লুকানো অনুরক্তি পর্ব ৬

লুকানো অনুরক্তি পর্ব ৬
রূপন্তি রাহমান (ছদ্মনাম)

হতাশা মিশ্রিত শ্বাস ফেলে অবনি। মাহফুজের এমন গা ছাড়া ভাব তার মোটেও ভালো লাগছে না। একরোখা স্বভাবের ছেলেটা নিজের সিদ্ধান্তে অটল। কিভাবে বুঝাবে সে? রাগে, জেদে গলা ফাটিয়ে কাঁদতে ইচ্ছে করছে তার। কড়া ভাষায় কতগুলো কথা বলতে গিয়েও পারে না। গলায় আটকে আসে। মনমস্তিষ্ক বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।

‘তুমি বুঝতে চাইছো না কেন?’
মাহফুজ হাস্যরসাত্মাক গলায় জবাব দেয়,
‘তো বুঝা আমাকে। আমি তো বুঝতে চাই। তুই বুঝাবি আর আমি বুঝবো।’
চাপা আর্তনাদ করে অবনি পুনরায় বলে,
‘বেশি বাড়াবাড়ি করলে আমি কিন্তু হলে চলে যাবো।’
মাহফুজ ভাবলেশহীন গলায় বলে,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

‘তোর ফুফুকে কি বলে যাবি? ফুফু তোমার ওই পাজি ছেলে আমায় ভালোবাসে। ভালোবাসি, ভালোবাসি বলে মাথা খারাপ করে দেয়। বলে দেখ তোর ফুফুর কাছে।’
মুহুর্তেই অবনির মুখটা পাংশুবর্ণ হয়ে উঠে। এই কথা টা সে ম’রে গেলেও বলতে পারবে না। তাই তো মাহফুজ মজা নিচ্ছে।
‘আমার ব্যবস্থা আমাকেই করতে হবে।’
কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে মাহফুজের। কুঁচকায় ভ্রু।
‘কি করবি তুই?’

উত্তর করল না অবনি। প্রশ্নটা ইচ্ছে করেই এড়িয়ে গেল।
মাহফুজ আবারও চিন্তিত গলায় শুধায়,
‘কি করবি তুই?’
অবনির নিঃশ্বাসের আধ্বান ছাড়া কিছুই কর্ণগোচর হলো না মাহফুজের। এর পরপরই কল কে’টে দিয়েছে সে।
চিন্তা বাড়ল মাহফুজের। অবনি কি করতে পারে তার সমীকরণ মিলাতে লাগল। কোনোভাবেই সমীকরণ মিলাতে পারল না সে। উত্তর জানার আশায় আবার কল করে অবনির নাম্বারে। দু’বার রিং হওয়ার পর কে’টে গেল। মাহফুজ আবারও কল করতে অবনি কল কে’টে মোবাইল বন্ধ করে ফেলল।

অবনির নাম্বারটার দিকে সরোষ চোখে তাকিয়ে রইলো মাহফুজ। রুঢ় স্বরে বিড়বিড় করে আওড়ায়,
‘তুই যত বাড়াবাড়ি করবি। তার থেকে কয়েকগুণ বেশি বাড়াবাড়ি আমি করবো।’

ঘড়ির কাঁটা কেমন চোখের পলকে শেষ হয়ে যায়। কখনো থমকায় না। কখনো স্থির হয় না। নিজের মতো অবিরাম ঘুরতেই থাকে।কখনো বলে না, এই তোমার সুখের সময় একটু দাঁড়ালাম। সুখটা অনুভব করে নাও। সে চলছে তার মতো। পাছে কি হচ্ছে বা হয়ে গেছে তা দেখার সময় নেই।’

অবনি প্রতিনিয়ত মাহফুজকে এড়িয়ে চলার বিশাল অংক কষে মনমধ্যে। বইয়ে মুখ ডুবিয়ে থাকে সর্বক্ষণ। সারাক্ষণ বইয়ে মুখ গুঁজে থাকে বলে বিরক্ত হয় নাদিয়া। ভ্রু কুঁচকে নাক উঁচু করে তাকিয়ে থাকে অবনির দিকে। মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়ে নাদিয়া বলে, ‘বিদ্যাসাগরও বোধ হয় তোর মতো পড়তো না। পড়াশোনার বাইরেও জীবনটাকে উপভোগ করতে হয়। সারাদিন পড়তে পড়তে পাগল হয়ে যাবি তুই।’

তবে সেসব গায়ে মাখে না। সে তো পড়ে না। কেবল হৃদয়ে আ’ঘা’ত হা*না চাহনি থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখে। কারো প্রেমে মুখ থুবড়ে পড়া থেকে নিজেকে সংযত রাখে। নিজের মনের সুপ্ত অনুভূতি আড়াল করে রাখে। ভালোবাসায় সাড়া দেওয়ার ভয়ে পালিয়ে বাঁচে সে।

বেশ কিছু দিন কে’টে গেছে। নিজেকে আরো গুটিয়ে নিয়েছে অবনি। খুব প্রয়োজন ছাড়া রুম থেকে বের হয় না সে। আর মাহফুজ বাসায় আসলে তো নাই। কখনো সখনো ভুলে সকালে কিংবা রাতে খাবার টেবিলে দুজনের দেখা হয়ে যায়। চোখে চোখ পড়ে। অবনি অপরাধীর মতো নত করে দৃষ্টি। আর মাহফুজের চোখে থাকে হাজারো অভিযোগ আর অভিমান। যেদিন খাবার টেবিলে অবনি না আসে সেদিন কাতর চোখে দরজার পানে চেয়ে থাকে মাহফুজ। এই বুঝি অবনি আসবে। তার কাতর চোখে তৃষ্ণা মিটবে। মাঝে মাঝে মাহফুজের চোখের তৃষ্ণা মিটে তো মাঝে মাঝে তৃষ্ণার্ত আঁখি জোড়া নিয়েই ঘুমোতে যায় সে। তৃষ্ণার্ত আঁখি জোড়ায় কখনো ঘুম দেখা দেয় আবার কখনো দেয় না। শাঁই শাঁই করে ঘুরতে থাকা সিলিংফ্যানের দিকে তাকিয়ে থাকে নিমেষহীন। নির্ঘুম ই কে’টে যায় রাত।

খাবার টেবিলে আজও মুখোমুখি বসে আছে মাহফুজ আর অবনি। অবনির সম্পূর্ণ মনোযোগ খাবারে হলেও মাহফুজ আড়চোখে বার বার তার দিকে তাকাচ্ছে। ব্যপারটা আন্দাজ করতে পেরে মুখটা গম্ভীর হয় অবনির।
অবনির খাওয়া প্রায় শেষের দিকে। আফসানা খানম কে ডাকে সে।

‘ফুফু?’
তিনি জবাব দিলেন, ‘হুম।’
‘আমি একটা টিউশন পেয়েছি।’
খাওয়া বন্ধ করে অবনির দিকে তাকালেন তিনি। মাহফুজও কপাল কুঞ্চিত করে চেয়ে রইলো।
‘হঠাৎ টিউশন? তোর বাবা জানে?’
অবনি এক পলক মাহফুজের তাকায় তাকায়। তারপর নত স্বরে বলে,
‘মায়ের মতো টিচিং প্রফেশনটা আমারও প্রিয়। অফারটা যেহেতু পেয়েছি তাই আর না করিনি। ভাবছি শিক্ষক বিবিএ কমপ্লিট হলে নিবন্ধনটা করে ফেলবো।’

‘পড়াশোনায় যেন কোনো ক্ষতি না হয়। সেদিকে খেয়াল রাখিস। তা কয়টা থেকে টিউশন?’
‘বিকেল থেকে।’
অকস্মাৎ শব্দযুগে হাসতে লাগলো মাহফুজ। হাসির শব্দ শুনে সবাই তার দিকে অদ্ভুতভাবে তাকায়।
‘এভাবে হাসছিস কেন?’
আফসানা খানম ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলেন।

কতক্ষণ পেট চেপে হাসে মাহফুজ। তারপর কোনো রকম হাসি থামিয়ে বলে,
‘কিছু না অফিসের একটা ঘটনা মনে পড়েছে। তাই হাসলাম।’
তিনি ‘ওহ’ বলে আবার খাওয়ায় মনোযোগ দিলেন।
মাহফুজকে তীক্ষ্ণ নজরে একবার দেখে টেবিল ছেড়ে উঠে গেল অবনি।

পড়তে পড়তে বুকের উপর বই রেখে ঘুমিয়ে পড়েছে নাদিয়া। অবনির চোখও নিভু নিভু করছে। নিদ্রা ভর করেছে দুই চোখের পাতায়। বইটা বন্ধ করে ফেলল সে। বাকি পড়া সকালে শেষ করা যাবে। তৃষ্ণা পেল তার। রুমে থাকা জগটায় হাত দিয়ে দেখল সম্পূর্ণ খালি এটা। তপ্ত শ্বাস ফেলে সে। জগটা নিয়ে রুম থেকে বের হয় ফিল্টার থেকে পানি আনার জন্য।
ড্রয়িংরুমের টিভিতে খেলা চলছে। খেলা দেখছে মাহফুজ। অবনি জগ নিয়ে হনহনিয়ে সোজা রান্নাঘরে চলে গেল। মিনিট পাঁচেক এর মাথায় পানি ভর্তি জগ নিয়ে ফিরে আসতে নিলেই পিছু ডাকে মাহফুজ।

‘নিজেকে খুব চালাক ভাবিস তাই না?’
পা থমকে যায় অবনির। মাহফুজের ডাকটা উপেক্ষা করে চলে আসতে নিলেই মাহফুজ তিগ্ম স্বরে বলে,
‘সামনে এক পাও এগুবি ন। তোর সাথে কথা আছে আমার।’
জগটা দু’হাতে জড়িয়ে সেখানেই স্থির আর অনড় রইলো সে।
‘যারা নিজেদের চালাক ভাবে তারা যে আসলে বোকা সেটা জানিস?’
মুখে কুলুপ এঁটেছে অবনি। মুখটা কালো করে নিরুত্তর রইলো সে।

‘এই বুঝি তোর ব্যবস্থা? রুম থেকে বের না হওয়া। আমার থেকে পালিয়ে বাঁচার জন্য বিকেলে টিউশন করা। একটু বাচ্চামো হয়ে গেল না? ম্যাম আমি তো বিকেলে বাসায় থাকি না। ফিরি তো সন্ধ্যার পরে।’
অবনি সরোষ চোখে তাকায় মাহফুজের দিকে। মাহফুজ ব্যঙ্গ করে বলে,
‘আমার থেকে দূরে দূরে থাকার জন্য আরো ভালো ফন্দি আঁটতে পারতি। এটা একেবারে নড়বড়ে।’
হকচকায় অবনি। তবে মাহফুজকে বুঝতে দিলো না। খর গলায় জবাব দেয়,

‘এখন কি আমার শখও থাকতে পারবে না?’
মাহফুজ হেয়ালি করে বলে,
‘ওমা তাই বুঝি? তা এতোদিন এই শখটা কোথায় ছিলো? আগে তো কখনো শুনিনি। হঠাৎ করেই বা উদয় হলো কেন?’
ধরা পড়ে যাওয়ায় হাতের জগটা চেপে ধরে সে। হটকারিতায় সময়ের দিকে খেয়াল ছিলো না তার। মাহফুজের মুখোমুখি হওয়ার ভয় থাকে সকালে আর রাতে। এই দু’টো সময় টিউশন রাখার দরকার ছিলো।

অবনির ধরা পড়ে যাওয়া মুখটা দেখে নৈঃশব্দ্যে হাসে মাহফুজ।
‘মাগরিবের পর টিউশন শেষ হলে কল করিস একটা। দুজন না হয় একসাথেই ফিরলাম বাসায়।’
বলেই চোখ মা*রল সে।
অবনি দাঁত কিড়মিড় করে রুমে চলে গেলো।

দু’দিন পরের কথা।
সকাল সাড়ে ছয়টা।
ফজর নামাজ পড়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েছিল মাহফুজ। ফজরের পরে ঘুমানো তার অভ্যাস। কিন্তু আজ এপাশ ওপাশ করেও ঘুম ধরা দিলো না তার চোখে। বাধ্য হয়ে ড্রয়িংরুমে এলো সে।
আফসানা খানম বাইরে থেকে বাসায় ঢুকে সোফায় মাহফুজ কে শুধালেন,
‘আজ এতো সকাল সকাল উঠে পড়লি?’

‘ফজর নামাজ পড়ে আর ঘুম আসেনি। তুমি এতো সকাল কোথা থেকে এলে?’
‘অবনিকে এগিয়ে দিয়ে এলাম।’
কপালে ভাঁজ পড়ে মাহফুজের।
‘কেন ও আবার কোথায় গেল?’
‘টিউশনে।’
‘টিউশন তো বিকেলে।’

‘না সকালে। সময় পরিবর্তন করেছে। কিছু খেয়ে গেল না মেয়েটা। তাড়াহুড়ো করে চলে গেল।’
বলেই রান্নাঘরের দিকে অগ্রসর হলেন তিনি। সকালের নাস্তার আয়োজন করতে হবে।
ঘুম না হওয়ায় এমনিতেই মাথাটা ভার ছিলো মাহফুজের। কথাটা শুনে মুহূর্তেই মেজাজ চটে গেল তার।
‘বেশি চালাকি ভালো না অবনি। আমিও দেখি আমার থেকে দূর যাওয়ার জন্য ঠিক কি কি করতে পারিস তুই।’

কোনো এক গভীর রাত। গভীর নিদ্রায় নিমজ্জিত সবাই। ঘুম নেই শুধু মাহফুজের চোখে। রান্না ঘরে কিছু একটা ঘাটাঘাটি করছে সে। আর একটু পর পর মোবাইল দেখছে। প্রয়োজনীয় সবকিছু নিয়ে নিজের রুমে গেল। এবং রুমের দরজা ভালো করে এঁটে দিলো যেন শব্দ বাইরে না যায়। তারপর হ্যান্ড বিটার দিয়ে কিছু একটা বিট করতে লাগে।
রাত তখন আড়াইটা। ওভেনে কিছু একটা বানিয়ে নিজের রুমের দিকে গেল সে। অবস্থা নাজেহাল তার। কপালে গালে ময়দা শুকিয়ে লেগে আছে।

দেরি করে না সে অবনির নাম্বারে কল করে। প্রথম বার রিসিভ না করলেও দ্বিতীয় বারে রিসিভ করে।ঘুম ঘুম গলায় বলে,
‘হ্যালো, কে?’
অবনির ঘুম জড়ানো কন্ঠ শুনে থমকায় মাহফুজ। হাত পা অসাড় হয়ে এলো তার। কন্ঠে যেন মাদকতা মিশানো। ফাঁকা ঢোক গিলে মাহফুজ জবাব দেয়,
‘আমার রুমে আসবি একটু?’
কান থেকে মোবাইল সরায় অবনি। স্ক্রিনে মাহফুজের নাম জ্বলজ্বল করছে। সময় দেখল। খর গলায় বলে,
‘এতোরাতে তোমার রুমে কেন যাবো?’
‘একটু দরকার ছিলো।’

ভয় হলো অবনির। পুরুষ মানুষ আশ্রয়স্থল, ভরসার স্থল। কোনো কোনো সময় সেই পুরুষ মানুষই বিপদের কারন হয়ে উঠে। ধারণ করে ভয়ংকর রূপ। যদি ভালোবাসা পাওয়ার প্রবল আকাঙ্খায় কোনো ভুল কাজ করে বসে? দুই তরফের সম্মান নিয়ে টানাটানি হবে। অবনি তৎক্ষনাৎ সোজা সাপটা ভাষায় জবাব দিলো,
‘এতোরাতে যেতে পারবো না। যা দরকার সকালে মিটিয়ে নিও।’
মোবাইল রেখে দিতে নিলেই মাহফুজ কাতর গলায় বলে,

‘ভয় পাচ্ছিস? আমার মা আমাকে এই শিক্ষা দেয়নি। একটু আয় প্লিজ। সকালে মিটিয়ে নিতে পারলে তো আর এখন আসতে বলতাম না।’
অবনি কিছু না বলে চুপ রইলো। মাহফুজ অনুনয় করে,
‘আয় প্লিজ। দশ মিনিট। এরপরে চলে যাস।’
কিছুক্ষণ থম মে’রে বসে রইলো অবনি। মিনিট দশেক যাওয়ার পর উঠে গেল সে। অবনি উঠে যাওয়ার পরে ধপ করে চোখ মেলে তাকায় নাদিয়া।

গুটি গুটি পায়ে মাহফুজ রুমের যেতেই নিজ হাতে বানানো কেক টা অবনির সামনে এলে বলে নমনীয় স্বরে বলে,
‘শুভ জন্মদিন।’
চমৎকৃত হয় অবনি। আজ তার জন্মদিন মাথায় ছিলো না। আশ্চর্যান্বিত চোখে মাহফুজের দিকে তাকিয়ে রইলো অপলক। মুখের অবস্থা দেখে হাসি পেল তার।
‘খেয়ে দেখ কেমন হয়েছে। সময় বের করে একটা বেকিং ক্লাস করেছি। পুরুষ মানুষ তো তাই সব গুলিয়ে যায়। তাই ইউটিউব দেখে সম্পূর্ণ করলাম।’

মানুষটার পাগলামি দেখলে কেমন জানি করে অবনির বুকের ভেতরটায়। একটু ভালোবাসা পাওয়ার জন্য মানুষটার কত আয়োজন। অবনি কাঁপা কাঁপা হাতে একটু কেক মুখে নিলো। মুখে নিতেই চোখমুখ কুঁচকে এলো তার। বিষিয়ে উঠলো মুখের ভেতরটা।
অবনির মুখের অভিব্যক্তি দেখে মাহফুজ বলে,
‘ভালো হয়নি?’

জবাব না দিয়ে বহুকষ্টে মুখের কেক টা গিলে অবনি। একটু কেক নিজেও মুখে দেয় মাহফুজ। মুখে দিতেই তড়িঘড়ি করে ফেলে দিলো সেটা। মাথা চুলকে বলে,
‘আসলে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে চিনি আর লবনের পার্থক্য বুঝতে পারিনি।’
‘নিজের মায়ের জন্য কখনো এমন পাগলামো করেছো?’
অবনির প্রশ্নটা বুঝলো না মাহফুজ। নির্বোধের মতো তাকিয়ে রইলো।
‘ফুফুর জন্য কখনো এমন পাগলামো করেছো? সেম কাজটা ফুফুর জন্য করলে কত খুশি হতো জানো? কখনো তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছো?’

লুকানো অনুরক্তি পর্ব ৫

মাহফুজ শান্ত গলায় জবাব দেয়,
‘না, মায়ের জন্য কখনো এমন পাগলামো করার প্রয়োজন পড়েনি। কেননা গর্ভে আসার পর পরই না দেখেই ভালোবেসেছিল মা। আর ভূমিষ্ট হওয়ার পর ক্রমান্বয়ে সেই ভালোবাসার মাত্রা কেবল বেড়েছে। মায়ের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য আলাদা করে ইমপ্রেস করতে হয়নি তাকে। ইমপ্রেস করতে হয় তাকে যে ভালোবাসা বুঝে না। সবকিছু বুঝেও না বুঝার ভান করে।’

লুকানো অনুরক্তি পর্ব ৭