জল ফড়িঙের খোঁজে পর্ব ৫ || রোমান্টিক ভালবাসার গল্প

জল ফড়িঙের খোঁজে পর্ব ৫
লেখিকা: অনিমা কোতয়াল

রিখিয়া ব্যাংকে বসে লোকেদের টাকা দেওয়ার কাজ করছে। আজ ব্যাংকে তেমন ভীর নেই। রিখিয়া মাথায় এখন অন্যচিন্তা ঘুরছে। বাড়িতে তো প্রয়োজন মত টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে। কিন্তু শুধু তুর্বীর বেতন দিয়ে ফ্লাট ভাড়া , বাজার, যাতায়াত ভাড়া আরও বাড়তি সব খরচ চালাতে হবে। সেটুকু হলেও টেনেটুনে চালিয়ে নেওয়া যেত, কিন্তু তুর্বীর চেইন টাও তো ছাড়াতে হবে। তুর্বীর মায়ের শেষ স্মৃতি ঐ চেইনটা। অথচ মেয়েটা নিঃসংকোচে চেইনটা খুলে দিয়ে দিয়েছে। এসব ভেবে টেনশনে রিখিয়ার মাথাটা ফেটে গেলেও তুর্বী দিব্বি হেসে খেলে বেড়াচ্ছে। চিন্তা ভাবনা বলেও যে কিছু আছে সেটা ঐ মেয়েটা হয়ত জানেই না। কিন্তু ওই বা কী করবে? জীবনটা এত জটিল কেন? মধ্যবিত্তদের জীবন সবচেয়ে কঠিন হয়। জীবন সংগ্রাম ঠিক কী সেটা প্রতিমুহূর্তে টের পায় তারা। ছোট্ট শ্বাস ফেলে কাজে মনোযোগ দিল রিখিয়া। এসব ভেবে কাজে গাফিলতি করলে চলবেনা, এই চাকরিটাই তো ওর একমাত্র সম্বল। এটা চাকরিটা চলে গেলে ওর বাবা মার কী হবে? সংসার কীভাবে চলবে?

বিহানও ওর নতুন পেন্টিং প্রেসেন্ট করে পুরষ্কার হিসেবে টাকার চেক পেয়েছে। সেই টাকা টাই ক্যাশ করতে ঐ ব্যাংকেই এসছে। ব্যাংকে এসে রিখিয়াকে দেখেই থমকে দাঁড়াল ও। এটা তো সেই লিফটের মেয়েটা? মেয়েটা এই ব্যাংকেই কাজ করে? মনে মনে কথাগুলো আওরে নিল বিহান। হঠাৎ করেই ঠোঁটে ওর সেই বাঁকা হাসি ফুটে উঠল। একটা দুষ্টু বুদ্ধি এল ওর মাথায়। মেয়েটা একটু বেশিই সাদামাটা, নম্র, ভদ্র টাইপ। আর এরকম মেয়েদের একটু বিরক্ত করাতে অদ্ভুত মজা পাওয়া যায়। শান্ত শিষ্ঠ মেয়েটা যখন চোখেমুখে বিরক্তি নিয়ে, বা একটু রাগ নিয়ে তাকাবে সেই মুখটা খুব বেশিই উপভোগ করার মত হবে। তাই কিছু একটা ভেবে ওর কাছে থাকা চেকবুকটা থেকে একটা ব্লাঙ্ক চেক ছিড়ে নিয়ে
এগিয়ে গেল। কাউন্টারে গিয়ে একটু কাশি দিতেই রিখিয়া মাথা তুলে তাকাল। বিহান কে দেখে চিনতে একটুও দেরী হয়নি ওর। সেদিন লিফটের কথা মনে পরতেই মেজাজ ভীষণ খারাপ হল। ও বিরক্তি নিয়ে বলল,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

” জি?”
বিহান মুখে সেই হাসি রেখেই বলল,
” তুলতে এসছি।”
রিখিয়া একটু হকচকিয়ে গেল। তুলতে এসছে মানে কী? কী মতলব এই ছেলের? ও ইতস্তত করে বলল,
” সরি?”
” টাকা। টাকা তুলতে এসছিলাম।”
বলে মেকি একটা হাসি দিল বিহান। এতক্ষণে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল রিখিয়া। নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,
” জি অপনার একাউন্ট থেকে টাকা তুলবেন?”
বিহান সঙ্গেসঙ্গেই ডানে বায়ে মাথা নাড়িয়ে বলল,
” নাহ!”
” তাহলে?”
” অন্যের একাউন্ট থেকে টাকা নেব।”
রিখিয়া একটু অবাক হয়ে তাকাল বিহানের দিকে। এই লোকটা কী বলছে আর কী করতে চাইছে কিছুই বুঝতে পারছেনা ও। অন্যের একাউন্ট থেকে টাকা তুলবে মানে কী? রিখিয়া এবার একটু বিরক্ত হয়েই বলল,
” মানে?”
” মানে হল অন্যকেউ আমায় একটা চেক দিয়েছে আমি সেই চেক দিয়ে টাকা তুলব। এটুকু জানেন না আর ব্যাংকে চাকরি করেন?”
এবার একটু রেগে গেল রিখিয়া। লোকটা ইচ্ছে করে ওকে কনফিউসড করছে সেটা নিয়ে তো কোন সন্দেহ নেই ওর মনে। যাই হোক এখন এই লোককে তাড়াতাড়ি বিদায় করতে পারলেই হয়। তাই রিখিয়া নিজেকে শান্ত করে বলল,
” চেক দিন?”

বিহান এবার সেই ব্লাংক চেকটা রিখিয়ার দিকে এগিয়ে দিল। রিখিয়ি চেকটা হাতে নিয়ে তাকিয়ে ব্লাংক চেক দেখে এবার সত্যিই প্রচন্ড রকমের বিরক্ত হলো। এসব ফাজলামির মানে কী? ওকে দেখে কী সার্কাসের জোকার মনে হচ্ছে লোকটার? তখন থেকে জ্বালিয়ে যাচ্ছে। রিখিয়া দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
” এটা ব্লাংক চেক।”
বিহান এমন একটা ভাব করল যেন ব্যাপারটায় বেশ অবাক হয়েছে সে। যেন এরকমটা হওয়ার কথাই ছিল না, একদমই না। তাই অবাক হয়ে বলল,

” কী বলছেন কী? ওয়েট! ওয়েট! ও হ্যাঁঅ‍্যাঅ‍্যা। আমি ভুল চেক দিয়ে ফেলেছি আপনাকে। দাঁড়ান আসলটা দিচ্ছি। ”
বলে বিহান চেকটা নিয়ে নিল। রিখিয়া আর কী বলবে? এটুকু সময়েই বিহান ওর মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছে। ও বোকার মত তাকিয়ে আছে। বিহান এবার ঐ চেকটা বের করে রিখিয়ার হাতে দিল। রিখিয়া চেকটা নিয়ে সব প্রসেসিং কম্প্লিট করে ক্যাশ বের করে বিহানের দিকে দিল। ভীর নেই তাই ওখানে দাঁড়িয়েই টাকা গুনতে শুরু করল বিহান। এবার বিহানের দিকে একটু ভালো করে তাকাল রিখিয়া। একটা নীল ফুলহাতা টিশার্ট পরেছে, টিশার্ট টা বিহানের সুঠাম দেহে লেগে আছে ; কালো জিন্স, স্পাইক করে রাখা চুলগুলো কিউট ইনোসেন্ট টাইপ চেহারাটার সাথে একটু বেশিই মানানসই। এত ইনোসেন্ট, কিউট টাইপ চেহারার একটা ছেলের পেটে পেটে এতো শয়তানি কীকরে থাকে বুঝতে পারছেনা রিখিয়া। এসব ভাবতে ভাবতেই বিহান টাকা গোনা শেষ করে রিখিয়ার দিকে তাকিয়ে বলল,

” থ্যাংক ইউ।”
রিখিয়া কিছু না বলে চোখ সরিয়ে বিড়বিড় করে বলল,
” যত্তসব, ফাল্তু লোকজন।”
বিড়বিড় করে বললেও বিহান রিখিয়ার কথা স্পষ্টই শুনতে পেল। রিখিয়া বিহানের দিকে তাকাতেই ও মুচকি হেসে চোখ মেরে দিল। রিখিয়া তো হা করে তাকিয়ে আছে। বিহান শিশ বাজাতে বাজাতে বেড়িয়ে গেল। রিখিয়ার পাশে একটু দূরে বসা ওর কলিগ ঋতু বলল,
” কে রে? তোর পরিচিত কেউ নাকি?”
রিখিয়া বিরক্তি নিয়ে বলল,
” আরে না। কোথা থেকে চলে আসে এসব।”
” আজকে স্যারের বার্থ ডে আমাদের ট্রিট দেবে অফির টাইমের পর। যাবিনা?”
” যেতে তো হবেই।”
“হুম।”

বলে ঋতু কাছে মনোযোগ দিল। ধূর! আজকে ব্যাংকে ভীড় থাকলে কত ভালো হতো, এই উদ্ভট লোকটা এতক্ষণ ওকে এত জ্বালাতে পারল। কী আর করবে? তাই এসব ভাবনা মাথা থেকে ঝেড়ে আবার কাজে মন দিল রিখিয়া। এসব উদ্ভট, ফালতু, অপ্রয়োজনীয় মানুষের কথা ভেবে নিজের কাজের ক্ষতি করার কোন মানেই হয়না।
বিহান টাকা নিয়ে ঐ বিল্ডিং এর ওপরের ফ্লোরেরই গেল। ওখানেই আপাতত কাজ আছে ওর। আজ ওখানে বসেই নিজের একটা পেন্টিং শেষ করবে ওও। এরপর আবার ওর আরেকজন গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে হবে। তারপর রাতে স‍ৌহার্দ্যের সাথে লং ড্রাইভে যাবে। এটাই ওর সারাদিনের প্লান। বিয়ার খেতে খেতে ড্রাইভ করার মজাই আলাদা। যদিও একপর্যায়ে সৌহার্দ্য ওকে আর ড্রাইভ করতে দেয়না। যখন বিহানের ভালোভাবে নেশা ধরে যায় তখন সৌহার্দ্য জোর করেই ওকে ফ্রন্ট সিটে বসিয়ে নিজে ড্রাইভ করে। ছেলেটা একটু বেশিই গোছানো, ডিসিপ্লিনড। এসব কথা ভেবেই হালকা হাসতে হাসতে কাঙ্ক্ষিত ফ্লোরের উদ্দেশ্যে রওনা দিল ও।

সন্ধ্যা ছয়টায় রিখিয়া আর ওর সব কলিগরা অফিস থেকে বেড়োলো ব্যাংক থেকে। সকলেই রেস্টুরেন্টে যাবে। ব্যাংক ম্যানেজারের আজ জন্মদিন তাই সে আজ সবাইকে খাওয়াবে। সবাই মিলে প্রায় আধঘন্টার পথ অতিক্রম করে ওরা রেস্টুরেন্টে পৌছালো। রেস্টুরেন্টের ভেতরে ঢুকে বেশ অবাক হল রিখিয়া। অনেক বড় রেস্টুরেন্ট এটা। এরকম রেস্টুরেন্টে সচরাচর আসার মতো ক্ষমতা হয়না রিখিয়ার। সবাইকেই বুক করা টেবিলগুলোতে বসানো হল। রিখিয়াও চুপচাপ বসে আছে আর আশেপাশে সবকিছু দেখছে। হঠাৎ ওর চোখ পরল দূরের কোণের একটা টেবিলে, সেখানে তাকিয়ে রিখিয়ার চোখে মুখে আবার বিরক্তি ফুটে উঠল। কারণ কর্ণারে বিহান বসে আছে। না, সে একা বসে নেই। সাথে একটা মেয়েও বসে আছে। বিহান আর মেয়েটা খুব ক্লোজ হয়ে বসে আছে। কথার তালে তালে বিহান বারবার মেয়েটার সামনের চুলগুলো সরিয়ে দিচ্ছে, মেয়েটাও কখনও বিহানের গাল টেনে দিচ্ছে, কখনও গালে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে, আবার কখনও নাক টেনে দিচ্ছে। তারওপর এই মেয়েটা সেই মেয়েটা না যাকে ও লিফট এ দেখেছিল।

রিখিয়া মনে মনে বলল, ‘ঠিকই ভেবেছিলাম প্রথম দিন। এই ছেলের ক্যারেক্টার একদম ঢিলা। আজকে এই মেয়ে, তো কালকে আরেক মেয়ে। প্লে-বয় কোথাকার।’ এসব ভাবতে ভাবতেই খাবার চলে এল। খাবারগুলো দেখে রিখিয়ার মন খারাপ হয়ে গেল। ও এখানে এত ভালো ভালো খাবার খাবে তুর্বীকে ছাড়া? এখন এই দামী সুস্বাদু খাবারগুলোও ওর কাছে স্বাদহীন মনে হবে। ইশ! যদি তুর্বীকে সাথে এনে একসাথে খেতে পারত। কিন্তু কী আর করবে? চাইলেই তো আর সবকিছু হয়না। তাই একপ্রকার জোর করেই সবার সাথে কোনরকমে খাওয়া শেষ করল। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রিখিয়ারা উঠতে যাবে তখনই এনাউস করা হল এখানে পার্টি হবে। বড় এক কম্পানি বুক করে নিয়েছে কয়েক ঘন্টার জন্যে। সবাই যাতে থেকে যায়। কিন্তু এমনিতেই দেরী হয়ে গেছে তাই রিখিয়া আর থাকবে না। ও যাওয়ার জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছিল তখনই ঋতু এসে বলল,

” ইয়ার যাস না প্লিজ। দেখ পার্টিতো বেশিক্ষণ চলবে না। ঘন্টাখানেক থাক। এরপর আমরা দুজনে একসাথেই বেড়োবো।'”
রিখিয়া চিন্তিত মুখে একবার সময় দেখে নিয়ে বলল,
” কিন্তু..”
” প্লিজ না করিস না। শোন আমার কথাটা। প্লিজ! প্লিজ! প্লিজ!”
ঋতুর অনেক জোরাজুরিতে আর না করতে পারল না রিখিয়া। ঘন্টাখানেকের জন্যে থেকে গেলে কী বা হবে? কিছুক্ষণ পরেই মিউসিক এর তালে সবাই নাচতে শুরু করল। সবাই নাচলেও রিখিয়া এককোণে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। ওর চোখ আবারও বিহানের ওপরেই পরল। বিহান ঐ মেয়েটার সাথে নাচ করছে। যেটা ওখানকার সবার কাছে নরমাল হলেও রিখিয়ার কাছে খুবই অস্বস্তিকর। ওর মতে এগুলো দেখাও পাপ। শুধু পাপ না মহাপাপ। তাই ও চোখ মুখ কুচকে অন্যদিকে তাকিয়ে আছে আর এদিক ওদিক হাটছে।

নাচতে নাচতেই বিহানের চোখ রিখিয়ার দিকে গিয়ে পরল। সবাই নিজের মত নাচ-গান করে মজা করছে তার মধ্যে কীভাবে বিরক্তি নিয়ে চুপচাপ এদিক ওদিক হেটে যাচ্ছে। এটা হয়ত এরকম ভালো মেয়েদের পক্ষেই সম্ভব। হ্যাঁ মেয়েটা ভালো, একটু বেশিই ভালো। সেটা বিহান জানে আর মানেও। কিন্তু ও তো ভালো না, একদমই ভালো না। লাগামহীন, লক্ষহীন, নিকৃষ্ট, খারাপ, নষ্ট হয়ে যাওয়া একটা ছেলে। এইদুই দিন মেয়েটার সাথে মজা করলেও এখন আর মেয়েটার কাছে যাবেনা বলে ঠিক করে নিয়েছে বিহান। ও চায়না ওর মত খারাপ একটা ছেলের প্রভাব ওরকম ভালো ভদ্র মেয়ের ওপর পরুক।

ডান্স করতে করতে রিখিয়ার দিকে তাকিয়ে এটাই ভাবছিল ও কিন্তু হঠাৎ কিছু একটা চোখে পরতেই ওর ভ্রু কুচকে গেল। কিছু একটা ভেবে এগিয়ে গেল রিখিয়ার দিকে।বিহান রিখিয়ার পেছনে দাঁড়িয়ে কিছু বলল কিন্তু মিউসিক এত লাউডে ছিল রিখিয়া বিহানের কন্ঠস্বর শুনতে পেলেও কী বলেছে সেটা শুনতে পায়নি। তবে এরকম ছেলে ভালো কিছু বলতেই পারেনা সেটা নিশ্চিত ও। তাই ও দ্রুত সরে দাঁড়ালো। বিহান আবার ওর পেছনে গিয়ে দাঁড়িয়ে কিছু বলবে তার আগেই রিখিয়া ঘাবড়ে আবারও সরে গেল। বিহান সম্পর্কে রিখিয়ার যা ধারণা হয়েছে তাতে এটাই স্বাভাবিক।

জল ফড়িঙের খোঁজে পর্ব ৪

হঠাৎ করে রিখিয়া ওর পিঠে কারো হাতের ছোঁয়া পেয়েও কেঁপে উঠল। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে বিহানের হাত ওর জামার জিপে আর ওর জিপ অর্ধেক খোলা অবস্থায় আছে। রিখিয়ার শান্ত মস্তিষ্কে জেনো মুহূর্তেই আগুন জ্বলে উঠল। চোখ ছলছল করে উঠল ওর। বিহান ওর সেই বাঁকা হাসি কিছু বলতে যাবে তার আগেই রিখিয়া ওর সর্বশক্তি দিয়ে চড় মেরে দিল বিহানকে। বিহান গালে হাত দিয়ে অবাক হয়ে তাকাল রিখিয়ার দিকে। আস্তে আস্তে সবার চোখে পরল ব্যপারটা। ধীরে ধীরে মিউসিক থেমে গেল। রিখিয়া হুট করে এতটাই রেগে গেছে যে ও কী করছে বা বলতে তার জ্ঞান নেই ওর। কথায় আছে শান্ত নদী যদি হঠাৎ অশান্ত হয়ে যায় তখন সব ভাসিয়ে নিয়ে যায়। সেরকমই কিছু হয়েছে। ও রেগে চেঁচিয়ে বলল,

” ক্যারেক্টার লেস ছেলে একটা। আমাকে আপনার ওসব গার্লফ্রেন্ডদের মত মনে হয়? হ্যাঁ? যেখানে যা খুশি করবেন আমার সাথে? আমার গায়ে হাত দেবেন? আমার জামার চেইন..”
এটুকু বলে থেমে গেল ও। চোখে জমে থাকা জলটা গড়িয়ে পরল গাল বেয়ে। চারপাশে কানাঘুষা শুরু হয়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই সবাই বিহানকেই খারাপ বলছে। পার্টিতে থাকা কিছু জার্নালিস্ট এর ক্যামেরা বিহানের দিকেই। বিহান শুধু শক্ত চোখে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রিখিয়ার দিকে। রিখিয়া নিজেও জানেনা আজ ও এক ভয়ংকর কাজ করে ফেলেছে। কারো পুরোনো ক্ষতকে খুচিয়ে রক্তাক্ত করে দিয়েছে।

জল ফড়িঙের খোঁজে পর্ব ৬