হৃদয়াসিক্ত কাঠগোলাপ পর্ব ১৬

হৃদয়াসিক্ত কাঠগোলাপ পর্ব ১৬
সাদিয়া জাহান উম্মি

লজ্জারাঙা মুখ নিয়ে দাঁড়িয়ে আরাবী। তোয়ালে দিয়ে চুল মুচ্ছে ও।আর ওর দিকে একধ্যানে তাকিয়ে আছে জায়ান।জায়ানের সেই প্রখর চোখের দৃষ্টির মাঝে আবদ্ধ আরাবী যেন লজ্জাবতীর লতার ন্যায় আরো নুইয়ে পরছে।আরাবী চুল মুছা শেষ করতেই জায়ানের কণ্ঠস্বর,

-‘ এদিকে আসো।’
-‘ কেন?’
-‘ আহা,আসো নাহ।’
বিরক্ত হয়ে বললো জায়ান।আরাবী শাড়ি সামলে নিয়ে এগিয়ে গেলো জায়ানের কাছে।জায়ান হাই তুলে উঠে বসলো।তারপর হাত ধরে পাশে বসালো আরাবীকে।আরাবী লাজুক চোখে তাকিয়ে।জায়ান মুচঁকি হেসে আরাবীর গাল স্পর্শ করলো।তারপর আরাবীর কপালে দীর্ঘ চুমু এঁকে দিলো।সরে এসে বলে,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

-‘ আর কখনও আমার আগে বিছানা ছাড়বে না।আমাকে ডেকে দিবে,বুঝেছো?তোমাকে দেখে, তোমার কপালে উষ্ণ ছোঁয়া দিয়েই আমি আমার দিনটা শুরু করতে চাই।’
আরাবী মাথা দুলালো।তারপর ধীরে বলে,
-‘ যান ফ্রেস হয়ে আসেন।আজ তো আপনাদের বাড়ি ফিরে যাবো।’

আরাবীর কথায় রেগে গেলো জায়ান।রাগি চোখে তাকিয়ে ঝাঝালো গলায় বলে,
-‘ আপনাদের বাড়ি মানে?আপনাদের বাড়ি কি?হ্যা, থাপ্প’ড় দিয়ে গাল লাল করে দিবো।আমাকে রাগালে।’
মুখটা একটুখানি হয়ে গেলো আরাবী।ভোঁতা মুখ করে বলে,
-‘ ইস,এই ভালোবাসা দেখান আবার থাপ্প’ড় দিবেন বলেন।এমন করেন কেন?’
-‘ তুমি রাগাও কেন?’

-‘ আমি কোথায় রাগালাম?আমার একটু সময় লাগবে না সবটা গুছিয়ে নিতে?’
জায়ান কপালে ভাঁজ ফেলে তাকালো।তারপর বিছানা থেকে উঠতে উঠতে বলে,
-‘ সবটা গুছিয়ে নিতে সময় লাগবে আমিও জানি।তবে এখন থেকে তোমার আমার বলতে কিছু নেই আরাবী।এখন থেকে সব আমাদের হবে বুঝেছো?এটাই লাস্ট আর যেন শুনতে না পাই এই কথা।’

আরাবী বাধ্য মেয়ের মতো মাথা দুলালো।জায়ান মৃদ্যু হেসে বলে,
-‘ যাও আমার জামা-কাপড়গুলো বের করে দেও।আমি ফ্রেস হয়ে আসছি।’
জায়ান ওয়াশরুমে চলে যেতেই আরাবী বিছানা গুছিয়ে নিলো।তারপর জায়ানের কথা মতো জামা কাপড় বের করে বিছানার উপর রেখে চলে গেলো রুমের বাহিরে।এখন তাকে জায়ানের জন্যে কফি বানাতে হবে।রান্নাঘরে এসে দেখে লিপি বেগম কাজ করছেন।আরাবী তার পাশে গিয়ে দাড়ালো। বললো,

-‘ আম্মু কিছু হেল্প করতে হবে?’
লিপি বেগম তরকারি নাড়াচাড়া দিতে দিতে তীক্ষ্ণ কণ্ঠে বলে উঠলেন,
-‘ এখন আর আমাকে কাজ দেখিয়ে আদিক্ষেতা দেখাতে হবে না।আপনি এখন মহারানি ভিক্টোরিয়া হয়ে গিয়েছেন।আপনার শশুড়বাড়ি কাজের লোকের অভাব নেই।একগ্লাস পানি ঢেলেও তো আপনাকে খেতে হবে না।সেখানে আমি আপনাকে দিয়ে কাজ করালে আপনার স্বামি আমার গর্দাণ না নিয়ে নেয়।’

লিপি বেগমের এমন তিরিক্ষিপূর্ণ মেজাজের কথা শুনে আরাবীর অনেক রাগ লাগলো।এসেই তো ভালোভাবেই জিজ্ঞেস করলো।তাহলে এইভাবে এসব বলার তো মানে হয় না।আরাবী খানিক বিরক্ত হয়ে বলে,
-‘ কি আশ্চর্য আম্মু।এখানে এইসব কথা বলার কি আছে?আমি তো তোমাকে এসব বলিনি।আমার সামান্য একটা কথাকে তুমি কোথায় থেকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছো।’

লিপি বেগম হাতের খুন্তিটা ঠাস করে ফেলে দিলেন।তারপর খপ করে আরাবীর হাত শক্ত করে ধরে বলে,
-‘ বিয়ের একদিন না যেতেই এখনই আমার সাথে তর্ক করছিস।বাহ,টাকা ওয়ালা জামাই পাওয়ায় শরীরে এতো অহংকার বেরে গিয়েছে।’

-‘ আম্মু, এসব কি বলছো তুমি?’
-‘ আহারে কচি খুকি কিছু জানে না।’
রান্নার ঘরের দরজার সামনে দাঁড়ানো ফিহা কথাটা বললো।আরাবী চোখ গরম করে তাকালো।তা দেখে ফিহা ন্যাকা গলায় বলে,
-‘ দেখলে মা দেখলে?এই কালি কিভাবে আমাকে চোখ রাঙানো দিচ্ছে।’
লিপি বেগম রাগি গলায় বলে,

-‘ চোখ নামিয়ে কথা বল।বড়লোক বাড়িতে বিয়ে হয়ে গেছে দেখেই ভাবিস না তোর চোখ রাঙানিতে আমরা ভয় পাবো।’
আরাবী যেন এইবার সহ্য করতে পারলো না।এক ঝটকায় লিপি বেগমের হাত থেকে হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বলে,
-‘ আমি কোন অহংকার করছি না।আর না অহংকার করবো।তোমাদের দুজনের মন এতোটাই কুৎসিত যে তোমাদের চিন্তাভাবনা এতো নিচু।শুধু গায়ের রঙ সাদা হলে হয় না অন্তরটাও সাদা হতে হয়।যা তোমাদের নেই।আমি এমন কথা বলতাম না।তবে আজ বলতে বাধ্য হলাম।নাহলে তোমরা কেমন মানুষ হ্যা? বাড়িতে নতুন মেয়ের জামাই আছে।তোমরা তা বাচবিচার না করে কি শুরু করে দিয়েছো।সামান্যতম বিবেগ নেই তোমাদের মাঝে।’

লিপি বেগম আরাবীর এহেন কথার তেজ দেখে বাকরুদ্ধ। তিনি ভাবতেই পারেননি আরাবী এইভাবে তার কথার প্রতিবাদ করে উঠবেন।এর মাঝে আরাবী আবার বলে উঠলো,
-‘ কথা বাড়িয়ে লাভ নেই আম্মু।কফি বানিয়ে চলে যাচ্ছি।’
আরাবী থমথমে মুখে ঝটপট কফি বানিয়ে চলে গেলো।ও চলে যেতেই ফিহা রাগে গজরাতে গজরাতে বলে,
-‘ দুধকলা দিয়ে কালসা’প পুসেছো এতোদিন।বড়োলোক বাড়িতে বিয়ে হতে না হতেই আসল রূপ বেড়িয়ে আসছে দেখেছো?’

লিপি বেগমের চেহারা রক্তিম আকার ধারণ করলো।বললো,
-‘ বেশি পাখা গজিয়েছে এই মেয়ের।পাখা গজালে সেই পাখা কিভাবে কেটে দিতে হয় তা আমি ভালোভাবেই জানি।’
ফিহা মায়ের কথায় খুশি হলো।পরক্ষণে আবার বলে,
-‘ কিন্তু আব্বু সে তো….!’

লিপি বেগম তার কাজ করতে করতে বললেন,
-‘ তাকে সামলাতে হয় কিভাবে তা আমি খুব ভালোভাবেই জানি।আপাততো দেখতে থাক কি করি আমি।’
ফিহা দৃঢ়কণ্ঠে বললো,
-‘ যে করেই হোক আম্মু।আমাকেও ওই বাড়িতে বিয়ে করতেই হবে।ওর এতো অহংকার সহ্য হচ্ছে না আমার।’
-‘ তার ব্যবস্থাও হবে।আরাবীর বিয়েটা এখনই হলো কয়েকদিন যেতে দে। তারপর সেই বাড়ির ছোটো ছেলের সাথে তোর বিয়ের কথা বলবো।’
ফিহা কথাটা শুনেই খুশি হয়ে নাঁচতে নাঁচতে চলে গেলো।

আরাবী রুমে প্রবেশ করা মাত্র জায়ানও ওয়াশরুম থেকে বের হলো।আরাবীর থমথমে মুখশ্রী দেখে ভ্রু-কুচকালো। তারপরেও কিছু বললো না।জায়ানের কোমড়ে শুধু তোয়ালে পেঁচানো। আরাবী খেয়াল করেনি সেটা।কফিটা সাইড টেবিলে রেখে ঘুরে তাকাতেই জায়ানকে দেখে থতমত খেয়ে গেলো।মনে মনে ভাবলো।

লোকটার কি লজ্জা শরম বলতে কিছু নেই।এইভাবে কেউ এমনভাবে রুমে ঘুরে বেড়ায়।জায়ানের উদম বুকের দিকে নজর যেতেই শ্বাস আটকে আসে আরাবীর।জায়ানের আকর্ষনীয় স্লিম পেটানো শরীর দেখে যে কোন মেয়ে সহজেই আকৃষ্ট হয়ে যাবে।আরাবীও সেই কাতারেই পরলো। হঠাৎ সম্ভিৎ ফিরে পেতেই দ্রুত চোখ সরিয়ে নিলো।আমতা আমতা করে বলে,

-‘ এই অবস্থায় কেউ এমন ভাবে রুমে ঘুরে বেড়ায়?’
-‘ আমি করি।’
জায়ানের সোজাসাপটা কথা শুনে কপালে ভাঁজ পরলো আরাবীর।আঁড়চোখে তাকালো জায়ানের দিকে।লোকটার হালকা লোমশ বুকে নজর যেতেই লজ্জায় মুখশ্রী গরম হয়ে উঠলো।জায়ানের বুকে স্পষ্ট আরাবীর নখের দাগ দেখা যাচ্ছে।এইগুলো যে তারই দেয়া তা বুঝতে বিন্দুমাত্র সময় লাগলো না আরাবীর।আরাবীর লজ্জারাঙা মুখশ্রী দেখলো জায়ান। ভেজা চুলগুলোতে হাত দ্বারা বেকব্রাশ করলো।অতঃপর হালকা হেসে বলে,

-‘ লজ্জা পাচ্ছো কেন?’
আরাবী নতমস্তকে বলে,
-‘ জামা-কাপড় পরছেন না কেন?’
-‘ ইচ্ছে করছে না।এইভাবেই থাকতে ভালো লাগছে।’
জায়ানের এমন কথায় আরাবী বির বির করল,
-‘ নির্ল*জ্জ লোক।’

-‘ একেবারে ঠিক আমার মধ্যে লজ্জা শরম বলতে কিছুই নেই। আর আমাকে এইভাবে দেখার অভ্যাসটা করে যতো জলদি করে নিবে তোমার জন্যে ততোই ভালো হবে। এখন এদিকে আসো।’

জায়ান আরাবীকে ডাকায় আরাবী হকচকিয়ে গেলো।লোকটা আবার তাকে ডাকছে কেন?মতলব তো ভালো দেখাচ্ছে না লোকটার।আরাবী শুকনো ঢোক গিললো। জায়ান বিছানায় আয়েশ করে বসে আবারও ডাকলো আরাবীকে।আরাবী ধীর পায়ে জায়ানের কাছে এসে দাড়ালো।জায়ান আরাবীর হাত ধরে টেনে ওকে আরো নিজের কাছে আনলো।তারপর আরাবীর হাতে তোয়ালে দিয়ে বলে,

-‘ মাথা মুছে দেও।’
আরাবী বেক্কলের মতো তাকিয়ে থাকলো কতোক্ষণ।তারপর বুঝতে পেরে বলে,
-‘ এর জন্যে ডাকছিলেন?’
জায়ান ভ্রু উঁচু করে বলে,
-‘ তো? তুমি কি মনে করছিলে?’
-‘ ন…নাহ।কিছু না।’

আরাবী আলতো হাতে জায়ানের মাথা মুছে দিতে লাগলো। হুট করে জায়ান আরাবীর কোমড় জড়িয়ে ধরে ওর পেটে মুখ গুজে দিলো।কেঁপে উঠলো আরাবী।খামছে ধরলো জায়ানের চুল।জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিতে লাগলো।জায়ান আরাবীকে আরো নিবীড়ভাবে চেপে ধরে বলে,
-‘ চুল খামছে ধরে আর কাঁপাকাঁপি করে আমাকে সিডিউস করতে হবে না। আমি এমনিতেই ফুল মুডে থাকি।শুধু একটু ইশারা করলেই হবে।’

জায়ানের এমন লাগামছাড়া কথা শুনে আরাবী লজ্জায় হাশফাশ করে উঠলো।মোচড়ামুচড়ি শুরু করে দিলো জায়ানের কাছ থেকে ছুটে যাওয়ার জন্যে।জায়ান বিরক্ত হলো আরাবীর কাণ্ডে।নাক মুখ কুচকে তাকালো আরাবীর দিকে।বললো,
-‘ এমন করছো কেন?’
-‘ আপনি ছাড়ুন আমাকে।’
-‘ এতো লজ্জা পাওয়ার কি আছে? কাল রাতেও না লজ্জা ভেঙে দিলাম?’

-‘ উফ, কি শুরু করলেন আপনি?ইচ্ছে করে এমন করছেন তাই নাহ?’
আরাবী সরে গিয়ে বললো কথাটা। জায়ান শব্দ করে হেসে দিলো। আরাবী ভেজা তোয়ালে নিয়ে দ্রুত বারান্দায় গিয়ে তা নেড়ে দিলো।তারপর রুমে এসে দেখলো জায়ান প্যান্ট পরে নিয়েছে।আরাবী আসতেই ওর কাছে এগিয়ে গেলো জায়ান।তারপর আরাবীর হাতে শার্টটা ধরিয়ে দিয়ে বলে,
-‘ পরিয়ে দেও।’

জায়ান সকাল সকাল কিসব পাগলামো শুরু করে দিয়েছে।জায়ানের এহেন কর্মকাণ্ডে আরাবী কিছুই বললো না।অবশ্য ওর ভালোই লাগছে জায়ানের ছোটো থেকে ছোটো কাজগুলো করে দিয়ে। আরাবী মুঁচকি হেসে জায়ানের পিছনে দাড়ালো।শার্টটা পরিয়ে দিবে এমন সময় পিঠের দিকে নজর যেতেই ভ্রু কপালের উপরে উঠে যায়।এ কি অবস্থা জায়ানের পিঠের।নখের আচঁ’ড়ের দাগে ছি’ন্নভি’ন্ন হয়ে আছে পিঠটা।নিজের এমন কাজে আরাবী মুখে হাত দিয়ে রইলো।চোখ ভরে উঠলো আরাবীর।এমনটা সে করতে চায়নি কখনই।লোকটার ব্যাথা করেছে অনেক নিশ্চয়ই।আরাবী আলতো হাতে ছুঁয়ে দেয় পিঠটা।নরম গলায় বলে,

-‘ ব্যাথা করে?’
-‘ উহু, একটুও নাহ।’
বলতে বলতে জায়ান ঘুরে গেলো আরাবীর দিকে।আরাবীর দুগালে স্পর্শ করে ফের বললো,
-‘ এটা তোমার দেওয়া ভালোবাসার চিহ্ন আরাবী।এতে মন খারাপ করার কিছুই নেই।আমিও তো তোমাকে কতো ব্যাথা দেই। কামড়ও তো দিয়েছি কতো।’
এগুলো শুনে কান্না থেমে গেলো আরাবীর।মুখশ্রীতে এসে ভড় করলো একরাশ লজ্জা।জায়ান আরাবীকে টেনে বুকে নিয়ে বলে,

-‘ আমার শরীরের একেকটা নখের আচঁড় বলে দেয় তুমি আমাকে ঠিক কতোটা গভীরভাবে অনুভব করো।আমার ভালোবাসাকে অনুভব করো।আর আমি এটাই তো চাই আরাবী। আমার স্পর্শ যেমন তোমার সর্বাঙ্গে বিরাজমান থাকে,ঠিক তেমনি আমার কাঠগোলাপের একেকটা কোমল স্পর্শ যেনও আমার শরীরেও থাকে।’

হৃদয়াসিক্ত কাঠগোলাপ পর্ব ১৫

ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।কেমন হয়েছে জানাবেন।গল্পটা বোরিং লাগছে?জলদি শেষ করে দিবো নাকি?রিচ এতো কমে গেলো কেন?

হৃদয়াসিক্ত কাঠগোলাপ পর্ব ১৭+১৮

3 COMMENTS

  1. Assalamualaikum appi… Asa kri apni vlo asn.. Appi apnr aii golpo ta onk joss.. Amr porte onk vlo lage… Apni aii golper next part gulu taratari diben plz..r golpo ta taratari shes na korar request oilo apnr kase…r apnr mote aii golpo ta porte akdon boring lgse na…. borong aii golpo ta taratari shes krle kosto pabo….vlo thakbn appi, r taratari next part gulu diyen.. Allah Hafiz.

  2. Appi next part gulu taratari diyen😊😊… Jodi na den tahole apnr naame police er kase complaint krbo 🤭🤭🤭

  3. Assalamualaikum appi.. Asa kri apni vlo asn😊… Appi apnr aii golpo ta onk joss🥰🥰…. Amr porte onk vlo lage😊…. R apnr mote, apni ki blsn j Golpo ta prte boring lgse ki na 🤔🤔tobe ami bli Golpo ta jodi apni taratari shes krn tahole onk kosto pabo😓😓….r haa bar bar blteci Next part gulu taratari diyen plz… Vlo thakbn appi r golpo diye amader vlo rakbn😊😊😊…Allah Hafez, appi 😊😊

Comments are closed.