বিষাক্ত অনুরাগ পর্ব ৩ || Asfiya Zannat Turfa

বিষাক্ত অনুরাগ পর্ব ৩
Asfiya Zannat Turfa

ভোরের দিকে ঘুম ভাঙে তুরের। ঘুম থেকে উঠেই দেখে রোদ্দুর জায়নামাযে মুনাজাতরত অবস্থায় বসে আছে। ফুঁপিয়ে কান্নার অস্পষ্ট আওয়াজ কানে আসতেই তড়িৎগতিতে চোখ রোদ্দুরের দিকে নিলো তুর।
– ” এই লোকটা কাঁদছে কেন? কি হলো ওনার? ”
রোদ্দুর নামায পড়ে তুরের দিকে এগিয়ে আসলো। তুর ঘুমের ভান ধরে পড়ে আছে। রোদ্দুর এসে তুরের মাথায় হাত বুলিয়ে বললো,
– ” কবে আসবে আমাদের বাচ্চা? কবে সুস্থ হবেন আপনি? কতদিন অপেক্ষা করতে হবে আমাকে? কতদিন? ”

তুরের এবার পিত্তি জ্বলে গেলো। এই লোকটা বাচ্চার জন্য কাঁদছে? পরক্ষণেই তুরের মনে একটু একটু করে মায়ার সৃষ্টি হলো, আসলেই যাদের সন্তান হয়না তাদের তো অনেক কষ্ট। হয়তো ওনার বউ’ও অনেক কষ্ট পাচ্ছে তাই উনি কাঁদছে। কিন্তু তুরেরই বা কি করার আছে? সারগেসির জন্য মেয়ে খুজতে পারে তবে রোদ্দুর তো আবার বেঁকে বসেছে, যে সে মেয়ের গর্ভে সে নিজের সন্তান বড় করবে না। এখন তার মনমতো মেয়ে খুজতে গেলে অনেকটা সময় লেগে যাবে। কি অদ্ভুত জ্বালা। রোদ্দুর তুরের পাশে বসে একহাতে মাথা রেখে, বসে বসেই ঘুমিয়ে গেলো। তুর উঠে ফোন সাইলেন্ট করে চালু করে। উকিল কাকু ম্যাসেজ পাঠিয়েছে, নিশ্চিত করেছেন যে আজ থেকে সবকিছুর মালকিন তুর নিজে। নিজেদের কম্পানিতে আজই ওকে জয়েন করতে হবে। কম্পানির হাল-চাল সম্পর্কে অবগত হতে হবে, আম্মু লিখেছেন, উনি চলে এসেছেন। তুর যেন এবার বাড়ি ফিরে আসে।

আরও গল্প পরতে ভিজিট করুন

তুর ম্যাসেজগুলো পড়ে ঘুমন্ত রোদ্দুরের দিকে তাকালো। আসলেই ঘুমন্ত রোদ্দুরকে অনেক বেশি মিষ্টি লাগে। বাচ্চাদের মতো ঠোট ফুলিয়ে ঘুমায় রোদ্দুর। মাঝে মাঝে ঠোট চেপে ধরেও ঘুমায়। চোখের ঘনপাপড়ি গুলো দেখতে তুরের বেশ ভালো লাগছে। হঠাৎ রোদ্দুর চোখ মেলে তাকায়, আর তুরকে দেখে মৃদু হাসে। তুর ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে চোখ সড়িয়ে নেয়। রোদ্দুর ঘুম জড়ানো কন্ঠে বলে,
– ” গুড মর্নিং মেরি জান। ”
তুর চকিত দৃষ্টিতে রোদ্দুরের দিকে তাকালো। ‘মেরি জান ‘ ডাকটা ওর বড্ড চেনা। কেউ ডাকতো ওকে। কিন্তু কে? রোদ্দুরই বা এই নামে ওকে ডাকলো কোন সাহসে। নাকের ডগায় রাগ রেখে তুর ফোস করে বললো,
– ” ডোন্ট কল মি বাই দিস নেম। ‘জান’ আমার ব্যক্তিগত ডাকনাম। যার তার মুখ থেকে নামটি শুনলে আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। আমি চাইনা সবাই আমায় এ নামে ডাকুক। শুধুমাত্র আমার ব্যক্তিগত মানুষটি আমাকে এই ব্যক্তিগত নামে ডাকার অধিকার রাখে। ”

তুরের কথা শুনে স্বাভাবিক, যে কারোর রাগ হওয়ার কথা। কিন্তু রোদ্দুরের হাসি পেলো। কারন তুর এখনও ঘুমে ঢুলছে আর বাচ্চাদের মতো প্রতিটা শব্দ দুবার করে উচ্চারণ করছে, মনে হচ্ছে কোনো ঘোরের মধ্যে আছে ও। মানুষ নেশা করলে যেমন ঢুলে পড়ে তেমনই ঢুলে ঢুলে পড়ছে। রোদ্দুর তুরকে একহাতে আগলে ধরে। তুর সামান্য কেঁপে ওঠে ব্যাথায়, কারন রোদ্দুর ভুলবশত ভাবে ওর ব্যাথা হাতটাই চেপে ধরেছে। তুর ঘোরের মধ্যেই বলে উঠলো,
– ” আমাকে অধিক ভালোবাসা দেখাবেন না ডক্টর রোদ্দুর! আমার অভ্যাস হয়ে যাবে। আকাঙ্ক্ষা বেড়ে যাবে। যেটা আপনার জীবনে কাল হয়ে দাড়াবে। আমার অনুরাগ যে বিষের থেকেও বিষাক্ত। এই বিষাক্ত অনুরাগের অংশ আপনি হবেন না দয়া করে। আমার এই অনুরোধটুকু রাখবেন! ”

কথাটুকু বলেই জ্ঞান হারিয়ে ফেললো তুর। রোদ্দুর চিন্তিত চোখে চেয়ে আছে তুরের দিকে। মেয়েটা কি বললো এইমাত্র? বোধগম্য হলো না রোদ্দুরের। ও তুরকে ব্রাশ করিয়ে দিয়ে ওর হাতমুখ ধুইয়ে দিলো। বিছানায় এনে ওকে হেলান দিয়ে বসিয়ে নিচে চলে গেলো রোদ্দুর। তুরের জন্য ব্রেকফাস্ট বানাতে হবে ওকে। ওদিকে তুরের মাথা ছিড়ে যাচ্ছে প্রতিশোধের তাড়নায়। সেই পাঁচজন বিশ্বাসঘাতককে খুজে বের করতে হবে ওকে। এবং নব্য প্রকাশিত তিনজন বিশ্বাসঘাতককে শাস্তি দিতে হবে।
রোদ্দুর সুপ আর ব্রেড এনে তুরের পাশে বসলো। তুর সুপ দেখে নাক সিটকালো, রোদ্দুর হেসে ফেললো তুরের চেহারা দেখে। তুরও রোদ্দুরের হাসি লক্ষ করে। রোদ্দুর সবসময় মুচকি হাসে, কিন্তু এমন প্রাণঢালা, মনখোলা হাসি! সে দেখেনি আগে। রোদ্দুর হাসলে ওর গেজ দাঁতদুটো বেড়িয়ে আসে। রোদের আলোয় চিকচিক করছে শুভ্র দাঁত। তুরের ভালো লাগছে রোদ্দুরের হাসি। কিন্তু এটা ঠিক নয়। ভেবে তুর উঠে দাড়ালো,

– ” বাড়ি যাচ্ছি আমি। আপনি খেয়ে হসপিটালে চলে যাবেন। আমি খাবো না। আর হ্যাঁ কোনো প্রয়োজন পড়লে আমাকে ফোন দিবেন। আসছি।”
রোদ্দুর উঠে এসে তুরের সামনে দাড়ালো,
– ” খেয়ে নিন। ”
– ” এক্চুয়ালি আমি বলতে ভুলে গিয়েছি! আমার বয়ফ্রেন্ড আমাকে ম্যাসেজ দিয়েছিলো, ও আমার সাথে দেখা করতে চায়। ইট্স আর্জেন্ট তাই আমাকে যেতেই হবে। ”
– ” তো ইনি গতকাল কোথায় ছিলেন? যখন আপনি বিয়ের জন্য পাত্র খুজছিলেন! ”
– ” ও ঢাকার বাইরে ছিলো। এই তো সকালেই এসেছে। তাই তো এখন যাচ্ছি দেখা করতে। আপনি চিন্তা করবেন না আমার জন্য। আমি ঠিক আছি, আল্লাহ হাফেজ।”

বদ্ধ ঘরে বেঁধে রাখা হয়েছে অনন্তকে। সামনে একটা চেয়ারে পায়ের ওপর পা তুলে বসে আছে তুর। হাতে একটা চাকু এবং কিছু পরিমান লঙ্কার গুড়ো। চেয়ারের পাশেই আছে কেরোসিনের বোতল এবং একটি মোম। তুর অনন্তর দিকে তাকিয়ে এক রহস্যময়ী হাসি দিলো। অনন্তর কপাল থেকে ঘাম ছুটে যায়। অনন্ত বলে,
– ” এসব কি করছো তুর? নিজের ভালোবাসার মানুষটিকে এভাবে বেঁধে রেখেছো কেন? কষ্ট হচ্ছে তো আমার। ”
তুর চিন্তিতকন্ঠে উতলা হয়ে প্রশ্ন করলো,
– ” কোথায়? কোথায় কষ্ট হচ্ছে তোমার? ”
– ” হাতে। ”
তুর হাসে!

– ” আর আমার যে বুকের বা’পাশে ব্যাথা করছে, তীব্র অসহনীয় যন্ত্রনা অনুভব করছি তার বেলায়? আমার সাথে এমন কেন করলে তুমি? আমি তো তোমাকে ভালোবাসতাম, নিজের থেকেও বেশি! সে ভালোবাসার দাম তুমি এভাবে দিলে? আমারই বড় আপুর সঙ্গে প্রনয়বন্ধনে আবদ্ধ হতে এতটুকুও কষ্ট হলো না? আমার কথা একবারও মনে পড়লো না? ”
অনন্ত তুতলিয়ে বলে,
– ” অনা? তুমি অনার কথা বলছো? অনা তো শুধু আমার বন্ধু। আর কিছু নয়। ”
– ” তো এটা বলতে তোমার গলা কাঁপছে কেন? এটা আগে বললেই পারতে। আমি এখনই তোমায় মুক্ত করছি।”

অনন্তর চোখেমুখে খুশির ঝলক দেখা গেলো। তুর হেসে হেসে কথা বলছে দেখে অনন্তর ভয় কমে যায়। তুর ওকে আগের মতই অন্ধবিশ্বাস করে, এটাই তো চায় ও। একদিকে তুর অন্যদিকে অনা, রাজ্য, রাজকুমারি সবই ওর হাতের মুঠোয়। এসব ভেবে ওর ঠোটের কোনে হাসি ফুটে ওঠে। তুর ওর দিকে এগিয়ে আসে। হাতের বন্ধন খুলতে আরম্ভ করে তুর। কিন্তু পরক্ষণেই সে উঠে দাড়ালো, চোখের মনি গোল করে ঘুরিয়ে, চোখ বুজে আবার তাকালো,

– ” অনেক সহ্য করেছি তোর এই ফালতু নাটক! এগুলো দিয়ে তুই তুরকে ভোলাতে পারবি! কিন্তু জানকে নয়। জান তোদের এমন অভিনয়ে কখনই ভুলবে না। কি ভেবেছিস বোকা মেয়ে, বাচ্চা মেয়ে তুর তোদের মতো মাস্টার মাইন্ডদের মাইন্ড পড়তে পারবে না। আর তোরা ওকে নিজেদের মতো করে চালনা করবি ? ভুল ভেবেছিস, তুরের অন্তরালে যে জানকে আমি লুকিয়ে রেখেছিলাম সে এবার প্রকাশ্যে আসবে। তোদের সমস্ত অন্যায়ের শাস্তি পাবি তোরা। আর তোদের মৃত্যু উপভোগ করবে জান। ”
অনন্ত ভয়ার্ত চোখে তাকালো তুরের দিকে। ‘ জান ‘ কে? জানের সাথে তুরের কি সম্পর্ক বুঝতে পারছে না অনন্ত।তুর চাকু দিয়ে অনন্তর গলায় আচড় দিতেই অনন্ত চেচিয়ে ওঠে। তুর শব্দ করে হাসে, হুংকার দিয়ে বলে,

– ” ‘জান’ কে? জানতে চাস্? তাইনা! মরার আগে তাহলে এইটুকু জেনেই যা, আসফিয়া জান্নাত তুরফা! যে সকলের আদরের তুর! সবার সামনে যে নম্র, কোমল মনের অধিকারিণী সেই তুর আসলে একটা মুখোশ! এই তুর নামক মুখোশের আড়ালে যে রয়েছে সেই মেয়েটি হলো ‘জান’। জান এমন একটি মেয়ে যে বিশ্বাসঘাতক দের জান নেওয়ার জন্য সবসময় এক কদম এগিয়ে থাকে। তোদের মতো মরীচিকার পেছনে ছোটা মানুষদের একেবারে শান্ত করার ঔষধ। তোদের প্রশান্তির ঘুম এনে দেওয়া নিদ্রামৃত। ”
কথাটি বলেই তুর চাকু দিয়ে ড্র করে কাটতে থাকে অনন্তর শরীর! পুরো মেঝে রক্তে লাল হয়ে আছে। অনন্তর চোখ মুখ কেটে ফালা ফালা করে দিয়েছে তুর। এখন এই মাংসপিণ্ডের ওপর মশলা দেওয়ার পালা! তুর লঙ্কার প্যাকেট উপুর করে ঢেলে দিলো অনন্তর শরীরে, অনন্তর তীব্র আর্তনাদে পুরো বাড়ি কেঁপে উঠছে! কিছু গার্ডস এসে তুরের হাতে একটা কাগজ দিয়ে যায়! অনন্তর হাতের লেখা টোটালি ডুবলিকেট করা একটি আত্মঘাতী চিঠি! যেখানে অনন্ত লিখেছে,

‘ আমি ভুল করেছি, তুরের ভালোবাসাকে অবহেলা করে তুরকে কষ্ট দিয়েছি! অনা নিজ স্বার্থের জন্য আমাকে ব্যবহার করেছে। আমি এসব মানতে পারছি না। তাই আঘাতে আঘাতে নিজেকে শেষ করলাম। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।
ইতি
অনন্ত। ”
তুর কাগজটি নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখলো, এরপর অনন্তর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
– ” মাই লাভ! তুমি কি এই চিঠিতে কিছু এড করতে চাও? তাহলে বলো আমার লোকেরা সেটাও লিখে দিবে। ”
অনন্ত কুকড়ে উঠে বললো,
– ” কেন করছো এমন? ”
– ” কারন ভালোবাসতাম তোমাকে! ”
– ” নিজের ভালোবাসার মানুষের সাথে কেউ এমন করে? নিজহাতে হত্যা করতে পারে? ”
তুর অনন্তর শরীরে কেরেসিন ঢেলে দিলো। ঠোটের হাসি চওড়া করে বললো,

– ” এটাই তো সমস্যা! জান নিজের ভালোবাসাকে অন্যকারোর হতে দেয় না! সহ্য করেনা প্রতারণা! তোমাকে যদি আমি ভালো না বাসতাম তাহলে হয়তো এতোটা কষ্ট দিয়ে মারতাম না। কি করবো বলো? ভালোবাসি তো তোমাকে, চোখের সামনে বারবার তোমার আর অনামিকার সেই আলিজ্ঞনের দৃশ্য যতবার ফুটে উঠছে ততবার ভেতরে জ্বলনের সৃষ্টি হচ্ছে। জানো তো! বাঙালি নারী তার প্রিয় মানুষটিকে অন্যকারোর সঙ্গে দেখা তো দূরে থাক ভাবতেও পারে না। সেখানে আমি এই একদিন, পুরো একটা দিন সহ্য করেছি! আর আমার অনুরাগের অংশ যারা তারা যখন আমাকে ধোকা দিবে কিংবা অবহেলা করবে তখন সেটা তাদের জন্য খুব একটা ভালো হবে না। কারন জানের কষ্ট হয়না ভালোবাসার মানুষের জান নিতে। এটাই যে ওর #বিষাক্তঅনুরাগ ”
অনন্ত চেচিয়ে বললো,

বিষাক্ত অনুরাগ পর্ব ২

– ” পাগল তুই, সাইকো! হিংস্র জানোয়ারের মতো তোর স্বভাব! মানুষ নস তুই, তোরও এভাবেই মৃত্যু হবে দেখে নিস। ”
তুর হাই তুলে বলে,
– ” ফুল কনফিডেন্স আছে নিজের ওপর যে, আর যেভাবেই হোক তোমার মতো এভাবে মরবো না আমি। কারন জান নিজের কাজে, নিজের মনের নিয়ন্ত্রক! জান যাকে ভালোবাসে, এবং যে জানকে ভালোবাসে। তার ওপর জান একটা ফুলের টোকাও লাগতে দেবে না। আর সেও আমাকে মারতে পারবে না কারন আমি তার কাছে এই হিংস্র জান নই, তার ভালোবাসার তুর হবো। আর তোমার সাথে ফাউল বকছি কেন আমি? তোমাকে তো এখন রোস্ট করার সময়, ওয়েট সব ঠিক ঠাক করেছি কিনা চেক করি মাই লাভ! প্রথমে মাংস কেটেছি, এরপর মশলা মাখিয়েছি, এরপর তেল দিয়েছি। আর এখন ওভেন! ওহ সীট ওভেন তো নেই এখানে। কোনো ব্যাপার না মোম দিয়ে কাজ চালিয়ে নিবো। ”

বলেই মোমে আগুন জ্বালিয়ে সেটা অনন্তর গায়ে ছুড়ে দিলো তুর। দাউদাউ করে জ্বলছে অনন্তর শরীর! তুর ঘর থেকে বেড়িয়ে বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে দেয়। গার্ডসদের ডেকে বলে,
– ” মরলে, ওর হাত পিস পিস করে কেটে আমার অভুক্ত চার টমিকে খাওয়াও! বাকি শরীরটুকু বড়মাস্তার মোড়ে চিঠিসহ ফেলে আসবে! আর হ্যা কেরোসিনের বোতল, মোম, চাকু সব রেখে আসবে! কাজটা যেন ফুল ক্লিন এবং স্মুদ্থের সঙ্গে হয়। এবং ঘটনা এমনভাবে রটাবে যেন সবাই ভাবে এটা আত্মহত্যা। ”
– ” অকে ম্যাম। ”

বিষাক্ত অনুরাগ পর্ব ৪