হৃদয়াসিক্ত কাঠগোলাপ পর্ব ৪

হৃদয়াসিক্ত কাঠগোলাপ পর্ব ৪
সাদিয়া জাহান উম্মি

সূর্যের প্রখ’র তেজে যেন ঝলছে যাচ্ছে চারপাশ।অসহ্য গরমে নাস্তানাবুদ অবস্থা সবার।একটুখানি শীতল বাতাস এসে গা ছুঁয়ে দিলেই যেন কলি*জা জুড়িয়ে যায়। গরমে অস্থির হয়ে গিয়েও বেঁ*চে থাকার তাগিদার জন্যে সবাই কাজের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পরেছে।থেমে নেই কারো নিত্যদিনকার কাজকর্ম।

এইতো আরাবীও আজ ইউনিভার্সিটিতে এসেছে।আজ মাস্টার্সের প্রথম ক্লাস।মিস দিলে হবে বুঝি?ক্লাস শেষ করে ইউনিভার্সিটি’র গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে ও।পাশেই দাঁড়ানো ওর বান্ধবী আলিফা।আলিফা গরমে হাসফাস করে এইবার আরাবীর উদ্দেশ্যে বললো,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

-‘ দোস্ত,ভাল্লাগে না।গরমে সি*দ্ধ হয়ে যাচ্ছি।’
আরাবীও ক্লান্ত স্বরে বললো,
-‘ হু,আজ অনেক গরম পরেছে।’
-‘ চল না আরাবী পাশে একটা ক্যাফে আছে ওখানে যাই।’
আলিফার কথায় আরাবী ভাবলো আসলেই ক্যাফে গিয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা কিছু খেলে মন্দ হয় নাহ।গলাটা শুকিয়ে এসেছে এমনিতেও।ব্যাগে যে বোতল আছে সেগুলোর পানি খাওয়া আর না খাওয়া সমান ব্যাপার।তাই আরাবী রাজি হয়ে গেলো।

-‘ হ্যাঁ,যাওয়া যায়।’
আরাবী ব্যাগ খুলে ফোন বের করলো।বাবাকে ফোন করে জানিয়ে দেওয়া প্রয়োজন।বাবাকে না বলে ও কোথাও যায় নাহ।ফোন বের করতে নিয়ে আঙুলের ব্যাথা জায়গায় আবারও ব্যাথা পেলো আরাবী।ব্যাথায় ‘ইস’ করে উঠলো।ফলে ব্যান্ডেজটায় র’ক্ত উঠে লাল হয়ে গেলো।আলিফা তা দেখে বলে,

-‘ আরে কি করলি? আবারও ঘা*টা তাজা হয়ে গেলো।একটু দেখে শুনে ব্যাগটা খুলবি নাহ?’
আরাবী মলিন হেসে বলে,
-‘ এইটুকুতে কিছু হবে নাহ।চিন্তা করিস নাহ।’
বাবাকে ফোন করে জানিয়ে দিলো আরাবী।তারপর আলিফার সাথে ক্যাফের উদ্দেশ্যে চললো।

-‘ অফিস টাইমে আমি কাজ রেখে এখন তোদের সাথে এখানে এসেছি।আমার কতো ইম্পোর্টেন্ট কাজ ছিলো জানিস?’
নূর জায়ানের কথায় বিরক্তিতে ‘চ’ এর মতো শব্দ করলো।তারপর বললো,
-‘ একটু আধটু কাজ বাদ পরলে কিছু হয় না ভাইয়া।তোমার বিয়ে ঠিক হয়েছে।ট্রিট দিবে না আমাদের? তুমি এতো কিপ্টা কেন?’
জায়ান ভ্রু-কুচকালো।বললো,

-‘ কিপ্টামি কোথায় করলাম?তোদের কার্ড দিয়েছিলাম নাহ?’
-‘ কার্ড দিয়ে কি হবে?যার বিয়ে তাকেও আসতে হবে স্বয়ং নিজে থেকে ট্রিট দিতে হবে।এটাই নিয়ম।’

একটা মাত্র বোন তার কথা ফেলতে পারবে না জায়ান।তাই চুপচাপ বসে রইলো না চাওয়া সত্তেও।অফিসে গিয়ে সেখান থেকে জায়ান আর ইফতিকে একপ্রকার ধরে টেনেহিছড়ে নিয়ে এসেছে নূর।পুরোটা সময় নূরকে দিতে হবে আজ।শপিং করিয়ে দিতে হবে সাথে যা যা নূর চাইবে তাই দিতে হবে।জায়ানের কাজ থাকায় নিজের কার্ড দিয়ে বলেছিলো ইফতিকে সাথে নিতে। কিন্তু আরাবী নারাজ সে আজ তার দু ভাইকে সাথে করে নিয়েই তবে ক্ষ্যান্ত হয়েছে।ওদের খাওয়ার মাঝে জায়ানের কল আসলো একটা ফোনে।তাই জায়ান উঠে একটু সাইডে চলে গেলো কলটা এটেন্ড করার জন্যে।
নূর বড় ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে মুখ ফুলিয়ে বলে,

-‘ ভাইয়া এমন কেন? আমি উইশ করি ভাইয়াকে যেন ভাবি নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরায়।’
ইফতি মাছি তারাবার মতো করে বলে,
-‘ হাহ সেটা স্বপ্নে।’

কথাটা বলেই ইফতি ক্যাফের দরজার দিকে তাকালো।তাকানো মাত্র হা করে রইলো।নূর ইফতিকে এমনভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে ভ্রু-কুচকালো। নিজেও তাকালো সেদিকে।বিষ্ময়ে গোলগোল হয়ে গেলো নূরের চোখ। তারপর কোন কিছু না ভেবে একদৌঁড় লাগালো সেদিকে।নূরকে এমন করতে দেখে ইফতি চেচিয়ে উঠলো,
-‘ নূর আস্তে যা পরে যাবি।’
কে শুনে কার কথা সে নূর দৌঁড়।

কথা বলতে বলতে আরাবী আর আলিফা ক্যাফেতে ঢুকছিলো।এমনসময় কেউ এসে হুরমুর করে আরাবীকে জড়িয়ে ধরলো।এমন করায় বেশ ভড়কে গেলো আরাবী।আলিফা চেঁচিয়ে উঠলো,
-‘ আরে আরে কে আপনি?ওকে এইভাবে চেপে ধরেছেন কেন?’
আরাবী হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে।এদিকে সে আর কেউ না নূর আরাবীকে ঝাপ্টে ধরেছে।নূর আরাবীকে লম্বা একটা হাগ করে তারপর আরাবীকে ছাড়লো।তারপর হাসিমুখে বললো,

-‘ ভাবি,ভাবি।ইস,তুমি এখানে এসেছো।আমি তোমাকে দেখে একেবারে খুশি হয়ে গেলাম।’
আরাবী চিনতে পারছে না নূরকে।আসলে সেদিন ও ভয়ে আর লজ্জায় কারো দিকেই ভালোভাবে তাকায়নি।আরাবী আমতা আমতা করে বললো,
-‘ কিন্তু তুমি কে?’
নূর হা করে রইলো আরাবীর প্রশ্নে।পরক্ষনে আবার চেহারা দুঃখী দুঃখী করে বলে,
-‘ ভাবি এটা কি বললে তুমি?আমি তোমার জামাইয়ের একমাত্র বোন।তোমার একমাত্র ননদিনী নূর। আর তুমি কিনা আমায় চিনতেই পারোনি।’

আরাবী নূরের কথায় সাথে সাথে জিহবায় কামড় দিলো।সর্বনাশ বড় ভুল করে ফেলেছে।ইস, নূর মেয়েটা এখন কি ভাবছে ওকে নিয়ে।আরাবী জোড়পূর্বক হেসে বলে,
-‘ আসলে বুঝোই তো সেদিন একটু নার্ভাস ছিলাম তাই কারো দিকে তেমনভাবে তাকাইনি।এইজন্যেই চিনতে পারিনি তোমাকে।সরি হ্যাঁ।’
নূর ফিঁক করে হেসে দিলো,

-‘ আরে ভাবি চিল।আমি তো এমনিতেই একটু দুষ্টুমি করছিলাম।’
এরমধ্যেই এখানে এসে ইফতি উপস্থিত হলো।ইফতিকে মনে আছে আরাবীর।তাই ইফতির উদ্দেশ্যে বলল,
-‘ আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া।ভালো আছেন।’
-‘ ওয়া আলাইকুমুস সালাম। ভালো আছি ভাবি।আপনি ভালো আছেন?’
-‘ আলহামদুলিল্লাহ!ভালো।’

আলিফা এতোক্ষন ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে পুরো ঘটনা দেখছিলো।আরাবীর ওর দিকে নজর যেতেই আরাবী আলিফার হাত ধরলো।ধ্যান ভাংলো আলিফার।আরাবী হালকা হেসে বললো,
-‘ ও আমার বান্ধবী আলিফা।’
নূর বললো,

-‘ হ্যালো আলিফা আপু।আমি আরাবী ভাবির একমাত্র একটা কিউট ননদ নূর।’
ইফতি প্রথমে সালাম জানালো।আলিফাও সালামের উত্তর নিলো।ইফতি বলে,
-‘ আমি ভাবির দেবর ইফতি সাখাওয়াত। ‘
সাক্ষাৎ শেষ হতেই।নূর আরাবীর হাত টেনে ধরলো,
-‘ ভাবি তোমরা নিশ্চয়ই ক্যাফেতে কিছু খেতে এসেছো।’
আরাবী নূরের প্রশ্নে বলে,

-‘ হ্যাঁ, আসলে বাহিরে অনেক গরম।তাই ভাবলাম আমি আর আলিফা কোল্ড কফি খাই।’
-‘ বেশ ভালো করেছো।চলো আমরাও এখানে কফি খেতে এসেছিলাম।চলো আমাদের সাথে জয়েন করবে তোমরা আসো।জায়ান ভাইয়াও এসেছে। অনেক মজা হবে।জানো আমি আজ ভাইয়াকে অফিস থেকে ধরে নিয়ে এসেছি।আমার একমাত্র বড় ভাই।তার বিয়ে ঠিক হয়েছে।সে আমাকে ট্রিট দিবে না এটা কি হয়?তাই আমি জায়ান ভাইয়া আর ইফতি ভাইয়া দুজনকেই ধরে বেধে নিয়ে এসেছি।’

জায়ানও এখানে আছে ভয়ে গলা শুকিয়ে আসলো আরাবীর।লোকটা এখানে আছে তারমানে।এখন আরাবী কিভাবে যাবে লোকটার সামনে?এই ব্যাক্তির উপস্থিতি টের পেলেই তো আরাবীর ভয়ে দম বন্ধ হয়ে আসে।কাঁপাকাঁপি করতে করতে জ্ঞান হারাবার মতো অবস্থা হয়ে যায়।নূরকে যে বলবে ও যাবে নাহ সেটাও পারবে নাহ।মেয়েটা না আবার খারাপ কিছু ভেবে বসে।এদিকে নূরকে এমন বকবক করতে দেখে ইফতি বলল,

-‘ আস্তে কথা বল।শ্বাস নেহ।এতো কথা কিভাবে বলিস তুই?’
নূর মুখ কুচকালো।প্রতিবাদি সুরে বলে,
-‘ আস্তে কথা কেন বলবো? মুখ দিয়েছেই আল্লাহ কথা বলার জন্যে।যা মনে আসবে ডিরেক্ট বলে ফেলবো।কোন থামাথামি নেই।’

নূরের এমন বাচ্চামো কথায় আলিফা হেসে দিলো।ইফতি তাকাতেই আলিফা নিজের হাসি বন্ধ করে আবারও সিরিয়াস মুড নিয়ে দাড়ালো।তা দেখে ইফতি হালকা হাসলো।নূর আরাবীকে নিয়ে ওদের টেবিলের সামনে নিয়ে দাড়ালো।ঠিক তখনই জায়ান কথা বলা শেষ করে এসেছে।জায়ানকে দেখেই আরাবী মাথা নিচু করে রইলো।জায়ান আরাবীর দিকে অদ্ভূত দৃষ্টিতে তাকিয়ে।নূর বললো,

-‘ ভাইয়া দেখো সার্প্রাইজ।ভাবিকে নিয়ে আসলাম।’
জায়ান শীতল কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
-‘ হু! কোথায় পেলি ওকে?’
ইফতি জবাবে বলে,

-‘ গরম লাগার কারনে ভাবি আর ওনাত ফ্রেন্ড ক্যাফেতে এসেছে কোল্ড ড্রিংস এর জন্যে।ক্যাফেতেই দেখা হলো মাত্র। তাই নূর আমি গিয়ে নিয়ে আসলাম।আমাদের সাথে যেন জয়েন করে।ভালো করেছি না ভাইয়া।?’

জায়ান ইফতির কথা পরিপ্রেক্ষিতে কিছুই বললো না। শীতল চাহনীতে সে তাকিয়ে আরাবীর দিকে।আরাবী চোখ তুলে একবার তাকালো জায়ানের দিকে।তাকাতেই জায়ানের ওই শীতল চোখের চাহনী দেখে ওর অন্তর আত্মা কেঁপে উঠলো।এইভাবে তাকিয়ে আছে কেন লোকটা ওর দিকে? কি যেন আছে ওই দৃষ্টির মাঝে।আরাবীর বুকের ভীতর এফোড় ওফোড় করে দেয় ওই চাহনী।আরাবী ভয়ের সাথে ঢোক গিললো।শুকিয়ে যাও গলাটা একটু ভিজানোর বড্ড দরকার।জায়ানের শান্ত কন্ঠ শোনা গেলো,

-‘ হেভ আ সিট।’
নূর জায়ানের কথা শুনে টেনে আরাবীকে বসিয়ে দিলো।ইফতিও আলিফাকে বসার জন্যে বললো।আলিফা আরাবীর দিকে তাকালো।আরাবীর একপাশে নূর বসেছে অন্যপাশ খালি।আরাবীর হবু বর সামনে দাঁড়ানো সেই বসবে ওই খালি জায়গাটায়।আলিফা পরিস্থিতি বুঝে অপরপাশে গিয়ে বসে পরলো।ওর পাশে বসলো ইফতি।তবে মাঝে যথেষ্ট জায়গা রেখে বসেছে ছেলেটা।আলিফার ভালো লাগলো ব্যাপারটা দেখে।এদিকে আরাবী চুপচাপ বসে ক্রমাগত হাত কচলাচ্ছে।নার্ভাসনেসের ঠ্যালায় ও বোধহয় ম’রে টরে যাবে।আরাবী বিরবির করলো,

-‘ ইয়া মাবুদ। আমাকে একটু স্বাভাবিক করে দেও।’
কিন্তু তা আর হলে তো?আরাবীর কাঁপাকাঁপি আরো একধাপ বাড়িয়ে দেওয়ার জন্যে জায়ান ধপ করে বসে পরলো ওর পাশে।একদম ওর গা ঘেষে বসলো।আরাবীর শ্বাস গলায় আটকে গেলো।পুরো শরীর বরফের জমে গিয়েছে ওর।জায়ানের বাহু আরাবীর বাহুর সাথে একেবারে লেগে।

আরাবীর যেখানটায় জায়ানের স্পর্শ করছে।আরাবীর মনে হচ্ছে সেই জায়গাটায় কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।এসির মাঝেও ঘামতে লাগলো আরাবী।জায়ান আরাবীর অবস্থা দেখে সবার আড়ালে ঠোঁট কামড়ে মৃদ্যু হাসলো।আলিফা আর ইফতি নূরের বকবক শুনতে ব্যস্ত।জায়ান মাথাটা নিচু করে আরাবীর কানে ফু দিলো।এমন করাতে ভয়ানকভাবে কেঁপে উঠলো আরাবী।হাটুর কাছের জামা সজোড়ে খামছে ধরলো।

হৃৎপিন্ডটা বোধহয় বুক চিরে বেড়িয়ে আসবে।আরাবীর সেই কাঁপা হাতটা জায়ান নিজের হাত দ্বারা চেপে ধরলো।জায়ানের এক একটা কান্ডে যেন আরাবী চারশো চল্লিশ বোল্ডের ঝটকা খাচ্ছে।কি হচ্ছে ওর সাথে কেন হচ্ছে? লোকটা এমন কেন করছে?সেদিনের জায়ান আর আজকের জায়ান এক নাহ।কোনভাবেই এক নাহ।অন্তত আরাবীর কাছে তো নাই।জায়ান আরাবীর হাতটা আরো একটু শক্ত করে ধরে।আরাবীর কানে ফিসফিস করে বললো,

-‘ টেক আ ব্রিথ।’
আরাবী সাথে সাথে মাথাটা সরিয়ে ফেললো।জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিচ্ছে আরাবী। জায়ানের হাতের মাঝে থাকা হাতটা ছাড়ানোর চেষ্টা করতে লাগলো।কিন্তু কোনভাবেই পারছে।আরাবী এইবার না পেরে কাঁপা গলায় নিচু কন্ঠে বলে,
-‘ হাতটা ছাড়ুন প্লিজ।’
জায়ানের কোন জবাব নেই।সে নির্বিকার।ইয়া মাবুদ এই কোন লোকের খপ্পরে পরলো ও, ভাবছে আরাবী।আরাবী আবারও বলে,

-‘ ছা..ছাড়ুন নাহ প্লিজ।’
জায়ানের ভাবলেসহীন উত্তর,
-‘ উহু,এইভাবেই থাকুক।’

এই উত্তরে যেন আরাবীর কেঁদে দেবার মতো অবস্থা।ঠোঁট ভেঙ্গে কান্না আসছে ওর।’এইভাবেই থাকুক!’ বললেই হলো নাকি? এমনভাবে আরাবী থাকবে কিভাবে? এইযে আরাবীর হাত-পা কাঁপছে,হাপানি রোগির মতো শ্বাস নিচ্ছে,হৃৎপিন্ড ধরাস ধরাস করছে।

হৃদয়াসিক্ত কাঠগোলাপ পর্ব ৩

এইভাবে কি থাকা যায়?উহু! একদম নাহ।আজ আরাবীর ম’রেই যাবে।একদম মরে যাবে। সেদিন ওকে কি ধমকটাই নাহ দিলো।জায়ানের ধমক খেয়ে আরাবীর রূহ উড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিলো।আর আজ লোকটা এসব কি করছে? একটা মানুষ রাতারাতি এমন ভাবে বদলে যেতে পারে কি করে?মানে কিভাবে?জানা নেই আরাবীর।কিচ্ছু জানা নেই।

হৃদয়াসিক্ত কাঠগোলাপ পর্ব ৫