সে আমার সুকেশিনী পর্ব ২৬

সে আমার সুকেশিনী পর্ব ২৬
রাউফুন

সামনে দিয়ে যাওয়া যাবে না। যেতে হলে তাদের বাড়ির পেছন দিয়ে যেতে হবে। বিউটির হাত তখনও সুপ্রিয় শক্ত করে ধরে আছে। তাদের প্রতি পদক্ষেপে পাতার মড়মড় শব্দ হচ্ছে। নিঃশব্দে এগিয়ে যাচ্ছিলো তারা। দুজনের নিঃশ্বাসের শব্দে বাতাসও যেনো ভারী হয়ে আসছিলো।
‘আমরা এদিকে কোথায় যাচ্ছি?’

‘আস্তে কথা বল বিউটি! রাতের একদম আস্তে কথাও অনেক জোড়ালো হয়। তার থেকে পা টিপেটিপে চল আমার সঙ্গে! আমাদের এক্ষুনি গ্রাম ছাড়তে হবে।’
‘কেন?’

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

‘আর কোনো প্রশ্ন নয়! এতো গাঁধা কেন তুই? বিপদ চারদিকে ঘিরে আছে বুঝতে পারছিস না?’
সুপ্রিয়র এই কথায় একটু কেঁপে উঠলো বিউটি। কেমন যেনো শরীরে কাঁপন ধরানোর মতো কন্ঠঃস্বর। হঠাৎই আরও কিছু পদধ্বনি শুনতে পেলো সুপ্রিয়। বিউটিও শব্দ পেয়েছে। এবারে আর আস্তে নয়। বেশ জোরে দৌঁড়াতে লাগলো।
জঙ্গলটা বেশি ঘন নয়। ধরা পড়ার চান্স বেশি। এদিক দিয়ে গেলেই মেইন রাস্তায় যাওয়া যাবে সহজে। সুপ্রিয় দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে ফোন বের করলো। বিউটির ফোনের আলো জ্বলছে। সেই আলো বন্ধ করে অন্ধকারে দৌঁড়াতে লাগলো। আলো দেখলে টের পেয়ে যাবে পেছনে আসা লোকজন।

‘মেইন রাস্তায় গাড়ি রাখো মুঞ্জু! আমরা আসছি!’
‘আমি আর দৌঁড়াতে পারছি না সুপ্রিয় ভাই।’
‘তোর ওজন কতরে?’
‘কেন?’ এরকম সিচুয়েশনে এসে সুপ্রিয় ভাইয়ের এমন ধারা প্রশ্নের আগা মাথা কিছুই বুঝলো না বিউটি।
‘এতো প্রশ্ন করছিস কেন? বল,অত্যন্ত ভয়াবহ সময়েও তোর প্রশ্ন করা চাই চাই!’

‘আপনার এমন প্রশ্নে ভড়কেছি। আমার পা দিয়ে বোধহয় র’ক্ত বের হচ্ছে! আর পারবো না দৌঁড়াতে।’
সুপ্রিয় ব্যথিত হলো। সে ক্ষনিকের এই উত্তেজনায় ভুলেই বসেছিলো বিউটি আঘাত পেয়েছে।
বিনাবাক্য ব্যয়ে সুপ্রিয় বিউটিকে পিঠে চড়িয়ে নিয়ে ছুটলো। অন্ধকারেও বিউটি হা করে তাকিয়ে রইলো সুপ্রিয়র মুখের দিকে! তার সম্পুর্ন শরীরে দুলছে। এভাবে কি দৌঁড়ানো যায়? কি আশ্চর্য, সুপ্রিয় ভাই তাকে কতই না অবলীলায় পিঠে চড়িয়ে দৌঁড়ে পালাচ্ছে! তার কি কষ্ট হচ্ছে না?

‘হা করে তাকিয়ে থাকিস না। দৌঁড়ানোই কন্সেন্ট্রেশন করতে দে।’
বিউটি দুই হাতে সুপ্রিয়র গলা পেঁচিয়ে ধরলো। আর দু-পা উঁচু করে রাখলো যেনো জুতো না পড়ে যায়। জুতো খিতখিতে আর ভেজা লাগছে। তার মানে র’ক্ত বের হওয়ায় এমন হয়েছে। দশ মিনিট দৌঁড়ানোর পর মেইন রাস্তায় উঠলো তারা। বিউটিকে নামিয়ে গাড়ির দিকে ছুটলো সুপ্রিয়। গাড়িতে বসার সাথে সাথেই তাদের গাড়ি ছুটলো। পেছনে দেখা গেলো কয়েকজন লোক ছুটছে। তা দেখে সুপ্রিয় রহস্য করে হাসলো! লোকগুলো বোধহয় জানে না তারা কোন বিপদের মুখে পড়তে চলেছে।

‘সুপ্রিয় ভাই, আমরা ঘরের দরজা লাগাইনি৷ ওখানে আমার হ্যান্ড ব্যাগ রয়ে গেছে!’
‘চিন্তা করিস না সব জিনিস পেয়ে যাবি!’
বিউটি আশ্বস্ত হলো। মুখ বেজার করে শুধালো,
‘আমাকে পিঠে নিয়ে দৌঁড়াতে আপনার অনেক কষ্ট হয়েছে তাই না?’

‘তো তোর কি মনে হয়, তোকে দেখতে বাচ্চা হলেও তোর ওজন একটা বাচ্চার মতো ?’
‘আমি কি তাই বলেছি নাকি? আপনার গলায় খুব লেগেছে না? জোরে চেপে ধরেছিলাম তো, আমার মনে হচ্ছিলো আমি পড়ে যাবো!’
‘আমি তোকে পড়তে দিতাম নাকি?’

তাদের গাড়ি ছুটছে শোঁ শোঁ শব্দ তুলে। বিউটির দু-চোখ মুদে আসছে। পায়ের ব্যথাটা বোধহয় বাড়লো। ব্যথায় চিনচিন করছে। বিউটি নিজের অজান্তেই চোখ বন্ধ করে ফেলেছে। সুপ্রিয় খেয়াল করে বিউটিকে নিজের কোলে টেনে এনে শুইয়ে দিলো। বিউটি ওম্ পেয়ে গুটিশুটি মে’রে শুয়ে পরলো সুপ্রিয়র কোলে মাথা দিয়ে। গাড়ি চালাচ্ছে সুপ্রিয়র লোক মঞ্জু।

‘মঞ্জু!’
‘হু ভাই?’
‘আমাদের ধাওয়া করা লোকজন সব কটা ধরা পড়েছে? খোঁজ নাও তো। যথা সম্ভব আস্তে কথা বলবে। পারলে ম্যাসেজ করো।’
‘ওকে ভাই!’

‘আর শুনো, আমাদের গায়েব হওয়া গাড়িটা আর তোমার ভাবির হ্যান্ড ব্যাগ সঠিক সময়ে আমার সামনে চাই।’
‘গাড়ি সরানোর কাজ টা কে করতে পারে বলে আপনার মনে হয়, ভাই?’
‘কে হতে পারে বলো তো?’ মুঞ্জু কোনো আন্দাজ করতে পারলো না। সুপ্রিয় বুঝে বললো,

‘ঐ চেয়ারম্যানের চামচারা এসব করেছে। ঐ চেয়ারম্যানকে আগে তুলবে। আমাদের গোপন কুঠিরে তুলে বেঁধে রাখো। সঠিক সময়ে আমি আসবো। এবারে বুঝবে এই সুপ্রিয় কি জিনিস! কার পেছনে লোক লেলিয়ে দিয়েছিলো চেয়ারম্যান, কেনোই বা দিয়েছিলো নাড়ী নক্ষত্র টেনে বের করবো। আমি না আসা পর্যন্ত ওঁদের পানি অব্দি দেবে না! বুঝতে পারছো?’

‘পারছি ভাই।’
‘ভাগ্যিস তোমার ভাবি ঘুমিয়েছে। না হলে হাজার টা প্রশ্নের বাণ ছুড়ে মাথা খারাপ করে দিতো৷ না বললেও রেগে যেতো!’
‘ভাই ভাবিকে অনেক ভয় পান?’
‘তোমার কি আমাকে ভীতু মনে হয়?’
‘নাহ ভাই, কিন্তু এই পৃথিবীতে সবচেয়ে বীর পুরুষও বউয়ের কাছে ভেজা বেড়াল হয়ে যায়!’
‘আমি ভয় পায় না!’

মঞ্জু হেসে মাথা নাড়লো। সুপ্রিয়র ভাবনা এখন অনেক। এরকম ভয়াবহ একটা কান্ড ঘটবে সে ভাবতেই পারেনি৷ আজ যদি তার জন্য বিউটির বড়সড় কোনো বিপদ হতো তবে সে নিজেকে কখনোই ক্ষমা করতে পারতো না৷ সে প্রথমে মুসা চেয়ারম্যানকে সন্দেহের তালিকায় রাখেইনি৷ অথচ, বাজার থেকে নতুন করে দই আনা, দইয়ের হাড়ি ভাঙার পর স্ত্রীর গায়ে হাত উঠানো সেটাও মেহমানদের সম্মুখে !

এই হ্যাপাটা না ঘটলে বোধহয় বুঝতো না চেয়ারম্যান এর মধ্যে ঘাপলা আছে। সুপ্রিয় এতো কিছু শুনেছে এই গ্রামের আঁনাচে কাঁনাচে ছড়িয়ে থাকা যা কিছু আছে বা হচ্ছে তার সম্পুর্ন আপডেট আছে সুপ্রিয়র কাছে। অথচ, চেয়ারম্যানের ইমেজ একদম ক্লিন পেয়েছিলো৷ সে ভালো বলেই লোকজন তাকে বিপুল ভোটে জিতিয়ে দিয়ে বার বার ক্ষমতা পাইয়ে দিচ্ছে।

মুসা চেয়ারম্যান নিজেকে এমন ভাবে তৈরি করেছে যে, তার কোনো ব্যাড রেকর্ড এলাকার মধ্যে নেই। কিন্তু ঘরে? ঘরে স্ত্রীর সঙ্গে পশুর মতো আচরণ! যে লোকটা এতো দিনে নিজের এমন সুক্ষ্ম ইমেজ তৈরি করেছে সে সামান্য দইয়ের হাড়ি ভাঙার কারণে স্ত্রীর গায়ে হাত দিলো? খটকাটা এখানেই জোড়ালো হয়েছে। সুপ্রিয়র বিশ্বাস তাদের গ্রামে আসার বিষয়টা এখন তার শত্রু পক্ষ জেনে গেছে। শুধু এই বিষয়টিই নয়, তার পরিচয়ও এখন শত্রুপক্ষের কাছে পরিষ্কার৷ তাকে অনেক সাবধানে পা ফেলতে হবে!

বিউটি মৃদু শব্দ করে ঘুমাচ্ছে। সুপ্রিয় বুঝলো তার সুকেশিনী ঘুমে বিভোর এই মুহুর্তে। আঁচানক ঘুমের মধ্যেই একটা নরম তুলতুলে বালিশের ন্যায় বিউটি তার কোমড় চেপে ধরলো! তার সুকেশিনীর স্পর্শে প্রেমিক পুরুষ কাহিল হয়ে পরলো৷ সুপ্রিয়র দম বন্ধ হওয়ার জোগাড়, যাকে বলে নাজেহাল অবস্থা! এভাবে কেউ কোমড় জাপটে ধরে? নিঃশ্বাস আটকে যাবে যে এক্ষুনি!

‘এই চরম মুহুর্তেও ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে আমাকে নিয়ন্ত্রণহীন করে দিচ্ছিস বিউটি! এর শাস্তি তোকে পেতে হবে।’ বিড়বিড়িয়ে আওড়ালো সুপ্রিয়। উপায় না পেয়ে দাঁতে নখ খুটতে লাগলো সে। তবুও ঘুমের মধ্যে নিজের প্রেয়সীকে স্পর্শ করার মতো দুঃসাহসিক কাজ করতে পারলো না। তিরতির করে তার দু-ঠোঁট জোড়া কাঁপছে।
বিউটির যখন ঘুম ভাঙলো তখন দুপুর এক-টা। সে কোথায় আছে? পুরো রুম ভালো ভাবে দেখতেই বুঝলো এটা তার ব্যাডরুম না। সঙ্গে সঙ্গেই ধরতে পারলো না এটা আসলে মারিয়ামের রুম। ইভেন সে তার ব্যাডে আড়ামে ঘুমিয়েছে৷

‘কইটা বাজে আল্লাহ্ জানে? এখানেই বা কিভাবে এলাম?
‘এক-টা বেজে পনেরো মিনিট ম্যাডাম! ঘুম ভাঙলো তবে?’
বিউটি হাই তুলতে তুলতে বললো,
‘মারিয়াম জানপাখি এক কাপ কড়া কফি দে প্লিজ!’
মারিয়াম ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে বললো, ‘আমি কি তোর বান্দী? উঠে নিজেই কফি বানিয়ে খা যাহ! আমি কারোর হুকুম শুনবো না! অনেক হয়েছে!’

বিউটি অসহায় মুখ করে কাঁদো কাঁদো গলায় বললো,’এরকম করছিস কেন জানুউ? আমি না তোর পরাণের বেস্টফ্রেন্ড? এখন এমন শত্রুদের মতো আচরণ করছিস কেন? কি নিষ্ঠুর আচরণ! দেখছিস না পা কে’টে বসে আছি!’
‘তোর পা কে’টেছে তো আমি কি করবো? বেস্ট ফ্রেন্ড হলে কি আমাকে বলির পাঠা বানাইতি সব সবসময়? হারামী মহিলা! এদিকে তুই ইমোশনাল ব্ল্যাক মেইল করছিস অন্য দিকে তোর সুপ্রিয় ভাই!’

‘মানে?’
‘মানে হলো সুপ্রিয় ভাই তোকে আমার বাসায় নামিয়ে দিয়ে চলে গেছেন। আর বলে গেছেন, বলে গেছেন কি? রীতিমতো হুকুমজারি করেছেন। কি কথআ, আমার সুকেশিনীর যেনো এতোটুকুও অসুবিধা না হয়। যতক্ষন ইচ্ছে ঘুমোবে, কোনো ভাবেই ওঁকে ডাকবে না। আর বিউটির বাড়ির কেউ জিজ্ঞেস করলে বলবে, আজ সারারাত বিউটি তোমার কাছেই ছিলো। তোমার বাড়ির লোক তো এখন বিয়ে বাড়িতে?

সো তারা বুঝবেও না, জানবেও না। একটা সুবিধা হয়েছে। আর যখন যা চাইবে সঙ্গে সঙ্গে সামনে হাজির করবে। ওর পা কে’টে”ছে। রাত্তিরে, প্রথমে আন্টি কল দেওয়ার পর বললাম, ‘আন্টি আমার বাসায় কেউ-ই নেই তাই বিউটিকে রেখে দিয়েছি আমার কাছে। ভালো কথা, কিন্তু এতে হবে না, তাঁরা তোর সঙ্গে কথা বলবে। তোর বাসায় আমাকে অনবরত মিথ্যা বলতে হয়েছে এই নিয়ে।

কতকিছু বলেই না ম্যানেজ করতে হলো। একবার লিপন ভাই কল দিচ্ছে তো, একবার সন্দিপ্তা ভাবি ফোন দিয়ে তোকে চাইছে। আবার আংকেল, আংকেল নাকি তোর কন্ঠঃস্বর শোনার জন্য মরিয়া হয়ে গেছে। আমি উত্তর না দিয়েই কল কে’টে দিয়ে বন্ধ করে রেখেছি। আমি তোর জন্য আর কোনো মিথ্যা বলতে পারবো না৷ বের হো আমার বাসা থেকে। আংকেল, আন্টি, ভাইয়া, ভাবির মতো মানুষকে মিথ্যা বলতে আমার কলিজা ছিড়ে যাচ্ছিলো!’

‘একটু না হয় হ্যাপা সামলালি৷ আমি আজও যাচ্ছি না বাসায়। তুই আরও কইটা মিথ্যা বলে আমার বাসায় ম্যানেজ কর দেখি!’
মারিয়াম ক্ষেপে গেলো। দাঁতে দাঁত চেপে তীক্ষ্ণ মেজাজে বললো, ‘আমি আর মিথ্যা বলবো না৷ আমি তোকে চিনি না। কে আপনি? আমি কি আগে আপনাকে কোথাও দেখেছি? স্যরি আপু, আপনি বোধহয় ভুল বাসায় এসে পড়েছেন। প্লিজ এইদিকিটাই দরজা আছে, বেরিয়ে যান।’

বিউটি যেনো ভীষন মজা পেলো এই কথায়। খিলখিল করে হেসে উঠলো সে। বুঝলো মারিয়াম এতে আরও খুব ক্ষেপে যাচ্ছে। তাকে আরও একটু ক্ষেপিয়ে দিতেই পরের কথাটা বলা!
মারিয়াম কঠোর তবো শান্ত চোখে তাকালো। বিউটিকে অনেক প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হচ্ছে! মিনমিন করে জিজ্ঞেস করলো,’তোর পা কা’ট’লো কিভাবে?’

‘বলবো সব বলবো। জান পাখি, যা না একটু, কফি নিয়ে আয়৷ কফি খেতে খেতে বলছি!’
মারিয়াম গজগজ করতে করতে রুমের বাইরে গেলো। পনেরো মিনিট পর কফি হাতে ফিরলো। বিউটি বসে বসে আবারও ঝিমোচ্ছে।

‘নে তোর কফি। খেয়ে উদ্ধার কর।’
বিউটি একটু হকচকিয়ে উঠলো। পরক্ষণেই খেয়াল হতেই বললো, ‘তোর কফি কয়?’
‘আমি খাবো না। অলরেডি খেয়েছি তিন কাপ!’
‘আচ্ছা।’

‘এখন বল ঘটনা কি? বিস্তারিত বলবি। একটাও শব্দ স্কিপ করবি তো ধা’ক্কা দিয়ে ফেলে দেবো খাট থেকে!’
‘ইশ!কি নিষ্ঠুর কথাবার্তা মারিয়াম।তোর শরীরে কি একটুও দয়া ধর্ম নাই?আমার উনি হলে কি জীবনেও আমাকে এসব কথা বলতেন?’
‘নাটক না করে ঘটনা খুলে বল!’

সে আমার সুকেশিনী পর্ব ২৫

বিউটি শুরু থেকে শেষ অব্দি সবটা বললো মারিয়ামকে! অবাকে মারিয়ামের মুখ হা হয়ে রইলো। বিউটি তার মুখ বন্ধ করে দিলো৷ মারিয়াম তৎক্ষণাৎ তার ফোন এনে বিউটির হাতে দিলো। বিউটি বাড়িতে কথা বললো।

সে আমার সুকেশিনী পর্ব ২৭