলার মধ্যে সিরায় ভেজানো রসগোল্লা।পুরো টেবিলে চোখ বোলাতে বোলাতে স্পর্শী বললো-

বাড়িতে কি কোনো অনুষ্ঠান নাকি?এতো সব খাবার একসাথে যে।পুনরায় আর্শির দিকে তাকিয়ে দুষ্টুমি করে বলল-
তোমার বিয়ে নাকি।
আর্শি হেসে দিল।বাকিরাও মুখ টিপে হাসছে।মহিলাদের মধ্য দিয়ে কম বয়সী একজন মহিলা বলে উঠল-
না না কোনো অনুষ্ঠান না।তুমি আসছো, সেই জন্য ভাইজান সব রান্না করতে বলছে।

স্পর্শী চমকালো।কিছুটা ভালো লাগায় ছেয়ে গেল মন।হোস্টেলের ওই মেপে ঝেপে পাওয়া একই আইটেম খেতে খেতে অরুচি ধরে গিয়েছে মুখে। তাও মুখে কিছু প্রকাশ করলো না।চুপচাপ প্লেট নিয়ে বসলো।এরইমধ্যে হুরমুর করে সোভাম আর তার সাথের ছেলেটা এলো।সোভাম স্পর্শীর পাশের চেয়ার টাতে বসলো।স্পর্শী প্লেটের দিকে তাকিয়ে খাচ্ছে আর সোভাম কতক্ষণ পর পর ছোট চাচিকে উদ্দেশ্য করে বলছে-
ওর পাতে এটা দাও, ওটা দাও।

স্পর্শী কয়েকবার তাকালো।এরইমধ্যে সোভাম বললো-
একি খাসির মাংস ছিল না ঘরে। আমায় বলতে।
শামসুল সরদার বললেন-
আরে আস্তে বাবা।বোনকে সব একদিনেই খাওয়াবি। ওতো আছে বাড়িতে বেশ কয়েকদিন।

সোভাম নিরুত্তর।স্পর্শীর বলতে ইচ্ছে করলো যে সে কালই যাবে।কিন্তু মুখে আনতে পারলো না।রোস্ট টা বেশ ভালো হয়েছে।মাছ, মাংস ছুয়েও দেখলো না সে।রোস্ট দিয়েই খেতে লাগলো।খেয়াল করলো সোভাম।বাড়ির প্রত্যেকের জন্য একপিস করে রান্না করা হয়েছে।নিজের পাতের রোস্ট উঠিয়ে স্পর্শীর পাতে দিল।আচমকা অবাক হয়ে স্পর্শী বললো-
না না,লাগবে না।আপনি খান।

-তুমি তো আর কিছু খাচ্ছো না।আরো আছে,আমি নিয়ে খেয়ে নিব।
না চাইতেই কোটর ভরে এলো স্পর্শীর।সৎ হলেও কেমন কেমন ভাই ভাই একটা গন্ধ পাচ্ছে সে।নিজেকে খুব কষ্টে সামলালো।খেতে খেতে বাবার উদ্দেশ্যে বললো-
আমি তো কাউকেই ভালো করে চিনি না এখানে।কে কি হয় আমার?
তৃপ্তি নিয়ে হাসলেন শামসুল । মেয়েটাকে এভাবেই একটু একটু করে মায়ায় বেধে ফেলবেন।আলতো হেসে ডানপাশে দেখিয়ে বললো-

এ হচ্ছে তোমার মেঝো চাচ্চু,আর ওটা মেঝো চাচি।আর ওদের ছেলে নিরব(সোভামের পাশের ছেলেটাকে দেখিয়ে বললেন।)আর এটা তোমার সেজো চাচ্চু,এই সেঝো চাচি আর ওদের ছেলে জিহান।ওটা তোমার ছোট চাচ্চু, ছোট চাচি আর ওদের ছেলে রিহান।আর( সোভামকে দেখিয়ে বললেন)ও তোমার বড় ভাইয়া,তোমার ছোট বোন আর্শি। আর নিজের পাশের মহিলাকে দেখিয়ে আমতাআমতা করে বললেন এটা তোমার মা।
সবার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো স্পর্শী।পুনরায় বললো-

আর কোনো বোন নেই?
শামসুল সরদার বললেন-না,তোমরা দুজন’ই।
স্পর্শী আলতো হাসলো।আর্শির দিকে তাকিয়ে বললো-
বাহ!দারুন কপাল তো তোমার।সব আদর একা একা খাচ্ছো।আমি যাওয়ার পরেও তো আবার একা একা খাবে সব।
করূন চোখে তাকালো শামসুল। কিছু বলতে গিয়েও আবার থামলেন।ভাবলেন-আর ক টা দিন থাকুক,তারপর পুরোপুরি থাকার জন্য জোর করবেন।

রাত এগারোটা বাজতেই যে যার রুমে চলে গেল ঘুমাতে।বেশ ক্লান্ত থাকায় চোখ বন্ধ করতেই ঘুম হানা দিল স্পর্শীর চোখে।পাশেই চোখ বড় বড় করে ফ্যানের দিকে তাকিয়ে আছে আর্শিয়া।এক পর্যায়ে সেও পাড়ি দিল ঘুমের দেশে।
সকালের আলো ফুটতে না ফুটতেই বাবা চাচা আর ভাইকে নিয়ে মিষ্টি হাতে সিকদার বাড়িতে প্রবেশ করলো পরশ।বাড়িতে আসার কারনে আথিতেয়তা রক্ষা করতে সোফায় বসতে দিলেন শামসুল সরদার।দাতে দাত চেপে বসে আছে সোভাম।কোনোরুপ ভণিতা না করেই মহীউদ্দীন শিকদার বললেন-

দেখুন,রাজনৈতিক ভাবে বিরোধী হওয়ার কারনে আপনাদের সাথে আমাদের সামান্য মনমালিন্যতা।এর বাইরে ব্যাক্তিগত ভাবে কোনো শত্রুতাও নেই।আমার ছেলে আর আপনার মেয়ে দুজন দুজনকে পছন্দ করে।আমার ছেলে কেমন, কিরকম এটা আমার থেকে আপনারাই ভালো জানেন।আমি চাইছি শত্রুটা টা শেষ করতে।ওরা দুজন যখন দুজনকে পছন্দ করে তাহলে সেখানে আমরা বাধা দেওয়ার কে?চলুন পারিবারিক ভাবে বিয়েটা দিয়েই দি।

চমকালেন না শামসুল সরদার। তিনি জানতেন এমন কিছুই হবে।একবার স্পর্শীর দিকে তাকালেন।নির্লিপ্ত মেয়েটা এক সমুদ্র আশা নিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে।সে ছোট বেলা থেকেই কষ্ট পেয়ে আসছে।এখন যদি নিজে থেকে কিছু চায় কি করে ফেরাবে সে।হার মানলো শামসুল সরদার। মহীউদ্দীনের দিকে তাকিয়ে বললো-
আমার মেয়ে যদি রাজি থাকে তাহলে আমার কোনো আপত্তি নেই।
থমথম করে রেগে মেগে চলে গেল সোভাম। গায়ে মাখলোনা কেউ।সবাই মিলে আগামী শুক্রবারেই বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করলো।

শিকদার এবং সরদার দু বাড়িতেই বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে।এইতো কালকেই শুক্রবার।সবার থেকে কেউ যদি উড়ে থাকে তাহলে সেটা আর্শি।চঞ্চল পা দুটো বারবার ছুটে চলেছে সারা বাড়ি ময়।ইশশ তার বর বোনের বিয়ে হবে পরশ ভাইয়ের সাথে।তাহলে পাভেল হবে তার একমাত্র বেয়াই।বেয়াইয়ের সাথে চুটিয়ে প্রেম করবে সে।তারপর পরিবারের সম্মতিতেই আবারো বিয়ে করবে দুজন।উত্তেজিত হয়ে মুখে বলে উঠলো-
পাভেল ভাই,আই লাভ ইউ।আপুর বিয়েটা হয়ে যাক,এক সপ্তাহের মধ্যে আমি আপনাকে বিয়ে করবো।
কাকে বিয়ে করবে তুমি?

স্পর্শির গুরুগম্ভীর আওয়াজ শুনতেই পেছনে তাকালো আর্শি।ভয়ে ঘেমে নেয়ে একাকার অবস্থা।স্পর্শি পুনরায় বলল-
ও আচ্ছা,এই জন্য আমার বিয়েতে এতো সাহায্য করছো তুমি।পাভেল্ কে বিয়ে করবে তাই না?ছোটাচ্ছি বিয়ে তোমার।এই মেয়ে বয়স কত?এই বয়সে পড়ালেখা ছেড়ে বোনের দেবরের পেছনে লেগেছো।আমার বিয়ের পরেই বিয়ে করবে?ছোটাচ্ছি বিয়ে তোমার।আমার বিয়েই ক্যানসেল।বিয়ে করবোনা আমি।তখন দেখবো কি করে বিয়ের পরিকল্পনা করো তুমি।

–আপু প্লিজ বিয়েটা করে নাও তুমি।আপু প্লিজ।আমি তোমার বোন নই জা হতে এক পায়ে রাজি । প্লিজ বিয়েটা ভেঙো না।প্লিজ্জজ্জ!
এই মেয়ে,এই?এসব কি আবোল তাবোল বকছো।এই ওঠো ঘুম থেকে।
মাঝরাতে কানের কাছে এমন বিরবির শব্দ শুনে বিরক্তি নিয়ে চোখ খুললো স্পর্শী।পাশে তাকিয়ে দেখলো ঘুমের ঘোরে আর্শি বিরবির করে বলছে-

আমি তোমার জা হতে এক পায়ে রাজি।
একটানে টেনে তুলল আর্শিকে।ঘুমের মধ্যে আচমকা টেনে তোলাতে ভয় পেয়ে গেল আর্শি।পুনরায় স্পর্শি কে জড়িয়ে ধরে বলল-

রাজনীতির রংমহল পর্ব ১১

প্লিজ বিয়েটা ভেঙো না আপু।করে নাও বিয়ে।
হতবিহ্বল হয়ে তাকিয়ে রইলো স্পর্শী।আর্শি কি তাহলে স্বপ্নে বিরবির করছিলো এতোক্ষণ।

রাজনীতির রংমহল পর্ব ১৩