জল ফড়িঙের খোঁজে পর্ব ৪১ || লেখিকা: অনিমা কোতয়াল

জল ফড়িঙের খোঁজে পর্ব ৪১
লেখিকা: অনিমা কোতয়াল

কিছু মানুষ আমাদের স্মৃতিতে সর্বক্ষণ থাকে। তাদের নিয়ে আমরা ভাবি, চিন্তা করি, তাদের শুধু একবার দেখার জন্যে ভেতরে ভেতরে ছটফট করি। কিন্তু তারা যখন সামনে চলে আসে তখন কী বলব নিজেরাই বুঝে উঠতে পারিনা, কথাগুলো সব গলাতেই আটকে যায়, প্রচন্ড অস্বস্তি হয়। সেরকমই অবস্থা হয়েছে এখন সৌহার্দ্য আর তুর্বীর। দুজনে একটা রেস্টুরেন্টের টেবিলে মুখোমুখি বসে আছে। এই রেস্টুরেন্টে আগে প্রায়ই আসত ওরা। ওদের অনেক সুন্দর সুন্দর মুহূর্তের সাক্ষী এই জায়গা, অনেক স্মৃতি আছে এখানে। বেশ অনেকক্ষণ যাবত দুজনেই চুপচাপ বসে আছে। দুজনের মধ্যেই অনেক কথা জমে আছে। কিন্তু কোন এক জড়তার জন্যে বলতে পারছেনা। সৌহার্দ্য তুর্বীর এমন ব্যবহারে বেশ অবাক হচ্ছে। যেই মেয়েটার মুখে সবসময় খই ফুটতো সে এত চুপচাপ কীকরে? তুর্বীর মধ্যে এই ইতস্তততা ব্যপারটা ঠিক মানতে পারছেনা সৌহার্দ্য। তাই একটু গলা ঝেড়ে নিজেই বলল,

” কিছু বলবে বলছিলে?”
সৌহার্দ্যর কথায় তুর্বীর ধ্যান ভাঙে। ও জিভ দিয়ে ঠোঁটে ভিজিয়ে নিয়ে ছোট্ট একটা শ্বাস ফেলে বলল,
” আগে বল কী বলে ডাকব তোমাকে? সৌহার্দ্য রায়হান না-কি আর জে SR?”
সৌহার্দ্য চমকে তাকার তুর্বীর দিকে। সেটা দেখে তুর্বী ঠোঁট বাঁকিয়ে হাসল। সৌহার্দ্য প্রচন্ড অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। তুর্বী একইভাবে হেসে বলল,
” এতক্ষণ নাইনটি পার্সেন্ট শিওর ছিলাম। এখন হান্ড্রেট পার্সেন্ট শিওর হয়ে গেলাম সে তুমিই SR।”
সৌহার্দ্য কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল,
” তুমি কীকরে জানলে?”
তুর্বী নিচের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসল। তারপর চোখ তুলে সৌহার্দ্যর দিকে তাকিয়ে বলল,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

” তুমি আমাকে যখন SR কিডন্যাপ করেছিলো তারপর থেকে আমি রেগুলার তাঁর শো শুনতাম। ভালোলাগত আরজে SR এর কথাগুলো। তোমার সাথে কথার ধরণ কন্ঠের বেশ মিল পেলেও ব্যাপারটা কাকতলীয় হিসেবেই নিয়েছিলাম আমি। কিন্তু যখন তুমি চলে গেলে আর ঠিক তারপরেই SR ‘প্রভাতের আলো’ শো টা করা বন্ধ করে দিল। প্রথম খটকা তখনই লাগে। এরপর কেন জানি সবকিছুই মেলাতে পারছিলাম। হঠাৎই অফিসে আমার মডেল এপ্রুভ হওয়া। তারপর অফিসে তোমার এন্ট্রি। আমায় দেখেও অবাক না হওয়া। সবটা মেলাতে পারছিলাম। আর অলমোস্ট শিওর হয়ে গেছিলাম তুমিই আর.জে. S.R.। তুমি চলে যাওয়ার পর বেশ কয়েকদিন হৈ চৈ হয়েছিল। এখনও তো অনেকেই অপেক্ষা করে আছে কবে তাদের আর জে SR আবার ‘প্রভাতের আলো’ হোস্ট করবে।”
সৌহার্দ্য একটু হেসে বলল,

” আর তুমি?”
তুর্বী শীতল দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল সৌহার্দ্যর দিকে। এরপর একটু হেসে বলল,
” একজন শ্রোতা হিসেবে অবশ্যই চাইব।”
সৌহার্দ্য স্হির দৃষ্টিতে তাকাল তুর্বীর দিকে। সে তো চেয়েছিল মনের মানুষ হিসেবে তুর্বী স‍ৌহার্দকে চাইবে। কিন্তু সেটা হয়তো কখনও হওয়ার নয়। এসব ভেবে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল ও। নিজেকে স্বাভাবিক করে সৌহার্দ্য বলল,
” তুমি খুব দরকারি কিছু বলবে বলছিলে। দু-বছর পর হঠাৎ কী হল? যে আমায় তোমার এতো প্রয়োজন? না-কি মন ঘুরে গেছে এখন?”
সৌহার্দ্যর শেষ কথাটায় তুর্বীর মনে লাগল। মাথা নামিয়ে হালকা তাচ্ছিল্যের হালকা হাসি হেসে বলল,
” খোঁচা দিচ্ছো?”
” একদমই না। আমার এতো সামর্থ্য কোথায়? তা হঠাৎ চাকরি ছেড়ে চলে গেলে যে?”
তুর্বী একটু হাসার চেষ্টা করে বলল,
” সিলেটে ভালো একটা জব ওফার ছিল। বেতন ভালো ছিল, জায়গাও সুন্দর ছিল তাই চলে গেলাম।”
সৌহার্দ্য শীতল দৃষ্টিতে তুর্বীর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলল,

” এখন সিলেটেই থাকো তাহলে?”
” হুম।”
” একই পোস্ট?”
” সিনিয়র আর্কিটেক্ট।”
সৌহার্দ্য বেশ অবাক হল। তবে চোখেমুখে অবাক ভাবটা দ্রুত কাটিয়ে বলল,
” হ্যাঁ এবার বল, কী বলছিলে?”
তুর্বী একটা লম্বা শ্বাস ফেলে ভাবল যে, না এখন কাজের কথায় আসতে হবে। এসব বাড়তি কথার আজ আর কোন মূল্য নেই। শুধুই সময় নষ্ট। তাই সৌহার্দ্যর দিকে তাকিয়ে ও বলল,
” বিহান কোথায় জানো?”
হঠাৎ বিহানের প্রসঙ্গ ওঠাতে চমকে উঠল সৌহার্দ্য। হঠাৎ এখানে বিহানের প্রসঙ্গ তোলার মানে বুঝল না। তাই ও অবাক হয়ে বলল,
” হঠাৎ বিহানের কথা বলছ?”
” জানো কোথায়?”

সৌহার্দ্য হতাশ দৃষ্টিতে তাকিয়ে না বোধক মাথা নাড়ল। তুর্বী দুই হাত টেবিলের ওপর রেখে বলল,
” সৌহার্দ্য বিহান অন্যায় করেছিল ঠিকই। কিন্তু তুমি ওকে ছেড়ে এভাবে চলে না গেলেও পারতে। তুমি জানতে তুমি ছাড়া ওর পাশে কেউ ছিলোনা। ছেলেটা নিজের ভুল বুঝতে পেরেছিল বলেই রিখুকে নিজে থেকে সবটা বলে ক্ষমা চেয়েছিল। হ্যাঁ ওর শাস্তি প্রাপ্য ছিল। তাই বলে তুমি ওর একমাত্র বাঁচার সম্বলটাই ওর থেকে কেড়ে নিলে? এটা কী লঘু পাপে গুরুদন্ড হয়নি?”
সৌহার্দ্য চোখ বন্ধ করে ফেলল। নিজের মনেই তাচ্ছিল্যের হাসি দিল। তুর্বী এখনও মনে করে যে শুধুমাত্র বিহানের জন্যেই ও দেশ ছেড়েছিলো? কবে বুঝবে ওর তুর ওকে? একটুও কী বুঝতে পারেনা ? মনের কথা মনে রেখেই সৌহার্দ্য আফসোসের একটা শ্বাস নিয়ে বলল,

” আমি জানি সেটা। আর যখন বুঝেছি তখন ওকে তো কোথাও খুঁজেও পাচ্ছিনা। কোথায় আছে কে জানে?”
” আমি জানি।”
তুর্বী হঠাৎ এমন কথায় চমকে উঠল সৌহার্দ্য। অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল তুর্বীর দিকে। তুর্বী বলল,
” হুম। জানি কোথায় আছে। বান্দরবান আছে এই মুহূর্তে ও।”
সৌহার্দ্য অবাক দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলল,
” তুমি কীকরে জানলে?”
তুর্বী সৌহার্দ্যকে ওর বান্দরবানে ট্রেনিং এ যাওয়ার পরের ঘটনা সব খুলে বলল। সব শুনে সৌহার্দ্য অবাক হয়ে বলল,
” হ্যাঁ কিন্তু। তুমি হঠাৎ আমাকে এসব বলতে কেন এলে?”
” কারণ সৌহার্দ্য, আমি বিহানের চোখে রিখুর জন্যে অসম্ভব ভালোবাসা দেখেছি।”
সৌহার্দ্য বেশ অবাক হয়ে বলল,

” কী?”
” হ্যাঁ। তুমি এখন বিহানকে দেখলে চমকে যাবে। এখন অনেকটা বদলে গেছে ও।”
কথাটা শুনে সৌহার্দ্য নিজের মনেই হাসল। বদলেতো তুর্বীও গেছে। কতটা বদলেছে হয়তো তুর্বী নিজেও অনুমান করতে পারছেনা। সৌহার্দ্য একটু নড়েচড়ে বসে বলল,
” তুমি কীভাবে জানলে?”
তুর্বী সৌহার্দ্যকে বিহানের পরিবর্তন, মেয়েদের সাথে না মেশা, রিখিয়ার ঐ পেন্টিং, বিহানের বলা কিছু কথা, সবটা বলল। সব শুনে সৌহার্দ্য নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছেনা। ওর ভাইটা এতোটা বদলে গেছে? পরিস্থিতি বিহানকে আবার বদলে দিল? তাও নতুনভাবে? এসব ভাবতে ভাবতেই তুর্বী বলল,
” এবার তুমিই ভাবো। ভালো না বাসলে কোন মেয়ের এতো নিখুঁত ছবি আঁকা যায়? কেউ এমন দেবদাস টাইপ হয়ে যায়? আর ওর বলা কথাগুলো?”

সৌহার্দ্য একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তুর্বীর দিকে। সবার ভালোবাসা বুঝতে পারলেও সৌহার্দ্যর ভালোবাসাটা আজও কেন বোঝেনা তুর্বী? না-কি বুঝেও বুঝতে চায়না। সৌহার্দ্য তৃপ্তির হাসি বলল,
” বিহান প্রেমে পরেছে? আমার ভাই সত্যিই ভালোবাসতে শিখে গেছে? ভালোবাসার মানে বুঝতে পেরেছে?”
” হুম। আর সেইজন্যই আমি ঢাকা এসছি। আমি জানি চেষ্টা করলেই ওদের আবার এক করা সম্ভব। আমি রিখিয়াকে যতটুকু চিনি ও আজও বিহানকে ততটাই ভালোবাসে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে রিখিয়া যদি এতদিনে বিয়ে করে ফেলে? ওদের গ্রাম আর পরিবারের যা অবস্থা, এটা অসম্ভব নয়।”
সৌহার্দ্য একটু হেসে বলল,

” চিন্তা করোনা। সেরকম কিছুই হয়নি। ওর বিয়ে হয়নি এখনও। আর তোমার ধারণা ঠিক। শী স্টিল লাভ বিহান সো মাচ।”
তুর্বী ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বলল,
” তুমি কীকরে জানলে?”
” আমি সেদিন ওদের গ্রামেই গেছিলাম একটা বিয়েতে। সেখানেই দেখা হয়েছে। কথাও হয়েছে।”
তুর্বী কাঁপাকাঁপা কন্ঠে বলল,
” কেমন আছে ও?”
” এমনিতে ভালো তবে মানসিক শান্তিতে নেই।”
তুর্বী কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল,
” আপনার ভাই হয় বিহান। ও যা করেছে তার শাস্তি ও পেয়ে গেছে। প্লিজ এবার সবটা ঠিক করে নিন। আর হ্যাঁ আমি চাই ওরা আবার একে ওপরের কাছে অাসুক। তোমার সাহায্য প্রয়োজন। করবেতো হেল্প?”
স‍ৌহার্দ্য গ্লাস ঘোরাতে ঘোরাতে একটু হেসে বলল,

” আমি সবসময়ই চাইতাম আমার ভাই সত্যিই মন থেকে কাউকে ভালোবাসুক। এমন কেউ ওর জীবনে আসুক যে ওকে সবটা দিয়ে ভালোবাসবে। ওর সব ক্ষত সাড়িয়ে দিয়ে ওকে স্বাভাবিক জীবন দেবে। আর রিখিয়ার চেয়ে ভালো ওর জন্যে কেউ হতেই পারেনা। তাই আমার ভাইয়ের জন্যে হলেও আমি সাহায্য করব।”
তুর্বী উচ্ছসিত কন্ঠে বলল,
” গ্রেট! আপনি বান্দরবান গিয়ে বিহানকে নিয়ে আসুন। এদিকে আমি রিখিয়ার কাছে গিয়ে ওকে শহরে আনবো। এরপর দুজনকে একজায়গায় কথা বলাতে পারলে। বাকি যা হবার হয়ে যাবে। আর কিছু বাকি থাকলে আমরাতো আছিই।”
সৌহার্দ্য একটু হাসল। ব্যাপারটা এতোটাও ইজি না ও জানে। তবে প্রথম ধাপ এটাই ঠিক আছে। তাই তুর্বীকে বলল,
” ওর এড্রেসটা দিয়ে দাও আমাকে।”
তুর্বী ফোন হাতে নিয়ে বলল,

” নাম্বারটা বলুন আমি টেক্সট করে দিচ্ছি। আর হ্যাঁ রিখিয়ার ঠিকানাটাও লাগবে আমার। আমি ওর গ্রামের নামটা জানলেও এক্সাক্ট লোকেশনটা জানিনা।”
এরপর দুজনেই ফোন নাম্বার আদান-প্রদান করে একে ওপরকে ঠিকানা পাঠিয়ে দিল। স‍ৌহার্দ্য বলল,
” আমি কালকেই বান্দরবান যাচ্ছি। সময় নষ্ট করা ঠিক হবেনা।”
তুর্বী সম্মতি জানিয়ে বলল,
” আমিও কালই বেড়িয়ে পরব।”
” আর কিছু বলবে?”
” নাহ।”

সৌহার্দ্যর মনে আবারও অভিমান জমা বেঁধেছে। দুইবছর পর দেখা হল। তুর্বী নিজে থেকে কথা বলতে চাইল ঠিকই কিন্তু ওর বান্ধবী আর বিহানের জন্যে। ওর জন্যে না। ওকে আলাদা করে কিছুই বলার নেই তুর্বীর? থাকবেই বা কেন? তুর্বীর কাছেতো ও সবসময়ই শুধুমাত্র একটা এক্সপেরিমেন্টের বস্তু ছিল। এসব ভেবে সৌহার্দ্য এবার উঠে দাঁড়িয়ে বলল,
” আমার এবার উঠতে হবে। দোলাকে বসিয়ে রেখে এসছি শপিংমলে। লাঞ্চের টাইম হয়ে যাচ্ছে। তুমি আসবে আমাদের সাথে লাঞ্চে?”
ঐ মেয়ের কথা শুনেই তুর্বীর মুখ অন্ধকার হয়ে গেল। মন খারাপ হয়ে গেল আবার। কিন্তু কেন নিজেও জানেনা। তাই নিচু কন্ঠে বলল,

” না, তোমরা যাও। এনজয় কর। আমার কাজ আছে।”
সৌহার্দ্য আর জিজ্ঞেস না করে বলল,
” ওকে, আমি আসছি। পরে কথা হবে।”
বলে সৌহার্দ্য চলে যেতে নিলেই তুর্বী বলে উঠল,
” ঐ মেয়েটা কে?”
সৌহার্দ্য দাঁড়িয়ে গিয়ে বলল,
” বাবা-মা আমার জন্যে ওকেই পছন্দ করেছে। ওনারা চান আমাদের বিয়ে হোক।”
তুর্বীর ভেতরে কেমন করে উঠল। ওর বুক কাঁপছে হঠাৎ। তবুও নিজেকে সামলে একটু হেসে বলল,
” ওহ। খুব ভালো মানিয়েছে তোমাদের একসাথে।”

জল ফড়িঙের খোঁজে পর্ব ৪০

সৌহার্দ্য কোন উত্তর না দিয়ে সাথেসাথেই হনহনে চলে গেল। মেজাজ প্রচন্ড বিগড়ে গেছে ওর। এই মেয়ের সৌহার্দ্যর অন্যকারো সাথে থাকা না থাকাতে আগেও কিছু যায়-আসেনি এখনও যায়-আসেনা। ও বিয়ে করে, বাসর করে, দুই-তিন বাচ্চার বাপ হয়ে গেলেও এই মেয়ের কোন কষ্টই হবেনা। উল্টে সেই বাচ্চাদের গাল টেনে দিয়ে বলবে ‘ অঅঅ কী কিউট! একদম তোমার মত হয়েছে সৌহার্দ্য।’ রিডিকিউলাস। কাকে ভালোবেসে পাগল হচ্ছে ও? ভাবলে নিজের মাথা নিজেরই চাপড়াতে ইচ্ছে করে।

তুর্বীর এবার বেশ খারাপ লাগছে। বাবা মায়ের পছন্দ করা মেয়ের সাথে এভাবে ঘুরতে বেড়িয়েছে? তার মানেতো একটাই যে সৌহার্দ্যও বিয়েতে রাজি। আর খুব শীঘ্রই বিয়েও হবে। কিন্তু তাতে ওর কী? বিয়ে হলেতো ভালো কথা। ছেলেটা আর কত একা থাকবে? কিন্তু ওর এতো খারাপ লাগছে কেন? এক অদ্ভুতরকম কষ্ট হচ্ছে। বুক ভার হয়ে আসছে। কই দু-বছর আগে যখন সৌহার্দ্যর পাশে অন্যকাউকে দেখতো, তখনতো এরকম লাগতো না? কষ্টও হতো না। তবে আজ এরকম লাগছে কেন? এতো অসহ্য লাগছে কেন সব?

জল ফড়িঙের খোঁজে পর্ব ৪২