অনেক সাধনার পরে পর্ব ২৬

অনেক সাধনার পরে পর্ব ২৬
অরনিশা সাথী

আসরের আজান ভেসে আসছে আশেপাশের মসজিদ থেকে। নুহাশ রুজবা ওরা সকলে ছাদে বসে আড্ডায় মেতেছে। রুপশা নিচ থেকে এসে রুজবাকে উদ্দেশ্য করে বললো,
–“আপু মা ডাকছে। সবাইকে নিয়ে নিচে আয়।”

রুজবা উঠে দাঁড়ায়। নুহাশের দিকে তাকালে নুহাশ নিজেও দাঁড়িয়ে যায়। একে একে সবাই নিচে নেমে আসে। ড্রয়িংরুমে এসে বসে সকলে। শারমিন বেগম সেমাই নুডলস পাস্তা এসব এনে রাখে। রুজবা কিয়ান আর নুহাশের হাতে তুলে দেয় বাটি। হালকা পাতলা সবাই খেয়ে নেয়। রুপশা নুহাশের পাশে বসে বললো,
–“ভাইয়া, পাশের এলাকায় একটা দিঘির পাড় আছে। সুন্দর লাগে জায়গাটা, চলুন না যাই।”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

রুপশার সাথে তাল মেলায় ফারিন। নুহাশ হেসে মাথা নাড়ায়। তৎক্ষনাৎ যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয় সকলে। কিন্তু রুজবার যেতে ইচ্ছে করছে না। যদি জারাফের মুখোমুখি হয়? জারাফদেরই তো এলাকা। ওদের বাড়ির সামনে দিয়েই তো যেতে হয়। ও জারাফের মুখোমুখি হতে চায় না। এখনই তো কষ্ট হচ্ছে, যখন দেখা হবে তখন সহ্য করতে পারবে? এসব ভেবে রুজবা বললো,

–“তোমরা যাও, আমার ভালো লাগছে না।”
কথাটা বলে এক মূহুর্ত না দাঁড়িয়ে নিজের ঘরে চলে যায় ও। রুপশার মুখটা ছোট হয়ে গেলো। নুহাশ ওর মাথায় হাত বুলিয়ে বলে,

–“তোমরা এগোও আমি রুজবাকে নিয়ে আসছি।”
–“আপু একবার মানা করেছে মানে আর ওকে দিয়ে হ্যাঁ করানো যাবে না ভাইয়া।”
নুহাশ রুপশাকে আস্বস্ত করে বললো,
–“আমি নিয়ে আসছি বললাম তো।”
রুপশা কিয়ান ওরা বাসা থেকে বেরিয়ে হাঁটতে শুরু করে। নুহাশ পা বাড়ায় রুজবার ঘরে।

দিঘির পাড়ের পাশেই কাঁচা বাঁশ দিয়ে বড় করে একটা বেঞ্চ বানানো। সেখানে বসে বসে আড্ডায় মেতেছে মাহিন, সাহিল আর জারাফ। জারাফ অবশ্য কথা বলছে না। চুপচাপ সিগারেট টানছে। সাহিল বিরক্তিতে চোখমুখ কুঁচকে বললো,

–“ইদানীং তোর সিগারেটের নেশা প্রচুর বাড়ছে জারাফ।”
জারাফের ভাবলেশহীন জবাব,
–“আর কোনো নেশা অবশিষ্ট নেই যে। তাই এটাকেই বেছে নিলাম শেষমেশ।”
মাহিন কুচকানো কপালে তাকায় ওর পানে। ধীর কন্ঠে প্রশ্ন ছুঁড়ে,
–“কাল রাতে না তোর আর নিদ্রার বিয়ের কথা বলে গেলি? এত তাড়াতাড়ি বউয়ের নেশা কিভাবে কাটে ভাই? আমি হলে তো সাতদিনেও দরজা খুলতাম না।”

জারাফ তপ্ত শ্বাস ফেলে। সিগারেটের শেষাংশ দিঘির পানিতে ছুঁড়ে মেরে বলে,
–“নিদ্রা মত পাল্টেছে, এখনই বিয়ে করতে চায় না। ওর আরো সময় চাই।”
সাহিল উপরে উপরে কিছু না বললেও ভিতরে ভিতরে তাচ্ছিল্য হাসে। যেমন কর্ম তেমন ফল। মাহিন আরো কিছু জিজ্ঞেস করতে চাইলে জারাফ বলে,

–“এসব টপিক অফ রাখ, ভাল্লাগে না।”
সাহিল তপ্ত শ্বাস ফেললো। কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো,
–“অফিস কামাই যাচ্ছে না? ঢাকায় ব্যাক করবি কবে?”
–“কাল পরশু যাবো।”

এরপরে সবাই নিরব থাকলো। কেউ আর কোনো কথা বাড়ালো না৷ জারাফ আবারো সিগারেট ধরালো। হঠাৎ নজর যায় দিঘির সিড়িতে। দুটো ছেলে আর কয়েকটা মেয়ে। মেয়েগুলোর ভীরে রুজবাকে চিনতে একটুও অসুবিধা হলো না জারাফের। পাশে নুহাশকে দেখলো খুব যত্নে রুজবার হাত নিজের হাতের মুঠোয় রেখেছে। জারাফের ভালো লাগলো না। অসহ্য লাগলো। এই মেয়েটাকে অন্য কেউ কেন স্পর্শ করবে? অন্য কেউ? অন্য কেউ না তো। নুহাশ তো এখন রুজবার স্বামী। চাপা হাসলো জারাফ। খুব করে মনে পড়ে গেলো জুহি’র বলা কথাটা,

–“এভাবে কাঁদাচ্ছো না মেয়েটাকে? ওর চোখের পানির ভার সইতে পারবে তো?”
জুহি’র বলা কথাটা তখন অত গাঁয়ে না মাখালেও এখন যেন সেটা কাঁটার মতো বিঁধছে। রুজবার চোখের পানির ভার আসলেই ও এখন সইতে পারছে না। ওর চোখের পানির এত জোর? রুজবার চোখে পানি ঝড়ানোর জন্যই কি আজ জারাফের সবকিছু থেকেও কিচ্ছু নেই? ফারিন আর কিয়ান’কে কাপল পিক তুলে দিচ্ছে মিনহা। ওদিকে নৌশিন রুপশা পাশে দাঁড়িয়ে একেক রকম পোজ দেখিয়ে দিচ্ছে ওদের।

রুজবা অন্যমনস্ক হয়ে আছে। ও এখানে এসেই জারাফকে দেখেছে। কিন্তু সেদিকে তাকাচ্ছে না মোটেও। নিজেকে দূর্বল করতে চায় না ও। পাশেই ওর বর নুহাশ। এই মানুষটা ওকে অনেক ভালোবাসে। তাই নুহাশ কষ্ট পায় এরকম কিছু রুজবা করবে না বলে ঠিক করেছে। তাছাড়া জারাফকে দেখাতে হবে তো জারাফকে ছাড়াও রুজবা ভালো থাকতে পারে।

রুজবা আস্তে ধীরে হেঁটে পানির দুই সিড়ি উপরে বসে পানিতে পা ভেজায়। নুহাশ ফোন বের করে ছবি তুললো চার/পাঁচটা। কয়েকটা ভালো আসে কয়েকটা ঘোলা। নুহাশ গিয়ে রুজবার পাশে বসে। রুজবা এক পলক তাকায় নুহাশের দিকে। সিড়িতে পড়ে থাকা ঢিল নিয়ে নুহাশ পানিতে ছুঁড়ে। দুজনেই চুপ। হঠাৎ করেই রুজবা নুহাশের কাঁধে মাথা রাখে। চমকে তাকায় নুহাশ। রুজবার ঠোঁটের কোনে বাঁকা হাসি।

ওদিকে জারাফের ওদের এত ঘেঁষাঘেঁষি সহ্য হচ্ছে না। রুজবা আরো আঁটসাঁট ভাবে নুহাশের বাহু জড়িয়ে ধরে বসলো। নুহাশ বিস্মিত। কাল চুমু খাওয়াতে যে মেয়ে অজ্ঞান আজ সে মেয়ে নিজ থেকে ওদের সবার সামনে বাহু জড়িয়ে কাঁধে মাথা রেখে বসেছে? ওদিকে অদ্ভুত অনূভুতি হচ্ছে। গভীর ভাবে ছুঁতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু দমিয়ে রাখে নিজের ইচ্ছেকে রুজবার কথা ভেবে। রুজবা আড়চোখে জারাফের দিকে তাকিয়ে হাসলো। জারাফের চুপসে যাওয়া মুখ দেখে এখন আর কষ্ট হচ্ছে না। বরং হালকা লাগছে। ও ভালো আছে এটা জারাফকে দেখাতে পেরে যেন ওর বেশ আনন্দ হচ্ছে।

জারাফ হাত মুষ্টিবদ্ধ করে নেয়। উঠে দাঁড়ায়। রক্তচোখে কিছু সময় ওদের দিকে তাকিয়ে থেকে হনহনিয়ে চলে যায় এখান থেকে। নুহাশ জারাফের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থেকে বললো,
–“যাকে দেখানোর জন্য কাঁধে মাথা রেখেছো সে চলে গেছে।”

রুজবা তড়িৎ মাথা তুলে নুহাশের কাঁধ থেকে। বিস্মিত চোখে তাকায়। নুহাশ বুঝতে পেরেছে বিষয়টা? রুজবাকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকতে দেখে নুহাশ মৃদু হাসে। এই হাসির কারণ খুঁজে পায় না রুজবা৷ লোকটা সবকিছু বুঝে যায় কিভাবে? রুজবার এবার খারাপ লাগতে শুরু করে। মানুষটা তো ভাবছে জারাফকে দেখানোর জন্য ওর কাঁধে মাথা রেখেছে।

হ্যাঁ এটা সত্যি জারাফকে দেখানোর উদ্দেশ্যেই মাথা রেখেছিলো। কিন্তু মাথা রাখার পর অন্যরকম একটা শান্তি লেগেছে রুজবার। ভালো লাগা কাজ করেছে ভীষণ। রুজবা কিছু না বলে আবারো নুহাশের বাহু আঁটসাঁট ভাবে জড়িয়ে ধরে কাঁধে মাথা রাখলো। নুহাশ আর এক পলক তাকায় রুজবার দিকে। বলে,
–“জারাফ নেই তো, এখন কাকে দেখাবা?”
রুজবার সহজ স্বীকারোক্তি,

–“এভাবেই থাকি কিছুক্ষণ, ভালো লাগছে আমার। কেন আপনার ভালো লাগছে না?”
নুহাশ চমৎকার হাসে। রুজবার জড়িয়ে রাখা বাহুটা ছাড়িয়ে নেয়। তারপর রুজবাকে একহাতে কাছে টেনে একপাশ থেকে জড়িয়ে ধরে। পাশ থেকে সে সময় ছবি তুলে কিয়ান। রুজবা লজ্জা পেয়ে নিজেকে ছাড়িয়ে নেয় নুহাশের বাহুডোর থেকে। ওঠে ফারিন ওদের ওখানে চলে যায়। কিয়ান দাঁত বের করে বোকা বোকা হাসে নুহাশের দিকে। নুহাশ চোখ রাঙিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বলে,

–“সহ্য হলো না তোর আর।”
কিয়ান ইনোসেন্ট হেসে বললো,
–“একদমই না।”

রুজবা ওরা রাতের খাবার শেষ করেছে সাড়ে নয়টার মধ্যে। নুহাশ কিয়ান বেরিয়েছে একটু। আজ সারাদিন বাসায় ছিলো। দিঘির পাড় থেকে ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিলো। সন্ধ্যায় বের হয়নি তাই রাতে খেয়ে দুজনে হাঁটতে বেরিয়েছে।

শারমিন বেগমের সাথে হাতে হাতে সবকিছু গোছগাছ করে রুজবা নিজের ঘরে চলে আসে। ব্যালকোনিতে দাঁড়িয়ে থাকে বেশ কিছুক্ষণ। আকাশে থালার মতো বড় চাঁদ উঠেছে। শীতল বাতাস এসে ছুঁয়ে দিচ্ছে শরীর। রুমে চলে আসে রুজবা। শাড়ি পড়বে। নুহাশ বলেছিলো মাঝে মাঝে শাড়িতে দেখতে চায়। দিনে দুপুরে পড়লে তো সবার সামনে লজ্জা পাবে।

তাই ভাবলো এখনই পড়বে। যেই ভাবা সেই কাজ। আলমারি থেকে লাল টকটকে জর্জেট শাড়ি নিয়ে গায়ে জড়ায় রুজবা। চুলগুলো এলোমেলো ভাবে ঘাড়ের কাছে হাত খোপা করে৷ ছোট ছোট কয়েকটা চুল কপালে লেপ্টানো আর কাটা চুলগুলো কানের পিঠে গুজে রাখা৷ নিজেকে এক পলক আয়নায় দেখে। এভাবেই বেশ চলবে। লোকটা হা হয়ে যাবে ওকে এভাবে দেখে তাই না? নিজের ভাবনায় নিজেই লজ্জা পেলো৷ মনের কোনে অদ্ভুত অনুভূতি হানা দিচ্ছে। নুহাশ আশেপাশে থাকলে সবকিছুতেই কেমন নতুন নতুন অনুভূতি জন্ম নিচ্ছে।

শাড়ি পড়ে আবারো ব্যালকনিতে দাঁড়ায় রুজবা। বাতাসে শাড়ির আঁচল উড়ছে। কপালে লেপ্টানো ছোট ছোট চুলগুলো সারামুখে উপচে পড়ছে৷ একধ্যানে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে রুজবা। আজকের চাঁদটাকেও রুজবার কাছে নতুন লাগছে। চাঁদের আলোয় চারিপাশ জ্বলজ্বল করছে। একধ্যানে রাতের আকাশ দেখতে ব্যস্ত ও। একা একাই যেন চন্দ্র বিলাশ করছে।

হঠাৎ ফোনের রিংটোন বেজে উঠে। রুজবা ঘরে এসে দেখে নুহাশ ফোন ফেলে গেছে বাসায়। ধরবে কি ধরবে না দ্বিধায় পড়ে। নুহাশের অনুমতি ছাড়া ওর ফোন কি ধরা ঠিক হবে? স্ক্রিনে চোখ যেতেই দেখলো লিয়ার নাম ভাসছে। মূহুর্তেই কাল রাতের কথা মনে পড়ে যায় রুজবার। মেয়েটা নুহাশকে ভালোবাসে ভাবতেই গাঁ জ্বলে উঠে। ফোন ধরতে ধরতেই কেটে যায়। তাৎক্ষণিক ম্যাসেজ আসে নুহাশের ফোনে। রুজবা ফোন হাতে নেয়। স্ক্রিনে ভেসে উঠে,
–“অপেক্ষায় আছি তোমার, এত লেট হচ্ছে কেন? কখন ফিরছো? কতদিন থাক____”

রুজবা রাগে দাঁত কিড়মিড় করে। নুহাশের ফোনের পাসওয়ার্ড না জানায় সম্পূর্ণ ম্যাসেজটা পড়তে পারলো না। কিন্তু এইটুকু পড়েই রুজবার গাঁ ঘিনঘিন করছে। একা একা বিড়বিড় করে উঠলো,
–“এই মেয়েটা এত ছ্যাচড়া কেন? অন্যের জামাই নিয়ে টানাটানি করছে কোন দুঃখে? আমেরিকা থেকেই নিজের জন্য একটা সাদা বিলাই খুঁজে নিচ্ছে না কেন? আমার এই শ্যামরঙা জামাইয়ের দিকে কেন নজর দিলো ও? চোখ দুটো খুলে লুডু খেলতে ইচ্ছে করছে এখন।”

থামলো রুজবা। নিজেই অবাক হলো নুহাশকে নিজের জামাই ভাবাতে। তার উপর আরো বেশি অবাক ওর এত জেলাসি দেখে। তারপর আবারো বিড়বিড় করলো,
–“জেলাস তো হবোই, মানুষটা একান্ত আমার তো। ও নজর দিবে কেন আমার উনার উপর? এই এক মিনিট, উনি কি বাসায় গেছে? লিয়ার সাথে দেখা করতে? লিয়া তো ম্যাসেজে এরকমই বললো যে আসতে এত লেট হচ্ছ কেন? তার মানে___”

আর ভাবতে পারে না রুজবা৷ ফোনটা বিছানায় ছুঁড়ে মেরে ব্যালকোনিতে গিয়ে গ্রিল ধরে দাঁড়ায়। রাগ হচ্ছে ওর। রাগে ব্যালকোনির গ্রিল শক্ত করে চেপে ধরেছে। মিনিট পাঁচেক এভাবেই কেটে যায়। হঠাৎ করেই একজোড়া শক্ত হাতের স্পর্শ পায় নিজের উম্মুক্ত কোমড়ে। কেঁপে উঠে রুজবা। খোপা করা চুলগুলো খুলে দেয় মানুষটা। স্পর্শটা আরো গভীর হয়ে শাড়ি নিচে দিয়েই দু হাতে আঁকড়ে ধরে রুজবার পেট। চুলে ক্ষানিকটা সময় নাক ঘঁষে মুখ গুজে দেয় রুজবার ঘাড়ে। কম্পন সৃষ্টি হয় রুজবার শরীরে। দুহাতে শক্ত করে গ্রিল চেপে ধরে। নুহাশ ঘাড় থেকে মুখ সড়িয়ে চুলে মুখ ডুবিয়ে বললো,

–“আগে বলবা না শাড়ি পড়বা? তাহলে তো আর বাইরে যেতাম না।”
রুজবা কাঁপা স্বরে বলে,
–“প্ল্যান ছিলো না, হুট করেই।”
–“তো ফোন দিবা না?”
ফোনের কথা বলাতেই রুজবার লিয়ার ফোন এবং ম্যাসেজের কথা মনে পড়ে যায়। জেলাসিটা বেড়ে যায়। রাগ উঠে যায় আবার। শান্ত গলায় বলে,

–“ফোন তো বাসায় ফেলে গেছেন। লিয়া ফোন করেছিলো, সাথে ম্যাসেজও। আপনার জন্য অপেক্ষায় আছে তো, দেখা করে আসেননি ওর সাথে?”
নুহাশ কিছু বুঝতে না পেরে রুজবাকে ছেড়ে নিজের দিকে ঘোরায়। রুজবা তাকায় না নুহাশের দিকে। নুহাশ রুজবার গাল ধরে নিজের দিকে ঘুরিয়ে প্রশ্ন করলো,

অনেক সাধনার পরে পর্ব ২৫

–“মানে?”
–“কিছু না।”
এইটুকু বলেই রুজবা নুহাশের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে ঘরে চলে যায়। নুহাশ অবাক চোখে তাকিয়ে থেকে নিজেও রুজবার পেছন পেছন ঘরে আসে।

অনেক সাধনার পরে পর্ব ২৭