অনেক সাধনার পরে পর্ব ২৫

অনেক সাধনার পরে পর্ব ২৫
অরনিশা সাথী

খুব জোরে দরজায় কড়াঘাতের শব্দে ধরফরিয়ে শোয়া থেকে উঠে বসে রুজবা আর নুহাশ। দুজনে চোখ বন্ধ করেছে দশ মিনিট’ও হয়নি। এর মাঝেই এভাবে দরজা ধাক্কানোর শব্দে দুজনেরই পিলে চমকে যায়। রুজবা বুকে ফুঁ দিয়ে পরপর দুটো শ্বাস নিলো। ও বেশ ভয়ে পেয়ে আছে৷ নুহাশ দাঁতে দাঁত চেপে বললো,

–“নির্ঘাত কিয়ানের কাজ এটা৷ ও ছাড়া আর কেউ না। দেখাচ্ছি মজা ওকে।”
কথাটা বলে বিছানা থেকে নামলো ও। রুজবা নিজেও নুহাশের পেছন পেছন দরজার সামনে যায়। রুজবা বলে,
–“আমি দরজা খুলছি।”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

নুহাশ সরে ওয়াশরুমের দিকে পা বাড়ায়। রুজবা দরজা খুলতেই সামনে অচেনা মুখ দেখে ভ্রু কুঁচকে তাকায়৷ কে মেয়েটা? রুজবার দিকে কেমন রাগান্বিত চোখে তাকিয়ে আছে। মেয়েটার পেছনে কিয়ান ফারিন মিনহা ওরা সকলেই আছে। কিয়ানের চোখমুখে বিরক্তের ছাপ স্পষ্ট। রুজবা কিছু বলার আগেই মেয়েটা রুজবাকে সরিয়ে ভেতরে ঢুকে যায়। সারা ঘরে চোখ বুলিয়েও নুহাশের দেখা মিলে না। ফুলে ফুলে সাজানো বিছানা দেখে মেয়েটা চোখমুখ শক্ত করে সেদিকে এগোয়। রুজবা কিয়ানের দিকে তাকাতেই কিয়ান বললো,

–“লিয়া, আমেরিকা থেকে এসেছে। নুহাশের কাজিন।”
রুজবা আবার তাকায় লিয়ার দিকে। পরনে জিন্স আর শর্ট টি-শার্ট। লিয়া বিছানায় লাগানো ফুলগুলো একটানে ছিঁড়ে ফেলতে গেলেই নুহাশ এসে হাত ধরে ওর। লিয়া সেদিকে ঘুরে নুহাশের টি-শার্টের কলার চেপে ধরে। নুহাশের মাথায় রক্ত চেপে যায় লিয়াকে এখানে দেখে। তার উপর আবার কলার ধরেছে। ঝাড়া মেরে লিয়ার হাত সরিয়ে দেয় নুহাশ। নেহাৎ শ্বশুরবাড়ি আছে। এ বাড়ির নতুন জামাই ও নয়তো কেয়ামত ঘটিয়ে দিতো। নুহাশ নিজেকে যথাসম্ভব সামলে নিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে প্রশ্ন ছুঁড়লো,

–“তুমি এখানে কি করছো?”
লিয়া চিৎকার করে বলে,
–“তুমি এখানে এই মেয়েটার সাথে বাসর করবে আর আমি ওখানে বসে থাকবো?”
নুহাশ চোখ রাঙিয়ে বলে,
–“আওয়াজ নিচে।”

–“থামবো না আমি। তুমি বুঝতে পারছো না কেন আমি ভালোবাসি তোমাকে নুহাশ। আর তুমি আমাকে রেখে এই মেয়েটার সাথে বাসর করবে আমি তা মানতে পারবো না।”
–“হোয়াট ডিড ইউ সে? তোমাকে রেখে মানে? তুমি না আমার গার্লফ্রেন্ড ছিলে আর না বিয়ে করা বউ ছিলে যে তোমাকে রেখে আমি বিয়ে করতে পারবো না, আমার বউয়ের সাথে বাসর করতে পারবো না।”

–“না পারবে না।”
–“দেখতে চাও?”
রুজবা চোখ বড় বড় করে তাকাচ্ছে নুহাশের দিকে। লোকটা কি বলছে? আর এই মেয়েটা নুহাশকে ভালোবাসে? এত সুন্দর মেয়েটা। তার উপর আমেরিকায় সেটেল্ড। এই মেয়েকে উপেক্ষা করেও নুহাশ রুজবাকে ভালোবাসে। শুধুমাত্র রুজবাকেই চেয়েছে। রুজবা আরো একবার মুগ্ধ হলো নুহাশের ভালোবাসা দেখে।

ওর মনে হচ্ছে এই লোকটাকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা যায়। দ্বিতীয় বার এই লোকটাকে ভালোবাসা যায়। এরইমধ্যে নুহাশ একটানে রুজবাকে নিজের কাছে টেনে নেয়। হকচকিয়ে যায় ও। চমকায়, বিস্মিত চোখে তাকায় নুহাশের পানে। লিয়া ক্ষিপ্ত কন্ঠে বললো,

–“ছাড়ো ওকে। ওর কোমড় থেকে হাত সরাও নুহাশ। তোমাদের এতটা কাছাকাছি আমার সহ্য হচ্ছে না।”
কথাগুলো বলে লিয়া রুজবার কোমড় থেকে নুহাশের হাত সরাতে উদ্যত হতেই নুহাশ এগিয়ে যায় রুজবার ঠোঁটের দিকে৷ যতটুকু দূরত্ব ছিলো দুজনের মাঝে নুহাশ সেইটুকুও ঘুচিয়ে নেয়। রুজবা বড়বড় চোখে তাকায়। ভাবছে লোকটা কি পাগল? সবার সামনে এভাবে ঠোঁটে চুমু কে খায় ভাই? লিয়া সেখানেই স্তব্ধ, থেমে যায় হাত। কিয়ান, ফারিন, মিনহা, নৌশিন মুখ টিপে হেসে দুহাতে চোখ বন্ধ করে নেয়। কিয়ান ওরা সকলেই মাঝে মধ্যে আবার দু আঙুল হালকা ফাঁকা করে দেখছে ওদের দুজনকে।

লিয়া রেগেমেগে হনহনিয়ে বেরিয়ে যায় বাসা থেকে। লিয়ার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে কিয়ান ওরা হো হো করে হেসে দেয়। ওরা হাসি থামিয়ে নুহাশ রুজবার দিকে তাকিয়ে দেখে নুহাশ এখনো রুজবাকে ছাড়েনি। সকলে আবারো দু হাতে মুখ ঢেকে নেয়। কিছু সময় বাদে নুহাশ রুজবাকে ছেড়ে দিতেই রুজবা জ্ঞান হারিয়ে ঢলে পড়ে। দুই হাতে আগলে নেয়৷ একপাশে জড়িয়ে নিয়ে রুজবার গালে হাত রেখে বললো,

–“রুজবা? এই রুজবা চোখ খুলো___”
মিনহা ওরা চোখ থেকে হাত সরিয়ে দেখে রুজবা অজ্ঞান হয়ে নুহাশের বুকে হেলে আছে। ফারিন এগিয়ে গিয়ে ওর দুই গালে হালকা ভাবে থা/প্প/ড় দিয়ে ডাকতে থাকে কিন্তু রুজবার কোনো রেসপন্স নেই। মূহুর্তেই সকলে অস্থির হয়ে পড়ে। কিয়ান নুহাশের পাশে দাঁড়িয়ে দাঁত কেলিয়ে হেসে বললো,

–“আ’ম রং ভাই, আমি ভেবেছিলাম তুই নিরামিষ। এখন তো দেখি আমার থেকেও বেশি রোমান্টিক তুই। এমন চুমু’ই খেলি যে বউ একেবারে অজ্ঞান? বাহ!”
লাস্ট ওয়ার্ডটা বলে কিয়ান নুহাশের পিঠ চাপড়ালো। নুহাশ লাল চোখে তাকিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বলে,

–“রুজবা সেন্সলেস আর তুই মজা নিচ্ছিস এটা নিয়ে?”
কিয়ান ভোলা ভালা ফেস বানিয়ে বলে,
–“মজা নিলাম কোথায়?”

নুহাশ প্রত্যুত্তরে কিছু বললো না। রুজবাকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় শোয়ালো। নৌশিন বেড সাইড টেবিল থেকে পানির গ্লাস নিয়ে এগোয় রুজবার দিকে৷ রুজবার চোখ মুখে কিছুক্ষণ পানির ছিটা দিতেই রুজবা পিটপিট করে চোখ মেলে তাকায়৷ নুহাশ স্বস্তির শ্বাস নেয়। নৌশিন পানির গ্লাস আগের জায়গায় রেখে দেয়। নুহাশ রুজবাকে ধরে বসায়। রুজবা’কে ঘিরে গোল হয়ে বসেছে সকলে।

সকলের দৃষ্টি দেখে কিছুক্ষণ আগের কথা মনে পড়ে যায় ওর। সকলেই ওর দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসছে। লজ্জায় মাথা নিচু করে ও। ইশ্! কি বিশ্রী ব্যাপার। লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছে ওর। নুহাশের উপর রাগ হচ্ছে ভীষণ। কিয়ান নিচু হয়ে রুজবার দিকে ঝুকে বললো,

–“চুমু’র ডোজ কি খুব বেশি ছিলো ভা-বী? একেবারে জ্ঞান হারালে যে? সামান্য চুমু’তে যদি এ অবস্থা হয় ফিউচার প্ল্যানিং কিভাবে করবা?”
ভাবী কথাটা ক্ষানিকটা টেনে বলে কিয়ান। রুজবা নুইয়ে রাখা মাথা আরো নিচু করে নিলো। চারজনেই হো হো করে হেসে উঠলো। শুধুমাত্র নুহাশ ছাড়া৷ নুহাশ ঠোঁট কামড়ে ধরে নিঃশব্দে হাসে। রুজবা লজ্জায় আড়ষ্ট হয়ে রয়। নুহাশ বুঝতে পেরে কিয়ানকে উদ্দেশ্য করে বললো,

–“বের হ ঘর থেকে। তোর এসব ফালতু কথা শুনিয়ে রুজবাকে একদম লজ্জা দিবি না।”
কিয়ান দাঁত কেলিয়ে হেসে বললো,
–“থাকি না আর একটু, কথা বলি ক্ষানিক সময়।”
নুহাশ ভ্রু কুঁচকে বলে,

–“তোর আর ফারিনের বাসরে থাকতে দিবি তো আমাদের? সারারাত জমিয়ে আড্ডা দিবো, কি বলিস?”
কিয়ান কিছু বলার আগেই ফারিন বলে,
–“জোশ হবে নুহাশ ভাই, আমি রাজি।”
কিয়ান ছোট ছোট চোখে তাকায় ফারিনের দিকে। ফারিন ওকে পাত্তা না দিয়ে বললো,

–“এবার এখান থেকে যাওয়া যাক চলো। সবে তো চুমু হলো, বাকী কাজটা’ও তো সারতে হবে। ওটা আমাদের দেখে লাভ নেই।”
ফারিনের কথায় মুখ টিপে হাসে সবাই। তারপর একে একে বেরিয়ে যায় ঘর থেকে। নুহাশ এগিয়ে যায় দরজা লক করার জন্য। পেছন থেকে কিয়ানকে ডাকতেই কিয়ান তাকায় ওর দিকে। নুহাশ ওয়ালেট কিয়ানের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললো,

–“তোর ওয়ালেট।”
কিয়ান ভ্রু কুঁচকে তাকায়৷ নুহাশ বাঁকা হাসে। হুট করে কিছু একটা মনে হতেই কিয়ান দ্রুত ওয়ালেট চেক করে। ওয়ালেট ফাঁকা, শুধু দুই হাজার টাকা পড়ে আছে৷ কিয়ান কিছু বলার জন্য উদ্যত হতেই নুহাশ একগাল হেসে ঠাস করে দরজা লাগিয়ে দেয়। কিয়ান বাইরে থেকে চিল্লিয়ে বলে,

–“তুই আমার টাকা দিয়ে নিজের বাসরে ঢুকেছিস না? আমি তোর থেকে ছত্রিশ হাজার নিবো দেখে নিস।”
নুহাশ ভেতর থেকে মৃদু চিৎকারে বলে,
–“এডভান্স কংগ্রাচুলেশনস তোকে। গো এহেড।”

কিয়ান আহাম্মকের মতো তাকিয়ে থাকে বন্ধ দরজার দিকে। তারপর আবার অসহায় ফেস নিয়ে তাকায় ফারিন, মিনহা আর নৌশিনের দিকে। নৌশিন আর মিনহা হু হা করে হাসে। কিয়ান ছলছলে চোখে তাকিয়ে বলে,
–“আমার টাকা দিয়ে নুহাইশশা বাসরে ঢুকলো আর তোমরা হাসছো?”
ফারিন চোখমুখে বিরক্ত ফুটিয়ে তুলে বললো,

–“বেশ করেছে, কোনো দিক দিয়েই তুমি নুহাশ ভাইয়ের ধারের কাছে যেতে পারবা না। দেখলে তো তোমার সামনে থেকে কিভাবে তোমার ওয়ালেট নিয়ে আমাদের বাসর সাজানোর টাকা দিয়ে গেলো। আসলেই তুমি হাঁদারাম, আস্তো একটা হাঁদারাম।”
কথাটা বলেই চলে যায় ফারিন। কিয়ান কাঁদো কাঁদো চোখে তাকায় মিনহা আর নৌশিনের দিকে। ওরা দুজন আবারো ঘর কাঁপিয়ে হেসে উঠে।

সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ঘুম ভেঙে যায় রুজবার। পাশ ফিরে নুহাশকে দেখে ক্ষানিকটা চমকে যায় ও। পরমূহুর্তেই মনে পড়ে এই লোকটা এখন ওর স্বামী। বাকী জীবন এখন এই মানুষটার পরিচয়েই বাঁচতে হবে ওর। এত দিন ওর পরিচয় ছিলো রায়হান আজাদের মেয়ে, রুজবা রায়হান। আর এখন থেকে সমাজে আরো একটা পরিচয় হলো ওর। নুহাশ ফারদিনের স্ত্রী, মিসেস রুজবা ফারদিন। রুজবার মনে অন্যরকম অনূভুতিরা দোলা দিয়ে যায়।

নুহাশের দিকে পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকায় রুজবা। নুহাশ খালি গায়ে উপুড় হয়ে শুয়ে ঘুমাচ্ছে। সিল্কি চুলগুলো কপালের উপর এলোমেলো ভাবে গড়াগড়ি খাচ্ছে। হুট করেই কেমন যেন লজ্জা লজ্জা লাগছে ওর। এখানে আর বসে থাকতে ইচ্ছে করছে না। মোট কথা নুহাশের সামনে পড়তে ইচ্ছে করছে না। লোকটা কাল সবার সামনে ওকে__ইশ্ কি লজ্জা, কি লজ্জা! ফারিন ওদের সামনে যাবে কি করে ও? ওরা তো লজ্জা দিতে দিতে মেরেই ফেলবে।

রুজবা বিছানা থেকে নেমে কাবার্ডের কাছে যায়। জলপাই রঙের একটা কূর্তি আর কালো লেগিংস নিয়ে ওয়াশ রুমে চলে যায়। লম্বা শাওয়ার নিতে হবে। যদিওবা শাওয়ার নেওয়ার মতো কিছু হয়নি রাতে। তবুও ওর এই মূহুর্তে গোসল করা ভীষণ দরকার। মাথাটা ভারী হয়ে আছে, ঝিমঝিম করছে।

লম্বা শাওয়ার নিয়ে চুল মুছতে মুছতে বের হয় রুজবা। বিছানায় নজর যেতে দেখে নুহাশ এখনো আগের মতোই ঘুমাচ্ছে। দৃষ্টি সরিয়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে যায়। চুল ভালো করে মুছে নেয় প্রথমে। তারপর ড্রেসিং টেবিলের উপর থেকে তিনটা আংটি নিয়ে পড়ে নেয়। একটা এনগেজমেন্টের আর একটা কাল বিয়ে পড়ানোর সময় পড়িয়েছে নুহাশ। আর একটা ওর নিজের। সাথে চিকন সোনার চুড়ি পড়ে নিলো। যেটা শাহানা বেগম পাঠিয়েছে কাল সবসময় হাতে পড়ে থাকার জন্য। নুহাশ পড়িয়ে দিয়েছিলো কাল রাতে।

নুহাশের কাছে এসে দাঁড়ায় রুজবা। নুহাশ তখনো ঘুমে। নুহাশের এলোমেলো চুলে হাত বুলিয়ে দেওয়ার ভীষণ ইচ্ছে হচ্ছে ওর। ইচ্ছেটাকে দমিয়ে না রেখে আলতো করে চুলের ভাজে আঙুল গলিয়ে দেয় ও। তারপর দ্রুত হাত সরিয়ে বেরিয়ে গেলো ঘর থেকে। ড্রয়িংরুমের লাইট অফ। তার মানে এখনো সেরকম ভাবে উঠেনি কেউ। কিচেনে আলো জ্বলছে। রুজবা উঁকি দিয়ে দেখলো ওর আম্মু আর দুই খালামণি নাস্তা বানাচ্ছে। সাথে ওর মেজো কাকিও আছে।

রুজবা দ্রুত কদমে সরে গেলো ওখান থেকে। লজ্জা লাগছে ওর কারো সামনে যেতে। কিভাবে দাঁড়াবে সবার সামনে? ইশ্ কি লজ্জা! রুজবা গুটিগুটি পায়ে উঠে ছাদে চলে গেলো। এ ভোরবেলা ছাদে সময় কাটাতে রুজবার বেশ লাগে। যদিওবা খুব ভোরে রুজবার ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস নেই। তবুও যদি কখনো উঠতে পারে তাহলে ফ্রেস হয়ে চা কফি যা ইচ্ছে হয় সেটা বানিয়ে ছাদে চলে যায় ও।

নিরিবিলি ভাবে প্রকৃতির সাথে সময় কাটাতে বেশ লাগে ওর। ছাদে উঠেই মন ভালো হয়ে যায়। চারিদিকে ভোরের আলো ফুঁটছে। মৃদু বাতাস এসে গাঁ ছুঁয়ে দিচ্ছে মাঝে মাঝে। বেশ লাগছে ওর কাছে। খোলা চুল এবং উড়না দুইটা’ই উড়ছে বাতাসে। রুজবার ভাবনায় আচমকা নুহাশ চলে এলো।

অনেক সাধনার পরে পর্ব ২৪

লোকটা ওকে কত ভালোবাসে, ওর জন্য লিয়ার মতো মেয়ের থেকে মুখ ফেরাতেও দুই বার ভাবেনি। লিয়া! লিয়া নামটা মাথায় আসতেই অকারণে রুজবার রাগ উঠে। জেলাসি ফিল করে। কিন্তু কেন সেটা বুঝে উঠতে পারছে না। শুধু লিয়া মেয়েটাকে আর সহ্য হচ্ছে না ওর।

অনেক সাধনার পরে পর্ব ২৬