হৃদয়াসিক্ত কাঠগোলাপ পর্ব ৩

হৃদয়াসিক্ত কাঠগোলাপ পর্ব ৩
সাদিয়া জাহান উম্মি

বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে আরাবী। আপন ভাবনায় ব্যাকুল সে।মাথায় চিন্তার শেষ নেই।কি থেকে কি হয়ে গেলো হঠাৎ। কয়েকপলকের মাঝে ওর জীবনের মোড় পুরোই ঘুরে গেলো।হাতের দিকে তাকালো আরাবী।সেখানে মাঝের আঙুলে পরা আংটিটার দিকে গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো।আচমকা আংটিটায় হালকা স্পর্শ করলো আরাবী।স্পর্শ করা মাত্র হালকা কেঁপে উঠলো ও।

আর মাত্র হাতে গোনা পনেরো দিন তারপরেই বাবা মায়ের আদরের কন্যা বিদায় নিয়ে চলে যাবে অন্যের বাড়ির বউ হয়ে। সারাজীবনের জন্যে একজন পুরুষের সাথে ওর জীবন জুড়ে যাবে ওর।স্বামি স্ত্রীর পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হবে ওরা।লম্বা শ্বাস ফেললো আরাবী।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

সকল চিন্তা চেতনা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিলো।যা হবার তা হবেই খামোখা টেনশন করে লাভ নেই।আরাবী রুমে যাওয়ার জন্যে পা বাড়ালো। তৎক্ষনাত দরজায় হুলস্থুলভাবে কেউ বা’রি দিতে লাগলো।আরাবী ভড়কে গেলো এমন করায়। দ্রুত পায়ে গিয়ে রুমের দরজা খুলে দিলো। দরজা খুলতেই আরাবীর ছোট বোন ফিহা হুরমুরিয়ে ওর রুমে প্রবেশ করলো।আরাবী ভ্রু-কুচকে তাকালো ফিহার দিকে।এদিকে ফিহা আরাবীর পা থেকে মাথা পর্যন্ত পর্যবেক্ষন করে বললো,

-‘ কিরে তোর না-কি বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে? আব্বু বললো।’
আরাবী ড্রেসিংটেবিলের দিকে যেতে যেতে বলে,
-‘ আব্বু যেহেতু বলেছো তাহলে তাই হবে।’
ফিহা রেগে গেলো আরাবীর কথায়।রাগি গলায় বলে,
-‘ বিয়ে ঠিক হতে না হতেই তোর ভাব বেড়ে গিয়েছে তাই নাহ আরাবী?’
আরাবী শান্ত কন্ঠে বলে,

-‘ সম্মান দিয়ে কথা বল ফিহা।আমি তোর বড় বোন।’
-‘ বড়বোন মাই ফুট।তোকে বড়বোন মানে কে? তোকে কোন দিক দিয়ে আমার বোন মনে হয়? আমার সাথে তো তোর কিছুই মিল নেই।না চেহারায় না গায়ের রঙে।সো নিজেকে আমার বোন বলবি না কোনদিন।’
আরাবী’র চোয়াল শক্ত হয়ে আসলো ফিহার কথায়।মেয়েটা এতো বেয়া*দপ হচ্ছে দিন দিন।কারো পরোয়া করে নাহ।মানুষকে নূন্যতম সম্মানটাও করতে জানে নাহ এই মেয়ে।আরাবী শক্ত গলায় বলে,

-‘ ফিহা আমার রুম থেকে বের হো।তোর এসব অহেতুক কথা আমি শুনতে চাই নাহ।’
-‘ যাবো না কি করবি তুই?’
আরাবী এবার বেশ চটে গেলো।রাগি আওয়াজে বলে,
-‘ ফিহা আমি কিন্তু তোকে থাপ্পর দিতে বাধ্য হবো। বের হো আমার রুম থেকে।’

কথাগুলো বলে আরাবী হাত উঁচিয়ে ফিহা রুম থেকে বের হবার জন্যে ইশারা করলো।ওমনি ফিহা নজরে আসে আরাবী হাতে পরিহিত স্বর্ণের আংটিটা।ফিহা দ্রুত পায়ে এসে আরাবীর হাত চেপে ধরলো। আচমকা এমন করায় বেশ অবাক হলো আরাবী।নিজের হাত ছাড়াতে চাইলো ফিহা থেকে।কিন্তু ফিহা ছাড়ছে নাহ।আরাবী বিরক্ত হয়ে বললো,
-‘ কি করছিস ফিহা? হাত ছাড়।’

ফিহা আরাবীর হাতের আংটিটা টেনে খুলার চেষ্টা করতে করতে বলে,
-‘ এই আংটিটা অনেক সুন্দর। আমাকে দে না আমি একটু পরি।দু তিন দিন হাতে দিয়ে তারপর তোকে ফেরত দিয়ে দিবো।’
-‘ ফিহা কি হচ্ছে কি এসব?ছাড় আমার হাত।ছাড়।’

ফিহা আর আরাবী ধস্তাধস্তি শুরু করে দিলো।ফিহা আংটিটা খুলার চেষ্টা করতে লাগলো।আরাবী সহ্য করতে না পেরে ফিহাকে সজোড়ে ধাক্কা মারলো।ফিহা ছিটকে পরলো গিয়ে বিছানার উপর।আরাবী হাত চেপে ধরলো।ফিহা শক্ত করে হাত ধরায় হাতের কব্জিতে বেস ব্যাথা পেয়েছে আরাবী।আবার যেই আঙুলে আংটি পরা সেই আঙুলটাও অনেক খানি ছি*লে গিয়েছে।র’ক্ত বের হচ্ছে।এদিকে বিছানায় পরে গিয়ে ফিহা ন্যাকা কান্না করতে লাগলো চিৎকার করে।
-‘ আম্মু, আব্বু, ভাইয়া দেখে যাও আরাবী আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে।আম্মুউ!’

ফিহা একটুও ব্যাথা পায়নি শুধু শুধু অভিনয় করছে।এদিকে ফিহার কান্না শুনে সবাই ছুটে আসলো আরাবীর রুমে।লিপি বেগম গিয়ে ফিহাকে আঁকড়ে ধরলো।জিহাদ সাহেব আরাবীর কাছে গেলেন দ্রুত।কারন তিনি দেখেছেন আরাবীর হাত থেকে র’ক্ত ঝরছে। লিপি বেগম রাগি গলায় আরাবীকে বলে,
-‘ কি সমস্যা তোর? ফিহাকে কেন ধাক্কা দিয়েছিস তুই?’
আরাবী মাথা নিচু করে নিলো।চাপা আওয়াজে বলে,

-‘ আমি ইচ্ছে করে ধাক্কা দেইনি আম্মু।’
-‘ চুপ একদম ন্যাকা সাজবি নাহ।তুই যে ফিহাকে দেখতে পারিস না তা আমি ভালোভাবেই জানি।’
-‘ কি বলছো আম্মু।এমনটা কেন হবে? ফিহা আমার বোন।’
ফিহা এই কথা শুনে চেচিয়ে বলে,

-‘ একদম আমাকে নিজের বোন বলবি না। তুই আমাকে বোন মানিসই না। তাহলে কি তুই আমাকে ধাক্কা দিতি?’
-‘ ফিহা তুই তো আমার সাথে জোড়জুড়ি করছিলি?’
-‘ একদম মিথ্যা বলবি না আরাবী।নাহলে আমি তোকে চড় মারবো বলে দিলাম।’

লিপি বেগমের ধমকে চুপ হয়ে গেলো আরাবী।এদিকে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আরাবীর বড় ভাই ফাহিম।এতোক্ষন সে চুপচাপ সব দেখছিলো।মেজাজ তু’ঙ্গে উঠে গিয়েছে ওর।ফাহিম একটা কোচিং সেন্টারে পড়ায়।ফিহাও সেখানে পড়ে।ফাহিমের পড়ানো শেষ হলে ফিহাকে নিয়েই একেবারে বাড়ি ফিরে আসে ফাহিম।

আজকেও তাই হয়েছে।ফ্রেস হয়ে আসতেই ওর বাবা জানায় আরাবীর বিয়ে ঠিক হয়েছে তাও তার বাবার অফিসের বসের ছেলের সাথে।শুনে খুব খুশি হয় ফাহিম।কিন্তু এই কথাটা শুনার সাথে সাথে ফিহা যে উঠে আরাবীর রুমের দিকে গিয়েছে সেটা ও লক্ষ করেছে।তাই নিজেও পিছু পিছু এসেছে।সে জানে ফিহার স্বভাব কেমন।এবং এতোক্ষন যা হচ্ছিলো সবই দেখেছে ও। ফাহিম রাগি চোখে ফিহার দিকে তাকিয়ে বলে,

-‘ মিথ্যা আরাবী না মিথ্যা বলছে ফিহা।ফিহা এসেই আরাবীকে ওর শশুড়বাড়ি থেকে পরিয়ে যাওয়া আংটিটা নেওয়ার জন্যে টানাটানি করছিলো।আরাবী হাতে ব্যাথা পাওয়ার কারনেই ফিহাকে ধাক্কা দিয়েছে।আমি নিজেই সব দেখেছি।’
-‘ ভাই..ভাইয়া কি বলছো তুমি এসব?’
জিহাদ সাহেব ধমকে উঠলেন ফিহাকে,

-‘ বেয়াদ*প মেয়ে।বড়বোনের এনগেজমেন্টের আংটি নেওয়ার জন্যে এসব করতে তোমার লজ্জা করলো নাহ? যাও নিজের ঘরে যাও। নাহলে চড়িয়ে গাল লাল করে দিবো।’
ধমক খেয়ে ফিহা কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলো নিজের রুমে। লিপি বেগম এইবার ফাহিমকে উদ্দেশ্য করে বলেন,
-‘ সামান্য একটা আংটির জন্যে আরাবী এমন করলো।আর তুই ফিহাকে এর জন্য দোষ দিচ্ছিস।’
জিহাদ সাহেব বেশ রুক্ষ কন্ঠে বলেন,

-‘ এটা সামান্য আংটি না লিপি সেটা তুমিও জানো।এটা ওর বাগদানের আংটি।’
লিপি বেগম কিছু বলতে নিবেন তার আগেই জিহাদ সাহেব তাকে থামিয়ে বলেন,
-‘ আমি আর কিছু শুনতে চাই না।তোমার গুনধর ছোট মেয়ের কাছে যাও তুমি।এই বিষয়ে যেন আর কোন কথা না উঠে।আর ফিহা ভালোভাবে বুঝিয়ে দিও বড়বোনের সাথে কিভাবে বিহেব করতে হয়।’
লিপি বেগম স্বামি কথায় দমে গেলেন। রাগি চোখে আরাবীর দিকে তাকিয়ে চলে গেলেন।ফাহিম এইবার এগিয়ে এসে বলে,

-‘ বাবা যাও তুমি রুমে যাও।খাওয়ার আগে তোমার মেডিসিন আছে।আমি আরাবীকে দেখছি যাও তুমি।’
ছেলের কথায় জিহাদ সাহেব আরাবীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে তারপর চলে গেলেন।তিনি যেতেই ফাহিম আরাবীকে ধরে বিছানায় বসালো।তারপর ফার্স্টএইড বক্স এনে আরাবীর হাতটা ব্যান্ডেজ করে দিলো।আরাবী মাথা নিচু করে আছে।ফাহিম আরাবীর মাথায় আদুরে হাত বুলিয়ে বলে,

-‘ তুই এতো তাড়াতাড়ি বড় হয়ে গেলি কিভাবে বলতো আরাবী? তোর নাকি বিয়েও ঠিক হয়ে গিয়েছে।বাবার কাছে কথাটা শুনে একটু রাগ লেগেছিলো।এভাবে হুটহাট কি কোন কিছু হয় বল? পরে যখন শুনলাম বাবার অফিসের বস নিহান সাখাওয়াতের ছেলে জায়ান সাখাওয়াতের সাথে তোর বিয়ে ঠিক হয়েছে শুনে ততোটাই খুশি হলাম।ছেলেটা অনেক ভালো।আমার থেকে দু ব্যাচ সিনিয়র ছিলো সে ভার্সিটিতে ।তাই তাকে বেশ ভালোভাবেই চিনি আমি।ছেলেটা একটু গম্ভীর তবে মনের দিক দিয়ে বেশ ভালো।আমি যতোটুকু দেখেছি।’

আরাবী কিছু বললো না চুপ করে রইলো।ফাহিম এইবার ধীর আওয়াজে জিজ্ঞেস করলো,
-‘ তুই কি এই বিয়েতে রাজি আরাবী?’
আরাবী হাসিমুখে তাকালো ভাইয়ের দিকে তারপর বলল,
-‘ আমার আব্বু আর ভাইয়া যেহেতু বলছে এখানে বিয়ে হলে আমি সুখে থাকবো।আর তারা যেহেতু রাজি তাই আমিও রাজি।আর আমার যেহেতু কোন পছন্দ নেই।তাই তোমাদের পছন্দই আমার পছন্দ ভাইয়া।আমি এই বিয়েতে খুশি।হয়েছে?এটাই তো শুনতে চেয়েছিলে তুমি?’
ফাহিম হেসে আরাবীর গাল টেনে দিলো,

-‘ সব জানিস দেখি।’
-‘ তোমার বোন বলেই তো সব জানি।’
ফাহিম বোনকে বুকে টেনে নিলো।আরাবীও ভাইকে জড়িয়ে ধরলো।ওর আব্বু আর ভাই যেহেতু বলেছে লোকটা ভালো আর ফ্যামিলিও ভালো।তাহলে আরাবীর আর কোন চিন্তা নেই।ওর আব্বু আর ভাই ওর জন্যে বেস্ট’টাই সিদ্ধান্ত নিবে ও জানে।

নূর আর ইফতি ফিসফিস করছে।নূর হলো জায়ানের ছোট বোন।নূর বলছে,
-‘ ইফতারি ভাইয়া জায়ান ভাইয়ার কি হয়েছে বলোতো?’
ইফতি নূরের কথায় বিরক্ত হয়ে তাকালো নূরের দিকে।চাপা ধমকে বলে,
-‘ বেয়া*দপ মেয়ে।ইফতারি কি হ্যাৃ? আমার নাম ইফতি ঠিকঠাকভাবে বল।নাহলে থাপ*ড়িয়ে কান লাল করে দিবো।’
নূর মুখ কালো করে বললো,

-‘ আমি তোমাদের দুই ভাইয়ের একবোন আমাকে মা*রতে পারবে তুমি?’
ইফতি রাগি কণ্ঠে বললো,
-‘ তাহলে তুই উল্টাপাল্টা নামে ডাকিস কেন আমায়?’
-‘ উফ,আচ্ছা বাদ দেও।এটা বলো ভাইয়া আমাদের ভাবিকে দেখে কি রিয়েকশন দিয়েছিলো?’
-‘ কি আর রিয়েকশন দিবে?ব্যাটা জন্মের নিরামিষ।ওর মতো আমি আর কাউকে দেখি নি।’
নূর ভাব নিয়ে বললো,

-‘ দেখবা কেমনে আমার জায়ান ভাইয়ার মতো একপিছই হয়।’
ইফতি নূরের মাথায় চা*টি দিয়ে বলে,
-‘ ও মানুষ না রোবট।’
-‘ উফ, ভাইয়া মারলা কেন?’
-‘ তোরা দুটো বের হো আমার রুম থেকে।আমার কাজে সমস্যা হচ্ছে।’
ওদের খুনশুটির মাঝে হঠাৎ জায়ানের গম্ভীর গলার আওয়াজে দুজনেই ভড়কে গেলো।নূর নিজেকে সামলে নিয়ে দাঁত কেলিয়ে বলে,

-‘ ভাইয়া বলছিলাম কি…’
জায়ান নূরকে আর বলতে দিলো না।তার আগেই ওকে থামিয়ে দিয়ে নিজে বলে,
-‘ কোনরকম অযথা কথা বললে এখনই চুপ যা।’
-‘ আরে ভাইয়া শুনে তো নিবে আমি কি বলি।’
-‘হু!’
-‘ বলছিলাম কি ভাবি কে দেখে তোমার কেমন লেগেছে।’
নূরের প্রশ্নে জায়ানের তেমন একটা পরিবর্তন দেখা গেলো না।জায়ান ল্যাপটপে আঙুল চালাতে চালাতে উত্তর দিলো,
-‘ হু,ভালো।’

হতাশ হলো নূর আর ইফতি।এতো ইনিয়েবিনিয়ে প্রশ্নটা শেষমেষ করলো ওরা।আর জায়ান উত্তর দিলো কি এটা? ‘ হু,ভালো।’ এটা কোন উত্তর হলো?
ওদের ভাবনার মাঝে জায়ান ল্যাপটপ কোল থেকে রেখে তীক্ষ্ণ চোখে নূর আর ইফতির দিকে তাকিয়ে বলে,
-‘ আর কিছু আস্ক করবি?নাহলে যা বের হো।’

নূর মুখ ফুলিয়ে নিলো।তার এই ভাইকে কিছু জিজ্ঞেস করে লাভ নেই। শুধু ত্যাড়াব্যাকা উত্তর দিবে। নূর ইফতির হাত ধরে টানতে টানতে জায়ানের রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো। তারপর ইফতিকে ঝারি দিয়ে বলে,
-‘ কেমন মানুষ তুমি।ভাইয়া আর ভাবি ছাদে একা কথা বলতে গেলো তুমি একটু লুকিয়ে চুরিয়ে দেখবা না ওরা কি করছিলো তখন।’

ইফতি বিরক্ত হলো নূরের এতো বকরবকর শুনে।বললো,
-‘ থামবি তুই?আমি বেহা*য়া নাকি বড় ভাই আর ভাবি একা একা কি করছিলো তা উঁকিঝুঁকি দিয়ে দেখবো।চল এখান থেকে জলদি ভাইয়া নাহলে রেগে যাবে।’
ইফতি নূরকে নিয়ে সেখান থেকে চলে গেলো।এদিকে জায়ান ওদের যাওয়ার পথের দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসলো।ধীর আওয়াজে বললো,

হৃদয়াসিক্ত কাঠগোলাপ পর্ব ২

-‘ আমার মনের অনুভূতি সম্পর্কে জানাটা এতো সহজ ব্যাপার না।যাকে আমি মন দিয়েছি সে ছাড়া আমার চোখের ভাষা,আমার মনের অনুভূতি কেউ বুঝবে নাহ।’
তারপর ক্যালেন্ডারের দিকে তাকিয়ে বিরবির করলো,
-‘ আর মাত্র পনেরো দিন।’

হৃদয়াসিক্ত কাঠগোলাপ পর্ব ৪