Infinite Love part 13+14+15

Infinite Love part 13+14+15
Writer: Onima

ছাদে এনে আমাকে দাড় করিয়েই ছাদের দরজা লক করে দিল! যা দেখে আমার ভয় আরো বেরে গেল! কী করবে এ? আদ্রিয়ান আমার দিকে এগোতে লাগল আর আমি শক্ত হয়ে দাড়িয়ে আছি কারন এখন পেছোনোটা বোকামি ছাড়া আর কিছুই হবে না! আদ্রিয়ান একদম আমার সামনে এসে ব্যাটটা উঠিয়ে আমার হাতে ধরিয়ে দিল তারপর বলল..

আদ্রিয়ান: Hit me.
আমিতো অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি। এ ছেলে পাগল টাগল হয়ে গেল নাকি? আমি কেন একে হিট করব? কেউ ঠিকি বলেছিল ট্যালেন্টেড লোকেদের মাথায় গন্ডোগোল থাকে।
.
আদ্রিয়ান : What happened? Hit me! (শক্ত গলায়)
.
আমি: আআমি ককেন আপনাকে হিট করততে যাববো?
.
আদ্রিয়ান: আবার তোতলাচ্ছো? বলেছিনা আমি পছন্দ করিনা?
এনিওয়ে তখন বলছিলেনা যে আমার মাথা ফাটাবে? ব্যাট ও তোমার হাতে, আমার মাথাটাও তোমার সামনে, বাধা দেওয়ার জন্য হিয়া নেই, So do it..
.
আমি: সেটাতো আমি..
.
আদ্রিয়ান: সেটা যে কারণেই হোক হয়েছে তো? (রাগী চোখে তাকিয়ে)
.
বুঝলাম অবস্হা খারাপ! এতো ফুল ফরমে আছে, ভাগ অনিমা ভাগ
যেই সাইড করে যেতে নেবো উনি হাত উচু করে আটকে দিলেন!
.
আদ্রিয়ান: তোমার কী মনে হয় তুমি চাইলেই যেতে পারবে? আমার পারমিশন ছাড়াই?
.
আমি: দদেখুন..

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

আদ্রিয়ান এবার আরো এগোতে লাগল আর আমাকে বাধ্য হয়েই পেছাতে হলো। কারন নইলে আমার গায়ের সাথে লেগে যাবে, ও হয়তো চাইছে আমি পিছিয়ে যাই তাই যথেষ্ট কাছে থাকার পরেও আরো এগোচ্ছে। ও এগোতো এগোতেই বলল।
.
আদ্রিয়ান: দেখবোতো, তবে সময় হলে। এবার বল তখন কী যেন বলছিলে? ইয়েস! আমার মাথা ফাটাবে, দেখে নেবে, মজা বোঝাবে আর কী কী জেনো?
.
আমি: আসলে আমিতো ভূল করে..( পেছাতে পেছাতে)
.
আদ্রিয়ান: ভূল করে আমার মাথা ফাটিয়ে কত বুদ্ধি আছে দেখতে চেয়েছিলে, তাই তো? তো দেখোনা? মারো! go for it!( এখনো এগোচ্ছে)
.
আমি ছাদের রেলিং এর সাথে লেগে গেলাম। আর উনি এসে আমার দুপাশে হাত রাখল।
.
আমি: I’m sorry! ( মাথা নিচু করে)
.
আদ্রিয়ান: উহুম সরিতে হবেনা। You have to hit me otherwise….

আমি: Otherwise??
.
আদ্রিয়ান: I will hit you…
.
ও মাই আল্লাহ এই ছেলে বলে কী? এর যা বডি, আমাকে একটা বারি মারলে তো আমাকে ইহকালের মায়া ত্যাগ করতে হবে! আল্লাহ বাচাও!
.
আদ্রিয়ান: এখন তুমি ঠিক কর কোনটা ভালো হবে? ( ভ্রু নাচিয়ে)
.
আমি: আপনিইতো বলেন যে আমি বাচ্চা! বাচ্চা মানুষ ভূল করে ফেলেছি মাফ করে দিননা।
.
আদ্রিয়ান: বাচ্চারা বুঝি বড়দের ব্যাট দিয়ে মারতে যায়? তাদের মাথা ফাটাতে চায়? হুম? ( একটু জোরেই বলল)
.
আমি: সরি বললামতো এবারের মত ছেড়ে দিন! (কাদোকাদো হোয়ে)
.
আদ্রিয়ান আমার হাত থেকে ব্যাট টা নিলো। নিশ্চই আমাকে মারবে এখন! আল্লাহ আমার কী হবে? তাই চোখ বন্ধ করে একদমে বললাম

আমি: দেখুন আপনি মানিক আঙ্কেলের ছেলে, আর মানিক আঙ্কেল আব্বুর বন্ধু, আর আমি আমার আব্বুর মেয়ে, বন্ধু বন্ধু হলো ভাই ভাই, আর দুই ভাইয়ের ছেলে মেয়েও ভাই ভাই, থুরি আই মিন ভাই বোন। তো বোন ভেবে মাফ করে দিননা!
.
চোখ বন্ধ করেই বলছিলাম কথা গুলো কোন রেসপন্স না পেয়ে প্রথমে একচোখ খুললাম কিন্তু কিছু বুঝতে না পায়ার দুইচোখ খুলে দেখি উনি কমোরে হাত দিয়ে চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
.
আদ্রিয়ান: Like Seriously? তোমার আমাকে ভা..
.
তখনি ছাদের দরজায় নক পড়ল! ওপাশ থেকে আপি বলল।
.
আপি: অনি? আদ্রিয়ান? নিচে এসো ময়নাপ্পি ডাকছে!
.
আদ্রিয়ান আমার দিকে একবার তাকিয়ে দরজা খুলে নিচে চলে গেল। আমিও পেছন পেছন দৌড় মারলাম। যাক বাবাহ আজকের মত বেচে গেলাম!

নিচে গিয়ে দেখি উজ্জ্বল কাকু, সজীব আর অর্নব ভাইয়া চলে এসছে। আদ্রিয়ানকে দেখেই তিনজন এসে হাগ করল তারপর বিভিন্ন রকম কথা বলতে বলতে বলতে ছোফায় বসল। ওরা নানারকম কথা বলছে আর আমি আর আপি সোফার পাশে দাড়িয়ে শুনছি!
.
চাচ্চু: আদ্রিয়ান তা এখন কী করছ?
.
আদ্রিয়ান: এখন আপাদত আমার ল্যাব নিয়ে কাছ শুরু করেছি খুব জলদি অফিস অপেন করব।
.
চাচ্চু: ইন্জিনিয়ারস আর স্টাফ কোথায় পাচ্ছ?
.
আদ্রিয়ান: আসলে সদ্য পাশ করা স্টুডেন্ট দের দিয়েই শুরূ করছি!
.
আব্বু: তাহ তোমার বাবার বিজনেসটা ও তো দেখতে হবে তাইনা? তার একমাত্র ছেলে তুমি!
.
আদ্রিয়ান: অবশ্যই দেখবো আঙ্কেল! কিন্তু তার আগে আমি নিজের একটা ফিল্ড করতে চাই! আর তারপর জাবিন (আদ্রিয়ানের বোন) যখন পড়ালেখা কমপ্লিট করবে তখন বাবার কম্পানিটাতো ওরি হবে! ও যদি সামলাতে না পারে তখন আমি খালি সাহায্য করব।
.
আব্বু: Thats like my boy.
.
আমি আরো একবার মোহিত হলাম ওর মতই ওর চিন্তাধারাও কত সুন্দর! আজকাল এভাবে কজন ভাবে।
.
সজীব ভাইয়া: তা আদ্রিয়ান বিয়ে কবে করছ?

এটা শুনেই আদ্রিয়ান আমার দিকে তাকালো। আজব আমার দিকে কেন তাকালো? আমিকি ওর পাত্রি খুজে দেব নাকি!
.
আদ্রিয়ান: That’s not fare ভাইয়া! তুমি আমার তিন বছরের বড় নিজে বিয়ে না করে আমাকে বলছ?
.
হাহা ভাইয়া নিজের কথায় নিজেই ফেসে গেছে।
.
অর্ণব ভাইয়া: গার্লফ্রেন্ড ও নেই?
.
আদ্রিয়ান: নাউজুবিল্লাহ কী বল এগুলা। আল্লাহ পাপ দিব পাপ!
.
সবাই হেসে দিল ওর কথায়। তখনি কলিং বেল বাজল। আমাকেই যেতে হল দরজা খুলতে!
.
দরজা খুলে সামনে তাকিয়েই দেখলাম আদ্রিয়ানের বাবা মা আর দাড়িয়ে আছে!
.
আমি: আসসালামুয়ালাইকুম আঙ্কেল, আন্টি!
.
মানিক আঙ্কেল: ওয়ালাইকুমাসালাম। মামনী কেমন আছো?
.
আমি: ভালো তোমরা?

আন্টি: ভালো সোনা! কেমন চলছে মেডিকেল লাইফ?
.
আমি: খুব ভালো তোমরা ভেতরে এসোনা!
.
এরপর ভেতরে গেলাম। ওনারা সবাই মিলে একে ওপরের সাথে কুশল বিনিময় করছে আর আমরা দেখছি দাড়িয়ে দাড়িয়ে
.
ঠিক তখনি হঠাৎ একটা মেয়ে আমাকে এসে জরিয়ে ধরে বলল।
.
মেয়েটি: ভাবি… কেমন আছো?
.
ভাবি? আমাকে দেখে এর ভাবি মনে হয়? কোন এঙ্গেল থেকে মনে হয় যে আমি ম্যারিড? স্ট্রেন্জ!!!
.
ওর ভাবি ডাক শুনে বাকি সবাই অবাক হলেও। আব্বুর কাশি উঠে গেছে! আম্মু আর আন্টি একে অপরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করছে। মানিক আঙ্কেল নড়েচড়ে বসল! আর আদ্রিয়ান পারলে মেয়েটাকে খেয়ে ফেলে!
.
তখনি আন্টি বলল

আন্টি: জাবিন ওকে ভাবি বলছ কেন? ( চোখ গরম করে)
.
জাবিন জিবে কামড় দিয়ে বলল
.
জাবিন: সরি আম্মু। আর সরি আপু মুখ ফসকে বেড়িয়ে গেছে।
.
আমি: ইটস ওকে!
.
জাবিন: ভালো আছো?
.
আমি: হ্যা! তুমি?
.
জাবিন: খুব ভালো।
.
আদ্রিয়ান : তোর মুখে ট্যাপ লাগিয়ে রাখতে হয় বাচাল।
.
জাবিন: দেখ ভাইয়া একদম আমাকে বাচাল বলবি না।
.
আদ্রিয়ান: হ্যা এখন বাচালকেও অন্য কিছু বলতে হবে!
.
জাবিন: আম্মু.. কিছু বলছোনা কেন?
.
আদ্রিয়ান: আম্মু কী বলবে চুপচাপ বস!
.
জাবিন মুখ বাকিয়ে বসে পড়ল আমি এতক্ষন মজা নিয়ে এদের ঝগড়া দেখছিলাম।
.
এরপর সবাই একসাথে ডাইনিং টেবিলে খেতে বসলাম। খাওয়ার টেবিলে এবার মিস্টার আদ্রিয়ান এক্কেবারে আমার অপজিট টেবিলে বসেছে! সবাই নানারকম কথা বলছে আর আমি চুপচাপ শুনছি আর খাচ্ছি, এরমধ্যেই দুবার আদ্রিয়ানের সাথে আমার চোখাচোখি হয়ে গেছে। আমাকেই দেখছে নাকি?
.
মানিক আঙ্কেল: কামরুল আমার ছেলেটাকে বোঝা তো যেন আমার বিজনেস টা এবার একটু দেখে আমি একটু অবসর পাই।

আব্বু: ছেলেটা নিজে কিছু করতে চাইছে করতে দে। এতদিন দেখেছিস আর কটা দিন দেখ, ও দেখবে বলেছেতো। কয়েকটা দিন সময় দে ওকে!
.
আদ্রিয়ান: এক্সাক্টলি! বোঝাও তো আঙ্কেল আব্বুকে?
.
আন্টি: হ্যা ছেলেটাকে আর প্রেসার দিওনাতো! ওকে ওর মত থাকতে দাও!
.
এরপর সবাই চুপচাপ খেতে থাকলাম।
.
হঠাৎ আমি কিছু একটা ফিল করলাম আমার পায়ে হালকা সুরসুরি লাগছে, যা ধীরে ধীরে গারো হচ্ছে। এমন কেন হচ্ছে? আমার সামনে তো আদ্রিয়ান বসে আছে, তারমানে?
.
আমি চমকে আদ্রিয়ানের দিকে তাকালাম! দেখলাম ও একমনে খাচ্ছে, জেনো কিছুই জানেনা ! একে তো ভালো ভেবেছিলাম! ভেবেছিলাম এ একটু খাটাশ হলেও সভাব ভালো, কিন্তু এ ব্যাটা তো মিচকে শয়তান! দ্বারা দেখাচ্ছি মজা।
.
পায়ে সুরসুরিটা ফিল করলামনা বুঝলাম থেমে গেছে। এবার আমি খুব জোরেই ওর পায়ে একটা পাড়া দিলাম ও আহ বলে খাওয়া ছেড়ে উটে দাড়ালো! সবাই কী হয়েছে বলে এগিয়ে গেল।

আপি: আদ্রিয়ান! কী হল?
.
আম্মু: হ্যা। এভাবে চেচালে কেন? সমস্যা?
.
আদ্রিয়ান রাগী চোখে আমার দিকে তাকালো, তাতে আমার কী? হুহ উচিত শিক্ষা দিয়েছি একটা। ভেবেই মনে মনে ভীষন খুশি হলাম।
.
তখনি আমার পায়র কাছ থেকে একটা বেড়াল ‘মেয়াও’ ‘মেয়াও’ করতে করতে দৌড়ে বেড়িয়ে গেলো। ও মাই আল্লাহ তারমানে ওটা বিড়াল ছিলো? এসব এই বেড়ালটার কাজ? আদ্রিয়ান কিছু করেনি!
.
ভেবেই ওর দিকে তাকিয়ে দেখলাম ও রাগী চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে! যেনো এখনি খেয়ে ফেলবে। আর আমি যথারীতি ভাবছি এবার আমার কী হবে?
ভেবেই ওর দিকে তাকিয়ে দেখলাম ও রাগী চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে! যেনো এখনি খেয়ে ফেলবে। আর আমি যথারীতি ভাবছি এবার আমার কী হবে?
আমার দিকে রেগে তাকিয়ে বলল

আদ্রিয়ান: নাহ কিছুনা। ওই বেড়ালটা আচড় কেটেছে। It’s alright..তোমরা খাও!
.
কীহ আমি বেড়াল? শয়তান ছেলে আমাকে বেড়াল বানিয়ে দিল। বেশ করেছি পাড়া মেরেছি! কিন্তু আমার পাড়ায় এত ব্যাথা পেল? নাকি অন্য কোন কেস আছে? যাই হোক এই ছেলে যাওয়ার আগে পর্যন্ত এর থেকে দূরে দূরে থাকতে হবে। না জানি অাবার কী করে!
.
খাওয়া শেষে আমি শুধু আপির সাথে সাথে সাথে ঘুরছি আর আদ্রিয়ান কে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছি। কিন্তু ঐ মহাশয় তো দিব্বি আড্ডা মারছে, তবুও সাবধানের মার নেই।
.
আপি: কী ব্যাপার? তুমি আমার পেছন পেছন ঘুরছো কেন? কী চাই?
.
আমি: কীছু চাই না তো কী আবার চাইব?
.
তখনি আম্মুর ডাক পড়ল

অাম্মু: অনিমা? জাবিন কে নিয়ে তোর রুমে যাহ!
.
এই মুহুর্তে আমার আম্মুকে একটা কিস করতে ইচ্ছে করছে। কী সুন্দর আমার বাচার রাস্তাটা বলে দিল! তাড়াতাড়ি ড্রয়িং রুমে গিয়ে জাবিনকে বললাম।
.
আমি: জাবিন চলো রুমে চলো, গল্প করি।
.
এটা শুনে আদ্রিয়ান আমার দিকে একপলক তাকিয়ে আবার আড্ডায় মনোযোগ দিল।
.
জাবিন: ওকেহ চল।
.
এরপর উপরে গিয়ে খাটে বসলাম দুজন। জাবিন বলল
.
জাবিন: আপু তুমিতো মেডিকেলে আছো। Right?
.
আমি: হুম। তুমি ইন্টার ফার্সট ইয়ার তাইতো।
.
জাবিন: একদম! সত্যি যতটা শুনেছি তার চেয়েও বেশি সুন্দর তুমি!

আমি ভ্রু কুচকে বললাম
.
আমি: কার কাছে শুনেছো?
.
জাবিন: ইয়ে.. আব্বু হ্যা আব্বুই তো! আব্বুই বলেছে! ( আমতা আমতা করে)
.
আমি সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম। সেটা দেখে ও বলল।
.
জাবিন: বাদ দাও তো এটা বল তুমি ভাইয়াকে প্রথম কোথায় দেখেছো?
.
আমি: DMC তে, কেনো?
.
জাবিন: নাহ এমনি। ভাইয়া কে কেমন লাগে তোমার?
.
এগুলো কী জিজ্ঞেস করছে এই মেয়ে? ওর ওই খাটাশ ভাইকে নিয়ে পরল কেন?
.
আমি: ভভালোই! ( কচু! শয়তান খবিশ একটা)

জাবিন: জানি একটু অন্যরকম। আসলে ওর মনে কী চলে ও নিজে না বললে কেউ বুঝতে পারেনা।
.
আমি: ওহ।
.
জাবিন: আর ভাইয়া ছোট বেলা থেকেই ভীষন ট্যালেন্টেড! কলেজে তো সবার ক্রাশ ছিলো। ইউ কে তে গিয়ে কত মেয়েকে পাগল করেছে আল্লাহ নোস্।
.
এই মেয়ে নিজের ভাইয়ের পেচাল পিটে যাচ্ছে আর আমি অসহায়ের মত বসে বসে হু হা করছি। কজ আপাদত আমার কাছে আর কোন অপশন নেই।
.
হঠাৎ দরজায় নক পড়ল, আমি গিয়ে খুলতেই দেখলাম আদ্রিয়ান, ওকে দেখেই বুকটা ধক করে উঠল, ও আমার রুমে কেনো এসেছে? কী চাই কী ওর?
.
আদ্রিয়ান জাবিনকে বলল
.
আদ্রিয়ান: তোকে আম্মু ডাকছে নিচে যাহ।
.
জাবিন : এখনি তো এলাম।

আদ্রিয়ান: যেতে বলছি যাহ।
.
জাবিন চলে গেল।
ওহ নো জাবিন চলে গেলেতো আমি একা হয়ে যাবো! তাই আমিও জাবিনের পিছে পিছে দৌড় দিতে যাবো উনি আমার হাত ধরলেন।
.
আদ্রিয়ান: ওকে ডেকেছে, তোমাকে নাহ।
.
আমি: আমার কাজ আছে নিচে!
.
আদ্রিয়ান: হুম যাবে আগে অামার সাথে কথা বলে যাও!
.
আমি: কী কথা?
.
আদ্রিয়ান: তখন ওভাবে পায়ে পাড়া মারলে কেন?
.
আমি: আসলে.. ( কী বলব বুঝতে পারছিনা)
.
আদ্রিয়ান এবার হেসে দিল, আর ওর হাসি দেখে আমার কয়েকটা হার্টবিট মিস হয়ে গেল। উফ এত সুন্দর করে হাসে কেনো ছেলেটা?

আদ্রিয়ান: তুমি ভেবেছিল আমি তোমার পায়ে.. seriously? (হাসতে হাসতে)
.
আমি গাল ফুলিয়ে বললাম
.
আমি: আমি কীকরে জানবো ওটা বেড়াল ছিল?
.
ও হঠাৎ করেই আমার কোমর ধরে ওর কাছে নিয়ে এলো। আমার হার্ট এবার ফুল স্পিডে বিট করছে। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে অাছি ওর দিকে? আমার দুই হাত ওর বুকে, ও আমার ঘারের কাছে মুখটা এনে বলল
.
আদ্রিয়ান: আমি কখনো লুকিয়ে কিছু করিনা, যা করার সামনা সামনিই করি।
.
আমিতো ফ্রিজ হয়ে আছি নড়ার সামান্য ক্ষমতাটাও আমার নেই। ও আরেক হাত দিয়ে আমার কপালের চুলগুলো সরিয়ে দিল, ও মুখটা একটু এগোতেই আমি চোখ বন্ধ করে ফেললাম। কিছুক্ষন পর ফিল করলাম যে ও আমার কোমর ছেড়ে দিল তাই চোখ খুলে তাকালাম তাকিয়ে দেখি ও আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে চলে গেল।
.
যাহ বাবা ভাবলাম কী হল কী? ভেবেছিলাম ওর পায়ে পাড়া মেরেছি বলে আমার ব্যান্ড বাজাবে কিন্তু এ তো উল্টে… আচ্ছা একটা ছেলে আমার এত কাছে এলো কিন্তু আমি একবারো বাধা দিলাম না? উল্টে নিজের চোখ বন্ধ করে নিলাম? কী হয়েছিল আমার?

তখনি আপি আসল
.
আপি: কিরে কী ভাবছিস?
.
আমি: কিছুনা এমনিই!
.
আপি: নিচে চল আদ্রিয়ানরা চলে যাচ্ছে।
.
শুনেই মনটা খারাপ হয়ে গেল। কিন্তু হল সেটা জানিনা। মুড অফ করেই নিচে নামলাম। দেখলাম আঙ্কেল আন্টি বিদায় নিচ্ছে সবার কাছে, আর আদ্রিয়ান আর জাবিন একসাথে ফোনে কিছু একটা মনোযোগ সহকারে দেখছে!
.
আমাকে দেখে মানিক আঙ্কেল ডাকলেন, আমি ওনার কাছে গেলাম, তারপর মাথায় হাত রেখে বলল
.
আঙ্কেল: আসছি মামনী। নিজের যত্ন নিও আর সময় করে বাড়ি এসো কিন্তু!
.
আন্টি: হ্যাঁ ! না এলে খুব রাগ করব কিন্তু!
.
আমি একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললাম

আমি: আচ্ছা আসবো। কিন্তু আজ থেকে যেতে পারতে?
.
আম্মু: হ্যা সেই আপা থাকতে পারতে!
.
আন্টি: না অন্য একদিন থাকবো, আজ কাছ আছে!
.
আব্বু: এমনিতেতো আসেনিনা, আবার কবে আসবেন ঠিক আছে?
.
আঙ্কেল: আরে এতদিনের কথা আর এখনকার কথা এক হল নাকি? এখন তো প্রায়ই আসতে হবে, অন্তত শুভ কাজটা হবার আগ পর্যন্ত!
.
শুভকাজ? কীসের শুভ কাজ? কীসের কথা বলছে এরা? তখনি আন্টি বলল
.
আন্টি: উফ এতো কথা কেনো বলোতো? যাবেতো নাকি?
.
জাবিন এসে আমাকে জরিয়ে ধরে বলল
.
জাবিন: বাই আপু.. টেইক কেয়ার, তাড়াতাড়ি দেখা হবে।
.
আমি: হুম ভালো থেকো!

এরপর ওরা বেড়িয়ে গেল আর আমি দৌড় আমার রুমের বেলকনিতে গিয়ে দাড়ালাম.. নিচে তাকিয়ে দেখলাম আঙ্কেল আন্টি আর জাবিন একটা গাড়িতে উঠে চলে গেল!
.
আর আদ্রিয়ান আব্বুকে জরিয়ে ধরল, তারপর আম্মুকে এক হাতে হাগ করে। আরেকটি গাড়ির দরজা খুলে আমার রুমের বেলকনিতে তাকালো, দুজনের চোখাচোখি হয়ে গেল, আমি চেষ্টা করেও চোখ সরাতে পারলাম না। আদ্রিয়ান একটা মুচকি হাসি দিয়ে সানগ্লাসটা পরে গাড়ির ড্রাইভিং সিটে বসল, তারপর আরেক দফা তাকিয়ে গাড়ি স্টার্ট করে চলে গেল। একা একটা গাড়িতে গেল? যাগগে আমার কী? আমি ততক্ষণ গাড়িটার দিকে তাকিয়ে ছিলাম যতক্ষন গাড়িটা দেখা যাচ্ছিলো!
.
হঠাৎই কেউ কুনুই দিয়ে অমায় খোচা মেরে বলল
“ও চলে গেছে”
.
তাকিয়ে দেখলাম আপি দুই হাতে দুটো কফির মগ নিয়ে সেদিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে! আমি ভ্রু কুচকে বললাম,
.
আমি: কে চলে গেছে? ( আপির হাত থেকে কফি নিয়ে)

আপি: কেনো আদ্রিয়ান
.
আমি: তাতে আমার কী? ( কফিতে চুমুক দিয়ে)
.
আপি: নাহ একদৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেতো তাই মনে করিয়ে দিলাম যে ও চলে গেছে আর তাকিয়ে থাকতে হবেনা।
.
আমি: বয়েই গেছে। বাই দা ওয়ে তুমি কখন এলে?
.
আপি: যখন তুমি হা করে অন্য কাউকে দেখছিলে!
.
আমি: উফ আপি অফ যাও তো!
.
আপি: হুম এখন তো আমাকেই চুপ করাবা।
.
আমি: আচ্ছা আপি? ওরা আবার কবে আসবে?
.
আপি: ওরা.. নাকি শুধু ও কোনটা? ( চোখ মেরে)
.
আমি: আপি.. টু মাচ্!

আপি: ওরা কবে আসবে জানিনা বাট আমরা খুব তাড়াতাড়ি যাচ্ছি ওদের বাড়ি।
.
আমি: কেনো?
.
আপি: সামনের শুক্রবার আদ্রিয়ানের বার্থডে।
.
আমি: কীহ! এই শুক্রবার? আদ্রিয়ানের বার্থডে? সিরিয়াসলি?
.
আপি: ইয়েস বেবি, দেশে আসার পর প্রথম বার্থডে তাই খুব বড় করে সেলিব্রেট করবে! আর তাছাড়া..
.
আমি: তাছাড়া?
.
আপি: ওইদিন ওর লাইফের একটা গুরত্বপূর্ণ এনাউসমেন্ট করা হবে!
.
আমি: এনাউসমেন্ট?
.
আপি: জ্বি। শুধু এনাউসমেন্ট না কাজটাও হবে যতটুকু জানি।

আমি: কী কাজ?
.
আপি: সবিই জানতে পারবে সুইটহার্ট! আগে আগে দেখো হোতাহ্যা কেয়া।
.
বলেই আপি রুমে চলে গেলো।
.
আজব তো আদ্রিয়ানের বার্থডে এর দিন কীসের এনাউসমেন্ট হবে? আর কী কাজই বা সারবে? যাহ খুশি করুক তাতে আমার কী? আমি কফি খাই।
আজব তো আদ্রিয়ানের বার্থডে এর দিন কীসের এনাউসমেন্ট হবে? আর কী কাজই বা সারবে? যাহ খুশি করুক তাতে আমার কী? আমি কফি খাই।
.
রাতে সোফায় বসে বসে ল্যাপটপে মুভি দেখছি! তখনি আপি, কাব্য, অর্ণব ভাইয়া, সজীব ভাইয়া পাশে এসে বসল। আপি চানাচুরের ডিব্বাটা এনে আমার দিকে এগিয়ে দিলো, তারপর সবাই চানাচুর খেতে খেতে মুভি দেখছি খেয়াল করলাম সবাই আমার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, আমি ভ্রু কুচকে বললাম
.
আমি: কী?

সবাই কিছু না বলে মুচকি মুচকি হাসছে। আমি অবাক হয়ে বললাম
.
আমি: আজব! কী হয়েছে।
.
এবার সবাই জোরে জোরে হাসতে লাগল, আমি বিরক্ত হয়ে বললাম..
.
আমি: মিরাক্কেল সিজন এগারো শুরু হয়ে গেছে নাকি? সবাই এত হাসছ কেনো?
.
আমার কথায় সবাই আরো জোরে হাসতে লাগল।
.
আমি: আজব এত হাসির কী হল? আমাকেও বল আমিও হাসি!
.
এবার আপি হাসতে হাসতে বলল
.
আপি: লাইক সিরিয়াসলি অনি? তুই বুঝতেই পারিসনি যে AD ই আদ্রিয়ান।

আমি: আজব আমিকি আগে দেখেছিলাম নাকি?
.
অর্ণব ভাইয়া: তোর সামনে আদ্রিয়ান ভাইয়ার যে ডেসক্রিপশন দেয়া হয়েছিল, আর ওনার সম্পর্কে যে পরিমাণ আলোচনা করা হয়েছে যে কেউ বুঝতে পারবে!
.
আমি: হুহ ওমন ডেসক্রিপশনের ছেলে কী আর নেই নাকি?
.
অর্ণব ভাইয়া: খুবই রেয়ার!
.
সজীব ভাইয়া: বাড়িতে আসার পর তো তোর বোঝা উচিত ছিল।
.
আমি: হয়েছে থামোতো!
.
আপি: তারপর আবার ব্যাট দিয়ে মারতে যাচ্ছিলে ছেলেটাকে।

সবাই আরেক দফা হেসে নিল এই কথায়, আর আমি গাল ফুলিয়ে বসে রইলাম।
.
কাব্য: সিরিয়াসলি আপু? তুই যদি সত্যিই ভাইয়াকে আমার ব্যাট দিয়ে বাড়ি মারতি তাহলে কী হতো?
.
আমি: কী আর হতো ব্যাথা পেতো!
.
কাব্য: আরেহ আমি আমার ব্যাটটার কথা বলতাছি! বেচারা ব্যাটটা অকালে শহীদ হতো।
.
সবাই হেসে দিল।
.
আপি: এটা ঠিক বলছে।

কাব্য: আমি ঠিকি বলি।
.
আমি: ওই থামবি, ভাইয়াকা চামচা!
.
কাব্য: এটা হলো সম্পর্কের টান!
.
আমি: কীসের সম্পর্ক? হুম?
.
কাব্য: আরে জি..
.
তখনি আপি কাব্যকে বলতে না দিয়ে বলল..
.
আপি: ভাই! ভাই ভাইয়ের সম্পর্ক তাইনা কাব্য?
.
কাব্য: হু হ্যা সেটাই!
.
আমি একবার ওদের দিকে সূক্ষভাবে তাকিয়ে আবার মুভিতে মনোযোগ দিলাম।
.
আজ মেডিকেল থেকে এসেই আপিকে জরিয়ে ধরলাম।
.
আপি: কী ব্যাপার? এত সোহাগ? কিছু চাই?
.
আমি: তুমি এভাবে বলতে পারলে? আমার কিছু দরকার হলেই কী আমি তোমায় সোহাগ দেখাই?

আপি: হইছে ড্রামা বন্ধ কর আর পয়েন্টে আয়!
.
আমি: আসলে আপি! কালকেতো নবীন বরণ অনুষ্ঠান। প্লিজ আমাকে একটা শাড়ি সিলেক্ট করে দিও আর পড়িয়ে দিও প্লিজ প্লিজ প্লিজ!
.
আপি: ওহ এই ব্যাপার, Don’t worry, I will handle it!
.
আমি: Thank you so… much. love you..
.
আপি: হইছে যাহ ফ্রেশ হোয়ে লান্চ করে নে!

লান্চ শেষে রুমে এসে দেখি আপি কারো সাথে ফোনে কথা বলছে জাস্ট এটুকুই শুনতে পেলাম আপি বলল
.
আপি: আচ্ছা যেটা পাঠাবে সেটাই পড়াবো।
.
আমি: কে কী পাঠাবে? আর কী পড়াবে?
.
আপি আমাকে দেখে ফোন কেটে বলল
.
আপি: ও কিছুনা! কাল সন্ধ্যের পরে প্রোগ্রাম তো?
.
আমি: হুম।
.
আপি: দুপুরের শাড়ি এসে যাবে!
.
আমি: এসে যাবে?
.
আপি: I mean সিলেক্ট হয়ে যাবে!
.
আমি: ওহ ওকে!
.
পরেরদিন দুপুরে খাটে বসে ফোন টিপছি! আপি এসে একটা প্যাকেট ধরিয়ে দিল আমার হাতে!
.
আমি: কী এটা?
.
আপি: খুলে দেখো।

আমি প্যকেটটা খুলে চমকে গেলাম, অসম্ভব সুন্দর একটা নীল শাড়ি, শাড়িটা জরজেট, সুতি বা জামদানি নাহ। কেমন একটা কাপড় যেনো! কাপড় সম্পর্কে আমার ধারনা না থাকায় বুঝতে পারলাম না। শাড়িটাতে সিলভার স্টোনের ডিজাইনার পাড় দেওয়া, অনেক সুন্দর লাগছে!
.
আমি: ওয়াও আপি! কী সুন্দর শাড়িটা is this mine?
.
আপি: ইয়াপ বেইবি।
.
আমি: কিন্তু এতো এক্সপেনসিভ?
.
আপি: সেটা তোমাকে ভাবতে হবেনা! পছন্দ হয়েছে?
.
আমি: ভীষন! এত ভালো শাড়ি চুজ করেছো.. Thanks a lot..
.
আপি: দিয়ে দেবো!
.
আমি: কী দিয়ে দেবে?
.
আপি: Thanks!
.
আমি: কাকে?
.
আপি: কাউকে না বাদ দাও।
.
আমি: কিন্তু..
.
আপি: কোনো কিন্তু না। চল লান্চ করে তারপর তোমাকে রেডি করে দেই!
.
আমি: হুম চলো!
.
লান্চের টেবিলে সবাই খেতে খেতে নানান কথা বলছি তখন আব্বু বলল
.
আব্বু: মামনি তোকে একটা কথা জিজ্ঞেস করার ছিলো!
.
আমি: বলেন!
.
আম্মু: আসলে তুই কী? i mean..
.
আমি এবার ভ্রু কুচকে বললাম
.
আমি: কী?

আব্বু: মানে তুমিতো এখন বড় হয়েছো! আর এখন তো…
.
আম্মু: হ্যা মানে.. এখন তুমি এডাল্ট তাই।
.
আমি: তাই?
.
আব্বু: আসলে..
.
আমি: আসলে নকলে বাদ দিয়ে একটু ঝেড়ে কাশেন ! এক্সাক্টলি কি বলতে চাইছেন?
.
আব্বু: তোমার কাউকে ভালোলাগে?
.
আমি: হ্যা লাগেতো! আপনাকে লাগে, আম্মুকে লাগে আপিকে লাগে কাব্যকে লাগে, এখানে যারা বসে আছেন সবাইকেই ভালো লাগে!
.
সবাই হেসে দিল আমার কথায়।
.
আম্মু: আরে সেই ভালোলাগা না!
.
আমি: ভলোলাগারো আবার প্রকারভেদ আছে? আচ্ছা বলো কীরকম?
.
আব্বু: মানে তোমার পছন্দের কেউ আছে?
.
আমি: তোমরা কী আমার অপছন্দের নাকি?
.
আব্বু: মানে লাইফ পার্টনার হিসেবে পছন্দের কেউ আছে?
.
আমি তো অবাক! হঠাৎ এসব প্রশ্ন কেনো করছে? আমি আপির দিকে তাকালাম, আপি চোখ সরিয়ে হাসতে লাগলো! আমি অবাক হয়েই বললাম

আমি: মানেহ?
.
আম্মু: মানে, কাউকে ভালোলাগে, as a life partner?
.
হায় আল্লাহ এই দিনো দেখা বাকি ছিলো আমার? আমি বিরক্ত হয়ে বললাম।
.
আমি: এখনো না!
.
শুনে মনে হলো ওনারা একটু শান্তি পেল, হুট করে কিছু একটা ভেবে আম্মু বলল
.
আম্মু: আর কোন রিলেশনে আছো? মানে কমিটমেন্ট এন্ড অল।
.
আমিতো অবাকের শেষ ধাপে কী বলছে এরা এসব? পাগল হয়ে গেলো নাতো? আমি এবার অসহায় ভাবে আপির দিকে তাকালাম আপি হাসছে, তারপর সবার দিকে তাকলাম বাকিরাও হাসছে, আমি অসহায় গলায় বললাম।
.
আমি: কী বলছ এসব?
.
আব্বু: না থাকতেই পারে এটাতো দোষের কিছু না তাইনা! থাকলে বলে ফেলনা! আমরাই তো।

Infinite Love part 10+11+12

আমি: না নেই!
.
আম্মু: সত্যিই নেই?
.
এবার আমি রেগে গিয়ে বললাম।
.
আমি: না আমি কোনো রিলেশনে আছি, আর না আমার কাউকে পছন্দ। Now please stop!
.
আমার কথা শুনে ওনারা যেনো সস্তির নিশ্বাস নিলো, তারপর আব্বু বলল
.
আব্বু: তারমানে আমি যদি তোমার জন্য কাউকে সিলেক্ট করি তো তোমার কোনো প্রবলেম হবে না? কোনো আপত্তি থাকবেনা তাই তো?

আমি: প্রবলেম কেনো হবে? আর এখন এসব কথা কেনো বলছেন?
.
আব্বু: Are you sure? যে কোনো আপত্তি হবে না?
.
আমি চরম বিরক্তি নিয়ে বললাম
.
আমি: নাহ হবে না, কিন্তু এখন এসব কথা কেনো?
.
আব্বু চোখে মুখে ভীষন খুশি দেখতে পেলাম, আব্বু বলল
.
আব্বু: নাহ এমনিই তুমি খাও।

আমি খাচ্ছি আর ভাবছি হলোটা কী এদের? হঠাৎ এসব আজগুবি প্রশ্ন কেনো করল? কী চলছে এদের মনে? এইসব টপিক নিয়েতো আগে কোনোদিন কথা হয়নি?

Infinite Love part 16+17+18+19+20