Happily Married part 11 || Writer: Shaanj Nahar Sanjida

Happily Married part 11
Writer: Shaanj Nahar Sanjida

আমি নিচে দিয়ে যাওয়ার সময় ওই মহিলার চোখের চোখ পড়লো।উনি লজ্জায় নিজের চোখ নিচে নামিয়ে নিলো।
অন্যদিকে আমি কিছু না বলেই চলে আসলাম।
হিয়া মা।(আলেয়া বেগম অবাক হয়ে)
কিছুক্ষণ পরেই আলিফ নিচে নেমে আসলো।
আলিফ হিয়া মা কোথায় গেলো?কিছু বলেছে ও কেনো রিয়ার সাথে এমন ব্যবহার করেছে?(আলেয়া বেগম)
আন্টি(রিয়ার দিকে তাকিয়ে)ও আমাকে কিছু বলেনি।আপনিই বলুন কেনো হিয়া এমন করেছে।আমি যতটুকু জানি ও কখনও কষ্ট দিয়ে কথা বলে না।কিন্তু আপনাকে ও সহ্য করতে পারে না।এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে।(আলিফ জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে)

কি কারণ আছে! তা হিয়ার বাবাই আমার থেকে তোমাকে ভালো বলতে পারবে।(রিয়া বেগম মাথা নিচু করে)
আলিফ সেখানে এক মুহুর্তও দাড়িয়ে না থেকে বেরিয়ে গেলো।আলেয়া বেগম নির্বাক দৃষ্টিতে সেখানে দাঁড়িয়ে রইলো।
রিয়া বেগম দাড়িয়ে থাকা থেকে ধপাস করে বসে পড়লো।
মেয়েটার মনে এতো ঘৃনা জমেছে। এ কি করলাম আমি?মেয়েটার মনে এতো ঘৃনা দিয়ে ভরিয়ে দিলাম।শুধু মাত্র আমার স্বার্থ রক্ষার জন্য।যেটাকে আমি আমার আত্মসম্মান ভেবেছিলাম সেটা ছিলো মিথ্যা অহংকার।আর এই মিথ্যা অহংকারটাই আমার মেয়েটার জীবনে বিষিয়ে তুলেছে।
ভেবেই রিয়া বেগম সেখানে বসে কাদতে থাকে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

অন্যদিকে
আলিফ ড্রাইভ করতে করতে হিমেলকে ফোন দিলো,,
আসসালমুআলাইকুম বাবা!আপনি এখন কোথায়!(হিমেল সাহেব)
অলাইকুম আসসালাম।আমি তো এখন অফিসে থেকে বাড়ি ফিরছি।কেনো বাবা কিছু হয়েছে?হিয়া কি আবার কিছু করেছে নাকি?(হিমেল সাহেব চিন্তিত হয়ে)
উনি জানেন না কিছু!তারমানে হিয়া উনাকে কিছুই বলেনি।(আলিফ মনে মনে)
আলিফ বাবা?(হিমেল সাহেব)
বাবা তেমন কিছু হয়নি।আমি বাসায় আসছি সেখানেই আপনার সাথে কথা হবে।(আলিফ)
আচ্ছা,বাবা।তুমি এসো।
বলেই হিমেল সাহেব ফোনটা কেটে দিলো।
হিয়া।কোথায় গেছে?(আলিফ মনে মনে)
পরেই আলিফ পিয়াকে ফোন দিলো।
হ্যাল্লো ভাইয়া কেমন আছেন?(পিয়া হাসিমুখে)
পিয়া এখন আমার একটা কাজ করতে হবে!(আলিফ)
জ্বি বলুন ভাইয়া!(পিয়া চিন্তিত হয়ে)
তুমি এক্ষুনি গিয়ে হিয়াদের বাড়িতে গিয়ে দেখবে হিয়া ওদের বাড়িতে নাকি!(আলিফ)
কেনো ভাইয়া?হিয়া কি কিছু করছে নাকি?(পিয়া চিন্তিত হয়ে)
পরেই আলিফ পিয়াকে সব কিছু খুলে বললো।পিয়া হিয়াকে কি করে সামলাতে হয় তা ভালো করেই জানেন।তাই এই সময় ওর থেকে সাহায্য নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ বলে আলিফ মনে করে।যতো হোক হিয়াকে পিয়া এখন পর্যন্ত আলিফ থেকে বেশি চিনে।

আমি এক্ষুনি হিমেল আঙ্কেলকে ফোন করে জিজ্ঞেস করছি।(পিয়া)
না না।পিয়া বাবাকে ফোন করো না।উনি এখন বাসায় নেই।অফিস থেকে ফিরছে মাত্র।আর উনি জানেও না হিয়ার কথা।আমি এসে উনাকে নিজে যা বলার বলবো।তাই তুমি নিজে গিয়ে একটু দেখো।আর যদি ওকে সেখানে পাও।সেখানেই রাখার চেষ্টা করো যতক্ষণ পর্যন্ত আমি না আসছি।আরেকটা কথা ওকে বলো না আমি আসছি না হলে আবার পালাবে।(আলিফ)
ভাইয়া আপনি একদম চিন্তা করবেন না। ও এখানে থাকলে আমি ঠিকই ওকে সামনে নিতে পারবো।(পিয়া)
এই জন্যই তুমিই আমার ভরসা।(আলিফ)
আচ্ছা,ভাইয়া রাখি।
বলেই পিয়া ফোন কেটে এক দৌড় দিয়ে হিয়ার বাড়িতে গেলো।

পাঁচ মিনিট পর পিয়া আবার ফোন করলো,,,
হ্যালো পিয়া পেয়েছো ওকে?(আলিফ)
না ভাইয়া।এতো বড়ো তালা দেয়া।আর আসে পাশেও খুঁজেছি কিন্তু ওকে পায়নি।এখন কি করবো?(পিয়া)
দেখো ওর ফোন এখনও অন আছে।আমি ফোন দিচ্ছি ধরছে না।তুমি ওকে ফোন দিয়ে দেখো ও কি বলে?কোথায় আছে?কেমন আছে।(আলিফ)
ঠিক আছে ভাইয়া।
বলেই পিয়া ফোন কেটে দিলো।

হিয়াদের বাড়িতে,,
তুমি কি বলছো?রিয়া?হিয়া রিয়া নামের এক মহিলাকে দেখে এমন রিয়েক্ট করছে?(হিমেল সাহেব অবাক হয়ে)
হুম।(আলিফ পানি খেতে খেতে)
পরেই হিমেল সাহেব আলমারি খুলে একটা ছবি বের করে আলিফকে দেখিয়ে বললো
দেখো তো বাবা।এইটা কি সেই মহিলা?
আলিফ দেখেই অবাক হয়ে গেলো,
এইটাই তো রিয়া আন্টির ছবি।আপনার কাছে কি করে?
কারণ তোমার রিয়া আন্টিই আমার প্রাক্তন স্ত্রী আর হিয়ার জন্মদাত্রী মা।(হিমেল সাহেব চশমা খুলে সোফায় বসলো)
পিয়া কিচেন থেকে তিনজনের জন্য কফি বানিয়ে নিয়ে আসে পাশে বসলো।
হিমেল সাহেব বলতে শুরু করলো,,
রিয়া আর আমার বিয়েটা ভালবাসার ছিলো।(হিমেল)
তাহলে বিয়েটা ভাঙলো কি করে?(আলিফ)
আমি তোমাকে শুরু থেকে কাহিনীটা বলি।

রিয়া অনেক বড়লোক ঘরের এক মাত্র মেয়ে ছিলো।আর আমি ছিলাম অনাথ।ভার্সিটিতে পড়াকালীন আমাদের দেখা হয়।সেখান থেকে পরিচয়,পড়ে বন্ধুত্ব তারপর ভালোবাসা।আমার জীবনযাপন খুব সাধারণ।কিন্তু ওদের হাই সোসাইটিতে ফিট হওয়া আমার পক্ষে সম্ভব ছিলো না।তাই আমি আর রিয়া মিলে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করি।আর এতে আমরা সফলও হই।এই শহর থেকে দূরে আমাদের একটা নতুন জগৎ তৈরি হয়।সব কিছু ঠিকমত চলতেছিল।আমি যতটুকু উপার্জন করতে পারতাম তা দিয়েই আমাদের ছোটো সংসার খুব সুন্দর ভাবে চলে যেত।আমাদের বিয়ের দুই বছর পর আমাদের ঘর আলো করে আসে হিয়া।আমাদের ভালোবাসার নিশানী আমাদের হিয়ামনি।অনেক আদরের মেয়ে ছিলো হিয়া আমার আর রিয়ার।কিন্তু হিয়ার যখন ছয় মাস বয়স তখন রিয়ার বড়ো ভাই আর ভাবী(পিয়াসের মা বাবা) ক্যার অ্যাকসিডেন্টে মারা যায়।তখন রিয়াদের কোম্পানি দেখাশুনা করার জন্য ছিলো না তারপর ওর ভাইয়ের ছেলেও ছোটো ছিল।আর ওর বাবাও কোম্পানি চালানোর মতো অবস্থায় ছিল না।নিজের একমাত্র ছেলে আর ছেলে বউকে হারিয়ে উনিও অনেক নির্জুর হয়ে পড়েছে।এইজন্যই কোনো উপায় না পেয়ে রিয়া কোম্পানির ভার নিজের কাধে নেয়।এতে আমার কোনো আপত্তি ছিলনা । ও আমাকে বলেছে ওদের বাড়িতে গিয়ে থাকতে কিন্তু আমি রাজি হইনি।আমার মান সম্মানে লাগবে বলে। ও আমাকে আর জোর করেনি।
তবে ও অনেক বলতো আমি যেনো ওর সাথে ওদের কোম্পানিতে যোগ দেই।কিন্তু আমি তা চাইনি।আমার আত্মসম্মানের কথা ভেবে।

ধীরে ধীরে আমাদের দূরত্ব বাড়তে লাগলো।আমাদের মধ্যে প্রায় ঝগড়া হতো।কারণ ও কোম্পানি নিয়ে এতই ব্যাস্ত থাকতো যে ওর যে একটা দুধের শিশু আছে ও তা ভুলেই যেতো।আমি সকালে চলে যেতাম, রিয়াও বেরিয়ে যেতো।হিয়াকে আয়ার আছে রেখে যেতো।মেয়েটা মা ছাড়া কিছু বুঝতো না।অনেক কাদত।আমি রিয়াকে বলেছি ওকে নিয়ে অফিসে যাও।তোমার কোম্পানীই তো কেউ কিছু বলার সাহস পাবে না।কিন্তু ও শুনত না।বলতো হিয়াকে নিয়ে গেলে নাকি ওর কাছে বেঘাট ঘটবে।আর কোম্পানিতে নাকি বাচ্চা নিয়ে যাওয়া নিয়ম নেই।এখন বসই নয়ম ভঙ্গ করে তাহলে কেমন দেখায়?এই কথা ভেবে ও আমার মেয়েটাকে রোজ কাদিয়ে অফিসে যেতো।
আমার হাত পা বাঁধা ছিল।আমি করি পরের চাকরি।মেয়েটাকে নিয়ে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব ছিলো না।তাই আমারও ওকে ছেড়ে চলে যেতে হতো।রিয়া প্রায় অনেক রাত করে বাসায় ফিরত।জিজ্ঞেস করলে বলতো ওর নাকি অনেক কাজ করতে হয়।ধীরে ধীরে আমাদের দূরত্ব আরো বেড়ে গেলো।ও আমার আর হিয়ার সাথে সময় কাটানো বন্ধ করে দিলো।তবুও ওকে ভালোবাসি বলে কিছু বলতাম না।মাঝে মধ্যে দুইতিন দিন হয়ে যেতো বাড়ি ফিরত না।তবুও কিছু বলতাম না।

কিন্তু যখন হিয়ার এক বছর তিন মাস তখন ওর অনেক জ্বর হয়। আয়া রিয়াকে এতো ফোন করেছিলো কিন্তু ওকে ফোনে পায়নি।তারপর আমাকে ফোন করলো।আমি সব কিছু ফেলে মেয়ের কাছে চলে আসি।সেদিন হসপিটালে আমার মেয়েটার ওই অসহায় মুখ দেখে আমার বুকটা কেঁপে উঠলো। আয়া কোনোদিন কি মায়ের মত যত্ন নিতে পারে?অযত্নে মেয়েটার চেহারা খুব খারাপ হয়ে গেছিলো।সেদিন সারারাত ফোন করেও রিয়াকে পায়নি।সকাল বেলা মেয়েটার অবস্থা একটু ভালো হয় তখনই রিয়া হন্তদন্ত হয়ে হসপিটালে আসে।ওর চেহারাতেও রয়েছে চিন্তার ছাপ। ও হসপিটালে এসেই মেয়ের অবস্থা দেখে কাদতে শুরু করলো।তাই আমি আর কিছু বললাম না।ওকে আশ্বস্ত করলাম মেয়েটা ভালো হয়ে যাবে।কিছুদিন সব ঠিক চলো।রিয়া আমাদের সাথে সময় কাটাতে শুরু করলো।ঠিক মত বাড়িতে আসতেও শুরু করলো।আমি ভাবলাম যাক সব কিছু ঠিক হয়ে গেছে।
একদিন রিয়ার ফোনে একটা ম্যাসেজ আসলো।
আবার কবে দেখা করছো?

আমি ম্যাসেজটা দেখতেই রিয়া আমার কাছ থেকে ফোনটা নিয়ে গেলো।আমাকে ঝাড়ি দিয়ে বললো ওর ফোনে কেনো হাত দিয়েছি।কতো পার্সোনাল জিনিস থাকতে পারে।সেদিন যেনো আমি কোনো অপরিচিত মানুষকে নিজের সামনে পেয়েছি।

অবশেষে আমাদের সম্পর্ক ইতি ঘটল যেদিন আমি জানতে পারলাম আমার মেয়ের হসপিটালে ভর্তির সময় ও কারো সাথে হোটেলে ছিলো।আমার বিশ্বাস ভেঙ্গে গেলো।সেদিন অনেক ঝগড়া হলো আমাদের।ডিভোর্স হয়ে গেলো আমাদের।রিয়া আমাদের ছেড়ে চলে গেলো। অবশ্য ও হিয়াকে ওর সাথে নিয়ে যেতে চেয়েছিল কিন্তু আমিই দেইনি।কারণ আমি জানি ও আমার মেয়ের খেয়াল রাখতে পারবে না।ওকে নিয়ে ওই বাড়ি শহর ছেড়ে চলে গেলাম।হিয়া আমাকে প্রায়ই ওর মায়ের কথা জিজ্ঞেস করতো।যখন আমাদের ডিভোর্স হয় তখন ওর বয়স দেড় বছর ছিলো।যখন ওর বুঝ হয় তখন আমি ওকে সব কিছু বলি।কারণ ও যতো তাড়াতাড়ি জানবে ততই ওর জন্য ভালো হবে কিন্তু এইটাই আমার ভুল ছিল।সব কাহিনী শুনার পর ওর সম্পর্ক,ভালোবাসা গুলো থেকে বিশ্বাসই উঠে আসে। ও মানুষকে বিশ্বাস করাই বন্ধ করে দেয়। কারো সাথে কথা বলতেও চাইতো না।তাই ওকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি যদি ও কারো সাথে একটু মিশতে পারে।এইখানে এসেছি যখন হিয়ার পাঁচ বছর ছিলো।এখানে আসার পর হিয়া,পিয়া আর আকাশের সাথে মিশতে পেরেছে বলে এখানেই থেকে যাই।হিয়া ওর মার জন্য এতো রাগ পুষে রেখেছে যে এইসব কিছু জানার পর আমার কাছ থেকে ওর মায়ের নাম কি ছিল ও তাও জানতে চাইনি কোনো দিন।তবে ওর মার ছবি ও একদিন দেখে ছিলো আর বলেছিলো এই মহিলাকে ও অনেক ঘৃনা করে।আমি কোনো দিন চাইনি হিয়া ওর মাকে ঘৃনা করুক।কিন্তু পরিস্থিতির ওকে এমন বানিয়ে ফেলেছে।

তাই তো যখন বিয়ের কথা আসে তখন ওর মনে হয় ওর বিয়েটাও ভেঙ্গে যাবে। ওও ওর বাবার মতো একা হয়ে যাবে।আমার একাকীত্ব ওর উপর প্রভাব ফেলেছে।ও একা থাকতে ভয় পায়,একা হতে ভয় পায়,মিশতে ভয় পায়,সম্পর্ক তৈরিতে ভয় পায়,ওগুলো ভাঙার ভয় পায়।
ওর মনে সব সময় ভয় থাকতো আমিও হয়তো কোনো একদিন ওকে ছেড়ে চলে যাবো।অন্য কেউকে বিয়ে করবো আর ওকে ভুলে যাবো।তাই ও সব কিছুর জন্য আমার উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতো।আমি রান্না করে খাওয়ালে খাবে,আমি না রান্না করলে সারাদিন রাত না খেয়ে থাকবে।যদি বলতাম কিছু রান্না করে খেয়ে নিতে। ও খেতো না।না খেয়ে থাকবে তবুও রান্না করবে না।আজ পর্যন্ত একটা ডিম ভাজি করে খায়নি।বাড়িতে রান্নাঘর কোন দিকে জিজ্ঞেস করলে ও বলতে পারবে না।(হিমেল সাহেব)

Happily Married part 10

হিমেল সাহেবের এই কথা শুনে আলিফ মুচকি হাসি দিল।
সেদিনও হিয়া কতো মজা করে সবার জন্য খাবার বানালো। কোনোদিনও আমি ভাবিনি হিয়ার ওই বাচ্চামী,জেদী চেহারার পেছনে এতো ভীতু আর ভয় পাওয়া একটা মেয়ের চেহারা দেখতে পারবো।কি কি ফেস করেছে মেয়েটা?একটা ভাঙ্গা পরিবার যে একটা বাচ্চার উপর কতটা প্রভাব ফেলে তা আর কারো অজানা না।মেয়েটা যতো হাসিখুশি থাকুক ওর মনের মধ্যে এক পাহাড় সমান কষ্ট।তার উপর আজকে আমি আবার ওকে কতো কিছু শুনিয়েছি।(আলিফ মনে মনে অনুতপ্ত হয়ে)

এমনকি আমি পড়তে বসালেই ও পড়তে বসতো,কোনো প্রাইভেট টিচারের কাছেও পড়তো না।ওর মনে হয় আমার প্রতি ও যদি সব কাজের জন্য নির্ভরশীল হয়ে থাকে তবে আমি ওকে ছেড়ে যাবো না।(হিমেল সাহেব মুচকি হেসে)
হুম।কারণ ও সম্পর্ক নিয়ে অনেক ভয় পায়।(আলিফ)

Happily Married part 12