শেষ থেকে শুরু পর্ব ২১

শেষ থেকে শুরু পর্ব ২১
লাবণ্য ইয়াসমিন

রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে আবিরের বন্ধু মেহুল। মেয়েটা দেশে ফিরে এসেছে ওর জানা ছিল না। রেস্টুরেন্টে থেকে বেরিয়ে মেয়েটার দিকে ওর চোখ আটকে গিয়েছিল। আবির গাড়িতে গিয়ে না উঠে মেয়েটার দিকে এগিয়ে গেলো। কতদিন পরে দেখা। পাঁচ বছরের অধিক সময় পর বা তারও বেশি হব। রাস্তার এপাশ থেকে আবির হাত নাড়িয়ে চিৎকার করে ওকে ডেকে উঠলো। মেয়েটা গাড়ির শব্দে প্রথমে শুনতে না পারলেও পরে ঠিকই শুনলো। কর্মব্যস্ত নগরী রাস্তায় অসংখ্য গাড়ি চলাফেরা করছে। মেয়েটা রাস্তা পার হতে হিমশিম খাচ্ছে দেখে আবির ওকে ইশারা করে থামতে বলে গাড়ি স্টাট দিয়ে মেয়েটার কাছে গিয়ে দরজা খুঁলে বলল,

চলে আসো। যেতে যেতে কথা বলি।
মৈহুল অপেক্ষা করলো না ওর গাড়িতে উঠে বসলো। হাসতে হাসতে বলল,
> কতদিন পরে দেখা কেমন আছো? সেইযে ফিরলে আর যোগাযোগ নেই।
আবির মিষ্টি হেসে বলল,
> আব্বুর শরীর বেশ খারাপ। অফিস আর হাসপাতালের মধ্যে রাউন্ড রাউন্ড করে ঘুরছি। বন্ধুদের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ করে উঠতে পারিনি। কিন্তু হঠাৎ তুমি এখানে? বাংলাদেশে ফিরবেনা বলেছিলে।
মৈহুল আবারও হেসে ফেলল। প্রাণবন্ত সেই হাসি। মেয়েটা হাসি দিয়ে অনায়াসে নিজের দুঃখগুলোকে ঢেকে ফেলার ক্ষমতা রাখে। আবির মনোযোগ দিয়ে ড্রাইভ করছে আর মাঝেমধ্যে মেয়েটার দিকে তাঁকাচ্ছে। মেহুল ওকে অপেক্ষা করালো না বলল,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

> একটা ডকুমেন্ট তৈরির কাজে এসেছি। অবহেলিত বাচ্চা আর নারীদের নিয়ে কাজ করতে হবে। অফিস থেকে পাঠিয়েছে। ভাবলাম সুযোগ পেয়েছি একবার ঘুরে যায়।
> আন্টিদের সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছে?
> উনার সঙ্গে কিসের কথা। আমার মা মারা গেছে আর বাবা হারিয়ে গেছে। ছাড়তো সেসব, এখন তোমার কথা বলো। বিয়ে করেছো? বাচ্চা কাচ্চা কতজন?
আবির মলিন হেসে বলল,
> সময় হলেই দেখতে পাবে। আচ্ছা কোনো রেস্টুরেন্ট বসবে নাকি আমার অফিসে যাবে?
মেহুল আবারও হাসলো। আবির গাড়ি থামিয়ে ওর দিকে তাঁকিয়ে উত্তরের অপেক্ষা করছে। মেয়েটা হাসতে হাসতে বলল,
> আজকে না আরেকদিন বসে আড্ডা দিব। আমাকে তুমি একটা ঠিকানাতে পৌঁছে দাও। আমার কলিগ আছে ওকে নিয়ে বের হবো।

আবির আর অপেক্ষা করলো না। মেহুলের বলা ঠিকানাতে গিয়ে চমকে গেলো। হৈমন্তীদের বাড়ির ওরা সামনে দাঁড়িয়ে আছে। এই বাড়িতে কে আছে যিনি মেহুলের সঙ্গে কাজ করে? তেমন কাউকে পাচ্ছে না। ওকে ভাবতে দেখে মেহুল আসছি বলে বিদায় নিলো। তবে যাওয়ার আগে নিজের ফোন নাম্বার ওকে দিয়ে দিলো। আবির ওকে নামিয়ে দিয়ে গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। উত্তেজনাতে ওর কলিগের নাম জানতে মনে নেই।তব মনের মধ্যে খটকা লাগছে। এই বাড়িতে মেহুলের কলিগ আছে বিষয়টা ঠিক হজম হচ্ছে না। ও আনমনে কথাগুলো ভাবছিল।হঠাৎ একটা বাচ্চাকে দেখে ওর ধ‍্যান ভাঙলো। অরিনের ফোনে এই বাচ্চাটার ছবিই ও দেখেছিল। আবির মন্ত্রমুগ্ধের ন‍্যায় গেট পেরিয়ে গেলো। দারোয়ান ওকে চিনে তাই বাধা দিলো না। খোলা জায়গাই মেয়েটা একা একাই খেঁলছে। আবির বাচ্চটার সামনে হামু হয়ে বসলো। ওকে এভাবে বসতে দেখে বাচ্চাটা ফ‍্যালফ‍্যাল করে তাঁকিয়ে হেসে দিয়ে পাপা বলে দুহাতে ওর গলা জড়িয়ে ধরলো। আবির বাচ্চাটাকে বুকের সঙ্গে আগলে নিলো। ওর ওষ্ঠে তৃপ্তির হাসি। এতো সুন্দর অনূভুতি সঙ্গে ওর আগে পরিচয় ঘটেনি। বাচ্চাটা ওকে পাপা বলছে। আবিরের আগেই সন্দেহ হয়েছিল এবার আরও পাকাপোক্ত হলো। তবুও সন্দেহ দূর করতে মেয়েটার মুখটা নিজের দুহাতের তালুতে নিয়ে আদুরে কন্ঠে বলল,

> জান্নাত
মেয়েটা কি বুঝলো বোঝা গেলো না। আবারও ওর গলা জড়িয়ে আধো আধো করে বলল,আমি জান্না পাপার মাম্মা।
আবির এবার শব্দ করে হেসে ফেলল। সেদিন অরিন কেনো মেয়েটার পরিচয় গোপন করেছে বুঝতে ওর অসুবিধা হলো না। মেয়েটা সেই ছোট জান্নাত। কতটা বড় হয়ে গেছে ভেবেই চোখে পানি এসে গেছে। কিন্তু হৈমন্তীর উপরে ওর রাগ হচ্ছে। মেয়েটা চরম স্বার্থপর। কিভাবে পারলো ওকে ঠকিয়ে মেয়েকে নিজের করে নিতে। ভালোবাসার পরিমাণ বেশি ছিল তাই ওর কদর করা হয়নি। ও আর যেচে ছোট হতে যাবে না। ওকি এতটাই সস্তা ছিল নাকি। ওতো ভালোবাসার জন্য পাগলামী করেছিল। ভালোবাসার জন্য মানুষ কতকিছু করে। ও শুধু আগলে নিতে চেয়েছিল কিন্তু মেয়েটা ওকে ধোকা দিলো। নিজের স্বার্থ হাছিল করে পালিয়ে গেলো। মেয়েটার সামনে আর নিজেকে সস্তা করে তুলবে না।

ওর যা ইচ্ছা করুক তাতে আবিরের কি? আরো জন্য কারো জীবন থেমে থাকে না। এক সময় যাকে ছাড়া নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয় এক সময় থাকে ছাড়া ঠিক ভালো থাকা যায়। আবির বাচ্চাটাকে নিজের কোলে তুলে নিলো। এই বাচ্চাটার উপরে ওর অধিকার আছে। হৈমন্তীর যতটা অধিকার ঠিক ততটাই ওর অধিকার। ও ছাড়া কি হৈমন্তী পারতো একে নিজের করে পেতে? স্বার্থপর মেয়ে একটা। আবিরের রাগ ক্ষোভ গিয়ে হৈমন্তীর উপরে গিয়ে পড়লো। ভাবলো হিটলার মরে গিয়ে লেডি হিটলার রেখে গেছে পৃথিবীতে। সে এখন পৃথিবী না পরিবারের লোকজনকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে। দুদিন পরে ঠিক তার প্রভাব রাষ্ট্রের উপরে গিয়ে পড়বে। আবিরের মনের মধ্যে এরকম হাবিজাবি কথা ঘুরপাক খাচ্ছে।

ও তাড়াতাড়ি বাচ্চাকে নিয়ে চলে আসলো। হৈমির সামনে যাওয়ার ইচ্ছে আপাতত নেই ওর। দারোয়ানকে বলে দিল কেউ খোঁজ করলে বলে দিতে আবির ওকে নিয়ে যাচ্ছে। সময় মতো রেখে যাবে। জান্নতের একটা বিষয় ওর ভালো লাগলো মেয়েটা প্রথম দেখাতেই ওকে আপন করে নিয়েছে কান্নাকাটি করছে না। মেয়েকে নিয়ে ও অফিসে চলে আসলো। বাচ্চাদের খাবার সম্পর্কে ওর ধারণা নেই। হুটকরে আজেবাজে কিছু খাওয়ানো ঠিক হবে না। আবির সেক্রেটারি জাবেদকে ডেকে নিলো। তাছাড়া বাচ্চা নিয়ে অফিসে ঢোকার সময় কর্মচারীরা ওকে আঁড় চোখে দেখেছে। ও চোখের অদৃশ্য হতেই গুঞ্জন হচ্ছে। স‍্যার বাচ্চাটাকে কোথায় পেলো এসব নিয়ে গসিপ হচ্ছে। জাবেদ রুমে এসে কৌতূহলী হয়ে জিঞ্জাসা করলো,
> স‍্যার এই বাচ্চাটা কে হয় আপনার?
আবির দাঁত বের করে হেসে বলল,
> আমার মেয়ে। জান্নাত মাম্মা আঙ্কেলকে হাই বলো।

জান্নাত বাবার বাধ্য মেয়ের মতো শুধু হাত তুলল হাই বলতে পারলো না। ও ছোট থেকেই মানুষের কাছে বড় হয়েছে। লোকজনকে বেশ পছন্দ করে। জাবেদের চোখ পূর্বের ন‍্যায় আবারও বড়বড় হয়ে গেলো। স‍্যারের বিষয়টা ওর কাছে কেমন ভূতুড়ে লাগে। একবার গভীর রাতে গোপনে বিয়ে করলো তার দুদিন পরে বাচ্চা হলো আর এখন এতবড় বাচ্চা। কিভাবে সম্ভব আল্লাহ্ ভালো জানে। মানব শিশু জন্মাতে বা বড় হতে সময় লাগে এতো দেখি হাওয়ার বেঁগে সবকিছু হয়ে যাচ্ছে। আবির জাবেদের মুখের ভাবমূর্তি বুঝতে পেরে বলল,
> জাবেদ আমাকে নিয়ে না ভেবে জান্নাতকে নিয়ে ভাবো। যাও কিছু পোশাক আর বাচ্চাদের খাবার কিনে আনো। আমি জানিনা ঠিক ও কি খেতে পছন্দ করে ।
জাবের জোরপূর্বক হেসে বলল,
> স‍্যার ওর মায়ের কি খবর? মানে আমাদের ম‍্যাডাম কোথায়?

জাবেদ আবিরের সম্পর্কে উল্টাপাল্টা ভাবতে শুরু করেছে।ভাবছে ম‍্যাডামের সঙ্গে স‍্যারের আগে থেকেই সম্পর্ক ছিল যখন ম‍্যাডাম প্রেগনেন্ট হয়ে গেছে তখন বাধ্য হয়ে বিয়েটা করলো। কিন্তু এতো লুকোচুরি কিসের? আবির ওকে পাত্তা না দিয়ে জান্নাতকে টেবিলের উপরে বসিয়ে মেয়েটার কাধে মুখ রেখে বলল,
> মেয়েটা আমার তাই শুধু ওর খোঁজ বলতে পারি। ওর মা কোথায় জানিনা। জানতেও চাইছি না যাও এখন। প্রশ্ন করে মাথা নষ্ট করছো।
ঝাড়ি খেয়ে জাবেদ মাথা নিচু করে চলে যেতে গিয়ে আবারও ফিরে আসলো। আবির ভ্রু কুচকে তাকাতে জাবেদ মিনমিনে কন্ঠে বলল,
> কেউ জানতে চাইলে?
আবির স্বাভাবিক কন্ঠে বলল,
> বলবে বসের মেয়ে।

জাবের বের হয়ে গেলো। আবির জান্নাতের মুখের দিকে তাঁকিয়ে আছে। মেয়েটা ওকে চিনতে পারছে নাকি এমনিতেই সবাইকে এমন আপন করে নিতে জানে মেয়েটা? বুঝতে পারছে না। কৌতূহল হচ্ছে খুব। হৈমন্তীকে ওর চেনা আছে। পাষাণ হৃদয় তাঁর। ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখে ভয় পাই। হৈমন্তীর হয়েছে তাই। কাউকে বিশ্বাস করেনা। তাছাড়া নিজেও তো অন‍্যায় করেছিল। ভেবেছিল রোহানের থেকে ওকে বাঁচাতে হবে তাই এতকিছু না ভেবে জোরজবরদস্তি করে বিয়ে করে নিলো। মেয়েটার মনের মধ্যে আসতেই পারলো না উল্টো ওকে দেখলে নাক ছিটকাই। কথাগুলো ভেবে ও জান্নাতের দিকে নজর দিলো। মেয়েটা ওর চুল টেনে দিচ্ছে আর খিলখিল করে হাসছে।

পায়ের উপরে পা রেখে বসে আছে রোহান। মনটা বেশ ফুরফুরে। কয়েক বছরের ব‍্যবধানে সে পাক্কা ব‍্যবসায়ী বনে গেছে। কিছু ডিলারদের টাকা দিয়ে গ্রাম থেকে অল্পদামে কৃষি পণ্য কিনে গোডাউন বোঝাই করে বাজারে সংকট তৈরী করে চড়া দামে বাজারে ছাড়তে ওর জুড়ি মেলা ভার। কয়েকটা ব‍্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ও। গ্রামে ওর অগাধ যাতায়াত। শহরের দুটো গার্মেন্টস দিয়েছিল সেখানকার চাইতে এটাতেই মনে হচ্ছে ঝামেলা কম। শুধু কিনবে আর কয়েকমাস মজুদ রেখে বাজারে ছেড়ে দিবে। রোহানের মাথা ছুরির মতো ধারালো। বিদের থেকে পড়াশোনা শিখে এসে প্রথমে গার্মেন্টস করেছিল বাবার সাহায্যে তারপর বাকিটা নিজেই করেছে। ওর ধ‍্যান বাঙলো রাজীবের ফোন পেয়ে। রাজীব সহসা ফোন করেনা হঠাৎ ফোন করেছে দেখে রোহান দ্রুত রিসিভ করে বলল,

> দুলাভাই হঠাৎ আপনি?
রাজীব ওপাশ থেকে কটাক্ষ করে বলল,
> হঠাৎ হঠাৎ গায়েব হয়ে যাওয়া তোমার স্বভাব হয়ে গেছে দেখছি। কোথায় থাকো খুঁজে পাওয়া যায়না?
> প্রায় গ্রামে যেতে হয়। নেটওয়ার্কের সমস্যা থাকে। তাছাড়া ব‍্যবসাটা একটু বাড়ানোর চিন্তা করছি। রোবট হয়ে গেছি দুলাভাই। আচ্ছা আপা কেমন আছে?
> খুব ভালো আছে। আমরা সবাই বলতে পারো খুব ভালো আছি। যাইহোক রোবট শালা মশাই ভেবেছিলাম তোমাকে আমার বোনের জামাই করবো কিন্তু হলো না। আমার বোন এমনিতেই নিরামিষ মেজাজী টাইপের তোমার সঙ্গে বিয়ে হলে চুলোচুলি হবে তাই সেসবের দরকার নেই। তোমার বিয়ের জন্য শাশুড়ি আম্মা মেয়ে দেখেছেন। জরুরি বাড়িতে আসো আজকে যাচ্ছি আমরা।

রোহানের কান গরম হয়ে গেলো রাজীবের কথা শুনে। এতকাল প্রতিশ্রুতি দিতে এখন শেষবেলাতে কথা ফিরিয়ে নিচ্ছে। ও কি খেলনা নাকি। কিছুতেই মানবে না। তাই দ্রুতকন্ঠে বলল,
> আপনি কিন্তু নিজেই বলেছিলেন এতদিন পরে কথা ঘুরিয়ে নিচ্ছেন ঠিক হচ্ছে না।
> আরে তুমি দেখতে যেই সুদর্শন তোমার জন্য হৈমন্তীর থেকে বেটার মেয়ে অপেক্ষা করছে। তাছাড়া হৈমন্তীকে আর বিয়ে টিয়ে দিতে চাইছি না। যেমন আছে থাক।
রোহান বিড়বিড় করলো। ও যে সুদর্শন সে ওর অজানা নেই। শুধু আবিরের জন্য এরকম একটা পদক্ষেপ নিয়েছিল। এতদিনে হয়তো আবির নিজের ভূল বুঝতে পেরে হৈমন্তীর থেকে নিজকে সরিয়ে নিয়েছে তাহলে রোহান কেনো এরকম একটা মেয়েকে বিয়ে করবে? নিশ্চয়ই না। ও আবিরের চাইতে সুন্দরী মেয়েকে বিয়ে করে বন্ধু সমাজকে দেখিয়ে দিবে। কথাগুলো ভেবে ও রাজীবকে বলল,

> দুলাভাই আপনারা যা ভালো বুঝেন করেন। আমি আর কি বলবো। বিকালে একটা মিটিং আছে আপনারা এক কাজ করেন মেয়ে পছন্দ হলে পাকাপাকি কথা বলে আসেন। আপনাদের উপরে আমার ভরসা আছে।
রোহান বাঁকা হেসে ফোন রাখলো। মাকে ওর ভালো করে চেনা আছে। খুব খুতখুতে টাইপের মহিলা। কোনো মেয়েকে উনার সহজে পছন্দ হবেনা আর যদি হয় তবে সেটা সেরাই হবে। রোহানের জন্য সামনে যে কি অপেক্ষা করছে এটা শুধু ওর নিয়তি আর আল্লাহ্ ভালো জানে।

সকালবেলায় হন্তদন্ত হয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল হৈমন্তী। মেয়েকে রেখে গিয়েছিল ফিরে ঘুমন্ত অবস্থায় পেলো। কিছুক্ষণ আগে আবির দিয়ে গেছে তখন ও বাড়িতে ছিল না। গেটের কাছ থেকে চয়নিকাকে ফোন করেছিল ও গিয়ে নিয়ে এসেছে। চয়নিকা বিস্মিত হয়ে জিঙ্গাসা করেছিল জান্নাত ওর কাছে কিভাবে থাকলো কান্নাকাটি না করে। আবির এটা ওটা বলে বুঝিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার পরে ফোন দিয়ে বলেছিল জান্নাত ওর কাছে যাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করছিল তাই ও নিয়ে গেছে। কেউ আর এসব নিয়ে প্রশ্ন করলো না। রোহানের জন্য মেয়ে দেখতে যাচ্ছে চয়নিকা আর রাজীব।

শেষ থেকে শুরু পর্ব ২০

হৈমন্তীকে বলেছিল কিন্তু ওর সময় নেই। অফিসের কাজকর্মকে ব‍্যস্তদিন পার করছে। আবির চয়নিকার মাকে মেয়ে খুঁজতে সাহায্য করেছে সেই হিসেবে ও সকলের সঙ্গে যাচ্ছে। তবে এটা রোহানকে বলা হয়নি। একবারের বিয়ের পরে চমকে দিবে। বন্ধু হয়ে বন্ধুর জীবন সঙ্গী খুঁজতে সাহায্য করছে। এতদিন পরে ছেলের জন্য উপযুক্ত মেয়ে পেয়ে রোহানের মা ভীষন খুশী। আবির মেয়ের ছবি দেখিয়ে এক প্রকার ভদ্রমহিলাকে রাজি করিয়ে ফেলেছে। এবার শুধু যাবে আর দিনতারিখ ঠিক করবে এটাই যা।।

শেষ থেকে শুরু পর্ব ২২