শেষ থেকে শুরু পর্ব ১৪

শেষ থেকে শুরু পর্ব ১৪
লাবণ্য ইয়াসমিন

সকালবেলায় সোনালী সূর্যের কিরণ চোখে পড়তেই ঘুম ভেঙে গেলো অরিনের।নতুন পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে বেশ কষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া রাতে ঘুম হয়নি ভালো। সব সময় মনের মধ্যে নানারকম চিন্তা ঘুরপাক খেয়েছে। আরাফাত মানুষ হিসেবে খারাপ না। ওর সঙ্গে কোনো বেয়াদবি করেনি কিন্ত হারপিকের বিষয় নিয়ে অপমান করেছে।। গতকাল রাতে মাথা ঘুরছিল ফ্রেস হওয়ার জন্য বিছানা থেকে নামতে গিয়ে ফুল গুলো নিয়ে বিছানায় পড়ে গিয়েছিল। তারপর কিছু মনে ছিল না। ফুলের নিচে চাপা পড়ে মরার মতো অবস্থা। কথাগুলো ভেবে অরিন পাশ ফিরে তাকালো সেখানে আরাফাত নেই। হয়তো আগেই উঠে গেছে ওকে না জাগিয়ে। অরিণের ধ‍্যান ভাঙলো রুনির কথা শুনে। দরজা খোলা ছিল রুনি ভেতরে উঁকি দিয়ে আরাফাতকে না দেখে চলে এসেছে। রুনি হাসি মুখে বলল,

ঘুম কেমন হলো? নাস্তা করবে তো? সকলে অপেক্ষা করছে।
অরিন মলিন হেসে মাথা নাড়িয়ে বুঝিয়ে দিলো ঘুম ভালো হয়েছে। রুনি ওকে নিচে যাবার তাগিদ দিয়ে চলে গেলো। অরনি দ্রুত বাথরুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে নিলো। পরনে লাল রঙের শাড়িটা। শাড়ি পরার অভ‍্যাস নেই বললেই চলে। ছোটবেলাতে পরেছিল একটু একটু মনে আছে। উল্টোপাল্টা করে রাতে নিজে যা পেরেছিল সেভাবে চেঞ্জ করেছে। কিন্তু এখন তো নিচে যেতে হবে। যেমন তেমন করে যাওয়া যাবে না। অনেক ভেবে চিন্তে ভিডিও দেখে মোটামুটি শাড়িটা ঠিক করে নিচে নেমে আসলো। টেবিলে সবাই বসে আছে। চয়নিকা খাবার পরিবেশন করছে। আরাফাতের পাশের চেয়ারটা ওর জন্য খালি রাখা হয়েছে রুনি ওকে দেখিয়ে দিলো। ও শব্দ না করে চুপচাপ বসে পড়লো। আরাফাত ছেলেটা রোবটের মতো মনোযোগ দিয়ে খাচ্ছে কথাবার্তা বলছে না। অরিনের লজ্জা পাচ্ছে। এই পরিবারের সবগুলো মানুষ ওর চেনাজানা। মনে হচ্ছে এই জন‍্যই লজ্জাটা একটু বেশি বেশি পাচ্ছে। রাজীব ডিমে কামড় বসাতে বসাতে আরাফাতকে উদ্দেশ্যে করে বলল,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

> বিয়ে শাদী তো হলো এবার পরবর্তী পরিকল্পনা কি? বাইরে কিছু না করতে চাইলে আমার সঙ্গে ব‍্যবসাতে মনোযোগ দিতে পারিস উন্নতি করবি।
আরাফাত খাওয়া থামিয়ে ভ্রু কুচকে বলল,
> আমি এখানে নতুন করে কিছু করবো না ভাইয়া। তাছাড়া অরিনের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবে এখানে থাকলে। হৈমির খোঁজ নিতে হবে। আমরা সামনের সপ্তাহে ফেরত যাচ্ছি। তাছাড়া ওখানের জবটা আমি ছাড়তে পারছি না।
> যেটা ভালো মনে হয় কর তবে পরের দেশে পড়ে থাকার চাইতে এখানে থাকাই ভালো মনে করছি।
> স্থায়ী ভাবে থাকবো না। চলে আসবো কোনো এক সময়। তবে এখন না ভাইয়া।

অরিন চুপচাপ আরাফাতের কথাগুলো শুনলো। লোকটা ওকে নিয়ে চিন্তা করছে বিষয়টা ভেবে ওর মন ভালো হয়ে গেলো। গতকাল হারপিক নিয়ে খোটা দিয়েছিল তখন মনে হয়েছিল সত্যিই লোকটা খুব পাজি। কথাগুলো ভেবে অরিন খাওয়াতে মনযোগ দিলো। ফারজানা হক রাজীবকে ফোন করেছিল। আরাফাত আর অরিনকে ওখানে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। আরাফাত যেতে চাইনি তবুও যেতে হচ্ছে। খাওয়া শেষ করে অরিন রুমে গেলো রেডি হওয়ার জন্য। রুমেস গিয়ে তাড়াতাড়ি শাড়িটা চেঞ্জ করে চুলগুলো বেধে নিলো। ঠিক তখনই আরাফাত রুমে ফিরলো। অরিন আয়নার সামনে নিজেকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখতে ব‍্যস্ত।মনে হলো শাড়িটা আহামরি খারাপ পরেনি। আরাফাত অরিনের মাথা থেকে পা পযর্ন্ত দেখে ভ্রু কুচকে ফেলল। অরিন পেছন ফিরে ওর চোখে চোখ পড়ে যাওয়ায় লাজুক হেসে বলল,

> সুন্দর লাগছে না? আমি সব পারি।
আরাফাত হাসলো না বরং বিরক্ত হলো। কুচকানো ভ্রু আরও কুচকে নিয়ে বলল
> সেই লাগছে। রাস্তা ঝাড়ু দিয়ে বেড়ায় ওদের মতো স্টাইল। দারুণ হয়েছে। এভাবে নিচে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে বাদ দাও। ভাবিরা অজ্ঞান হয়ে যাবে।
অরিন কিছুই বুঝতে পারলো না। ঠিকই তো আছে। পাজি লোকটা ওকে আবারও অপমান করছে। অরিন রাগে ফুলছে। আরাফাত ওকে ইগনোর করে বেরিয়ে গেলো। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই চয়নিকা এসে হাজির। অরিন শাড়িটা সম্পূর্ণ উল্টো করে পড়েছে। চয়নিকা ওকে ঠিকঠাক করে গুছিয়ে দিলো।

চেয়ারে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে বসে আছে আবির। কাটা হাতে ইনফেকশন হয়েছে। ডাক্তার ড্রেসিং করে দিয়েছে। এক হাত দিয়ে কাজকর্ম করতে বেশ অসুবিধা হচ্ছে। সামনে ওর সেক্রেটারি জাবেদ বসে আছে। জাবেদ অনেক্ষণ ধরে কিছু একটা বলার জন্য চেষ্টা করছে কিন্তু ভয়ে বলতে পারছে না। আবির চোখ বন্ধ রেখেই বলল,
> জাবেদ দ্রুত বলে ফেলো। সময় নষ্ট করা ঠিক হচ্ছে না। বিকালে মিটিং আছে। ফাইল পত্র কিছুই তো চেক করা হলো না।
আবেদ নড়েচড়ে বসে ঢোক গিলে বলল,

> ম‍্যাডাম চলে গেলেন আপনি কিছু বললেন না কেনো স‍্যার? এতো পাগলামী করে বিয়েটা করলেন। অথচ কাউকে জানাতে পযর্ন্ত দিলেন না। বিষয়টা হজম হচ্ছে না।
জাবেদের কথায় আবির বিরক্ত হলো। ও ঝটপট সোজা হয়ে বসে ভ্রু কুচকে বলল,
> ঘটনাটা তোমার ভুলে যাওয়ায় ভালো জাবেদ। আমিও ভুলে গিয়েছি। ওকে আটকানোর কোনো ইচ্ছে ছিল না আমার। যা আমার ছিল সেটা আমারই থাকবে। একটু খোলা হওয়াই উড়ে আসুক। তাছাড়া ওকে বিরক্ত করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। ওকে সাহায্য করতে চেয়েছি আর করেছি। যাইহোক আজকের পরে ওকে নিয়ে আর কিছু বলবে না। যাও আমি কিছুক্ষণ একা থাকতে চাই।

জাবেদ আবিরের কথার অর্থ বুঝতে পারলো না। মনের মধ্যে হাজারো প্রশ্ন উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে সেগুলোকে শান্ত করে বেরিয়ে গেলো। চাকরি নিয়ে টানাটানি পড়ে যাবে এই অতিরিক্ত কৌতূহলের জন্য। আবির পূর্বের ন‍্যায় আবারও চোখ বন্ধ করে চেয়ারে হেলান দিলো। রোহানের সঙ্গে কিছুদিন যাবত কথাবার্তা হয়না। হৈমন্তী রবিনের বাড়িতে যাবার দিন সকালবেলায় আবিরের সঙ্গে রোহানের তর্কাতর্কি হয়েছিল। আবির ইচ্ছে করলে ওর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারতো কিন্তু করেনি।

ছেলেটা হঠাৎ এমন পরিবর্তন হয়ে গেলো কিভাবে বুঝতেই পারছে না। প্রতিটা মানুষের মধ্যে হিংসা আছে। কারো বেশি আবার কারো কম। লোকের সফলতা দেখে জ্বলে না এমন মানুষ খুজে পাওয়া মুশকিল। রোহানের অবস্থাও তাই। হৈমন্তীর জন্য হঠাৎ ওর মনে অনুভূতির সৃষ্টি হয়েছে সেটা আবিরের জন্য। আবির কথাগুলো গভীরভাবে ভাবছে। হঠাৎ কারো পায়ের শব্দে ওর ধ‍্যান ভাঙলো। কিন্তু ও চোখ খুললো না। অফিসের কর্মচারী হলে ওর থেকে অনুমতি নিতো। কে হতে পারে ভাবতে ভাবতেই পরিচিত কন্ঠস্বর শুনে তাঁকিয়ে দেখলো রোহান ওর সামনে বসে আছে। ছেলেটার ঠোঁটে তৃপ্তির হাসি। আবির মুখ স্বাভাবিক রেখে প্রশ্ন করলো,

> হঠাৎ আমার অফিসে?
রোহান হাসিটা আরও চাওড়া করে বলল,
> আসতে বুঝি মানা ছিল? বন্ধুর অফিসে আসবো এতে অনুমতির কি আছে। শোন একটা ঠাণ্ডা কফি খাওয়া। বাইরে প্রচণ্ড গরম পড়ছে।
আবির ফোন করে কফির অর্ডার দিয়ে বলল,
> অরিনের বিয়ের দিন কোথায় ছিলি? আমার সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে তাই বলে ওই বাড়ির সঙ্গেও নাকি?
> দূর ও বাড়ির সঙ্গে কেনো হবে? ওটা বোনের শশুর বাড়ি সেই সঙ্গে আমারও না হওয়া হবু শশুর বাড়ি ঝামেলার প্রশ্নই আসেনা।
আবির ভ্রু কুচকে বলল,

> হবু শশুর বাড়ি মানে?
> হৈমন্তীর সঙ্গে আমার বিয়ের কথাবার্তা হচ্ছে। দুলাভাই আপা রাজি আছে। ওর পড়াশোনা শেষ হলে আমাদের বিয়ে। আপাতত মন দিয়ে কাজকর্ম করছি। টেনশন ছিল ওকে নিয়ে এখন তো আর নেই।
আবিরের ভীষণ বিরক্তি লাগছে রোহানের কথাবার্তা শুনে। বন্ধু না হলে ঘুষি দিয়ে দাঁত ভেঙে দিতো। আবির রাগ নিয়ন্ত্রণ করে আস্তে করে বলল,
> হৈমি রাজি আছে? ওর অনুমতি নিয়েই বিয়েটা হচ্ছে নাকি?
রোহান থতমত খেয়ে বলল‍,
> ওর আবার অনুমতি কিসের? আগের বিয়ের সময় দুলাভাই যাকে বলেছে তাকেই বিয়ে করছে। মেয়েদের কথাবার্তার মূল্য আছে নাকি। বড় ভাই ভাবি আছে ওদের কথার বাইরে কথা বলার সাহস ওর নেই।
আবির দাঁতে দাঁত চেপে বলল,

> কথাগুলো হৈমির সামনে বলিস তোকে ধুয়ে দিতে সময় নিবে না। দুর্বল যদি সবল হয়ে যায় তাহলে কিন্তু পদে পদে বিপদ।
> সে যায়হোক বিয়েটা হবে দেখে নিস। তোকে বলেছিলাম তো। আমি জিদ করি না যদি করি তবে সেটা আমার করেই ছাড়ি।
> বুঝতে পেরেছি। কিন্তু রোহান এটা তো ঠিক হচ্ছে না। তুই অনিমাকে ভালোবাসিস। মেয়েটার সঙ্গে যা করেছিস ক্ষমার অযোগ্য। তবুও সে তোকে একটা সুযোগ দিচ্ছে। অনিমা আমাদের বন্ধু। তুই বন্ধু হয়ে বন্ধুর সঙ্গে এমন করতে পারিস না। মেয়েটা এই অবস্থায় কোথায় যাবে বলতো?বাড়িতে জানাজানি হলে মেয়েটা সুইসাইড করবে।
> শোন আবির তুই নিজেও কতো মেয়ের পেছনে ঘোরাঘুরি করেছিস সেকথা সবাই জানে। ক্লাস টেনে থাকতে সেলীর সঙ্গে তিনমাস চুটিয়ে প্রেম করেছিস। সেসব বলেছি আমি?

> তখন ছোট ছিলাম, কম বুঝতাম। ওর পরে আমি কখনও এসব করেছি বল? আনিমা মা হতে চলেছে। বাচ্চাটার কি হবে একটু ভাব?
রোহান তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলল,
> বতর্মান যুগে এসব অহরহ হচ্ছে। অনিমা এ যুগের মেয়ে ওকে নিয়ে তোর চিন্তা করা লাগবে না।ওর চিন্তা ছাড় নয়তো তুই নিজে গিয়ে বাচ্চার দায়িত্ব নিয়ে নে। বাধা দিচ্ছে কে?
আবিরের মেজাজ এবার চরম খারাপ হলো। রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলো না। টেবিল চাপড়ে বলল,
> কুকাম করার সময় মনে ছিল না এখন বাচ্চার দায়িত্ব আমাকে নিতে হবে? তোর পাপের ফল তোকেই নিতে হবে। আমি কিন্তু সবাইকে বলে দিবো।
রোহানের মধ্যে ভয় বা কোনো ভাবান্তর হলো না। আয়েশি ভঙ্গিতে কফির কাপে মুখ ডুবিয়ে বলল,

> কে বিশ্বাস করবে তোকে? তাছাড়া অনিমাকে আমি এক লক্ষ টাকা দিয়ে বলেছি আমার পেছনে না ঘুরতে। শোন বন্ধু আছিস বন্ধুর মতোই থাকবি। তাছাড়া যার জন্য এতোকিছু তাকেই যখন পেয়ে যাচ্ছি তাই তোর সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করতে চাইছি না। দোস্ত পরের ঝামেলা নিয়ে আমাদের বন্ধুত্ব নষ্ট করিস না।
আবিরের শরীর জ্বলছে। এই মানুষটা এতো বেহায়া কেনো কে জানে। হৈমন্তীর সঙ্গে বিয়েটা শুধু এর জন‍্যই করেছিল। সেদিন রোহানের কথাশুনে মনে হয়েছিল হৈমন্তী ভাইদের কথায় রাজি হয়ে রোহানকে বিয়ে করে নিবে সেই ভয়ে জোরজবরদস্তি করে বিয়ে করলো। মেয়েটা নিজ থেকে বিয়ে না আটকাতে পারলে ও নিজে যাবে বিয়ে আটকাতে। বর জীবিত থাকতে বউয়ের বিয়ে দেওয়ার সাধ‍্য কোন ব‍্যাটার আছে আবির সবগুলোকে দেখে নিবে। রোহান আরও এক ঘন্টা বকবক করে বিদায় নিলো। আবির সারা সময় চুপচাপ বসে ওকে সহ‍্য করলো। আপাতত ঝগড়া ঝামেলা করার মানে হয়না। সুযোগ আসবে শুধু অপেক্ষা মাত্র।

উত্তর আমেরিকার জনবহুল নগরী মেক্সিকো সিটিতে অবস্থান করছে হৈমন্তী। দুদিন বাসা চেঞ্জ করা নিয়ে খুব ব‍্যস্ত সময় পার করেছে। বাসা খোঁজা একটা ঝামেলার কাজ। তাছাড়া শুধু বাসা হলেই তো হবে না। বাসার পরিবেশটা কেমন সেদিকেও নজর রাখতে হয়। একটা প্রবাসী বাঙালির বাসা ভাড়া নিয়েছে হৈমন্তী। ভদ্রমহিলা বিধবা। ছেলে মেয়ে আছে কিন্তু কেউ ভদ্রমহিলার সঙ্গে থাকে না। ছেলেটা জব করে অন‍্য শহরে থাকে। আর মেয়েটার বিয়ে হয়েছে। জামাইয়ের সঙ্গে থাকে।

বাসার ভাড়াটাও খুব বেশি না। হৈমন্তীর একাউন্টে বেশ কিছু টাকা আছে। একটা ছোটখাটো কোম্পানিতে দুবছর কাজ করেছিল। আরাফাত ওর টাকা খরচ করতে দেয়নি ফলে টাকাগুলো জমানো আছে। এটাই এর একমাত্র ভরসা। নতুন চাকরি খুঁজতে হবে। আপাতত ছোটখাট একটা হলেই হবে। ভদ্রমহিলার বেশ মিশুক টাইপের। ওকে চাকরি খুজতে সাহায্য করবে বলেছে। ইউনিভার্সিটির আশেপাশে থাকতে চেয়েছিল কিন্তু শেষপর্যন্ত হয়নি। তাছাড়া চেনাজানা কারো সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কোনো ইচ্ছে নেই। ক্লাস নিয়মিত করবে। হৈমন্তী কথাগুলো ভাবছিল আর বিছানা ঠিক করছিল হঠাৎ দরজায় শব্দ হলো। হৈমন্তী দ্রুত দরজা খুলে বাইরে উঁকি দিয়ে দেখলো মরিয়াম আন্টি দাঁড়িয়ে আছে। হৈমন্তী মিষ্টি হেসে জিঞ্জাসা করল,

শেষ থেকে শুরু পর্ব ১৩

আন্টি কিছু বলবেন?
> আমার সঙ্গে হাসপাতালে যাবে একটু? আমার এক আত্মীয় হাসপাতালে ভর্তি আছে। যেতে হবে।
হৈমন্তী কিছু ভেবে নিয়ে বলল,
> নিশ্চয়ই। আপনি অপেক্ষা করুন আমি আসছি।
হৈমন্তী দ্রুত ড্রেস চেঞ্জ করে নিলো। লঙ ড্রেসের সঙ্গে হিজাব জড়িয়ে মুখ বেধে ভদ্রমহিলার সঙ্গে বেরিয়ে পড়লো।

শেষ থেকে শুরু পর্ব ১৫