রাজনীতির রংমহল পর্ব ১৩

রাজনীতির রংমহল পর্ব ১৩
সিমরান মিমি

ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির প্রতি তুমুল ঝোকের কারনে এবং বাপ-চাচাদের অঢেল সম্পত্তি থাকার সাহসে এমপি পদের প্রার্থী হিসেবে দাড়ান শামসুল সরদার।প্রথমে কিছুটা অসস্তি তে থাকলেও সবার সাপোর্টে এগিয়ে যান তিনি।আর যখন সরকারের বিরোধী দল হওয়ার পরেও প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পান তখন ইচ্ছেটাকে গুরুত্ব দিয়ে বেশ চড়াও ভাবে মাঠে নামেন।সবার ভালোবাসা, সাহস,সাপোর্ট সব মিলিয়ে ভোটে জয়লাভ করে পিরোজপুরের সংসদ সদস্য হন।ভোটের কয়েক মাসের মধ্যেই বাবা আনোয়ার সরদার পারিবারিক ভাবে মেয়ে দেখে বিয়ে পড়িয়ে দেন।সে সময় রাজনীতির বাইরে অন্য কোথাও মন না থাকলেও বাবার কথা ফেলতে পারেন নি।বিয়ে করে নেন পাশের গ্রামের’ই এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে শায়লা সুলতানা কে।

কিন্তু রাজনীতির কারনে দিন রাত ব্যাস্ত থাকায় ঠিকমতো সময় দিতে পারেন নি নিজ স্ত্রীকে।দিনের পর দিন, রাতের পর রাত বাইরে কাটিয়েছেন।সদ্য যৌবনে পা রাখা শায়লা স্বামীর অবজ্ঞাকে মেনে নিতে পারেন নি।ঝুকে পড়েছিলেন পরপুরুষের সান্নিধ্যে। স্ত্রীর প্রতি অমনোযোগী থাকার কারনে এ ব্যাপারে সামান্য টের ও পায়নি শামসুল।বিয়ের ছ মাসের মাথায়’ই অনিচ্ছাকৃত সন্তান সম্ভবা হলেন শায়লা।একসময় সন্তান প্রসব ও করলেন।কিন্তু তাও পরপুরুষের প্রতি ঝোক কমাতে পারলেন না।প্রথম সন্তান সোভাম সরদারকে তিন মাসের বাচ্চা রেখেই পালিয়ে যান স্থানীয় শিক্ষক লতিফ মির্জার সাথে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

এলাকায় নাক-চোখ কাটা গেল সরদার বাড়ির।স্ত্রী চলে গেছেন তাতে যতটা না কষ্ট পেয়েছেন তার থেকেও হাজারগুন ভেঙে পড়েছেন ছোট্ট ছেলেকে নিয়ে।কে পালবে এই শিশুকে?বাড়িতে মহিলাদের মধ্যে শুধু মাত্র বৃদ্ধা মা ছিলেন। তাও অসুস্থ।সব মিলিয়ে বেশ ভেঙে পড়েছিলেন তিনি।দু-মাস যেতেই আবারো আনোয়ার সরদার বিয়ের জন্য তোড়ঝোড় শুরু করে দিলেন।সন্তানের দেখাশোনার জন্য কোনোরুপ কথা না বলেই রাজি হয়ে গেলেন শামসুল।

কিন্তু অবাক হলেন বাসর রাতে।স্ত্রীয়ের উপর রাগের কারনে এ বারের বউকে দেখতেও যান নি তিনি।কিন্তু বাসর রাতে খাটের উপর বসে থাকা অষ্টাদশী কন্যা পিপাসা কে দেখেই কথা হারিয়ে ফেললেন।ছুটে এলেন আনোয়ার মির্জার কাছে।যেখানে তিনি চৌত্রিশ বছরের যুবক সেখানে তার থেকে ষোলো বছরের ছোট মেয়েকে কি করে বিয়ে করালেন তিনি।আবার মেয়েটা অবিবাহিত। এটা অন্যায় হয়েছে।সন্তান থাকা এক পুরুষের সাথে অবিবাহিত, বয়সে ছোট্ট এক মেয়ের সাথে বিয়ে হওয়াটা ঘোর অন্যায়।বুঝদার হওয়ার পর এই মেয়ে নিজেই অবহেলা করে পুনরায় শায়লার মতো চলে যাবে না তার কি নিশ্চয়তা আছে?

কিন্তু হার মানলেন না আনোয়ার সরদার।বললেন-
এটা তোমার বিয়ের আগে ভাবা উচিত ছিল?যেখানে বিয়েটাই হয়ে গেছে সেখানে এসব যুক্তিতর্ক মূল্যহীন।
সেবার রাগ করে চলে গিয়েছিলো শামসুল।রাগের মাথায় হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে টানা সাত দিন বাড়ির বাইরে ছিলেন।ছোট্ট ছেলের কথা স্মরণে আসতেই ছুটে এসেছিলেন বাড়ি।আর এসেই মুগ্ধ রুপে তার কথিত ছোট্ট বাচ্চা মেয়ে নয় সোভামের মাকে দেখছিলেন।পিপাসা যত্নভরা হাতে সোভামকে ফিডার খাওয়াচ্ছিলো।

আর সোভাম ও শান্ত হয়ে পিপাসার কোলের মধ্যে লেপ্টে ছিল। ব্যাস,সেদিন থেকেই ছেলের জন্য হলেও পিপাসাকে আগলে রেখেছিলো শামসুল।কিন্তু মাস যেতে না যেতেই সেই অষ্টাদশীর প্রেমে রীতিমতো হাবুডুবু খাচ্ছিলেন।পার্লামেন্ট,অফিস,রাজনীতি সবকিছুতে ফাকি দিয়ে সময় খুজতেন পিপাসার সাথে সময় কাটানোর জন্য।দেখতে দেখতে সাত বছর পেরিয়ে গেল। সোভামের তখন সাত বছর চলছে।এরই মধ্যে পিপাসা অন্তসত্তা হলেন।ভীষণ খুশি ছিলেন শামসুল।কিন্তু এই খুশিই তাকে চিরজীবনের মতো নিঃশেষ করে দিলো।সন্তান জন্মানোর পাচ মিনিটের মধ্যেই মারা গেল পিপাসা।আতুড়ঘরে থাকা বড় বোন বিপাসার হাত ধরে মৃত্যুর আগে বলেছিলেন-

আপা,আমার কিছু হলে আমার মেয়েটাকে তোমার কাছে নিয়ে যাবে।
ছোত বোনের মুখে এমন কথা শুনে প্রথমে গ্রাহ্য করেনি বিপাশা।ভেবেছিলো, ভয় পেয়ে হয়তো এমন করছে।কিন্তু না,কয়েক মিনিট পরেই মারা যায় পিপাসা।

স্ত্রীর মৃত্যুর কথা শুনে সেবার পাথর হয়ে গেছিলেন শামসুল। সদ্য জন্ম নেওয়া মেয়েকে চোখের বিষ মনে হয়েছিলো সামান্য সময়ের জন্য। পাগলের মতো করেছিলেন সেবার শামসুল।বাধ্য হয়ে বিপাশা স্পর্শীকে নিজের কাছে নিয়ে গেছিলো। প্রায় মাস কয়েক পরে নিজেকে সামলে স্পর্শীকে দেখতে গিয়েছিলেন শামসুল।কিন্তু নিজের কাছে আনলে কে পালবে এটা ভেবেই আর নিয়ে আসেনি।মাঝে মধ্যে দেখে আসতো আর সমস্ত খরচ চালাতো।বছর চারেক যেতেই পুনরায় বাবার আদেশে বিয়ে করেছিলেন শামসুল।ধীরে ধীরে নিজেকে আবারো বাধলেন রাজনীতির ব্যাস্ততায়।সে ঘরেই জন্মায় আর্শি।
ত্রিশ বছরের ছেলে সোভাম,বাইশ বছরের মেয়ে স্পর্শী এবং আঠারো বছরের আর্শি পরস্পর ভাইবোন হলেও অন্যদের মতন স্বাভাবিক সম্পর্ক নেই তাদের।বাবা একজন হলেও মা যে আলাদা।

নিজের বন্ধ ঘরে স্ত্রীর অগোচরে বারান্দায় এসে রকিং চেয়ারে দুলছে শামসুল সরদার।বুকের উপর রাখা ছোট্ট একটা এলবাম।যেখানে পিপাসার হাস্যোজ্জ্বল ছবি।মৃত্যুর পর অন্যসব ছবি পুড়িয়ে ফেললেও এই ছবিটা তিনি লুকিয়ে রেখেছেন সবার অগোচরে।দীর্ঘশ্বাস ফেললেন পুনরায়।কিভাবে সম্পর্ক টা স্বাভাবিক করবেন ছেলেমেয়েদের মধ্যে।এলাকায় নিজস্ব দাপট,সবার সম্মানীয় ব্যাক্তি হিসেবে বেশ অনেকগুলো বছর এমপি ছিলেন।কিন্তু এ বছর নিজে না দাঁড়িয়ে বড় ছেলেকে প্রার্থী হিসেবে নিযুক্ত করেছেন। কিন্তু ব্যার্থ হলেন।তিনি নিজেও জানতেন এই সত্য।তার ছেলের রগচটা স্বভাব আর বদমেজাজের জন্য সামনাসামনি সবাই সাপোর্ট করলেও পেছনে পেছনে বেশ অসন্তুষ্ট।

বিরক্ত হয়ে খাট থেকে উঠে গেল স্পর্শী। গত কয়েক বছর ধরে একা ঘুমানোর ফলে অন্য কারো স্পর্শ সহ্য করতে পারে না।ঘুমের মধ্যে একে তো আর্শি জোরে জোরে বিরবির করছিলো তার উপর গায়ের উপর পা তুলে দিচ্ছিলো। বাধ্য হয়ে ফোণ হাতে ছাদের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে এলো স্পর্শী।রাত দেড় টা বাজে।অচেনা জায়গায় সামান্য ভয় লাগলেও সেটাকে গায়ে মাখলোনা।

ধীর পায়ে সিড়ির শেষ ধাপে উঠতেই ছাদের বামপাশের শোরগোল কানে গেল। কৌতূহল বশত সামনে আগাতেই মেজাজ বিগড়ে গেল।সাত-আটজন ছেলে মিলে গোল হয়ে জুয়া খেলছে।একেক জনের হাতে অদ্ভুত ধরনের সিগারেট।বেশ বাজে গন্ধ আসছে ওখান থেকে।ভালো করে খেয়াল করতেই স্পর্শী দেখলো এদের মধ্যে সোভাম এবং নিরব ও আছে।এবারে মেজাজ পুরোপুরি বিগড়ে গেল তার।জোর পায়ে হেটে তাদের সামনে গেল।স্পর্শীকে দেখে চমকালো সোভাম।

এটা কি আদোও বাড়ি নাকি ক্লাব?
চেচিয়ে বলল স্পর্শী। অন্য ছেলেগুলো আড়চোখে বিরক্তি নিয়ে তাকিয়ে আছে তার দিকে।পুনরায় ছেলেগুলোকে উদ্দেশ্য করে বললো-
এই আপনাদের বাড়ি ঘর নেই।এতো রাতে এখানে কি করেন?বের হোন এক্ষুনি,এই মুহুর্তে বাড়ি থেকে বের হবেন।যান(আঙুল তুলে বলল)

সোভাম দ্রুত উঠে এলো।স্পর্শীর সামনে এসে বললো-
স্পর্শী তুমি ঘরে যাও।ওরা আমার দলের লোক।রাতে এখানেই থাকে মাঝেমধ্যে।তুমি এতো রাতে এখানে এসেছো কেন?যাও ঘরে।

–আশ্চর্য!আমি এখান থেকে যাব কেন?আমার বাড়ি,আমি যেকোনো সময়ে এখানে আসবো।শুধু এখানে কেন?সারা বাড়িময় চষিয়ে বেড়াবো।ওনাদেরকে বের হতে বলুন।আর (নাক চেপে)এসব কি খাচ্ছিলেন আপনারা?এটা কি নেশাঘর নাকি। ছি: কি বা/জে গন্ধ।
আহাম্মক হয়ে তাকিয়ে রইলো অন্য ছেলেরা।তাদের নেতা এভাবে ভীতুবেশে কথা বলছে এই মেয়ের সাথে।এখানে আর্শি হলে তো এতক্ষণে গালের উপর শত খানি থাপ্পড় পড়তো।
স্পর্শি পুনরায় বললো-

বেশ,যাবেন না তো কেউ।ওকে আমি আব্বুকে ডাকছি।আমি যতদিন এখানে আছি,বাড়িটা যেন সভ্য শান্ত থাকে।কোনো ক্লাবে বেড়াতে আসি নি আমি।
বলেই যেতে ধরতেই সোভাম হাত ধরে ফেললো সোভাম।স্পর্শী চমকালো।সোভাম তড়িঘড়ি করে বলল-
ঠিকাছে,যাচ্ছে ওরা।আব্বুকে ডাকার দরকার নেই।

থেমে পেছনে তাকিয়ে
এই তোরা এখন যা।দরকার পড়লে আমি ডেকে নেবো।
ছেলেগুলো ঊঠে সিড়ির দিকে গেল।স্পর্শী চেচিয়ে বললো-
এইসব নেশা/জুয়া খেলার উদ্দেশ্য নিয়ে পরের বার এ বাড়ির চৌকাঠ ও পারাবেন না।মনে থাকে যেন।
বলে নিচের দিকে চলে গেল।সিড়িতে পা রাখতেই পিছনে ফিরলো।কেমন অসস্তি হচ্ছে। সামনে তাকাতেই নিরবকে দেখলো।খুব বাজে/কুৎসিত দৃষ্টি নিয়ে স্পর্শীর দিকে তাকিয়ে আছে।কিছু বলতে গিয়েও আবার থেমে গেল স্পর্শি।গটগট পায়ে সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে গেল।স্পর্শী যেতেই নিরব বলে উঠল-

ভাই,তুমি এই সব টলারেট করো কেন?ওই মেয়ের সাহস কিভাবে হয় সবাইরে এমন অপমান করার।ওরা তো রাগ করবে।
সোভাম শান্ত দৃষ্টিতে তাকালো।তারপর থমথমে কন্ঠে বললো-
ওদের বারন করে দিস।আপাতত যে কদিন স্পর্শী আছে ওরা যেন বাড়িতে না আসে।থাকুক না কটা দিন, ও ওর মতো।
বলেই চলে গেল নিচে।নিরব ও পা মেলালো সেদিকে।

সকাল এগারোটা।রাতেই বাড়ির ড্রাইভারকে ঢাকায় পাঠিয়েছে সোভাম।স্পর্শীর হোস্টেলে যাবতীয় তথ্য দিয়ে অনন্দাকে দিয়ে সমস্ত জামাকাপড় সংগ্রহ করেছে।কেননা,জাবির হোস্টেলে বাইরের কারো ঢোকার পারমিশন নেই।অনন্দা না থাকলে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হতো তাদের।সকাল হতেই আবারো রওনা দিয়েছে পিরোজপুরের দিকে।কিছুক্ষণ আগেই পৌছালো।জামাকাপড় হাতে পেয়ে এক ছুটে বাথরুমে ঢুকলো স্পর্শী।

এ যেন হাতে চাঁদ পেয়েছে।এতো বড় মেয়ে অথচ জামাকাপড় হাতে পেয়ে বাচ্চাদের মতো বসার ঘর থেকে ছুটে বাথ্রুমে গিয়েছে যা দেখে বাড়ির সমস্ত মহিলারা হতভম্ব হয়ে গেছে।
গোসল করে চুলগুলো মুছতে মুছতে সোফায় বসলো স্পর্শী।পা বিছিয়ে আধশোয়া অবস্থায় চুল মেলে দিলো ফ্লোরে।লম্বা চুলগুলো সোফাকে লেপ্টে ফ্লোরে গড়াগড়ি খাচ্ছে।আর্শি আইসক্রিম খেতে খেতে স্পর্শির চুল দেখে মাথায় হাত দিয়ে বসলো। কাছে এসে স্পর্শীর চুলগুলো ধরে বললো-

আপু,তুমি কি স্যাম্পু দাও?আচ্ছা,কি তেল ইউজ করো?আমায় বলো না প্লিজ।কত্ত সুন্দর তোমার চুল!
স্পর্শী তাকালো।বললো-
আগে আমার জন্য আইসক্রিম নিয়ে আসো,তারপর বলবো।

এক ছুটে রান্নাঘরে চলে গেল আর্শি।ফ্রিজ খুলে আইস্ক্রিম নিয়ে এলো।স্পর্শী খুলে খেতে লাগলো।আর্শির কথার উত্তর দেওয়ার জন্য উঠে বসতেই চোখ গেল সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক পুরুষের দিকে।যে কিনা এক ধ্যানে স্পর্শীর দিকে তাকিয়ে আছে।ছুট-ব্যুট পরা স্মার্ট,অতিরিক্ত ফর্সা ছেলেটাকে দেখেই স্পর্শী থমকালো।আশে পাশে সোভাম সহ আরো কয়েকটা ছেলে আছে।সে এভাবে আইস্ক্রিম খাচ্ছিলো সোফায় শুয়ে শুয়ে ভাবতেই সামান্য অসস্তি হলো।এক ছুটে চলে গেল রুমের দিকে।

মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইল ছেলেটি।সোভামের দিকে তাকিয়ে বললো-
কে এটা?
–আমার বোন।
হাসলো যুবকটি।মনে মনে আওড়ালো “কেশবতী”। এরইমধ্যে সেখানে এলেন শামসুল মির্জা।অচেনা ছেলেটিকে দেখে সোভামকে জিজ্ঞেস করলেন –
কে?

–আব্বু ও আরাফ।আমার বন্ধু।ওই যে বলেছিলাম না মন্ত্রীর ছেলে।ওই সে। এতোদিন লন্ডনে ছিলো। কালকেই ল্যান্ড করেছে বিডিতে।আর আসতেই দেখো ছটফট করছিলো আমার সাথে দেখা করার জন্য।
হেসে দিলো আরাফ।চমৎকার সেই হাসি।মাথা নুইয়ে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করলো শামসুল সরদারকে।চমকে তাকালো সোভাম।বললো-
কিরে? হঠাৎ এতো ভক্তি?

অসস্তিতে পড়ে গেল আরাফ।আমতাআমতা করে বলল-
আরে তেমন কিছু না।এমনিই আংকেল্ কে সালাম করলাম।গুরুজন তো।তা,সবাইকে ডাক।পরিচয় করাবি না আমার সাথে?

রাজনীতির রংমহল পর্ব ১২

বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান।ভীষণ ব্যাস্ত আমি।চেয়েছিলাম গল্প দিবো না।পরে ভাবলাম,আপনারা তো অপেক্ষা করে আছেন।তাই চেষ্টা করলাম।যাই হোক,কেমন হয়েছে জানাবেন।
আজকেও নেতামশাই মিসিং।কিন্তু নতুন আরেকটা চরিত্র প্রবেশ করলো।কেমন লাগলো আরাফ’কে?সাদরে বরণ করবেন তো🫠

রাজনীতির রংমহল পর্ব ১৪